বার্কলে বিশ্ববিদ্যালয়

হযবরল এর ছবি
লিখেছেন হযবরল (তারিখ: রবি, ১০/০২/২০০৮ - ৯:২৭পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বুকে বসে যখন দেখি সরকারের বিরুদ্ধে সরব কণ্ঠে কিছু বলবার সাহস কারো আছে তখন ভালো লাগে। আরো বেশী করে উদ্বেলিত হই যখন দেখি, একটা বিশ্ববিদ্যালয় মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়েছে। গত সপ্তাহে ঠিক সেরকম একটা নজির স্থাপন করলো ইউনিভার্সিটি অফ ক্যালিফোর্নিয়া বার্কলে। ইরাক যুদ্ধের প্রতিবাদে মেরিন রিক্রুটারদের ক্যাম্পাস থেকে সরে যেতে বলেছিল। রাস্তায় নেমে বলেছে,'এই ক্যাম্পাসে মেরিন'স দের স্থান নেই'। সাথে গলা মিলিয়েছিল বার্কলের মেয়র। বিশ্ববিদ্যালয়টার জন্য গর্ববোধ করি।

সেই সাথে আবার দেখলাম শাসকদন্ডের আচরণ। ছয়জন রিপাবলিকান সিনেটর হুমকি দিয়েছে, ২.৩ মিলিয়ন ডলার ফান্ডিং উইথড্র করা হবে। আজ মেয়র ক্ষমা প্রার্থনা করেছে। কাল বার্কলে কর্তৃপক্ষ কি করবে জানি না। হয়তো ক্ষমা চাইবে। সেই ক্ষমা প্রার্থনার খবর বড় হেডিং এ সিএনএন এ আসবে। কিন্তু এর পরে সংগঠিত হবে।ছাত্র বিক্ষোভ। সে খবর চাপা পড়ে যাবে নিশ্চিতভাবেই।

তবুও আমি গর্বিত, আনন্দিত। এখনো ছাত্ররা আছে, বিশ্ববিদ্যালয় আছে, এখনো আগুন আছে পৃথিবীতে।


মন্তব্য

রাতুল এর ছবি

আশাবাদী বিপ্লবী মানুষেরা আছে, তাই আজও স্বপ্ন দেখি।
আপনার লেখাতেই প্রকাশ পেলো মিডিয়াই সব চালায়।

ratuliut@gmail.com

অতিথি লেখক এর ছবি

রিপাবলিকান নিপাত যাক
মানবতা মুক্তি পাক

মুহাম্মদ২০১৭

মুহম্মদ জুবায়ের এর ছবি

প্রতিবাদী হিসেবে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের খ্যাতি অনেক পুরনো। অনেকটা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো। ভিয়েতনাম যুদ্ধ বিষয়ে বার্কলের প্রতিবাদ তো কিংবদন্তীর মতো।

-----------------------------------------------
ছি ছি এত্তা জঞ্জাল!

কনফুসিয়াস এর ছবি

ভালো খবর।
-----------------------------------
যা দেখি তা-ই বলি...

-----------------------------------
বই,আর্ট, নানা কিছু এবং বইদ্বীপ

পরিবর্তনশীল এর ছবি

এরকম স্থাপত্য না থাকলে তো পৃথিবীটাই
ধ্বসে পড়ে যেত...
---------------------------------
-মহিব
ভাবসাব দেখে মনে হইল "উনি একজন মানুষ"

রানা মেহের এর ছবি

টাকা কিংবা ক্ষমতার কাছে
গনতন্ত্র কত নতজানু।
তবু অভিনন্দন ছাত্ররা

-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস

দ্রোহী এর ছবি

আশাজাগানিয়া খবর।


কি মাঝি? ডরাইলা?

পুরুজিত এর ছবি

প্রতিবাদ খুবই প্রয়োজনীয় কিন্তু প্রতিবাদের লক্ষ্য ভুল। মেরিনরা তো রাজনীতিকদের হাতের পুতুল, অধিকাংশ সেনা সদস্যই আসে সুবিধাবঞ্চিত শ্রেণী থেকে, হয়তো বার্কলের বছরে ৩০০০০ ডলার দিয়ে পড়া ছাত্ররা তা বুঝে উঠে নি এখনো।

অমিত এর ছবি

বার্কলে কিন্তু সেরম জায়গা। সেভেন্টিস এর বার্কলে তো মোটামুটি কাল্টের পর্যায়ে।
সেদিন গেছিলাম, হুক্কা কিনতে।

হিমু এর ছবি

বার্কলের কোন পাঠক থাকলে সাড়া দেবেন দয়া করে। একদম ঘোড়ার মুখ থেকে খবর পেলে মন্দ হয় না।


হাঁটুপানির জলদস্যু

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।