সময়টা তাহলে কখন?

হিমু এর ছবি
লিখেছেন হিমু (তারিখ: বুধ, ১৮/০২/২০০৯ - ৬:০৭পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

প্রথম আলোর ১৬.০২.২০০৯ তারিখে পড়লাম, পাকিস্তানের রাষ্ট্রপতির বিশেষ দূত জিয়া ইস্পাহানি বাংলাদেশের মাটিতে দাঁড়িয়ে বলেছে, যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের দাবি উত্থাপনের সময় এখন নয়

2009_02_17_1_13_b
2009_02_17_13_18_b

ক্ষমতাসীন পাকিস্তান পিপলস পার্টির প্রেসিডেন্ট আসিফ জারদারির বিশেষ দূতের কাছ থেকে বেশি কিছু আশা করি না আমি। কারণ পিপিপির এককালের কান্ডারী ছিলো পৃথিবীর জঘন্যতম গণহত্যার পরিকল্পক জুলফিকার আলী ভূট্টো, যার মুখে আমি থুথু দেই। ভূট্টোকে ফাঁসির দড়িতে ঝোলানোর পর এই দলের হাল ধরে ১৯৭১ সালে নিরস্ত্র মানুষের ওপর সেনাহামলার নেতৃত্ব দানকারী টিক্কা খান, যার মুখে আমি থুথু দেই। ভূট্টো-টিক্কাখানের নেতৃত্বে যে রাজনৈতিক দল, তারা কি আদপেই কখনো ১৯৭১ এর যুদ্ধাপরাধের বিচার চাইতে পারে? বাঙালিহত্যাকারী বাস্টার্ড ভূট্টোর ছিনাল মেয়ে বেনজীরের চোট্টা জামাইয়ের দূত জিয়া ইস্পাহানি তো এসব বলবেই।

আর পাকিস্তান জাতিটাই তো সভ্য হয়ে ওঠার সমস্ত সুযোগ ঝিলামের জলে বিসর্জন দিতে চায়। তাদের দূতের কাছ থেকে ভব্যতা আমরা কেন আশা করবো?

কোন পাকিস্তানীর মুখে যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের সময় অসময়ের কথা শুনতে চাই না। মাদারচোদ খানকির পোলাদের মুখে "এগিয়ে যাওয়ার" বা "উন্নয়নের" ফাঁকা বুলি শুনলে বিরক্ত লাগে। সোয়াত উপত্যকায় তোদের সংবিধানের মা-কে তালিবানরা তোদের সংবিধানের বাপের কান্ধে ফেলে চুদছে, আর তোরা আসিস এগিয়ে যাওয়ার কথা শোনাতে।

তোদের সময় কখনও হবে না। কারণ তোরা মাদারচোদ।


মন্তব্য

প্রকৃতিপ্রেমিক এর ছবি

ঢাবির ম্যাথ ডিপার্টমেন্টের একজন শিক্ষক আছেন, নাম আব্দুর রহমান। উনি আমাদের মাইনর ক্লাসে পড়াতেন। কোন ভুল ভ্রান্তি হলেই বলতেন "বোকাচো"-- সংক্ষেপে সুন্দর করে খারাপ কথাটা শুনিয়ে দিতেন।

জনাব বিশেষ দূতকে আমিও বলি-- বোকাচো কোথাকার।

ধুসর গোধূলি এর ছবি

- তুই খবরটা দেখস নাই কপাল ভালো। আগি এনটিভিতে খবরে এই রিপোর্টটা দেখছি। আমাদের শ্রদ্ধেয় পররাস্ট্রমন্ত্রী ঐ বিশেষ দূতের এই কথা বলার পরও বেশ হাসিমুখে বাতচিত চালিয়ে গেছেন।

মিটিং শেষ করে বের হবার পর জনৈক মহিলা সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে ওই দূত জানালো (প্রেসিডেন্ট) জিয়াউল হক নাকি ক্ষমা চাইছে বাংলাদেশ সরকারের কাছে। জানোস কিছু এই ব্যাপারে!

আর আমার মাথায় এইরা ঢুকেনা পাকিস্তানের সঙ্গে কী এমন জটিল গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে বাংলাদেশের সহযোগিতা চুক্তি করার সময় এখন যে যুদ্ধাপরাধ নিয়ে কথা বলা যাবে না! এই চুতিয়ারা তো মুম্বাই ঘটনার জন্য বাংলাদেশের ঘাড়ে দোষ চাপাতে চাইছে।
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক

হিমু এর ছবি

ঐ পাকিছানারে জিজ্ঞেস করা উচিত ছিলো, যে সে সরকারী প্রোটোকল দেখাইতে পারবে কি না এই বিষয়ে। জিয়াউল হক আবার কবে ক্ষমা চাইলো?

পারভেজ মুশাররফ আসছিলো ঢাকায়, স্মৃতিসৌধে গিয়া কইসিলো ৭১ সালে যা হইসিল তা ঠিক হয় নাই। এই কথার তো হাজার রকম অর্থ করা যায়। তোরা হাঁটু গাইড়া বইসা মাপ চাবি ভিলি ব্রান্টের মত। তার আগে কিসু বুঝি না। তোদের মিষ্টি কথার মায়রে ...।


হাঁটুপানির জলদস্যু

আনোয়ার সাদাত শিমুল এর ছবি

ক্যাম্বোডিয়াতে গনহত্যার বিচার শুরু

বাংলাদেশে গনহত্যার বিচার শুরু শিরোনামের অপেক্ষায়...
ইরফান রাজার মতো একেও গদাম দেয়া উচিত

বিপ্রতীপ এর ছবি

'পাকিস্থান' নামক শব্দটি শুনলেই গা জ্বালা করে...দুনিয়ার যতো গালি জানি তার সবগুলো এই জানোয়ার ইস্পাহানির প্রতি উগড়ে দিলেও সেই জ্বালা কমবে না...
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
খুঁজে যাই শেকড়ের সন্ধান...

অমিত আহমেদ এর ছবি

দু'টো চড় মেরে প্লেনে উঠিয়ে দেয়া দরকার ছিলো।


ওয়েবসাইট | ব্লগস্পট | ফেসবুক | ইমেইল

সংসারে এক সন্ন্যাসী এর ছবি

(ছাপার অযোগ্য)... (ছাপার অযোগ্য)... (ছাপার অযোগ্য)... (ছাপার অযোগ্য)... (ছাপার অযোগ্য)... (ছাপার অযোগ্য)... (ছাপার অযোগ্য)... (ছাপার অযোগ্য)... (ছাপার অযোগ্য)... (ছাপার অযোগ্য)... (ছাপার অযোগ্য)... (ছাপার অযোগ্য)... (ছাপার অযোগ্য)... (ছাপার অযোগ্য)...

~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
যৌনদুর্বলতায় ভুগছি দীর্ঘকাল। দুর্বল হয়ে পড়ি রূপময়ী নারী দেখলেই...

~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
টাকা দিয়ে যা কেনা যায় না, তার পেছনেই সবচেয়ে বেশি অর্থ ব্যয় করতে হয় কেনু, কেনু, কেনু? চিন্তিত

কীর্তিনাশা এর ছবি

তোদের সময় কখনও হবে না। কারণ তোরা মাদারচোদ।

-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।

-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।

রেনেট এর ছবি

সন্ন্যাসীদার কমেন্ট কপি মারলাম।

(ছাপার অযোগ্য)... (ছাপার অযোগ্য)... (ছাপার অযোগ্য)... (ছাপার অযোগ্য)... (ছাপার অযোগ্য)... (ছাপার অযোগ্য)... (ছাপার অযোগ্য)... (ছাপার অযোগ্য)... (ছাপার অযোগ্য)... (ছাপার অযোগ্য)... (ছাপার অযোগ্য)... (ছাপার অযোগ্য)... (ছাপার অযোগ্য)... (ছাপার অযোগ্য)...
---------------------------------------------------------------------------
If your father is a poor man, it's not your fault ; but If your father-in-Law is a poor man, it's definitely your fault.

---------------------------------------------------------------------------
একা একা লাগে

নদী এর ছবি

ঐ দূত ঐ মন্তব্য করার পর বাংলাদেশ থেকে বের করে দেবার দরকার ছিল। যদি সে এখনও বাংলাদেশে থেকে থাকে, তাহলে কূটনৈতিক শিষ্টাচার বহির্ভূত আচরণের জন্য তাকে পরবর্তী কোন মিটিং থেকে থাকলেও তার সুযোগ না দিয়ে তাকে বের করে দেওয়া উচিৎ।

নদী

খেকশিয়াল এর ছবি

খানকির পোলাগো এই দেশে ঢুকা বন্ধ কইরা দেয় না কেন? সব সম্পর্ক বন্ধ কইরা দেক! খানকি মাগীর পোলারা তোমরা সহায়তা করন চুদাইবা? তোমাগো সহায়তার পুটকি মারি!
কেনো ঐ বিষয় নিয়া আলোচনা চুদাও নাই কেন? এখন আইসো সামনে এগিয়ে যাওন চুদাইতে? খানকি মাগীর পোলারা ..

------------------------------
'এই ঘুম চেয়েছিলে বুঝি ?'

-----------------------------------------------
'..দ্রিমুই য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

সম্পূর্ণ পোস্টে পূর্ণ সহমত...

কারণ পিপিপির এককালের কান্ডারী ছিলো পৃথিবীর জঘন্যতম গণহত্যার পরিকল্পক জুলফিকার আলী ভূট্টো, যার মুখে আমি থুথু দেই।

অফটপিক: ফেইসবুকে খুঁজতেছি কোনো নোট আসলো কি না নতুন, চোখ টিপি
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

অমিত এর ছবি

কোন পাকিস্তানীর মুখে যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের সময় অসময়ের কথা শুনতে চাই না। মাদারচোদ খানকির পোলাদের মুখে "এগিয়ে যাওয়ার" বা "উন্নয়নের" ফাঁকা বুলি শুনলে বিরক্ত লাগে। সোয়াত উপত্যকায় তোদের সংবিধানের মা-কে তালিবানরা তোদের সংবিধানের বাপের কান্ধে ফেলে চুদছে, আর তোরা আসিস এগিয়ে যাওয়ার কথা শোনাতে।

তোদের সময় কখনও হবে না। কারণ তোরা মাদারচোদ।

চলুকচলুকচলুক

এনকিদু এর ছবি


ওদের কি এমন আছে যা দিয়ে আমাদের উপকার করতে পারবে ? ওদের সাথে চুক্তি তে বাংলাদেশের কি লাভ ? ওদের সাথে মিলে উন্নয়নের দিকে আগানোর ব্যাপারটা আমি বুঝতে পারছি না । এরা তো জানতাম উন্নয়নের উলটা পথে হাঁটা জাতি ।


আমাদের কিসের অভাব যে পাকিস্তানের সাথে হাত মিলিয়ে উন্নয়নের দিকে এগিয়ে যেতে হবে ? সরকার কেন এদের সাথে চুক্তি করতে আগ্রহী বুঝলাম না । বিএনপির পর আওয়ামী লীগও কি জামাত-রাজাকার-মৌলবাদের জন্য ছায়া হয়ে দাঁড়াতে চায় ?


এর সাথে যুদ্ধাপরাধী নিয়ে আলোচনা করার দরকার টা কি তাও বুঝলাম না । আমাদের অপরাধী আমরা আমদের আইনে বিচার করে তারপর আইন যদি বলে তবে তাল গাছে ঝুলিয়ে রাখব, অথবা আইন যদি বলে শালগাছ, তাহলে শাল গাছে ঝুলাব ।


অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...


অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

কদু সাহেব... যুদ্ধাপরাধীরা যে তাদের দোসর... বাঁচাতে হবে না?
আর যুদ্ধাপরাধী বলতে শুধু তো রাজাকার আল বদর না... পাকি জেনারেল থেকে সোলজার পর্যন্ত সব বাইনচোতই তো যুদ্ধাপরাধী...
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

এনকিদু এর ছবি

হুমম তাইলে তো এই লোকটাকে পাকিস্তানে ফেরত যেতে দেয়া যাবেনা । বাংলাদেশে যখন একবার এসেই পড়েছে, এর বিচারটাও হয়ে যাক ।


অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...


অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...

নিঝুম এর ছবি

আমার কাছে অবাক লাগলো , এত গুলা সাংবাদিক ওইখানে ছিলো । তারা একটিবারো ওই জারজটারে জাঁতা দিয়া ধরলো না । সাংবাদিকরা সবাই চাইলে ওকে ঠিক্মত প্রশ্ন করে নাস্তানাবুদ করতে পারত । এন টিভিতে খবরের অংশটুকু দেখলাম । কি বলি...
---------------------------------------------------------------------------
কারও শেষ হয় নির্বাসনের জীবন । কারও হয় না । আমি কিন্তু পুষে রাখি দুঃসহ দেশহীনতা । মাঝে মাঝে শুধু কষ্টের কথা গুলো জড়ো করে কাউকে শোনাই, ভূমিকা ছাড়াই -- তসলিমা নাসরিন

---------------------------------------------------------------------------
কারও শেষ হয় নির্বাসনের জীবন । কারও হয় না । আমি কিন্তু পুষে রাখি দুঃসহ দেশহীনতা । মাঝে মাঝে শুধু কষ্টের কথা গুলো জড়ো করে কাউকে শোনাই, ভূমিকা ছাড়াই -- তসলিমা নাসরিন

তানবীরা এর ছবি

পাকিস্তান থেকে যদি আমাদের পরামর্শ নিতে হয় কখন তাদেরকে ধরবো, তাইলে মরতেও চাই না, এমনিতেই শ্যাষ হইয়া যাইতে চাই

তানবীরা
---------------------------------------------------------
চাই না কিছুই কিন্তু পেলে ভালো লাগে

*******************************************
পদে পদে ভুলভ্রান্তি অথচ জীবন তারচেয়ে বড় ঢের ঢের বড়

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।