প্রিয় ব্যান্ডঃ স্করপিয়ন্স

সুবোধ অবোধ এর ছবি
লিখেছেন সুবোধ অবোধ (তারিখ: শুক্র, ০২/০৮/২০১৩ - ১:০৭পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

Do you ever ask yourself / Is there a Heaven in the sky/ Why can't we stop the fight?/ “cause we all live under the same sun/ We all walk under the same moon/ Then why, why can't we live as one?

এই সিরিজের প্রথম লেখা ‘প্রিয় ব্যান্ডঃপিঙ্ক ফ্লয়েড’ লেখা শুরু করার সময়ও চিন্তা করি নি যে এটা নিয়ে সিরিজ করব। কিন্তু লেখা শুরু করার পর মনের মধ্যে ইচ্ছে টা উঁকি দেয়া শুরু করেছিল,আর সেই ই ইচ্ছের আগুনে ঘি প্রথম ঢেলে দিয়েছিলেন স্যাম দা। তারপর আরো দু’একজন। ব্যাস,হয়ে গেল। ব্যান্ড এবং গানের ব্যাপারে এমনিতেই নাচুনে বুড়ি,তার উপর ঢোলের বাড়িও দেয়া লাগে না আঙ্গুলে একটু টুংটাং করলেই হল। তাও সেই লেখা লিখেছিলাম প্রায় মাস দেড়েক আগে। এর মধ্যে GRE নামক এক উৎকট পরীক্ষার জাঁতাকলে পিষ্ট হয়ে এই সিরিজে আর হাত দেয়া হয় নি। গত ২৯ তারিখে পরীক্ষা দিয়ে,মোটামুটি প্রমান সাইজের একটা বাঁশ খেয়ে এসেও আমার মনে যথেষ্ট খুশির কারণ হচ্ছে অবশেষে ফাঁটা বাঁশের চিপা থেকে মুক্তি পাইলাম! আহা!! যাই হোক,এবার আসল কথায় আসি,আজাইরা প্যাচাল রেখে।

আমি যে ভয়ানক ভাবে পিঙ্ক ফ্লয়েডের দ্বারা অবসেস্‌ড সেটা টের পেলাম গিটার শেখার সেকেন্ডারি স্টেজ এ গিয়ে। লিডের বিভিন্ন টেকনিক শিখি ঠিকই,কিন্তু বাজানোর সময় ওই ঘরানা থেকে বের হতে পারি না! সে এক বেড়াছেড়া অবস্থা। ওই সময় মোটামুটি একটা ভয়াবহ স্বীদ্ধান্ত নিলাম,যেটা আমার জন্য ছিল অনেক কষ্টদায়ক-আমি কয়েক মাসের জন্য ‘পিঙ্ক ফ্লয়েড’ শুনা কুরবানী করলাম!! খুব সম্ভবত সেটা সম্ভব হয়েছিল ‘স্করপিয়ন্স’ ছিল বলে। অনেকটা গাঁজা ছাড়তে গিয়ে মদে আসক্তির মত! প্রথম শুনা গান ‘Send Me an Angel’-শুধু শুনা নয়,প্রেমে পড়া গান। একে একে ‘Holiday’, ‘Livng for tomorrow’, ‘Still loving you’, ‘Born to Touch your feelings’...আরো আরও। এখনো মনে পরে লিডের প্রায় কিছুই না জানা আমি কত কষ্টে নোট খুঁজে খুঁজে বের করে ‘Holiday’ গান টার শুরুর ইন্ট্রো লিড টা তুলে ফেলেছিলাম কারণ মনে হচ্ছিল এই জিনিস বাজাতে না পারলে গিটার শেখা-ই বৃথা।

স্করপিয়ন্স এর গান প্রথম শুনার পর আমার রিয়্যাকশান ছিল-“ জার্মান ব্যান্ড এমন রোমান্টিক গান কেমনে গায়?!!”

সংক্ষিপ্ত ইতিহাসঃ

মূলত হার্ড রক ধারার ব্যান্ডটির জন্ম রুডলফ শেঙ্কার এর হাত ধরে ১৯৬৫ সালে জার্মানির হ্যানোভারে। তখন বর্তমান লাইন আপের কেউ ছিলেন না। রুডলফ শেঙ্কার-ই ছিলেন ভোকাল এবং গান ছিল বিট নির্ভর রক এন্ড রোল ধাঁচের। শেঙ্কারের অনুপ্রেরণা ছিল The Yardbirds, Pretty Things and Spooky Tooth যারা ততদিনে সত্যিকারের হার্ড রকার হিসেবে বিখ্যাত। ১৯৭০ সালে স্করপিয়ন্স এ রুডলফ শেঙ্কারের ভাই মাইকেল শেঙ্কার (সে ততদিনে জার্মানির হ্যানোভারের ‘কুপার্নিকাস’ নামের আরেকটি ব্যান্ডের গিটারিস্ট ছিলেন এবং যথেষ্ট বিখ্যাত ছিলেন) ও ভোকাল হিসেবে ক্লজ মেইন যোগ দেন। প্রথম এ্যালবাম ‘Lonesome crow’ দিয়েই খুব ভালভাবে তাদের উপস্থিতি জানান দেয় স্করপিয়ন। পুরোপুরি গিটার নির্ভর হার্ড রক,দুই ইলেকট্রিক গিটারের দারুন সমন্বয়, লিড গিটারের অসাধারণ কাজ আর ভোকাল ক্লজ মেইনের প্রচন্ড অভিব্যাক্তি সম্পন্ন এবং একই সাথে পরিস্কার কণ্ঠের ডেলিভারি খুব সহজেই স্করপিয়ন্স এর স্বকীয়তা কে স্পষ্ট করে তোলে। শেঙ্কার ছিলেন সত্যিকারের একজন ব্যান্ড লিডার। তিনি তার বাবার দর্শন কে ভিতরে ধারণ করেছিলেন- “কোন কিছুই অসম্ভব না,যতক্ষন পর্যন্ত তুমি নিজে তা বিশ্বাস কর।” আর তাই ব্যান্ড গঠনের পর থেকেই তিনি একটি সঙ্কল্প ভেতরে ধারণ করেছিলেন-“একদিন স্করপিয়ন হবে বিশ্বের সব চেয়ে শ্রেষ্ঠ হার্ড রক ব্যান্ড।”

দীর্ঘ যাত্রা পথে স্করপিয়নের লাইন আপে পরিবর্তন এসেছে বহুবার। কিন্তু মজার ব্যাপার হচ্ছে প্রতিটি পরিবর্তনই যেন আশির্বাদ হয়ে এসেছে। ১৯৭৩ সালে বৃটিশ ব্যান্ড UFO এর সাথে ট্যুরের সময় মাইকেল শেঙ্কারের কাছে প্রস্তাব আসে UFO তে বাজানোর। মাইকেল তাতে সারা দেন। ছেড়ে যান স্করপিয়ন। ট্যুরের বাকি সময়ে যোগ দেন ইউলি রোথ। পুরোপুরিই ব্যাতিক্রমী ধারার একজন গিটারিস্ট যাকে ওই সময় বলা হত ঈশ্বর প্রদত্ত প্রতিভা।

তাদের দ্বিতীয় এ্যালবাম সফলতার দিক থেকে প্রথম টিকে ছাড়িয়ে যায় এবং ব্যান্ডের নিজস্ব সাউন্ড কে প্রতিষ্ঠিত করে। ১৯৭৮ সাল পর্যন্ত ইউলি রোথ স্করপিয়ন্সের সাথে ছিলেন। ব্যান্ডের কমার্শিয়াল কর্মকান্ড তিনি ঠিক গ্রহণ করতে পারছিলেন না। ফলাফল-দল ত্যাগ!

১৯৭৮ সালে ১৪০ জন গিটারিস্টদের মধ্যে অডিশনের মাধ্যমে প্রতিযোগিতার পর দলে যোগ দেন এদের মধ্যে সব থেকে অসাধারণ গিটারিস্ট ম্যাথিয়াস জ্যাবস। ১৯৭৯ সালে খুব অল্প কিছুদিনের জন্য মাইকেল শেঙ্কার পুনরায় দলে যোগ দিয়ে আবার চলে যান।

১৯৮১ সালে ব্ল্যাক আউট এলবামের কাজ চলার সময় স্করপিয়নস সব চেয়ে বড় পরীক্ষার সম্মুখীন হয়- ক্লজ মেইন হঠাৎ করেই গান গাওয়ার ক্ষমতা হারিয়ে ফেলেন!! তিনি ব্যান্ডের অগ্র যাত্রার পথে বাঁধা হয়ে থাকতে চান নি,তাই ব্যান্ড ছেড়ে দিতে চান। কিন্তু রুডলফ শেঙ্কার তার পুরোনো বন্ধুর পাশে দাঁড়ান,পাশে দাঁড়ায় পুরো ব্যান্ড। তারা অপেক্ষা করেন। এবং অবিশ্বাস্য ভাবে দু’দুটি ভোকাল কর্ডের সার্জারি ও দীর্ঘমেয়াদী ভোকাল ট্রেইনিং এর পর ক্লজ মেইন যেন আগের চেয়ে আরো তীক্ষ্ণ কন্ঠ নিয়ে ফিরে আসেন!! একজন সমালোচক তখন বলেছিলেন-“তারা(চিকিৎসকরা) তাঁকে মেটাল ভোকাল কর্ড দিয়ে দিয়েছে!” ব্যান্ডের এই বন্ধুর পাশে থাকার যুগান্তকারী স্বীদ্ধান্ত পরবর্তীতে প্রচন্ড সুফল বয়ে আনে তাদের জন্য।
১৯৮৯ সালে ক্লজ মেইন “Wind of Change” গানের সঙ্গীত আয়োজন করেন,যা এখনো পর্যন্ত স্করপিয়নের Trade mark song হিসেবে খ্যাত। ১৯৯১ সালে গান টি সারা বিশ্বব্যাপী ১ নাম্বার গান হিসেবে স্বীকৃতি পায়।
স্করপিয়ন্স এর বিভিন্ন সময়ে করা অগণিত ট্যুরের মধ্যে অন্যতম স্মরণীয় দু’টি হচ্ছে ১৯৮৩ সালে ক্যালিফর্নিয়ার স্যান বার্নাডিনো ভ্যালি তে ৩২৫০০০ দর্শকের সামনে এবং ১৯৮৫ সালে রিও তে ৩৫০০০০ দর্শকের সামনে।

সেই ১৯৬৫ সাল থেকে শুরু করে দীর্ঘ পথ পাড়ি দেয়া এ যাবত কালের সবচেয়ে জনপ্রিয় হার্ডরক ব্যান্ড টি কিন্তু এখনও বেশ সক্রিয়। এ বছরই আগামী অক্টবর মাসে একটি অর্কেস্ট্রার সাথে রাশিয়া এবং বেলারুশ এ কনসার্টের ঘোষণা দেয় ব্যান্ড টি গত এপ্রিল মাসে।
গেল বছর একবার ব্যান্ড টির ভেঙ্গে যাবার গুজব উঠলেও গিটারিস্ট ম্যাথিয়াস সে বছর-ই ১২ জুন একটি সাক্ষাতকারে সে সম্ভাবনা উড়িয়ে দেন। এর প্রায় এক মাস পর ম্যাথিয়াস ‘বিলবোর্ড ম্যাগাজিনে’ দেয়া একটি সাক্ষাতকারে Blackout, Love at First Sting, Savage Amusement এবং Crazy World এ্যালবামগুলির জন্য রেকর্ড করা কিন্তু অপ্রকাশিত কিছু গান নিয়ে নতুন এ্যালবাম প্রকাশের ঘোষণা দেন যেটি এ বছরই বাজারে আসার কথা। আমরাও অপেক্ষায় আছি...

লেখার শুরুতেই বলেছিলাম পিঙ্ক ফ্লয়েডের ঘোর থেকে সাময়িক মুক্তির জন্য স্করপিয়ন্স-ই ছিল আমার জন্য উপযুক্ত দাওয়াই। খুব অল্প সময়ের মধ্যেই মন্ত্রমুগ্ধ হয়ে গিয়েছিলাম এই ব্যান্ড এর। সবচেয়ে বেশি আমাকে টানে ব্যান্ডের গান অনুযায়ী একদম পার্ফেক্ট ইন্সট্রুমেন্টাল নোট সিলেকশন। বিশেষ করে গিটারিস্ট- এক কথায় অসাধারণ!! আমার কাছে মনে হয় এতটা পার্ফেক্ট নোট সিলেকশন ডেভিড গিলমোরের পর এই একজনই করতে পারেন। এটা অবশ্যই আমার একান্ত ব্যাক্তিগত মতামত।

বর্তমান সদস্যঃ

• Rudolf Schenker — rhythm and lead guitars, backing vocals (1965–present)
• Klaus Meine — lead vocals (1970–present)
• Matthias Jabs — lead and rhythm guitars, backing vocals (1978, 1979–present)
• James Kottak — drums, backing vocals (1996–present)
• Paweł Mąciwoda — bass, backing vocals (2004–present)

পুরোনো সদস্যঃ

• Lothar Heimberg — bass, backing vocals (1965–1973)
• Wolfgang Dziony — drums, percussion, backing vocals (1965–1973)
• Karl-Heinz Vollmer – lead & rhythm guitars, backing vocals (1965–1970)
• Michael Schenker — lead & rhythm guitars, backing vocals (1970–1973, 1978–1979)
• Francis Buchholz — bass, backing vocals (1973–1983, 1984–1992)
• Uli Jon Roth — lead & rhythm guitars, backing vocals, lead vocals on "Drifting Sun", "Fly to the Rainbow", "Dark Lady", "Sun in My Hand", "Hell Cat", "Polar Nights" (1973–1978)
• Jürgen Rosenthal — drums, percussion, backing vocals (1973–1975)
• Achim Kirschning — keyboards (1973–1974)
• Rudy Lenners — drums, percussion (1975–1977)
• Joe Wyman - drums, percussion (1977)
• Herman Rarebell — drums, percussion, backing vocals (1977–1983, 1984–1995)
• Ralph Rieckermann — bass, backing vocals (1993–2000, 2000–2003)
• Curt Cress — drums, percussion (1996)
• Ken Taylor — bass, backing vocals (2000)
• Ingo Powitzer — bass, backing vocals (2004)

স্করপিয়ন্স এর এ্যালবামঃ

Studio albums

• Lonesome crow (1972)
• Fly to the Rainbow (1974)
• In Trance (1975)
• Virgin Killer (1976)
• Taken By Force (1977)
• Love Drive (1979)
• Animal Magnetism (1980)
• Blackout (1982)
• Love At First Sting (1984)
• Savage Amusement (1988)
• Crazy World (1990)
• Face The Heat (1993)
• Pure Instinct (1996)
• Eye II Eye (1999)
• Moment of Glory (2000)
• Unbreakable (2004)
• Humanity: Hour I (2007)
• Sting In The Tail (2010)

Live albums

• Tokyo Tapes (1978)
• World Wide Live (1985)
• Live Bites (1995)
• Acoustica (2001)
• Live 2011 – Get Your Sting and Blackout (2011)
• MTV Unplugged (2013)

------------------------------------
সুবোধ অবোধ
--------------------------------
শ্রেষ্ঠ সৃষ্টি কেন এত বোকা হয়?!!


মন্তব্য

কড়িকাঠুরে  এর ছবি

প্রথম কী শুনেছিলাম মনে নেই। তবে মাথায় প্রথম ঢোকে “wind of change” কোনো সন্দেহ নেই। এখনো যখন শুনি(শুনছি আসলে) মনে হয় এর চেয়ে বেশি আর কীই বা হতে পারে! তারপর আস্তে আস্তে “always somewhere”, “holiday”, “you and I”, “love will keep us alive”, “born to touch your feelings”, “the best is yet to come”... অনেক অনেক... আন্ডারগ্রাউন্ডসহ অনেক ব্যান্ডের কনসার্টের অপরিহার্য অংশ “rock you like a hurricane” … খুঁটিনাটি নিয়ে বলতে পারবো না- যতটুকু শুনি অসম্ভব ভালো লাগে। এত এত অসাধারণ সব ভোকালদের মাঝে ক্লস মেইন বিশেষ জায়গা সবসময় বরাদ্দই থাকে। কণ্ঠে এমন কিছু আছে ভেতরে ঢুকে যায়। খুব নিবিড় ভাবে আলতো করে পুরোটা জুড়ে বসে এমন ঝাঁকুনি দেয়... ওহ!!! এবং সম্ভবত ইংরেজি ব্যান্ডগুলোর মাঝে “scorpions” কেই প্রথম সবচেয়ে প্রিয় বলে পরিচয় করিয়ে দিয়েছিলাম নিজের সাথেই।

সিরিজ চলুক... চলুক

এখন পিঙ্ক ফ্লয়েডে ঘুরে আসি।

সুবোধ অবোধ এর ছবি

মজার ব্যাপার হচ্ছে স্করপিয়ন্সের নাম আসলে সবাই প্রথমে Wind of change এর নাম-ই বলে। গানের ইন্ট্রো তে শীস বাজানো তো কত লোকেরই মোবাইলের রিং টোন,যাদের অনেকে জানেনও না যে গানটা কার! গানটার কম্পোজিশন বিচার করলে এক কথায় আউটস্ট্যান্ডিং!! ক্লস মেইন এমন একজন ভোকাল,যার অনুকরণ অসম্ভব। অদ্ভুত!!
মন্তব্যের জন্য আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-

স্যাম এর ছবি

চলুক

সুবোধ অবোধ এর ছবি

আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা- হাসি

বেচারাথেরিয়াম এর ছবি

আমার শোনা প্রথম ইংলিশ গান মনে হয় Wind Of Change। সেই বাচ্চাকালে ভাইয়াকে শুনতে শুনেছিলাম। এখনো বের হতে পারি নাই স্করপিয়ন্স থেকে। পারবও না কখনো।

সিরিজ চলুক

সুবোধ অবোধ এর ছবি

বের হওয়ার দরকার টা কি?? খাইছে
আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-

অতিথি লেখক এর ছবি

মাইকেল শ্যান্কার কিন্তু পরে নিজেই একটা ব্যান্ড গঠন করেন - নাম এমএসজি (মাইকেল শ্যান্কার গ্রুপ)
শুনে না থাকলে ট্রাই করে দেখতে পারেন - অল্টারনেটিভ হার্ড রক

যাই আপনার পিন্ক ফ্লয়েডের পোস্ট ঘুরে আসি

-----------------------------------
বাপ্পীহায়াত

অতিথি লেখক এর ছবি

মাইকেল শ্যাঙ্কারের ব্যান্ড এর কথা লিখতে চেয়েও ভুলে গেছি। ধন্যবাদ আপনাকে মনে করিয়ে দেয়ার জন্য। তবে গান শুনিনি এম এস জি এর। শুনব...
হাসি

-----------------
সুবোধ অবোধ

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

সিরিজ থামলে মাইর হবে কিন্তু সাউন্ড হবে না চোখ টিপি
পরের পর্ব ছাড়েন জলদি

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

অতিথি লেখক এর ছবি

হা হা হা...
সিরিজের পরবর্তী লেখার কাজ চলছে।
খাইছে
"আপনার ভাঙ্গনের নেই পারাপার" এর পরের পর্ব কই??

রাতঃস্মরণীয় এর ছবি

ধন্যবাদ আপনাকে আমার সবথেকে প্রিয় ব্যান্ডটি সম্পর্কে লেখার জন্যে। যখন ইন্দোনেশিয়ার বিভিন্ন নাইটক্লাবে নিয়মিত যেতাম, কতোবার যে ব্যান্ডগুলোর সাথে উইন্ড অব চেঞ্জ গেয়েছি- তার হিসেব নেই বিশেষ করে ডিনামিক্স ব্যান্ডটির সাথে। এমনটিও ঘটেছে পুরো ব্যান্ডের জন্যে এক রাউন্ড বিয়ার হোস্ট করেছি। ঘন্টার পর ঘন্টা ধরে বসে অলওয়েজ সামহোয়ারের প্লাকিং তুলেছি!

মাইকেল শেঙ্কারের বাজানো খুব বেশি না শুনলেও সে আমার প্রিয়দের একজন হয়ে রয়েছে তার হলিডে এবং অলওয়েজ সামহোয়ারের অনবদ্য অ্যাকুস্টিক গিটারবাদনের জন্যে।

------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।

অতিথি লেখক এর ছবি

আপনে তো ওস্তাদ লোক রে ভাই। কই পাই আপনারে ??? গুরু গুরু

---------------------
সুবোধ অবোধ

shuvro এর ছবি

২০০১ এ ইংলিশ কি এক প্রিলি ক্লাসে এসাইনমেন্ট দিছিল তোমার আইডল নিয়ে লেখার জন্য। কি করতে জানি না, ক্লাউস মেইনের কথা লিখছিলাম। টিচার ভচকায়ে গেছিল

সুবোধ অবোধ এর ছবি

হাততালি চলুক

ষষ্ঠ পাণ্ডব এর ছবি

১৯৮৮ সালের মধ্য এপ্রিল। কলেজের ক্লাস শেষে এলিফ্যান্ট রোডে 'রেইনবো'তে একটা ঢুঁ মেরে তার পাশের দোকানটাতে (নামটা মনে পড়ছে না) গেছি। সেই দোকানে একজন সিনিয়র কর্মী ছিলেন, সবাই তাঁকে 'আঙ্কেল' বলতো। আরেক জন কর্মী ছিলেন একটু স্টাইলিশ। তো সেই স্টাইলিশ কর্মী বললেন, "আঙ্কেল, আজকে স্করপিয়নসের নতুন অ্যালবাম বের হচ্ছে"। আমি তখন স্করপিয়নসের নাম এক আধটু শুনেছি কিন্তু তাদের গান শুনিনি। আমার সাথে যে বন্ধুটি ছিল সে আবার গান শোনা, গানের খবর রাখার ব্যাপারে ছিল বেশ অ্যাডভান্সড। তাকে স্করপিয়নসের গানের ব্যাপারে জিজ্ঞেস করলাম। সে সম্ভবত ঐ সময়ে অন্য কোন ব্যান্ডে মগ্ন ছিল তাই বলল, "খুব একটা জুইতের না"। তার কথা শুনে আমি দমে গেলাম। পরে আটাশির মধ্য এপ্রিলে বের হওয়া সেই অ্যালবাম Savage Amusement শুনেছিলাম। শুনেছিলাম সেই অ্যালবামের Rhythm of Love। তারপর কী হলো সেটা আর বলার প্রয়োজন নেই - সবাই তা বোঝেন।


তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।