অরুন্ধতী পাঠ-০২ ।। 'গোপনে জল বাড়ছে কোথাও' (প্রথম পর্ব)

হাসান মোরশেদ এর ছবি
লিখেছেন হাসান মোরশেদ (তারিখ: মঙ্গল, ০২/০৯/২০০৮ - ৭:৩৩পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

.


Shape of the Beast' তার ২১টি সাক্ষাৎকারের সংকলন ।

'গোপনে জল বাড়ছে কোথাও'- এ সংকলনের উনিশতম অন্তর্ভুক্তি , এপ্রিল ২০০৬ এ তেহেলকার অন্যতম সম্পাদক সোমা চৌধুরী নেয়া ।

এই সাক্ষাৎকারে অরুন্ধতী মুলতঃ নর্মদা বাঁচাও আন্দোলন( এনবিআর) এর সাথে তার সম্পৃক্ততা, এই আন্দোলনের যৌক্তিকতা, উন্নয়নের নামে ভারতের প্রাকৃতিক সম্পদের উপর বহুজাতিক কর্পোরেট গোষ্ঠীর দখলদারীত্ব, রাষ্ট্র ও নাগরিকের সম্পর্ক, রাষ্ট্রের ক্রমাগত নিস্পেষনে চরম দরিদ্র মানুষদের সংগঠিত হওয়া,প্রতিরোধ আন্দোলনের কর্মপ্রক্রিয়া -এসব নিয়ে কথা বলেন ।

সাক্ষাৎকারটি বেশ দীর্ঘ । কেবল মুল অংশটুকু দুই পর্বে তুলে রাখছি ।

-----------------------------------------------------

..
তুমি নর্মদা ইস্যুতে জড়াতে গেলে কেনো? কেনো এটাকে এতো জরুরী মনে হলো?

কারন নর্মদাকে বুঝলে বুঝা সহজ হয় আসলে কি ঘটছে পৃথিবী । ক্ষমতা ,রাজনীতি, আগ্রাসন, অধিকার,প্রতিরোধ -সবকিছুই জড়িয়ে আছে এখানে । যেমন ধরো নদীপথ জোর করে বদলে দিয়ে মরুময় পরিবেশে আখ কিংবা গমের মতো উচ্চপানিগ্রাসী শস্য ফলানো কতোটুকু যৌক্তিক? ‘ইন্দিরা গান্ধী খাল’ ইতিমধ্যেই রাজস্থানে পরিবেশ বিপর্যয় ঘটিয়েছে ।
নদী,পাহাড়,মরুভূমি,জলাশয়,শস্য,মাছ এই সব জরুরী বিষয়ে আমাদের রাজনৈতিক দলগুলোর কোন দায়বদ্ধতা নেই, রাজনীতিবিদরা এসবের কিছুই জানেনা,তাদের জানার কোন আগ্রহ ও নেই ।

নর্মদাকে ঘিরে যে প্রতিরোধ আন্দোলন, তা মাথাভারী ভারতীয় উন্নয়ন মডেলকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছে । যদিও উচ্ছেদ ও পুনর্বাসন নিয়েই বেশী আলোচনা হচ্ছে সবখানে, তবে তার চেয়ে ও জরুরী প্রশ্ন হলো এই বাঁধের দরকার কতোটুকু?
তুমি ইতিহাস ঘাঁটলে দেখবে-এরকম উচ্চাবিলাসী সেচ কর্মসুচী পরিনামে জলাবদ্ধতা,লবনাক্ততা ও মরুকরন সৃষ্টি করেছে, অনেক সভ্যতার ধ্বংসের কারন হয়েছে । মেসোপটেমিয়ায় তাই হয়েছিল ।

‘উন্নয়ন’ নামের মারনাস্ত্রকে যারা আসলেই বুঝতে চান তাদেরকে আমি জ্যারেড ডায়মণ্ডস এর ‘collapse’ পড়তে বলি । ভারতে এমনিতেই হাজার হাজার একর চাষের জমি জলাবদ্ধ,আমরা আমাদের প্রায় সকল নদীকে হত্যা করে ফেলেছি । আমাদের শস্যউৎপাদনের ধরন টেকসই নয়,কৃষিঅর্থনীতিতে রয়ে গেছে হাজারো সমস্যা । আমাদের সবচেয়ে কার্যকর বাঁধ-বাখরা বাঁধ- এর আওতাধীন বিশাল জমি এখনো জলাবদ্ধ ।
সবমিলিয়ে, নর্মদার সরদার সরোবর গুজরাটের সাধারন কৃষকের জন্য অধিকতর সংকট সৃষ্টি করা ছাড়া আর কোন কাজে আসবেনা

তোমার এই কথা কিন্তু বিতর্কিত । আরেকটু বিস্তারিত বলবে নাকি?

এ নিয়ে আমার একটা বিস্তারিত রচনা আছে-‘দ্যা গ্রেটার কমন গুড’ । ঠিকাছে এখানে মুল পয়েন্টগুলো বলছি আবার ।

সর্দার সরোবর বানানোর সময় বলা হয়েছিল এর পানি কুচ ও সৌরাষ্ট্র এর খরাপীড়িত অঞ্চলে সরবরাহ করা হবে । শেষপর্যন্ত এটা আরো হাজারো রাজনৈতিক প্রতিশ্রুতির মতোই সম্পূর্ন মিথ্যাচার হয়ে রইল । অথচ ছোট ছোট স্থানীয় স্কিমগুলোকে বঞ্চিত করে গুজরাটের সেচ বরাদ্দের ৯৫% ব্যয় করা হয়েছে এর পেছনে । অন্য যে কোন ভারতীয় রাজ্যের চেয়ে এই গুজরাটে উঁচু বাঁধের সংখ্যা অনেক বেশী তবু সেচ সমস্যা মিটেনা ।
সর্দার সরোবরকে নিয়ে গুজরাট সরকারের নিজস্ব পরিকল্পনা দেখলে বুঝবে,তারা কুচ ও সৌরাষ্ট্র এ পানি সরবরাহকে অগ্রাধিকার দিচ্ছেনা ।

যদি ধরে ও নেই যে সবকিছু একেবারে ঠিকঠাক চলবে, এখান থেকে বড় নগরী,ভারী শিল্প,গলফ কোর্স, চিনির কারখানার জন্য পানি সরিয়ে নেয়া হবেনা - প্রকৌশলীদের আশাবাদ মতো যথেষ্ট পানি নদীতে আছে(আসলে নেই কিন্তু) এবং সেচের দক্ষতা ৬০% উন্নীত হবে(যখন কোন বাঁধ ছিলোনা তখনো ভারতে সেচ দক্ষতা ৪০% এর বেশী ছিলো) তাহলে ও এই প্রকল্পের মাধ্যমে কুচের মাত্র ২ ভাগ ও স্বরাষ্ট্রের মাত্র ৯ ভাগ চাষযোগ্য জমিকে সেচের আওতাধীন আনা সম্ভব ।
ইতিমধ্যেই এর পানি লুট শুরু হয়ে গেছে ।

সম্প্রতি এই বাঁধের সপক্ষে জাতীয় দৈনিকগুলোর পাতাজূড়ে বিশাল বিজ্ঞাপন দেয়া হয়েছে , রঙ্গীন ছবি ছাপা হয়েছে যাদের কারা তারা? ধর্মীয় ব্যক্তিত্ব,রাজনৈতিক নেতা, বড় বড় শিল্পকারখানার মালিক । কিন্তু কৃষকরা কোথায়? কুচ ও স্বরাষ্ট্রের মানুষেরা কই?
কুচের সাধারন মানুষেরা সুপ্রীম কোর্টে অভিযোগ জানিয়েছেন, যে সামান্য পানিটুকু আগে সরবরাহ করা হতো, তাও গুজরাট সরকার কমিয়ে দিয়েছে প্রতিশোধপরায়ন হয়ে ।
সবচেয়ে দুঃখজনক হলো, এই বাঁধ নির্মান ব্যায়ের মাত্র দশ শতাংশ খরচ করে সরকার স্থানীয় ছোট ছোট স্কীম গুলোকে পৃষ্ঠপোষকতা করলে,বৃষ্টির পানি সংরক্ষন করার উদ্যোগ নিলে এই অঞ্চলের প্রতিটি গ্রামে খাবার পানির অভাব মিটে যেতো ।

এই নর্মদা বাঁধ,সর্দার সরোবরের অর্থনৈতিক কিংবা পরিবেশগত কোন দিকেই কোন উপযোগীতা নেই ।
কিন্তু কথামালার রাজনীতির জন্য এটি একটি চমৎকার মুলো । মানুষকে এই মুলো ঝুলিয়ে প্রতিশ্রুতির স্বর্গে উঠানো যায়, স্বপন দেখানো যায়-এই বাঁধ কৃষকের সব সমস্যার সমাধান করে দেবে, ফসলের গোলা ভরে উঠবে এবং একে ঘিরে এই প্রতিশ্রুতির খেলা চলতে থাকে বছরের পর পর, এক সরকার থেকে আরেক সরকারে ।
একে ঘিরে সাম্প্রতিক রাজনীতির খেলা দেখো ।
নরেন্দ্র মোদী দাবী করলেন তিনি একইসাথে গরীব কৃষক এবং কর্পোরেট বেনিয়াদের স্বার্থ নিয়ে লড়বেন, তিন সত্যাগ্রহ করলেন এবং একইসাথে সহিংসতার আশংকা ও ছড়ালেন । পরিনামে প্রায় বিনা প্রতিদ্ধনিতায় উত্তরপ্রদেশের ক্ষমতায় আরোহন করলেন ।
মুলধারার সব রাজনীতির চরিত্র একই ।


জবরদস্তিমুলক নদীশাসন এবং তার পেছনের রাজনৈতিক অভিসন্ধি বুঝা গেলো তোমার বক্তব্য থেকে । কিন্তু এই বাঁধ থেকে যে বিদ্যুত উৎপাদন হবে,তার প্রয়োজনীয়তা অস্বীকার করবে কি করে?

সর্দার সরোবরের পানি থেকে বিপুল পরিমান বিদ্যুত উৎপাদনের যে গল্প সরকার শুনাচ্ছে , তাকে রীতিমত চ্যালেঞ্জ করেছেন আন্তর্জাতিক পর্যায়ে কাজ করেন এমন ক’জন বিদ্যুৎ প্রকৌশলী ও বিশেষজ্ঞ । তাঁদের একজন হিমাংশু থাক্কার ,সর্দার সরোবরের বিদ্যুৎ সম্ভাবনা নিয়ে গবেষনা করেছেন ।
তার রেফারেন্সেই আমি তিনটা পয়েন্ট উল্লেখ করতে চাই

    ১।যে ১৪৫০ মেগাওয়াট বিদ্যুতের কথা বলা হয়, প্রকৃত পক্ষে তাহলো ঐখানে স্থাপিত বিদ্যুত কেন্দ্রের মোট উৎপাদন ক্ষমতা । এখন প্রকৃতই ঐ পরিমান বিদ্যুত উৎপাদন হবে কিনা তা নির্ভর করবে সরোবরের পানি প্রবাহের গতির উপর এবং ইতিমধ্যেই আমরা জেনেছি যে পরিমান প্রবাহ পরিকল্পা করা হয়েছিল বাস্তবে পানিপ্রবাহের গতি তার থেকে অনেক কম ।

    ২। এরকম একটি বহুমুখী বাঁধের সংরক্ষিত পানি সেচকার্যে এবং বিদ্যুত উৎপাদনের জন্য ও ব্যবহার করা যায় । তারমানে কিন্তু এই নয় যে, যে পানি সেচকার্যে ব্যবহার করা হবে সেই পানিই আবার উতদ্যুত উৎপাদনে ব্যবহার করা যাবে । সেচকাজে পানির ব্যবহার যত বাড়তে থাকবে সংগত কারনেই বিদ্যুত উৎপাদন তত কমতে থাকবে ।
    তাই একই সাথে সেচ ও বিদ্যুত উৎপাদনের যে বিপুল সম্ভাবনার কথা প্রচার করা হয় তা আসলে মিথ্যাচার ।

    ৩। পানি ও বিদ্যুৎ প্রবাহ ও সরবরাহের ক্ষেত্রে যে ভয়াবহ অপচয় হয় ভারতে, তা সম্ভবতঃ পৃথিবীতে আর কোথাও হচ্ছেনা ।এতো এতো বাঁধ নির্মান করে যে পরিমান বিদ্যুৎ উৎপাদন করা হবে তার চেয়ে বেশী বিদ্যুৎ তো অপচয় করা হচ্ছে, অথচ সরকার চাইলেই তা রোধ করা যেতে পারে । সুতরাং নতুন নতুন বাঁধ তৈরী করে জনগোষ্ঠী,বনভূমি,পরিবেশ, নদীহত্যা করার আগে দেখা জরুরী এই অপচয় রোধ করা সম্ভব কিনা? আমি নিশ্চিত এটা বিরাট পরিবর্তন আনতে পারে ।

নর্মদা বাঁচাও আন্দোলন(এনবিএ) তো অনেক বছর থেকেই আন্দোলনে চালিয়ে আসছে কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ে এটা আলোচিত হচ্ছে কেন?

অবশ্যই মেধা পাটকের এর যোগ্য নেতৃত্ব এবং তার ব্যক্তিগত পরিচিতি এ ক্ষেত্রে কাজ করছে, এ ছাড়া নয়াদিল্লীতে আমৃত্যু অনশন কর্মসুচী ও সবার নজর কেড়েছে ।
তবে আমার কাছে মনে হয় বাস্তুচ্যুতি, এ সময়ে নগর ও গ্রাম নির্বিশেষে লক্ষ মানুষের ইস্যুতে পরিনত হয়েছে ।
প্রতিটি উন্নয়ন প্রজেক্ট-হোক সেটা ব্যাংগালোরে আইটি পার্ক নির্মান কিংবা কালিগংগায় ইস্পাত কারখানা অথবা পল্লাভারাম এ বাঁধ- প্রথম কাজই হচ্ছে গরীব মানুষের জমি ছিনিয়ে নেয়া । মানুষকে বন্দুকের মুখে উচ্ছেদ করা হচ্ছে । দিল্লী কিংবা বোম্বের মতো মেগাসিটিগুলো পরিনত হচ্ছে বুলডোজার ও পুলিশের জংগলে । গত জানুয়ারীতে কালিগংগায় আদিবাসীরা উচ্ছেদের প্রতিবাদ করলে গুলী করে তাদের হত্যা করা হলো , নিহত পুরুষদের হাত ও নারীদের স্তন কেটে ফেলে ক্ষতবিক্ষত লাশ ঝুলিয়ে রাখা হল বাকী বিক্ষোভকারীদের চোখের সামনে । যে কোন ঘটনায় এইভাবে আতংক ছড়িয়ে দেয়া একটি সরকারী কৌশল মাত্র ।

যখনই মানুষকে উচ্ছেদ করে বাঁধ নির্মানের প্রতিবাদ করা হয় তখনই বাঁধ নির্মানের সুফল নিয়ে গালগল্প ও মিথ্যাচার ছড়ানো হয় ।মানুষ তার বসতভাটি হারাচ্ছে,শেকড়চ্যুত হচ্ছে এই বাস্তবতা অস্বীকার করে কথার ফুলঝুঁড়ি ছিটানো হয় । পুনর্বাসনের প্রতিশ্রতি দেয়া খুব সহজ কাজ -এমনকি নরেন্দ্রমোদী ও তা দেয় কিন্তু আসলে কিছুই হয়না ।
পত্রিকায় যা আসে তার সাথে বাস্তবতার ফারাক অনেক, অনেক বেশী ।


মন্তব্য

অভিজিৎ এর ছবি

সুন্দর লেখা। তবে একটি ছোট ভুল আছে।

উন্নয়ন’ নামের মারনাস্ত্রকে যারা আসলেই বুঝতে চান তাদেরকে আমি জ্যারেড ডায়মণ্ডস এর দুর্দান্ত উপন্যাস ‘collapse’ পড়তে বলি ।

‘collapse’ কিন্তু উপন্যাস নয়। ইতিহাসের বিশ্লেষন মুলক বই। বিভিন্ন সভ্যাতার পতনের পেছনে কি কি কারণ ছিল তার কিছু আকর্ষনীয় বিশ্লেষন আছে এতে...



পান্ডুলিপি পোড়ে না। -- বুলগাকভ (মাস্টার এন্ড মার্গেরিটা)


পান্ডুলিপি পোড়ে না। -- বুলগাকভ (মাস্টার এন্ড মার্গেরিটা)

রণদীপম বসু এর ছবি

'collapse' বইটা বাংলায় অনুদিত হয়েছে কি ? কেউ কি জানেন ?

-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’

হাসান মোরশেদ এর ছবি

সম্ভবতঃ না ।
-------------------------------------
"শিয়রের কাছে কেনো এতো নীল জল? "

-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।

হাসান মোরশেদ এর ছবি

ধন্যবাদ অভি মনোযোগ দিয়ে পড়া এবং অনিচ্ছাকৃত ভুলটা ধরিয়ে দেয়ার জন্য । collapse আমার বইয়ের শেলফেই আছে , তবু কেনো যে ভুলটা হলো মন খারাপ
-------------------------------------
"শিয়রের কাছে কেনো এতো নীল জল? "

-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।

পলাশ দত্ত এর ছবি

এতো চাপের মধ্যে যে লেখাটা মন দিয়ে পড়তেই পারতেছি না। প্রিয় পোস্টে নিয়ে রাখলাম। পরবর্তী সময়ে...

==========================
পৃথিবীর তাবৎ গ্রাম আজ বসন্তের মতো ক্ষীণায়ু

হাসান মোরশেদ এর ছবি

সময় কি আর সময় দেয় ? আমার কিছুই করা হচ্ছেনা এই সময়ের কারনে । এইভাবে একদিন সময় শেষ হয়ে যাবে ।
-------------------------------------
"শিয়রের কাছে কেনো এতো নীল জল? "

-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।

শিক্ষানবিস এর ছবি

অরুন্ধতী রায়কে সাহিত্যিক হিসেবেই জানতাম। কয়েকদিন আগে গুজরাট প্রসঙ্গে তার লেখা কয়েকটা কলাম পড়ে নতুন পরিচয়টা পেলাম। সেই পরিচয় থেকেই এই লেখাটা পড়লাম। তার কথাগুলো খুব ভাল লাগছে।

হাসান মোরশেদ এর ছবি

সাহিত্যিক হিসাবে অরুন্ধতীর শেষ কাজ ঐ দশবছর আগের বুকার জয়ী ফিকশন ।
গত দশ বছর ধরে তার সব লেখা ও কাজ একজন 'এক্টিভিষ্ট' হিসাবেই । এই সিরিজের প্রথম পর্বে এই নিয়ে অরুন্ধতী'র নিজস্ব কথাবার্তা আছে । দেখে নিতে পারেন ।
-------------------------------------
"শিয়রের কাছে কেনো এতো নীল জল? "

-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।

তারেক এর ছবি

ভালো লাগা নিয়ে পড়লাম। পরের পর্বগুলোর অপেক্ষায় থাকছি...
_________________________________
ভরসা থাকুক টেলিগ্রাফের তারে বসা ফিঙের ল্যাজে

_________________________________
ভরসা থাকুক টেলিগ্রাফের তারে বসা ফিঙের ল্যাজে

দময়ন্তী এর ছবি

বইটি সম্প্রতিই হাতে এসেছে ৷ এখনও পড়তে শুরু করিনি ৷ আপনার এই প্রচেষ্টা দেখে খুব ভাল লাগল৷ ৷
তেহরীতে বাঁধ বানিয়ে তেহরী গাড়োয়াল অঞ্চলের কিরকম সর্বনাশ হয়েছে, তা আমি নিজের চোখেই দেখে এসেছি ৷ আরেকটি সাম্প্রতিক উদাহরণ হল বিহারে কোশীনদীর গতিপথ পরিবর্তন ৷ এই নিয়ে সম্প্রতি জয়া মিত্র দৈনিক প্রতিদিনে একটি চমত্কার প্রতিবেদন লিখেছিলেন ৷

একটা ছোট্ট সংশোধন ৷ মোদি "উত্তরপ্রদেশ'এর নয় "গুজরাট' এর ক্ষমতা দখল করেন ৷ উত্তরপ্রদেশে তো আমাদের "বহেনজী মায়াবতী' ৷ হাসি

-----------------------------------------------------
"চিলেকোঠার দরজা ভাঙা, পাল্লা উধাও
রোদ ঢুকেছে চোরের মত, গঞ্জনা দাও'

হাসান মোরশেদ এর ছবি

দময়ন্তী
কৃতজ্ঞতা । এই সংশোধনী খুব জরুরী লেখাগুলো সম্পুর্ন করার জন্য । স্থানিক ব্যবধানের কারনে কিছু কিছু বিষয় ধরতে সমস্যা হচ্ছে । কোন কোন জায়গার বাংলা উচ্চারনের জন্য শ্যাজাদির সাহায্য নিয়েছি ।

দ্বিতীয় পর্বে ও এরকম কিছু আছে । দেখে জানালে ভালো লাগবে ।
-------------------------------------
"শিয়রের কাছে কেনো এতো নীল জল? "

-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।

রূপক কর্মকার এর ছবি

মনের জন্য একটি পুষ্টিকর খাদ্য অরুন্ধতীর এই ইন্টারভিউটি। অনুবাদের রান্নাঘরে দক্ষ বাবুর্চি হাসান মোরশেদ ভাই।
____________________________
যেতে চাও যাবে
আকাশও দিগন্তে বাঁধা; কোথায় পালাবে?
.....আবু হাসান শাহরিয়ার

____________________________
বন্ধুত্ব মানেই তুমি বিচ্ছেদের চুক্তি মেনে নিলে
[আবু হাসান শাহরিয়ার]

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।