করালমুখ

মাহবুব লীলেন এর ছবি
লিখেছেন মাহবুব লীলেন (তারিখ: মঙ্গল, ২৫/০১/২০১১ - ২:৫২পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

- আর ইউ এন ইজিপশিয়ান?

আমি হা করে অমিতের দিকে তাকাই। এই সুন্দরবন যাত্রায় সাড়ে সাত বছরের দুটো শিশু আমাদের সঙ্গী। অমিত আর অপনা। সম্পূর্ণ বিপরীত স্বভাবের দুজন। দুদ্দাড় হৈচৈ মার্কা অমিত। বড়োদের দলে দুয়েকটা শিশু ঢুকে পড়লে বড়োরা যেমন সুবিধামতো তাদের খেপিয়ে কিছুটা বাড়তি মজা পেতে চায়। অমিতের সাথে তা করতে গিয়ে উল্টা বেকায়দায় পড়ে এখন অনেকেই অমিতের সামনে থেকে পালাতে অস্থির। অমিতই এখন জনে জনে খুঁজে বের করে সবাইকে খেপায়। যার যেরকম স্টাইল সেই একই স্টাইলে তাকে আক্রমণ করে অমিত। অপনা ঠিক তার উল্টো- অন্তর্মুখী। সে ধরে নেয় যা বলা হচ্ছে তা সত্য আর অতিশয় সরল। উত্তর জানা থাকলে সে তার মতো সরল ভাষায়ই উত্তর দেয় আর জানা না থাকলে সে পিছিয়ে গিয়ে দাঁড়ায় বাবা-মায়ের পাশে। কথা বলা শেখার সময়টা অপনা কাটিয়েছে দেশের বাইরে অস্ট্রেলিয়ায়। কথা বলা শিখেছে ইংরেজিতে। এই প্রথমবার তার বাংলাদেশে আসা এবং আসতে আসতে প্রতিটা নতুন জিনিসেরই বাংলা নাম তার জেনে নেওয়া বাবা-মার কাছে। আমাদের সাবলীল বাংলা আর বাঙালি আচরণও তাকে কিছুটা দূরে সরিয়ে রাখে সকলের থেকে। তাই আমাদের এ যাত্রায় সে-ই সবচে নীরব। কিছুটা একা তার ভাষা- অভ্যাস আর স্বভাবের দূরত্ব নিয়ে...

অমিতকে প্রথম আক্রমণ করতে গিয়ে আমি নিজেই হয়ে যাই তার প্রধান আক্রমণের টার্গেট। সুন্দরবন আসার দিনে ফেরিতে তাকে দুতিনার জিজ্ঞেস করে ফেলি ঠাণ্ডা লাগে কি না। সকালে সুন্দরবনের জাহাজে উঠে তাকেই আবার জিজ্ঞেস করা হয়ে যায় শীত লাগছে কি না। অমিত আবিষ্কার করে ফেলে আমার একই প্রশ্ন বারবার করার বদ অভ্যাস। সে আমার সামনে প্রথমে দুই কানে হাত দিয়ে হাঁটাচলা শুরু করে। তার কান বন্ধ করে হাঁটা দেখে একই প্রশ্ন আমি আবারও করার উৎসাহ পাই- অমিত; ঠান্ডা লাগে...?

অমিত কান বন্ধ করে সরে গিয়ে ফিরে আসে আবার- ঠান্ডা লাগে...? ঠান্ডা লাগে? ঠান্ডা লাগে? ঠান্ডা লাগে?....

হাঁটতে বসতে চলতে খেতে আমাকে উদ্দেশ্য করে চলতে থাকে অমিতের প্রশ্ন। আমি এদিক থেকে ওদিক গেলে সে আমাকে খুঁজে বের করে ঠান্ডার খবর জানতে চায়। দুপুরের কড়কড়ে গরম রোদে সে আমার কাছে ঠান্ডার খবর জানতে চায়। শেষমেশ আমি তার সাথে শান্তিচুক্তি করি। আমি স্বীকারোক্তি দেই যে আমি প্রশ্ন খুঁজে পাই না এবং একই প্রশ্ন আগে করেছি কি না ভুলে যাই এবং দুপুর বেলা যে ঠান্ডা লাগে না আমি বুঝি না এবং আমার বুদ্ধিশুদ্ধি একেবারে কম এবং এখন থেকে আমি অমিতের সব কথা মেনে চলব...

অমিত চুক্তিতে খুশি হয়ে মন্তব্য করে- ইউ আর এ জোকার
- কেন জোকার?
- তোমার কথায় আমার খালি হাসি পায়

অমিতের হাসি পায় আমার বোকামির জন্য- বোকা বোকা উত্তরের জন্য। সে আমাকে সুন্দরবনের গাছ পাখি ফুল ফল নদী প্রাণী মানুষ সবকিছুর নামধাম জিজ্ঞেস করে; আমি বলি গাছের ডিম থেকে গাছ হয়- মাছের চারা থেকে মাছ হয়- নদীর বীজ থেকে নদী হয়- কুমিরের শেকড় থেকে কুমির হয়....

অমিতের দুঃখ হয় আমার বোকামির জন্য। ইসকুলের বইয়ে এইসব জিনিস তার আগে থেকেই জানা। তার দুঃখ হয় আমার মূর্খতার জন্য। সে আমাকে সংশোধন করে দিয়ে গাছের নাম জিজ্ঞেস করে- আমি বলি এটা পাতার গাছ। ওটা ডালের গাছ। সেটা শেকড়ের গাছ...

অমিত আমাকে জানায় সব গাছেরই ডাল পাতা শেকড় থাকে। কিন্তু সব গাছেরই নাম থাকে আলাদা আলাদা। আমি বলি তাহলে এইগুলার নাম সবুজ গাছ। অমিত জানায় সব গাছই সবুজ হয় কিন্তু তারপরও তাদের আলাদা আলাদা নাম থাকে। কিন্তু আমি আর নাম খুঁজে পাই না বলে আমার দুরবস্থায় অমিতের হাসি পায়। হাসি পায় না জেনে বোকার মতো উত্তর দেবার জন্য। তারপর সে আমাকে জানিয়ে দেয় প্রশ্নের উত্তর না জানলে যেন ভুল উত্তর না দিয়ে তার কাছ থেকে সঠিক উত্তর জেনে নেই। না হলে সবাই আমাকে নিয়ে হাসবে। আমি বলি আচ্ছা...

এ যাত্রায় অমিতের কবলে আমার দুরবস্থা সকলেরই চোখে পড়ে। অমিতের বাবা-মা মাঝে মাঝে আমার প্রতি সদয় হয়ে ধমক দিয়ে অমিতকে থামাতে চাইলেও অমিতের উল্টা ধমকে তাদেরকে সরে পড়তে হয়। মাঝে মাঝে অন্য কেউ এসে আমাকে উদ্ধার করতে গিয়ে নিজেকেই আক্রান্ত হয়ে ফিরে যেতে হয়। ফলে সর্বক্ষণই আমি থাকি অমিতের আক্রমণের টার্গেট। কিন্তু... আর ইউ এন ইজিপশিয়ান?

এই প্রশ্নে আমি সত্যি সত্যি থতমত খাই। বুঝিও না আমার কাছে ফুল পাখি গাছের নাম ধাম জানতে জানতে হঠাৎ করে আমার নিজের বিষয়েই অমিত আমাকে কেন এই প্রশ্ন করে বসেছে। আমি সত্যি সত্যি বোকার মতো তার দিকে তাকিয়ে থাকি। অমিত তার প্রশ্ন রিপিট করে আবার- আর ইউ এন ইজিপশিয়ান?

আক্রমণটার ধরন বুঝতে চেষ্টা করি আমি। আমি জিজ্ঞেস করি- ইজিপশিয়ান মানে কী?
- ইজিপশিয়ান মানে ইজিপ্টের লোক। পিরামিড আর সুয়েজ খালের দেশের লোক। তুমি ইজিপশিয়ান। পিরামিডের সামনে তোমার ছবি দেখেছি আমি...

আমার এইবার সত্যি সত্যি বোকা হবার পালা। ইংলিশ মিডিয়াম স্কুলে পড়া অমিত ইজিপ্টের বাংলা জানে না কিন্তু মিশর দেশটাকে ভালো করেই জানে। জানে ওটা মরুভূমি- পিরামিড- মমি আর দুই সমুদ্র জোড়া দেয়া সুয়েজ খালের দেশ। তার বর্ণনায় আমি স্বীকার করি আমি ইজিপ্টের লোক। অমিত জানায় এজন্যই প্রথমবার দেখায় আমাকে তার চেনা চেনা লাগছিল। সে আমার ছবি দেখেছে পিরামিডের সাথে। আমি বলি ঠিক। সে এবার আমাকে ইজিপ্টের ভাষায় কথা বলতে বলে। একের পর এক ইংলিশ-বাংলা বাক্য বলে আর আমাকে ইজিপ্টের ভাষায় অনুবাদ করতে বলে। আমি চংবং শব্দ দিয়ে সব বাক্যের ইজিপশিয়ান অনুবাদ করি আর হঠাৎ অমিত চিৎকার দিয়ে উঠে- ইউ আর এ লায়ার...
- কেন? আমি কী করলাম?
- দুই জিনিসের একই নাম কী করে হয়? তুমি এখন শার্টের যে ইজিপশিয়ান শব্দ বলেছ একটু আগে তুমি একই শব্দ বলেছ মাছের বেলায়...

আমি ধরা পড়ে যাই। অমিত খেপে যায়- ইউ আর এ লায়ার ইজিপশিয়ান...

অমিত গটগট করে অন্যদিকে চলে গেলে আমি জাহাজের ছাদে বসে ঝিমাই- পিরামিডের পাশে আমার ছবি কে তুলল? মিশরের লোক সত্যি সত্যি কি দেখতে আমার মতো?
- তোমাকে আমি বিশদ বাংলায় দেখেছি...
অতক্ষণ চুপচাপ দাঁড়িয়ে থাকা অপনার গলা। আমি আশপাশে ভালো করে তাকাই। আশপাশে আর কেউ নেই। জাহাজের অন্যমাথায় বসে বই পড়ছেন অপনার মা। আমি আবার অপনার দিকে তাকাতে অপনা আমার চোখে চোখে তাকিয়ে আবারও বলে- তোমাকে আমি বিশদ বাংলায় দেখেছি...

সাড়ে সাত বছর বয়সে অপনা এখন অনুবাদ করে করে বাংলা শিখছে তাই তার বাংলাগুলো এখনও অনেকটা বইয়ের বাংলা। আমি বিশদ বাংলার অর্থ মেলাতে চেষ্টা করি। আমাদের সৈয়দ শামসুল হক গ্রাম কিংবা মফস্বল কথাগুলো ব্যবহার করেন না। তিনি বলেন বিশাল বাংলা। আমি ধরে নেই পড়–য়া বাবা-মায়ের মেয়ে অপনা বাংলার গ্রামকে সৈয়দ হকের মতো বিশাল বাংলা বলে জেনেছে। আসার সময় কুঁড়েঘর দেখে তার বাংলাদেশ আবিষ্কার আর ইংরেজি কুঁড়েঘরের বাংলাটা বাবার কাছ থেকে জেনে নেয়ার কৌশল দেখে আমার মনে হয় তার কাছে আমাকে বাংলার গ্রামীণ কোনো লোক মনে হচ্ছে এখন। কিংবা বাংলার কোনো গ্রামে সে আমাকে দেখেছে...

বহুদিন কোনো গ্রামে যাওয়া হয় না আমার। আমার জানতে ইচ্ছে করে কোন গ্রামে আমাকে দেখেছে সে। কোন অবস্থায়? নিশ্চিত হবার জন্য তার কথাটা শুধরে আমি প্রশ্ন করি- আমাকে বিশাল বাংলায় দেখেছ তুমি?

অপনা আমাকে সংশোধন করে। বিশাল বাংলা নয়; তোমাকে বিশদ বাংলায় দেখেছি আমি। আমি এবার ধন্দে পড়ি। বিশদ বাংলা কার ভাষা? বিশদ বাংলার বাংলা কী?

অপনার কাছে বাংলা প্রতিশব্দ জিজ্ঞেস করে লাভ নেই তাই আমি বিশদ বাংলার ইংরেজি জানতে চাই। কিন্তু ইংরেজি যার প্রথম ভাষা সেও আটকে যায় বিশদ বাংলার ইংরেজি বলতে। অপনা উসখুস করে কথাটা বোঝাতে না পেরে। আমিও মোচড়ামুচড়ি করি কথাটার অর্থ বুঝতে না পেরে। হয়ত আমদের দিকেই কান পেতে বসেছিলেন অপনার মা। আমাদের দুজনের দুরবস্থা অনুমান করে উঠে আসেন- বিশদ বাংলা চট্টগ্রামের একটা সংগঠন

অপনা আবারও কথাটা তার মাকে বলে- আমি ওকে বিশদ বাংলায় দেখেছি

আমি বলি আমি বিশদ বাংলায় যাইনি কোনোদিন। নামটাও শুনলাম মাত্র আজ। অপনার মা বলেন হয়ত চিটাগাংয়ের অন্য কোথাও আমাকে দেখেছে অপনা। কিন্তু অপনা যতদিন থেকে দেশে আছে তারও বহুদিন আগে আমি শেষবার গেছি চিটাগাং। অপনার মা আমার যুক্তি মেনে নিলেও অপনা মানে না। সে আবারও রিপিট করে- তোমাকে বিশদ বাংলায় দেখেছি আমি...

আমি মেনে নেই অপনার কথা। বলি আমি বিশদ বাংলায় থাকি। অপনা খুশি হয়ে মায়ের সাথে ফিরে যায়। কড়কড়ে রোদের নিচে বসে এবার আমি ঘোরের মধ্যে পড়ি। অমিত আমাকে দেখেছে পিরামিডের পাশে। অপনা আমাকে দেখেছে বিশদ বাংলায়। আমার চেহারাটা তাহলে কেমন?

আমি উঠে কেবিনের দিকে পা বাড়াই। কেবিনে একটা আয়না আছে

- মধু নিবেন স্যার? সুন্দরবনের মধু?

ছোট একটা মিনারেল ওয়াটারের বোতলে অর্ধেক মধু নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে আব্দুল ওহাব। জাহাজ থেকে পাড়ে উঠানামার জন্য জাহাজের সাথে বাঁধা ছোট ট্রলারের চালক আব্দুল ওহাব। ডাক পড়লে ট্রলার নিয়ে পর্যটকদের সাথে যায়। ডাক না পড়লে বছরের বাকি সময় সুন্দরবনে মাছ ধরে- মধু কেটে- গোলপাতা কেটে কাটায়। পর্যটকদের সাথে আসার সময় বিড়ি সিগারেটের মতো দরকারি কিছু জিনিস কিনে নিয়ে আসে। বনের ভেতরে বিক্রি করলে কিছু বাড়তি দামে বেচা যায়। সাথে কিছু মধুও নিয়ে আসে- মধু কিনবেন?

আমি মধু কিনি না। দৌড়ে গিয়ে ঢুকে যাই কেবিনে। নিজের চেহারায় যথেষ্ট রকম আলো পড়ার মতো জায়গায় দাঁড়িয়ে আয়নার দিকে তাকাই। মিশর নাকি চট্টগ্রাম কার মতো দেখতে আমি? আমি ভালো করে তাকাই। হ্যাঁ এই তো দেখতে পাচ্ছি আমি। আমি...

আমার আয়নার ভেতরে দাঁড়ানো আব্দুল ওহাব। সুন্দরবন তন্ন তন্ন করে মধু ভাঙছে আব্দুল ওহাব। আটজনের দলে মধু নয় ভাগ করে একভাগ মহাজনের। তারপর বাকি আট ভাগ আবার একসাথে মিশিয়ে মহাজনের নৌকা ভাড়ার ভাগ- পারমিট নেয়ার জন্য ধার করা টাকার ভাগ- ধারের সুদের ভাগ- খরচের ভাগ আলাদা করার পরে থাকে মূল মধুর চারভাগ থেকেও কম। সেই মধু আবার আট মজুরের জন্য আট ভাগ হয়। মিনারেল ওয়াটারের একটা বোতলের অর্ধেক পড়ে আব্দুল ওহাবের ভাগে। সেই অর্ধেক মধু নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে আব্দুল ওহাব- স্যার মধু কিনবেন? সুন্দরবনের মধু?
- তোমার এত্ত বড়ো সাহস তুমি আমাকে ধাক্কা মারো? খবরদার...

কেবিনের দরজায় অপনার গলা। অপনা চিৎকার করছে। সম্পূর্ণ অস্বাভাবিক অপনার চিৎকার। আমি আয়না ফেলে দৌড়ে বের হতেই অপনা এসে আমার গা ঘেঁষে দাঁড়িয়ে আবারও চিৎকার করে প্রায় তার সমবয়েসি আরেক পর্যটক শিশুর উদ্দেশ্যে...

কিছু বুঝে উঠার আগেই দৌড়ে আসেন অপনার মা। এসেই হাসতে থাকেন- জীবনে এই প্রথম কোনো প্রতিবাদ করল আমার মেয়ে...

এই চারদিন ধরে সেই পর্যটক শিশুটি সুযোগ পেলেই অপনাকে কিল ঘুসি মেরে দৌড়ে পালায়। অপনা চুপচাপ থাকে আর ব্যথা সহ্য করতে না পারলে মা-বাবার কাছে গিয়ে কাঁদে। জীবনে কোথাও কোনো প্রতিবাদ করে না সে। সে মেনে নেয় সব। কিন্তু জীবনে প্রথম আজ রুখে দাঁড়িয়েছে অপনা। অপনার মা হাসেন- সুন্দরবনের প্রভাবেই হয়ত আমার মেয়েটা রুখে দাঁড়াতে শিখল জীবনে প্রথম

- হেই ইজিপশিয়ান। তুমি সুয়েজ খালে না গিয়ে সুন্দরবনে এসেছ কেন?

আব্দুল ওহাব ছাদ থেকে নেমে আবার এসে দাঁড়ায়- স্যার। মধুটা কিনেন...

কারো কথার কোনো উত্তর দেই না আমি। জাহাজের ছাদে উঠে পেছন দিকের শেষ মাথায় দাঁড়াই। আমার মাথায় ঘুরছে ইজিপ্ট- সুয়েজ খাল- সুন্দরবন- আব্দুল ওহাব। সুন্দরবন আব্দুল ওহাবকে বাঘকে-সাপকে রুখে দেবার সাহস জোগালেও নতজানু করে রাখে সামান্য কিছু খুচরা পয়সার কাছে। খুচরা পয়সার টানে সুয়েজ খাল জোড়া দেয় দুই দুইটা সমুদ্র তারপর সেই সমুদ্র উজিয়ে আসে বিদেশি বণিক- অস্ত্র- যুদ্ধ আর শেকল...

জাহাজ নোঙর করা খালটা সামনের নদীতে পড়ে সোজা চলে গেছে সমুদ্রে। আমি ছাদ থেকে নেমে দ্রুত হাঁটতে থাকি ছোট নৌকার দিকে। সমুদ্র থেকে মধুর সন্ধানে কেউ সুন্দরবন ঢুকে পড়ার আগেই আব্দুল ওহাবকে আমি নিশ্চিত করতে চাই এই সুন্দরবনেই তার মধু বিক্রি হতে পারে...


মন্তব্য

অতিথি লেখক এর ছবি

খুব ভাল লাগলো। অমিত আর অপনার সাথে কথা বলতে ইচ্ছা করছে। -রু

মাহবুব লীলেন এর ছবি

কথা বলতে হবে না
ওরাই বলবে
যদ্দু অনুমান করি ওরা আগামী প্রজন্মের সচল

মুস্তাফিজ এর ছবি

অমিতের আরেকটা মজার ব্যাপার হলো যখনই ওর কোন ছবি তুলেছি ঘুরে এসে হাত পেতে বলেছে আঙ্কেল ১০টা চকোলেট দেন, ওটা ওর মডেল চার্জ।
সেই তুলনায় অপনা অনেক শান্ত

...........................
Every Picture Tells a Story

মাহবুব লীলেন এর ছবি

জি
অমিতের নামের বানান ভুল করায় আপনাকে যেভাবে ধরেছিল তা কিন্তু দেখার মতো একটা বিষয়

সুরঞ্জনা এর ছবি

পড়ে মুগ্ধ হলাম লিলেন্দা।
লেখার সুরটাও ভারি শান্ত, কোলাহলবিমুখ।

............................................................................................
এক পথে যারা চলিবে তাহারা
সকলেরে নিক্‌ চিনে।

মাহবুব লীলেন এর ছবি

লেখার সুরটাও ভারি শান্ত, কোলাহলবিমুখ।

এইটা তো খেয়াল করিনি
মনে হয় বিষয়ের জন্য

অতিথি লেখক এর ছবি

অনেক ধিরস্থির লেখা।
ভালো হয়েছে।

--
কালো ও সাদা

অতিথি লেখক এর ছবি

আমিও কিন্তু সাথেই আছি লীলেনদা, কম্পিউটারের সামনে কীবোর্ড নিয়ে আপনার অভিযান কাহিনীতে

-অতীত

অনার্য সঙ্গীত এর ছবি

সুন্দরবন আমাদের খুব আপন জায়গা। একে অনেকটা ''আমাদের বন'' বলে ভাবার অভ্যেস ছোটবেলা থেকে। আপনার লেখাগুলো পড়ে পড়ে সেই সুন্দরবনকে দেখছি নতুন ভাবে লীলেন্দা। হাসি

______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন

রানা মেহের এর ছবি

ইহা কি পুস্তক হতে যাচ্ছে?
ব‌্যাপক ভালো লাগছে

-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস

আশরাফ মাহমুদ এর ছবি

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।