লেটার ফ্রম লাইবেরিয়া-১৩

যুবরাজ এর ছবি
লিখেছেন যুবরাজ [অতিথি] (তারিখ: বিষ্যুদ, ২২/০১/২০০৯ - ৬:৩১পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

ফোর্স হেডকোয়ার্টারের চারতালার সিড়ি কেমন করে উঠলাম নিজেও বলতে পারবনা। আজ ১৬ ডিসেম্বর, ২০০৮, বিজয়ের সাইত্রিশতম দিনে, বাংলাদেশ থেকে প্রায় ১৩০০০ কিমি দূরে,লাইবেরিয়ার জাতিসংঘ ফোর্স সদর দপ্তরে, সকাল নয় ঘটিকায় আমাদের বাংলাদেশের উপরে প্রেজেন্টেশন দেওয়ার কথা।মুক্তিযুদ্ধে আমাদের গৌরব গাঁথার কথা, আমাদের দেশের কথা, মানুষের কথা সকল কথা মাত্র ২৫ মিনিটে ৪৪ টি দেশের সামরিক অফিসারদের সামনে তুলে ধরতে হবে।

চার তলার কনফারেন্স রুমে ঢুকতে ঘড়ি তাকিয়ে দেখি ৯ টা বাজতে ৭ মিনিট বাকি। তরিৎ গতিতে মাল্টি মিডিয়া প্রজেক্টর অন করলাম, ল্যাপটপের সাথে কানেক্ট করলাম, স্পিকার এ সাউণ্ড টেস্ট করলাম।পুরা কাজ শেষ করলাম ৫ মিনিটে।এই পুরা কাজে আমি সাপোর্ট পেয়েছি সায়ীদ স্যারের, যিনি মাঝে-সাঝে সচলায়াতনে এসে ঢুঁ মারেন আবার হাওয়া হয়ে যান।ঃ)
আমাদের এই প্রেজেন্টেশন ছিল ২ পর্বে বিভক্ত। ১ম পর্বে Power Point Presentation With Speech এবং ২য় পর্বে একটি ভিডিও প্রেজেন্টেশন। আমরা পাওয়ার পয়েণ্ট এবং ভিডিওর জন্য যে ছবি পেয়েছি তার জন্য সচলায়াতনের কাছে কৃতজ্ঞ।আমি সচলায়াতনের সাহায্য কামনা করার পর, ব্লগে, মেল এ অভুতপুর্ব সাড়া পেয়েছি।আপনাদের এই অকুন্ঠ সাহায্য ব্যতিত আমাদের পক্ষে এত কিছু, এত অল্প সময়ের মধ্যে করা সম্ভব হত না।বিশেষ করে যাদের নাম আমি কৃ্তজ্ঞতার সাথে বলতে চাই, তারা হলেন সর্ব জনাব ধুসর গৌধুলী, তানবীর ইসলাম, রাগিব, কিংকর্তব্যবিমুঢ়, ইশতিয়াক রউফ, এনকিদু, ফারুক হাসান, সায়ীদ স্যার। আমি জানি আপনারা অনেকেই আগ্রহী হবেন আমাদের প্রেজেণ্টেশন দেখার জন্যে সে জন্যে আমি এখানে সংযুক্ত করতে চেষ্টা ও করেছি।কিন্তু চেষ্টা করেও এখানে পাওয়ার পয়েন্ট বা ভিডিও প্রেজেণ্টেশন UPLOAD করতে ব্যর্থ হলাম। এর জন্য প্রধানত দায়ী নেট এর স্পীড, এবং এই স্পীডে ইউটিউবেও দেয়া যাবেনা। তবে কথা দিলাম,বাংলাদেশে যাওয়ার পর এটা UPLOAD করব আমি। (আপনাদের অবগতির জন্য জানাচ্ছি যে, লাইবেরিয়াতে আর মাত্র ২ মাস আছি।)
আমরা ৪ জন অফিসার ছিলাম এই প্রেজেন্টেশন দলে।এর মধ্যে একজন মহিলা অফিসার ছিলেন যার বাবা একজন বিখ্যাত মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন ১৯৭১ এর রনাংগনে। তার জন্যে এটা ছিল খুবই গর্বের একটি বিষয়, যে আজ বিজয়ের এই দিন এ- এত বড় একটা ফোরামে, মুক্তিযুদ্ধের কথা সে বলবে।
৯ টা বাজতেই কনফারেন্স রুম ভরে গেল।বিভিন্ন দেশের,বিভিন্ন ভাষার সমবেত কণ্ঠ শুনা যেতে থাকল।আমি মাথা গুনতে থাকলাম আর বুকে লেখা দেশের নাম পড়তে থাকলাম- ফ্রান্স,ইটালী,গ্রীস,কানাডা,অস্ট্রেলিয়া,মালইয়েশিয়া,ভারত,পাকিস্তান,জর্দান, সিরিয়া, মিশর,চীন,নেপাল,নেদারল্যান্ড,স্পেন,পর্তুগাল,ব্রাজিল,পেরু,বলিভিয়া,মেক্সিকো,
যুক্তরাস্ট্র,লেবানন,রাশিয়া,ইউক্রেন,লাইবেরিয়া,সিয়েরালিওন,ঘানা,গিনি,নাইজেরিয়া,
দক্ষিন আফ্রিকা,লাটভিয়া,বেলজিয়াম,ফিলিপাইন,কেনিয়া,ইথিওপিয়া,জার্মানী,তুরস্ক,
আলজেরিয়া,মরক্কো,ভুটান, শ্রীলংকা,ডেনমার্ক,ইন্দোনেশিয়া এবং আমাদের বাংলাদেশের অফিসাররা।খুবই চমৎকার হল প্রেজেন্টেশনটা।আমরা মুক্তিযুদ্ধ এবং বাংলাদেশের প্রাসঙ্গিক ইতিহাস,ষড়ঋতু বৈচিত্র,সংস্কৃতি,গ্রাম-বাংলার সৌন্দর্য ইত্যাদী বিভিন্ন বিষয়ে তুলে ধরার চেষ্টা করেছি।এত অল্প সময়ে একটি দেশ সম্পর্কে খুব কমই বলা যায়। আমরা সেটা মাথায় রেখেই অল্পকথায় ছবির স্লাইড শো’র মাধ্যমে তুলে ধরেছি।যা কিছু বলার সব কিছুই আমরা বলার চেষ্টা করেছি।পুরো কনফারেন্স রুম পিন ড্রপ নিরবতায় প্রেজেন্টেশন শুনল।প্রায় ২ মিনিট হাততালি চলল। এর পর শুরু হল পেন ড্রাইভ গ্রহন করার পালা। সবাই পেন ড্রাইভ দিল তাতে প্রেজেন্টেশনটার কপি নেয়ার জন্য।
মাননীয় ফোর্স কমান্ডার নিজে একজন বীর মুক্তিযুদ্ধা।আবার পিন-পতন নিস্তব্ধতায় সবাই স্যারের কথা শুনল।কীভাবে তারা দেশ সাধীন করেছেন, জানালেন আমাদের।পাকিস্তানী অফিসাররা মাথা নিচু করে শুনছিল তাদের পরাজয়ের কাহিনী।
একটা অসাধারন মুহুর্ত সৃষ্টি হল যখন কমান্ডার সবাইকে জানালেন যে আমাদের প্রেজেণ্টেশন টীমে মহিলা ক্যাপ্টেন ছিল, তার বাবা একজন বিখ্যাত মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন, এবং বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর প্রধান ছিলেন।তখন দেখলাম সে খুবই আবেগপ্রবন হয়ে গেল,কারন তার বাবা অল্প কিছুদিন আগে পৃথিবী ছেড়ে চলে গেছেন। সবাই বলছিল, শী মাস্ট বি আ প্রাউড ডটার।


মন্তব্য

মুস্তাফিজ এর ছবি

আর দুই মাস? বাকি লেখা তাড়াতাড়ি দ্যান

...........................
Every Picture Tells a Story

যুবরাজ এর ছবি

তার মানে টা কী? আমি দেশে গিয়ে সচলায়াতনে লেখার সুযোগ পাবো না? আর আপনারা আমার লেখা পড়ার আগ্রহ হারিয়ে ফেলবেন তখন!! ব্ররই কেষ্ট পাইলামঃ)

হাতের কাছে ভরা কলস, তবু তৃষ্ণা মিটেনা।
----------------------------------------------------------------------------

ইশতিয়াক রউফ এর ছবি

বিদেশের মাটিতে দেশের কথা বলার মজাটা অন্যরকম না? লোম খাড়া হয়ে যায় সেই সময়গুলোয়। দেশটার সম্ভাবনা প্রচুর, কিন্তু আমরা কুলাঙ্গারের দল কিছুই করতে পারলাম না।

যুবরাজ এর ছবি

ভাঈ জান, যে জীবনে বিদেশের মাটিতে, বিদেশী দের সামনে নিজের দেশের গল্প গর্ব করে করেনি, সে আসলে বুঝতেও পারবেনা এটা কি অনুভুতি! জন্ম আমার ধন্য হয়ে গেছে, ভাইজান! এখন মরলেও আমার কোন সমস্যা নাই। ভাষার জন্য জীবন দিয়েছে শুনে, এক ব্রাজিলিয়ান অফিসার পাশে বসা পাকিস্তানী অফিসারকে নাকি বলেছিল, ইউ ওয়েয়ার সো রুড পিপল।শুকুর আলহামদুলিলাহ!

প্রেজেণ্টেশনে আমরা বাংলাদেশের যে সব ছবি ব্যবহার করেছিলাম, সেই বাংলাদেশ আমি নিজেও কোনদিন দেখিনাই। অনেক উপরে থেকে পাল তোলা নৌকার ছবি, আদিগন্ত বিস্ত্রৃত সবুজ ধান ক্ষেতের পাশ দিয়ে পায়ে হাঁটা মেঠো পথ, পিছনে তিল ঠাঁই আর নাহিরে টাইপ মেঘের পটভুমি-ভাই আমার তো আবার লোম খাড়া হয়ে যাচ্ছে!কী যে অদ্ভুদ সুন্দর আমাদের এই দেশটা, ইউরোপ-আফ্রিকা ঘুরে দেশের জন্য মায়া আরো বেড়ে গেছে।বহু-বহু বেশী সুন্দর আমাদের এই গরীব দেশটা।আমরা আসলেই কুলাঙ্গারের দল।সেদিন বসে বসে আলিপুর সেণ্ট্রাল জেল থেকে ১৯৩১ সালে দীনেশের লেখা চিঠি গুলো পড়ছিলাম।অপার্থিব আনন্দে কাঁপছিলাম থরথর করে!কয়েকদিন পর তাঁর ফাঁসি, কোন বিকার নেই,তার চোখে-মুখে মহা আনন্দ যে সে দেশের জন্য জীবন দিচ্ছে!
আমরা দেশ-দেশ নিয়ে এত চিৎকার-চেঁচামেচি করি কিন্তু দেশ আমাদের কি দিয়েছে তা একবারও ভাবিনা।আর আমরাই বা কি দিয়েছি দেশ কে? আমার সুইটজারল্যান্ড প্রবাসী বন্ধু ফাহিম কে বলেছিলাম দেশে যেয়ে তো তোর লাভ নাই, যেহেতু তার পিএইচডি'র সাবজেক্ট বাংলাদেশের কোন ভার্সিটি তে নেই।তার উত্তরে সে বলেছিল, দোস্ত,এই গরিব দেশটার জন্য স্কলারশীপ পেয়ে আমি জার্মানী এসেছি, আমাকে বিনা-বেতনে এই গরিব দেশটা পড়িয়েছে, আমি দেশে গিয়ে একটা ছেলেকেও যদি পড়াই, তাতেই আমার জীবন সার্থক হবে। ফাহিম, তুই সচলায়াতনের একজন নিরব পাঠক, আজ সবার সামনে তোকে আমি স্যালুট করি তোর এই কথার জন্য।তোর মত করে আমরা যেন সবাই চিন্তা করি।আমি গর্বিত তোর জন্য।

হাতের কাছে ভরা কলস, তবু তৃষ্ণা মিটেনা।
----------------------------------------------------------------------------

ইশতিয়াক রউফ এর ছবি

আপনার সেই বন্ধুর উপলব্ধির জন্য আমার তরফ থেকেও স্যালুট। অনুরোধ করছি তাঁকেও সচলে সরব হওয়ার।

ভ্রমণ আমার খুবই পছন্দের। ইউরোপ-আফ্রিকা যাওয়ার সুযোগ এখনও হয়নি, তবে আমেরিকা মোটামুটি দেখেছি সবদিকেই। ক্যালিফোর্নিয়া-অ্যারিজোনা আর উপরে ড্যাকোটাগুলো দেখা বাকি। এক রাতে হিসেব করছিলাম, আমি আমেরিকায় যতগুলো 'স্টেট' ঘুরেছি, বাংলাদেশে ততগুলো 'জেলা' ঘুরিনি। কী যে লজ্জা লাগছিলো রে ভাই। দেশে গেলে তাই প্রথম কাজ হবে ৬৪ টা জেলা ঘুরে বেড়ানো।

আরো আছে। বাইরে এসে এত মানুষ চিনলাম, এত পরিবারের সাথে সখ্য হল। অথচ দেশে খালা-ফুফু দের বাড়ি রাত কাটাইনি কখনও। স্কুল-কলেজের বন্ধুদের পরিবারের কাউকে চিনি না। একটা বাব্‌ল এর মধ্যে কেটে গেল জীবনটা।

দেশটা আসলেই সুন্দর। বিশেষ করে ইদানিং দেশের অনেক সুন্দর সুন্দর ছবি তোলেন সবাই। মানুষের সারল্য, আর সবার মধ্যেই কম-বেশি দেশাত্মবোধ অনেক বড় একটা অ্যাসেট আমাদের জন্য। ঠিক মত কাজে লাগাতে পারলেই হয়।

এই আবেগটা চীনে ছিল। আপনি যদি জেট লি'র "হিরো" দেখে থাকেন, তাহলে আর ভাষায় বোঝানোর কষ্ট করতে হয় না। "মাই কান্ট্রি"-ই সব কথার শেষ কথা। যত ঝগড়া হোক, যত তর্ক হোক, স্বার্থটা যখন দেশের, তখন সেটাই শেষ কথা। কিছু অন্ধকার দশক কাটিয়েছি আমরা, কিন্তু এখনকার তারুণ্যের মধ্যে এই দিকটা আছে। "বাংলাদেশ" জিনিসটা যেন নতুন আইপড। কাজে লাগাতে পারলেই হয়...

এনকিদু এর ছবি

"বাংলাদেশ" জিনিসটা যেন নতুন আইপড। কাজে লাগাতে পারলেই হয়...

চলুক


অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...


অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...

এনকিদু এর ছবি

আপনার সেই বন্ধুর উপলব্ধির জন্য আমার তরফ থেকেও স্যালুট। অনুরোধ করছি তাঁকেও সচলে সরব হওয়ার।

আমিও অনুরোধ করলাম ।


অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...


অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...

প্রকৃতিপ্রেমিক এর ছবি

পাকিস্তানী অফিসাররা মাথা নিচু করে শুনছিল তাদের পরাজয়ের কাহিনী।

যুবরাজ এর ছবি

আরো শুনবেন? প্রেজন্টেশনের পর বাংলাদেশের হরেক রকম পিঠা দিয়ে চা-বিরতি ছিল, যেখানে সবাই ছিল, ছিলনা পাকিস্তানী অফিসাররা।পরে একজন কে জিজ্ঞেস করেছিলাম, তোমরা না খেয়ে চলে আসলা যে? সে পাল্টা আমাকে জিজ্ঞস করল, আচ্ছা, তোমার দেশ যদি এরকম বিভক্ত হয়,আর তুমি পরাজিত বাহিনী হও, সারা দুনিয়ার লোকজনের সামনে এই কথা শুনতে তোমার কেমন লাগবে? আজ তোমাদের বিজয়ের দিন, তোমরা আনন্দ করো, আমাদের আজ পরাজয়ের দিন ভারতের কাছে, আমরা দিনটাতে আনন্দ করিনা।তুমি কি খেয়াল করেছ, ভারতীয়রা মুচকি হাসছিল? এই জন্য আমরা আর যাইনি। আমি সীকার করলাম তার কথায় যুক্তি আছে।

হাতের কাছে ভরা কলস, তবু তৃষ্ণা মিটেনা।
----------------------------------------------------------------------------

ধুসর গোধূলি এর ছবি
ইশতিয়াক রউফ এর ছবি

কিছুই বলার নাই, এইটাই ঘুরায় বলবার চায় আর কি।

স্পর্শ এর ছবি

ভাই আপনার লেখাগুলো সবসময় পড়ি। সব সময় মন্তব্য করা হয়না।
শাহাদুজ্জামানের একটা ছোট গল্প পড়েছিলাম 'মিথ্যা তুমি দশ পিপড়া'। অসাধারণ গল্প। পড়ে মনে হয়েছিল আর্মিতে গেলে মানুষের সৃষ্টিশীলতা, মননশীলতা বুঝি নষ্ট হয়ে যেতে থাকে। আপনা কে দেখে ভরসা পাচ্ছি এখন। আপনাকে স্যালুট।

দেশের গর্বের কথা সবার সামনে বলার যে দুর্লভ অভিজ্ঞতা আপনার হয়েছে তা দেখে খুব ভাল লেগেছে। আমার স্বপ্ন একদিন আমরা সবাই এভাবে আরো অনেক অনেক সাফল্যের গল্প বিশ্বদরবারে তলে ধরতে পারব।
শুভেচ্ছা।
....................................................................................
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...


ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...

যুবরাজ এর ছবি

স্পর্শ ভাই, আপনার কথা গুলো আমাকে স্পর্শ করেছে। আমার সৃষ্টিশীলতা যদি কিছু থেকে থাকে, আমি তা হারাতে দিবনা।আমি বিসাস করি, লেখার ক্ষমতা, গান গাওয়ার ক্ষমতা,সৃষ্টিশীল কিছু করার ক্ষমতা- ঈসর প্রদত্ত।আমি যখনি-যেখানে সযোগ পাই, তা কাজে লাগানোর চেষ্টা করি।আমার জন্য দোয়া করবেন, যেন সৎ, দেশপ্রেমিক একজন সৈনিক হতে পারি জীবনে।

হাতের কাছে ভরা কলস, তবু তৃষ্ণা মিটেনা।
----------------------------------------------------------------------------

এনকিদু এর ছবি

সামান্য হলেও সাহায্য করতে পেরেছি জেনে খুব ভাল লাগল । আশাকরি আপনি দুইমাস পরে দেশে এসে যখন প্রেজেন্টেশনটা আপলোড করবেন তখন আমরা খবর পাব হাসি

ফ্রান্স,ইটালী,গ্রীস,কানাডা,অস্ট্রেলিয়া,মালইয়েশিয়া,ভারত,পাকিস্তান,জর্দান, সিরিয়া, মিশর,চীন,নেপাল,নেদারল্যান্ড,স্পেন,পর্তুগাল,ব্রাজিল,পেরু,বলিভিয়া,মেক্সিকো,
যুক্তরাস্ট্র,লেবানন,রাশিয়া,ইউক্রেন,লাইবেরিয়া,সিয়েরালিওন,ঘানা,গিনি,নাইজেরিয়া,
দক্ষিন আফ্রিকা,লাটভিয়া,বেলজিয়াম,ফিলিপাইন,কেনিয়া,ইথিওপিয়া,জার্মানী,তুরস্ক,
আলজেরিয়া,মরক্কো,ভুটান, শ্রীলংকা,ডেনমার্ক,ইন্দোনেশিয়া এবং আমাদের বাংলাদেশের অফিসাররা।

পৃথিবীর মানব বসতী পূর্ণ সব মহাদেশ থেকেই কেউ না কেউ ছিল দেখা যাচ্ছে, এলাহী কাণ্ড বলা যায় ।


অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...


অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...

যুবরাজ এর ছবি

এলাহী না মহা এলাহী কান্ড বলা যায় এটা! প্রেজেন্টেশনের পর বাংলাদেশি অফিসারদের ভাব, যে দুনিয়াতে একটাই দেশ আছে, আর সেটা হল "বাংলাদেশ"।এমন ভাগ্য খুব কম বাংলাদেশীর জীবনে একবার হয়! আমার হয়ে গেছে।এখন মরে গেলেও কষ্ট নেই।

হাতের কাছে ভরা কলস, তবু তৃষ্ণা মিটেনা।
----------------------------------------------------------------------------

এনকিদু এর ছবি

দারুন !

আরে ভাই এত তাড়াতাড়ি মরলে কেমনে হবে ? এখনো তো অনেক কাজ বাকি ।


অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...


অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...

যুবরাজ এর ছবি

আচ্ছা, এডমিন এর কাছে আমার একটি সদয় জিজ্ঞাসা, সচলে আর কতকাল আমি অতিথি হয়ে থাকব? আর কত গুলো লেখা আমাকে জমা দিতে হবে? আমি স্থায়ী বাসিন্দা হতে চাই সচলে।

হাতের কাছে ভরা কলস, তবু তৃষ্ণা মিটেনা।
----------------------------------------------------------------------------

সুবিনয় মুস্তফী এর ছবি

পূর্ণ সমর্থন দিলাম। এইটা আপনার সিরিজের আনলাকি-থার্টিন খন্ড। তাও আশা করি আপনি লাকি হোন, আপনার সচল-কপাল শিগগির খুলে যাক।

তবে একটাই কথা - সচলত্ব পাবার পর লেখালেখি থেকে গায়েব হয়ে যাইয়েন না আমাদের অনেকের মত!
-------------------------
হাজার বছর ব্লগর ব্লগর

কীর্তিনাশা এর ছবি

সাধুবাদ !

-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।

-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।

অনিন্দিতা চৌধুরী এর ছবি

এই অসাধারণ মুহূর্তে এত চমৎকার কাজ করার জন্য আপনি ও আপনার টীমের সবাইকে অভিনন্দন।
সত্যিই দারুণ কাজ হয়েছে।

রানা মেহের এর ছবি

সারা দুনিয়ার লোকজনের সামনে এই কথা শুনতে তোমার কেমন লাগবে? আজ তোমাদের বিজয়ের দিন, তোমরা আনন্দ করো, আমাদের আজ পরাজয়ের দিন ভারতের কাছে, আমরা দিনটাতে আনন্দ করিনা।তুমি কি খেয়াল করেছ, ভারতীয়রা মুচকি হাসছিল?

মানে কী? পাকিস্তান সেনাবাহিনীর সদস্যরা কি বিশ্বাস করে তাদেরপরাজয় ছিল ভারতের কাছে বাংলাদেশে কাছে নয়?
-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস

-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস

এনকিদু এর ছবি

পাকিস্তানিদের এই এক ছোটলোকি । পরাজয় স্বীকার করেও সম্মান পাওয়া যায়, এই সম্মানটাও তারা চায়না অথবা তাদের পেটে সয় না । ভাব করছে যেন তারা ভারতের কাছে হেরেছ, বাংলাদেশ একা হলে হারার কোন সম্ভাবনাই ছিল না । আসলে বাংলাদেশের মত ছোট খাট দেশের শুঁটকা-পটকা লোকগুলো যে ওদের পুরোদস্তুর সেনাবাহিনীকে মেরে আধমরা করে ছেড়েছিল সেটা স্বীকার করতে চায়না ।


অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...


অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...

ধুসর গোধূলি এর ছবি

- ভালো লাগলো যুবরাজ। লেখার এই সাইজটা নেপালীদের ছাড়িয়ে গেছে কিছুটা। দেঁতো হাসি

দেশে ফিরে যান, নিয়মিত লিখতে থাকুন। এখন লাইবেরিয়ার চিঠি লিখছেন তখন লিখবেন ঢাকার চিঠি। পড়বো মন দিয়ে। আর যদি ঢাকা যাওয়া হয়ে যায়, তবে কোথায় না কোথাও বসে ধোঁয়াওঠা চায়ে চুমুক দেয়া যাবেখন। নাকি আপনি আমার আতিথ্য গ্রহণ করেন নাই বলে আমারেও চা-চক্রে ডাকবেন না! চোখ টিপি
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক

যুবরাজ এর ছবি

অবশ্যই ডাকব ভাই। সচলায়াতনের সবার সাথে যে আত্নার সম্পর্ক রচিত হয়েছে, তা থাকবে,কথা দিলাম।

হাতের কাছে ভরা কলস, তবু তৃষ্ণা মিটেনা।
----------------------------------------------------------------------------

রণদীপম বসু এর ছবি

দেশে থাকলে আমাদের মধ্যে দেশপ্রেম বোধটা খুব একটা চোখে পড়ে না। বরং উল্টোটাই দেখি। বাইরে গেলেই আসলে আমাদের নাড়ির টানটা টের পাই বোধ হয়।
ঘরের কোণো আমার উপলব্ধিতে ঘাটতি থাকতে পারে। তবে দেশের জন্য আপনাদের টান, মমত্ব দেখে সত্যিই গর্ব হয় আপনাদের জন্য। এই উপলব্ধিটা যদি আমাদের সবার মধ্যে গাঢ়ভাবে ছড়িয়ে যেতো..! আহা, কতো সমস্যা থেকেই না আমাদের উত্তরণ ঘটতে পারতো..!
ভালো থাকুন সবসময়, মা-মাটি-মানুষকে মনের গভীরে ধারণ করে...

-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’

santimoy এর ছবি

আমার সুইটজারল্যান্ড প্রবাসী বন্ধু ফাহিম কে বলেছিলাম দেশে যেয়ে তো তোর লাভ নাই, যেহেতু তার পিএইচডি'র সাবজেক্ট বাংলাদেশের কোন ভার্সিটি তে নেই।তার উত্তরে সে বলেছিল, দোস্ত,এই গরিব দেশটার জন্য স্কলারশীপ পেয়ে আমি জার্মানী এসেছি, আমাকে বিনা-বেতনে এই গরিব দেশটা পড়িয়েছে, আমি দেশে গিয়ে একটা ছেলেকেও যদি পড়াই, তাতেই আমার জীবন সার্থক হবে। ফাহিম, তুই সচলায়াতনের একজন নিরব পাঠক, আজ সবার সামনে তোকে আমি স্যালুট করি তোর এই কথার জন্য।তোর মত করে আমরা যেন সবাই চিন্তা করি।

আমি গর্বিত ফাহিেম র মত বাংঙ্গালীর জন্য।

পলাশ দত্ত এর ছবি

প্রেজেন্টশনের পর ভিনদেশি সৈনিকদের সাথে কোনো বাতচিৎ হয় নাই এই নিয়ে! সেইসব কই !!

==========================
পৃথিবীর তাবৎ গ্রাম আজ বসন্তের মতো ক্ষীণায়ু

সায়েদ এর ছবি

সত্যিই অসাধারণ ছিল সেই ২০ মিনিট।
পিনপতন নিরবতায় সবাই আঠা লাগানো চোখে প্রজেক্টরে দেখানো ছবিগুলো দেখছিল আর শুনছিল বক্তাদের কথা।
ঘোর লাগা বললেও বুঝি কম বলা হয়।

আপনাকে ধন্যবাদ যুবরাজ, অনন্য উপস্থাপনা।
নিজেকে সৌভাগ্যবান লাগছে এই ভেবে যে আপনাদের সাথে নিদেনপক্ষে দর্শক হিসেবে থাকতে পেরেছিলাম।

যুবরাজ এর ছবি

স্যার থাঙ্কস।

হাতের কাছে ভরা কলস, তবু তৃষ্ণা মিটেনা।
----------------------------------------------------------------------------

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।