গজদন্ত

মাসকাওয়াথ আহসান এর ছবি
লিখেছেন মাসকাওয়াথ আহসান (তারিখ: বিষ্যুদ, ১৫/০৭/২০১০ - ১:০৭পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

ঢাকা ইউনিভার্সিটিতে নব্বুইএর গণ আন্দোলনের বছর খানেক আগেই ঢুকে পড়ার পর নানারকম দম্ভের সঙ্গে পরিচয় ঘটতে শুরু হলো।

প্রথম ইংলিশ মিডিয়াম দম্ভ, কতোগুলো বার্গার বা হড্ডগ প্রিয় বাদামী রঙের ছেলে মেয়ে করিডোরে আমেরিকান সিটকম বলয় তৈরী করে ককনী করত, গ্রাম থেকে আসা ছেলে মেয়েদের বুলি করত, রাজশাহী ক্যাডেট কলেজের আডজুটেন্ট বা হিরো ক্যাপ্টেন তৌহিদুজ্জামান শিকদার আর কলেজিয়েট স্কুলের প্রবাদপ্রতিম রমজান আলী স্যারের ইংরেজীর ককটেল পকেটে ছিলো,তা লুকিয়ে রেখে জীবনানন্দ বা আবুল হাসানের বই দিতাম বাংলিশ গ্রুপকে।এই ওষুধে কাজ হয়েছে,মধুরেণ সমাপয়েত, কিন্তু ইংলিশ মিডিয়াম লেনন-ললনাদের দম্ভটা আজ পর্যন্ত অটুট।বুঝলাম যে আমার মাতৃভাষা বোঝেনা তার সঙ্গে যোগাযোগ তৈরি করা কঠিন।

এরপর দেখা হলো জ্ঞানী ছেলেমেয়েদের সঙ্গে,খায় কম, বলে বেশী, শীর্ণ শরীর চিন্তার ভারে, এরা কেউ ম্যাক্স-ওয়েবার-হামজা লাভীর নীচে কোন নাম বলে না। আব্বা উনার কিছু বইপুস্তক দিলেন, ওদের আড্ডায় কিছু সম্পূরক প্রশ্ন করার জন্য, মধুরেণ সমাপয়েত। কিন্তু তাদের দম্ভ অটুট। দ্য এডিটরের সম্পাদক হবার পরে আমার টিএসসির জ্ঞানী বন্ধু মালিক পক্ষকে বললো , ওকে কেন সম্পাদক বানালেন,ওকে তো আমিই আঁতেল বানিয়েছি, আমাকে প্রধান সম্পাদক করেন। এরকম পদ মিডিয়ায় থাকা উচিত নয়, অনেকে হয়তো প্রধান সামরিক আইন প্রশাসকের অনুকরণে কার্ডে এই পদ ছাপেন। ফলে দ্য এডিটরের বোর্ড অব ডিরেকটরস গজজ্ঞানীর কথায় ক্ষেপে গেলো।আমি ডয়চেভেলের ফারুক ভাই ওরফে ঋষির প্রশিক্ষণবশত, চোপায় না বসিয়ে, হাসিমুখে জ্ঞানীবন্ধুকে ট্যাক্সিতে বসিয়ে এলাম, দম্ভঠাকুর গাল ফুলিয়ে চলে গেলেন।বুঝলাম দুর্জন জ্ঞানী হলেও পরিত্যাজ্য।

জাসদের প্রতি আগ্রহ ছিল, আব্বার রাজনীতির প্রতি ঘৃণা ছিলো, আম্মা বললেন এক আধটু ভাবতে পারো, ইউনিয়নে চারুকলার সৌম্য বন্ধুরা ছিলো, কিন্তু জাসদের বন্ধুদের দম্ভের বাগাড়ম্বর ছিলো, শুধু দম্ভ না থাকলে আজ ওরা সংসদে থাকতো, কিন্তু ব্যবসা বানিজ্যে খুশী হয়ে যাওয়ায় আর এগলো না।বন্ধু হিসেবে একশোতে একশো, রাজনীতিতে গোল্লা।বুঝলাম ব্যবসা আর রাজনীতি একসাথে নয়।

সুতরাং বিতর্ক রাজনীতি, আলোর অলক্ষে বেড়ে উঠেছে লিটল ম্যাগাজিন আন্দোলনের মতো সমাজ-রাজনীতির এই মতপ্রকাশের ডিসকোর্স।গ্রামে গ্রামে বিতর্ক কর্মশালার মাঝ দিয়ে তৈরি হয়েছে একটি প্রতিবাদী প্রজন্ম। দম্ভ সেখানেও আছে, এটা জীন ও ঊপনিবেশগত, তবে সেটা নেহাত উপজাত।দম্ভহীন বিতার্কিক বন্ধু পেয়েছি অনেক।আর বিতার্কিক শত্রু নৃশংস ক্যাডার বা মাদকনির্ভর বন্ধুর চেয়ে ভালো, আমার মনে হয়।

কেন এই দম্ভ বা কিব্বা হনুরে চলে আসে মানুষের মধ্যে! এটা বাদ দিলেইতো সভ্যজীবন।বৃটিশেরা দম্ভ শিখিয়ে গেলো, আর ওদের প্রধানমন্ত্রী পাড়ার দোকান থেকে পাঁউরুটি কিনে হেঁটে বাড়ি ফেরে, আর এদিকের কতিপয় ফকিন্নী(পেশাটি অলস তাই)সাংসদ কল্পিত সম্মান না পাওয়ায় একে ওকে চড় দিয়ে বেড়াচ্ছে, আমি নিশ্চিত ওর বাবাও রাগী ছিলেন, চড় দিতেন একে ওকে হয়তো ওকেই বেশী।বুঝলাম চড় খাওয়া ছেলেদের দিয়ে রাজনীতি হবেনা বেশীদিন।

পুরাতন মিডিয়া ও শোবিজে ইড-ইগো-সুপারইগোর কারণে মেধার দুর্ভিক্ষ দেখা দিলো, কর্তাদের দম্ভের ঠ্যালায় অস্থির সবাই, অন্তর্মুখী মেধাবী তরুণেরা স্যার বলেও তাদের মানভঞ্জন করতে পারে না, যেভাবে অনলাইন মিডিয়া ধেয়ে আসছে তাতে আর বেশীদিন তাহাদের স্যার বলা লাগবে না।বুঝলাম অহংকার পতনের মূল।

ডয়চেভেলের বন্ধু সঞ্জীব বর্মন নিজে রাত দিন খেটে ২০০২ সালের অক্টোবর নাগাদ আমাকে অনলাইনের জন্য প্রস্তুত করেছিলো, পরে এভারেস্ট ব্যর্থ সজল(চলচ্চিত্র সফল হতে পারে) আর ব্লগকুমার ধূসর গোধুলীর কাছে আইটি পঠন এই মাধ্যমের নেশা জারিত করেছে আড্ডা দিতে দিতে। এইসব আইটি মানবের কোন দম্ভ দেখিনি কখনো।তাই ভাবলাম এতোদিনে গজদন্তহীন বন্ধু পাওয়া গেলো, পরে ধূগোর সাদালাঠি নিয়ে ব্লগে এসে দম্ভহীন বন্ধু পাওয়া গেল বেশ কিছু।তারপর অভ্রের মুসার লাঠিটার কথা দম্ভের নয়, অভ্রের অর্জনের।শুধু দম্ভ-অতিরিক্ত আত্মবিশাসের অন্ধ উঁই পোকাগুলো এসে প্রভাবিত না করলে বন্ধুগুলো শেষকৃত্য পর্যন্ত স্থায়ী হবে, আশা করা যায়।কারণ যোগাযোগ বা বন্ধুতাই ভবিষ্যতের মিডিয়ার গন্তব্য-নদীমানুষের খোঁজে যারা বাংলায় কথা বলে—একবিংশের যোগাযোগভাবনা হাত বাড়ালেই বন্ধু কথাটিকেই একাডেমিক পরিভাষায় নানাভাবে বলছে,তাই এই নতুন মিডিয়ার আধমরা বা ব্যর্থ হবার কোন কারণ আপাতত দেখছিনা।


মন্তব্য

শোহেইল মতাহির চৌধুরী এর ছবি

মাসকাওয়াথ দেখছি বেশ নিয়মিত।
লেখায় পাঁচতারা।
-----------------------------------------------
মানুষ যদি উভলিঙ্গ প্রাণী হতো, তবে তার কবিতা লেখবার দরকার হতো না

-----------------------------------------------
মানুষ যদি উভলিঙ্গ প্রাণী হতো, তবে তার কবিতা লেখবার দরকার হতো না

এস এম মাহবুব মুর্শেদ এর ছবি

এসএমসি আপনে ফর্মে থাকলে কি আর ঠেকানো যাইতো? কই যে গেল সেই ব্লগিংয়ের দিনগুলি! শ্রেয়া আর শ্রেষ্ঠা আরেকটু বড় হইলেই আপনারে ধইরা নিয়া আসতে হবে।

====
চিত্ত থাকুক সমুন্নত, উচ্চ থাকুক শির

মাসকাওয়াথ আহসান এর ছবি

স্যার লেখালেখিটা এবার করতেই ভালো লাগছে অভ্রের ,মেহদীদের কল্যাণে, ম্যাজিকাল, চিন্তা করেন লিটল ম্যাগাজিন ছাপার হ্যাপার কথা,সচলায়তন সেই পছন্দের দেশ হয়ে উঠছে।

যুদ্ধাপরাধীদের বিচার এখনি,নইলে কোন দিন নয়।

এস এম মাহবুব মুর্শেদ এর ছবি

অবর্জাভেশন ভাল্লাগলো।

====
চিত্ত থাকুক সমুন্নত, উচ্চ থাকুক শির

মাসকাওয়াথ আহসান এর ছবি

ধন্যবাদ।

যুদ্ধাপরাধীদের বিচার এখনি,নইলে কোন দিন নয়।

নৈষাদ এর ছবি

চমৎকার লাগল। অনলাইন মিডিয়া এবং এ নিয়ে আপনার প্রত্যাশা/আশাবাদ নিয়ে লেখাগুলো খুব ভাল লাগছে।

মাসকাওয়াথ আহসান এর ছবি

অনুপ্রাণিত বোধ করছি।

যুদ্ধাপরাধীদের বিচার এখনি,নইলে কোন দিন নয়।

উজানগাঁ এর ছবি

ভোরের কাগজের সাথে একটা ম্যাগাজিন বের হতো নাম ছিল সম্ভবত "অবসর"। আপনার বেশ কিছু লেখা পড়া হয়েছিল তখন। যতদূর মনে পড়ে শহরের বিষয়-আশয় নিয়ে আপনি লিখতেন।

অনেকদিন পর আপনার লেখা পড়লাম। এরকম টানটান (স্মার্ট) গদ্য সচরাচর পড়া হয় না। ভালো লাগাটা জানিয়ে গেলাম।

ভালো থাকবেন।

মাসকাওয়াথ আহসান এর ছবি

বিষণ্ণতার শহর। ভালো থাকবেন আপনিও।

যুদ্ধাপরাধীদের বিচার এখনি,নইলে কোন দিন নয়।

গৌতম এর ছবি

আপনার মতো কিছু মানুষ ব্লগে নিয়মিত হচ্ছেন। এটা সুখবর। আশা করি হঠাৎ আবার ডুব দিবেন না।

.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ

শিক্ষাবিষয়ক সাইট ::: ফেসবুক

.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ

মাসকাওয়াথ আহসান এর ছবি

ব্লগে কত তাড়াতাড়ি যোগাযোগ হয়। ভোরের কাগজে বিষণ্ণতার শহরের যুগে হলুদ পোস্টকার্ড ছিলো একমাত্র ভরসা, কি লিখছি তা জানতে। আরিফ জেবতিক, সাগর ওরা চিঠিগুলো পড়তো, আমাকে জানাতো, উতসাহিত করত, কিন্তু পাঠিকা এলেই বলতো উনি বৃদ্ধ মানুষ, আজকাল লেখা দিতে আসতে পারেন না উনি। পরে আমি এলে পাঠক-পাঠিকার ফেলে যাওয়া মহীনের ঘোড়াগুলির ক্যাসেট দিতে দিতে জেবতিক-সাগর এই গল্প করেছিল। সেই আমি বৃদ্ধ হলাম, কিন্তু জেবতিক-সাগরকে আমি ছাড়বো না। আপনি কী বলেন গৌতম, ওদের কী কাজটা মানবিক হয়েছে

যুদ্ধাপরাধীদের বিচার এখনি,নইলে কোন দিন নয়।

মুস্তাফিজ এর ছবি

দম্ভ নিয়ে লেখায় আত্মজীবনীর গন্ধ পাইলাম

...........................
Every Picture Tells a Story

মাসকাওয়াথ আহসান এর ছবি

চল্লিশ পেরোলেই ভাবালুতাগ্রস্ত মানুষেরা চলন্ত আত্মজীবনী হয়ে যায়, কেউ অফলাইন আড্ডায় লম্বা গল্প করে বোর করে, আমি করি অনলাইনে। তবে যেকোন লেখক সারাজীবন ধরে আসলে একটা আত্মজীবনীই লেখে। ওলে সোয়েঙ্কা বা দক্ষিণ আফ্রিকার কোয়েটজিও আত্মজীবনীকেই নানাভাবে লেখে একজন লেখক এরকম কথা বলেছেন সাহিত্য আলোচনায়।টিএসসির জ্ঞানীবন্ধুদের মতো দুটো ভারী নাম বলে ফেললাম কোন লিঙ্ক ছাড়াই। ধন্যবাদ মুস্তাফিজ ভাই।

যুদ্ধাপরাধীদের বিচার এখনি,নইলে কোন দিন নয়।

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

ভালো লাগলো
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

ধুসর গোধূলি এর ছবি

- আরও আগেই ব্লগে নিয়মিত হতে পারলে আমাদের মতো "স্ট্রাগলিং পাঠক"রা খানিকটা উপকৃত হতাম আপনার মতো "স্ট্রাগলিং রাইটার"-এর কাছ থেকে লেখা পেয়ে।

বেটার লেট দ্যান নেভার, যাইহোক।

"প্রতিষ্ঠিত লেখক"-রা তো সচলায়তনকে বৃদ্ধাঙ্গুলী দেখিয়ে, নিজের খ্যাতি তথা দম্ভের তোড়ে বাকি সবাইকে "শিক্ষানবীশ" ডেকে প্রস্থান করেছেন অতীতে। আপনি তাঁদের মতো "প্রতিষ্ঠিত লেখক" নন, "স্ট্রাগলিং রাইটার"- এইটাই বাঁচোয়া।

ব্লগের জগতে নিয়মিত পদচারণা দৃপ্তময় হোক। চলুক
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক

মাসকাওয়াথ আহসান এর ছবি

আসলে স্ট্রাগল ছিল বিজয় দিয়ে টাইপিং এ, অভ্র বাঁচালো, তবে রাইটার হিসেবে স্ট্রাগলিং থাকাটা দোষের কিছু নয়, হুমায়ুন আহমেদ বা সুনীল গাঙ্গুলীর মতো অত নিশ্চিত না হ ওয়াই ভালো। আমাকে তো রাজকবিদের চেয়ে আবুল হাসানের হারিয়ে যাওয়া বইগুলোই বেশী আকর্ষণ করে।

যুদ্ধাপরাধীদের বিচার এখনি,নইলে কোন দিন নয়।

মাসকাওয়াথ আহসান এর ছবি

মি নজরুল,অনেক ধন্যবাদ। পারলে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার নিয়ে এই প্রজন্মের প্রতিক্রিয়া হ্যান্ডিক্যামে সাউন্ড নিশ্চিত করে চার পাঁচ মিনিটের করে ভক্সপপ সিরিজ ইউটিউব বা নিরাপদ কোথাও আপলোড করে সচলায়তন,ফেসবুক,টুইটারে শেয়ার করতে পারেন, এই কাজে কিছু ইন্টার্ণ নিয়ে ব্রিফ করে মাঠে ছাড়তে পারেন কাজ শেখানোর লক্ষে।আবদুল্লাহ আবু সায়ীদের আনন্দশ্রম নিয়ে অনেক মজা করেছি, কিন্তু পরে দেখলাম, নিউজরুমের সাংবাদিক দিয়ে চাকরী হয়, তার চেয়ে অনেক ভালো কাজ হয় ছাত্রদের দিয়ে সঙ্গত কারণেই।। আপনার পেশাগত ব্যস্ততার মাঝেও আপনি সচলায়তনের প্রাণ পুরুষদের একজন। একটু সময় ব্যবস্থাপনা করে কাজটা করবেন নাকি, দেখেন চিন্তা করে।

যুদ্ধাপরাধীদের বিচার এখনি,নইলে কোন দিন নয়।

ধুসর গোধূলি এর ছবি
স্পর্শ এর ছবি

একমত। আশাবাদী আমিও।


ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...


ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...

মাসকাওয়াথ আহসান এর ছবি

শুধু ঢাকায় কেন,বন-কোলনে ভক্সপপ শুট করা যায়, অনাবাসে যে যেখানে বসবাস করছেন সেখানকার বাংলাভাষী বা বাংলিশ বা বাংজার্মান এইপ্রজন্ম কী ভাবছে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার এবং ভবিষ্যত বাংলাদেশ সম্পর্কে? প্রতিক্রিয়া হ্যান্ডিক্যামে শুট করে ভেগাসে এডিট করে আপলোড করতে পারার কথা, একটা উইকেন্ড স্যাক্রিফাইস করলেই হয়।

যুদ্ধাপরাধীদের বিচার এখনি,নইলে কোন দিন নয়।

অতিথি লেখক এর ছবি

আর বিতার্কিক শত্রু নৃশংস ক্যাডার বা মাদকনির্ভর বন্ধুর চেয়ে ভালো, আমার মনে হয়। সহমত।
কিন্তু পথভ্রষ্ট বিতার্কিককে কার/ কাদের সাথে তুলনা করব?

-------অ্যামেচার-------

মাসকাওয়াথ আহসান এর ছবি

পথ ভুললে পথিক আর পথিক থাকে না হয় ক্লান্ত মানুষ।
--আবুল হাসান

যুদ্ধাপরাধীদের বিচার এখনি,নইলে কোন দিন নয়।

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।