কেটে যাওয়া ঘুড়ি

মামুন হক এর ছবি
লিখেছেন মামুন হক (তারিখ: শনি, ২০/০৬/২০০৯ - ৩:৪৯অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

১৯৮৪ সালের ২১শে ফেব্রুয়ারী।
বাবার হাত ধরে আমরা চার ভাই বোন প্রভাত ফেরীতে মনের আনন্দে ঘুরছি। এমনিতে আমাদের খালি পায়ে হাঁটা কঠোরভাবে নিষিদ্ধ, কিন্তু সেদিন বাবা যখন ঘুম থেকে উঠিয়ে বললেন জুতো পায়ে দিতে হবেনা, আনন্দে তখনই ফেটে যাবার অবস্থা। রিক্সায় উঠতে গিয়ে দেখি বাবার পায়েও জুতো নেই, রিক্সাওয়ালাদের পায়ে তো এমনিতেই জুতো থাকতনা, মিছিলে গিয়ে দেখি হাজার হাজার মানুষ সব খালি পায়ে। আজকে ব্যাখ্যা করা মুশকিল, কিন্তু সেই নয় বছর বয়সে অগুনতি মানুষের খালি পা দেখে যে অদ্ভুত আনন্দ আর উত্তেজনা অনুভব করেছিলাম তার কোন তুলনা হয়না। ভোরবেলা থেকে হাঁটছি, সবচে ছোট ভাই সুমন ( তখন তার বয়স মাত্র চার বছর)মাঝে মাঝে ক্লান্ত হয়ে বাবার বা ভাইয়ার কোলে উঠে পড়ে, আর আমি প্রায়ই দলছুট হয়ে এদিক সেদিক ছুটে যাই। কী কী করেছিলাম সব মনে নেই, তবে শহীদ মিনারের সামনে খুব আবেগ নিয়ে সবাই ' আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো' গেয়েছিলাম তা মনে আছে। সুমন তখন রক্ত বলতে পারতোনা, বলত অক্ত, ওকেও দেখলাম গাইছে...' আমার ভাইয়ের অক্তে ...', এত ভীড়ের মাঝেও রাজকুমারের (ওর ডাকনাম ছিল রাজকুমার, তেমনই দেখতে ছিল গ্যাদাকালে) গাল টিপে দেয়ার লোভ সামলাতে পারলাম না। এক সময় আমাদের খিদে পেল, বাবা নাস্তা কিনতে যাবেন, কিন্তু আমাদের সবাইকে নিয়ে গেলে যেতে আসতে অনেক সময় লেগে যাবে, তাকে ইতি উতি তাকাতে দেখে পাশা থেকে এক ভদ্রলোক বললেন...' আপনি যান ভাই, আমি আছি, ওদের দেখে রাখবো', বলে সুমন বাবার কোল থেকে নিজের কোলে নিয়ে নিলেন। বাবাও আমাদের অপরিচিত ভদ্রলোকের হাতে গছিয়ে দিয়ে নাস্তা কিনতে গেলেন, ফিরে এসে দেখেন ভদ্রলোক আমাদের চারপাশে বসিয়ে জমিয়ে গল্প শোনাচ্ছেন, কী গল্প তা আজ মনে নেই। বাবাকে দেখলাম হাত ধরে টেনে অচেনা মানুষটিকেও আমাদের সাথে নাস্তা করতে বসালেন, পরোটা, হালুয়া( আমার খুব প্রিয় ছিল) আর ডাল বা ভাজি। নাস্তা শেষে আমরা আবার পথ চলা, বাবা ' ভাই আসি' বলে বিদায় নিলেন , ধন্যবাদ বা 'অনেক কষ্ট দিলাম' টাইপের কোন ফর্মালিটি ছাড়াই...আহা কতো সহজ সরল ছিল ঐ দিন গুলি।

আমার বাবা অনেক দোষ-গুণের মধ্যে যেটা আমার কাছে সবচে ভাল্লাগে তা হলো ছোট বড়ো সবাইকে সমান গুরুত্ব দিয়ে কথা বলা, সেই পিচ্চি পিচ্চি আমাদের তিনি খুব সিরিয়াসলি ভাষা আন্দোলনের ইতিহাস শোনালেন হাঁটতে হাঁটতে, মুক্তিযুদ্ধের কথাও বলেছিলেন, আবছা আবছা মনে পড়ে। তবে একটা কথা এখনো পেরেক দিয়ে অন্তরে গাঁথা আছে, জিন্নাহ আর রাজাকারদের ' শুওরের বাচ্চা' বলে গালি দিয়েছিলেন, খুবই উত্তেজিত ভঙ্গিতে। সুমন চট করে সেই গালি শিখে ফেলল, বাড়ি এসে পেয়ারা গাছে বসা কাকের বাচ্চাকে ঐ নামে ডাকতেই মায়ের টনক নড়ল, সব শুনে বাবাকে খুব ধমকালেন ছোট বাচ্চাদের সামনে মুখ খারাপ করার জন্য, বাবার জবাব ছিল ' মানুষকে শুওরের বাচ্চা বললে গালি হয়, শুওরকে বললে হয় না'। আমার বাবা রাজাকারদের সাথে কোনদিন আপোষ করেন নি। এখন দেশের সবখানে সর্বগ্রাসী সোয়াইন ফ্লু, হক সাহেবের বয়স হয়েছে,কষ্টে কথা জড়িয়ে যায়, পা টেনে টেনে হাঁটেন, তবুও জানি তার দুই-চার হাতের মধ্যেও কোন রাজাকার এসে পড়লে বিদ্যুৎপৃষ্ট হয়েই মারা যাবে, বুড়া বাঘের অবহেলা ভরে ছুয়েও দিতে হবে না।

সরি অন্য প্রসংগে চলে গেছিলাম, চলেন সেই প্রভাত ফেরিতে ফিরে যাই। যদ্দুর মনে পরে সকাল আটটা বা নয়টা হবে। আমরা হাটতে হাটতে আবার শহীদ মিনারের সামনে চলে এলাম। রাস্তায় একটা জটলা। বাবা আমাদের হাত ধরে জটলার কাছে এনে জটলার মাঝে রাস্তার উপরেই বসা এক মধ্যবয়সী মহিলাকে দেখিয়ে বল্লেন ' ঐ দেখ, উনি শেখ হাসিনা'।

হাসিনা খালাম্মা খুব আরাম করে বসে লোকজনের সাথে গল্প করতে করতে একটা কাগজের ঠোংগা থেকে বড়ই বের করে খাচ্ছেন। সিকিউরিটির বালাই নেই, লোকজন তার সাথে হাসি ঠাট্টা , গল্প গুজবে ব্যস্ত। আমরা দূর থেকে দেখেই চলে যাব , এমন সময় সুমন বলে' আমি বড়ই খাব, আমিও বড়ই খাব'। বাবা ভীড় ঠেলে আমাদের চার জনকে শেখ হাসিনার সামনে নিয়ে গিয়ে বললেন, ' আপা আমার বাচ্চারা আপনার সাথে কথা বলতে চায়।' উনিও হাসিমুখে আমাদের পাশে নিয়ে বসালেন। রাজকুমার অতি আহ্লাদে একেবারে ম্যাডামের কোলে চড়ে বসল। শেখ হাসিনা আমাদের সব নাম জানতে চাইলেন, হাত ঝাঁকিয়ে, গাল টিপে আদর করে দিলেন। আমার বোনকে বললেন ' কী নাম তোমার মা মনি?' , আমার বোন বলে' আমার নাম মনি', শুনে ম্যাডাম খুব হাসলেন। তারপর আমাদের সবাইকে বড়ই খাওয়ালেন, সুমন তার কোল থেকে আর নামতেই চায়না। বাবাকে বললেন, ' ভাই ওদেরকে পরে বাসায় নিয়ে আসবেন, সাথে ভাবীকেও আনবেন'। ' জ্বি আপা, আজকে যাই, ভাইকে সালাম দিয়েন' বলে বাবা আমাদের নিয়ে চলে আসলেন। শেখ হাসিনা বা আমার বাবা কেউ কাউকে ব্যক্তিগত ভাবে চিনতেন না, অথচ মানুষ কতো সহজেই না একে অপরকে আপন করে নিতেন।

সেই ঘটনার অনেক বছর পরের কথা। আমার আজীবন সৎ সরকারী চাকুরে বাবা অনেক কষ্টে ধার কর্জ করে ঢাকার অদূরে একটা জমি কিনেছিলেন অনেক বছর আগে। টাকা পয়সার অভাবে সেখানে বাড়ি ঘর বানানো হয়নি, খালি পড়ে ছিল, হঠাৎ করে সেই জমি জবর দখল করে স্থানীয় কিছু লোকজন। রাগে , চিন্তায় বাবার ঘুম, শান্তি সব নষ্ট হল। আমি বিদেশে, বড় ভাইও তখন বিদেশে, সুমন এখনো মায়ের আচলের আড়ালেই থাকে, বাবা নিজেই দিনের পর দিন সরকারী অফিসে অফিসে, থানায় -আদালতে ঘুরলেন, কিন্তু কোন সুরাহা হলোনা। অথচ আমাদের কাউকে কিছু বল্লেন না। আমি ঘটনাক্রমে শুনে কতক্ষন তড়পাইলাম। জমির শোকে না, স্বাধীন দেশে আজীবন রাস্ট্রের সেবক , বয়স্ক একজন মানুষকে এভাবে ন্যায়বিচারের আশায় হন্যে হয়ে ঘুরতে দেখে। বাবার সাথে আমার খুব ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক, খোলামেলা কথাবার্তা বলি, মুখে রক্ত এনে আমাদের বড় করেছেন, কিন্তু কোনদিন আমাদের মন ছোট হতে দেননি। আমি পরিবেশ হালকা করতে বাবাকে খোঁচা মারি,' তো আপনার হাসিনা আপার কাছে যান না কেনো? ওনার কাছে গেলে তো এক মিনিটেই সব ঝামেলা শেষ।' বাবা অনেকক্ষন চুপ করে রইলেন, আমি আবারো বেওকুফের মতো একই প্রশ্ন করলে উনি ক্লান্ত গলায় উত্তর দেন, ' আরে হাসিনা আপাতো দূরের কথা , তার পি এস এর কাছেই যাওয়া যায়না এখন, এপিএস এর সাথে অ্যাপয়েন্টমেন্ট করতে বিশ-ত্রিশ হাজার টাকা খরচ হয়, তার পরেও যে কোন কাজ হবে তার কোন গ্যারান্টি নাই।' এবার আমার চুপ থাকার পালা। ফোনের ওপারে বয়স্ক, আজীবনে মানুষের সেবায় জীবন কাটিয়ে দেয়া বাবার অসহায়ত্ব আর অপমানে কালো হয়ে যাওয়া মুখ কল্পনা করে চোখ ফেটে রক্ত বের হয়ে যাওয়ার অবস্থা, কিন্তু তাতেও কী রাস্ট্রের কিছু আসে যায়? একবার ভাবলাম দেশে ফিরে যাই, গিয়ে পুরাতন বন্ধু বান্ধবদের নিয়ে একটা বড়ো রকমের দাঙ্গা-হাঙ্গামা লাগিয়ে দেই, তাতে আমার রাগ হয়তো পড়বে কিন্তু পঁচতে বসা দেশ কি বদলে যাবে?

আমার বাবা শেষ পর্যন্ত তার জমির দখল ফিরে পেয়েছিলেন, হাসিনা আপাকে ছাড়াই, দীর্ঘস্থায়ী আইনি লড়াইয়ের পর। কারো মুখাপেক্ষী হতে হয়নি সে গর্বেই উনি কষ্টার্জিত টাকা পয়সা নষ্ট হওয়ার শোককে কবর দিয়েছিলেন।

আমাদের বাপ-চাচারা অনেক কষ্ট আর ত্যাগের বিনিময়ে আমাদের একটা স্বাধীন রাস্ট্র এনে দিয়েছেন, এ কথাটা পুরানো হয়ে গেছে, বহু ব্যবহারে জর্জরিত- এর বিনিময়ে রাস্ট্রে তাদের কী দিয়েছে?...এ প্রশ্নটাও অনেক পুরোনো, উত্তরও আমাদের জানা। আমরাতো তাও এখন অনেক ভালো আছি, কিন্তু প্রতিদিন দেশের আনাচে কানাচে যে পরিমাণ দীর্ঘশ্বাস আর কষ্ট জমা হয় তাতে রাস্ট্রের কী কিছুই যায় আসে না? জনবিচ্ছিন্ন রাজনীতিবিদ বা রাস্ট্রনায়করা যতদিন ক্ষমতায় থাকবেন ততদিন এই দেশের সাধারণ মানুষদের জন্য রাস্ট্র থেকে কিছু পাওয়ার আশা ভরসা নেই। কিন্ত তাদের জন্য আমরা অন্যান্য দেশপ্রেমিক মানুষেরা আছি, যা করার আমাদেরই করতে হবে।

আসেন হতাশাটারে গুল্লি মারি, একদম দমে না গিয়ে খুব ঠান্ডা মাথায় চিন্তা ভাবনা করে হাঁটি হাঁটি পা পা করে দেশটাকে বাঁচাই। এটা সম্ভব, আমাদের দ্বারাই সম্ভব।


মন্তব্য

মূলত পাঠক এর ছবি

মামুন ভাই, আপনার ক্ষোভটা বুঝতে পারি। তবে মানুষ মানুষকে আপন করে নেয় না এইটা সমস্যার কারণ না। আসল কারণ দুর্নীতি। দেশই হোক আর কোম্পানি, আকারে বাড়লে উপর আর নিচের দুরত্বও বাড়তে থাকে। কোরাপ্শন বাড়লে এই দুরত্বটা দুরতিক্রম্য হয়ে যায়, না হলে জনপ্রতিনিধির মাধ্যমেও কাজ হতে বাড়ে, দেশের প্রধান নাগালের বাইরে হলেও সমস্যা হয় না। এই দুর্নীতির জন্যই আমাদের দেশগুলো পিছিয়ে যায় অন্যেদের তুলনায়।

মামুন হক এর ছবি

ঠিক বলেছেন, আমিও তাই মনে করি। আমি এখনও আশাবাদী যে দেশটা আমরা একদিন বদলে দিতে পারব, অনেক সময় লাগবে কিন্তু করা সম্ভব।

প্রকৃতিপ্রেমিক এর ছবি

এসব পড়লে খারাপ লাগে। আশার বিপরীতে আশা আর কতদিন?

মামুন হক এর ছবি

পিপিদা একদিন সব ঠিক হয়ে যাবে, মন খারাপ করবেন না।

সাইফ এর ছবি

সকালে উঠেই আপনার লেখা পড়লাম, মন খারাপ করা একটা লেখা, তবে আপনার লেখার যাদুতে ভরপুর

মামুন হক এর ছবি

ধন্যবাদ সাইফ ভাই। হঠাৎ কী মনে হওয়ায় লিখলাম, মন খারাপ করে দেয়ার জন্য দুঃখিত। পরে আবার মন ভালো করা কিছু একটা লিখব:)

আহমেদুর রশীদ এর ছবি

অভিজ্ঞতা বলে কথা!

---------------------------------------------------------

ঘাস তুমি ঘাসের মতো থাকো মাটি ছুঁয়ে
যে দেখার সে নতজানু হয়ে ছুঁবে তোমার আঙুল
অবরুদ্ধ মাঠ থেকে তুমি লাফিয়ে নেমোনা প্লিজ পাথরের পথে

---------------------------------------------------------

ঘাস তুমি ঘাসের মতো থাকো মাটি ছুঁয়ে
যে দেখার সে নতজানু হয়ে ছুঁবে তোমার আঙুল
অবরুদ্ধ মাঠ থেকে তুমি লাফিয়ে নেমোনা প্লিজ পাথরের পথে
________________________________________
http://ahmedurrashid.

মামুন হক এর ছবি

জ্বি বস, ক্ষুদ্র এই জীবনে কতো গল্প!

শামীম রুনা এর ছবি

_________________________________________________________
খাতার দিকে তাকিয়ে দেখি,এক পৃথিবী লিখবো বলে-একটা পাতাও শেষ করিনি।

_________________________________________________________
খাতার দিকে তাকিয়ে দেখি,এক পৃথিবী লিখবো বলে-একটা পাতাও শেষ করিনি। ( জয় গোস্মামী)

পান্থ রহমান রেজা এর ছবি

মানুষ তার আশার সমান বড়। এই আশা নিয়েই তো অহর্নিশ বেঁচে থাকা।

মামুন হক এর ছবি

হ ...আশা নিয়ে ঘর করি, আশায় পকেট ভরি...

অনিকেত এর ছবি

পড়লাম বস।
ভাল লাগল---

মামুন হক এর ছবি

ধন্যবাদ বস।

মৃদুল আহমেদ এর ছবি

হক সাহেব আমাদের থেকেও অনেক বেশি পারঙ্গম। আমরা হয়ত এই জমি ছুটাতে পারতাম না।
---------------------------------------------
বুদ্ধিমানেরা তর্ক করে, প্রতিভাবানেরা এগিয়ে যায়...

--------------------------------------------------------------------------------------------
বললুম, 'আমার মনের সব কপাট খোলা ভোজরাজজী। আমি হাঁচি-টিকটিকি-ভূত-প্রেত-দত্যি-দানো-বেদবেদান্ত-আইনস্টাইন-ফাইনস্টাইন সব মানি!'

মামুন হক এর ছবি

হ...খাটা খাটনি গেছে অনেক, তারপরেও...

সবুজ বাঘ এর ছবি

হুম।

মামুন হক এর ছবি

খালি হুম দিলে ঘুম কাটব বাঘার বাপ?

শাহেনশাহ সিমন [অতিথি] এর ছবি

তবুও আশাবাদী হতে মঞ্চায়।

তানবীরা এর ছবি

কিন্তু সেই নয় বছর বয়সে অগুনতি মানুষের খালি পা দেখে যে অদ্ভুত আনন্দ আর উত্তেজনা অনুভব করেছিলাম তার কোন তুলনা হয়না।

সেই পরিবেশ আর আমেজ আর বাংলাদেশে কোথাও নেই।
---------------------------------------------------------
রাত্রে যদি সূর্যশোকে ঝরে অশ্রুধারা
সূর্য নাহি ফেরে শুধু ব্যর্থ হয় তারা

*******************************************
পদে পদে ভুলভ্রান্তি অথচ জীবন তারচেয়ে বড় ঢের ঢের বড়

অতন্দ্র প্রহরী এর ছবি

হাসিনা আপার কাহিনী পড়ে মনে হচ্ছিল যেন রূপকথার গল্প পড়তেছি। আগেকার দিনগুলা আসলেই অনেক সহজ ছিল। আর এখন তো...

আসেন হতাশাটারে গুল্লি মারি, একদম দমে না গিয়ে খুব ঠান্ডা মাথায় চিন্তা ভাবনা করে হাঁটি হাঁটি পা পা করে দেশটাকে বাঁচাই। এটা সম্ভব, আমাদের দ্বারাই সম্ভব।
ঠিক, একমত।

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।