নিজের রক্তে কামড় দেওন নাই

মামুন হক এর ছবি
লিখেছেন মামুন হক (তারিখ: সোম, ১৪/০৬/২০১০ - ২:৫৪অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

আমি এই ক্ষুদ্র জীবনে বই-পুস্তক থেকে যতটা শিখেছি তারচেয়ে ঢের বেশি শিখেছি, শিখছি চারপাশের মানুষের কাছ থেকে। একজন মানুষ, তা সে যে অবস্থানেই থাকুক বা যে বয়সেরই হোক তার কাছ থেকে কিছু না কিছু শেখার মতো আছে- এ তত্ত্বে আমি বরাবর বিশ্বাসী। সে বিশ্বাস থেকেই মানুষের কাছে যাই, পাশে বসি, মন খুলে মিশি—জানি, শিখি, বোঝার চেষ্টা করি। জীবনে এত ঘাত-প্রতিঘাত সহ্য করেও মানুষের প্রতি আমার এই দুর্দমনীয় আকর্ষণে কোন পরিবর্তন আসেনি, ভবিষ্যতেও যে আসবে তার কোন আভাষ দেখছি না। মানুষ চলতে-ফিরতে, বুঝে-না বুঝে জীবনলব্ধ অভিজ্ঞতা থেকে এমন সব কথা হঠাৎ হঠাৎ বলে বসেন যা নিয়ে ভাবলে এর সাদাসিধা খোসাটির আড়ালে লুকানো অনেক পুষ্টিকর শাঁসের সন্ধান পাওয়া যায়।

শিরোনামের কথাটি আমার না। নব্বুইর দশকে ঢাকার বিভিন্ন অঞ্চল ভাগ হয়ে গেছিল দুর্ধর্ষ সব সন্ত্রাসীর আওতাধীন হিসেবে। সুইডেন আসলাম, প্রকাশ, বিকাশ, জোসেফ, কালা জাহাঙ্গীর, মানিক, মুরাদ, জর্জ, মামুন (আমি না কইলাম), পিচ্চি হান্নান, আওরঙ্গ এবং আরও অনেকের প্রতাপে ঢাকা শহরে বাঘে-মহিষে এক ঘাটে জল খেত। কথাটি আমি তাদের একজনের কাছ থেকেই শুনেছিলাম। যদিও শোনার প্রেক্ষিতটি ঢাকা শহরে নয়, বহু দূরে চীনের শেনঝেন শহরে ঘটেছিল। আমি তখন পুরানা ঢাকার আশিক নামের এক বন্ধুর সাথে তার ফ্ল্যাটে বিনা ভাড়ায় থাকি। বেকার আমি উঠতি ব্যবসায়ী বন্ধুটিকে বিজনেস কম্যুনিকেশন শেখাই, বিনিময়ে জোটে মাথা গোঁজার ঠাঁই আর দিনে অন্তত একবেলা খাবারের নিশ্চয়তা। শেনঝেনের রেল স্টেশনের আশে-পাশে আরও বেশ কিছু বাংলাদেশি থাকতেন। কেউ ব্যবসায়ী, কেউ চাকুরীজীবি, কেউ আমার মতো বেকার। একদিন আমাদের এক পড়শী বাংলাদেশীর ফ্ল্যাট থেকে জরুরী ফোন এল। তাদের ঘোর বিপদ, আমরা যেন তখনই তাদের বাড়িতে যাই।

তড়িঘড়ি করে সেই ফ্ল্যাটে গিয়ে দেখি দরজা আধখোলা, ভেতরে কিছু মানুষের ক্রুদ্ধ আনাগোনা। দরজা খুলে ভেতরে গিয়ে আমরা যেন বাঘের মুখে পড়লাম। রীতিমতো মারমুখী ভঙ্গিতে এগিয়ে এল কয়েকজন লোক, - ‘আপনেরা কারা? এইখানে আইছেন ক্যান? কোন শালায় আইতে কইছে?’। চারপাশে তাকিয়ে দেখি সোফায় এলিয়ে পড়ে আছেন একজন মধ্যবয়স্ক মানুষ, কষ বেয়ে রক্ত পড়ছে, খুব সম্ভবত প্রহৃত হয়ে জ্ঞান হারিয়েছেন। আগে দেখেছি ওনাকে, কিন্তু আমার সাথে কোনো আলাপ ছিল না, আশিক চিনতো তাকে ভালোভাবে। লোকটার সামনের কফি টেবিলে একটা ছিপিখোলা হুইস্কির বোতল, পাশে বেসবল ব্যাট। হাতে কালো গ্লাভস, পরনে খদ্দরের পাঞ্জাবী আর জিন্সের প্যান্ট, জেল দিয়ে তেলতেলে কালো চুলের একজন ব্যাটটা তুলে নিয়ে আমাদের দিকে আসলো। ভাবলাম বিদেশ-বিভুঁইয়ে অন্যের ঝামেলায় জড়িয়ে আবার মার-টার খাই নাকি। কিছুটা ভয় পেলেও দৌড়ে পালিয়ে যাবার কথা মাথায় আসেনি। লোকটা ব্যাট হাতে শাসানোর ভঙ্গিতে আমাদের লক্ষ্য করে বললেন যে সোফায় পড়ে থাকা লোকটি হুন্ডির ব্যবসায়ী, তাদের প্রায় পাঁচ লাখ রিমেমবি মেরে দিয়েছেন, টাকা শোধ করে দেবার কথা ছিল কয়েক সপ্তাহ আগে, না দিয়ে পালিয়ে পালিয়ে ছিলেন। আজকে তাই বাড়িতে এসেই তাকে পিটানো হচ্ছে, টাকা উদ্ধার না হওয়া পর্যন্ত এই প্রক্রিয়া চলবে। সে যেহেতু অজ্ঞান হবার ভাণ করে পড়ে আছে হালকা একটু মারপিটেই, আর আমরাও না জেনে বাও হাত দিতে এখানে চলে এসেছি তাই তার পক্ষ থেকে টাকার ব্যবস্থা আমাদেরই করতে হবে। আর নয়তো ঐ লোকটির মতো আমাদেরও একই দশা করে ছাড়বে। আমি তার কথাগুলো ভদ্র ভাষায় লিখছি, তবে তার মুখ দিয়ে উচ্চারিত শব্দগুলো মোটেও এমন নিরীহ ছিল না।

আশিক লোকটার মুখের দিকে তীক্ষ্ণ দৃষ্টিতে তাকিয়ে ছিল, আমার বেশ হতভম্ব অবস্থা। লোকটা এতে আরও ক্ষেপে গিয়ে বলে, ‘ ঐ মিয়া কী দেখেন এমন কইরা? আমার আবার রূপ জ্বালাইছে নাকি? চোখ নামান কইলাম, নাইলে ঘুঁটা দিয়া চোখ উঠাইয়া হাতে ধরাইয়া দিমু।’ হঠাৎ আশিকের মুখ থেকে চিন্তার মেঘ কেটে গেল, লোকটাকে চিনতে পেরেছে এমনভাবে বলে, ‘ আরে আপনে অমুক ভাই না? আমারে চিনছেন? ওয়ারীর আজিমের কথা মনে আছে না? উনি আমার বড় ভাই।’ এই কথাটা শুনে লোকটার আক্রমণাত্মক চেহারা, মারমুখী ভঙ্গি সব মুহূর্তেই পালটে গেল। অবাক হয়ে দেখলাম সে জিহবায় কামড় দিয়ে চেহারায় অনুতাপ ফুটিয়ে তুলে বলছে, ‘ আরে মিয়া আগে কইবা না! আমি তো আরেকটু হইলেই নিজের রক্তে কামুড় দিয়া বইছিলাম। নিজের রক্তে কামুড় দেওন নাই রে ভাই, যত গ্যাঞ্জামই হউক।’ এবার আশিকের অনুযোগ করার পালা,-‘ আপনে সেই সময় দিলেন কই মিয়া। খাড়ান আইজকাই ভাইরে ফোন কইরা কইতাছি। আপনে আমাগো বাসায় কতো আইছেন, খাইছেন সব ভুইলা গেলেন? আমি না হয় ছোট আছিলাম, কিন্তু দেখলে তো আপ্নের চেনার কথা।’

যাই হোক লোকটি বারবার দুঃখপ্রকাশ করে আমাদের সাথে হাত মিলিয়ে বসতে অনুরোধ করলো। আশিকের মধ্যস্ততায় তাদের ঝামেলাটিরও একটা সাময়িক সমাধান করা গেল, মার খাওয়া লোকটিকে আরও একমাস সময় বাড়িয়ে দিতে সম্মত হয়ে নিজের রক্তে কামড় দিতে অনিচ্ছুক সেই কুখ্যাত সন্ত্রাসী দলবল নিয়ে বের হয়ে গেল। যাবার আগে বারবার সে একই কথা বলছিল, অনুতপ্ত সুরে, ‘ হায় হায় নিজের রক্তে কামড় দিতে লাগছিলাম আরেকটু হইলেই, চলো তোমাগোরে কিছু খাওয়াই। আর আজিমরে বইলো কিছু মনে না নিতে, ...... পুলায় আমারে জানি একটা ফোন দেয়, আমি বুঝাইয়া কমুনে।’

লোকটির সাথে আর কোনোদিন দেখা না হলেও, তার কথাগুলো আমার মাথায় স্থায়ীভাবে গেঁথে গেল, জীবনের চলার পথে অত্যন্ত দরকারী এই সবক—যত যাই হোক স্বগোত্রে হানা দিতে নেই, নিজের আপনজনকে আঘাত দিতে নেই। নিজের রক্তে একটা সন্ত্রাসীও কামড় দিতে লজ্জা পায়, দ্বিধা করে, অনুতপ্ত হয়ে তার কাছাকাছি কোন অবস্থাতে পড়লেও। কিন্তু আজকে আমরা সমাজের শিক্ষিত জনগোষ্ঠী , উঁচুতলার অধিবাসীরা, জাতির বিবেক, সৃজনশীলতা-চিন্তাশীলতার প্রতীক, আগামীর ভবিষ্যত ইত্যাদি তকমা লাগিয়ে আত্মশ্লাঘায় উড়তে থাকা মানুষেরা বিনা দ্বিধায়, মুহূর্তের উন্মত্ততায় অন্ধ হয়ে ডান-বামে চারপাশে নিজের সহযোদ্ধা, সহকর্মীর রক্তে কামড় দিয়ে বসি। তারচেয়েও লজ্জাজনক হলো এতে অনুতপ্ত না হয়ে বরং এই কামড়াকামড়িকে জাস্টিফাই করার জন্য নানা ধরনের খোঁড়া যুক্তি অবতারণা করে পরের কামড়ে আরও ছিড়েখুঁড়ে দেয়ার জন্য দাঁতে ধার দিতে থাকি। একবারও ভাবি না, যাকে কামড়াচ্ছি সেই লোকটাই হয়তো আমার বিপদে-আপদে জান লড়িয়ে দেবে, তার শত্রু আর আমার শত্রু একই, তার ভালোবাসা আর আমার ভালোবাসাও একই, নীতিগতভাবে আমরা একই আদর্শে বিশ্বাসী, প্রয়োগের ক্ষেত্রে হয়তো সামান্য মতবিরোধ আছে, যেটা থাকতেই পারে। ঢিল খেলে পাটকেল মারা পর্যন্ত না হয় মেনে নেয়া যায়, কিন্তু ইন্টার কন্টিনেন্টাল ব্যালিস্টিক মিসাইল দিয়ে নিজের লোকদের উড়িয়ে দেয়া কোনো কাজের কথা নয়। এতে করে আমরা আসলে আমাদের প্রতিপক্ষকেই শক্তিশালী করছি, নিজেদের মধ্যে বিভাজন টেনে এনে সোজা বাংলায় নিজের পায়ে কুড়াল মারছি। যেখানে আমাদের প্রতিপক্ষ ভয়ানক রকমের একাট্টা এবং আমরা পারলাম না আজ পর্যন্ত তাদের একজনকে টেনে আমাদের দলে আনতে, সেখানে প্রতিনিয়ত নিজেদের মধ্যে কামড়াকামড়ি করে শক্তিক্ষয় করা বাড়াবাড়ি ধরনের বালখিল্যতা, অদূরদর্শী, আত্মঘাতি, অপরিণামদর্শী।

আমার কথাগুলোকে কেউ নিজের গায়ে টেনে নেবেন না আশাকরি, কথাগুলো নিজেকেই বলা, এক ধরনের আত্মসমালোচনা বলতে পারেন। এর মধ্য দিয়ে আমি নিজের কাছেই প্রতিজ্ঞা করছি যে, কোনো অবস্থাতেই আমি যেই পাতে খাই সেই পাতে হাগতে বসবো না, কোন পরিস্থিতিতেই একই আদর্শে বিশ্বাসী, একই পথের পথিক কোনো সহকর্মীর দিকে বিদ্বেষপূর্ণ একটা টোকা পর্যন্ত ছুঁড়বো না। মতভেদ থাকলে সেটা নিজেদের মধ্যে আলাপ-আলোচনা করে সুরাহা করার চেষ্টা করবো। এ বিষয়ে আমি সকলের আন্তরিক সহায়তা কামণা করি।

এবার আকণ্ঠ অস্বস্তি নিয়ে অন্য একটি বিষয় খোলাসা করার চেষ্টা করছি। দুঃখজনক হলেও সত্যি যে সম্প্রতি সচলায়তন বেচা-কেনা নিয়ে যেই সরগরম করা গুজবের লু হাওয়া উড়ছে আমাদের মাঝে, তার সূত্র খুব সম্ভবত আমি নিজেই। আমার সাথে এক সহব্লগারের আলাপ হচ্ছিন সচলায়তনে সাম্প্রতিক পোল বিষয়ে, যেখানে বই প্রকাশের খরচ সচলদের মধ্য থেকে আদায় করার বিপক্ষে আমি আমার যুক্তি দেখিয়েছিলাম এবং কথার পীঠে কথা হিসেবে সচলায়তনের অর্থায়নের বিষয়েও কিছু আলোচনা হয়েছে, এই পরিবারের একজন হিসেবে আমি সেটাকে অনধিকার চর্চা বলে মনে করিনি । তবে সেই একান্ত ব্যক্তিগত আলাপের কথা আমাকে না জানিয়ে কীভাবে জনসমক্ষে চলে আসলো সেটাই আমার কাছে বোধগম্য নয়, তার নৈতিক-অনৈতিক দিকটির কথা না হয় না ই বললাম। এ বিষয়ে আমার ফাঁসি চাবার আগেই আমি সবাইকে একটু লজিক দিয়ে চিন্তা ভাবনা করতে বলবো। প্রথমতঃ সচলায়তন কি কেনা-বেচার বস্তু? যদি না হয় তাহলে এই আলোচনাটাই অ্যাবসার্ড। আর যদি হয়েও থাকে, তাহলে বেচা-কেনার একটা নিয়ম-পদ্ধতি আছে, সে নিয়ম অনুযায়ী আমি কি সচলায়তন কতৃপক্ষের কাছে কোনো প্রস্তাব রেখেছি? বা কোন ব্লগে এই অন্যায় অভিপ্রায় ব্যক্ত করেছি? যদি না রেখে থাকি তাহলে এই গুজবকে ডালপালা মেলার সুযোগ আমরা কেন করে দিচ্ছি? মানুষ গুজব ভালোবাসুক বা নাই বাসুক, গুজবের দ্বারা প্রভাবিত হয়। ইতিহাসে এর অনেক নজির আছে এবং গুজবের সোশাল ইম্প্যাক্ট নিয়ে অনেক গবেষণাও হয়েছে। কোনোটাতেই গুজবের মধ্য দিয়ে ভালো কিছু বের হয়ে আসতে দেখা যায়নি।

আমি সকলের অবগতির জন্য জানাতে চাচ্ছি যে এ ধরনের কোনো উন্নাসিক , অবাস্তব অভিলাষ মাথায় স্থান দেবার মতো মর্কট আমি এখনও হয়ে উঠতে পারিনি, এবং আগামীতেও তার কোনো সম্ভাবনা নেই। তবে সচলায়তনের কাছে আমি নানাভাবে কৃতজ্ঞ এবং এর যে কোন প্রয়োজনে আমি নিঃস্বার্থভাবে সহযোগিতা করতে প্রস্তুত আছি। যদিও উপরোক্ত অপ্রত্যাশিত এবং অনভিপ্রেত গুজবে জড়িয়ে যা বুঝলাম তা হলো,সচলায়তন নিয়ে ব্লগের পাতার বাইরে কোনো কথা বলাই হয়তো ঝুঁকিপূর্ণ,সে নিজের ঘনিষ্ঠ বন্ধুর সাথেই হোক বা নতুন কোনো বন্ধুর সাথে এবং সে অপরাধের খাঁড়ায় পড়ে নিজের কল্লা হারানোর মতো মুর্খতা একটা অত্যন্ত হাস্যকর ভুল—উভয় পক্ষেই। আমি এ ধরনের যে কোনো আলোচনা থেকে নিরাপদ দূরত্ব বজায় রাখবো।

আমি সব ধরনের ভুল বোঝাবুঝির অবসান ঘটিয়ে সবাইকে নিয়ে সামনে এগিয়ে যেতে চাই। তবে এত কথার পরেও যদি সচলায়তন কতৃপক্ষ আমার বিষয়ে কোনো ভুল ধারণা পোষণ করেন বা আমাকে এই প্রতিষ্ঠানের শান্তির জন্য হুমকি মনে করেন, তাহলে আমাকে সরাসরি জানাতে অনুরোধ করছি। সেক্ষেত্রে আমি সসম্মানে, স্ব-ইচ্ছায় এখান থেকে চলে যাব, তবুও নিজের ভালোবাসার প্রাঙ্গনটিতে অশান্তি বা ভুল বোঝাবুঝির কারণ হয়ে উঠব না, এতটা ছোটলোক হয়ে ওঠার আগেভাগেই চান্নি-পসর রাইতে যেন আমার মরণ হয়।


মন্তব্য

সু [অতিথি] এর ছবি

হুম!

মাহবুব লীলেন এর ছবি

কোনো এক অদ্ভুত কারণে আমি বোধহয় দুনিয়ার বাইরে দিয়ে চক্কর দিচ্ছি
প্রতিদিন মোহাম্মদপুর থেকে বাসে ঝুলে গুলশানে কামলা খাটতে যাই
তাই একটা বাসের দশবারোটা টিকিট একসাথে কিনে রাখি
কয়েকদিন আগে সপ্তার জন্য কলকাতা ঘুরে এসে সক্কাবেলা বাসে ঝুললাম
এক লোক এগিয়ে এলো- টিকিট দেখালাম। বলে- বাসের মালিক বদলে গেছে। এই টিকিট চলবে না। ভাড়া দেন

দিন বদলাতে সময় লাগে না; মুরব্বিদের এই কথা মনে পড়ায় বাসের টিকিট পকেটে রেখে একই বাসে আসলাম নগদ ভাড়া দিয়ে...

০২

কয়েকদিন সচলে ঢুকতে না পারায় আজ দেখি মালিকানা পর্যন্ত টান পড়ে গেছে সচলের...

০৩

ঘটনা কী?

আলমগীর এর ছবি

নিজের রক্তে কে কামড় দিচ্ছিল তা আপনার লেখায় স্পষ্ট হলো না। অন্য কেউ আপনাকে কামড় দিচ্ছিল, না আপনি কাউকে দিতে উদ্যত হচ্ছিলেন। উপমাটা যেহেতু বিশদ তাই জানতে চাচ্ছি সচলায়তনের সাথে তা কীভাবে সম্পর্কযুক্ত হলো।

বাকি কথা রেস্ট্রিক্ট করে দিলাম।

কোন কথা ব্যক্তিগতভাবে নিবেন না আশা করি।

মামুন হক এর ছবি

মড নোট: রেস্ট্রিক্ট ট্যাগ ঠিক করা হল।

আলমগীর এর ছবি

গোপনীয় মন্তব্য।

মামুন হক এর ছবি

সিরাত এর ছবি

পোস্টের মূল বক্তব্যটি ভালোই লাগলো। তবে এটা বাস্তব জীবনে করাটা কঠিন, কারণ মানুষের একেকটা এ্যাসপেক্টে আরেকজনের সাথে মিল থাকলেও বড়দাগে করা দলে সবার মধ্যে সম্পূর্ণ মিল অসম্ভব। মতানৈক্য সঠিক ব্যবহারে উপকারী।

শোহেইল মতাহির চৌধুরী এর ছবি

ঠিক কোন বিষয়ের সাথে কী সম্পর্কিত তা বুঝা গেল না।
ব্লগ বা যেকোনো ফোরামের কেউ মালিক থাকতেই পারে।
সচলায়তন হয়তো সদস্যদের অর্থায়নে পরিচালিত হয়। কিন্তু সদস্যরা হয়তো কোনো একসময় একটা লাভ-লোকসানের ভিত্তিতে ব্যবসায়িক উদ্দেশ্যে চালাতে চাইতে পারেন।
পরিস্থিতি বদলাতে পারে।
এর মাঝে এত কিন্তু খোঁজার কিছু দেখছি না।

কোনো কিছু পরিচালনা করার স্টাইল সবার একরকম হয় না। একেক সিইও'র অধীনে একই প্রতিষ্ঠান ভিন্নভাবে পরিচালিত হয়। একেক নেতার অধীনে একই রাজনৈতিক দল ভিন্নভাবে পরিচালিত হয়। এসব নিয়ে মতভিন্নতা থাকতেই পারে।

অভাব-অভিযোগের বাস্তবতার কারণেই কি আমাদের স্বর এত উচ্চকিত?
-----------------------------------------------
মানুষ যদি উভলিঙ্গ প্রাণী হতো, তবে তার কবিতা লেখবার দরকার হতো না

-----------------------------------------------
মানুষ যদি উভলিঙ্গ প্রাণী হতো, তবে তার কবিতা লেখবার দরকার হতো না

প্রকৃতিপ্রেমিক এর ছবি

আলমগীর এর ছবি

গোপনীয় মন্তব্য:

প্রকৃতিপ্রেমিক এর ছবি

আলমগীর এর ছবি

গোপন কথার উত্তরও গোপন:

প্রকৃতিপ্রেমিক এর ছবি

মামুন হক এর ছবি

প্রকৃতিপ্রেমিক এর ছবি

আলমগীর এর ছবি

ময়না মিয়া [অতিথি] এর ছবি

দীর্ঘশ্বাসে পড়ার মতো...........

মামুন আপনার লেখা দীর্ঘশ্বাসে পড়ার মতো। মাত্র ক'দিন হলো এই সচলায়তনের সন্ধান পেয়েছি। কারো লেখা ভালো লাগলে ব্লগে ঢুকে বাকিগুলোও পড়ার চেষ্টা করি। স্মৃতিতে মন্টু ভাই পড়ে আমার চোখও জলে ভিজেছে। আপনার এ লেখাটি অমূল্য। বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ যদি এক নম্বর ঘটনা হয়, স্বৈরশাসন থেকে গণতন্ত্রের মুক্তি নিঃসন্দেহে তার পরের। এ সময়কালে আপনার ভূমিকা আর মন্টু ভাই'র সাহচর্য আমাকেও স্মৃতির কাছে টেনে নিয়ে গেছে। ঘটনাপ্রবাহ শুধু ঢাকার একটি মহল্লার নয়, পুরো বাংলাদেশের।
ফিরে আসি আপনার এ লেখায়। আপনি লেখার হাতে খড়ি কোথায় পেলেন? এই যে মন্তব্য করলেন- 'জীবনে এত ঘাত-প্রতিঘাত সহ্য করেও মানুষের প্রতি আমার এই দুর্দমনীয় আকর্ষণে কোন পরিবর্তন আসেনি, ভবিষ্যতেও যে আসবে তার কোন আভাস দেখছি না।'- এ বিশ্বাসটুকু আপনি কিভাবে অর্জন করলেন?

zic2010@yahoo.com

প্রকৃতিপ্রেমিক এর ছবি

এই পোস্টে মামুকে একটা বড়সর ধন্যবাদ দিতে চাই। রেস্ট্রিক্ট কোডটা ফিক্স করার জন্য। হাততালি

এস এম মাহবুব মুর্শেদ এর ছবি

আসলেই বাগ ফিক্স, হাইলাইট এবং আলমগীর ভাইয়ের ইনপুটের সমন্বয়ে এটা চমৎকার একটা সমাধান হয়েছে।

====
চিত্ত থাকুক সমুন্নত, উচ্চ থাকুক শির

এস এম মাহবুব মুর্শেদ এর ছবি

সাইফুল আকবর খান এর ছবি

___________
সবকিছু নিয়ে এখন সত্যিই বেশ ত্রিধা'য় আছি

___________
সবকিছু নিয়ে এখন সত্যিই বেশ ত্রিধা'য় আছি

আনোয়ার সাদাত শিমুল এর ছবি

রক্তে কামড় জিনিশটা উচ্চমার্গীয় ব্যাপার স্যাপার মনে হলো।
মানে, মাংসে কামড় হতে পারে... রক্তে হতে পারে চুমুক..., এরকম... হাসি

দ্রোহী এর ছবি

মামুন হক এই লেখায় তার সচলায়তন কেনা বিষয়ক "গুজব" ছড়ানো বিষয়ে যে সহসচলের বিরুদ্ধে অভিযোগের আঙুল তাক করেছেন সে মানুষটি আমি। "গুজব" শব্দটিকে "বাসনা" শব্দ দ্বারা প্রতিস্থাপিত করলে তার এ অভিযোগ আমি মাথা পেতে মেনে নিতে রাজি আছি।

আপাতত পোস্টে পাঁচতারা দিলাম। পরে কথা আরো গড়ালে আমি আবার মন্তব্য করবো। তখন কাইন্দা কুল পাইবেন না মামুন ভাই।

দয়া করে এই পোস্ট মুইছেন না আবার। আপনার বোকামিগুলোর প্রমাণ থাকা দরকার।


কি মাঝি, ডরাইলা?

দুর্দান্ত এর ছবি

আপনার বোকামিগুলোর প্রমাণ থাকা দরকার।
ভাই দ্রোহী , আপনার আর মামুন ভাইয়ের সম্পর্ক কেমন, আমি জানিনা। আপনারা একে অন্যকে নিয়ে হাসি ঠাট্টা করতেই পারেন। তবে যদি আদতেই আপনি একজন সহব্লগারের বিচারবুদ্ধি নিয়ে এরকম মন্তব্য করে থাকেন, তাহলে সেটা কি সচলের 'মিথস্ক্রিয়া'ভাবধারার পরিপন্থী নয়? নাকি আমি ভুল বুঝলাম?

সুবিনয় মুস্তফী এর ছবি

একটা রিয়্যাকশন পাবার জন্য প্রোভোক করা হচ্ছে মনে হয়। এই আহবানে সাড়া না দেয়াই বুদ্ধিমানের কাজ হবে।
-------------------------
হাজার বছর ব্লগর ব্লগর

দ্রোহী এর ছবি

দুর্দান্তদা এবং সুবিনয় মুস্তফীকে পূর্বাপর কিছু না জেনে শুধু শুধু নাক গলানো থেকে বিরত থাকতে অনুরোধ করছি। আর যদি মনে করেন সব কিছু জানেন তাহলে স্বাগতম। আসেন সামনে।

ব্যবচ্ছেদ টেবিলে গল্প পোস্টটি লেখার পর মামুন হক নিজের "বোকামি" স্বীকার করে নিয়ে আমাকে বিষয়টা নিয়ে আর কিছু না বলতে অনুরোধ করেছিলেন। আমি তার কথা রাখার জন্য পোস্টটিতে আর কোন মন্তব্য করা থেকে নিজেকে বিরত রেখেছিলাম।

মামুন হক ঠিক কার প্ররোচণায় উদ্যত হয়ে এই পোস্টটি দিলেন ধরতে পারছি না। কিন্তু মনে হচ্ছে এই পোস্টের পরিণাম বহন করার শক্তি ওনার নাই। এবং আমি শুরু করলে কতজন মামুন হককে আড়াল করতে বুক পেতে দেবেন তা বুঝতে পারছি না। আদৌ কেউ দেবেন কী না তা নিয়েই সন্দেহ হচ্ছে।

আপাতত বল মামুন হকের কোর্টে দিয়ে রাখলাম। তিনি কী বলেন তার উপর নির্ভর করছে আমার পরবর্তী অ্যাকশন।

আশা করছি অন্য কেউ আমার আর মামুন হকের মাঝখানে বাঁ হাত ঢোকাবেন না।


কি মাঝি, ডরাইলা?

দুর্দান্ত এর ছবি

কিন্তু মনে হচ্ছে এই পোস্টের পরিণাম বহন করার শক্তি ওনার নাই। এবং আমি শুরু করলে কতজন মামুন হককে আড়াল করতে বুক পেতে দেবেন তা বুঝতে পারছি না। আদৌ কেউ দেবেন কী না তা নিয়েই সন্দেহ হচ্ছে।

সুবিনয়ের রুচি হলে তার জবাব নিজেই দিতে পারবে। আমার কথাটি বলে যাই।
আপনার সাথে আমার শত্রুতা নেই। টুকটাক আপনার সাথে যা আলাপ হয়, তাতে মনে হয়েছে আপনিও আমার শত্রু নন। আমার প্রশ্নটিকে আরেকবার পড়ুন, এবার আমাকে বন্ধু ভেবে। এবার কি আপনি বুঝতে পারছেন যে আপনার আগের মন্তব্যে আমার মনে হয়েছে যে আপনি একজন সহব্লগারকে বোকা বানানোর ক্ষমতাটিতে আনন্দ পাচ্ছেন। সে মন্তব্যে ও এই প্রতিমন্তব্যে আপনার বলার ভঙ্গিটিতে বন্ধুত্বের বাড়ানো হাত দেখা যাচ্ছে কই? আমাদের গলায় গলায় বন্ধু হবার প্রয়োজন নেই। জায়গামত তর্কও আমরাই করবো। কিন্তু আমি আপনার শত্রু হতে চাইনা, আশা করি আপনিও আমার শত্রুতা কামনা করছেন না।

দ্রোহী এর ছবি

দুর্দান্তদা ও সুবিনয় মুস্তফী কে স্পষ্টভাবে জানিয়ে দিতে চাই যে আপনাদের দুজনের কেউই আমার শত্রু নন। আপনাদের দুজনের কারো প্রতি আমার কোনরূপ বিরূপ মনোভাব নাই। ভবিষ্যতেও আপনাদের দুজনের কারো সাথে শত্রুতাপূর্ণ সম্পর্ক তৈরিতে আমি আগ্রহী নই।

মামুন হক নিজে তার কাজগুলোকে “বোকামি”, “ছ্যাবলামি” ইত্যাদি শব্দ ব্যবহার করে ট্যাগিং করে নিঃস্বার্থ ক্ষমাপ্রার্থনা করেছিলেন এবং “ব্যবচ্ছেদ টেবিলে গল্প” পোস্টটিকে টানাহ্যাঁচড়া না করতে অনুরোধ করেছিলেন। আমিও তাকে আশ্বস্ত করেছিলাম যে “ব্যবচ্ছেদ টেবিলে গল্প” পোস্টটিতে মন্তব্য করা থেকে বিরত থাকব। আমি তাকে দেয়া কথা রেখেছিলাম পোস্টটিতে মন্তব্য না করে। ভেবেছিলাম বিষয়টা একসময় চোখের আড়ালে ফিকে হতে হতে মিটে যাবে। উপরের মন্তব্যে এ কারণেই “বোকামি” ট্যাগটা ব্যবহার করে সেই কথাটা তাকে স্মরণ করিয়ে দিয়েছি মাত্র।

নিঃস্বার্থ ক্ষমাপ্রার্থনার পর একটা বিষয় নিয়ে নতুন করে কথা বলার কোন যুক্তি অন্তত তার নেই। আমি ক্ষমা করেছি কী না তা নিয়ে আমি কথা বলতে পারি কিন্তু সেই একই বিষয় নিয়ে তিনি পুণরায় কথা শুরু করতে পারেন না। এই সহজ লজিকটুকু কারো বুঝতে অসুবিধা থাকার কথা না। আজ আবার ঠিক কোন কারণে মামুন হক নিজে থেকেই বিষয়টা সামনে নিয়ে আসতে চাইছেন বুঝতে পারছি না! মামুন হকের রেস্ট্রিক্টেড মন্তব্যের এই অংশটুকু পড়ে দেখুন মন দিয়ে।

মামুন হকের বিরুদ্ধে বেশ কিছু সুনির্দিষ্ট স্পর্শকাতর অভিয়োগ রয়েছে। ভবিষ্যতে প্রয়োজনবোধে সেগুলো উত্থাপন করবো। আমি পরিষ্কার করে জানিয়ে দিতে চাই এই অভিযোগগুলো শুধুই মামুন হক কেন্দ্রিক। অন্য কারো বিরুদ্ধে আমার কোনরূপ অভিযোগ নাই।

আপাতত আমি মামুন হক ছাড়া অন্য কারো সাথে এ বিষয়টা নিয়ে কথা বলতে আগ্রহ বোধ করছি না। সুতারাং, এই পোস্টে মামুন হক ব্যতীত অন্য কারো কোন কথার জবাব দেয়া থেকে বিরত থাকছি।


কি মাঝি, ডরাইলা?

আরিফ জেবতিক এর ছবি

অতন্দ্র প্রহরী এর ছবি

আমার কাছে মনে হয়েছে, পোস্টটা দিয়ে মামুন ভাই ভালো করেছেন। কারণ সম্প্রতি তাঁর বিরুদ্ধে যে অভিযোগ উঠেছে, সচলায়তন কিনতে চাওয়ার, সেটার প্রেক্ষিতে তাঁর নিজস্ব বক্তব্য জানাটা অত্যন্ত জরুরি ছিল। তিনি সেটা এখানে পরিষ্কার করে জানিয়েছেন। আমি সেটাকে সাধুবাদ জানাই। এখন গণ্ডগোল বা বিবাদ এড়িয়ে বিষয়টা এখানেই চিরতরে মিটমাট হয়ে যাক, সেটাই প্রত্যাশা করি; এবং এটাও আশা করব, এর বাইরে যেন বিষয়টা না গড়ায়, আর উনার গায়ের সাথে যেন "সচলায়তন কিনতে চেয়েছিলেন" ট্যাগটা না বসে যায়।

আমি সব ধরনের ভুল বোঝাবুঝির অবসান ঘটিয়ে সবাইকে নিয়ে সামনে এগিয়ে যেতে চাই।
সব কথার শেষ কথা আসলে এটাই। শেষ পর্যন্ত বাস্তবেও এটাই যেন হয় চলুক

সাইফুল আকবর খান এর ছবি

স্যরি টু সে, বিষয়টা অনেক বেশি রকমের রিডিক্যুলাস লাগতেছে এই পর্যায়ে এসে! সচলায়তনকে যেমন ভেবে আসছি এতদিন, সেই পুরা ধারণা বা বিশ্বাসটারেই রিডিক্যুল করলেন দ্রোহী আপনেও, সচলায়তনের অন্যতম চরম আস্থাভাজন ধারক বাহক। হ।

দ্রোহী বলেছেন:

পরে কথা আরো গড়ালে আমি আবার মন্তব্য করবো। তখন কাইন্দা কুল পাইবেন না মামুন ভাই।
দয়া করে এই পোস্ট মুইছেন না আবার। আপনার বোকামিগুলোর প্রমাণ থাকা দরকার।

________________________________________

মামুন হক ঠিক কার প্ররোচণায় উদ্যত হয়ে এই পোস্টটি দিলেন ধরতে পারছি না। কিন্তু মনে হচ্ছে এই পোস্টের পরিণাম বহন করার শক্তি ওনার নাই। এবং আমি শুরু করলে কতজন মামুন হককে আড়াল করতে বুক পেতে দেবেন তা বুঝতে পারছি না। আদৌ কেউ দেবেন কী না তা নিয়েই সন্দেহ হচ্ছে।

আপাতত বল মামুন হকের কোর্টে দিয়ে রাখলাম। তিনি কী বলেন তার উপর নির্ভর করছে আমার পরবর্তী অ্যাকশন।
আশা করছি অন্য কেউ আমার আর মামুন হকের মাঝখানে বাঁ হাত ঢোকাবেন না।


সাবাশ দ্রোহী! চলুক এইটুকুই বোধ করি বাকি ছিলো। নাউ, অল দ্য হেলমেটস অফ টু ইউ! দুইদিন লাগাম দিয়ে রাখা মুখও তাই খুলতেছি। হ্যাঁ, কারো বিচারে ছোট মুখে বড় কথা বলা মনে হইলেও কিছু করার নাই, বলতেছি। না, চুপ থাকাটাও ডিপ্লোম্যাটিক কিছু ছিলো না, ভাবছিলাম ঝামেলার আগুনে নতুন তুষ অন্তত না পড়ুক কারো কোনো বোঝার ভুলের সুবাদেও। কিন্তু, এখন দেখতেছি আপনি সেই আগুনের উপরে ঘি আর নিচে তুষ দিয়েই যাইতেছেন “বিরাট শিশু আনমনে”র খেয়ালে। তো, যে বা যারা এই আগুন ভালো পাইবো না, সে বা তারাই আর চুপ থেকে লাভ কী! না? আর, যে বাক্যগুলা নিয়া কথা বলতে যাইতেছি, সেইগুলা আপনি রেস্ট্রিক্টও করেন নাই, তাই আমিও রেস্ট্রিক্ট মেস্ট্রিক্ট করার দরকার বোধ করতেছি না।

উপরে আমার উদ্ধৃত আপনের লেখা বাক্যগুলাতে যেইরকম হুমকির সুর পাইলাম (এমন আর দেখি নাই এই বোকাসোকা জীবনে), তারপরে আর কোনো “ডিসেন্সির মাকে ভালোবাসা”রও আর কোনো দরকার দেখতেছি না সত্যিই। তা-ও বোধহয় আপনার মতো শিঙালো হইতে পারমুনা, মূলেই মানগত পার্থক্য থাইক্যা যাইবো ভালো পরিমাণেই।

আপনার আর মামুন হকের মাঝখানে কেউ কিছু বলবে না, আপনি নিজের অর্জিত পেশিশক্তিতে একাই আরেকজন ফান্দে-পড়া একা-রে আপনার রেসলার ড়্যাম্পে ফালাইয়া ুদবেন (আর তাই বইল্যা অন্য কেউও যে সেই কাজ পুরাপুরি বন্ধ রাখতেছে না, সে-ও তো বলাই বাহুল্য)- এইটাই এই ফোরামের উদ্দেশ্য আর মূলধারা-সংস্কৃতি, তাই না?

এবং, মডুরাও এই দৃশ্য সাইডলাইন থেকে খুব এনজয় করতে থাকেন যদি (অন্তত নৈতিকভাবে অনুচিত আর একাধারে সচলায়তনেরই লেখা কানুনের সাথে সাংঘর্ষিকও মনে না করেন যদি), তাইলে তাদেরকে আর কিছু বলার নাই আমার। এমনকি আপনি নিজেও কোনো রংয়ের কোনো মডু, নাকি না, সেইটাও আমার জানা নাই।

একটা মানুষরে আর কতো অপদস্থ করলে আপনের সাধ মিটবো, তার কোনো আইডিয়াই করতে পারতেছি না। আপনের কাছে (এবং সেইটার মাধ্যমে আপনের দায়িত্বগুণে যেন সচলায়তনের কাছেই!) এমনই যদি অমোচনীয় অমার্জনীয় অপরাধ বা গুনা কইরা থাকে মামুন হক, তাইলে আপনেরা (মানে আপনে, আপন কনসাল্টেশন উইথ মডু’জ ইফ নিডেড) তারে ব্যান কইরা দিলেই তো পারেন (আপনের ক্লোজড-ডোর রিমান্ডে নিয়া সেই পাপের পূর্ণাঙ্গ বয়ান রেকর্ড কইরা সবাইরে শোনানোরই বা দরকার কী?!), তাতে আপনাদের ধারণায় পরিবেশও ঠিক হইয়া যায় হয়তো। এমন ইন-পাবলিক, প্রিমিটিভ, রিগরাস রেক্টিফিকেশন বা রিট্যালিয়েশন প্রসেসের মধ্যে দিয়া না নিলে হয় না? না কী?

আগের মাফ চাওয়াচাওয়ি তো আগে গেছেই। অন্য আরো খারাপ কথা যেহেতু আকারে ইঙ্গিতে উঠছেই, সেইটারে আত্নপক্ষ সমর্থনের মৌলিক মানবাধিকারে খোলাসা কইরা সব ধরনের ভুল বোঝাবুঝির অবসান ঘটিয়ে সবাইকে নিয়ে সামনে এগিয়ে যেতে চাওয়ার জন্য একটা ফ্রেশ পোস্ট দিলো একজন বিবাদি (আপনের বিচারে নিশ্চয়ই একজন ঘৃণ্য জঘন্য মানবেতর অপরাধী), সেইখানে আপনে আবার মাথার উপরে ফাঁসির দড়ি ঝুলাইয়া ধইরা সেইটার “আসল” কারণ/প্ররোচণা খুঁজতে নিলেন, এমনকি অন্য আরেকজন ব্লগারের সম্পূরক-হইলেও-সুরে-আক্রমণাত্নক প্রশ্নের সূত্র ধইরা পরিস্থিতি আবার অনেক তিতা হইয়া সারলে পরে তার (মামুন হক) মুখ দিয়া বাইর হওয়া পুরান তিক্ত সুরগুলারে আপনে তার এই পোস্টের মূলসুর ঠাওরাইয়া কিলায়া সেই পাপের নিচেই ফালাইতে চাইতেছেন- এইটা এই এতদিনের বিশ্বাস, সৌহার্দ্য, ভ্রাতৃত্ব, গর্ব, সৌজন্য- সবকিছুরেই খুব বেশি অর্থহীন কইরা দিলো মনে হয়- এইটা মাইনা নেয়া অনেক বেশিই কঠিন লাগতেছে। মানে, এইটা যদি এই আয়তনে চলতে পারে, মডুরাও যদি এইটারে কাম্য বা অন্তত সঙ্গত-অনুমোদিত হিসেবে সচলায়তনের অংশ হিসাবে লালন করতে রাজি থাকেন, সেইটা পরিষ্কার হইলে মনে করেন যে- এমন কাতর চর্চা যারা ভালো পায় না, যেমন ধরেন আমিও, এইখানে আর থাকলাম না। হ্যাঁ, আমার মতো আরো এক চুনোপুঁটি নামমাত্র-ব্লগার এইখান থেইক্যা বাইর হইয়া গেলে সচলায়তনের কোনোকিস্সু যাবে আসবে না। কিন্তু, এই জায়গাটারে অনেক বেশি অন্যরকম ভাইবা অনেক স্বপ্ন নিয়া এইখানে ছিলাম বইলা আমার মতো কারো নিজের ছোট্ট অ-মহান জীবনের জন্য এইটা একটা অনেকই বড় আর গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত। আর এই পুরা ব্যাপারটাই যে বা যারা বা যেই সিস্টেম এপ্রিশিয়েট করতে পারবে না (মানে যদি না-ই পারে ফাইনালি), তাইলে আই জাস্ট ডো’ন্ট নিড এনাদার হেল লাইক দিস! আর, অফ অল আদার বড়-মাঝারি-ছোট হাজারে হাজার সচল’স, এক আমি বোকাোদা সাইফুল আকবর খান ক্যান্ এমন ঢাউস একটা প্রতিক্রিয়া নিয়া এই আকারে ফাল পাইড়া উঠলাম, সেইটাও যদি কারো প্রশ্ন ওঠে, সেইখানেও আমার থেকে আর কিছু বলার নাই। এমনকি, শালার কালা কাওয়ার তালির মতো আজকাল এমন এক সময়েই (মোটামুটি এক সপ্তাহ থেকে) রুটিরুজির কাজের চাপ একটু কম বইলা এই আয়তনে তুলনামূলকভাবে একটু বেশি সময় আসতে পাইরা পুরষ্কার বা শাস্তি হিসাবে এই সময়েই এমন দমবন্ধ অস্বস্তিকর অভিজ্ঞতাটাও পাইয়া গিয়া, আমিও যদি এখন হঠাত্ দ্রোহী’র কিংবা ধূগো’র কাছ থেকে এই ধরনের অভিযোগও শুনি যে আমিও এমন সঙ্কটের সময়েই আলুপোড়া খাইতে আসছি, তাইলে তো সবাই বুঝতেছেন, তার পরে আমার আর কোনো কারণেই কোনো কথা বলার থাকবে না এইখানে, বলবোও না।

আশা করি, সঙ্কট আর বক্তব্য- দুইটাই পরিষ্কার করতে পারছি। আর আমি নিশ্চিত- যা বলছি পুরাই লজিকের মধ্যে বলছি। এখন আপনার লজিক যদি আমার লজিকের চে’ পুরাই উড়াধুড়া ডিফরেন্ট হয়, সেইখানেও আমার কিছু করার নাই।

শেষে, শতভাগ অহম্ আর সত্সাহসের সাথে আরেকটা কথাও বইলা যাই-
মামুন হক আমার মায়ের পেটের ভাই না (আমি হয়তো ভুল কইরা ভাবছিলাম যে সচলায়তনের সবাই আমরা ভাই ভাই!), উনি কোনো পরিমাণের টাকা-পয়সা দিয়া আমারে কেনেনও নাই। আমি এইখানে যেই পরিস্থিতি এক্সপেরিয়েন্স কইরা যা কিছু বমি করলাম এইখানে এই এখন, এই পুরাটাই আমি আমার নিজের আইডিওলজিক্যাল আর্জ আর নিজের অ্যাকটিভ গাট্স-এর জায়গা থেকে বলছি; এই বিষয়ে মামুন হকের সাথে আমার কোনো ব্যক্তিগত মেইল-চ্যাট চালাচালি জাতীয় কোনো আঁতাতও হয় নাই (একশ’ বাষট্টি কিলোমিটার দূরে বাস করা আমার পঞ্চাশোর্ধ্ব মায়ের কসম! হ)- (এইটুক সেন্স করতে পারার জন্য আর কোনো ইতিহাস জানারও দরকার পড়ে না)- তাই আমার এই বক্তব্যের দায়দায়িত্বও পুরাপুরি আমার নিজের। আমার বক্তব্য বা অবস্থানের সাথে মামুন হকের কোনো সম্পর্কই নাই, অন্তত উনার দিক থেকে। আমারও কসম লাগে, আমার বক্তব্যের কোনো অংশরে কোনোভাবে মামুন হকের বিরুদ্ধে বিষোদ্গার করতে কোনো পর্যায়ের কোনো কাজে লাগানোর মতো চিন্তাও কোনো মায়ের কোনো ছেলেই করবেন না, যদি মায়ের দুধ পান কইরা থাকেন (হ্যাঁ, সেইটা করছেন বইলাই মনে করি)। সিন্সিয়ারলি স্যরি, এরচে’ আর ভালো ভাষায় এইটা বলতে পারলাম না।

ভালো থাকেন সবাই।

___________
সবকিছু নিয়ে এখন সত্যিই বেশ ত্রিধা'য় আছি

___________
সবকিছু নিয়ে এখন সত্যিই বেশ ত্রিধা'য় আছি

কালো-মডু এর ছবি

আপনি নিজের অর্জিত পেশিশক্তিতে একাই আরেকজন ফান্দে-পড়া একা-রে আপনার রেসলার ড়্যাম্পে ফালাইয়া ুদবেন

মডুরাও এই দৃশ্য সাইডলাইন থেকে খুব এনজয় করতে থাকেন যদি

এমনকি আপনি নিজেও কোনো রংয়ের কোনো মডু, নাকি না, সেইটাও আমার জানা নাই।

সাইফুল আকবর খান, আপনাকে ১ সপ্তাহের জন্যে মডারেশনের আওতায় নেয়া হলো। এটি আপনার জন্যে প্রথম সতর্ক সঙ্কেত। বিস্তারিত জানতে চাইলে এখানে দেখবেন।

লাল-মডু এর ছবি

মামুন হক, সচলায়তনের মডারেশনের ওপর আধিপত্য বিস্তারের উদ্দেশ্যে বৎসরাধিককাল অন্তরালের রাজনীতি, বিপুল জনসংযোগ, গোষ্ঠীবদ্ধ আক্রমণে প্ররোচনা, সচলায়তন ক্রয় করে এর সঞ্চালনা পদ্ধতিতে পরিবর্তন সাধনের অভিলাষ, সহসচলদের প্রতি ব্যক্তিআক্রমণমূলক মন্তব্য ও পোস্ট, ব্যক্তিআক্রমণ করে করা অপর ব্যক্তির পোস্ট ও কমেন্টে সমর্থন দানের জন্যে আপনার অ্যাকাউন্টটি ৬ মাসের জন্যে মডারেশনের আওতায় আনা হলো। আপনার বিরুদ্ধে বিভিন্ন সুনির্দিষ্ট অভিযোগ ও আলামতের প্রেক্ষিতে আমরা এ সিদ্ধান্তে উপনীত হয়েছি। ভবিষ্যতে এ কাজের পুনরাবৃত্তি ঘটলে আপনার বিরুদ্ধে কঠোরতর ব্যবস্থা নেয়া হবে। বিস্তারিত জানতে চাইলে এখানে দেখুন।