মোবাইল বিড়ম্বনা

যুবরাজ এর ছবি
লিখেছেন যুবরাজ [অতিথি] (তারিখ: শনি, ০২/১০/২০১০ - ৯:৫৪পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

বেশ কিছুদিন ধরে আমার এক আত্বীয়কে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছেনা। আত্বীয় সম্পর্কে আমার আম্মার চাচাতো ভাইয়ের মেয়ের ঘরের নাতি, মানে আমার ভাগ্না। বয়সে আমার থেকে অনেক সিনিয়র, পি.ডব্লিউ.ডিয়ের একজন ইঞ্জিনিয়ার। উনি গত ২৩ জুলাই ২০১০ বাসা থেকে বের হয়ে কক্সবাজ়ারের উদ্দেশ্যে রওনা দেবার পর থেকে নিখোঁজ। বাসায় তার দুই বোন, বাবা-মা অস্থির। আজ দুই মাস পার হয়ে গেলো, তার কোন খোঁজ পাওয়া গেলোনা। দিন দিন আমার ঐ বুড়ো আপা-আর দুলাভাই অসুস্থ থেকে অসুস্থ হচ্ছেন ছেলের ঘরে ফেরার অপেক্ষায়। তাকে খুঁজে পেতে সম্ভাব্য সকল ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দেয়া, মাইকিং করা, হাসপাতাল-থানা, জিডি, র‍্যাব-পুলিশ সবই করা হয়েছে। আমার আজ লেখার বিষয় হল পত্রিকায় নিখোঁজ সংবাদ দেবার পরে প্রতিক্রিয়া। গত ৩১ জুলাই, ১৭ আগষ্ট এবং ২৩ আগষ্ট দেশের প্রথম সারির বেশ কিছু পত্রিকায় হারানো বিজ্ঞপ্তি দেয়া হয়। দেয়া হয় আমার মোবাইল নাম্বার এবং আমার ভাগনির মোবাইল নাম্বার। পত্রিকায় আমাদের নাম্বার দেখে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ফোন আসা শুরূ হয়। শতকরা ৯৯ ভাগ লোক বললেন যে তারা আমার ভাগ্না কে সচক্ষে দেখেছেন। কেউ রংপুরে গতকাল মাত্র দেখেছেন, আবার কেউ বললেন গতকাল সেন্টমার্টিন দেখেছেন। বিভিন্ন পেশার, বিভিন্ন বয়সের মানুষ ফোন করলেন, আমাদের বিচিত্র এক অভিজ্ঞতা হলো এটা নিয়ে। কেউ কেউ সমবেদনা এবং সমব্যথী হওয়ার জন্য ও ফোন দিলেন। সব থেকে দুঃখের ব্যাপার হলো কিছু অসভ্য- ইতর শ্রেণীর মানুষের নোংরা মন-মানসিকতা দেখে। যেহেতু আমার ভাগনির নাম্বার দেয়া ছিল, সে নাম্বারে অবিরত ফোন করে কিছু ছেলেরা বাজে বাজে কথা বলা শুরু করেছিল। অন্য সময় হয়ত এতোটা খারাপ লাগত না, কিন্তু এখন প্রতিটা ফোন কল ইম্পর্টেণ্ট রিসিভ করা, যদি এই ভূয়া কল গুলির মধ্যে একটাও আসল হয়। এই বিধ্বস্ত অবস্থার মাঝে যখন বাজে কথা বলার জন্য কেউ ফোন করে তখন ভুক্তভোগীদের কেমন লাগে? আমার ভাগনি তার মোবাইল বন্ধ করে দিল এক পর্যায়ে। এখন ফোন আসা শুরু হলো আমার মোবাইলে। আমি রিসিভ করলে, ও পাশ থেকে পূরুষ কন্ঠ," ঐ মেয়েটারে দেন, কথা বলবো।" লাইন কেটে দিলে গালাগালি। এই পর্যায়ে একটা নাম্বার আমি খেয়াল করলাম, সে প্রতি ১০ মিনিট পর পর ফোন করছে এবং ফোন ধরলেই কম্পিউটার ছেড়ে দিয়ে কিছু অশ্লীল শব্দ শোনাচ্ছে। তাকে আমি অতি বিনয়ের সাথে বললাম, আপনি পত্রিকায় দেখেছেন আমরা কি অবস্থায় এই বিজ্ঞাপন দিয়েছি, এরকম ইতরামি এই মুহুর্তে না করলে নয় কি? সে তাতে আরো আনন্দ পেল। এবার তাকে আমি আমার পরিচয় উল্লেখ করে বললাম, যে সে ফোন করা বন্ধ না করলে আমি ব্যবস্থা নিতে বাধ্য হব। সে আমার কথায় অনেকক্ষন হাসলো এবং বলল, আমি তার.........ছিঁড়তে পারবো না। আমি বললাম, আপনি কোথা থেকে ফোন করছেন, সে আমাকে বললো উত্তরা ৪ নং সেক্টর থেকে, পারলে আমি যেন তাকে ধরি। আমি কথা না বাড়িয়ে ফোন রেখে দিলাম।

ফোন দিলাম এইবার র‍্যাব সদর দপ্তর ইন্টেলিজেন্স উইং-এ। আমার এক সিনিয়ারের সাথে কথা বললাম। উনি ১৫ মিনিট পরে আমাকে জানিয়ে দিলেন ঐ মোবাইল ফোনের উৎস কুমিল্লার নির্দিষ্ট এলাকার একটি চার তলা একটা বাসা থেকে। কুমিল্লা র‍্যাবে আমার এক কোর্সমেট ছিল, তাকে ফোন করে ঐ এলাকাটা রেকি করতে একজন লোক পাঠাতে বললাম। সে ঐ এলাকায় গিয়ে ফোন দিয়ে জানালো ঐ এলাকায় চার তালা একটাই বাসা আছে। এইবার সোর্সকে বললাম কোন দারোয়ান থাকলে খোঁজ নিতে ঐ বাসায় কোন কোন তালায় তরূন/যুবক বয়সী থাকে? দারোয়ান ছিল এবং জানা গেল, নিচ তলা এবং ৪ তলায় ছেলে আছে। এর পর সোর্সকে বললাম জিজ্ঞেস করতে ঐ ছেলেদের দারোয়ান চিনে কিনা এবং কারো নাম্বার আছে কিনা। সে জানালো তার কাছে কোন নাম্বার নেই। অতঃপর টহল টিম গেল ঐ বাসায় একজন ডিএডি এর নেতৃত্বে। তারা নিচ তলায় পৌছাতে আমি ঐ ছেলে কে ফোন দিলাম, জিজ্ঞেস করলাম কেমন আছো? সে ভালো আছি বলতেই কলিং বেল শুনলাম, আমি তাকে Mute রেখে অন্য নাম্বার থেকে টিম কে জানালাম, ঠিক জায়গায় পৌঁছেছে তারা, এই বাসায় ছেলেটা থাকে। তার পর আর কি? কিছু উত্তম-মাধ্যম খেল বেচারা র‍্যাব অফিসে গিয়ে।

আমি তাকে ছেড়ে দিতে বলেছি অদ্ভুত এক শর্তে, তার মিনিমাম ২০ জন বন্ধু আমাকে ফোন করে বলবে যে ফোনে বিরক্ত করলে এটা ধরার সিষ্টেম যে বাংলাদেশে আছে এটা তারা খুব ভালো করে জানে এটা তারা তাদের সমবয়সী অন্য বন্ধুদের জানাবে এবং তারা ব্যক্তিগত ভাবে কাউকে ফোনে বিরক্ত করবেনা- এই প্রতিশ্রতিতে। ছেলেটি প্রতিশ্রুতি রেখেছে।

পাদটিকাঃ
নিচের লেখাটি আমার মেঝ ভাইয়ের। তার ছোট বেলার বন্ধু স্বাধীন ভাই একদিন হারিয়ে যায়। ফেসবুকে আমার লেখাটা পরে ভাইয়া এই লেখাটা মন্তব্য হিসেবে লিখে, যা আমার কাছে প্রাসঙ্গিক মনে হয়েছে।

" ২০০৫ সালে আমার কৈশোরের বন্ধু 'আমিনুল ইসলাম স্বাধীন' মগবাজারে বন্ধুর বাসা থেকে উত্তরাতে নিজের বাসায় ফিরার পথে নিখোজ হয়। পরের দিনেও বাসায় না ফেরায় 'প্রথম আলোতে' বিজ্ঞাপন দিয়ে তার সন্ধান চাওয়া হয়। কিন্তু এই বিজ্ঞাপন তার উদগ্রীব পরিবারের জন্য কাল হয়ে দাড়ায়। পত্রিকার বিজ্ঞাপন দেখে সারাদিন অসংখ্য ফোন আসতে থাকে মোবাইল ফোনে। কেউ বলে, তাকে এই মাত্র রমনা পার্কে দেখেছে তো কেউ বলে তাঁকে ইস্টার্ন প্লাজায় বান্ধবীদের সাথে আড্ডা দিতে দেখেছে। কেউ জানায় সিলেট দেখেছে আবার কেউ জানায় সে এখন খুলনায় আছে। মানুষের এই সব আবল-তাবোল ফোন ধরতে ধরতে আর সন্ধান করতে করতে পরিবারটি যখন মানসিক যন্ত্রনায় বিপর্যস্ত হয়ে এইসব উটকো ফোনে আর ভরসা রাখতে পারছিলো না, তখন জানা যায় টঙ্গীর কাছে একটা রেল স্টেশনে ট্রেনে কাটা একটা মানুষকে ্পঙ্গু হাসপাতালে নেয়া হয়েছে। যদিও এই ফোনটাকে বিশ্বাস করতে মন চাইছিলো না পরিবারের কারো ; তবুও পরিবারের পক্ষ থেকে ছুটে যাওয়া হয় পঙ্গু হাসপাতালে । ওই খানে যাবার পর দেখা যায় ট্রেনে কাটা মানুষটি আমার শৈশবের বন্ধু স্বাধীন । তার পরিবার পঙ্গুতে পৌছার অনেক পূর্বেই তাঁর মৃত্যু হয় । ওই উটকো ফোনগুলোর কারণে উত্কন্ঠিত পরিবারকে দুটোদিন কী রকম মানসিক যন্ত্রনায় দগ্ধ হতে হয়েছিল ত়া মনে পরলে আজও আমি দাঁতে দাঁত চাপি । সে সময় প্রযুক্তি এমন ছিলো না আর যুবরাজের মত কেউ ছিলো না তাদের পাশে । আমাদের চার পাশের মানুষ গুলো বদলাতে বদলাতে সত্যিকার অর্থেই 'পশু' হয়ে ওঠার প্রকাশটা নির্মম ভাবে আজকাল দরজায় এসে করা নাড়ে ।"


মন্তব্য

দ্রোহী এর ছবি

হায়রে দেশ! হায়রে মানবতা! মন খারাপ


কাকস্য পরিবেদনা

স্নিগ্ধা এর ছবি

লেখাটা পড়ে মন খারাপ হয়ে গেলো ...... আপনার আত্মীয় যেন সুস্থ অবস্থায় প্রিয়জনদের কাছে ফিরে আসেন, এই প্রার্থনা রইলো।

আর ঐ লোকটাকে ধরিয়ে খুব, খুব ভালো কাজ করেছেন!!! এরকম অবস্থায় যে অমানুষ এসব করতে পারে, তার উত্তম মধ্যম খাওয়াই উচিত!

আপনজন মারা যাওয়াও খুব দুঃখের। আর কোনদিন দেখা হবে না এই নিশ্চিত এবং অমোঘ সত্যটা বড় ভয়ংকর। কিন্তু, আপনজন হারিয়ে যাওয়া, সে কোথায় কীভাবে আছে না জানা, আর কোনদিন দেখা হতেও পারে আবার না-ও হতে পারে এই অনিশ্চয়তা, আশা এবং একইসাথে দুর্বহ দুশ্চিন্তা - মাঝে মাঝে মনে হয় সেটা কি মৃত্যুর চাইতেও ভয়ংকর?

আপনার ভাইয়ের বন্ধুর পরিবারের জন্য সমবেদনা রইলো। অবশ্য এইসব সমবেদনায় কী-ই বা হবে ...

ইশান এর ছবি

ঐ ছেলেরে কমই করছেন।ওর নিদেন পহ্মে ২,১ মাস ভিতরে থাকা উচিৎ ছিল।
প্রিয়জন আবার আপনাদের মাঝে ফিরে আসুক,এই প্রার্থনা করি।

নীড় সন্ধানী এর ছবি

প্রথম যে ঘটনার কথা বললেন, নৈতিকতার মানদন্ড এভাবে নিন্মগামী হয়েছে দেখে কষ্ট লাগলো।

‍‌-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
এ ভ্রমণ, কেবলই একটা ভ্রমণ- এ ভ্রমণের কোন গন্তব্য নেই,
এ ভ্রমণ মানে কোথাও যাওয়া নয়।

‍‌-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?

কৌস্তুভ এর ছবি

মন খারাপ

নাশতারান এর ছবি

আপনার আত্মীয়কে সহিসালামত ফিরে পান এই আশা করছি।
আমি যুবরাজ নই। এমন কোনো ঘটনার শিকার হলে আমি কী করবো কে জানে?

_____________________

আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।

সুলতান এর ছবি

আমারও একই প্রশ্ন

অতিথি লেখক এর ছবি

" ঐ ছেলেরে কমই করছেন।ওর নিদেন পহ্মে ২,১ মাস ভিতরে থাকা উচিৎ ছিল।" এই ব্যাপারে আমিও সহমত | আমাদের নৈতিকতা বলে কিছু আছে বলে মনে হয় না | আর বুনোহাঁস এর সাথে গলা মিলিয়ে ব লতে চাই আমি বা আমারা যুবরাজ নই আমরা কিভাবে এই ধরনের ঘটনার শিকার হলে প্রসাশন থেকে কিভাবে সাহায্য পেতে পারি যদি বলে দেন তাহলে খুব উপকৃত হব | আপনার আত্মীয়কে ফিরে পান এই আশায় শেষ করলাম |

বইখাতা এর ছবি

আপনার আত্মীয়ের পরিবারের জন্য সমবেদনা। তাকে আপনারা সুস্থভাবে ফিরে পান, এই প্রার্থনা।

আর ওই ছেলের ব্যাপারে বলি, একদম ঠিক কাজ করেছেন। তবে তাকে শাস্তি কমই দেয়া হয়েছে। মাসখানেক বা নিদেনপক্ষে টানা কয়েকদিন ধরে একনাগাড়ে শাস্তি দেয়া উচিত ছিল, যেন এই শাস্তি দেখে অন্তত তাকে যারা যারাই চেনে তাদের কাছে , আবার তাদেরকে যারা যারা চিনে তাদের কাছে এইভাবে চেইন ধরে প্রত্যেকের কাছে এটা দৃষ্টান্ত হয়ে যায় এবং কেউ যেন এই কাজ করতে আর সাহস না পায়। এই মোবাইল বিড়ম্বনা যে কী অসহনীয় পরিস্থিতির সৃষ্টি করতে পারে তা ভুক্তভোগী না হলে বোঝা সম্ভব না।

অতিথি লেখক এর ছবি

কী যুগে আমরা করি বাস, ভাবতেই ঘেন্না লাগে!
রোমেল চৌধুরী

তার-ছেড়া-কাউয়া এর ছবি

সবাই যুবরাজ না। তাই সবাই আপনার মত ব্যবস্থা নিতে পারে না। হারিয়ে যাওয়া মানুষটিকে ফিরে পান খুব শীঘ্রই, এই প্রার্থনা থাকলো।

কামরুল হাসান রাঙা [অতিথি] এর ছবি

মোবাইল ফোনের উপর নিয়ন্ত্রণ বাড়ানো উচিত। এর অতিব্যবহার সামজের অনেক ক্ষতি করছে।

অতিথি লেখক এর ছবি

আপনার লেখা পড়ে ভীষণ খারাপ লাগছে। এই মোবাইল বিড়ম্বনা যে কী অসহনীয় পরিস্থিতির সৃষ্টি করতে পারে তা ভুক্তভোগী না হলে আসলেই বোঝা সম্ভব না। আমি গত কয়েক মাস ধরে নতুন সিম ব্যবহার করছি। একজন পরিচিতকে নাম জানিয়েই মেসেজ করেছিলাম। আমার নাম্বার তিনি ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে জানতে চেয়েছেন এটা কার নাম্বার। তিনি আমাকে চিনতে কেনো পারেননি আজ অব্দি আমি বুঝে উঠতে পারিনি! তবে না চেনার ফল আমাকে ভোগ করতে হচ্ছে প্রতিনিয়ত। মেয়ের কন্ঠ পেলেই আমাদের দেশের মানুষগুলো কেনো এমন পাগল হয়ে যায় আমি বুঝি না। প্রতিদিন অন্ততপক্ষে ১০/১২ টা মিসকল থাকবেই। আর কেউ কেউ মাঝে সাঝে ফোন করে এতো বাজে কথা বলে গা শিউরে উঠে। মানুষগুলো এমন কেনো যে করে!!

সাবরিনা সুলতানা

আনোয়ার সাদাত শিমুল এর ছবি

মন খারাপ হলো।

আশ্চর্য্যজনক ব্যাপার হলো, মিসকল বন্ধে মোবাইল কোম্পানীগুলা নিজেরা কিছু করবে না, উলটা কল ব্লক সার্ভিস নামের ব্যবসা খুলে বসেছে।
ক'দিন আগে রবি'তে ফোন করে বললাম, আপনারা কল লিস্ট চেক করে দেখেন আমার নম্বরে উৎপাত করে কিনা। তাদের স্পষ্ট কথা, কিছু করা যাবে না। থানায় জিডি করে ঐ কপি রবি অফিসে জমা দিলে তারা একশন নেবে।
সে-ই হাইকোর্ট দেখানো পথ...

শাহেনশাহ সিমন এর ছবি

আপনার অভিযোগ যথার্থ। তবে কোম্পানিগুলোকে সবার স্বার্থ-ই দেখতে হয়। যেমন, অন্য কোনো ব্যবহারকারী আপনার নামে একই অভিযোগ যদি করে, এবং নিজ উদ্যোগে ব্যবস্থা গ্রহন করে, তবে সেটি আপনার জন্যে সমস্যার ব্যাপার। এ জন্যে নিয়মানুযায়ী আপনার একটি জিডি করতে হয়, যার একটি কপি কোম্পানিকেও দিতে হয় (ফ্যাক্স, ই-মেইল বা হার্ড কপি)। ফলে কোম্পানি বা হয়রানির শিকার যে ব্যক্তি, কাউকেই পরবর্তী আইনের ঝামেলায় পড়তে হয় না।
_________________
ঝাউবনে লুকোনো যায় না

_________________
ঝাউবনে লুকোনো যায় না

তায়েফ আহমাদ [অতিথি] এর ছবি

একটাই মন্তব্য করা যেতে পারে।
'এই পাশবিক মন-মানসিকতা কবে পাল্টাবে??'

দুষ্ট বালিকা এর ছবি

এ পর্যন্ত বারো বার নাম্বার বদলেছি। গত দুবছর ধরে এখনকার নাম্বারে আছি, আর বদলাবো না। এখন কেউ অশ্লীল কথা বললে তার পরিণতি খুব একটা ভদ্র হয়না।

লেখাটা পড়ে খুব খারাপ লাগ্লো ভাইয়া। আশা করি তোমার আত্মীয়কে খুঁজে পাবে শীঘ্রই। মন খারাপ

-----------------------------------------------------------------------------------
...সময়ের ধাওয়া করা ফেরারীর হাত থিকা যেহেতু রক্ষা পামুনা, তাইলে চলো ধাওয়া কইরা উল্টা তারেই দৌড়ের উপরে রাখি...

**************************************************
“মসজিদ ভাঙলে আল্লার কিছু যায় আসে না, মন্দির ভাঙলে ভগবানের কিছু যায়-আসে না; যায়-আসে শুধু ধর্মান্ধদের। ওরাই মসজিদ ভাঙে, মন্দির ভাঙে।

মসজিদ তোলা আর ভাঙার নাম রাজনীতি, মন্দির ভাঙা আর তোলার নাম রাজনীতি।

মূলত পাঠক এর ছবি

এই বদরোগের ওষুধ আইনি পথে হতে পারতো, কিন্তু সে পথ সহজ নয় বলেই দুষ্ট বালিকার পথটা নিতে হবে মেয়েদের। ব্রাভো হে বালিকা!

আপনার আত্মীয়কে তাড়াতাড়ি খুঁজে পান, এই আশা করি।

সোয়াদ [অতিথি] এর ছবি

খুব খারাপ লাগলো পড়ে। ভালো থাকবেন।

অবস্থা দেখে মনে হচ্ছে যে আমাদের স্কুলগুলোতে সহশিক্ষা এবং যৌনশিক্ষা চালু করাটা এই মুহুর্তের সবচেয়ে জরুরী কাজগুলোর মধ্যে একটি। মোবাইল ফোন এই সমস্যার উৎস নয়, এটি এসিড, ক্যামেরা, বাসের বা বাজারের ভিড়ের মতো একটি উপলক্ষ।

স্কুলে ধর্ম শিক্ষা বাতিল করতে পারলে ভালো হতো, কিন্তু যেহেতু আমরা এখনও অদ্ভুত উটের পাছায় মাথা গুঁজে বসে আছি, সেহেতু একে কমপক্ষে ঐচ্ছিক এবং প্রচন্ডভাবে সেন্সরড করা উচিত। বাচ্চারা যৌনশিক্ষার ক্লাসে যা শিখবে, ধর্মশিক্ষার ক্লাসে গিয়ে তার সম্পূর্ণ বিপরীত এবং ভুল শিক্ষা নেবে- এটা হতে পারেনা।

অতিথি লেখক এর ছবি

আমার প্রথম চাকরি তে যোগদান করার পর, টানা ৩ মাস রাত ১১ টা থেকে ৩ টা পর্যন্ত হাজার হাজার লোক ফোনে উল্টা পালটা কথা বলত। একদিন একলোক বলেছিল কথা না বললে নেট এর কোন একটা ওয়েবসাইট এ নাম্বার দিয়েছি কেন?(!!!!!) আমি প্রথম ২/১ দিনের পর মোবাইল রাতে বন্ধ রাখতাম।কিন্তু কোনভাবে ১ সেকেন্ডের জন্য অন করলেও ফোন পেতাম। আমি না জেনে কোন সিদ্ধান্তে আস্তে চাই না- এই ঘটনা শুরু হয় প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ ভাবে কয়েকজনের বিবাহ/প্রেমের প্রস্তাব সবিনয়ে ফিরিয়ে দেবার পর।

রিক্তা
--------------------------------
হে প্রগাঢ় পিতামহী, আজো চমৎকার?
আমিও তোমার মত বুড়ো হব – বুড়ি চাঁদটারে আমি করে দেব বেনোজলে পার
আমরা দুজনে মিলে শূন্য করে চলে যাব জীবনের প্রচুর ভাঁড়ার ।

অমিত আহমেদ এর ছবি

কতটা নিম্ন মানসিকার লোক হলে এমন করতে পারে কেউ, তাই ভাবছি। ওই ছেলেকে শুধু ডলা নয়, কয়েক হপ্তা জেলেও রেখে দেয়া উচিত ছিল। আশা করি আপনার আত্মীয়কে শীঘ্রই খুঁজে পাবেন।

সোয়াদের সাথে একমত।

ফ্রুলিক্স [অতিথি] এর ছবি

আগের মতো ৭ টাকা মিনিট হলে হয়তো কিছুটা কথা বলা কমতো।

দেশে গিয়ে খুবই খারাপ শিক্ষা হয়েছে। রাত ২/৩ টা বাজে ফাও ফোন। এমনিতে গরমে ঘুম নাই, কারেন্ট নাই। উল্টো মোবাইল ঝামেলা।

আশা করি তোমার আত্মীয়কে খুঁজে পাবে শীঘ্রই। দোয়া রইলো।

শাহেনশাহ সিমন এর ছবি

সেটাই চোখ টিপি
_________________
ঝাউবনে লুকোনো যায় না

_________________
ঝাউবনে লুকোনো যায় না

শাহেনশাহ সিমন এর ছবি

আপনার উদ্যোগ গুলো (পূর্বের ঘটনা মনে রেখে) বেশ সাহসী এবং ঈর্ষা জাগানিয়া (কারন আমরা এরকম সুবিধা পাবো না)। তবে সামান্য মনক্ষুণ্ণ, কারন সিদ্ধান্তগুলো শেষ পর্যন্ত কার্যকর হয়তো হয় না, যেটা সবাই আশা করে। তারপরেও, কয়জন-ই বা এতোদূর করে।

আশা করি, আপনার আত্মীয়কে দ্রুত খুঁজে পাবেন (বা পেয়ে গেছেন ইতিমধ্যে)
_________________
ঝাউবনে লুকোনো যায় না

_________________
ঝাউবনে লুকোনো যায় না

EkjonPathok এর ছবি

Any news of your relative?

যুবরাজ এর ছবি

না, তাকে আর খুঁজে পাওয়া যায়নি আজ প্রায় দুবছর হতে চলল। কোন খবর আজ পর্যন্ত কেউ দিতে পারেনি।

হাতের কাছে ভরা কলস, তবু তৃষ্ণা মিটেনা।
----------------------------------------------------------------------------

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।