নীরব বিনিয়োগ

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: শনি, ১৫/০৩/২০১৪ - ২:০১পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

আমি তখন নবম শ্রেণীতে পড়ি; আমাদের গ্রামে ৫-৭ জনের একটা দল ছিল যারা প্রায় প্রতি সপ্তাহে হলে গিয়ে ছবি দেখত। কোন কোন সময় একই ছবি দুই-তিনবারও দেখা হত। তারা বাংলা ছবিই দেখত এবং অনেক অভিনেতা-অভিনেত্রী সম্পর্কে তাদের বেশ কিছু মজার মন্তব্যও ছিল। এরকম একটি মন্তব্য হল, “সে (কোন একজন অভিনেতা) পেটে-ভাতে অভিনয় করে।” এরকম আরো বেশ কিছু মন্তব্য চালু ছিল তখন। অর্থাৎ এরা ছবি দেখত এবং নিজেদের মধ্যে সমলোচনাও করত তবে বেশিরভাগই নেতিবাচক মন্তব্য ছিল; কিন্তু তারপরও তারা ছবি দেখত। তাদের এই ছবি দেখার চলটা অনেক দিন চালু ছিল, তিন-চার বছরের মতো; এটা বন্ধ হয়ে যাওয়ার কারণ অবশ্য একেকজনের একেকদিকে ছড়িয়ে পড়া।

এদের কথা বলার একটা বিশেষ কারণ আছে, সে ব্যাপারে পরে আসছি। এরা যে সময়ে পেক্ষাগৃহে আসা-যাওয়া শুরু করে ততদিনে বাংলা চলচ্চিত্রের বেহাল দশা। দেশের মধ্যবিত্ত দর্শকশ্রেণী বহু আগেই বাংলা চলচ্চিত্র থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে সম্ভবত গুণগত মানের অভাবের অজুহাতে। অর্থাৎ ইতিমধ্যে তারা গুণসম্পন্ন হিন্দি ও ইংরেজি চলচ্চিত্রে মজে গেছে। আমি এখানে কারো সমালোচনা করতে বসিনি, কিন্তু আমার কাছে এই ধরণের যুক্তি অদ্ভুত মনে হয় যে খারাপ বলে দেশীয় শিল্পকে ফেলে দিয়েছি। আমি বলছি না যে ভিনদেশী চলচ্চিত্র দেখা যাবে না বা উচিৎ না, বরঞ্চ মনে করি বাইরের চলচ্চিত্র দেখলে তবেই গুণগত মানের একটা তুলনা করা যাবে। কিন্তু দেশীয় চলচ্চিত্রকে ত্যাগ করে সতর্কতা বার্তা দেওয়ার আগে সমগুণসম্পন্ন করে তোলার জন্য যে সমর্থন দেওয়া উচিৎ ছিল, তা করা হয়েছে বলে আমার মনে হয় না। একটা ছবির ভোক্তা হল দর্শকরা, আর বাংলা ছবির দর্শক তো বাংলাদেশিরাই, আর তারা যদি এর থেকে মুখ ফিরিয়ে নেয়, তবে ভালো কিছু করার উৎসাহ থাকে কিভাবে? আমি সমাজকে কিছু বলছি না, কিন্তু এই শ্রেণীর এই বৈশিষ্ট্যকে যদি সুবিধাবাদী বলি তবে ভুল হবে বলে মনে হয় না। তবে এরা শুধু নিজেরাই বিমুখ হয়েছে তাই না, চারপাশকেও বিমুখ করেছে- জ্ঞাতসরে বা অজ্ঞাতসরে।

এবার সাম্প্রতিক সময়ে আসি- বাংলাদেশের পেক্ষাগৃহগুলোতে ভারতীয় চলচ্চিত্র প্রদর্শনীর ব্যাপারে কথা চলছে। জানিনা ইতিমধ্যে আনুমোদন দিয়ে দেওয়া হয়েছে কিনা? তবে আমি মনে করি এটা বাংলাদেশি চলচ্চিত্রের জন্য সুখকর কোন সংবাদ হবে না। কিন্তু সে বিতর্কে আমি যাব না। আমি যে ব্যাপারটি বলতে চাই তা হল, ভারতীয় চলচ্চিত্র প্রদর্শনীতে আগ্রহটা আমাদের মধ্যে কার বা কাদের বেশি? বোধ করি হল মালিকদের। কিন্তু কেন? যদি তাদের দিক থেকে ব্যাপারটা বিবেচনা করে দেখি তবে এ ব্যাবসা টিকিয়ে রাখতে হলে তাদের লাভ দরকার। শিল্প সংশ্লিষ্ট হলেও নিশ্চিত করে এটার একটা ব্যাবসায়িক দিক আছে আর সে কারণে বছরের পর বছর দর্শকশূন্য হল-এ চলচ্চিত্র প্রদর্শন করাটা তাদের জন্য সুখের কোন সংবাদ না। আর এখন তাদের বিশ্বাস যে তারা যদি হিন্দী ছবি প্রদর্শন করতে পারে তবে তারা লাভের মুখ দেখবে; এবং এ সত্যটা স্বীকার করতেই হবে যে আমরাই তাদেরকে এ বিশ্বাসটা দিয়েছি। এখন তারা যদি আমাদের পাল্টা প্রশ্ন করে আমরা তো ছবি দেখতে হল’এ যাই-ই না, বাংলা, ইংরেজি কিংবা হিন্দি ছবি চললে আমাদের তাতে কি আসে যায়? উত্তরটা দিতে পারি এইভাবে যে আমাদের কিছু ক্ষতি না হলেও দেশের চলচ্চিত্রের ক্ষতি তো হবে। উত্তরটা দেওয়া যায় কিন্তু সমস্যার সমাধান তাতে হয় না। ব্যাবসার ক্ষতি দিয়ে কেউ ব্যাবসা চালায় না, তাই পেক্ষাগৃহ বন্ধ হবে, চলচ্চিত্র শিল্প আরো থুবড়ে পড়বে।

তাহলে সমাধানটা কোথায়? এজন্যই শুরুর গল্পটা বলা। আমাদের হলে গিয়ে বাংলা ছবি দেখতে হবে, এর কোন বিকল্প নেই। ছবি ভালো হোক, খারাপ হোক তা হলে গিয়ে দেখেই বলতে হবে। শুরুতে যে গ্রুপটার কথা বলেছি এদের মতো নীরবে বিনিয়োগ করে যেতে হবে টানা কিছুদিন- তিন থেকে চার বছরই যথেষ্ট। আর সবারও যেতে হবে না, দেশের মোট জনসংখ্যার শতকরা দুই-তিন ভাগ লোকই যথেষ্ট। প্রতি সপ্তাহে বা প্রতি দুই সপ্তাহে একটি করে বাংলা ছবি। পরবর্তী হিসাবটা সবাই বুঝতে পারবেন- হলের ব্যাবসায় লাভ আসবে, প্রযোজকের টাকা উঠে আসবে, বাজার সরব হবে, আগ্রহীর সংখ্যা বাড়বে, ভালো ছবির সংখ্যা বৃদ্ধি পাবে।

হিসাবটা সহজ এবং সম্ভব। সম্ভব বলছি বাস্তব একটা পর্যবেক্ষণ থেকে। একই ধরণের কাজ আমরা আগেও করেছি।– ক্রিকেটের ক্ষেত্রে। খুব বেশি দিন আগের ব্যাপার না, যখন বাংলাদেশে ক্রিকেটের চেয়ে ফুটবলের অবস্থান বেশ ভালো ছিল। কিন্তু ১৯৯৭ সালের পর থেকে চেহারা বদলে গেছে। এর কারণ দর্শক, বাংলাদেশ যত খারাপই খেলুক না কেন মাঠে কিংবা মাঠের বাইরে দর্শকের অভাব হয় নি দেশে কিংবা দেশের বাইরে। ফলশ্রুতিতে বিসিবি-কে ট্যুর্নামেন্ট আয়োজন বা ক্রিকেটের প্রসারের জন্য শুধু আইসিসির বা সরকারের দিকে তাকিয়ে থাকতে হয়নি, যে সমস্যাটায় আছে বাফুফে- বাজেটের জন্য হা করে তাকিয়ে থাকতে হয়, খেলার আয়োজন করতে পারে না নিয়মিত অর্থের অভাবে, বাইরে খেলতে যেতে চাইলে অনেক চিন্তা করতে হয়। কিন্তু ক্রিকেটে এ সমস্যাটা নেই। আমরা, বাংলাদেশ খুব খারাপ ভাবে হারবে জেনেও মাঠে গেছি খেলা দেখতে সমর্থন জানাতে আর এখন আমরা যেকোন দেশের বিরুদ্ধেই জয়ের আশা নিয়ে খেলা দেখতে যাই। অতএব সম্ভব; আর যদি বলি ’৯৭ এর মতো ঘটনা ঘটেছে কি না চলচ্চিত্রে, তাহলে বলব অবশ্যই ঘটেছে, আমাদের চলচ্চিত্র বাইরে থেকে পুরস্কার নিয়ে আসছে দেশের জন্য, আমরা এখন আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করছি ছবি তৈরি করার জন্য; এখন শুধু ক্রিকেটের মতো ভালোবেসে জড়িয়ে ধরতে হবে চলচ্চিত্র শিল্পকে- সুদিন আসবেই।

কুণ্ঠিত পান্থ


মন্তব্য

ধুসর গোধূলি এর ছবি

এখন জনগণ আবার হলে যাচ্ছে তো সিনেমা দেখতে। জলিল ভাইয়ের সব ছবি তো সুপার ডুপার হিট। অগ্রিম টিকেটও তো পাওয়া যায় না শুনি।

এক সময় আমিও স্কুল ফাঁকি দিয়ে সিনেমা দেখছি। আঙুলের কড় গুণে দেখলাম, সেটা নাইনে পড়ি সময়েই। একবার দুপুরে স্কুল ফাঁকি দিয়ে বাসে দশ মিনিটের পথ পেরিয়ে গেছি সিনেমা দেখতে। সিনেমার নাম বাংলার বধু। ডিসির টিকেট কেটে বসতে গিয়ে দেখি পুরা সারি আমাদের ক্লাসের পোলাপান। গুণে গুণে দেখলাম ক্লাসের সামনের বেঞ্চির ২/৩টা আঁতেল সহ কিছু সুশীল আর মহিলা গ্রুপ ছাড়া বাকি সবগুলা আদম পাঁচদোনার ঝংকার সিনেমা হলের ডিসিতে হাদুমপাদুম করতে ব্যস্ত! পরেরদিন অবশ্য শাস্তি স্বরূপ বেকটিরে বেঞ্চির উপর কান ধরে খাড়ায়ে থাকতে হইছে। সে এক দেখার মতো সিন।

যখন সিনেমার কাহিল অবস্থা দেশে। কাটপিসের জয়জয়কার। তখন আমাদেরই পরিচিত এক বন্ধু রেগুলার সিনেমা দেখতে যেতো। আমার খুব ইচ্ছে ছিলো, লুঙ্গি পরে মুখে পান ভর্তি করে হাতে একটা বাঁশি নিয়ে কাটপিসের সিনেমা দেখতে যাবো। হলো না...

অতিথি লেখক এর ছবি

ধুগোদা,

লুঙ্গী, পান তো বুঝলাম, কিন্তু বাশি কেনু? কাটপিসের যুগে তো টাইমে টাইমে বাকা বাশের বাশরী অনেকের হাতে এম্নে এম্নেই ঊইঠা পড়তো। তহন তো স্পেয়ার লাগতো না।

----ইমরান ওয়াহিদ

আব্দুল্লাহ এ.এম. এর ছবি

বিদেশী ছবি, বিশেষত ভারতীয় ছবির বিষয়ে যে আতংককর মনোভাব অনেকের মধ্যে আছে, সে ব্যাপারে আমি ভিন্নমত পোষণ করি। বিষয়টা অনুধাবন করার জন্য আমাদের ফিরে যেতে হবে দেশবিভাগ পরবর্তী সময়ে। তখন এ দেশে কলকাতা এবং বোম্বের ছবিই শুধু চলতো। এর পরে আসা শুরু হলো লাহোরের ছবি, মানুষ সে সব ছবিও দেখা শুরু করলো। সে সময়েই একটা দুটো করে বাংলা ছবি নির্মাণ শুরু হলো ঢাকায়, মানুষ সে ছবিগুলোও দেখতে শুরু করলো। লাহোরে নির্মিত ছবিগুলোর যখন রমরমা, তখন অনেক বাংলা ছবিও(ঢাকায় নির্মিত) এ দেশের দর্শককে প্রবলভাবে আকৃষ্ট করেছে। সুতরাং হলে ভারতীয় ছবি প্রদর্শিত হলে ঢাকার ছবি আর কেউ দেখবে না, এটা বোধ হয় ঠিক নয়। বরং ভারতীয় ছবি দেখার জন্য হলে যাবার অভ্যাস ফিরে এলে সাথে সাথে ঢাকার ছবি দেখার অভ্যাসও ফিরে আসতে পারে।

অতিথি লেখক এর ছবি

এখন বাংলা সিনেমার অবস্থা অনেকটাই পরিবর্তিত হয়েছে। ভাল ভাল সিনেমা তৈরি হচ্ছে। নতুন নতুন হ্যান্ডসাম নায়ক আর সুন্দরি, স্মার্ট নায়িকারা আসছে। গতমাসেই জোনাকি হলে গিয়ে ‘অগ্নি’ সিনেমাটা দেখলাম। ভালোই লাগলো।
নিকঃ শেহজাদ আমান।

কুন্ঠিত পান্থ এর ছবি

এটা অবশ্যই ভালো দিক যে জনগণ জলিল ভাইয়ের সিনেমা দেখতে যাচ্ছে আর এই লক্ষণটাই আশাটা বাড়িয়ে দেয়।

বড়ই আফসোস কাটপিসের সিনেমা দেখা হল না...... খাইছে

কুন্ঠিত পান্থ

অতিথি লেখক এর ছবি

মোটামুটি সাধারণ মধ্যবিত্ত তরুণ হিসেবে আমার পর্যবেক্ষণটা বলি-

ইদানিং বেশ কিছু বাংলা সিনেমা হলে গিয়ে দেখেছি। জলিল ভাইয়ের মুভি হাচড়ে-পাচড়ে টিকেট কিনে দেখেছি। 'গেরিলা'র মত দারুন ছবিও দেখলাম। হালে দেখলাম 'অগ্নি' আর 'কী দারুন দেখতে'। মোটামুটি ভালো মানের হলে হলে গিয়ে ছবি দেখা হয়। কিন্তু হিন্দি, তামিল বা মালায়াম ছবির অনুবাদ ভার্শন গল্প আর অভিনেতা অভিনেত্রীদের যাত্রা টাইপের হাইপার অভিনয় দেখতে আমি যাব বলে মনে হয় না।

আবারো বলছি, ছবি মোটামোটি দেখনযোগ্য হলে- হলে গিয়ে দেখতে যাওয়াই যায়। আমিও তাই যাই। তাই বলে চলচিত্র শিল্প'কে বাঁচাতে হবে এই বলে নিরিহ দর্শককে হলে টেনে নিয়ে ছাপার-অযোগ্য গালিসমৃদ্ধ, উদ্ভট গল্পের, বিচ্ছিরি সুরের আর কথার গানের আর সেই সাথে জলহস্তি নর্তন দর্শন করিয়ে মানসিক অত্যাচার করবার কোন মানে হয়না।

চলচিত্রের মানের উন্নয়ন প্রয়োজন। আর সেটা হলে দর্শকের অভাব হয় না সেটা ইদানিং কালের কিছু দেখনসই চলচিত্র প্রমান করে দিয়েছে। উদাহরণ হিসেবে গেলো মাসে মুক্তি পাওয়া 'অগ্নি' সিনেমাটার দিকে তাকালেই বোঝা যাবে। এ ধরণের মুভি যত বেরোবে, দর্শকও তত সাড়া দেবে। শিল্পটা তখন এমনিতেই চাঙ্গা হয়ে উঠবে। আর খালি ঈদ মৌসুমেই ছবি চলে, এই ধারণার বাইরে এসে ভালো ছবি বছর জুড়ে মুক্তি দেবার রেওয়াজ গড়ে ওঠা প্রয়োজন। নইলে নিজেদের নির্বুদ্ধিতায় ক্ষতি হলে অন্যকে দোষারোপ করেও লাভ হবে না।

---- মনজুর এলাহী ----

প্রোফেসর হিজিবিজবিজ এর ছবি

ভালো ছবির জন্য দর্শকের অভাব হবে বলে আমার মনে হয়না। প্রেক্ষাগৃহে গিয়ে ছবি দেখার মজাই আলাদা! আমি নিজে এবং আমার সন্তানকে সে আনন্দ থেকে বঞ্চিত করতে চাই না। আমার মত আরো অনেকেই আছেন। সুতরাং ছবি ভালো হলে তা না চলার কোন কারণ নেই। সিনেপ্লেক্সে কি শুধু উচ্চবিত্তরাই যায়? না।

ভালো বিদেশী ছবি দেশীয় প্রেক্ষাগৃহে প্রদর্শন করাটা সমস্যা কেন হবে? বরং এটা তো দর্শকচাহিদা তৈরী করতে সাহায্য করবে। তবে আমি চাই শুধু ভারতীয় ছবি যেন না চলে, বরং হলিউডের ছবিই যেন বেশী আসে। আর এর পাশাপাশি ভালো মানের বাংলা ছবি প্রদর্শন করলে তা প্রযোজকের অর্থলগ্নির পুরোটা যে তুলে আনতে সক্ষম হবে, সে আশা করতেই পারি।

____________________________

অতিথি লেখক এর ছবি

সিনেমার দর্শক যখন একটা ছবি দেখে এর সমালোচনা করবে, তখন দর্শক চাহিদা তৈরি হবে এবং সে অনুসারে চলচ্চিত্র তৈরি হবে, ছবি না দেখে সমালোচনা করলে সেটা আখেরে কোন ভাল ফলের কিছু হবে না; আর প্রযোজক যখন লাভের মুখ দেখবে তখনই সে নতুন ধরণের কিছুতে ঝুঁকি নিতে পারবে, সেক্ষেত্রে ভিন্ন কাহিনীর ছবি আসবে...কিন্তু অর্থের জন্য যদি এফডিসি'র শুধু সরকারি সহায়তার দিকে তাকিয়ে থাকতে হয় তবে সেখানে ভালোকিছু আশা করাটা অন্যায়। আর এতদিনের দুরাবস্থার কারণে যে শূন্যতা তৈরি হয়েছে সেটা কাটিয়ে উঠার কিছুটা সময় ও তো দরকার। কিন্তু দায়িত্বটা একপেশে হলে বা একপক্ষের উপর ছেড়ে দিলে হবে না। এখন যে দর্শক হলমুখী হয়েছে তা ধরে রাখতে হবে চলচ্চিত্র সংশ্লিষ্টদেরই, কিন্তু এফডিসি'র আর্থিক অবস্থা এখনো অতটা শক্তিশালী না, সে জন্যও তাদের সময় ও দর্শক-সহযোগিতা দরকার বলেই আমি মনে করি।
কুণ্ঠিত পান্থ

অতিথি লেখক এর ছবি

স্বপ্ন না দেখলে আর আশ্বাস না থাকলে কোন কিছুই সামনে আগায়না। অনেক ভাল লাগলো। শুধু নিন্দা করলেই হয়না; নিজের দায়িত্বের জায়গাটাও বুঝে নিতে হয় আপনার লেখাটা আসলে সেটাই চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দিলো। ধন্যবাদ এমন একটি লেখার জন্য।

Shah Waez (শাহ্‌ ওয়ায়েজ।)
Facebook

..............................................................................................
কোথাও নেই ঝুমঝুম অন্ধকার
তক্ষক ডাকা নিশুতিতে
রূপকথা শুনে শিউরে উঠে না গা
স্বপ্নে আমার শরীরে কেউ ছড়ায় না শিউলি ফুল
আলোর আকাশ নুয়ে এসে ছোঁয় না কপাল

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।