গানবন্দী জীবনঃ সে যে বসে আছে একা একা

ইশতিয়াক রউফ এর ছবি
লিখেছেন ইশতিয়াক রউফ (তারিখ: রবি, ০৯/১১/২০০৮ - ১২:৩৬পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

০. ভূমিকা
জীবনের গতিময়তা, আকস্মিকতা, আর গভীরতার সাথে সবাই কমবেশি পরিচিত। বহুবার চেষ্টা করেও জীবনকে থামাতে বা ফেরাতে পারিনি। অথচ সেই জীবন যেন নিজে থেকে এসে আটকা পড়েছে কিছু গানের মাঝে। স্মৃতির স্ফটিক হয়ে যাওয়া জীবনের ভগ্নাংশগুলো খুব বেশি জীবন্ত হয়ে ফিরে আসে সেই গানগুলোর সাথে সাথে। কিছু গান, আর তার মাঝে আটকা পড়া জীবন নিয়েই এই প্রলাপ-সিরিজ।

১. সে যে বসে আছে একা একা
সবেমাত্র নিজের একটা ঘর পেয়েছি তখন। আমেরিকা এসেছি প্রায় ৬ সপ্তাহ হয়ে গেছে। প্রথম ক'দিন খুব বাজে কেটেছিল। প্রথম যে-বাসায় উঠলাম, সেখান থেকে তিন দিনের মাথায় বেরিয়ে আসতে হয়েছিল। বিচিত্র এক অভিজ্ঞতা ছিল সেই ক'দিন। জেটল্যাগে মারা যাচ্ছি এমন সময় সাত-সকালে উঠিয়ে দিয়ে বাড়ির মালিক বললেন, আমি বাইরে যাবো, তুমি বের হও বাসা থেকে। সেই দিনটা কাটলো পার্কের বেঞ্চে বসে। সে-বাসার একটা ঘর খালি ছিল, তবু সেখানে ঢোকা বা শোয়া বারণ। যাঁর ঘর, তিনি দূর থেকেই মানা করে দিয়েছেন ফোন করে। উঠেছিলাম অস্থায়ী ভাবে, তবু তিন দিনের মাথায় বলে দেওয়া হল লিভিং রুমে শাওয়ার কার্টেইন টাঙিয়ে থাকার কথা। শর্ত মানলে এক-তৃতীয়াংশ ভাড়া দিয়ে থেকে যাওয়া, না মানলে সে-রাতেই অন্যত্র জায়গা খোঁজা। বের হয়ে গিয়েছিলাম।

হেঁটে বেড়াচ্ছিলাম পথে পথে। জানুয়ারির সকাল। কী প্রচণ্ড শীত। দু'হাতের গিঁটের চামড়া ফেটে রক্ত ঝরছে শীতের প্রকোপে। এরই মাঝে আরেক স্বদেশী উদ্ধার করলেন। নিয়ে গেলেন তাঁর বাসায়। থাকতে দিলেন দু'সপ্তাহ। সে-বাসায় শোওয়ার ঘর তিনটি, কিন্তু মানুষ থাকে মাত্র সাতজন। এক বাঙালি নিজের ঘরে, বাকি দুই ঘর মিলিয়ে ছয় নেপালি। একটা ঘরে বিশাল উঁচু এক বিছানা। পথে-ঘাটে যত ম্যাট্রেস ফেলে রাখা ছিল, তার সব কুড়িয়ে এনে স্তুপ করা হয়েছে সেই ঘরে। ফলাফল, প্রায় চার ফুট উঁচু বিছানা। সেই ঘরে থাকতো দুই জন।

অন্যঘরটি আয়তনে বড়, সাথে লাগোয়া বাথ, ড্রেসিং। সে-ঘরে থাকতো চারজন। কোন আসবাব নেই। এক কোণায় কিছু বই ছড়িয়ে-ছিটিয়ে রাখা। চাদর পেতে বিছানা বানানো। একজন ঘুমিয়ে উঠে গেলে আরেকজন এসে ঘুমায়। খুব একটা অর্থকষ্টের কারণে যে এই ব্যবস্থা, তাও না। তবু অবাক হয়ে ভাবছিলাম, দু'জন বাঙালিকে আজ পর্যন্ত এক ঘরে থাকতে দেখলাম না। নিজের একটা ঘরের মূল্য আমাদের কাছে অপরিমেয়। অথচ মুদ্রার অন্য পিঠে একই এলাকা থেকে উঠে আসা এই ছাত্রেরা।

চার সপ্তাহ পর এক অ্যাপার্টমেন্টে একটা ঘর খালি হল। উঠলাম সেখানে। নিজের ঘর। বিছানা হিসেবে ব্যবহারের জন্য আমিও একটা ম্যাট্রেস কুড়িয়ে নিলাম। সাথে করে নিয়ে গিয়েছিলাম ৩৫০০ ডলার। স্কলারশিপের পরও নিজের পকেট থেকে হাজার তিনেক টাকা দিতে হত বিশ্ববিদ্যালয়কে। বাকি টাকা থেকে ৪০০ ডলার দিয়ে একটা ডেস্কটপ কম্পিউটার কিনলাম। বাধ্য হয়েই কিনতে হল। ঠান্ডা বয়ে দু'মাইল হেঁটে লাইব্রেরিতে যেতে পারি না। সেই কম্পিউটার রাখবার জন্য টেবিলের প্রয়োজন। ওয়ালমার্ট থেকে বিশাল একটা টেবিল কিনলাম। অল-পার্পাস টেবিল হিসেবে ব্যবহারের জন্য। সেই দিন থেকে ৪ বছর ধরে লেখাপড়া, খাওয়াদাওয়া, কাপড় ইস্ত্রি করা, ইত্যাদি সব কাজই করেছি ৫৮ ডলারে কেনা সেই টেবিলে। আজকে আমি ভার্জিনিয়া, লুইজিয়ানায় সেই টেবিল আজও আছে।

রাত জেগে নাট-বল্টু লাগাচ্ছিলাম সেই টেবিলের। শ্রান্ত হয়ে বিরতি নিয়েছিলাম একটু। এক বন্ধু বললো, নতুন একটা গান শুনে দেখতে। অর্ণবের "সে যে বসে আছে" সেই প্রথমবারের মত শুনলাম। কোথায় যেন একটা মোঁচড় লাগলো। একটা কোণায় গিয়ে পা ছড়িয়ে বসলাম। দেওয়ালে হেলান দিয়ে পুরো রাত কাটিয়ে দিলাম গানটা শুনতে শুনতে।

এইতো সেদিন ওয়াশিংটন ডিসি গিয়েছিলাম অর্ণবের কনসার্ট দেখতে। শেষদিকে যখন সবাই গলা মিলিয়ে গাইছে, তখন আমি আনমনে ফিরে গেছি আমার সেই প্রথম দিকের দিনগুলোয়। সেই দিনের প্রতিটা অনুভূতি যেন অনেক বেশি জীবন্ত হয়ে ফিরে এসেছিল গানটার সাথে। শত মানুষের মাঝেও যেন একা একা বসে ছিলাম, রঙিন স্বপ্ন বুনছিলাম, জানালার পাশে বসে মেঘ গুনছিলাম। ঘাড় ফেরালেই জীর্ণ বিছানা, হাত বাড়ালেই কোণায় পড়ে থাকা ওটমিল বিস্কুট।

(চলবে)


মন্তব্য

রায়হান আবীর এর ছবি

কিছু কিছু গান এমনই। নিজের জীবনের কোন একটা সময়কে ফ্রেমে বন্দি করে ফেলে।

=============================

ইশতিয়াক রউফ এর ছবি

শুধু গানগুলো না, যেই মুহূর্তে গানগুলো শোনা হচ্ছে, সেই সময়টারও ভূমিকা আছে। মজা(?)টা সেখানেই...

জুলিয়ান সিদ্দিকী এর ছবি

কিছু গান যখন অতীত বিষাদের ঘ্রাণ বয়ে নিয়ে আসে, তখন বোধ হয় সেই গান আর গান থাকে না। হয়ে ওঠে প্রাণের বিলাপ!

____________________________________
ব্যাকুল প্রত্যাশা উর্ধমুখী; হয়তো বা কেটে যাবে মেঘ।
দূর হবে শকুনের ছাঁয়া। কাটাবে আঁধার আমাদের ঘোলা চোখ
আলোকের উদ্ভাসনে; হবে পুন: পল্লবীত বিশুষ্ক বৃক্ষের ডাল।

___________________________
লাইগ্যা থাকিস, ছাড়িস না!

ইশতিয়াক রউফ এর ছবি

যেটুকু লিখলাম, আর সিরিজ আকারে যেটুকু লেখার ইচ্ছা আছে, তার সব কিছু এক কথায় বলে দিলেন। অসামান্য সারমর্ম।

অনিকেত এর ছবি

খুব ভাল লাগল ইশতি।

সিরিজ চলতে থাকুক!

ধুসর গোধূলি এর ছবি

- এইবার বুঝছেন অনিকেত'দা, রউফ স্যার কেনো সেদিন আপনাকে দেখতে পান নাই! তিনি তখন ডিসিতে নাই, তিনি তার জীর্ণশীর্ণ এ্যাপার্টমেন্টে কোনো এক পুরানো প্রেমিকার সঙ্গে দুষ্টামীতে মশগুল ছিলেন! চোখ টিপি
আর কেমন ইনসাফ দেখেন। আপনি বুড়াটুড়া মানুষ। বয়সের ভারে চোখে কম দেখেন, আর আপনাকেই কিনা খাঁটিয়ে মারলো! এড় একটা বিহীত করেন অনিকেত দা। আপনার কষ্ট আমার সহ্য হয় নাই। মন খারাপ
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক

ইশতিয়াক রউফ এর ছবি

উহু, পুরনো প্রেমিকার সঙ্গে দুষ্টামি না। দৃষ্টিসুখের উল্লাসে ভেসে যাচ্ছিলাম। কে বলে ব্যালকনি সিট খারাপ? চোখ টিপি

অনিকেতদা'ও তো আমাকে দেখতে পাননি। উনিই ভাল বুঝবেন কী বলছি। খাইছে

অনিকেত এর ছবি

ওরে ধু গো

আমি বুড়া?

মাত্র আমার বয়েস ষাট হয়েছে---আর আমারে কয় বুড়া!!!!
খাড়াও, তোমারে পাইয়া লই---ধুসর গোধুলিরে পিটায়া যদি না 'আন্ধাইর' সন্ধ্যা করসি তো আমার নামই অনিকেত না----

ধুসর গোধূলি এর ছবি

- ছিঃ ছিঃ অনিকেত'দা, এগুলা কী অপবাদ দেন আমার নামে! আমি তো আপনাকে বুড়া বলি নাই। আমি জীবনে সত্যি কথা এতো সহজে বলি নাতো! রউফ স্যার বলছেন। কয়, আপনি নাকি তাঁরে দেখেন নাই। আসেন ব্যাটারে ধরে কেটিসাইজ করি। দেঁতো হাসি
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক

ধুসর গোধূলি এর ছবি

- লোকজন যে আম্রিকা ক্যান যায় বুঝিনা। সেদিন মেম্বর সাব বললেন, কোট-আনকোট "এই বালের দেশে থাকতে আর ভাল্লাগেনা। এই বালেরে বাল বললেও ঘরে বালের কাইজ্যা লাগে বউ। ক্যান যে বাল বিয়া করছিলাম!" দেঁতো হাসি
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক

ইশতিয়াক রউফ এর ছবি

গইড়ান দিয়ে হাসলাম কতক্ষণ। এই নাহলে মেম্বর সা'ব!

কারুবাসনা এর ছবি

ভালো।


----------------------
বিড়ালে ইঁদুরে হলে মিল, মুদির কিন্তু মুশকিল ।


----------------------
বিড়ালে ইঁদুরে হলে মিল, মুদির কিন্তু মুশকিল ।

রানা মেহের এর ছবি

হাবিবের দিন গেলো তোমার পথ চাহিয়া শুনে
আমারো আপনার মতো অবস্থা হয়েছিল

লেখা সুন্দর
-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস

-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস

ইশতিয়াক রউফ এর ছবি

হাইব্যার কোন গান আমার পোষায় না। এইগুলান সব "নিষিদ্ধ" গান আমার আশে-পাশে। আরও কিছু আছে। "সুনীল বরুণা" তার মধ্যে এক নম্বর। কারণ বুঝে নেন নিজেই। খাইছে

অতন্দ্র প্রহরী এর ছবি

দারুন লেখা! আর বিভিন্ন গানের সাথে যে আমাদের জীবনেরও একটা টুকরো অজান্তেই মিশে যায়, সেটা আমরা বুঝতে পারি অনেক পরে- যে কারণেই হয়তো এই সিরিজটার জন্ম।

এই গানটা আমার অসম্ভব প্রিয়। আমার নিজেরও অনেক স্মৃতি জড়িয়ে আছে গানটার সাথে। এই গান শুনলে এখনো আমি অনেক পেছনে চলে যাই...

তবে আমার মাথায় ঘুরতে থাকা সিরিজের আইডিয়া অলরেডি বাস্তবে বানায়া ফেলার তীব্র নিন্দা জানাই! মন খারাপ

ইশতিয়াক রউফ এর ছবি

মুহা হা হা হা হা হা!! (সিরিজ শুরু করে ফেলেন, ব্রাদার। দু'টো জীবন কখনও এক রকম হয় না।)

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

এই গানটার সাথে আমারও অনেক স্মৃতি জড়িত... প্রিয় গানও...
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

রাফি এর ছবি

গান নিয়ে এই একটা অনুভব যা সবারই বোধহয় হয়। আমি যেমন জেমসের গানগুলো শুনলে একপলকে আরামবাগের মেসলাইফে ফিরে যাই। একরুমে আমরা তিনজন থাকতাম; সবাই একই স্কুলের ।

সন্ধ্যা থেকে মিনি আড্ডা বস্‌ত; আড্ডাতে আমি খুব একটা সরব হতে পারি না।(বোকাসোকা মানুষ তো, সবার কথা শুনেই মনে হয় এই ব্যাটা দুনিয়ার সব জানে)। সাথে চলত জেমসের গান; স্টেশন রোড থেকে শুরু করে বিজলী সবই বাজত এক এক করে। তিনজনেই তুমুল ভক্ত ছিলাম জেমসের। রাত গভীর হলে হয়তবা ঘুমিয়ে পড়েছি; কিন্তু সকালে উঠেও শুনতাম গান বাজছে।

জেমসের যে কোন গান শুনলে বড় নস্টালজিক হয়ে যাই। আর হই শ্রীকান্তের গানে; সেটার ইতিহাস খুব লম্বা। আরেকদিন বলা যাবে।

ইশতিয়াক ভাই লেখা ভালৈছে।

---------------------------------------
আমি সব দেবতারে ছেড়ে
আমার প্রাণের কাছে চলে আসি,
বলি আমি এই হৃদয়েরে;
সে কেন জলের মতন ঘুরে ঘুরে একা কথা কয়!

---------------------------------------
আমি সব দেবতারে ছেড়ে
আমার প্রাণের কাছে চলে আসি,
বলি আমি এই হৃদয়েরে;
সে কেন জলের মতন ঘুরে ঘুরে একা কথা কয়!

সবজান্তা এর ছবি

খেলুম না !

হুবহু একই বিষয়ের উপর আমার একটা লেখা কম্পুটারে পচতেছে, অর্ধেক লিখে আর শেষ করি নাই। আর আপনি কি না এরই মধ্যে এটা লিখে ফেললেন !

এটা আমার সাথে অনেকবার হয়েছে। এস এস স্যার রেজাল্টের সময় হিন্দি সিনেমা লগনের গানগুলি খুব শুনতাম। এস এস সি'র রেজাল্টটাও বেশ ভালো হয়েছিলো। এখনো কোন কারণে লগনের গানগুলি কোথাও শুনলে তাই, মনে হয় দারুন একটা সময় কাটাচ্ছি।

আবার জীবনের একটা খুব বাজে সময়ে নুসরাত ফতেহ আলী খানের একটা গান খুব শুনেছিলাম, আক্ষরিক অর্থেই রাতের পর রাত। এখন আর সে গানটা শুনতে ইচ্ছা করে না। মনে যতোই ভালো থাক, সে গান শুনলে মনে হয় চারপাশ থেকে কিছু চেপে ধরছে ক্রমশ।

লেখায় জাঝা


অলমিতি বিস্তারেণ

ইশতিয়াক রউফ এর ছবি

আগের একটা মন্তব্যে যেমনটা বলেছি... মুহা হা হা হা!
গানগুলো কতটুকু মিলে যাবে জানি না। মিলে গেলে নাহয় নিজের কাহিণী লিখে দিয়েন। মিলছে না, এমন গানের জন্য লিখতে বসে পড়ুন। কোন অজুহাত চলছে না।

প্রকৃতিপ্রেমিক এর ছবি

আপনার অনেক লেখাই আমি সহজে বুঝে উঠতে পারিনা। গানের ব্যাপারটা আবার আমাকে ভালো পায়না.. আমেরিকার কাহিনী পড়ে আগের মতই ভালো লাগলো।

কমেন্টটা বেশ ছাড়া ছাড়া হলো তা বুঝতে পারছি.. কিন্তু কী করার, সময় কম।

ইশতিয়াক রউফ এর ছবি

হায় হায়... বলেন কী? ঠিক আছে, আরও হালকা-পাতলা করে লিখবো নে। ব্যস্ততার মাঝেও যে অধমের পোস্টে ঢুঁয়াইছেন এবং কমেন্টাইছেন, সেই জন্য অতি অতি প্রীত হইলাম। ({)

কনফুসিয়াস এর ছবি

ঠিকাছে।
গান নিয়ে আমারও নানানরকম স্মৃতি- আপনি লিখতে থাকুন। নিয়মিত মিলিয়ে নিবো।
-----------------------------------
... করি বাংলায় চিৎকার ...

-----------------------------------
বই,আর্ট, নানা কিছু এবং বইদ্বীপ

কিংকর্তব্যবিমূঢ় এর ছবি

গানের এই ব্যপারটা খুব চমৎকার ... এক একটা গান এক একটা সময়ের সাথে জড়িয়ে যায় ...

চলুক ...
................................................................................
objects in the rear view mirror may appear closer than they are ...

সংসারে এক সন্ন্যাসী এর ছবি

মনে হয়, আমার প্রিয় (অপ্রিয়ও) প্রতিটি গানের সাথেই জড়িয়ে আছে কোনও না কোনও স্মৃতি।

~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
একলা পথে চলা আমার করবো রমণীয়...

~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
টাকা দিয়ে যা কেনা যায় না, তার পেছনেই সবচেয়ে বেশি অর্থ ব্যয় করতে হয় কেনু, কেনু, কেনু? চিন্তিত

Kriti এর ছবি

Porey besh bhalo laglo... Inspiring...

ইশতিয়াক রউফ এর ছবি

অনেক ধন্যবাদ। ‌Avro ইন্সটল করে বাংলায় লিখতে লেগে যাও! সাক্ষাতে আরও গুঁতাবো এই ব্যাপারে। চোখ টিপি

ইতি, শয়তান। হাসি

মুশফিকা মুমু এর ছবি

আসলেই অনেক গান এত আপন লাগে মনেহয় নিজের জন্যই লেখা, লেখা আবারো খুব ভাল লাগল। প্রথমদিকের কথাগুলোয় খুব কষ্ট লাগল মন খারাপ
------------------------------
পুষ্পবনে পুষ্প নাহি আছে অন্তরে

------------------------------
পুষ্পবনে পুষ্প নাহি আছে অন্তরে ‍‍

মুস্তাফিজ এর ছবি

ভালো লাগলো পড়ে

...........................
Every Picture Tells a Story

ইশতিয়াক রউফ এর ছবি

অনেক ধন্যবাদ। হাসি

দুষ্ট বালিকা এর ছবি

প্রথম দিকে বেশ কষ্ট লাগল... মায়ের আদরের ছেলেগুলো কতইনা কষ্ট করে বিদেশ বিভুইঁ এ যেয়ে... মন খারাপ গানটা ভালবাসার আমারও কিছু ইতিহাস আছে... সে গল্প আরেকদিনের জন্যেই থাক নাহয়...

লেখায় জটিলতা নেই তাই খুব ভাল লাগল... চোখ টিপি

--------------------------------------------------
একটি বাদরে, কি যে আদরে, খাচ্ছিল দোলা, ডাল ধরে ধরে!!!

**************************************************
“মসজিদ ভাঙলে আল্লার কিছু যায় আসে না, মন্দির ভাঙলে ভগবানের কিছু যায়-আসে না; যায়-আসে শুধু ধর্মান্ধদের। ওরাই মসজিদ ভাঙে, মন্দির ভাঙে।

মসজিদ তোলা আর ভাঙার নাম রাজনীতি, মন্দির ভাঙা আর তোলার নাম রাজনীতি।

ইশতিয়াক রউফ এর ছবি

বাকির নাম ফাঁকি। বালিকা মনে হচ্ছে একটু গুরু-গম্ভীর মুডে আছে। এই অবস্থায়ই জেনে নেই নাহয়। পরে তিড়িং-বিড়িং এর ফাঁকে হারিয়ে যাবে আসল কথা।

আমি বুঝি প্যাঁচায় লেখি? এত চেষ্টা করি সহজ-সরল ভাষায় লিখতে, তবু এই অপবাদ দিলে সয়? মন খারাপ

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।