যৌনশিক্ষা ও ধর্ষণ আইন

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: শনি, ২৩/০৫/২০১৫ - ৪:৩০অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:


উনি বাংলাদেশ থেকে বেশ অনেকদিন হলো কানাডায় এসেছেন। কথা হলো । ব্যাপক বিরক্ত অন্টারিওর নতুন যৌন শিক্ষার কার্যক্রম নিয়ে।" দেখেন তো, গ্রেড ফাইভে এরা ছেলে মেয়েদের স্বমেহন সম্পর্কে শেখাবে? ভাবুনতো ক্লাস ফাইভের ছেলে যদি এসে বলে, বাবা ক্লাসে আজ মাষ্টারবেশান শিখে আসলাম, তাইলে আপনার কেমন লাগবে?" তাই এখানকার রক্ষণশীল কমিনিউটির শ্লোগান , শিশুদের শিশুই থাকতে দিন।

আমার এখনো স্পষ্ট মনে আছে আমার এক বন্ধু , ভেজাস্বপ্ন (Wet Dream) নিয়ে কেমন মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে উঠেছিল। তার ধারণা ছিল, ভেজাস্বপ্নের সাথে মানুষের মস্তক গলে বেরিয়ে যায়। হয়তো মস্তিস্কের হুয়াইট ম্যাটার আর সিমেনের রং কাছাকাছি হওয়াতে এমন ধারণা হয়েছিল তার। কি অসম্ভব অজ্ঞানতা! আমাদের বিদ্যালয় যদি এসব নিয়ে খোলাখুলি কথা বলত তবে আমার মনে হয়, অনেক কিশোর কিশোরীর মানসিকভাবে অনেক সুস্থ থাকতো বয়:স্বন্ধি কালে। আমার ধারণা , ইভটিজিং-এর সংখ্যাও কমে যেত। আমাদের দেশে যৌনতাকে এমনভাবে আড়াল করে রাখি যেন এর কোন অস্তিত্বই নেই। নিষিদ্ধের প্রতি আগ্রহ বাড়ে কিশোর কিশোরীদের, তারা জানে না কেমন ভাবে এ ব্যাপারটিকে সামলাতে হবে। যতই গোপন করি , সমস্যা ততই বাড়ে। শিশুকে চিরশিশু না ভেবে ,বরং ব্যাপারগুলো স্কুলে গুরুত্বের সাথে গ্র্যাজুয়েলী শেখানো উচিত।

টরোন্টোতে লিয়া এবং টেসা নামের অষ্টম শ্রেণীর দুই ছাত্রী এক কাণ্ড বাঁধিয়েছে। তারা একটা 'সেক্সুয়েল কনসেন্ট' নিয়ে একটা প্রোজেক্ট করছিল। তাদের বক্তব্য যতই ছাত্রদের সংযম শেখানো হোক না কেন, ছাত্র ছাত্রীরা জীবনের কোন না কোন সময় যৌন আচরণ করবেই। যৌন সম্মতির একটি স্পস্ট ধারণা থাকা জরুরী। যৌন সম্মতির স্পষ্ট ডিমার্কেশান থাকলে ধর্ষণ সংস্কৃতি খানিকটা হলেও হ্রাস ঘটবে। প্রোজেক্টের অংশ হিসেবে একটা গ্রাফিক তৈরী করেছে তারা, যেখানে বলা হচ্ছে, We must create consent culture. My dress is not a yes. বিষয়টি প্রধানমন্ত্রী পর্যন্ত গড়িয়েছে। এবং এটিকে যৌনশিক্ষার কার্যক্রমের অংশ করা হয়েছে।

আমার কাছে মনে হয়, বাংলাদেশ যতই রক্ষণশীল আচরণ করি না আমরা প্রযুক্তির অগ্রগতিতের নতুন এক পৃথিবীতে প্রবেশে করেছি। বাংলাদেশের ছেলেমেয়েরা এর প্রভাবের বাইরে থাকবে এটা আশা করা ঠিক নয়। বয়সের ধর্মের কারণে বাংলাদেশের ছেলেমেয়েরা একসাথে বন্ধু হবে। তাদের মাঝে প্রণয়ের সূচনা হবে। এবং এই প্রণয় অবশ্যম্ভাবী শরীরেরও ছড়িয়ে পড়বে। এটা স্বাভাবিক। তাই যৌনসম্মতির, যৌন সম্মতির বয়স ইত্যাদি অনেক গূরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। যারা মনে করেন ছেলেমেয়েদের প্রণয়ে জড়িয়ে পড়াটা অবক্ষয়, তারা কি পেছনে তাকিয়ে দেখবেন তাদের জীবনে যৌবনের বাস্তবতা কি ছিল?


যৌন সম্মতি ও যৌন সম্মতির বয়স একটি কারণে খুব গুরুত্বপূর্ণ। সেটি হচ্ছে ধর্ষণ। ধর্ষণ সংগঠিত হয়েছে কিনা , তা নির্ণয়ের আগে এ দু'টি বিষয়ে ফয়সালা হয়। বাংলাদেশের ধর্ষণ বিষয়ক যে আইনের সবচেয়ে বেশী ব্যবহার হয় , তা হলো নারী ও শিশু নির্যাতন আইন ২০০০। সেটিতে ধর্ষণের ব্যাখ্যা নিম্নরূপ।

"(১) যদি কোন পুরুষ কোন নারী বা শিশুকে ধর্ষণ করেন, তাহা হইলে তিনি যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ডে দণ্ডনীয় হইবেন এবং ইহার অতিরিক্ত অর্থদণ্ডেও দণ্ডনীয় হইবেন৷

ব্যাখ্যা৷- যদি কোন পুরুষ বিবাহ বন্ধন ব্যতীত ১[ ষোল বত্সরের] অধিক বয়সের কোন নারীর সহিত তাহার সম্মতি ব্যতিরেকে বা ভীতি প্রদর্শন বা প্রতারণামূলকভাবে তাহার সম্মতি আদায় করিয়া, অথবা ২[ ষোল বত্সরের] কম বয়সের কোন নারীর সহিত তাহার সম্মতিসহ বা সম্মতি ব্যতিরেকে যৌন সঙ্গম করেন, তাহা হইলে তিনি উক্ত নারীকে ধর্ষণ করিয়াছেন বলিয়া গণ্য হইবেন৷"

আমার কাছে ধর্ষণের সংজ্ঞাটি ভীষণ কনফিউজিং লেগেছে। মনে হয়েছে কাঁঠালের আমসত্ত্ব।

১. প্রথমেই আসি সম্মতির ব্যাপারটিতে। এই ব্যাপারটি আরো বিস্তৃতির দাবী রাখে। যেমন ধরা যাক কোন নারী তার ছেলে বন্ধুকে চুম্বন করার অধিকার দিল অথবা তার শরীরের স্পর্শকাতর অংশ স্পর্শ করার অধিকার দিল, তবে কি এটিকে সম্মতি হিসেবে ধরা হবে? অথবা যদি ধরুন আরো একটি এগিয়ে সে তাকে বিবস্ত্র করার সম্মতি দিল, কিন্তু অবশেষে ভাবলো যে, না ঠিক হচ্ছে না কাজটি। তারপর ছেলেটি যদি জোর করে ধর্ষণ করে । তবে কি এটিকে সম্মতি হিসেবে ধরা হবে? আমার ধারণা কোন মেয়ে যদি এসে বলে যে , আমি তাকে চুম্বন করার অধিকার দিয়েছিলাম কিন্তু সে আমাকে ধর্ষণ করে ফেলেছে। আমাদের দেশের যা অবস্থা , জজ হয়তো বলে বসবেন, যান এদের বিয়ে দিয়ে দিন। তাই সম্মতির ব্যাপারটি সংশোধন করা প্রয়োজন। যৌন সম্পর্কের পুরো সময় ধরে সম্মতি অব্যাহত রাখার ব্যাপারটি নিয়ে আসা উচিত।
২. ধর্ষণের সংজ্ঞায় প্রথমেই বিবাহ ব্যতীত কথাটি বলা হয়েছে। যার মানে হলো , একবার বিয়ে হয়ে গেলে নারীদেহ একটা সম্পত্তি। এবং এই তালুকের একছত্র অধিকার কেবল স্বামীর । কনসেন্ট থাকলে ভালো , না থাকলেও কোন ক্ষতি নেই। আইনগতভাবে বলার অধিকার নেই, আমি বাচ্চা নিতে চাই নি, তাই আমার স্বামী আমাকে ধর্ষণ করেছে। যেন বিবাহ বন্ধনে থাকলে নারীর যৌনতার অংশগ্রহন করার ব্যাপারে কোন চয়েস নাই। ধরুন, কোন এক নারীর স্বামী প্রতিদিন মদ খেয়ে বাড়ী ফিরে, তার সাথে কোন বনিবনা নাই। সে বিচ্ছেদের কথা ভাবছে। রাষ্ট্রের আইন অনুযায়ী, যতদিন তাদের বিচ্ছেদ হচ্ছে না , ততদিন নারীটির অনিচ্ছায় পুংগব পুরুষটি তাকে ধর্ষণ করতে পারবে, কোন বাঁধা নেই।
৩. যৌন সম্মতি দেয়ার বয়স। যদিও আলাদা ভাবে কোথাও বলা নেই ঠিক কোন বয়সে নারী যৌনতায় সম্মতি দেয়ার অধিকার রাখে। তবে এই আইনটি থেকে ধারণা করা যায় , বয়সটি ষোল। যৌন সম্মতি প্রদানের একটা নির্দিষ্ট বয়স নির্ধারণ করা জরুরী। সেটি ষোল বছর এটিও যৌক্তিক। কেউ যাতে প্রলুব্ধ করে মেয়েদের ব্যবহার না করতে পারে , তাই বাড়তি নিরাপত্তা দেয়াটা জরুরী। কিন্তু তাই বলে সত্যিই কি ষোল বছরের নিচে কোন নারীর সম্মতি দেয়ার কোন যোগ্যতা বা অধিকার নেই। ষোল বছরের নিচে কোন মেয়ে যদি স্বেচ্ছায় যৌনতায় অংশগ্রহণ করতে চায় তবে? আইন অনুসারে ষোল বছরের কোন নারীর যদি ইচ্ছেও হয় যৌন আচরণে লিপ্ত হবার , তবে তা হলেও ধর্ষণ বলে পরিগণিত হবে। অথবা ধরুন কোন কিশোরী , তার চেয়ে কিছু বড় এক কিশোরের সাথে প্রণয়ে লিপ্ত , মেয়ের পিতা রাজি না। পালিয়ে গেল দু'জন। তারপর দূরবর্তী কোন শহরের কোন হোটেলে রাত কাটালো , সে ক্ষেত্রেও ছেলেটির কিন্তু যাবজ্জীবন কারদন্ডের সম্ভাবনা থাকলো। এটি কি সত্যি ধর্ষণ?

আমি কানাডার যৌন সম্মতি প্রদানের বয়স সম্পর্কে দেখলাম অনলাইনে। কানাডায় তা ষোল বছর। তবে বলা আছে, চৌদ্দ কিংবা পনের বছরের মেয়েরাও যৌন সম্পর্ক করতে পারবে। সে ক্ষেত্রে ছেলের বয়স কোন ভাবেই পাঁচ বছরের বেশী হতে পারবে না। এবং আরো কিছু শর্ত রয়েছে । এমনকি বার কিংবা তের বছরের মেয়েরা যৌন সম্পর্ক করতে পারবে। সেক্ষেত্রে ছেলের বয়স কোনভাবেই দুই বছরের বেশী হতে পারবে না। সাথে আরো কিছু শর্ত আছে।

আমরা যখন আইন করি অথবা যৌনশিক্ষার ব্যাপারে ভাবি তখনও রক্ষণশীলতা উর্দ্ধে উঠতে পারি না। আমাদের রক্ষণশীলতা বলে দেয়, বিবাহবহির্ভূত যৌনতা নিন্দার। তাই বিবাহবন্ধনে সকল ধর্ষণ বৈধ। আমাদের রক্ষণশীল সমাজ চায় না , তাদের ছেলে মেয়েরা প্রণয়ে লিপ্ত হোক , তাই আমরা যৌনতা বা যৌন সম্মতির ব্যাপারগুলো না শিখিয়ে উদ্ভট সব আইন করছি। অথচ ফিংগার টেষ্টের মত , নারীর জন্য চরম অবমাননাকর আইন বাতিল করছি না। রক্ষণশীল পূরুষের দৃষ্টিকোণ থেকে সবকিছু দেখা বন্ধ করা উচিত।

ধূর্জটি ধূর্জটি


মন্তব্য

অতিথি লেখক এর ছবি

বাংলাদেশেই হোক আর যেখানেই হোক, রক্ষণশীলদের কাছে যৌনতা = সঙ্গম। সুতরাং যৌনশিক্ষা বলতে তারা বোঝেন সঙ্গমের কলাকৌশল শিক্ষা। "যৌনতা" কনসেপ্টের ব্যাপ্তি সম্পর্কে তাদের কোন ধারণাই নেই।

Emran

অনার্য সঙ্গীত এর ছবি

চমৎকার লেখা। সবার পড়া দরকার।

______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন

অতিথি লেখক এর ছবি

চলুক , ভালো লেখা।

দেবদ্যুতি

চরম উদাস এর ছবি

জরুরী একটা বিষয়ে চমৎকার একটা লেখা। চলুক
পড়া শেষে তৃষ্ণা থেকে গেল, আরও লিখুন না এই বিষয় নিয়ে।

অতিথি লেখক এর ছবি

আপনার রম্য স্যাটায়ার আমার ভীষণ প্রিয়। বিশেষ করে মার্জিয়া মমতাজের ( কাদের মোল্লার ফাঁসি নিয়ে লেখা) কাহিনীর কথা মনে হলে এখনো হাসি। আপনার লেখাটি ভালো লেগেছে জেনে ভালো লাগলো, ভবিষ্যতে এনিয়ে কিছু মাথায় এলে লিখবো।

ধুসর জলছবি এর ছবি

দারুণ লেখা। আপনার লেখার হাতও ঝরঝরে হাসি
এই ব্যাপারে আরও কিছু লিখুন আরও বিস্তারিত, লেখার গুনের কারণেই মনে হল দ্রুত শেষ হয়ে গেল।:-)

নীড় সন্ধানী এর ছবি

সম্মতির ব্যাপারটা অবশ্যই গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু সম্মতি জাতীয় ইস্যু হলো ভদ্রলোকের ব্যাপার। আমাদের দেশ তো ভদ্রলোকের দেশ না। বলতে খারাপই লাগছে একথা। তবু এদেশে এখন এমন সব ঘটনা ঘটছে সেখানে সম্মতি দূরে থাকুক, কোন মেয়ে রাস্তায় একলা হাঁটলেও তাকে ধর্ষন করার যোগ্য মনে করে ফেলছে কিছু কুৎসিত শুয়োর। এদেশে একটা মেয়ে রাস্তায় বেরুলে অসংখ্য পুরুষের দৃষ্টি ধর্ষণের শিকার হয়(এটা প্রায় স্বাভাবিক ধরে নেয়া হয়)। সেটা নিয়ে বলাই বাহুল্য। ওটা সংবাদ হবার মতো কোন ব্যাপারও না। সংবাদ হয় তখন, যখন জোর করে গাড়িতে তুলে নিয়ে ধর্ষণ করা হয়। এখানে আইন লিখে কোন কাজ হবে না যতক্ষণ পর্যন্ত মোড়ে মোড়ে নগদ শাস্তির ব্যবস্থা করা না হচ্ছে। এখনো পর্যন্ত আমি একটাও সেরকম শাস্তি দেখিনি অনেক আলোড়িত ঘটনার। বরং নতুন একটা ঘটনা এসে পুরোনোটাকে ঢেকে দেয়।

‍‌-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?

অতিথি লেখক এর ছবি

আমি আপনার সাথে সম্পূর্ণরূপে এক মত পোষণ করছি। বাংলাদেশে এই সব সাটল্ ইস্যুগুলো আসলে গূরুতর পাশবিক ঘটনার মাঝে ভীষণ ম্লান হয়ে যায়। তারপরও ধর্ষণ আইনটি ত্রুটিশূণ্য করা উচিত বলে মনে করি।

ষষ্ঠ পাণ্ডব এর ছবি

আমার কাছে ধর্ষণের সংজ্ঞাটি ভীষণ কনফিউজিং লেগেছে। মনে হয়েছে কাঁঠালের আমসত্ত্ব।

আপনার দৃষ্টিতে সংজ্ঞাটা কেমন হওয়া উচিত ছিল? সেটা না বললে আপনার ব্যাখ্যা আর অবস্থান বুঝবো কী করে?

সম্মতির ব্যাপারটি আপনি যেমনটা বললেন আইন-আদালত বিষয়টাকে এমন পিস্‌ পিস্‌ হিসেবে দেখে না। আদালত এটা দেখে না যে, কে কাকে কতটুকু পর্যন্ত অধিকার দিয়েছিল। আদালত দেখবে এন্ড রেজাল্ট। আদালত আরো একটা বিষয় দেখবে যেটা আপনি বলেননি। তা হচ্ছে - crime with provocation or without provocation। প্রভোকেশনকে অগ্রাহ্য করলে ন্যায়বিচার হয় না। আইন সাবজেকটিভ হওয়া সম্ভব না, তবে বিচার কার্য অনেক ক্ষেত্রেই সাবজেকটিভ।

marital rape অনেক জায়গায়ই আইনের আওতায় আনা হয়েছে। তবে এই ব্যাপারে সামাজিক দৃষ্টিভঙ্গীটা পালটানো দরকার আছে।

সম্মতির ক্ষেত্রে কোন বয়সসীমা আপনি ঠিক বলে মনে করেন? একই রাষ্ট্র আইনের কোথাও ১৮, কোথাও ১৬, কোথাও ১৪ ইত্যাদিকে বাল্যাবস্থার সীমা ধরলে একটা সাংঘর্ষিক অবস্থা তৈরি হয়। আদতে তাই হয়েছে। ফলে এটা না মানার প্রবণতা তৈরি হয়েছে।


তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।

অতিথি লেখক এর ছবি

ধন্যবাদ পাণ্ডবদা।
ধর্ষণের সংজ্ঞাটি কেমন হওয়া উচিত, এবিষয়ে বিস্তর গবেষণা ও চিন্তার প্রয়োজন রয়েছে বলে মনে করি। আমি কিছু বিষয় নিয়ে আলোচনা করলাম। জানি, এই বিষয়ে ভিন্ন ভাবনা আছে । ভিন্ন চিন্তাও রয়েছে। আমি ধর্ষণের সংজ্ঞাটি চটজলদি দিতে চাই না।

রানা মেহের এর ছবি

লেখা ও লেখার বিষয় খুব ভালো লাগলো। কিছু পর্যবেক্ষণ -

১) আপনার পুরো লেখায় কোথাও রেফারেন্স নেই। ক্যানাডার আইন, বাংলাদেশের আইন এই গুলোর রেফারেন্স থাকলে পাঠক নিজে পড়ে যাচাই করে নিতে পারতো।

২) সম্মতির বয়স নিয়ে আপনার দ্বিধা আছে। কিন্তু দ্বিধার কারণ ব্যাখ্যা করা নেই। আমার কাছে ষোল/আঠারোই যৌক্তিক মনে হয়। একটা মানুষের মানসিক গঠন গড়ে উঠতে এইটুকু সময় দরকারী।

৩) বাংলাদেশে কোর্টের রায়ে ফিংগার টেস্ট নিষিদ্ধ। যদিও এখনো চালু আছে ভালো উপায় না থাকার অযুহাত দেখিয়ে।

লেখালেখি জারি থাক হাসি

-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস

এক লহমা এর ছবি

"আমাদের দেশে যৌনতাকে এমনভাবে আড়াল করে রাখি যেন এর কোন অস্তিত্বই নেই। নিষিদ্ধের প্রতি আগ্রহ বাড়ে কিশোর কিশোরীদের, তারা জানে না কেমন ভাবে এ ব্যাপারটিকে সামলাতে হবে। যতই গোপন করি , সমস্যা ততই বাড়ে। শিশুকে চিরশিশু না ভেবে ,বরং ব্যাপারগুলো স্কুলে গুরুত্বের সাথে গ্র্যাজুয়েলী শেখানো উচিত।" - চলুক

--------------------------------------------------------

এক লহমা / আস্ত জীবন, / এক আঁচলে / ঢাকল ভুবন।
এক ফোঁটা জল / উথাল-পাতাল, / একটি চুমায় / অনন্ত কাল।।

এক লহমার... টুকিটাকি

দুষ্ট বালিকা এর ছবি

জরুরী লেখা, ভালো লাগলো; তবে খুব তাড়াতাড়ি শেষ হয়ে গেলো মনে হচ্ছে।
আপনার নিজের দ্বিধাটুকু বুঝলাম তবে কিরকম হলে ভালো হতো বলে মনে হয় সেটা লিখলেও মনে হয় খারাপ হতো না।

আর রানাপা যা বলেছেন, রেফারেন্স খুব দরকার। নাহলে বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন থেকেই যায়।

**************************************************
“মসজিদ ভাঙলে আল্লার কিছু যায় আসে না, মন্দির ভাঙলে ভগবানের কিছু যায়-আসে না; যায়-আসে শুধু ধর্মান্ধদের। ওরাই মসজিদ ভাঙে, মন্দির ভাঙে।

মসজিদ তোলা আর ভাঙার নাম রাজনীতি, মন্দির ভাঙা আর তোলার নাম রাজনীতি।

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।