অরুন্ধতী পাঠ-০৩ ।।'কাশ্মীর থাকবে আমার সকল লেখার প্রেরণা হয়ে'

হাসান মোরশেদ এর ছবি
লিখেছেন হাসান মোরশেদ (তারিখ: বুধ, ১০/০৯/২০০৮ - ৫:৫২পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

.

অরুন্ধতী রায়ের এই সাক্ষাৎকারটি গ্রহন করেন পিজি রসুল, শ্রীনগর থেকে প্রকাশিত কাশ্মীর উজমা পত্রিকার সাংবাদিক- মার্চ ২০০৬ এ ।
আলোচনায় কাশ্মীর নিয়ে অরুন্ধতীর নিজস্ব ভাবনার পাশাপাশি ভারতীয় বুদ্ধিজীবিদের নিস্পৃহতা এবং ভারতের সর্ব্বোচ্চ সাহিত্য পুরস্কার 'একাডেমী পুরস্কার' প্রত্যাখান এর বিষয়টি ও উঠে আসে ।


সম্প্রতি ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত কাশ্মির ঘুরে এলে । তোমার অনুভূতি কি?
আমি আসলে খুব স্বল্প সময়ের জন্য কাশ্মীরের উরি এলাকায় গিয়েছিলাম ।যে স্বেচ্ছাসেবীদের ওখানে গিয়েছিলাম,তারা সত্যিই ভীষন নিবেদিত ছিলেন ত্রান কার্যক্রমে । যখন অন্য এনজিওগুলো ফিরে এসেছে তখন ও তারা ক্ষতিগ্রস্তদের মধ্যে থার্মোকল শিট,টিনশিট বিতরন করছিলেন ।
ভয়াবহ ধ্বংসাবশেষের মধ্যে মানুষ যেভাবে বেঁচে আছে তা অকল্পনীয়,বর্ননাতীত । নাম জিজ্ঞেস করলে নামের বদলে তারা কার্ডনাম্বার বলছে,যেনো একটা ভয়ংকর কারাগার । রাজনীতিবিদ,হুররিয়াত,সরকার কেউ আন্তরিকভাবে জানতে চাইছেনা এই সর্বস্বান্ত,বিধ্বস্ত মানুষগুলো আসলে কি চায়?

গিজগিজ করতে থাকা সৈনিক আর তাদের গোয়েন্দাদের ভীড়ে সাধারন মানুষগুলো যেনো বিকলাংগ হয়ে পড়ে আছে । ঝিলম নদীর ওপাড়ে একটা গ্রাম দেখা যাচ্ছিল। তখন তুষার ঝরছে, মানুষগুলোর কোন মাথাগুজার ঠাঁই নেই । সৈনিকদল ও তাদের হেলিকপ্টারের ভীড় অথচ কেউ বলতে পারছেনা ওপারের মানুষগুলোর জন্য কখন খাদ্যসরবরাহ হবে ।
.
আর দেখলাম লাইন অফ কন্ট্রোল মানে কেবল একটা লাইন নয়-ষাট কিলোমিটার প্রশস্ত একটি জায়গা সেখানে কাশ্মিরের সিভিল সোসাইটির ও ঢুকার অনুমতি নেই । পুরোটাই সৈন্যদের নিয়ন্ত্রনে ।


কাশ্মীরের উন্নয়ন নিয়ে ইদানিং অনেক কথাবার্তা চলছে । কর্পোরেট বিশ্বকে ব্যাপক সুযোগসুবিধা দেয়া হচ্ছে কাশ্মিরের উন্নয়ন কার্যক্রম শুরু করার জন্য । বিষয়টি কিভাবে দেখছো?

ভারতের অন্যান্য অংশের সাথে কাশ্মীর তথা উত্তর ভারতের একটা উল্লেখযোগ্য পার্থক্য হচ্ছে এখানে দারিদ্র এতো প্রকটভাবে চোখে পড়েনা । এর একটা বড় কারন অবশ্যই ১৯৫০ সালে শেখ মোহাম্মদ আব্দুল্লাহর করা ব্যাপক ভূমি সংস্কার । এই ভূমি সংস্কার কাশ্মীরিদেরকে যথেষ্ট আত্ন-নির্ভর শীল করেছে যার কারনে দীর্ঘ সময় ধরে ভয়াবহ পরিস্থিতি মোকাবেলা করে ও তারা টিকে আছে ।

আবার এই পরিস্থিতি সামলাতে গিয়ে রাজ্য ও কেন্দ্র সরকারকে এতো ব্যতিব্যস্ত থাকতে হয়েছে যে, কাশ্মীরে ঐ তথাকথিত ‘উন্নয়ন’ তারা ঘটাতে পারেনি, যা পেরেছে ভারতের বাকী অংশে- প্রাকৃতিক সম্পদ সব লুটে নিয়েছে, গরীবদেরকে সর্বস্বান্ত করেছে । এই নিওলিবারেল কর্পোরেট মডেল অসম্ভব দ্রুত গতিতে গুটিকয়েকের জন্য সর্ব্বোচ্চ সম্পদ আর সংখ্যাগরিষ্ঠের জন্য চুড়ান্ত দারিদ্র সৃষ্টি করে ।
..
ভূমি-সংস্কারের ফলে কাশ্মীরী সমাজে ন্যুনতম যে অর্থনৈতিক সমতা গড়ে উঠেছিল, কর্পোরেট ঘরানার উন্নয়ন কার্যক্রম শুরু হওয়া মাত্রই তা ধ্বসে পড়বে । আমি আশংকা করছি, সরকারের পরিকল্পনা হলো কাশ্মীরীদের আত্ন-নির্ভরশীলতাকে ধ্বসিয়ে দিয়ে শ্রেনীবৈষম্য প্রকট করে তোলা । একটা শ্রেনীকে সুযোগ করে দেয়া হবে খুব ধনী হয়ে উঠার যারা পরবর্তীতে নিজেদের স্বার্থ রক্ষার তাগিদেই যে কোন মুল্যে শান্তিরক্ষার জন্য মরীয়া হয়ে উঠবে এমনকি স্বাধীকারের দাবী বিসর্জন দিয়ে ও । অপরদিকে সংখ্যাগরিষ্ঠকে চরম দারিদ্রের দিকে ঠেলে দিয়ে এতোটাই ক্ষমতাহীন করে ফেলা হবে যে তাদের মতামতের আর কোন গুরুত্বই থাকবেনা ।
কাশ্মীরের অভিজাত শ্রেনী ও সাধারন মানুষের মধ্যে বিভাজন ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গেছে ।


রাজনৈতিক প্রবন্ধের সংকলন ‘ দ্যা এলজেব্রা অফ ইনফিনিট জাস্টিস’ এর জন্য দেয়া ‘সাহিত্য একাডেমি পুরস্কার’ তুমি প্রত্যাখ্যান করলে?

হ্যাঁ করলাম এবং কেন করলাম তা আমি সাহিত্য একাডেমিকে জানিয়েছি চিঠিতে । ওদেরকে যা জানিয়েছি সেটাই আবার বলতে পারি তোমাকে ।
যদি ও আমরা নিজেদের রাষ্ট্রকে গনতান্ত্রিক বলে জানি এবং প্রচার করি কিন্তু সত্য হলো এই রাষ্ট্রের কাশ্মীর,মনিপুর ও নাগাল্যাণ্ড রাজ্যে সেনাশাসন বলবৎ আছে এবং সেনাশাসন কার্যকর থাকা অবস্থায় নিহত ও নিখোঁজ মানুষের সংখ্যা প্রতিনিয়ত বাড়ছে । আমি সাহিত্য একাডেমীর বিচারকদের ধন্যবাদ জানিয়েছে এবং কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছি যে একটা রাজনৈতিক প্রবন্ধের সংকলনকে তারা ভারতের সর্ব্বোচ্চ সাহিত্য পুরস্কারের জন্য নির্বাচিত করেছেন । ১৯৯৮ থেকে ২০০১ সালের মধ্যে লেখা এই প্রবন্ধগুলোতে আমি ভারত রাষ্ট্র ও তার নানা নীতি -বড় বড় বাঁধ নির্মান, পরমানু অস্ত্র, সামরিকায়ন , নিওলিবারেলিজম এসবের সমালোচনা করেছি । এসময়ের মধ্যে সরকার বদল হয়েছে কিন্তু নীতি বদলায়নি , আগের সরকারগুলোর মত এই সরকার ও যে কোন মুল্যে, প্রয়োজনে সহিংস হয়েও নিজেদের পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করছে ।মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাথে ভালো বন্ধুত্ব গড়ে তোলা হয়েছে, ফলতঃ আফগানিস্তানে মার্কিন আগ্রাসন যা ন্যুরেমবার্গ নীতিমালা অনুযায়ী আন্তর্জাতিক যুদ্ধাপরাধ- ভারত সরকার তাকে ও বৈধতা দিয়েছে ।
সাহিত্য একাডেমী,বিচারকবৃন্দ এবং অতীতে যারা এই পুরস্কার পেয়েছেন তাদের সকলের প্রতিই আমার শ্রদ্ধা । কিন্তু ভারত সরকারের এইসব মানবতাবিরোধী নীতিমালার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ হিসেবেই আমি একাডেমী পুরস্কার প্রত্যাখান করেছি ।
বিজেপি আমলে আমাকে আদালত অবমাননার দায়ে জেলে যেতে হয়েছে আর এই সরকার এসে আমাকে পুরস্কার দিচ্ছে অথচ দু সরকারের কাজকর্মে তেমন কোন ফারাক নেই ।আসলে মুল উদ্দেশ্য হলো একজন লেখককে নিস্ক্রিয় করে ফেলা- তিরস্কারে কাজ না হলে পুরস্কারের লোভ দেখানো


গতবছর ‘আন্তর্জাতিক নিরুদ্দেশ দিবস ‘এ দেয়া তোমার বক্তৃতা মিডিয়াতে ঝড় তুলেছিল

আমি চাই এই সত্যটা মিডিয়াতে বারবার আসুক-কাশ্মীরে ৮ থেকে ১০ হাজার মানুষকে গুম করে ফেলা হয়েছে । কুখ্যাত পিনোচেটের শাসনকে ও লজ্জা দেবে এই পরিসংখ্যান । কিন্তু ‘গনতান্ত্রিক’ রাষ্ট্র বলে প্রচারিত তাই ভারতের বিরুদ্ধে গনহত্যার অভিযোগ উঠেনা ।
আর মিডিয়াগুলো এই বিষয়কে পাশ কাটিয়ে আমাকে নিয়ে আলোচনা সমালোচনা করতেই বেশী পছন্দ করে, এর পেছনে ও রয়েছে-রাষ্ট্র, কর্পোরেট ও মিডিয়ার সখ্যতা ।


কাশ্মীরে ভারতীয় সৈন্যসংখ্যা নিয়ে তুমি প্রায়ই বলো । বিষয়টা একটু ব্যাখ্যা করবে ?

আমরা জানি কাশ্মিরে প্রায় ৭০০,০০০ ভারতীয় সৈন্য মোতায়েন রয়েছে এবং সেনাবাহিনীর দেয়া তথ্য মতেই কাশ্মীরে সশস্ত্রজংগীদের সংখ্যা মাত্র ৩,০০০ । তাহলে এই সাতলক্ষ সৈন্য মোতায়েন কাদের নিয়ন্ত্রন করার জন্য? মাত্র ৩,০০০ হাজার জংগী নাকি কাশ্মীরের জনগনকে?

আমাদের মনে রাখতে হবে , ইরাকে মোতায়েন মার্কিন সৈন্যসংখ্যা ১৫০,০০০ এর চেয়ে ও কম । ৭০০,০০০ ভারতীয় সৈনিক নিয়ন্ত্রন করছে কাশ্মীরের জনগনের প্রতিটি মুহুর্ত,জীবনযাপনের প্রতিটি প্রনালী ।যেখানে এতো বিপুল সংখ্যায় সৈন্য মোতায়েন থাকে সেখানে কারো কারো দাবী মতে কি করে সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ন নির্বাচন হয়-আমি বুঝতে পারিনা । আমি আসলেই বুঝতে পারিনা যেখানে সেনাবাহিনী স্থায়ী ঘাঁটি গেড়ে বসে থাকে সেখানে ভোটাররা ভোট দিলে কিংবা না দিলেই কি আসে যায়?

৭ লক্ষ সৈন্যের উপস্থিতিই তো দমন-নিপীড়নের প্রমান ।
সেনাবাহিনী যখন বেসামরিক প্রশাসন চালানোর দায়িত্ব নেয় তখন তাদের জন্য আর্থিক প্রাপ্তির সুযোগ সৃষ্টি হয় ফলে তারা এই সুযোগটা দীর্ঘায়িত করতে চায়, তারা পরিস্থিতি তেমনই তৈরী করে রাখে যাতে তাদের প্রয়োজন আর না ফুরায় ।
এটা প্রত্যেকের জন্য একটা বিপদ্দজনক পরিস্থিতি-কাশ্মীর,ভারতীয় জনগন এমনকি ভারতীয় সেনাবাহিনীর জন্য ও ।


..
তাহলে কাশ্মীরে আগ্রাসন ও অবিচারের প্রতিবাদে ভারতীয় বুদ্ধিজীবি ও নাগরিক সমাজ চুপ কেনো?

সহজ উত্তর হলো ,ভারতীয় মিডিয়া ব্যবহৃত হচ্ছে কাশ্মীরের আসল সত্যকে চেপে রেখে তার বদলে বিকৃত রাজনৈতিক প্রচারনা চালাতে ।
আসল সত্য জানতে হলে কাউকে সেখানে যেতে হবে,দীর্ঘ সময় ধরে ঘটনার মধ্যে থাকতে হবে । অনেকেই যান কিন্তু নিজেদের অগোচরেই আর্মি ,সরকার ও এনজিওদের সম্মিলিত নেটওয়ার্কের খপ্পরে পড়ে বানানো ঘটনার স্বাক্ষী হন । এ ছাড়া সৈন্য,গোয়েন্দা ও গুপ্তচরদের পাতানো জালের ভেতরে থেকে সাধারন মানুষের পক্ষে কোন আগন্তুককে বিশ্বাস করা কিংবা ভয়ংকর পরিস্থিতির তথ্য জানানো সম্ভব হয়না ।
যা হোক আমি আসলে ভারতীয় বুদ্ধিজীবি ও নাগরিক সমাজের নিস্পৃহতার পক্ষে কোন যুক্তি দাঁড় করাচ্ছিনা । এই নির্লিপ্ততার মুল্য একদিন পরিশোধ করতেই হবে ।


তুমি তোমার বই ‘ এন অর্ডিনারী পার্সোনস গাইড’ এবং ‘দ্যা চেকবুক এন্ড দ্যা ক্রুজ মিসাইল ‘ এ কাশ্মীরের প্রসংগ টেনেছো, সম্প্রতি কাশ্মীর ঘুরে ও এসেছো । আমরা কি কাশ্মীর নিয়ে তোমার কোন বই আশা করতে পারি?

কাশ্মীর কে আমি কোন বইয়ের বিষয়বস্তু হিসেবে দেখিনা ।এটা তার চেয়ে ও গভীর কিছু । একজন লেখকের জন্য কাশ্মীর এমন একটা কিছু যা তাকে একটা মানবগোষ্ঠীর ক্ষমতা,ক্ষমতাহীনতা, নৃশংসতা,সংকট ও প্রতিরোধ বিষয়ে প্রকৃত শিক্ষা দিতে পারবে ।
না, কাশ্মীর নিয়ে আমি আলাদা কোন বই লিখবোনা । কাশ্মীর থেকে যাবে আমার সকল লেখার প্রেরণা হয়ে ।


মন্তব্য

শামীম আরেফিন এর ছবি

আপনার অনুবাদ বেশ ঝরঝরে । চমৎকার বাংলায় অরুন্ধতী পাঠের সুযোগে দেয়ার জন্য ধন্যবাদ । যদিও এরকম দীর্ঘ লেখা ব্লগের মেজাজের সাথে যায় কিনা ভাবছি ।
পরবর্তী পর্বের জন্য অপেক্ষায় থাকলাম ।

হাসান মোরশেদ এর ছবি

শামীম আরেফিন,
আপনাকে ও ফিরতি ধন্যবাদ ।

যদিও এরকম দীর্ঘ লেখা ব্লগের মেজাজের সাথে যায় কিনা ভাবছি ।

মেজাজটা তো আমরাই তৈরী করছি,তাইনা?

-------------------------------------
"শিয়রের কাছে কেনো এতো নীল জল? "

-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।

ফারুক ওয়াসিফ এর ছবি

একটা শ্রেনীকে সুযোগ করে দেয়া হবে খুব ধনী হয়ে উঠার যারা পরবর্তীতে নিজেদের স্বার্থ রক্ষার তাগিদেই যে কোন মুল্যে শান্তিরক্ষার জন্য মরীয়া হয়ে উঠবে এমনকি স্বাধীকারের দাবী বিসর্জন দিয়ে ও । অপরদিকে সংখ্যাগরিষ্ঠকে চরম দারিদ্রের দিকে ঠেলে দিয়ে এতোটাই ক্ষমতাহীন করে ফেলা হবে যে তাদের মতামতের আর কোন গুরুত্বই থাকবেনা । কাশ্মীরের অভিজাত শ্রেনী ও সাধারন মানুষের মধ্যে বিভাজন ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গেছে ।

এই কাজটাই ভারতববর্ষে উপনিবেশ কায়েমের সময় করা হয়েছিল, এখনও করা হচ্ছে নিও লিবারেল অর্থনৈতিক তরিকায়। কাশ্মীর যে ভারতের দখলি উপনিবেশ এর মাধ্যমে সেটাই প্রমাণ করা হলো। তারা এখন সেখানে দালাল মধ্যবিত্ত শ্রেণী বানাবে, যারা চিরস্থায়ি বন্দোবস্তের জমিদারকুল ও তাদের সাহিত্যিক-বুদ্ধিজীবীদের মতো বলে যাবে, লং লিভ দ্য কুইন, লং লিভ আমেরিকা, লং লিভ ভারত।
আমাদের দেশেও শান্তিচুক্তির পর পার্বত্য চট্টগ্রামে এডিবির মাধ্যমে, বিবিধ এনজিওদের কর্মসূচি দিয়ে চাকমাদের মধ্য থকে একটা সুবিধাভোগী অংশ তৈরি করা হচ্ছে, যারা আপন স্বার্থেই জনগণের বিপক্ষে থাকবে।
ধন্যবাদ হাসান মোরশেদ, আপনার চমতকার ও কার্যকরি এ সিরিজিটার জন্য।

হাঁটাপথে আমরা এসেছি তোমার কিনারে। হে সভ্যতা! আমরা সাতভাই হাঁটার নীচে চোখ ফেলে ফেলে খুঁজতে এসেছি চম্পাকে। মাতৃকাচিহ্ন কপালে নিয়ে আমরা এসেছি এই বিপাকে_পরিণামে।

হাসান মোরশেদ এর ছবি

কৃতজ্ঞতা ফারুক ওয়াসিফ ।

ছোট বড় সব নিওলিবারেল প্রজেক্টের কৌশলপত্রগুলো সেই একই রকম । আমাদের এদিকে শুধু পার্বত্য চট্রগ্রামেই নয় আর সব ইন্টারেস্ট স্টেক গুলোতে ও একই অবস্থা ।

ফুলবাড়ির প্রত্যক্ষ অভিজ্ঞতা তো আপনার আছেই ।

ইউনিকল/অক্সিডেন্টাল সিলেটে যখন প্রথম কাজ শুরু করে,স্থানীয় পর্যায়ের চাকরীগুলো দিয়েছিল সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের প্রথম সারীর লোকজনদের, প্রেসক্লাবের সবগুলো এয়ারকন্ডিশনার ছিলো তাদের টাকায় ।
-------------------------------------
"শিয়রের কাছে কেনো এতো নীল জল? "

-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।

পলাশ দত্ত এর ছবি

অরুন্ধতীর সাক্ষাত্কারের এই কাজটা বই হওয়া দরকার।

==========================
পৃথিবীর তাবৎ গ্রাম আজ বসন্তের মতো ক্ষীণায়ু

হাসান মোরশেদ এর ছবি

বই?
টু বি অর নট টু বি!
-------------------------------------
"শিয়রের কাছে কেনো এতো নীল জল? "

-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।

শেখ জলিল এর ছবি

হাসান মোরশেদের অরুন্ধতী পাঠ খুব ভালো লাগছে। কাশ্মীর নিয়ে লেখিকার একটা অনুবাদ দেখেছিলাম প্রথম আলোতে। এ লেখাটি পড়ে আরও বেশি জানলাম। ধন্যবাদ।

যতবার তাকে পাই মৃত্যুর শীতল ঢেউ এসে থামে বুকে
আমার জীবন নিয়ে সে থাকে আনন্দ ও স্পর্শের সুখে!

হাসান মোরশেদ এর ছবি

জলিল ভাই,
ভালো লেখকের পাশাপাশি আপনি মনোযোগী পাঠক ও বটে ।
এই সিরিজের যে কোন লেখা পড়তে গিয়ে কোন জায়গায় হোঁচট খেলে কিংবা শব্দচয়ন,বাক্যবিন্যাসে অসংগতি চোখে পড়লে দয়া করে জানাবেন ।
-------------------------------------
"শিয়রের কাছে কেনো এতো নীল জল? "

-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।

অতিথি লেখক এর ছবি

ধন্যবাদ আপনাকে কারন এই লেখার জন্য কাশ্মীর সম্পরকে অনেক নতুন তথ্য পাওয়া গেল । আর আসল সত্যের কিছুটা আন্দাজ পাওয়া গেল ।
নিবিড়

দময়ন্তী এর ছবি

কাশ্মীর নিয়ে অরন্ধতি রায়ের সাম্প্রতিক সাক্ষাত্কারটি পড়ে দেখতে পারেন৷

অরুন্ধতি'র "কাশ্মীর তথা উত্তরভারত ' শব্দবন্ধটায় একটু আপত্তি আছে৷ উত্তরভারত বলতে কিন্তু জম্মু-কাশ্মীর ছাড়াও উত্তরাখন্ড্, পাঞ্জাব, হিমাচলপ্রদেসh, হরিয়ানা, দিল্লী এবং উত্তরপ্রদেশকে বোঝায়৷ আর হিমাচলপ্রদেশ, উত্তরাখন্ড, উত্তরপ্রদেশে দারিদ্র্য যেথেষ্ট প্রকট৷ ঠিক যেমন পাঞ্জাবের স্বাচ্ছল্যও দিব্বি চোখে পড়ে ৷ কাজেই উনি যখন লিখছেন "Kashmir and North India" তখন সেটা একটু মিসলিডিং হয়ে যাচ্ছে৷

আপনার অনুবাদ চমত্কার৷ কিন্তু অনেক সংক্ষেপ করছেন যে! কেন?

-----------------------------------------------------
"চিলেকোঠার দরজা ভাঙা, পাল্লা উধাও
রোদ ঢুকেছে চোরের মত, গঞ্জনা দাও'

হাসান মোরশেদ এর ছবি

"Kashmir and North India" তখন সেটা একটু মিসলিডিং হয়ে যাচ্ছে৷

সহমত । তবে অরুন্ধতী নিজে এরকম উদ্বৃত করায় তাই রেখে দিচ্ছি । নাকি এটাকে অন্যভাবে বুঝানো যায়? কোন পরামর্শ?

বইয়ে যতোটুকু আছে তার থেকে তেমন সংক্ষেপ হলো কি? আমি আসলে 'ওয়ার্ড টু ওয়ার্ড' অনুবাদে যাচ্ছিনা । বাংলাদেশের পাঠকদের জন্য পাঠরীতি সাবলীল,সেটা মানতে যাচ্ছি । ফলে বাক্যে কিছুটা সংকোচন ঘটছে । কিন্তু জরুরী কোন বিষয় কি বাদ পড়লো?

আপনার সযতন মনোযোগ প্রেরনা যোগাবে ।
-------------------------------------
"শিয়রের কাছে কেনো এতো নীল জল? "

-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।

দময়ন্তী এর ছবি

না না এই অংশে কিছু সংক্ষেপের কথা বলছি না৷ আমি বলছি
The Colonization of Knowledge
Terror and the Maddend King
Development Nationalism
Seize the Time
এই চ্যাপ্টারগুলো দেখলাম না তাই৷ এগুলো কি পরে আনবেন? নাকি আমি আগের কিছু অংশ মিস করেছি?

-----------------------------------------------------
"চিলেকোঠার দরজা ভাঙা, পাল্লা উধাও
রোদ ঢুকেছে চোরের মত, গঞ্জনা দাও'

দময়ন্তী এর ছবি

কাশ্মীর নিয়ে সাম্প্রতিক সাক্ষাত্কার

-----------------------------------------------------
"চিলেকোঠার দরজা ভাঙা, পাল্লা উধাও
রোদ ঢুকেছে চোরের মত, গঞ্জনা দাও'

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।