মানবাক্রান্ত

নীড় সন্ধানী এর ছবি
লিখেছেন নীড় সন্ধানী (তারিখ: রবি, ১৩/০৩/২০১৬ - ৪:২৩অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

আরেকটু বড় হলেই ছেলে দুটো তাকে ছেড়ে চলে যাবে। এই সত্যটি জেনেও বিলু তাদের খাবার যোগান দিতে কখনো আলসেমি করে নি এবং সেটা অস্বাভাবিক কিছু নয়। পৃথিবীর আর দশটা মা যেমন সন্তানকাতর, বিলুও তেমনি। বিলুর নিজের কোন স্থায়ী ঠিকানা নেই, পরের ঘরেই তার সংসার। সন্তানদের বাবা তাদের জন্ম নেয়ার আগ থেকেই নিখোঁজ। বিলু জানে পুরুষেরা এমনই স্বার্থপর হয়। মেলামেশায় যতটা আগ্রহ, সন্তান পালনে ততটাই অনাসক্তি। সমাজ এবং প্রকৃতি দুটো মিলে ঠিক করে দিয়েছে বিলুকেই সন্তান পালনের দায়িত্ব নিতে হবে- বাবার কোন দায়িত্ব থাকবে না। বাবা সন্তান জন্মদানের প্রক্রিয়াটা সমাপ্ত করেই উধাও হয়ে যায়। এমনকি মাঝে মাঝে যখন বিলুর মনটা উদাস হয়, খুব একা লাগে, তখনো তাকে কাছে পাবার উপায় নেই। সে হয়তো তখন অন্য পাড়ায় ভিন্ন কোন নারীর সাথে রমণে লিপ্ত। সবকিছু বুঝেও বিলু মুখ বুজে থাকে।

মিলু তিলু দুই ভাইয়ের সকল দুষ্টুমি বিলু যেমন সয়ে থাকে, আশ্রয়দাতা পরিবারের মেয়েটিও সহ্য করে। শুধু সহ্য নয়, মেয়েটি বরং মিলু তিলুকে অধিকতর প্রশ্রয় দেয়। দিতে দিতে এত মাথায় তুলেছে যে দুই ভাই মাঝে মাঝে তার বিছানায় উঠে গড়াগড়ি খায়। বিলু তখন দরজার বাইরে কান পেতে থাকে কখন একটা চটকানা দিয়ে মেয়েটা দুই ভাইকে ছুঁড়ে ফেলে দেবে ঘরের বাইরে। কিন্তু কখনোই এমনটি ঘটেনি। মেয়েটি বড় ভালো। বেঁচে যাওয়া মাছ মাংস লুকিয়ে তাদের খেতে দেয় হরদম। বিলু খুব কৃতজ্ঞবোধ করে তনিমা নামের মেয়েটির প্রতি। সেও বাল্যকাল থেকে এই বাড়িতেই আছে।

তনিমা যখন পিঠে ব্যাগ ঝুলিয়ে দুটো বেণী দুলিয়ে সকালের মিঠে রোদ মাড়িয়ে স্কুলে যায় তখন বিলু দরোজা পর্যন্ত এগিয়ে যায় পিছু পিছু। সে কি দরোজায় দাঁড়িয়ে নিঃশব্দে একটা দীর্ঘশ্বাস ফেলে মিলু তিলুর কথা ভেবে?

গতকাল রাতে যখন সবাই খেয়েদেয়ে শুতে গেছে তখনো মিলু তিলু হুটোপুটি করছিল। বিলুর ধমক খেয়ে কিছুক্ষণ চুপ থাকে, আবারো হুটোপুটি হুটোপুটি, দুই ভাইয়ের ঝগড়াঝাঁটি কামড়াকামড়ি মাঝরাতেও চলতে থাকে প্রায় নিঃশব্দে। বিলুর চোখে ঘুম নেমে আসছিল, চোখের পাতা দুটো ভারী হয়ে আসছিল ভরপেট খেয়ে। দীর্ঘ একটা হাই তুলে যখন সে গভীর ঘুমের বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছে, তখন মিলু তিলু তা আড়চোখে দেখে নিজেদের মধ্যে ইশারা বিনিময় করলো।

তারপর পা টিপে টিপে রওনা দিল করিডোর ধরে একদম কোনার ঘরটার উদ্দেশ্যে। রাত দশটা বাজতেই ওই ঘরটার দরোজা বন্ধ হয়ে যায়। তনিমার বড় ভাইয়ের ঘর সেটি। তনিমার বড় ভাই নকীব বিয়ে করে নতুন বউ এনেছে। সাজগোজ করা বউটিকে দেখে মিলু তিলুর বড় ভালো লাগে। কিন্তু বউটিকে দেখার জন্য এই মাঝরাতের অভিযান নয়, অভিযানের লক্ষ্য একটি বিস্কুটের টিন। ওই ঘরে মাঝরাতে একটা বিস্কুটের টিন খোলা হয় বলে জানতে পেরেছে মিলু তিলু। সেই বিস্কুটের ভাগ কখনো মিলু তিলু পায়নি। এই ঘরে তনিমা ছাড়া মিলু-তিলুকে আর কেউ খাবারের ভাগ দিতে আগ্রহী নয়। মাঝরাতের ওই বিশেষ বিস্কুটের ভাগ এমনকি তনিমাও পায় না।

অন্ধকার করিডোর পেরিয়ে সেই ঘরের কাছাকাছি এসে দেখলো দরোজা বন্ধ। জানাই ছিল বন্ধ থাকবে। বিকল্প রাস্তা আছে। পরিকল্পনামতো পেছনদিকে উল্টো ঘুরে এসে জানালার কাছে গেল দুজন। জানালা ফাঁক করা আছে। যেটুকু ফাঁক আছে তাতেই যথেষ্ট। কায়দা করে একেবারে নিঃশব্দে দুজনে ঢুকে পড়লো সেই ঘরে। ঘরটি প্রায় অন্ধকার। খুব কম আলোর নীল বাতি জ্বলছে একটা।

আবছা আলোয় দেখতে পেলো চাদরের নীচে দুজন মানুষ ঘুমোচ্ছে নিঃশ্বাসের শব্দ তুলে। খাটের পাশে একটা দেরাজ। সেই দেরাজের উপর কাংখিত বিস্কুটের টিনটা রাখা। টিন খোলা তাদের পক্ষে সম্ভব না। কিন্তু ভাগ্য ভালো টিনটা আধখোলা। ঘ্রাণ আসছে অচেনা বিদেশী বিস্কুটের। জিবে জল আসে প্রায়। মিলুর তর সইছিল না। খুব সাবধানে ধরতে গিয়েও একটু তাড়ার তাগিদে কিংবা ভয়ের কারণে থাবা দিয়ে টিনের ঢাকনাটা সরাতে গিয়ে উল্টে দিল। অমনি ঝনঝন করে ঢাকনিটা দেরাজ হয়ে নীচের মেঝেতে পড়ে গেলো। পড়া তো নয় যেন সমস্ত ঘরে ছোটখাট একটি বজ্রপাত হয়ে গেল।

পাথর হয়ে গেছে মিলু তিলু দুজনই। সেই ঢাকনি ঝনঝনির শব্দে জেগে উঠলো ঘুমন্ত নকীব আর তার বউ। নকীব 'চোর চোর' করে চিৎকার করে লাফিয়ে উঠে একটা রড তুলে নিল দরোজার পাশ থেকে। বউটার মুখ পাণ্ডুর হয়ে গেছে ভয়ে। কিন্তু বাতি জ্বালাবার পর দেখা গেল চোর টোর কিছু নেই কোথাও। বিস্কুটের টিন খোলা টিন এবং তার পাশে কাঁচুমাচু চেহারার মিলু তিলুকে দেখে যা বোঝার বুঝে ফেললো নকীব। ক্ষুদে বদমাশ, বজ্জাত শয়তান! ইত্যাদি বলে ক্ষেপে গিয়ে লাঠি উঁচিয়ে তাড়া করলো দুজনকে।

ধাওয়া খেয়ে প্রথমে খাটের নীচে ঢুকে গেল ওরা। কিন্তু লম্বা লাঠি খাটের নীচেও ঢুকে যায়। এলোপাথাড়ি লাঠি ঘুরতে থাকে নীচে। কোনমতে গা বাঁচিয়ে দুজন ভাবতে লাগলো আজ আর রক্ষা নাই। মায়ের অবাধ্য হবার শাস্তি পাচ্ছি এখন। মাও নিশ্চয়ই জেগে গেছে। কিন্তু চাইলেও এই আশ্রিতবাড়িতে কিছু করতে পারবে না। বাঁচাতে এলে মাও পাল্টা মার খাবে। ওদের এখন নিজেদের রক্ষার সময়।

আত্মরক্ষার স্বাভাবিক প্রবৃত্তিতে ওরা ভাবলো এমন একটা জায়গায় লুকোতে হবে যেখানে লাঠির মার জোরালো হবে না। দ্রুত চোখ বুলালো চার দিকে। খাটের নীচটা মানুষের অগম্য হলেও লাঠি দিয়ে আঘাত করা যায় সহজেই। প্রবৃত্তি ওদের বললো সামনে স্টিল ক্যাবিনেটের পেছনের ফাঁকে ঢুকে যেতে।

দুজনের শিশু শরীর কোনমতে চ্যাপটা হয়ে ঢুকে গেল ক্যাবিনেটের পেছনে। দেয়াল আর স্টীল ক্যাবিনেটের দূরত্ব এত কম যে তা দিয়ে মানুষের হাত প্রবেশ করবে না। খানিকটা নিশ্চিন্ত হয়ে শান্তির নিঃশ্বাস ফেললো দুজন।

কিন্তু ওখানে হাত না ঢুকলেও লম্বা একটা সরু লাঠি এসে ঢুকলো খানিক পর। 'বেরিয়ে আয়, বেরিয়ে আয় শয়তানের বাচ্চা বেরিয়ে আয়' বলে হিসহিসে গলা শোনা যাচ্ছে নকীবের। যতই হুমকি আসুক জান থাকতে বেরুবো না- বলে প্রতিজ্ঞা করে আছে দুজনে। তারপর আবছা অন্ধকারে কিছু বুঝে ওঠার আগেই প্রচণ্ড এক খোঁচা এসে লাগলো তিলুর পেটে। ভয়ে মিলু আর্তনাদ করে উঠতে না উঠতে তার চোখেও এসে খোঁচা দিল লাঠির অন্ধ মাথাটি। এর পর একের পর এক খোঁচায় দুজনের সমস্ত শরীর থেঁতলে যেতে থাকে, দুই চোখ অন্ধ হয়ে যায় প্রায়। চোখ বুজে মার খেতে থাকে অন্ধ নিষ্ঠুর সেই লাঠির। লাঠি ধরা হাতের ক্রোধ এসে ক্ষতবিক্ষত করতে থাকে দুটো শিশু শরীর। কণ্ঠের সমস্ত শক্তি শেষ হয়ে গেলে আর্তনাদ করার ক্ষমতাও লুপ্ত হয়ে যায় ওদের। মিলু তিলুর চোখে এখন শুধুই আঁধার, আঁধার, আঁধার। ব্যথার অনুভূতিও নেই, শরীরে আর কোন শক্তি নেই। একসময় জ্ঞান হারিয়ে ফেলে দুজনেই। লাঠিও থেমে যায় ক্লান্ত কিংবা তৃপ্ত হয়ে।

রাত ফুরিয়ে ভোর হয়। ভোর হলে দোর খোলা হয়। দোর পেরিয়ে একজন হাতে চটের থলি নিয়ে বেরিয়ে যায়। খানিক দূরে ডাস্টবিনের দিকে ছুঁড়ে দেয়া হয় থলেটি।

আরো কিছু সময় পর চলমান পথচারীগণ দেখতে পেলো ডাস্টবিনের পাশে একটি মা বিড়াল অস্থির পায়চারী করছে এবং তার সামনে দুটো রক্তাক্ত ক্ষত বিক্ষত ভবিষ্যতশূন্য অন্ধ বেড়ালছানা পরস্পরকে আঁকড়ে ধরে নির্বাক বসে আছে।


মন্তব্য

দেবদ্যুতি এর ছবি

অদ্ভুত ভালো আর মন খারাপের গল্প...

...............................................................
“আকাশে তো আমি রাখি নাই মোর উড়িবার ইতিহাস”

নীড় সন্ধানী এর ছবি

লিখতে গিয়ে আমারই মন খারাপ হয়েছিল, সত্য ঘটনা অবলম্বনে লেখা বলেই।

‍‌-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?

এক লহমা এর ছবি

"সত্য ঘটনা অবলম্বনে" - মন খারাপ

--------------------------------------------------------

এক লহমা / আস্ত জীবন, / এক আঁচলে / ঢাকল ভুবন।
এক ফোঁটা জল / উথাল-পাতাল, / একটি চুমায় / অনন্ত কাল।।

এক লহমার... টুকিটাকি

অতিথি লেখক এর ছবি

প্রথমে ভাবলাম কেমন জানালা,দুই জন শিশু ঢুকে যেতে পারে !
তারপর কেমন শিশু যেখানে হাত ঢুকে না,সেখানে তারা হজম হয়ে যায় !
অতঃপর বিড়ালছানা আর হত্যাকান্ড ।
বিড়ালছানা ছায়ায় মানুষছানা।
চমৎকার লিখনি।
এ্যানি মাসুদ

নীড় সন্ধানী এর ছবি

বিড়ালছানাকে মানব শিশুর আদলে ভাবলে তেমনই লাগার কথা। পড়া ও মন্তব্যের জন্য অশেষ ধন্যবাদ।

‍‌-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?

নুড়ি এর ছবি

মন খারাপ

নীড় সন্ধানী এর ছবি

মন খারাপ

‍‌-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?

আয়নামতি এর ছবি

পরিণতিটা এমন করুণ হবে বুঝিনি। মন খারাপ

নীড় সন্ধানী এর ছবি

কোন কোন জেদ অনিচ্ছাকৃত পরিণতির জন্য দায়ী থাকে মন খারাপ

‍‌-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?

সজল এর ছবি

বিড়াল জানার পরেও সিমপ্যাথি লেভেল একই থাকে কিনা তার একটা এক্সপেরিমেন্ট হয়ে গেলো!

---
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড়

নীড় সন্ধানী এর ছবি

সিমপ্যাথি লেভেল এক থাকার কথা না। স্বজাতিপ্রেম বরাবরই উঁচুতে থাকবে।

‍‌-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?

অতিথি লেখক এর ছবি

ভাই আমি ভিষন ভালোবাসি বিড়াল, গল্পটা বিড়ালের বুঝতে পারিনি। কিন্তু বিড়াল আর মানুষ কোথায় যেন একাকার হয়ে যায়। সুন্দর লিখেছেন।

সোহেল ইমাম

নীড় সন্ধানী এর ছবি

প্রাণ থাকলে যদি প্রাণী হয় সেই প্রাণীত্বের মাত্রায় বিড়াল মানুষ কুকুর সব একাকার।

‍‌-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?

এক লহমা এর ছবি

কয়েকবার পড়েছি। কিছু লিখতে পারিনি। কি লিখব! মানুষের মমতা-নির্মমতার এই টানটান বর্ণনায় কি-ই বা বলার থাকতে পারে!
চেখভ না তলস্তয় - কে বলেছিলেন মনে নেই। এই রকম কিছু - মুগ্ধ করা লেখার সমালোচনার মানে হচ্ছে, লেখাটায় আরও কি কি চাই লেখকের কাছে সেইটা জানানো। সেইটা মাথায় রেখে বলিঃ- "ঘ্রাণ আসছে অচেনা বিদেশী বিস্কুটের।" - (১) তিলু-মিলুর দেশী-বিদেশীর ধারনা থাকার কথা নয়। (২) বিস্কুট দেশী-বিদেশী হওয়া না হওয়ায় এ গল্পের কিছু যায় আসে না। সম্পাদনার সুযোগ থাকলে আমি "বিদেশী" কথাটা বাদ দিলাম।

--------------------------------------------------------

এক লহমা / আস্ত জীবন, / এক আঁচলে / ঢাকল ভুবন।
এক ফোঁটা জল / উথাল-পাতাল, / একটি চুমায় / অনন্ত কাল।।

এক লহমার... টুকিটাকি

নীড় সন্ধানী এর ছবি

আপনার দুটো পরামর্শই যৌক্তিক। এমন সমালোচনা লেখাজোকায় আগ্রহ জাগায়। সময়মতো ঠিক করে দেবো। সহৃদয় মন্তব্যের জন্য অনেক কৃতজ্ঞতা! হাসি

‍‌-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?

অতিথি লেখক এর ছবি

খুব ভালো লাগলো আপনার গল্পটা। আপনার আগের কিছু লেখা পড়েছি। মানুষের মনের গভীর অনুভূতিগুলো তুলে ধরেন। কুরনিশ।

---------------------------------
ইচ্ছে মত লিখি
http://icchemotolikhi.blogspot.in/

নীড় সন্ধানী এর ছবি

পড়া ও সহৃদয় মন্তব্যের জন্য অশেষ ধন্যবাদ।

‍‌-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?

রীনা আচার্য্য এর ছবি

খুব বেদনাদায়ক গল্প। পড়ে মনটা খারাপ হয়ে গেল। মন খারাপ

নীড় সন্ধানী এর ছবি

মন খারাপ হবার মতোই ছিল ঘটনাটি মন খারাপ

‍‌-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?

আব্দুল্লাহ এ.এম. এর ছবি

প্রথমে খুব কষ্ট পেতে যাচ্ছিলাম মিলু তিলু'র জন্য। পড়ে যখন দেখলাম অরা মানবশিশু নয়, তখন হাঁফ ছেড়ে বাঁচলাম। রুদ্ধশ্বাস কাহিনী!

নীড় সন্ধানী এর ছবি

লিখতে গিয়ে আমারো কষ্ট হচ্ছিল তিলু মিলুর জন্য। পাঠ এবং মন্তব্য দুটোর জন্যই ধন্যবাদ।

‍‌-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।