নাম্পাল্টান্তিস

হিমু এর ছবি
লিখেছেন হিমু (তারিখ: মঙ্গল, ২২/১২/২০০৯ - ১০:২২পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

বড়সড় পরীক্ষার আগে ভাবতাম, আচ্ছা বসতেসি পড়তে। কঠিন জিনিস। আগে একটু গা গরম করে নিই। চা খাই এক্কাপ। ওরে কে আছিস, এক্কাপ চা ...।

চা খাওয়া শেষ হবার পর ভাবতাম, আচ্ছা পড়তে তো বসবোই, একটু মুড়িমাখা খাই। হাতের কাছে একটা বই আছে, একটু শুয়ে পড়ি।

পড়তে পড়তে বোরড হয়ে গেলে ভাবতাম, টুনিকে ফোন করে পিঠা করতে বলি।

ফোনে কথা বলে বোরড হয়ে গিয়ে ভাবতাম, যাই দেখি টিভিতে কোনো সুন্দরী সংবাদপাঠিকা খবর পড়ছে কি না।

খবর শেষ হবার পর ভাবতাম ... ।

পড়তে বসতে গিয়ে খবর হয়ে যেতো।

সরকারের অবস্থা হয়েছে সেইরকম। যুদ্ধাপরাধীদের বিচার সামনে, এখন তারা বিল্ডিং বানাবে, চুনকাম করবে, লনের আগাছা সাফ করবে।

হে সরকার, সুমায় গেলে সাধন হবে না। আপনাদের পোন্দে বাঁশ ঢোকানোর জন্যে যুদ্ধাপরাধীরা দিনে ২৪ ঘণ্টা আর সপ্তাহে ৭ দিন তৎপর। পড়তে বসেন, নাহলে আমলনামা আমার মতোই বি আর বি মাইনাসে ভরে থাকবে।

জিয়া আন্তর্জাতিকের নাম পরে পাল্টায়েন। আগে কামের কাম করেন।

কিছু যদি না বোঝেন, নিচের ছবি তিনটা দেখেন।


ছবি ১:
.
zz1
.

বিম্পি ক্ষমতায় থাকলে যা করে।
.
.
.
ছবি ২:
.
zz2
.
আপনারা ক্ষমতায় থাকলে যা করেন।
.
.
.
ছবি ৩:
.
zz3
.
মাঝখান দিয়ে যা ঘটে যায়।


মন্তব্য

উজানগাঁ এর ছবি

হা হা হা !! ভালো বলছেন। হাসি

কল্পনা আক্তার এর ছবি

এই লেখার লিন্কটা সরকারের প্রযোজ্য দফতরে পাঠাতে পারলে অনেক আরাম পেতাম। ওদের চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দেয়া যেতো যে, তাদের অবস্থান কোথায়।
........................................................................................................
সব মানুষ নিজের জন্য বাঁচেনা


........................................................................................................
সব মানুষ নিজের জন্য বাঁচেনা

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

হা হা হা হা... ভালো কইছেন... এই সরকার যুদ্ধাপরাধীদের বিচাররে প্রায়োরিটিতে সবার শেষে রাখছে। আগে তারা অন্যসবকিছুর বিচার হবে। দেশে যখন একটা মুরগী চুরির কেইসও অবিচার্য থাকবে না, তখন তারা রয়ে সয়ে হাত দিবে যুদ্ধাপরাধীদের বিচারে...

হায়... ততদিনে কে যে কার বিচার করবে...
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

নাশতারান এর ছবি

মাঝখান দিয়ে হার্ডডিস্ক ক্র্যাশ করে। পিসি ফরম্যাট করতে হয়। সব মেমোরী মুছে যায়। বুঝমান ব্যক্তির উচিত ব্যাকআপ রাখা।

_____________________

আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।

ওয়াইল্ড-স্কোপ [অতিথি] এর ছবি

নাম স্রেফ পরিবর্তনের কথা বললেন - পরিবর্ধনের কি হবে? চোখ টিপি
auto
"বঙ্গবন্ধু খলিফাতুল মুসলিমিনের একজন, জয় বাংলা স্লোগানে বরকত ও ফজিলত আছে" - হায়দার আলী চৌধুরী উক্তি (‘পবিত্র কুরআন-হাদিসের আলোকে খলিফাতুল মুসলিমিন জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব' বইয়ের লেখক)

শাহেনশাহ সিমন এর ছবি

"বঙ্গবন্ধু খলিফাতুল মুসলিমিনের একজন, জয় বাংলা স্লোগানে বরকত ও ফজিলত আছে" - হায়দার আলী চৌধুরী উক্তি

কস্কি মমিন! !!!
_________________
ঝাউবনে লুকোনো যায় না

_________________
ঝাউবনে লুকোনো যায় না

উদ্ভ্রান্ত পথিক এর ছবি

ভালু বলছেন। দেশের সকল সমস্যা শেষ হইতে হইতে সরকারের মেয়াদ শেষ হয়ে যাইবো মাগার যুদ্ধাপরাধীরা হাওয়া খাইতেই থাকবো।

---------------------
আমার ফ্লিকার

অতিথি লেখক এর ছবি

জটিল উপস্থাপন । হাসলাম । হাসার পর মনে হল, বিষয়টা মোটেও হাসির না।

এর আগে লিখেছিলেন
এ বিজয় আওয়ামী লীগের নয়, এ পরাজয় মুক্তিযোদ্ধাহন্তারকগোষ্ঠীর ভাবছি এবার বিচার না করা হলে , আদৌ করার সুযোগ আসবে কিনা ।

বোহেমিয়ান

মজনুভাই [অতিথি] এর ছবি

আমার মনে একটা আশংকা(আশংকা সিরাম লিখতারিনা)যে, আমাদের হয়ত সত্যি সত্যিই আবার অস্ত্র ধরতে হতে পারে। আশংকার কারণ যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করার ব্যপারে সরকারের সার্বিক গড়িমসি। অদ্য গত কয়েক দিন যাবৎ রাজাকার বিরোধী লেখাগুলোতে সরকারের করণীয় সম্পর্কে বিভিন্ন মন্ত্যব্য ছাড়া সরাসরি কোনো পোস্ট আসেনি।(এইটা বাদে) সচলে। তাই আমি বলি যে, সরকারের করণীয় কাজের বিষয়ে আরো বিস্তৃত একটা লেখা আপনি দেন, যেটা স্টিকি করে রাখা হবে।

এধরনের পোস্টের কথা বলার কারণ, সরকার বিচার না করলে আমরা বাংলার মানুষ বিচার করতে পারি,(আর সে জন্যে আবার অস্ত্র ধরতে হতে পারে)। কিন্তু আমরাই যে সরকারকে বিচার করার খমতা দিয়ে দিয়েছি। আ'লীগ ছাড়া আর কোনো সরকার এদের বিচার করবে বলে মনে হয়না আমার।

সুমন চৌধুরী এর ছবি

শেষেরটাতে খাটনি কম ...



অজ্ঞাতবাস

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।