আশ্চর্য তীর্থযাত্রীরা ০২

কনফুসিয়াস এর ছবি
লিখেছেন কনফুসিয়াস (তারিখ: সোম, ০৬/১০/২০০৮ - ৯:৫১পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

আমি জানি না কেন, কিন্তু আমি সেই দৃষ্টান্তমূলক স্বপ্নটিকে আমার নিজস্ব স‌ত্তার বিবেকীয় পরীক্ষা হিসেবেই ব্যাখ্যা করলাম।

এবারে একদম ঘেঁটে গেলো, খুবই দুর্বল হয়ে গেল এই বাংলাটা। পুরোটা পড়ে ফেলবার পরে আবার অবশ্যই এই লাইনটার কাছে একবার ফিরে আসতে হবে ব‌লে ম‌নে হ‌চ্ছে।

আমি জানি না কেন, কিন্তু আমি সেই দৃষ্টান্তমূলক স্বপ্নটিকে আমার নিজস্ব স‌ত্তার বিবেকীয় পরীক্ষা হিসেবেই ব্যাখ্যা করলাম, এবং আমার মনে হচ্ছিলো ইউরোপে ল্যাটিন আমেরিকানদের সাথে যে আজ‌ব ব্যাপারগুলি ঘ‌টে সেসব নিয়ে লেখার জন্যে এটা একটা উৎকৃষ্ট সময়।

নাহ, এবারেও হলো না পুরোপুরি। মূল কথাটা বুঝতে পারছি, কিন্তু লেখায় সেটা আনতে পারছি না কিছুতেই। আরেকটা কথা, এটা এভাবে বাংলা করে করে পড়তে গিয়ে মনে হলো, বাংলা শব্দভান্ডার আমার ভীষ‌ণ‌ ক‌ম! এরকম অনুবাদ জাতীয় খেলাধূলা সম্ভবত প্রায়শই করা উচিত, শব্দভান্ডার বাড়াবার প্রয়োজনে।

এটা আমার জ‌ন্যে বেশ উৎসাহব্যাঞ্জক ছিলো, কারণ আমি মাত্রই আমার সবচেয়ে কঠিন এবং রোমাঞ্চকর লেখা The Autumn of The Patriarch শেষ করেছি, এবং আমি জানতাম না তারপরে আমার কি করা উচিৎ।

দু বছর ধরে গল্পের বিষয়বস্তু হিসেবে ভাবা যায়, এর‌ক‌ম যা কিছু ঘ‌ট‌ছিলো আমার সাথে আমি সেস‌ব টুকে রাখছিলাম, কিন্তু আমি জানতাম না সেসব নিয়ে আমি কি করবো। যে রাত থেকে লিখ‌তে শুরু করেছিলাম, বাড়িতে তখন আমার নিজের কোন নোটখাতা না থাকায় আমার বাচ্চারা তাদের খাতা আমাকে ধার দিয়েছিল লিখবার জন্যে। এবং প্রায়‌শ‌ই ভ্রমণে গেলে তারাই তাদের ইশকুলব্যাগে সেই খাতা বয়ে বেড়াত, সেটা হারিয়ে যাবে এই ভয়ে। আমি সব মিলিয়ে চৌষট্টিটি গল্পের আইডিয়া জমিয়েছিলাম এবং প্রতিটাই এত পুঙখানুপুঙখ বর্ণনা সহ যে, আমার কেবল সেগুলো লিখে ফেলাটাই বাকি ছিলো!

১৯৭৪ সালে, আমি যখন বার্সেলোনা থেকে মেক্সিকোয় ফিরে এলাম, এটা আমার কাছে পরিষ্কার হয়ে এলো যে শুরুতে যেমন এই খাতাটিকে একটি উপন্যাস হিসেবে মনে হচ্ছিলো, আসলে এটি তা ছিলো না। বরঞ্চ এটিকে একটি ছোট গল্প সংগ্রহ বলা চলে, যেগুলো মূলত জার্নালিস্টিক বাস্তবতার উপরে ভিত্তি করে লেখা, কিন্তু কাব্যের বিচক্ষণ কৌশল দিয়ে তাদের নশ্বরতা থেকে উদ্ধার করা সম্ভব। ইতিমধ্যেই আমার তিনটি গল্প সংকলন প্রকাশিত হয়েছে, যদিও তাদের কোনটিই পুরোপুরি একসাথে মাথায় আসেনি বা লেখাও হয়নি। বরং ঘ‌টেছে তার উল্টোটাই, প্রতিটি গল্পই আলাদা আর অনিয়মিত ভাবে তৈরি। তাই এটা অবশ্যই আমার জন্যে বেশ রোমাঞ্চকর অভিযান হয়ে উঠবে যদি আমি এই চৌষট্টিটি গল্প এক বসায় লিখে ফেলতে পারি, একটা নিজস্ব ঐক্যবদ্ধ সুর আর রীতিতে, যেন পাঠকদের স্মৃতিতে তারা অবিচ্ছেদ্য প্রভাব ফেলতে পারে।

আমি ১৯৭৬-এ প্রথম দুটি গল্প লিখে ফেললাম- "the trail of your blood in the snow" আর " miss Forbes's summer of happiness"- এবং খুব তাড়াতাড়িই তারা কয়েকটি দেশের বিভিন্ন সাহিত্যপত্রিকায় প্রকাশিত হলো। আমি কোন বিরতি ছাড়াই লিখে চলেছিলাম, কিন্তু আমার তৃতীয় গল্পটি লিখবার সময়, যেটি কিনা আমার শেষকৃত্য নিয়ে লেখা, আমি ভীষণ ক্লান্তি বোধ করলাম, এমনকি কোন উপন্যাস লেখার চেয়েওবেশি ক্লান্ত‌। চতুর্থ গল্পটি লেখার সময়ও একই ব্যাপার হলো। সত্যি কথা বলতে কি, সেগুলোকে শেষ করার মত শক্তি পাচ্ছিলাম না। এখন আমি জানি কেন সেটা হয়েছিলোঃ ছোটগল্প লেখা শুরু করার শ্রম একটি উপন্যাস শুরুর মতই তীক্ষ্ণ, যেখানে প্রায় সব কিছুই প্রথম প্যারাগ্রাফে বলে দিতে হয়, এটার গঠন, সুর, ভঙ্গী, ছন্দ, দৈর্ঘ্য এবং কখনো কখনো কোন একটা চরিত্রের ব্যাক্তিত্বও বর্ণনা করতে হয়। বাকি থাকে কেবলই লেখার আনন্দ, সেই নির্জন আর অন্তরঙ্গআনন্দ যা কেউ কেবল কল্পনাই করতে পারে। এবং বাকি জীবনটা যদি কারো উপন্যাস কাঁটাছেড়া করতে করতে না শেষ হয়, সেটা কেবল সম্ভব যদি শুরুর উদ্যমটুকু উপন্যাস শেষ করার মুহুর্ত পর্যন্ত ধরে রাখা যায়। কিন্তু একটা গল্পের কোন শুরু নেই, শেষ নেই।

একটানা অনেকটুকু পড়ে ফেলা গেলো আবারো। আর পড়তে গিয়ে এবারে সত্যিই মনে হয় ইংলিশ-টু-বাংলা ট্রান্সলেশান পড়ছি। ব্যাপারটা আমি খেয়াল করেছি। বাংলা আর ইংরেজির বাক্যগুলোর গঠন মূলত আলাদা। এখন বাক্য ধরে ধরে অনুবাদ করতে গেলে এই ইংরেজি ভাবটুকু থেকেই যায়, এড়াবার উপায় নাই। কিন্তু যদি এই ফরম্যাট ভেঙ্গে ফেলি, অর্থ্যাৎ যদি বাংলা বাক্যের গঠন অনুযায়ী অনুবাদ করি, তাহলে খাঁটি বাংলা ভাব আসবে ঠিকই, কিন্তু তাতে গল্পকারের লেখার ভঙ্গীটা অটুট থাকবে কি না সেটা একটা বিরাট চিন্তার বিষয়।

এটা কখনো কাজ করে, কখনো করে না। যদি না-ই করে, তবে আমার নিজের ও অন্যদের অভিজ্ঞতা বলে, সবচেয়ে স্বাস্থ্যকর উপায় হচ্ছে অন্য কোন দিক থেকে গল্পটা শুরু করা, অথবা গল্পটা ম‌য়‌লা ফেলার ঝুড়িতে ছুড়ে ফেলে দেয়া। কেউ একজন, আমি জানি না কে, এই স্বস্তিদায়ক মন্তব্য করেছিলেন, " ভালো লেখকেরা তাদের প্রকাশিত লেখার চেয়ে বেশি অভিনন্দিত হয় সেসব লেখার জন্যে, যেগুলো তারা ছিঁড়ে ফেলে।" এটা সত্যি যে আমি লেখার প্রথম খসড়া বা নোট ছিঁড়ে ফেলে দিতাম না, তবে মাঝে মাঝে তার চেয়েও খারাপটা করতাম, লেখাটাকে বিস্মৃতির অতলে হারিয়ে যেতে দিতাম।

এক‌টা নির্ভুল অনুবাদের ইচ্ছে থেকে এই কাজ শুরু ক‌রিনি আমি, আমার ব‌রং ইচ্ছে হ‌চ্ছিলো এই চ‌ম‌ৎকার লেখাটাকে কোন‌ভাবে বাংলায় লিখে রাখতে, যেন হুট ক‌রে অনেকদিন প‌রে য‌দি ক‌খ‌নো এই লেখাটাকে প‌ড়‌তে ইচ্ছে ক‌রে, ত‌খ‌ন যেন হাতের কাছে পাই লেখাটা। কিন্তু অনুবাদে অভ্যাস না থাকায় আমি বোধ‌হ‌য় খানিক‌টা হাঁপিয়ে উঠেছি। এদিকে আবার খুব দ্রুত‌ই শেষ‌ ক‌রার অস্থির‌তা পেয়ে ব‌সেছে, কিন্তু দেখা যাচ্ছে দিল্লী ব‌হুত দুর- এখ‌নো!

(ক্রমশঃ)


মন্তব্য

মুজিব মেহদী এর ছবি

ছোটগল্প লেখা শুরু করার শ্রম একটি উপন্যাস শুরুর মতই তীক্ষ্ণ, যেখানে প্রায় সব কিছুই প্রথম প্যারাগ্রাফে বলে দিতে হয়, এটার গঠন, সুর, ভঙ্গী, ছন্দ, দৈর্ঘ্য এবং কখনো কখনো কোন একটা চরিত্রের ব্যাক্তিত্বও বর্ণনা করতে হয়। বাকি থাকে কেবলই লেখার আনন্দ, সেই নির্জন আর অন্তরঙ্গআনন্দ যা কেউ কেবল কল্পনাই করতে পারে।
...
কিন্তু একটা গল্পের কোন শুরু নেই, শেষ নেই।

ছোটগল্পের এই সংজ্ঞাটা খানিক খটকার জন্ম দিচ্ছে। এতদিন জানতাম, নিউজের প্রথম প্যারা হবে এমন, যেখানে 'প্রায় সব কিছুই প্রথম প্যারাগ্রাফে বলে দিতে হয়', এখন শুনি গল্পেরও। যে গল্পগুলোর সংবাদধর্মিতাই প্রধান, সেগুলোর অবশ্য এ সংজ্ঞার সাথে করমর্দন করা জায়েজই মনে হচ্ছে, কি ন্তু যে গল্পগুলো সে চরিত্রের নয়, সেগুলোর ক্ষেত্রে কী হবে?

শেষবাক্য শিরোধার্য। এই সূচনান্তহীনতা 'শেষ হয়েও হইল না শেষ'-এর সমান্তরাল। অতএব গুরুবাক্য।

কনফুদা, খুব এনজয় করছি। পা চালান, তা দিল্লি যতই দূরে হোক।
................................................................
তোমার হাতে রয়েছি যেটুকু আমি, আমার পকেটে আমি আছি যতটা, একদিন মনে হবে এটুকুই আমি, বাকি কিছু আমি নই আমার করুণ ছায়া

... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ...
কচুরিপানার নিচে জেগে থাকে ক্রন্দনশীলা সব নদী

কনফুসিয়াস এর ছবি

আপনার কথাগুলা মন দিয়ে ভাবলাম। আমি নিজেই বুঝতে ভুল করেছিলাম কিনা ভাল করে দেখলাম আবার। মনে হয় ঠিকই আছি।

তবে মার্কেজের কাছ থেকে এরকম একটা সংজ্ঞা বা ব্যাখ্যা আশা করাই যেতে পারে ছোটগল্পের, কারণ উনি নিজে ছিলেন সাংবাদিক। আর ওনার গল্পগুলার মধ্যেও সংবাদধর্মী গঠনের ব্যবহার প্রবল।
অনেকেই বলেন, এই সংবাদধর্মী স্টাইলের সাথে কল্পনা মিশিয়েই উনি জাদুবাস্তবতার জাল বিছিয়েছেন।

-----------------------------------
... করি বাংলায় চিৎকার ...

-----------------------------------
বই,আর্ট, নানা কিছু এবং বইদ্বীপ

স্নিগ্ধা এর ছবি

আগে বলেছি কিনা মনে পড়ছে না - আপনার গদ্যভঙ্গি আমাকে বরাবরই মুগ্ধ করে হাসি

অনুবাদ জিনিষটা এমনিতেই কঠিন, তার ওপর মার্কেজের লেখা! ব্বাপ্রে!! আর, আপনার উপস্থাপনার ঢংটিও আমার খুব পছন্দ হয়েছে। অনুবাদ করতে গিয়ে আপনার খটকা, অতৃপ্তি এবং তা থেকে উত্তরণ - পাঠককে মূল লেখার সাথে আরো সম্পৃক্ত করছে বলেই আমার ধারনা।

আমার ইচ্ছে হচ্ছে ইংরেজীতে বইটা পড়ে তারপর আপনার পুরো অনুবাদটা পড়বো। তাতে করে এমন কিছু যদি থেকেও থাকে যাকে lost in translation বলা হয়, আমার বুঝতে সুবিধা হবে।

এটা কিন্তু আপনার কাজের সমালোচনা করার জন্য নয়, বরং নিজেই দু ভাষার গল্পবলার রীতির পার্থক্য বুঝতে করবো হাসি

কনফুসিয়াস এর ছবি

আমি অবশ্য আপাতত গল্প অনুবাদের ধারে কাছে যাচ্ছি না! হাসি
তবে আপনি অবশ্যই বইটা পড়বেন, পড়ে আমাদের জানাবেন আপনার পাঠ অভিজ্ঞতা।
-----------------------------------
... করি বাংলায় চিৎকার ...

-----------------------------------
বই,আর্ট, নানা কিছু এবং বইদ্বীপ

স্নিগ্ধা এর ছবি

আমি অবশ্য আপাতত গল্প অনুবাদের ধারে কাছে যাচ্ছি না!

এটা কেমন হলো?! হায় হায়, এত্তো ফাঁকিবাজি ! মন খারাপ

অমিত আহমেদ এর ছবি

পরের পর্ব তাড়াতাড়ি আসুক। মুজীব ভাইয়ের খটকা আমারও আছে। গল্প শুরুর গ্রহণযোগ্য কোনো একটি ধারা আছে বলে আমি মনে করি না। হয়তো পুরো সিরিজ শেষ হলে বোঝা যাবে লেখক কোন দিক থেকে কি বলতে চাচ্ছেন।


ওয়েবসাইট | ব্লগস্পট | ফেসবুক | ইমেইল

কনফুসিয়াস এর ছবি

এরকম নির্দিষ্ট সংজ্ঞা আসলেই দেয়া কঠিন। সবাই নিজের মত করে ভেবে নেয়। এটা মার্কেজের নিজস্ব সংজ্ঞা বলেই মেনে নিচ্ছি।

-----------------------------------
... করি বাংলায় চিৎকার ...

-----------------------------------
বই,আর্ট, নানা কিছু এবং বইদ্বীপ

পলাশ দত্ত এর ছবি

কিঞ্চিৎ সময়থিরতার অভাব দ্যাখা দিয়েছে আমার।।

প্রিয় পোস্টে নিয়ে রাখলাম। পুরোটা পাবো কবে?

==========================
পৃথিবীর তাবৎ গ্রাম আজ বসন্তের মতো ক্ষীণায়ু

কনফুসিয়াস এর ছবি

পুরোটা, শিগগীর আশা করি। মানে, আমার অসীম আলস্য যখন কাটবে! হাসি
-----------------------------------
... করি বাংলায় চিৎকার ...

-----------------------------------
বই,আর্ট, নানা কিছু এবং বইদ্বীপ

জুলিয়ান সিদ্দিকী এর ছবি

রোজনামচা? থামবেন না! থামবেন না!!
লক্ষ্মী যেমন চঞ্চলা, লেখালেখিও তেমন মনে হয়। চলুক
____________________________________
ব্যাকুল প্রত্যাশা উর্ধমুখী; হয়তো বা কেটে যাবে মেঘ।
দূর হবে শকুনের ছাঁয়া। কাটাবে আঁধার আমাদের ঘোলা চোখ
আলোকের উদ্ভাসনে; হবে পুন: পল্লবীত বিশুষ্ক বৃক্ষের ডাল।

___________________________
লাইগ্যা থাকিস, ছাড়িস না!

কনফুসিয়াস এর ছবি

রোজনামচা? এটা কই পেলেন বস? আমি তো কোথাও দেখছি না!

-----------------------------------
... করি বাংলায় চিৎকার ...

-----------------------------------
বই,আর্ট, নানা কিছু এবং বইদ্বীপ

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

অনুবাদ কালে আপনার এই যে অনুভূতিগুলো... এগুলোই দারুণ মজা লাগতেছে পড়তে...
চালায়া যান...
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

রানা মেহের এর ছবি

কনফুসিয়াস

আপনার অনুবাদের সময়টাই যে একটা ভালোলাগা গল্প হয়ে উঠছে,
টের পাচ্ছেন কি?
অন্তত এসময়টা ধরে রাখার জন্যেও অনুবাদটা চালিয়ে যান
-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস

-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস

বিপ্লব রহমান এর ছবি

ধূর ছাই! এই সব ভূমিকা-টুমিকা +ইটালিক হরফ বাদ দিয়ে পুরোটা একবারে দিন তো! জলদি... হাসি


একটা ঘাড় ভাঙা ঘোড়া, উঠে দাঁড়ালো
একটা পাখ ভাঙা পাখি, উড়াল দিলো...


একটা ঘাড় ভাঙা ঘোড়া, উঠে দাঁড়ালো
একটা পাখ ভাঙা পাখি, উড়াল দিলো...

কনফুসিয়াস এর ছবি

বিপ্লবদা,
আপনি সম্ভবত না পড়েই মন্তব্য করে ফেলেছেন, তাই না? হাসি
হা হা, ব্যাপার্স না, বেটার লাক নেক্সট টাইম। দেঁতো হাসি
-----------------------------------
... করি বাংলায় চিৎকার ...

-----------------------------------
বই,আর্ট, নানা কিছু এবং বইদ্বীপ

রণদীপম বসু এর ছবি

উঁহু উঁহু, বিপ্লব ভাই'র সাথে দ্বিমত পোষণ করলাম। আপনার ভূমিকাটা, সত্যি বলছি, দারুণ একটা মাত্রা বা ডাইমেনশান তৈরি করেছে। সম্ভবত এজন্যে আরো বেশি আকর্ষণীয় হয়ে উঠেছে।
তবে অনাকর্ষনীয় বা বিরক্তির কারণটা আরো তীব্র। এই যে স্বৈরাচারী ক্ষমতা দেখিয়ে হুট করে মাঝ পথে আমাদেরকে আছাড় দিলেন। এটা কি ঠিক ?

কনফু ভাই, মানুষের সহ্যেরও নাকি একটা সীমা থাকে। এতো দারুণ একটা বিষয়ে এত্তো ছোট্ট এবং অসমাপ্ত পোস্ট দিয়েছেন যে কিছুতেই এটাকে ভালো বলতে পারছি না। একে তো দেরিতে পড়লাম, তার উপরে এমন অতৃপ্তি...

-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’

আনোয়ার সাদাত শিমুল এর ছবি

দিল্লীযাত্রার সাথী হই।

(লেখা ইটালিক না করে, রঙ পালটে দেখবেন নাকি? কেমন হয়?)

হাসান মোরশেদ এর ছবি

আমি ঝোঁকের বশে একটা অনুবাদে হাত দিয়ে ফেঁসে গেছি ।
তাই তোমাকে দেখে মজা লাগছে হাসি
অভিনন্দন হে !

-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।

-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।

অতন্দ্র প্রহরী এর ছবি

চলুক
আপনি গল্পগুলোতেও হাত দিলে আমাদের জন্যই ভাল হতো। হাসি
_______________
বোকা মানুষ মন খারাপ

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।