বইখুলে দেখুন

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: শুক্র, ৩১/০৫/২০১৩ - ২:০৯পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

আমি ব্যাপক অলস মানুষ। অনেক দিন ধরে একটা জরুরি লেখার চিন্তা করেও লেখা হচ্ছে না। কারন লেখা দেয়ার মতন পর্যাপ্ত তথ্য বা যোগ্যতা হয়তো আমার নেই। কিন্ত বাধ্য হয়েই লিখতে হচ্ছে। কারন আর কেউ তেমন লিখছে না এই ব্যাপারে। কিছুদিন আগে আমি ক্লাস নাইনের একটা মেয়েকে পড়ানো শুরু করি। ফিজিক্স আর কেমিস্ট্রি পড়াতে হবে। শুনলাম বই চেন্জ করেছে এইবার। আমরা যেই বইটা পড়ে এসেছি সেইটা সম্ভবত চালু হয়েছিল ১৯৯৭ থেকে এবং এইবার ২০০১৩ সালে পরিবর্তন হল। সাধারনত শিক্ষকরা ছাড়া ছোট ক্লাসের বই নিয়ে তেমন মাথা ব্যাথা থাকে না কারো। যাই হোক ফিজিক্স বইখুলে আমার মাথা খারাপ হওয়া উপক্রম হল। বইটাকে অনেক ছোট বানিয়ে ফেলা হয়েছে। তবুও প্রথম দেখায় খুব বেশি কিছু ধরতে পারলাম না। লেখক শাহাজাহান তপনই আছে। বইয়ের চ্যাপ্টার কমানোতে বিরক্ত হলাম। এমনেই ইন্টারে যেয়ে অনেক কিছু পড়তে হয়। এস এস সি তে আরো বেশি পড়া থাকলে ইন্টারে অনেক সুবিধা হয়। পড়াতে যেয়ে আস্তে আস্তে টের পেলাম। মহকর্ষ নামক কোন চ্যাপ্টার নাই পদার্থ বিজ্ঞান বইয়ে। এমন কী নিউটনের মহাকর্ষ সুত্র,সরল দোলকও নাই কোন চ্যাপ্টারে। গতি চ্যাপ্টারে খাড়া উপরের দিকে নিক্ষিপ্ত বস্তু সমীকরন দেয়া আছে সেই খানে অভিকর্ষজ ত্বরন ও ব্যবহার করা হয়েছে। কিন্তু অভিকর্ষজ ত্বরনের সুত্রের কোন প্রতিপাদন নাই। কিছু সামান্য কথা লেখা। এই তো গেল মহাকর্ষ। নামে মাত্র কিছু ম্যাথ আছে ফিজিক্স বইয়ে। ফিজিক্স পড়তে হলে ম্যাথ করা কত জরুরি সাইন্সের যে কোন শিক্ষার্থীরই জানার কথা। আর্কিমিডিসের চ্যাপ্টারে যেয়ে দেখি আপেক্ষিক গুরুত্ব নাই। হাইড্রলিক প্রেসার নাই। চারিদিকে খালি নাই আর নাই। তাপের মাত্র দুইটা চ্যাপ্টার। ক্যালরিমিটার নাই। আলোর ও দেখি নামকস্তে দুইটা চ্যাপ্টার। এমন হত চ্যাপ্টার কমিয়ে হলেও দরকারি জিনিস গুলো আছে। তাহলেও একটা কথাছিল। ইলেক্ট্রনিক্স থেকে ডায়োড ট্রানজিস্টর নাই। এই জিনিস গুলো কত দরকারি ছোট থেকে ভালভাবে বুঝে আসা সেইটা বিশ্ববিদ্যালয়ে উঠলেই বুঝা যায়। যেই খানেই আছে কারেন্ট, যেই খানেই চুম্বক আছে। এস এস সি ইন্টারে আমাদের খুব সামান্যই ধারনা দেয়া হতো এতোদিন। যা দেয়া হত তাও ভাল করে বুঝার মতো লেখা ছিল না। ফলাফল ইন্জিনিয়ারিং পড়তে গিয়ে খাবি খাওয়া। এইতো গেল শুধু মাত্র পদার্থ বিজ্ঞানের কথা। শুধু বই উল্টে পাল্টে দেখলে তেমন কিছু মনে হয় না। পড়াতে গেলেই টের পাওয়া যায় যখন বুঝাতে হলে বইয়ে নাই এমন অনেক কিছু টেনে আনতে হয়। কেমিস্ট্রি পড়াতে গিয়ে দেখি ডাল্টনের পরমানুবাদ নেই। মানলাম সেইটা এখন হয়তো ভুলপ্রমানিত হয়েছে প্রায় পুরাপুরি। কিন্তু তার বদলে দেয়া হয়ে বোরের পরামানু মডেল। যেই খানে সীমাবদ্ধতা হিসাবে বর্নালির কথা বলা হয়েছে। কিন্তু কোন ব্যাখ্যা করা হয়নি বর্নালি জিনিসটা কী? spdf সিস্টেম কোনমতে দিয়েছে ইন্টারথেকে এ্যাড করে কিন্তু পূর্নাঙ্গটা দেয় নি। ফলাফল ইলেক্ট্রন বিন্যাস বের করতে গেলেই ব্যাতীক্রম গুলোর ক্ষেত্রে পড়ছে শিক্ষার্থীর নানান ঝামেলায়। এখনও ম্যাথ পড়াই নাই আমি নতুন বইটা। এই জন্যে আসলে অন্য বইগুলোর কথা তেমন বলতে পারছি না। যতদুর দেখলাম অদ্ভুত ভাবে ম্যাথ বইটা করা। কয়টা বীজগনিত, কয়টা জ্যামিতি, কয়টা ত্রিকোনমিতি/পরিমিতি, আবার কয়টা বীজগনিত এই ভাবে একটা বইয়েই সবদিয়েছে। পীথাগোরাসের উপপাদ্য বাদ দিয়েছে ক্লাস এইটে পড়ানো হয় দেখে। কিন্তু ক্লাস সিক্স/সেভেনের বর্গমূল নির্নয় আবার দেয় হয়েছে।
শুনলাম এইবার নাকী ইন্টারের বইও চেন্জ করবে। বাচ্চারা বরাবরি খুশি কারন, ২৫ টা চ্যাপ্টার কমিয়ে বারোটায় আনা হবে ফিজিক্স বইয়ে। বইয়ের মান আসলে কেমন পড়াতে না গেলে বুঝা যাবে না। আগের বইটা যেমনই হোক, বেশির ভাগ জিনিসই শিক্ষার্থীরা নিজে পড়ে একা একাই বুঝতে পারবে। এখনকার বইদিয়ে প্রাইভেট টিচার ছাড়া অথবা স্কুলের খুব ভাল টিচার ছাড়া বুঝা অসম্ভব প্রায় অনেক কিছুই। বই পড়াতে গেলে মনে হয় পরিবেশ পরিচিতি সামাজিক বিজ্ঞান টাইপ কিছু পড়াচ্ছি। অদরকারি কথাবার্তার অভাব নাই।
অনেকদিন আগেই লেখাটা দিতে চেয়েছিলাম। এর আগে মাধ্যমিক পর্যায় সাইন্স/কমার্স/আর্টস বাদ দিতে চাওয়া হয়েছিল। জ্ঞানি মানুষরা লেখা লেখি করে সেটা বন্ধ করিয়েছিল। আমার এই লেখার উদ্দেশ্য যারা ভাল লিখে সবার টনক নড়াতে পারবে তাদেরকে লিখতে বলা। কিছুদিন আগে দেখলাম হাসান মাসুদ(নাট্যশিল্পি) বঙ্গবানি কবিতা বাদ দেয়ায় এবং ভারতীয় কবিদের নাম নিয়ে শুধু একটা স্ট্যাটাস দেয়ার পড়েই সবাই হামলে পড়ল। তাই যারা এই বিষয়ে অভিজ্ঞ তাদের এগিয়ে আসার জন্যে অনুরোধ করছি। নিরবে আমাদের শিক্ষাব্যবস্থা আবার কয়েকধাপ পিছিয়ে যাচ্ছে, উন্নত হওয়া বদলে। কেউ কিছু বলছে না। ছোট থেকেই সঠিক পথে মেধাকে চালিত না করতে পারলে দেশ পিছিয়েই থাকবে সবসময়।
----
বিবর্ণ সময়


মন্তব্য

ছাইপাঁশ  এর ছবি

জরুরী লেখা। এমন করার কারণ কী!

বিবর্ণ সময় এর ছবি

জানা নাই। মন খারাপ পড়াতে গেলে কী যে দু:খ লাগে। কোথায় আরো উন্নত করবে বইয়ের মান, সেইটা না করে যা আছে তারও বারোটা বাজাচ্ছে।

সাক্ষী সত্যানন্দ এর ছবি

প্রথম-পঞ্চম শ্রেনীর বই দেখেছেন?

বিবর্ণ সময় এর ছবি

না। বিজ্ঞান টা নিয়েই মূলত আমার মাথা ব্যাথা ছিল বেশি। আমি যেইটা ভাল বুঝি সেইটা নিয়ে লিখেছি। সবাই যদি গঠন মুলক সমালচোনা করে সব বিষয়ে নিয়ে, আশা করি সুফল হতে পারে।

পিজিওন এর ছবি

অত্যন্ত ভাল লিখেছেন বিবর্ণ, আপনার সচেতনতা প্রশংশার দাবিদার।

অতিথি লেখক এর ছবি

ধন্যবাদ হাসি

অপ্রকৃতিস্থ এর ছবি

তুই লেইখা ভাল করসত্। দেরী হইয়া যাইতাছিল। ব্যাপারটা আসলে উপরে উপরে থিকা বুঝা যাইবো না। পড়াইতে গেলেই বুঝা যায়। আসলেই বই খুলে দেখতে হইবো। দেখি আমি পারলে এর একটা সিক্যুয়াল দিতে পারি কি না। সুন্দর লেখা হইছে।

অতিথি লেখক এর ছবি

দরকার হলে দুইজন মিলে আরো গবেষনা করা যায়। আমি অন্যান্য বইগুলাও ভাল মতন দেখব আবার।

জোহরা ফেরদৌসী এর ছবি

প্যারা গুলোর মাঝখানে একটু জায়গা (এন্টার চেপে চেপে) করে দেবেন? আমার চোখের অবস্থা আবার বায়াত্তুরে বুড়িদের মতন কি না মন খারাপ

__________________________________________
জয় হোক মানবতার ।। জয় হোক জাগ্রত জনতার

বিবর্ণ সময় এর ছবি

প্রথম লেখাতো। এর পর থেকে খেয়াল রাখব। হাসি

এক লহমা এর ছবি

হিসেবটা খুব সহজ সরল। আগে শিক্ষা ব্যবস্থাটা পিছিয়ে দিতে পারলে পরে সেই পিছিয়ে থাকা শিক্ষার মানুষদেরকে পুতুল নাচানো অনেক সহজ হয়ে যায়।
খুব দরকারী লেখা। আশা করি যথেষ্ট সংখ্যক ঠিকঠাক লোকের চোখে পড়বে।

 মেঘলা মানুষ এর ছবি

আমার মনে হয় না ৯৭ এ চালু করা মধ্যমিকের বইগুলোর মান এত বেশি উপরে ছিল যে আরও সহজ করার প্রয়োজন দেখা দিল।
বরং ফিজিক্সের বইতে গত ১৬ বছরের অগ্রগতি নিয়ে একটা 'জেনে রাখা ভালো' টাইপের চাপ্টার দেয়া যেত। (যেখানে খুব সহজ ভাষায় সার্নের কথা থাকবে, কার্বন ন্যানোটিউবের কথা থাকবে।)

এখন আরো 'সহজ' করে দিয়ে আমরা হয়ত পড়ার স্বাদটাই নষ্ট করে দিচ্ছি।

প্রদীপ্তময় সাহা এর ছবি

মহকর্ষ নামক কোন চ্যাপ্টার নাই পদার্থ বিজ্ঞান বইয়ে। এমন কী নিউটনের মহাকর্ষ সুত্র,সরল দোলকও নাই কোন চ্যাপ্টারে।

আশ্চর্য !!
কন কী চিন্তিত

বিবর্ণ সময় এর ছবি

জ্বী ভাই মন খারাপ

সাক্ষী সত্যানন্দ এর ছবি

মহাকর্ষ এইটে নিয়ে গেছে...জীববিজ্ঞানে বিবর্তনের উপর (এই প্রথম কি?) অধ্যায় রাখা হয়েছে [তবে অধ্যায়ের শুরুতে বানর থেকে মানুষ হয়ে ওঠার সেই বহুল প্রচারিত ও বিভ্রান্তি উৎপাদক কার্টুন টি দেখে ভালো লাগেনি]... হায়ার ম্যাথে এ একগাদা পুনরাবৃত্তি বাদ দিয়ে নতুন জিনিস (যেমন সম্ভাব্যতা, ভাষা টা খুব সুখকর নয় যদিও) আনা হয়েছে... পুরো সেট খারাপ লাগেনি... তবে মাঝখান থেকে কোনও ক্লাসের নতুন বই দেখলে ভয় লাগে বৈকি... এমনও হয়েছে উচ্চ মাধ্যমিক প্রথম বর্ষের কোনও শিক্ষার্থীকে যা পড়াতে হয়েছে তার অষ্টম শ্রেণীতে পড়ুয়া ছোট ভাই/বোন কেউ একই জিনিস পড়াতে হয়েছে... ২/১ বচ্ছর একটু গুবলেট লাগবে... তারপর ঠিক হয়ে যাবে আশা করি দেঁতো হাসি

জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের ওয়েবসাইটে পিডিএফ দেয়া আছে, নামিয়ে দেখতে পারেন (লিঙ্ক দিতে পারছি না)

তবে বঙ্গবানী আবার ফিরিয়ে আনা উচিৎ, এব্যাপারে কোনও দ্বিমত নেই

বিবর্ণ সময় এর ছবি

ভাই মহাকর্ষ এইটে নিয়ে গেছে কিন্ত সেই খানে কী এতই পর্যাপ্ত পরিমান তথ্য দেয়া আছে যে সেইটা আমাদের ক্লাস নাইনে বাদ দিতে হবে? তাহলে ইন্টারে কেন মহাকর্ষ দেয়া হয়েছিল এস এস সিতে পড়ানোর পরেও? পুরো সিস্টেম তো এই ভাবে চেন্জ করলে তো বাচ্চা দের জন্যে অনেক বিপদরে ভাই। মনে করেন ক্লাস সিক্স থেকে নতুন সিস্টেম চালু করল। সেইটা এক ব্যাপার। যারা পুরানো এইটের বই আর নতুন নাইনের বই পড়ছে তাদের কী হবে? চালু করতেই যদি হয় ক্লাস সিক্স থেকে শুরু হত। তাদের কোর্সটা পুরো আলাদা হত। সেইটা অনেক বেটার। ইউনিভার্সিটিতে যেমন চার বছরের সিলেবাস এক বারে ঠিক হয়। মাঝে থেকে চেন্জ করার সিস্টেম নাই। ফিজিক্স বইয়ের সবচেয়ে বড় সমস্যা উদাহরনে ম্যাথ নাই তেমন। খুবই কম। আর অনুশীলনি তে তো নাই কিছুই। শিক্ষকরাও পুরানো বই থেকে ম্যাথ দিবে পরীক্ষায়। শিক্ষার্থীরাও মনে করেন পুরানো বই, গাইড এই সব থেকে ম্যাথ করা শুরু করবে। শুধু পুরানো বইয়ের ম্যাথ না, প্রশ্নও মুখস্ত শুরু করবে। কারন নতুন বইয়ে অনুশীলনিতে তেমন প্রশ্নও দেয়া নাই। কয়েক বছর পর মনে করেন আগামী ১০ বছর পর দেখা যাবে আবার এইটা ঢেলে সাজাবে।

প্রদীপ্তময় সাহা এর ছবি

হুম,
আসলেই, মাঝখান থেকে পাল্টালে খুব মুশকিল।

সাক্ষী সত্যানন্দ এর ছবি

১। মহাকর্ষ ইন্টারে যা আছে তা ক্যাল্কুলাস ভিত্তিক, সেটা নাইনের সিলেবাসে আনতে চাইলে নাইনের সিলেবাসে ক্যাল্কুলাস আশা পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে... কিন্তু এইটে যা দেয়া হয়েছে, তারপর নাইনে নতুন করে কিছু দেবার ছিল বলে মনে হচ্ছেনা... দ্বিমত থাকতেই পারে, সেক্ষেত্রে টু দ্যা পয়েন্ট জানান

২। শুধু এইটুকু যদি নিশ্চিত করা যায় যে প্রশ্নে বই/আগের বই থেকে কোনও হুবহু ম্যাথ থাকবে না তাহলেই হয়... বোর্ড গুলোর প্রশ্ন অভিন্ন করে দেয়া যায়... তাতে এইটা বাস্তবায়ন অনেক সহজ হবে... সেই সাথে আগের প্রশ্ন ২ বছর পরে রিপিট করা বন্ধ করতে পারলেই গাইড আর সাজেশন কম্পানির লালবাতি জ্বালায় দেয়া যায়... (সৃজনশীল পদ্ধতি'র প্রশ্ন করা হলে পুরানো প্রশ্ন মুখস্ত করে কি লাভ হতে পারে বুঝি নাই)

৩। হ্যাঁ, পুরানো এইট আর নতুন নাইনের বই এই সিরিয়াল টা এই প্রোগ্রামের একটা বাগ ইয়ে, মানে... তবে তাতে পুরে সিলেবাস টাকে বাতিল করা কি দরকার? এক বছর পরেই ঠিক হয়ে যাবে

৪। আর ১০ বছর পরপর কেন? আমি মনে করি আরও তাড়াতাড়ি "ঢেলে সাজানো" শুরু করা উচিৎ... বই এখন বোর্ড দেয়... প্রতি বছর নতুন করে ছাপাতেই হবে... তাহলে কেন সেটা আপডেট হবেনা?

বিবর্ণ সময় এর ছবি

টু দা পয়েন্ট বলতে হলে আসলে আমার আরো গবেষনা করতে হবে। সেইটা করে আসা করি আমি অথবা আমার কোন বন্ধু একটা পোষ্ট দিতে পারব। ত্রুটি গুলো আসলে একবারে চোখে পরে না। আস্তে পড়াতে পড়াতে চোখে পরে। পযাপ্ত পরিমান ফিজিক্সের ম্যাথের উদাহরন আর অনুশীলনী দুইটাই খুব জরুরী আশা করি এই ব্যাপরে দ্বিমত পোষন করবেন না। সৃজনশীল বানানোর আগে অনুশীলনিতে কিছু ম্যাথ ছিলো বেশ ভাল। গতি আর মহকষে। যেমন: "দেখাও যে অভিকর্ষজ ত্বরনের অর্ধেক বেগে এটা বস্তুকে উপরের দিকে ছুড়ে দিলে সেটি ১ সেকেন্ড পর মাটিতে পরবে" এমন আরো বেশ ভাল কিছু ম্যাথ ছিল। সেইগুলোও পযাপ্ত পরিমান ছিল না। সৃজনশীল বানানোর পর অনুশীলনীর ম্যাথ গুলো বাদ দেয়া হল। স্টুডেন্টরা পুরানো বইয়ের ম্যাথ প্র্যাকটিস করতো। এখনকার বইয়ে উদাহরনের ম্যাথ গুলোও বাদ দেয়া হয়ছে। আপনি বাইরের দেশের যেকোন বই দেখলেই দেখা যায় প্রচুর পরিমান উদাহরন এবং অনুশীলনিতে ম্যাথ এবং প্রশ্ন দুইটাই দেয়া থাকে। যে গুলো স্টুডেন্টদের চিন্তা করতে শিখাবে। শুধু থিওরি দিয়ে যদি কাজেই লাগতো তাহলে প্রশ্ন ও অংক প্র্যাকটিস করার দরকার ছিল না। প্রতিভা বিকাশের জন্যে পর্যাপ্ত পরিমান অনুশীলন করাতে হবে।
প্রতিটা চ্যাপ্টার ধরে ধরেই বেশ ত্রুটি বের করা সম্ভব। সরল দোলকের ব্যাপারটা এইটের বইয়ে নাই। নাইনের বই থেকেও বাদ দিয়েছে। অথছ এমন স্টুডেন্টের অভাব নাই যারা এস এস সি তে সরল দোলক শেখানোর পরেও ইন্টারে যেয়ে একটা সরল দোলককে চাদে নিয়ে গেলে তার দোলন কাল কত হবে বের করতে পারে না। কাজের চ্যাপ্টারে শক্তির সংরক্ষনশীলতার প্রমানটা নাই। যেইটা দিয়ে করানোর মতো বেশ কিছু ম্যাথও থাকা উচিত ছিল। চাপের চ্যাপ্টারে আপেক্ষিক গুরুত্ব এবং হাইড্রোলিক প্রেসরারের থিউরি ও ম্যাথ দুইটাই বাদ দেয়া হয়ে। আগের বইয়ে এইগুলোর কিছু ম্যাথ দেয়া ছিল। এইটের বইটা আগরে টার সাথে তুলনা করলেও বেশ কিছু ঘাটাতি দেখা যাবে আমি নিশ্চিত। পুরানো বইটা আমার কাছে নাই। আশা করি তুলে ধরতে পারব পরে আরো লিখলে। স্টুডেন্টকে প্রথম ৫টা চ্যাপ্টার ই এখন পর্যন্ত পড়িয়েছি। তাই এইগুলোর সমস্যাই ভাল ধরতে পেরেছি। এছাড়াও ক্যালরিমিটারের চ্যাপ্টারটা নাই(এইটেও নাই) ডায়োড ট্রানজিস্টর সামান্য ছিল সেইটাও নাই। যেইটা এস এস সি তে আমরা পড়ে এসেছে সেইটা ইন্টারে নিয়ে যাও কী বুদ্ধিমানের কাজ বলে মনে হয়? নাকী এস এস সি তেই আরো বারানো যেত? এস এস সি এর সময়ের তুলনায় সিলেবাসটা অনেক ছোট ছিল কিন্তু ইন্টারের টা বেশি বড় ছিল। দুইটাই কমিয়ে দেয়া খুব ভাল লক্ষন না। অপ্রয়োজনীয় জিনিস বাদ দিতে পারে। কিন্তু বই অর্ধেক করে ফেলা আর অপ্রয়োজনীয় জিনিস বাদ দেয়া তো এক না। ধন্যবাদ আপনাকে সমলোচনার জন্যে। এবং বইখুলে দেখার জন্যে একজন হলেও আমার লেখা পড়ে বই খুলে দেখেছে। লেখাটা বৃথা হয় নি। কিন্তু যদি সংশোধোন হত তাহলেই সবচেয়ে খুশি হতাম। ভাল কিছু যোগ ও করা হয়েছে। তবে তার চেয়ে বাদ দেয়া হয়েছে অনেক। আরো সমস্যা নিয়ে আমি সময় পেলে লিখব অথবা আমার কারো সাথে আলোচনা করে তাকে লিখতে বলব। প্রতিটা সমস্যা আসলে একার পক্ষে তুলে ধরা অনেক কঠিন কাজ এবং সময়ের ব্যাপার।

সাক্ষী সত্যানন্দ এর ছবি

১। আমি সরল দোলক একবারে ইন্টারমিডিয়েট এ শুরু করার পক্ষপাতী, নাহলে ৪ ডিগ্রী সহ অনেক কিছুর ম্যাথম্যাটিক্যাল ব্যাকগ্রাউন্ড রেডি থাকে না

২। ক্যালরিমিটারের চ্যাপ্টার (অবস্থার পরিবর্তন?) এস এস সি আর এইচ এস সি তে প্রায় হুবহু একই ছিল (দশাচিত্রের ধারণা বাদে)... একবার থাকলেই কি চলে না?

৩। "... এমন স্টুডেন্টের অভাব নাই যারা এস এস সি তে সরল দোলক শেখানোর পরেও ইন্টারে যেয়ে একটা সরল দোলককে চাদে নিয়ে গেলে তার দোলন কাল কত হবে বের করতে পারে না..." সৃজনশীল পদ্ধতিতে (যদি প্রশ্ন ও মুল্যায়ন ঠিকভাবে হয়) এদের অনেক আগেই ঝরে পড়া উচিৎ... শুধু তারাই টিকবে যারা অন্তত ৮০% সম্ভব হলে ১০০% বইটা পড়ে আসবে... এমন হিসাব করতে পারবে না যে প্রথম চ্যাপ্টার পরলে তৃতীয় চ্যাপ্টার পড়তে হবে না

৪। হ্যাঁ পর্যাপ্ত অনুশীলনী দরকার... তবে সেটা যেন প্রশ্ন কপি করার সোর্স বুক হয়ে না ওঠে

৫। আপেক্ষিক গুরুত্ব কি পুরাই বাদ গেচে? ইয়ে, মানে...

বিবর্ণ সময় এর ছবি

ভাই আপনার লেখা গুলো পড়া যাচ্ছেনা। যেই অংশ গুলো কোট করা। তাই রিপলাই দিতে পারছি না মন খারাপ

সাক্ষী সত্যানন্দ এর ছবি

মন খারাপ

হুমম... "এমন স্টুডেন্টের অভাব নাই.... ..... ..... ..... দোলনকাল কত হবে বের করতে পারবে না" ..... এই অংশ টুকু কোট করেছিলাম, আসল না কেন বুঝলাম না ইয়ে, মানে...

বিবর্ণ সময় এর ছবি

ওইটা আসছে কিন্তু ১ নাম্বার ২ নাম্বার ৫ নাম্বার বুঝলাম না কী লিখলেন চিন্তিত

স্বপ্নহীন এর ছবি

১ আমি সরল দোলক একবারে ইন্টারমিডিয়েট এ শুরু করার পক্ষপাতী, নাহলে ৪ ডিগ্রী সহ অনেক কিছুর ম্যাথম্যাটিক্যাল ব্যাকগ্রাউন্ড রেডি থাকে না

২ ক্যালরিমিটারের চ্যাপ্টার (অবস্থার পরিবর্তন?) এস এস সি আর এইচ এস সি তে প্রায় হুবহু একই ছিল (দশাচিত্রের ধারণা বাদে)... একবার থাকলেই কি চলে না?

৫ আপেক্ষিক গুরুত্ব কি পুরাই বাদ গেচে?

বিবর্ণ সময় এর ছবি

জ্বি আ:গু পুরাই বাদ গেছে। একটু খোজা খুজি করলে পুরাই বাদ গেছে এমন আরো জিনিস খুজে বের করা যাবে।
ক্যালরিমিটারে ইন্টারে টাইমের ব্যাপারটা ছিল। দুইটা চ্যাপ্টারে ক্যালরিমিটার টাইপ ম্যাথ করতে হত।
সরল দোলক আর ক্যালরিমিটার দুইটার ক্ষেত্রেই বলব যেইটা আমরা আরো এস এস সি তেই শিখতে পারি সেইটা ইন্টারে যেয়ে শেখা কী আগানোর লক্ষন না পিছানোর লক্ষন। এমনিতেই উন্নত দেশে গুলোর তুলনায় আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থার করুন দশা। ইংলিশ মিডিয়াম গুলো আমাদের দেশে যেইগুলা আছে তাদের থেকেই পিছিয়ে আছি। ওদের এস এস সি তেই ক্যালকুলাস করানো হয়। এখন যদি অনার্সে ক্যালকুলাস করতে হয় দেখে ইন্টারে বাদ দেয়া কি ঠিক হবে?
প্রশ্ন কপি করে সেইগুলো মুখস্ত করে পরীক্ষায় দেয়াও অনেক সময় ভাল ব্যাপার একে বারে বাদ দিয়ে অথবা কিছুই না শিখে। অনেক কিছুই আমার না বুঝে পড়ে হলেও পরে বুঝতে পারি। একেবারেই বাদ দেয়া বুদ্ধিমানের কাজ না। ম্যাথ গুলো এবং প্রশ্নগুলো বই থেকে হুবুহু আসলেও সেই ভাবে শেখাও ভাল একে বারে না শেখার চেয়ে।
স্কুল গুলোতে কিন্তু আগের প্রশ্নের আলোকেই প্র্যাকটিস করনো হয়। সৃজনশীল প্রশ্ন চাইলে তারা বানাতে পারে না।
খাতা মুল্যায়ন সঠিক ভাবে এবং প্রশ্নের মান নির্ধারন তো অনেক পরের ব্যাপার। আগে বই ভাল হতে হবে। আর খাতা দেখার মান যে কি হয় সেইটা বোর্ড খাতা দেখার সময় শিক্ষকদের কী ধরনের ইন্সট্রাশন দেয়া হয় সেইটা জানালে দু:খে খাতাও দেখতে ইচ্ছা করার কথা না। বইগুলো ভাল হওয়া তাই জরুরি সবার আগে। পরিবর্তন দরকার ছিল। তবে ভাল কিছু যোগ করে আর বই ছোট করে ওই ধরনের পরিবর্তনের চেয়ে না করাই ভাল আমার মনে হয়। ছোটদের বই অনেক যত্ন নিয়ে বানানো উচিত হাসি

বিবর্ণ সময় এর ছবি

গানিতিক আরোহ পদ্ধতিও বাদ গেছে। এস এস সি তে। বিষয়টা নি:সন্দেহে গুরুত্বপূর্ন হাসি

সাক্ষী সত্যানন্দ এর ছবি

১। ডেরিভেশন ছাড়া সরল দোলকের সুত্র গুলা দেয়া আর লরেঞ্জ ট্রান্সফরমেশন ছাড়া সরাসরি রিলেটিভিটি অফ টাইম এ চলে যাওয়া প্রায় একই কথা রে ভাই

২। হুমম, ক্যালরিমিটার ইন্টারে বাদ দিয়ে নাইনে থাকলেই হত, একমত...

৩। ... " ...স্কুল গুলোতে কিন্তু আগের প্রশ্নের আলোকেই প্র্যাকটিস করনো হয়। সৃজনশীল প্রশ্ন চাইলে তারা বানাতে পারে না।..."... ট্রেনিং চলছে... সবাইকে একবারে এর আওতায় আনা সম্ভব না... একটু সময়ের দরকার... কাঠামোগত সীমাবদ্ধতা

৪। আমি বেশ ক'বছর ইংলিশ মিডিয়াম/দেশি সিলেবাস/বিদেশি সিলেবাস ৩ রকম ছাত্রই পড়িয়েছি ... ও-লেভেলের একটা ছাত্র অনেক আগে ক্যালকুলাস শিখে...জাস্ট অ্যাজ আ টুল... আমাদের ইন্টারের অন্তত ক্যালকুলাসের সিলেবাসটা সামগ্রিকভাবে ের চেয়ে অনেক সমৃদ্ধ... প্রয়োগে আমাদের ছাত্ররা দূর্বল... কারন প্রচলিত কাঠামোতে "রিয়েল লাইফ প্রবলেম সলভিং" এতদিন একেবারেই ছিল না... সৃজনশীল পদ্ধতিতে এই সুযোগ টুকু আসবে বলে এখনও আশা রাখি

৫। ... "...বোর্ড খাতা দেখার সময় শিক্ষকদের কী ধরনের ইন্সট্রাশন দেয়া হয় সেইটা ... "... হুমম... এখানে কবি নীরব

৬। ... "...তবে ভাল কিছু যোগ করে আর বই ছোট করে ওই ধরনের পরিবর্তনের চেয়ে না করাই ভাল আমার মনে হয় ... "... বুঝলাম না ... ইয়ে, মানে... ...

৭। ... "...ছোটদের বই অনেক যত্ন নিয়ে বানানো উচিত ... "... অবশ্যই (১-৫ ের বইগুলা দেখেন... শ্রেষ্ঠ বই না হলেও, সীমিত সাধ্যের সর্বোচ্চ ব্যাবহারের চেষটা বলে মনে হয়েছে )

বিবর্ণ সময় এর ছবি

১- কিসের প্রেক্ষিতে বললেন বুঝি নাই।
২+৩ যে কোন সমস্যাই আপনার কাছে ছোট মনে হচ্ছে। শুধু ভালদিকটাই দেখেতে পাচ্ছেন। (সিলেবাস টা আপনার কাছের কারো বানানো নাকি? চোখ টিপি )
৪-

"সৃজনশীল পদ্ধতিতে এই সুযোগ টুকু আসবে বলে এখনও আশা রাখি"

সম্ভাবনা দেখেতে পাচ্ছিনা তার কোন। সৃজনশীলতা গড়ে তুলতে হলে প্রয়োজন সৃজনশীলতার বিকাশ ঘটানোর জন্যে উপুযক্ত ব্যবস্থা,যে খানে আছে প্রচুর প্র্যাকটিসের জন্য প্রয়োজনীয় নমুনা। ম্যাথ অলিম্পিয়াড, পোগ্রামিং কন্টেস্ট তার চমৎকার উদাহরন।
৬- আরো* ছোট করে
৭- দেখব ভাই সেইগুলো। দৌড়ের উপড় থাকতে হয়। প্রতিদিন রাতে এসে সামান্য সময় পাই। ভাল করলেতো খুবই ভাল কথা।

সাক্ষী সত্যানন্দ এর ছবি

১। সরল দোলকের তত্ত্ব পড়ার মত গানিতিক জ্ঞান নাইনে থাকে না... তাই সেটা একবারে ইন্টারে দিলেই ভালো।

২+৩। দেখুন যেকোন সংস্কারেই ভালো খারাপ দুই দিকই থাকে... যেহেতু মূল পোস্টটি শুধুমাত্র নেগেটিভ দিকগুলোকে ফোকাস করে করা তাই তাঁর কাউন্টারে (হয়তো গুটিকয়েক) ভালো দিকগুলো ফোকাস করেছি... পোস্টটি যদি দ্বিপাক্ষিক সমালচনামূলক হত, তাহলে নিঃসন্দেহে আমিও (চোখে পড়া সাপেক্ষে) আরও নতুন পাচটা ভালো ও পাচটা খারাপ দিক খুঁজে দেখাতাম... অনেক ক্ষেত্রে কি একমত হই নি? (আপনার প্রশ্নের উত্তরঃ না)

৪। ম্যাথ অলিম্পিয়াড তো এখন হচ্ছে... সেখানে অংশ নিতে বোধ হয় গার্জিয়ান দের উদবুদ্ধ করণ বেশি জরুরি... (ম্যাথ অলিম্পীয়াড কে কেন্দ্র করেই সিলেবাসের বাইরেও বাংলায় এখন অনেক বই লেখা হয়, ব্যাক আপ থাকছে, কম হলেও)

৬। ইয়ে, মানে...

৭। পপকর্ন লইয়া গ্যালারীতে বইলাম

বিবর্ণ সময় এর ছবি

১- ইয়ে, মানে...
২- খুব অল্পক্ষেত্রেই একমত হয়েছেন হাসি ভাল দিকগুলোই বোল্ড আপনার কাছে দেখিয়েছেন, মনে হয়েছে।
৪- আমার মনে হয় স্টুডেন্টদের উদ্বুদ্ধ করা বেশি জরুরি। স্টুডেন্টরা আগ্রহী হলে গার্জেনদের বাধা খুব বড় ব্যাপার হবে না সব সময় যতটা না হবে গার্জেনরা উদ্বুদ্ধ হওয়ার পরেও স্টুডেন্টরা যদি আগ্রহী না হয়। গার্জেনদের চেয়ে স্টুডেন্টরা গুরুত্ব সহজে বুঝতে পারবে বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই।
ইটা রাইখ্যা গেলাম...

সাক্ষী সত্যানন্দ এর ছবি

১। চিন্তিত

২। কেন সেটা আগের কমেন্টে বলেছি মন খারাপ

স্টুডেন্টরা আগ্রহী হলে গার্জেনদের বাধা খুব বড় ব্যাপার হবে না সব সময় যতটা না হবে গার্জেনরা উদ্বুদ্ধ হওয়ার পরেও স্টুডেন্টরা যদি আগ্রহী না হয়

৪। আমার মনে হয় ব্যাপারটা আসলে পরিপূরক, ৩/৪ বছর আগেও আমি ঠিক এমন করেই ভাবতাম... কিন্তু সব দেখে শুনে এখন আর
মনে হয় না...

৭। পপকর্ন লইয়া গ্যালারীতে বইলাম

বিবর্ণ সময় এর ছবি

ভাই এখন কার স্টুডেন্টদের বইয়ে বাইরে থেকে কিছু ম্যাথ করালে করতে চায় না। কোন সমস্যা নিয়ে শুধু চেষ্টা করে দেখতে চায় না। এমন স্টুডেন্টের অভাব নাই। রেজাল্ট ভাল, ভাল জায়গায় পরে। একটু চিন্তা করতে দিলেই কান্না কাটি শুরু। ভাল স্টুডেন্টও পেয়েছি, যারা খুব আগ্রহী। সংখ্যাটা নগন্য। গতবছর মতিঝিল আইডিয়ালের দুইখানা মেয়েকে পড়িয়েছিলাম ইন্টারের। বোর্ডের বাইরে ম্যাথ করতে চাইতো না। একটু কঠিন ম্যাথ দিলেই কান্না কাটি। পড়ানো শেষ করার বহুদিন পর জানতে পেরেছিলাম ইন্টারে এ+ পাইছে ঠিকই। চান্সপায় নাই দুনিয়ার কোন ভাল জায়গায়( আবার ভাল জায়গা কোনটা নিয়া প্যাচানো শুরু কইরেন না)

সাক্ষী সত্যানন্দ এর ছবি

স্টুডেন্টদের বইয়ে বাইরে থেকে কিছু ম্যাথ করালে করতে চায় না। কোন সমস্যা নিয়ে শুধু চেষ্টা করে দেখতে চায় না। এমন স্টুডেন্টের অভাব নাই। রেজাল্ট ভাল, ভাল জায়গায় পরে। একটু চিন্তা করতে দিলেই কান্না কাটি শুরু।

এদের খেতা পুড়তে চাইলে কি খুব দোষ হবে? চিন্তিত

যারা খুব আগ্রহী। সংখ্যাটা নগন্য

নগন্য সংখ্যা টাকে বাড়াতে চাইলে এরাই পারবে...
সেজন্য পাসের হার আর এ প্লাসের হার বাড়াবার চাইতে আমি বরঞ্চ এদের পেছনে স্রম দিতে রাজী...

বিবর্ণ সময় এর ছবি

জ্বী ভাই। এদের খেতা পুড়লে অনেক দোষ হবে। এদের সংখ্যা অনেক। এবং এরকম স্টুডেন্ট বানোনর জন্যে দায়ী আমাদের সিস্টেম। এদের অনেক কেই নগন্যদের দলে নিয়ে যাওয়া সম্ভব। যারা এমনিতেই বেশ একটিভ তাদের চেয়ে এদের জন্যেই আসলে শ্রম বেশি দরকার। যারা খুব প্ররিশ্রমী এবং মেধাবী তাদের আসলে সবাই কে চাইলেই একটা বাজে সিস্টেম দিয়ে আটকে রাখা যাবে না।
৪-- পাসের হার আর এ প্লাসের হার বাড়ানোর জন্যেই সরকারের মাথা ব্যাথা। এন সিটিবি সেই উদ্দেশ্য নিষ্ঠার সাথে কাজ করে চলেছে। তাদের মূখ্য উদ্দেশ্য যদি পড়াশুনার মান বাড়ানো, সেইটা খুব কঠিন বলে আমার মনে হয় না।

সাক্ষী সত্যানন্দ এর ছবি

পড়াশুনার মান বাড়ানোর ক্ষেত্রে সামগ্রিক ভাবে ম্যান পাওয়ার সঙ্কট আছে... সেজন্যই "অনেক" সঙ্খ্যাধারীদের চাইতে "নগন্য" সঙ্খ্যাধারীদের প্রতি আমি বেশি আগ্রহী কারন তাদের কে ট্রেইন আপ করা গেলে চেইন রিয়াকশনের মত আরও অনেক "নগন্য" তৈরি হয়ে আস্তে আস্তে নগন্যতা কমার একটা আশা থাকে... "অনেক" দের জন্যই সব হতে থাকলে "নগণ্য" রা হাবুডুবু খেতে খেতে হারিয়ে যাবে... ... এইক্ষেত্রে "গনতন্ত্র" খুব ভালো হবে বলে মনে হয় না

বিবর্ণ সময় এর ছবি

সেজন্যই "অনেক" সঙ্খ্যাধারীদের চাইতে "নগন্য" সঙ্খ্যাধারীদের প্রতি আমি বেশি আগ্রহী কারন তাদের কে ট্রেইন আপ করা গেলে চেইন

রিয়াকশনের মত আরও অনেক "নগন্য" তৈরি হয়ে আস্তে আস্তে নগন্যতা কমার একটা আশা থাকে.

.
একমত হতে পারছি না। সবার কথা চিন্তা করতে হবে। নগন্যদের জন্যেও আমাদের ম্যান পাওয়ার কম। যারা নিজের ভালটা নিজে বুঝতে পারে তাদের নিয়ে খুব চিন্তার কিছু নাই। ট্র্যাকটা দেখিয়ে দেয়াই যথেষ্ট। কিন্ত ম্যান পাওয়ার কম দেখে আপনি শুধু প্ররিশ্রমী আর মেধাবীদের দিকে নজর দেবেন এই অন্যায়।

সাক্ষী সত্যানন্দ এর ছবি

স্থায়ীভাবে না, অস্থায়ী ভাবে... শিক্ষায় গনতন্ত্র রক্ষার্থে আমরা কি পিছিয়ে পড়ছি না?

বিবর্ণ সময় এর ছবি

শিক্ষায় গনতন্ত্র বলতে কী বুঝাইচ্ছেন চিন্তিত

সাক্ষী সত্যানন্দ এর ছবি

সংখ্যাগরিষ্ঠের আবদার

বিবর্ণ সময় এর ছবি

সংখ্যা গরিষ্ঠের আবদারের কথা না। দেশের সার্থেই সংখ্যা গরিষ্ঠদের নিয়ে ভাবতে হবে।

সাক্ষী সত্যানন্দ এর ছবি

সবার কথাই কম বেশি ভাবতে হবে... আমি কিন্তু সংখ্যাগরিষ্ঠের অধিকারের কথা বলি নি... "সংখ্যা গরিষ্ঠের আবদারের" কথা বলেছি [যেমনঃ গ্রাফ ছুয়ে না দেখেও আমি এ+ পেতে চাই]

বাদ্দেন, এই চিপা কমেন্টে নতুন কমেন্ট খুঁজে পেতে দু'দিন লেগে যায়... "বইখুলে দেখুন-২" নামায়ে ফেলেন... তাপ্পর কথা হবে নতুন মাঠে পপকর্ন লইয়া গ্যালারীতে বইলাম

বিবর্ণ সময় এর ছবি

ইনশা আল্লাহ হাসি

সাক্ষী সত্যানন্দ এর ছবি

পপকর্ন লইয়া গ্যালারীতে বইলাম

বিবর্ণ সময় এর ছবি

১। ডেরিভেশন ছাড়া সরল দোলকের সুত্র গুলা দেয়া আর লরেঞ্জ ট্রান্সফরমেশন ছাড়া সরাসরি রিলেটিভিটি অফ টাইম এ চলে যাওয়া প্রায় একই কথা রে ভাই

সরলদোলক ইন্টারে যতকুটু এক্সট্রা আছে খুব বেশি না। তার বেশির ভাগই এস এস সি তে শেখা সম্ভব। এইটার সাথে আপনার লরেন্জের তুলনা বুঝলাম না চিন্তিত

সাক্ষী সত্যানন্দ এর ছবি

এস এস সি তে সমকাল সুত্র/দৈর্ঘের সুত্র/দোলনকালের সুত্র ইত্যাদি বাহারি নাম দিয়ে যে কথাগুলা বলা ছিল সেইটা T=2*pi*(l/g)^(1/2) সুত্রটার ডেরিভেশন দেখিয়ে সেখান থেকে ফলাফল হিসাবে দেখান যায়... নাহলে ধুম করে সরল দোলকের কিছু প্রোপার্টি মুখস্থ করতে হয় (তুলনাটা বেশি ভালো হয় নি)

বিবর্ণ সময় এর ছবি

সুত্রটা তো ছিলই। প্রপার্টি গুলো পড়ার পর সুত্রটা থেকে প্রপার্টি গুলা ডিরাইভ করাও শিখেছিলাম এবং শিখিয়েওছি চিন্তিত শুধু এইটার জন্যে সরল দোলক বাদ দেয়ার কী হইল? চিন্তিত

সাক্ষী সত্যানন্দ এর ছবি

বাদ দেবে কেন? ইন্টারে থাকবে ইয়ে, মানে...

বিবর্ণ সময় এর ছবি

যাহা আগেই শিখতে পারি তাহা পরে কেন শিখব? অনেক কিছু এমনেই না জেনেই ইউনিভার্সিটি উঠি আমরা। এবং আরো ছোট ক্লাসে আরো স্কোপ আছে এবং দরকারও আছে। সেইখানে আরো কী পিছিয়ে দেয়া হলোনা?

সাক্ষী সত্যানন্দ এর ছবি

অনেক কিছু এমনেই না জেনেই ইউনিভার্সিটি উঠি আমরা

কিছু উদাহরণ দিলে ভালো হত

বিবর্ণ সময় এর ছবি

থাক। অনেক উদাহরন দিছি। দ্যাশ ও জাতির কোন কাজে আসেছে না আর এই পোষ্ট। খামোখা তর্ক করা ছাড়া আর কিছু হয় নাই। পুরাই বৃথা গেছে আমার পোষ্ট।

সাক্ষী সত্যানন্দ এর ছবি

অ্যাঁ
বুঝলাম না, ইন্টার-একশানে কি বিরক্ত হইলেন? চিন্তিত

বিবর্ণ সময় এর ছবি

না ভাই। ইন্টার-একশানে বিরক্ত হব কেন! পোষ্টটা কোন কাজে লাগে নাই তাতে বিরক্ত। সচলে আমার এইটা প্রথম লেখা ছিল। না লিখলেও চলত। হাসি

অতিথি লেখক এর ছবি

জানা ছিলো না! পোস্টটা গুরুত্বপূর্ণ।

পড়ে আক্ষরিক অর্থেই ভীত হলাম। কার ্মাথা থেকে এইসব উদ্ভট বুদ্ধি বের হচ্ছে, এবং কেন হচ্ছে জানা প্রয়োজন।

-অপর্ণা।

বিবর্ণ সময় এর ছবি

মন খারাপ

লুৎফুল আরেফীন এর ছবি

আমি ভাগ্নেকে সব বিষয়েই মাঝে মধ্যে হেল্প করি। ও পড়ে এইটে। ওর বইতে মহাকর্ষ আর অভিকর্ষ নিয়ে বিস্তর আলোচনা আছে। আলো নিয়েও আছে। পড়াতেও ভাল লেগেছে। আমি ভেবেছিলাম, দেশের বইয়ের স্ট্যান্ডার্ড বাড়ছে।

স্বপ্নহীন  এর ছবি

পড়াতেও ভাল লেগেছে।

আমারও একই অনুভূতি। নতুন বই গুলো পড়াতে/পড়তে আমার ভালো লেগেছে। অনেক গোছানো আর সহজ করে লেখা।

আমি ভেবেছিলাম, দেশের বইয়ের স্ট্যান্ডার্ড বাড়ছে।

স্ট্যান্ডার্ড আসলেই বেড়েছে, উনি ৯৯ সালের সাথে ১৩ সাল মিলাইতে গিয়ে মিলাইতে পারেন নাই। উনি মাত্র একটা-দুইটা বই পড়ে এবং অন্য কোন বই না দেখে এই পোস্ট নামিয়েছেন। আশা করি উনি অন্যান্য বই গুলো NCTB-র সাইট থেজে নামিয়ে নিয়ে দেখে নিবেন।

বিবর্ণ সময় এর ছবি

ভাই আমি ফিজিক্স কেমিস্ট্রি দুইটাই পড়াই। আমি তো আর সব বিষয়ে জ্ঞানি হতে পারছি না। ম্যাথ আর বায়োলজি নিয়ে একটু গবেষনা করলেও এমন অনেক তথ্য বের হবে আমি নিশ্চিত। আমার অনুরোধ রইল বইগুলো নিয়ে পড়িয়ে দেখুন শুধু নিজে পড়ে বুঝা সম্ভব না ভাই। আপনি পড়াতে গেলেই একমাত্র বুঝতে পারবেন। প্রথম দেখে আমিও বুঝিনাই। স্ট্যান্ডার্ড বারা মানে কী এই যে সাধারন ছাত্ররা প্রাইভেট টিচার ছাড়া পড়তেই পারবে না ভাল করে? ভাই আমার ভুল হতেই পারে। হয়তো লেখা দেয়ার যোগ্যতাও নেই। কিন্তু আমার মতোন মতামত আরো অনেকের কাছেই অলরেডী পাবেন যারা রেগুলার পড়ায়। আমি প্রায় ৮ বছর ধরে পড়াই। উল্লেখ্য যে আমি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে কম্পিউটার প্রকৌশল বিভাগের ৪র্থ বর্ষের শিক্ষার্থী। কোন জিনিস গুলো বিশ্ববিদ্যালয়ে এসে গুরুত্বপূর্ণ সেইটা সম্পর্কে আমার আসলে মোটামুটি ধারনা আছে। কোনটা আপগ্রেড করা আর কোনটা ডাউনগ্রেড করা বুঝাটা খুব কঠিন কাজ না।
ধন্যবাদ

লুৎফুল আরেফীন এর ছবি

আমি অবশ্য অনিয়মিতভাবে পড়াই, মূলত ভাগনে আটকে গেলে উদ্ধারের প্রচেষ্টা হিসেবে। আপনাদের অভিজ্ঞতা অবশ্যই বেশি সন্দেহ নাই। আমি আমার অভিজ্ঞতাটুকু বলার চেষ্টা করেছি। আপনার পোস্ট নিঃসন্দেহে দরকারী। ৫ তারা। হাসি

স্বপ্নহীন এর ছবি

উল্লেখ্য যে আমি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে কম্পিউটার প্রকৌশল বিভাগের ৪র্থ বর্ষের শিক্ষার্থী।

তো? আপনি কোথায় কিসে পড়েন এটা মূখ্য না, কিসের ভিত্তিতে কি লিখছেন সেটাই মূখ্য।

আর সাব্জেক্টটার নাম "কম্পিউটার প্রকৌশল-CE" নয়, নামটি "কম্পিউটার বিজ্ঞান ও প্রকৌশল - CSE : Computer Science and Engineering"

বিবর্ণ সময় এর ছবি

" উনি ৯৯ সালের সাথে ১৩ সাল মিলাইতে গিয়ে মিলাইতে পারেন নাই। "
"তো? আপনি কোথায় কিসে পড়েন এটা মূখ্য না, কিসের ভিত্তিতে কি লিখছেন সেটাই মূখ্য।"
মূখ্য না দেকেই সি ই বলেছি সিএসই বলি নাই হাসি
আমি সমস্যা কিছুটা হলেও তুলে ধরেছি। সেই সমস্য গুলোর সমধান বা সমালোচনা না করে গায়ের জোরে বলে দেয়া যে " উনি ৯৯ সালের সাথে ১৩ সাল মিলাইতে গিয়ে মিলাইতে পারেন নাই। " এই কথার প্রেক্ষিতে বলেছি যে আমি এতটাই মূর্খ না যে মিলাতে পারি নাই এইটা গায়ের জোড়ে বলে দিলেই মেনে নিব হাসি

বিবর্ণ সময় এর ছবি

যদিও আসলে পরিচয় দেয়ার কিছু নাই। এইভাবে কোন যুক্তি না দিয়ে অথবা আমার ভুল কোথায় ধরায় না দিয়েই স্বপ্নহীন বলে দিলেন আসলে " উনি ৯৯ সালের সাথে ১৩ সাল মিলাইতে গিয়ে মিলাইতে পারেন নাই। " তাই ভাল না লাগায় কোথাটা বলেছিলাম। কোন কিছু জাহির করার জন্যে না। পোষ্টের শুরুতেই বলেছি এই পোষ্ট দেয়ার মতন যোগ্যতা হয়তো নাই আমার।

সাক্ষী সত্যানন্দ এর ছবি

চলুক

এইটাই কথা, পুরা সেট টা একবারে না দেখলে চোখ বেঁধে হাতি দেখার সম্ভাবনা আছে

[এইচ এস সি'র নতুন সিলেবাস (বিজ্ঞান বিভাগের) দেখেছি এবং পছন্দ ও হয়েছে, বহুদিন আমাদের পোলাপাইন ক্যালকুলাস না শিখেই পদার্থবিজ্ঞানের প্রথম দিকের (বলবিদ্যা) পড়াশুনা করত, গনিতে ক্যাল্কুলাসের দেখা পেত ২য় বর্ষে ইয়ে, মানে... এইবার অন্তত সেই সমস্যা থাকবে না দেঁতো হাসি ]

বিবর্ণ সময় এর ছবি

শুনে খুশি হলাম হাসি

বিবর্ণ সময় এর ছবি

ইন্টারের বই কইথেকে দেখলেন? বের হয়েছে? আমার ইন্টারের স্টুডেন্ট এখনও পায় নি খুজে। সাইটে তো দেখলাম না।

সাক্ষী সত্যানন্দ এর ছবি

দুঃখিত, বই দেখিনি, সংশোধিত সিলেবাস দেখেছি... আমার শ্রদ্ধেয় একজন শিক্ষকের কাছে... উনি সম্ভবত প্রনয়ন কমিটির সদস্য ছিলেন... অফ যা দ্য রেকর্ড)

সাক্ষী সত্যানন্দ এর ছবি

দুত্তরি... "অফ দ্য রেকর্ড" লিখতে গিয়ে বৃদ্ধাঙ্গুলি'র ইমো আসল কেন?

স্বপ্নহীন এর ছবি

ম্যাথ ডিটেইলস সিলেবাসটা দিতে পারবেন? উপকার হত।

আমি এখানে ফিজিক্স আর আইসিটি দেখলাম। ভালো লেগেছে সিলেবাস দেখে।

সাক্ষী সত্যানন্দ এর ছবি

স্বপ্নহীন ভাই/আপুঃ

আমি তো ইনফর্মালি দেখেছি, রাফ কপি... চুড়ান্ত টা কোথায় পাওয়া যাবে একটু খোঁজ নিয়ে জানাবো

স্বপ্নহীন এর ছবি

অনেক কিছু বলার ছিলো যা এক মন্তব্যে করা যাচ্ছে না। দু-এক লাইনের মন্তব্য পোস্ট হয় কিন্তু বড় মন্তব্য পোস্ট হয় না, গত কিছুদিন ধরে চেষ্টা করে পারলাম না। সচলের মন্তব্যের জন্য কি ক্যারেক্টর লিমিটেড!!

বড় কমেন্ট করলে খালি এইটা শো করে-"To complete this form, please complete the word verification below."

বিবর্ণ সময় এর ছবি

কম জ্ঞান এই ব্যাপারে। সচলে দীর্ঘদিন ধরে থাকলেও এইটাই আমার প্রথম লেখা ছিল। অনেক কিছুই জানা নাই।

বিবর্ণ সময় এর ছবি

পর পর কয়েকটা কমেন্টে দিলে কাজ হবে না? চিন্তিত

বিবর্ণ সময় এর ছবি

আপনি নতুন একটা পোষ্টই দিয়ে ফেলতে পারেন তাহলে হাসি

সাক্ষী সত্যানন্দ এর ছবি

মেটাব্লগিং হয়ে যাবে মনে হয় ইয়ে, মানে...

সাক্ষী সত্যানন্দ এর ছবি

আমি লিঙ্ক দিতে যেয়ে এই মেসেজ পাইছিলাম মন খারাপ টেকি মোডুদের দৃষ্টি আকর্ষন করছি

বিবর্ণ সময় এর ছবি

দয়া করে ক্লাস এইটের আগের বইটা আর এখনকার বইটা একটু মিলিয়ে দেখবেন। আপডেট কতটুকু করেছে। অনুরোধ রইল।

বিবর্ণ সময় এর ছবি

ম্যাথেম্যাটিক্যাল ব্যাপার গুলোর কেমন এক্সপ্লেনেশন আছে, সেইটাও একটু খেয়াল করেন। কারন ম্যাথেমেটিক্যাল জিনিস অনেক কিছুই বাদদেয়া হয়েছে। আমার এই লেখার উদ্দেশ্যই হল সবাই যেন এগিয়ে আসে।

বিবর্ণ সময় এর ছবি

"রাসায়নিক গণনার একটা অধ্যায় যোগ হয়েছে যেটা খুবই ভালো কথা।" একমত। কিছুজিনিস ইন্টার থেকে যোগ করা হয়েছে। ব্যাপারগুলো বেশ ভাল। কিন্তু "তবে অনেক থিওরী বুঝাতে সরাসরি এক্সপেরিমেন্টের সাহায্য নেয়া হয়েছে, দেশীয় প্রেক্ষাপটে বলা চলে সব স্কুলে স্কুলে এগুলো করে দেখানো সম্ভব হবে বলে মনে হয় না" এইটাই হচ্ছে সমস্যা। বাংলাদেশ বলতে তো শুধু ঢাকা শহর না। প্র্যাকটিক্যাল এর নামে এস এস সি তে যে কী হয় সেইটা সায়েন্সের যে কোন স্টুডেন্ট খুব ভালই বলতে পারবে। ফলাফল ব্যাপার গুলো অনেকের অজানাই রয়ে যাবে নিশ্চিত। প্রথম দেখায় ভালই মনে হবে আসলে। পড়াতে গেলেই সমস্যা গুলো ধরা যায়। আর বই বের করার আগে এইটা নিয়ে কিছু বলা সম্ভব না। কেননা বই না দেখে তো আর বইয়ের মান যাচাই সম্ভব না। ভাই ইন্টারের বইটাও চেন্জ করবে। আমি মোটামুটি আতংকিত এই ব্যাপারে। ক্লাস সিক্স থেকে ইন্টার পর্যন্ত সব বই ই চেন্জ হবে বা হয়ে গেছে।

বিবর্ণ সময় এর ছবি

বইয়ের স্ট্যান্ডার্ড যদি বেড়েই থাকে তো হেল্প করতে হবে কেন ? হাসি আপনার মতোন মামা তো ভাই গ্রামের ছেলেদের নাই। অনেক ক্ষেত্রে তাদের শিক্ষকরাও সাহয্য করতে পারে না।

ওসিরিস এর ছবি

আমি একটু কেমিস্ট্রি বইটায় চোখ বুলিয়ে দেখলাম। আমার কাছে তো বেশ ভালো লাগলো। দরকারী জিনিসগুলোতে গুরুত্ব দেয়া হয়েছে বলেই তো মনে হল। রাসায়নিক গণনার একটা অধ্যায় যোগ হয়েছে যেটা খুবই ভালো কথা। অনেক চিত্র-ও যোগ হয়েছে, দেখতে ভালো লাগে। তবে অনেক থিওরী বুঝাতে সরাসরি এক্সপেরিমেন্টের সাহায্য নেয়া হয়েছে, দেশীয় প্রেক্ষাপটে বলা চলে সব স্কুলে স্কুলে এগুলো করে দেখানো সম্ভব হবে বলে মনে হয় না। সব মিলিয়ে আমার মনে হলো বইটা ছেলেমেয়েদের ইন্টারে সাহায্যই করবে। আমি খুব বেশি সময় নিয়ে দেখিনি, সুতরাং ভুল থাকতেই পারে অবজার্ভেশনে, তবে দীর্ঘ সাত বছরের টিউশনি করানোর অভিজ্ঞতা থেকে যা মনে হল সেটাই বললাম।

সাক্ষী সত্যানন্দ এর ছবি

বলতে ভুলে গেছি, ইলেক্ট্রন বিন্যাসের নিয়ম + বোরের মডেল ক্লাস এইটে নিয়ে যাওয়া হয়েছে

বিবর্ণ সময় এর ছবি

জ্বী ভাই সেইটা দেখেছি। ক্লাস এইটের বিজ্ঞান বইটাও দেখলাম। খুব সামান্য কিছু কথা বলা আছে। আপনি নাইনের পর্যায় সারনির চ্যাপ্টারটা খেয়াল করলে দেখতে পারবেন আগের বইটার সাথে কম্পেয়ার করে। কত কিছু বাদ দেয়া হয়েছে। পর্যায় ভিত্তিক ক্রম বিকাশের বেশ কিছু বিক্রিয়া দেয়া ছিল আগের বইটায়। তার কিছুই নাই। একটা উদাহরন দেই আরো: আয়নিকরন শক্তির বৃদ্ধি পায় পর্যায় ক্রমে বলা হয়েছে। আয়নিকরন জিনিষটা কী বলা নাই। একই ভাবে বোরের পরমানু মডেলের সীমাবদ্ধতার কথা বলা হয়েছে বর্নালি ব্যাখ্যা করতে পারে না। বর্নালি কি জিনিস এইটা বলা নাই। ইন্টারের সিলেবাসটা দেখিনি। দেখতে হবে। শুধু দেখে আসলে বুঝে লাভ নাই। পড়িয়ে দেখতে হবে স্টুডেন্টরা আসলে বুঝতে পারে কিনা।

সাক্ষী সত্যানন্দ এর ছবি

হ্যাঁ, ভাষাটা আগের চাইতে অনেক সহজ বোধ্য হলেও পুরোপুরি হয় নি... এককালে উচ্চ মাধ্যমিক রসায়ন বইতে হুদাই "শর্ডিঙ্গার ইকুয়েশন" দেয়া ছিল, আফসারুজ্জামানের বইতে হুদাই "দ্য মোভাঁ'র থিওরেম" দেয়া ছিল... একটা বিদ্ঘুটে সমীকরন ছেপে বইয়ের ওজন বাড়ানো...

নতুন বই গুলিতেও ১ম বছর এমন কিছু "বাগ" রয়ে গেছে বুঝতে পারছি... প্রথম বছরের শিক্ষার্থীদের জন্য সমবেদনা...

এখন যেহেতু প্রতি বছর নতুন করে বই ছাপা হয় এবং কম্পিউটারের দৌলতে ছাপা অনেক সহজসাধ্য একটি কাজ, আমি আশা করছি পরের বছর পরের সংস্করণেই বইগুলোকে আরও সম্পুর্ন করার চেষ্টা হবে... প্রথম বছরের বিচ্ছিন্ন এমন অনেক ছাত্র-শিক্ষক ফিডব্যাক হয়তো একটা গাইডলাইন হতে পারে স্থানগুলো চিহ্নিতকরনে

বিবর্ণ সময় এর ছবি

"রাসায়নিক গণনার একটা অধ্যায় যোগ হয়েছে যেটা খুবই ভালো কথা।" একমত। কিছুজিনিস ইন্টার থেকে যোগ করা হয়েছে। ব্যাপারগুলো বেশ ভাল। কিন্তু "তবে অনেক থিওরী বুঝাতে সরাসরি এক্সপেরিমেন্টের সাহায্য নেয়া হয়েছে, দেশীয় প্রেক্ষাপটে বলা চলে সব স্কুলে স্কুলে এগুলো করে দেখানো সম্ভব হবে বলে মনে হয় না" এইটাই হচ্ছে সমস্যা। বাংলাদেশ বলতে তো শুধু ঢাকা শহর না। প্র্যাকটিক্যাল এর নামে এস এস সি তে যে কী হয় সেইটা সায়েন্সের যে কোন স্টুডেন্ট খুব ভালই বলতে পারবে। ফলাফল ব্যাপার গুলো অনেকের অজানাই রয়ে যাবে নিশ্চিত। প্রথম দেখায় ভালই মনে হবে আসলে। পড়াতে গেলেই সমস্যা গুলো ধরা যায়। আর বই বের করার আগে এইটা নিয়ে কিছু বলা সম্ভব না। কেননা বই না দেখে তো আর বইয়ের মান যাচাই সম্ভব না। ভাই ইন্টারের বইটাও চেন্জ করবে। আমি মোটামুটি আতংকিত এই ব্যাপারে। ক্লাস সিক্স থেকে ইন্টার পর্যন্ত সব বই ই চেন্জ হবে বা হয়ে গেছে।

সাক্ষী সত্যানন্দ এর ছবি

আমি মোটেই আতঙ্কিত নই, উৎফুল্ল দেঁতো হাসি

ইন্টারের নতুন সিলেবাসের (বিজ্ঞান শাখার) বড় একটা অংশ আমি দেখেছি, মনে হয়েছে এই প্রথম "একটা বিষয় যে আরেকটা বিষয়ের উপর** নির্ভরশীল" এই ব্যাপার গুলো মাথায় রেখে সমন্বিত একটি সিলেবাস করা হয়েছে (জিনিষটা নতুন, তার আরও ত্রুটি থাকতেও পারে- মেনে নিয়েই বলছি)

** (যেমন ধরুন, পদার্থ বিজ্ঞান/রসায়ন এর অনেক অধ্যায়েই ক্যালকুলাস, বিশেষত ইন্টেগ্রাল ক্যালকুলাস প্রয়োজন। অথচ তাঁর দেখা পাওয়া যেত সেএএএই দ্বিতীয় বর্ষে)

বিবর্ণ সময় এর ছবি

বই বের হওয়া পর আসলে বুঝা যাবে কেমন। হাসি

সাক্ষী সত্যানন্দ এর ছবি

সেটাই, তাহলে আগেই আতঙ্ক কেন? হাসি

বিবর্ণ সময় এর ছবি

একবার বই বের হলে সেইটা কী আর চেন্জ করবে? আমার মনে হয় না। তেমন উল্লেখ যোগ্য পরিবর্তন আর করা হবে। এস এস সি এর বই গুলো দেখেই মনে হয়েছে ইন্টারের টা বাজে করবে।

সাক্ষী সত্যানন্দ এর ছবি

ইন্টারের কিন্তু অনেক অপশন হাতে থাকে ... ম্যাথের কথাই যদি বলি (দ্বিমত থাকতে পারে) আফসারুজ্জামানের বলবিদ্যা, হারুনুর রশিদের জ্যামিতি, এস ইউ আহমেদের ত্রিকোনোমিতি, আহসান-তরফদার-মুজিবের ক্যালকুলাস আর লুতফুজ্জামানের বীজগনিত আমার পছন্দের ছিল... অথচ কেন জানি হারুন উর রশিদের বলবিদ্যা বই সবাই পড়ায় যেটা উনার বইগুলার মধ্যে মোটামুটি খারাপ, উনার জ্যামিতি অংশ অসাধারণ, কেউ সেটা পড়ায় না... তারপরও বিগড়ে যাইনি কারন যে বইতে যেটা ভালো লাগত সেটাই পড়তাম... সেই অপশন এখনো খোলা আছে...

ইন্টারে এখন পর্যন্ত নির্দিষ্ট কোনও বই নেই, নির্দিষ্ট সিলেবাস আছে... তাহলে? হাসি

বিবর্ণ সময় এর ছবি

স্টুডেন্টদের বেইস আসলে তৈরি হয় মাধ্যমিক পর্যায়। বই দেখে মনে হয় মোটেও যত্ন নিয়ে বানানো হয় নি। (দ্বিমত থাকতেই পারে) হাসি যারা পড়াতে যাচ্ছে তাদের কাছ থেকেই আপনি ফিডব্যাক নিয়ে দেখেন সবচেয়ে ভাল হয়।

সাক্ষী সত্যানন্দ এর ছবি

অনেক বছর ধরে পড়িয়ে আসা (নোটভিত্তিক) স্যারেরা বিরক্ত... ব্যাবসা জ্বলে যাবে তাই... নতুন নিয়োগ প্রাপ্ত শিক্ষকেরা (আমার স্যামপল স্পেইসে যারা আছেন তারা) আগ্রহী এবং উৎফুল্ল

স্বপ্নহীন এর ছবি

কমেন্টে উত্তম জাঝা!

আমার নিজের কাছেও নতুন বই গুলো অনেক ভালো লেগেছে। আগ্রহী স্টুডেন্টরা বইটা নিজে পড়েই বুঝতে পারবে, কারো সহায়তা (কোচিং টাইপ) লাগবে না। অনেক সহজ করে বুঝানো হয়েছে, বিশেষ করে ম্যাথ বইটা তো মুগ্ধ করার মত।

আমি সমস্যা যেটা দেখি সেটা কাঠামোগত, বই রিপ্রেজেন্টেশনে নয়। টিচার ও টিচিং কোয়ালিটি এবং প্রশ্ন প্রণয়ন ও পরীক্ষা পরবর্তী খাতা মূল্যায়ন উন্নত করতে হবে, তা না হলে যে লাউ সেই কদুই রয়ে যাবে।

সাক্ষী সত্যানন্দ এর ছবি

আমি সমস্যা যেটা দেখি সেটা কাঠামোগত, বই রিপ্রেজেন্টেশনে নয়। টিচার ও টিচিং কোয়ালিটি এবং প্রশ্ন প্রণয়ন ও পরীক্ষা পরবর্তী খাতা মূল্যায়ন উন্নত করতে হবে, তা না হলে যে লাউ সেই কদুই রয়ে যাবে।

একমত

বিবর্ণ সময় এর ছবি

ভাই দেখে মনে হওয়া আর পড়াতে যেয়ে উপলব্ধি করা এক না। কাঠামোগত সমস্যা এত সহজেই পরিবর্তন হচ্ছে না। কিন্তু ভাল বই সেইটা অনেক স্টুডেন্টকেই সাবলম্বি করে তুলবে। ম্যাথ বইটা নিয়ে আমি এখনও তেমন দেখতে পারিনি। উচ্চতর গনিতে গানিতিক আরোহ পদ্ধতি বাদ দিয়েছে। পরিমিত ব্যবধান গড়ব্যবধানও নাই সম্ভবত। আবার কো-অর্ডিনেট জিওমেট্রি ফিজিক্স আর কেমিস্ট্রি দেখেছি। প্রতিটা সমস্যা বের করা সময়ের ব্যাপার। স্টুডেন্টদের কে কোন সহযোগিতা ছাড়া দুইটা বই পড়তে দিয়ে জরিপ করলেই বের হবে বইগুলো কতটা নিজে পরে বুঝার মতোন। আমি যা লিখেছি প্রায়দুইমাস পড়াতে গিয়ে উপলব্ধি করেই বলেছি। এমন না যে একটা চ্যাপ্টার দেখে বলেছি।

বিবর্ণ সময় এর ছবি

আবার কো-অর্ডিনেট জিওমেট্রি আছে।* ভুল হওয়া জন্যে দু:খিত

সাক্ষী সত্যানন্দ এর ছবি

১। হ্যাঁ গানিতিক আরোহ পদ্ধতি খুঁজে পাইনি... (ভাল/খারাপ একটু ভেবে নিয়ে বলব... আপনার মনে কিছু আসলে বলুন)

২। তবে কো-অর্ডিনেট জ্যামিতি থাল্কলে সমস্যা টা বুঝি নি... এতে ইন্টারের পদার্থ বিজ্ঞানে সুবিধা হবে বলেই মনে হল।।

৩। আমিও কিন্তু পড়াতে গিয়েই টের পেয়েছি

বিবর্ণ সময় এর ছবি

২-খারাপ বলি নাই। যোগ করেছে সেইটা বললাম। খুব ভাল করেছে। সহজ জিনিস। আমার নিজের ইন্টারে পড়ার সময়ই আমার মনে হয়েছে আগেই পড়তে পারতাম।

বিবর্ণ সময় এর ছবি

ভাই যারা নোট পড়িয়ে অভস্ত তাদের বই নিয়ে তেমন মাথা ব্যাথা থাকার কথা না। যেভাবেই হোক নোট লেখা হয়ে যাবে।
প্রশিক্ষন তো শিক্ষকদের দেয়াই হয়ে আসছে বহুদিন ধরেই। তাদের প্রশিক্ষন কাজে লাগনো কতটুকু হয় সেইটার নমুনা এক একটা স্টুডেন্টের এখন ছয়টা টিচারের কাছে পড়তে দেখলেই বুঝা যায়।
সমস্যা বুঝতে পারছে যারা পুরো বই স্টুডেন্টদের কে পড়িয়ে যে কোন ধরনের প্রশ্নের উত্তরের জন্যে তৈরি করে। বই পড়াতে গিয়ে স্টুডেন্টদের অবস্থা দেখেই বলছি। ভাল বিশ্ববিদ্যালয়ে যেসব স্টুডেন্টরা পড়ে তাদের পিছে স্কুল কলেজের টিচারদের অবদান কতটুকু সেইটা তাদের থেকেই ভাল জানতে পারবেন।

সাক্ষী সত্যানন্দ এর ছবি

যেভাবেই হোক নোট লেখা হয়ে যাবে।

নোট লেখা হোক আপত্তি নাই... সেই নোট যে কোনও কাজে না আসলেই হল... কাজে না আসানোর মহৌষধ আন রিপিটেড প্রশ্ন এবং ক্রমাগত বই বদল দেঁতো হাসি

এক একটা স্টুডেন্টের এখন ছয়টা টিচারের কাছে পড়তে দেখলেই বুঝা যায়

ছয় টিচারের কাছে পড়া'র সঙ্গে অর্থনীতি এবং অভিভাবকের মনস্তত্ত্বেরও যোগাযোগ আছে... প্রাইভেট পড়ান এমন টিচারকেও রাত জেগে ক্লাসের (প্রাইভেটের নয়) মজার মজার সৃজনশীল প্রশ্ন করতে দেখেছি

ভাল বিশ্ববিদ্যালয়ে যেসব স্টুডেন্টরা পড়ে তাদের পিছে স্কুল কলেজের টিচারদের অবদান কতটুকু সেইটা তাদের থেকেই ভাল জানতে পারবেন

ভালো বিশ্ববিদ্যালয়ের সংজ্ঞা জানতে চাই হাসি

বিবর্ণ সময় এর ছবি

ভাল বিশ্ববিদ্যালয়ে বলতে বাংলাদেশের প্রথম সারির বিশ্ববিদ্যালয় গুলোকে বুঝিয়েছি, যারা বিখ্যাত তাদের রিসার্চ এর জন্যে। শুধু রিসার্চই না,আরো ব্যাপার আছে। আপনার ভাল করেই জানার কথা। এম আইটি বুঝাই নাই হাসি

সাক্ষী সত্যানন্দ এর ছবি

চিন্তিত
আরও প্যাচ লেগে গেলো

বিবর্ণ সময় এর ছবি

ভাই বাংলদেশের প্রাইভেট ইউনিভার্সিটির অভাব নাই। জমি জমা বিক্রি করেও এখন প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ে বাবা মা রা পড়ায় পারলে। অর্থনৈতিক অবস্থা মোটামোটি মানের হইলেও ৪ টা টিচার নরমাল ব্যাপর, কিছু কিছু ক্ষেত্রে অনেক কম। মতিঝিল আইডিয়াল, ভিকারুননেসা (গত বছর আট জনকে পরিয়েছি,তাদের এভারেজ টিচার ৬টা) এমন বিখ্যাত স্কুলগুলোর বেশির ভাগের ই এমন অবস্থা। ব্যাতিক্রম আছে এখনও, যে কারো কাছেই পড়ে না। তবে বইগুলো পড়াতে গেলে বুঝা যায় এমনদের সংখ্যা কমবে আরো। যারা বোর্ডের কোশ্চেন করে এখন তাদের অবস্থা ব্যবসা আরো রমরমা। কিন্তু তাদের কাছে পড়ার পরও বাসায় টিচার রাখছে একই বিষয়ের উপর। আমার স্যাম্পল স্পেসে এমন নমুনার অভাব নাই হাসি
আর স্টুডেন্টরা এখন পুরানো বইটা নতুন বই দুইটাই রাখে অনেকই। সৃজনশীল পদ্ধতি যোগ করার পরপরই এইটা শুরু হয়েছে। পর্যাপ্ত পরিমান প্রশ্ন ও ম্যাথ না থাকায় ফিজিক্স আর কেমিস্ট্রিতে।

সাক্ষী সত্যানন্দ এর ছবি

১। একটু ভুল বোঝাবুঝি হচ্ছে... গার্জিয়ানের অর্থনীতির কথা বলি নি... শিক্ষকদের কথা বলেছি... এই নোংরা কথাটা বলতে খারাপ লাগে... কিন্তু বাহে, (না চাইলেও) দেখেছি অনেক মন খারাপ

২। জানি আমার এক স্টুডেন্টের আটটা টিচারও ছিল... ফলাফলঃ ইয়ার ফাইনাল পাস করেনি, তারপর আন্টি'র দিব্যজ্ঞান লাভ হয়েছে... পরে আর পড়াইনি

৩। "পর্যাপ্ত পরিমান প্রশ্ন" থাকতে হবে কি কপি করার সোর্সবুক হিসাবে? বুঝি নাই... বইয়ে তথ্য থাকবে... ছাত্ররা সেই তথ্যকে ব্যাবহার করতে শিখবে... সেজন্য বড়জোর একটা স্যাম্পল কোয়েশ্চেন থাকতে পারে

৪। অনেকেই দুইটা বই রাখে-র মূল কারন (আমার দেখামতে) স্কুলের প্রশ্ন ফেইস করা (যেগুলো অধিকাংশই সৃজনশীল প্রশ্ন হয় না)... বোর্ডে গিয়ে আসল পরীক্ষায় সেটা খুব কি কাজে লাগে? এইটা কাজে না লাগানো গেলেই ২ বইয়ের পেছনে ছোটা বন্ধ করা যেত...

বিবর্ণ সময় এর ছবি

৩--

"পর্যাপ্ত পরিমান প্রশ্ন" থাকতে হবে কি কপি করার সোর্সবুক হিসাবে? বুঝি নাই... বইয়ে তথ্য থাকবে... ছাত্ররা সেই তথ্যকে ব্যাবহার করতে শিখবে... সেজন্য বড়জোর একটা স্যাম্পল কোয়েশ্চেন থাকতে পারে

ভাই একটা সহজ ব্যপার বলি। সৃজনশীল পদ্ধতি চালু হওয়ার পর প্রাইভেট পড়ার সংখ্যা বেড়েছে, কমে নাই। বইয়ে তথ্য থাকবে। সেই তথ্য ব্যবহারের জন্যে প্রয়োজন সেই গুলো ব্যবহারের অনুশীলন। এখনও বইয়ে যেসব সৃজনশীল স্যাম্পল দেয়া হয় সেইগুলো থেকেই পরীক্ষায় প্রশ্ন আসে। তাহলে? কম অনুশীলন করে সেইটা কমন পড়া ভাল হয়? নাকী প্রশ্নকমন পাওয়ার জন্যে হলেও প্রচুর অনুশীলন করতে হয়। ভাই প্রশ্ন কমন পড়লে তো খুব বেশি সমস্যা দেখছি না যদি না সেটা শুধু মাত্র মুখস্ত করে উত্তর দেয়া হয়। প্রশ্ন ও উদাহরন অনেক দেয়া থাকলেই সবাই মুখস্ত করবে এমন না। মুখস্ত করে সব মনে রাখাও সম্বভ না এমন নমুনা কিন্তু আছে। ধরুন এস এস সি তে খুব অল্প ত্রিকোনমিতি থাকায় স্টুডেন্টদের সেইগুলো প্রায় মুখস্ত হয়ে যায়। কিন্তু ইন্টারে ত্রিকোন মিতি অনেক দেয়া, ক্যালকুলাসও। সব যদি করে কেউ তার মুখস্থ থাকার কথা না এর চেয়ে বরং সে সমধানের টেকনিক শিখবে। ফিজিক্সের বেলাও একই কথা। ভাইরে মনে করেন আপনি একটা গ্রামের স্কুলে পড়েন। কোন প্রাইভেট টিচারের কাছে পরেন না। আপনাকে স্কুলে আসলে কতটুকু শিখানো হবে মনে হয় তখন? খুব বেশি হলে সবকিছুর উপরে আলোচনা করা হল। শিক্ষক ধরেন কয়েকটা সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর দিতে বলল। আপনি শুধু বইয়ের তথ্য দিয়ে কিভাবে তার ব্যবহার শিখবেন বলেন দেখি? আপনার অপশন হবে ১- স্কুলের সেই শিক্ষক যদি একটু ভাল হয় তার কাছে প্রাইভেট পড়া। ২- সরাসরি বোর্ড পরীক্ষায় বসে ব্যবহার শিখা (ধরে নিলাম বোর্ডের প্রশ্নের মান খুব ভাল), তাহলে আপনার কাছে কোনটা ভালমনে হয়? কয়েকটা সৃজনশীল নাকী প্রচুর অনুশীলন? একটু ভেবে বলবেন। অনার্সে যেকোন বইয়েই প্রচুর পরিমান অনুশীলনের সুবিধা থাকে। বাইরের বইতো পড়িয়েছেন। ইংলিশ মিডিয়াম ও পড়িয়েছেন। একটু ভেবে বলেন। কী মনে হয়।
৪-- তাহলে? বোর্ড প্রশ্নে কাজে না লাগলে স্টুডেন্টরা বোর্ডের টিচারের প্রতি আগ্রহী কেন মনে হয়? যে খানে বেশির ভাগ স্কুলে সৃজনশীল প্রশ্নই করতে পারে না, আপনার কিভাবে মনে হয় নতুন যে বই বের করল আবার চেন্জ করে, (সৃজনশীল ব্যবস্থা চালু হওয়া বেশ কয়েক বছর হওয়ার পরে) শিক্ষকদের ট্রেনিং দিলেই সমস্য সমধান? সৃজনশীল সিস্টেমের করুন দশা সত্যেও এমন পরিবর্তন আবার আসলে করা হল কেন? যে খানে বেশ কিছু বছর ধরে চালু হওয়ার পরেও স্টেবল পর্যায় আসে নি আপনার কেন মনে হল যে কিছুদিন গেলেই নতুন বইয়ের ব্যাপার টা ঠিক হয়ে যাবে? যারা ক্লাস নাইনে উঠেছে তারা কিছু জিনিস এইটেও পড়েনি, নাইনেও পড়বে না। বেশির ভাগের ক্ষেত্রে এই ঘাটতি পূরন হবে না। এমন স্টুডেন্ট খুব কমই আছে যারা নিজেদের উদ্যেগে ঘাটতি পূরন করে নেবে। এস এস সিতে কো-অডিনেট জিওমেট্রি এ্যাড করেছে। খুবই ভাল ব্যাপর। সরল রেখাও আছে। এখন যারা এইবার মাত্র ইন্টারে উঠল সিস্টেম টা কী তাদের কথা ভেবে চালু করা হয়েছে? তাদের সরল রেখার বেসিক না দিয়েই যদি আরো কঠিন কিছু দেয়া হয়? যদিও নতুন বই বের হয় নি। কী অবস্থা হবে বইবের হওয়ার পর পড়িয়ে বুঝতে পারব। কিন্ত প্রতিটা ব্যাচেই এমন ঘাটতি থাকবে যেই টা অল্প সময়েই ঠিক হয়ে যাচ্ছে না। তাদের দোষটা কোথায়? কিছু একটা চালু করবে খুবই ভাল কথা। ক্লাস সিক্স থেকে অথবা এইট থেকে শুরু করতে পারতো। যারা নতুন সিস্টেমে পড়বে তারা পুরোটাই নতুন পড়বে। সব একবারে চেন্জ করে ভোগান্তি বাড়ানোর পিছের আসল উদ্দেশ্য কী বলতে পারেন সরকারের এই শেষ বছরে? হাসি

সাক্ষী সত্যানন্দ এর ছবি

১। ইংলিশ মিডিয়ামে কিন্তু আনরিপিটেড প্রশ্ন (প্রায়) নিশ্চিত... এই নিশ্চয়তা থাকলে আমার আর কোনও আপত্তি থাকবে না

২।আমি ৬ মাস গ্রামের স্কুলে পড়িয়েছি, এবং সেটা নিয়ে আমার মিশ্র অভিজ্ঞতা রয়েছে...

ইন্টারে ত্রিকোন মিতি অনেক দেয়া, ক্যালকুলাসও। সব যদি করে কেউ তার মুখস্থ থাকার কথা না এর চেয়ে বরং সে সমধানের টেকনিক শিখবে।

৩। না বাহে, অনেক দেয়া থাকলেও (বোর্ডের) লেজ লাগানো গুটিকয় অঙ্কই সিংহভাগ ছাত্র করে। বোর্ড প্রশ্নের এই লেজটা ছেটে ফেলতে পারলে কোনও সমস্যা নেই

৪।

বিবর্ণ সময় এর ছবি

৩-- সেইটার সমাধান অংক কমিয়ে দেয়া নাকী আনরিপিটেড প্রশ্ন?

সাক্ষী সত্যানন্দ এর ছবি

অঙ্ক কমাতে বলিনি তো ইয়ে, মানে...

(পেছনের লেজ মানে রাবো ২০০৯,০৮,০৩,০১ ঢাবো ২০১৩,১১,০৫,০৪......... এই লেজটা ছাটার কথা) তাহলে দ্বিমত কোথায়?

বিবর্ণ সময় এর ছবি

লেজ ছাটাই করলেও দেখা যাবে পুরানো বছরের প্রশ্ন যোগার হয়ে যাচ্ছে হাসি অংক কমাতে বলেন নাই, কিন্তু অংক বইয়ের অংক না কমালেও ফিজিক্স কেমিস্ট্রি বইয়ের অংক কমানো হয়েছে। উদাহরন অনুশীলনি দুই জায়গাতেই। যেটুকু আছে সেইটুকু খুব ই অপর্যাপ্ত মন খারাপ

সাক্ষী সত্যানন্দ এর ছবি

হুমম... বাড়ানো উচিৎ...

ইন্টারে ত্রিকোন মিতি অনেক দেয়া, ক্যালকুলাসও। সব যদি করে কেউ তার মুখস্থ থাকার কথা না এর চেয়ে বরং সে সমধানের টেকনিক শিখবে।

(লেজ ছাটার কথাটা কিন্তু এই কথাগুলোর প্রেক্ষিতে বলেছিলাম, নাইনের ফিজিক্স কেমিস্ট্রি বই নিয়ে না)

সাক্ষী সত্যানন্দ এর ছবি

স্কুলের সেই শিক্ষক যদি একটু ভাল হয় তার কাছে প্রাইভেট পড়া

সমাধানটা ক্লাসে আসলে সমস্যা কোথায়?

বিবর্ণ সময় এর ছবি

আপনার আমার সমস্যা নাই। স্কুল কলেজের টিচার দের বিজনেস বন্ধ হয়ে যাবে। ভাল করেই জানেন সেইটা। গতবছর ও একবার এমন নিয়ম করেছিল স্কুল কলেজের টিচার রা প্রাইভেট পড়াতে পারবেন। শুক্রে শুক্রে আষ্ট দিন এইটা নিয়া মাথা ব্যাথা ছিল তাদের, কারন লোকদেখানো কয়েক দিন শুধু এইটা নিয়ে মাথা ঘামানো হয়ছে। প্রাইভেট পড়ানোর সিস্টেম আইন করে উঠায় দিলে, স্কুলের চাকরীই ছেড়ে দিবে অনেকে।

সাক্ষী সত্যানন্দ এর ছবি

হুমম... আইন করে ওঠাতে বলছি না... সেটা সম্ভবও না... কিন্তু... থাক ব্যাপারটা গুছিয়ে লিখতে পারছি না মন খারাপ

বিবর্ণ সময় এর ছবি

নোট কাজে না আসার জন্যে ক্রমাগত বই বদল ভাল ব্যাপার না আমি মনে করি। এর চেয়ে প্রশ্ন রিপিট না করলেই হয়। বই বদল করলে ক্রমাগত আপনার কাছে যেই গুলা "ছোট খাট বাগ" এবং

৩। হ্যাঁ, পুরানো এইট আর নতুন নাইনের বই এই সিরিয়াল টা এই প্রোগ্রামের একটা বাগ তবে তাতে পুরে সিলেবাস টাকে বাতিল করা কি দরকার? এক বছর পরেই ঠিক হয়ে যাবে

এইটা বাড়তেই থাকবে। এবং অলরেডী যেইটা হয়েছে একবছরে ঠিক হবে না। নিশ্চিত থাকুন।

সাক্ষী সত্যানন্দ এর ছবি

১। অবশ্যই আনরিপিটেড প্রশ্ন এটার মূল মহৌষধ... বই বদল বলতে কিন্ত প্রতি বছর আমূল পরিবর্তন বোঝাইনি... আপডেট করন এবং প্রাসঙ্গিক টুকটাক পরিবর্তনের কথা বলেছি যেটা নিয়মিত হওয়া প্রয়োজন...

২। কেন? যেহেতূ এটা কে চিহ্নিত করা যাচ্ছে অতএব পরেরবার বদলের সময় নিচের দিক থেকে চেঞ্জ শুরু করা উচিৎ... এক বছর এক বছর করে...

বিবর্ণ সময় এর ছবি

২- এইটা এখন চিহ্নিত করা যাচ্ছে কেন? এইটা তো কমনসেন্স থেকেই সমস্যাটার কথা মাথায় আসা উচিত। সব বই চেন্জ করারে শুরুতে সবার প্রথমেই এই চিন্তা আসার কথা মাথা। ভাই আগে সিলেবাস চেন্জ হয়নাই এমন কিন্তু না। কমপ্রিহেনশন জিনিসটা চালু হয়ে ছিল সম্ভবত অনেকটা ওই ভাবেই। ক্লাস সিক্স একটা ব্যাচ কম্প্রিহেনশন পাওয়া শুরু করবে। বই বানানো এবং শিক্ষা ব্যবস্থা প্রনয়ন করে অনেক জ্ঞানি মানুষরা। তাদের কাছ থেকে এইটা মিস হওয়ার কারন নাই, যদিনা তারা হেলা ফেলা করে থাকে অথবা যাদের কথা ভাবছি আদৌও যদি তারাই কাজ করে থাকে।

সাক্ষী সত্যানন্দ এর ছবি

একমত
(কম্প্রেহেনসন জিনিসটার সাথে আমি কখনওই একমত হতে পারিনি)

বিবর্ণ সময় এর ছবি

শুধু কী কম্প্রিহেনশন? রিএরেন্জ দিয়া কী শিখায় এইটা আমার মাথায় এখনও আসে না।

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।