মলিনা

মণিকা রশিদ এর ছবি
লিখেছেন মণিকা রশিদ (তারিখ: মঙ্গল, ২৬/০১/২০১০ - ১০:০৫পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

দরোজা খুলে খুব ধীরে মলিনা এসে দাঁড়ায় চকচকে সিঁড়িতে, দেয়ালের গা ঘেঁসে। সিঁড়ির ঠিক নিচের ধাপে বসে কালীপদ মাঝি; শালিসের চাক্ষুস সাক্ষী। কালিপদকে মলিনার চেয়েও মলিন দেখায়। কিছুতেই সে এখানে আসতে চায়নি আজ। মলিনাকে সে ন্যাংটো বয়স থেকে চেনে। মেয়েটির জন্য তার কষ্ট লাগে; অথচ মিথ্যা বলাও তার অভ্যাস নয়! চাপে পড়ে তাকে আসতে হয়েছে।

মলিনাকে বসতে বেতের মোড়া দেয়া হয়, মেয়েটি মাটির দিকে তাকিয়ে ক্ষুদ্র আঁচল টেনে টেনে ঢাকতে থাকে তার স্ফীত উদর; বসতে বলার কথা শুনতে পেয়েছে বলে বোঝা যায় না। শুধু টিনের চালা ঘেরা শৈলেন্দ্র জ্যাঠামশাইর বৈঠক খানায় মানুষের সংকুলান হয়নি আজ। উঠানের মাঝখানটা কিছুটা ফাঁকা রেখে চারদিক ঘিরে লোকজন বসে গেছে। রাধা মন্দিরের নিচে ধানের নাড়া বিছিয়ে বসেছে মেয়েরা। এঁয়োতিদের মাথা শাড়ীর আঁচলে ঢাকা, অনুঢাদের মাথায় আঁচল না থাকলেও মুখ ঢাকা শাড়ির প্রান্ত দিয়ে। মলিনাকে দেখে সবার মধ্যে গুঞ্জন শুরু হয়।

শৈলেন্দ্র জ্যাঠামশাই কথা বলতে শুরু করলেই গুঞ্জন থামে। কেন যেন কালীপদকেই তিনি প্রথম ডাকেন,'তোর নৌকায়ই তো আইছেলে আওড়াবুইন্যা গোনে, না? বমি করতে করতে অজ্ঞান অইয়া গেছেলে...? মন্দিরে নারায়ন আছেন, সব শুনতেছেন, সত্য কথা কবি।'
কালীপদ আড়ষ্ট ভঙ্গীতে উঠে দাঁড়ায়,' হ, জ্যাডা। তয় পুন্য পিসীমাও আছেলে।'
বৈঠকখানার উল্টোদিকের দরোজা খোলে, পুণ্য পিসীমার মুখ দেখা যায়, সেখানে,' হ! তয় অনেক দেরী অইয়া গেছে! ঘরে বাপ, জোয়ান একটা ভাই থাকতেও গঠনা এদ্দুর আউগায় কেম্নে আমি বুজিনা!’
শৈলেন্দ্র জ্যাঠামশাই এবার প্রশ্ন ভরা চোখে তাকান মলিনার বাবা অতুল রায়ের দিকে,' সবাইর চক্ষে পড়লো, আর তুমি এতোদিন কিছু দেহোনাই, জানোনাই, কেমন বাপ তুমি?'
পুরো উঠান এবার বোধহয় একইসাথে তাকায় এক কোনে দুই হাঁটুর মাঝখানে মাথা গুঁজে বসে থাকা মানুষটার দিকে। তখনো মাটির ওপর পাটের খড়ি দিয়ে গোলাকার বৃত্ত এঁকে চলছেন একের পর এক। শৈলেন্দ্র জ্যাঠামশাইর প্রশ্নে তার মুখ দেখা যায়; দুই চোখ জবা ফুলের মত লাল। হাত দিয়ে বার বার মুছেও চোখের জলের প্লাবন কিছুতেই থামানো যাচ্ছে না! অতুল মাথা তুলে স্মৃতিভ্রষ্টের মতন অসহায় দৃষ্টিতে সারা উঠানের , সারা বৈঠকখানার মানুষগুলোর মুখের দিকে নিঃশব্দে দেখে আবার মাথা নামিয়ে আনেন দুই হাঁটুর মাঝখানে। আর মলিনা তখন কাঠের পুতুলের মতন সিঁড়ির ওপরের ধাপে দাঁড়িয়ে দুহাতে টেনে টেনে তার ধূতির প্রান্তে আবৃত চায় তার পেট, তার লজ্জ্বা, হয়তো তার বাবার চোখের জলও।

শৈলেন্দ্র জ্যাঠামশাইর ডান পাশে বসেছেন জগদীশ চক্রবর্তী। এই বাড়ির রাধা মন্দিরের বেতনভোগী পুরোহিত। রাধা মন্দিরে প্রবেশাধিকার প্রাপ্ত একমাত্র ব্যক্তি, যিনি বৃন্দ্বাবন থেকে নিয়ে আসা শালগ্রাম শিলা ছোঁবার অধিকার রাখেন। তিনি বলেন,'দাদা, মেয়েটারে যা জিগাবার অল্পের মদ্যে জিগাইয়া ভেত্‌রে মহিলাগো লগে যাইয়া বসার কইলে ভাল হয় না?'
দরোজার ঠিক বাইরে থেকে একটি যুবক কন্ঠে আওয়াজ আসে,'কেনো, খাড়াইবে না কেনো; খান্‌কীগিরি করবার সময় মনে আছেলে না?' মুহূর্তের মধ্যে কী যেন ঘটে যায় সেখানে। বৈশাখের প্রথম ঝড়ে গাছের ডাল ভাঙার মতন মর্মর একটা শব্দ, সাথে সাথেই গোঙানী; কারো মাটিতে আছড়ে পড়ার আওয়াজ। কেউ কিছু অনুমান করার আগেই মলিনার দাদা দেবাশীষ চীৎকার করে ওঠে,' হালার পো হালা, আমার বুইনরে তুই গাইল দিলি!' কোনোকিছু না পেয়ে সে মন্দিরের পাশে বেড়ে ওঠা জগদীশ চক্রবর্তীর সাধের ফনীমনসার ডাল ভেঙে এনে ছেলেটিকে পিটিয়েছে। বৈঠকখানার বৃদ্ধরা বাইরে আসার আগেই সে নিজে ছেলেটিকে শোয়া অবস্থা থেকে টেনে তোলে, তারপর বলে,'বাড়ি যা। দরকারে আমার বুইনরে আমি নিজে খুন কইরা বিষখালীর জলে ভাসাইয়া দিমু; তয় হের আগে যে অরে গাইল দেতে আইবে হেইডারে খুন করমু!'

দেবাশীষ শান্ত হবার পর জগদীশ মলিনার দিকে ফেরেন,' মা মলিনা, নামডা কও মা! অবশ্য, এইডা তোমার অনেক আগেই নিজের বাপ-ভাইরে বলা উচিৎ আছেলে। তাদের দুইজনের জন্য যে কলংক আর অপমানের বোঝা তুমি নিয়া আসছ, নামটা বললে তার কিছুটা হয়তো লাঘব অইবে!' মলিনা দাঁড়িয়ে থাকে স্থির মূর্তির মতন। তার পা শিকড় হয়ে মাটি ফুঁড়ে নেমে যেতে চায় এক অজানা, গভীর পাতালে। যেন সে একটি বহুদর্শী অসহায় গাছ, বাতাসের শিরশির শব্দ আর চোখের কোল বেয়ে গড়িয়ে পরা অশ্রুর ভাষা ছাড়া আর কোনো ভাষা জানা নেই! লোনা জলে তার শাড়ি ভেজে। ঠিক এই সময়ে এত কান্না জমার কারণ সে নিজেই বুঝে উঠতে পারে না। গ্রাম ভর্তি মানুষের সামনে নিজের কলংকের বোঝা নিয়ে দাঁড়াতে তার কি মাথা নুয়ে আসছে না? আর ওই যে ধূলার ওপর হাঁটুর আশ্রয়ে মুখ লুকাতে চাওয়া মানুষটা, তার বাবা, তার এই প্রান্তিক অবস্থানেও একটু আগে তার পাশে দাঁড়ানো তার দাদা, তাদের জন্য কি কাঁদছে সে? সেই লোকটার জন্যে তো কান্নার কোনো কারণই থাকতে পারে না যে তাকে গাছে তুলে মই নিয়ে গিয়ে নিরাপদ দূরত্বে অবস্থান নিলো!

জগদীশ আবার বলেন,' মা, তোমার ভালোর জন্যই কই। আমি বুঝি, তোমার একলার দায় এইডা না। যে পাপীষ্ঠ তোমার এই অবস্থা করছে, দায়িত্ব হেরও বর্তায়!' মলিনা কথা বলে না। চকচকে মেঝেতে একফোঁটা-দু-ফোঁটা করে তার অশ্রু জমা হয়; সেখানে সে নিজের মুখ দেখতে পায় না, প্রতিবিম্ব্বিত হয় তার স্ফীত উদর। মলিনা অতি সংগোপনে সেখানে একজনের কেঁপে কেঁপে ওঠা টের পায়! ভেতর থেকে মেয়েদের কেউ কেউ বলে ‘নাম’ বলে দিতে, বাইরে থেকে দেবাশীষ তেড়ে আসে,’ নাম ক, না অইলে তোরে আমি বলি দিমু, ভগবানের স্বপথ!’

নাম! যে নাম সবাই জানতে চাইছে, সেই নাম তো মলিনা নিজেই ভুলে গেছে! তার জীবনের সাথে আসলে কোনো পুরুষের নাম জড়িয়ে নেই। কুড়ি বছর বয়স থেকেই সে জেনে এসেছে তার নামের সাথে কোনো নাম জুড়ে থাকার নয়! যে নাম জুড়ে থেকে চুলের গুচ্ছের ফাঁকে লাল পথ তৈরী করে দেয়, সেরকম নাম আর তার জীবনে আসবে না। খাঁটো ধূতি টেনে টেনে তাকে হাঁটুর নিচটা ঢাকতে হবে বাকী জীবন। তারপরও তৃষ্ণা থেকে যায়। কেউ এসে যখন কোমল গলায় বলে- এই শাদা ধূতিতে তাকে ভালো লাগে না; একদিন সে মলিনা কে বিনোদিনী পাড়ের শাড়ি কিনে দেবে, পাড় সবুজ, ভেতরটা লাল! মলিনার ঠিকই বিশ্বাস হয়না, কিন্তু তার চব্বিশের শরীর এরকম কিছু একটা বিশ্বাস করার জন্য উন্মুখ হয়ে থাকে। তারপর... সেই সময়গুলি যতই চুরি করা হোক, যতই পাপী সময় হোক, যতই অবিশ্বাসীর বাহুমূলে তার প্রেম সমর্পিত হোক, মলিনা তাকে দূরে ঠেলতে পারে না, ধিক্কার দিতে পারে না! সুন্দর যে ঝুঁকিপূর্ণ তা তো প্রথম থেকেই জানতো মলিনা। কাকে তাই দোষ দেবে সে? সেই মানুষটাকে, না নিজেকে!

সারা শালিসের অনেকটা সময় লেগে যায় বিশ্বাস করতে যে মলিনা সত্যই কারো নাম বলবে না। মলিনারও সময় লাগে বুঝতে যে সে আসলেই শেষ পর্যন্ত নামটা ভুলে যেতে পেরেছে! ভেতরবাড়ি থেকে মেয়েরা তার কাঁপতে থাকা শরীরকে ভেতরে আসতে দেয়। বাইরে শৈলেন্দ্র জ্যাঠামশায় অতুল রায় কে জিজ্ঞেস করেন,' কি করবা অতুল?’
-জিগান ক্যা? মাইয়ারে তো আর খুন করতে পারমু না, দ্যাশে আইন কানন আছে। তয় ওই পাপ মোর ঘরে ওডবে না!'
অতুলের হাহাকারের শব্দে সারা উঠান আর একবার নিস্তব্ধ হয়। দুই তিনজন প্রায় একইসাথে ডাকে,'পুন্যদি, ও পুন্যদি!'
আর একবার দরোজায় পুন্য পিসীমার মুখ দেখা যায়।
- 'পাপ! পাপ! এরা সব পাপ আমারে দিয়া করাবে!' পুন্য চীৎকার করে ওঠেন। জগদীশের দিকে তাকিয়ে পুন্য আবার বলেন,'ও ঠাকুরমশায়, সামনেই তো নারায়ন বইস্যা আছে, নরকে তো আমি একলা যামু না; আপনাগোরেও যমে ছাড়বে না কইলাম!'
অতুলের রক্তজবা চোখের মিনতিতে পুন্য থামেন, বলেন,’ আইজ তো অইবে না। মলিনারে ঘরে লইয়া যাও, কাইল সকালে বিষ আইক্ক্যার মূল আইন্যা দিমু আমি। সকাল গোনে য্যান কিছু না খায়!’
( চলবে)


মন্তব্য

ইকারুস এর ছবি

্পরের পর্বের জন্য আগ্রহভরে অপেক্ষা করবো।

মণিকা রশিদ এর ছবি

_ধন্যবাদ!
___________________________
শান্তিও যদি সিংহের মত গর্জায়, তাকে ডরাই।
--নরেশ গুহ

----------------------------------------------
We all have reason
for moving
I move
to keep things whole.
-Mark Strand

তিথীডোর এর ছবি

অনেকদিন পর গদ্য এলো, জলদি পরের কিস্তি চাই...

--------------------------------------------------
"আমি তো থাকবোই, শুধু মাঝে মাঝে পাতা থাকবে সাদা/
এই ইচ্ছেমৃত্যু আমি জেনেছি তিথির মতো..."
*সমরেন্দ্র সেনগুপ্ত

________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"

মণিকা রশিদ এর ছবি

_ঠিকাছে!
___________________________
শান্তিও যদি সিংহের মত গর্জায়, তাকে ডরাই।
--নরেশ গুহ

----------------------------------------------
We all have reason
for moving
I move
to keep things whole.
-Mark Strand

ষষ্ঠ পাণ্ডব এর ছবি

কবি, একটু ছোট্ট সংশোধনী দরকার আছে মনে হয়। ফণীমনসার ডাল হয় না। আর ফণীমনসা হাতে ধরে সেটা দিয়ে কাউকে পিটানোও বেশ কঠিন কাজ হবার কথা।

আপনাকে আবার চা খাবার রোগে ধরল কবে থেকে? গল্প একটানা পড়তে না পারলে অস্বস্তি লাগে।



তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।


তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।

মণিকা রশিদ এর ছবি

তাহলে কি বলা উচিৎ ছিল, ফণীমনসার পাতা ভেঙে?আমাদের বাড়িতে বেশ কটি ফণীমনসা ঝাড় রয়েছে, এগুলো দিয়ে মারামারিও আমরা অনেক করে ফেলেছি যে পাণ্ডব দা! পড়েছেন জেনে ভাল লাগলো।
____________________________
শান্তিও যদি সিংহের মত গর্জায়, তাকে ডরাই।
--নরেশ গুহ

----------------------------------------------
We all have reason
for moving
I move
to keep things whole.
-Mark Strand

মণিকা রশিদ এর ছবি

আমি আসলে একটানা এতগুলো টাইপ করতে এখনো পারিনা। এইজন্যে বিরতি নিতে হলো।
____________________________
শান্তিও যদি সিংহের মত গর্জায়, তাকে ডরাই।
--নরেশ গুহ

----------------------------------------------
We all have reason
for moving
I move
to keep things whole.
-Mark Strand

মুস্তাফিজ এর ছবি

পরের পর্বের অপেক্ষায়

...........................
Every Picture Tells a Story

মণিকা রশিদ এর ছবি

অনেক ধন্যবাদ, মুস্তাফিজ ভাই!
____________________________
শান্তিও যদি সিংহের মত গর্জায়, তাকে ডরাই।
--নরেশ গুহ

----------------------------------------------
We all have reason
for moving
I move
to keep things whole.
-Mark Strand

দুর্দান্ত এর ছবি

কান পেতে রই।

মণিকা রশিদ এর ছবি

ধন্যবাদ, মন্তব্য মজার।
____________________________
শান্তিও যদি সিংহের মত গর্জায়, তাকে ডরাই।
--নরেশ গুহ

----------------------------------------------
We all have reason
for moving
I move
to keep things whole.
-Mark Strand

জুয়েইরিযাহ মউ এর ছবি

শীঘ্রই যেন আসে পরবর্তী অংশটুকু.... অপেক্ষায়..... হাসি

----------------------------------------------------------
জানতে হলে পথেই এসো, গৃহী হয়ে কে কবে কি পেয়েছে বলো....


-----------------------------------------------------------------------------------------------------

" ছেলেবেলা থেকেই আমি নিজেকে শুধু নষ্ট হতে দিয়েছি, ভেসে যেতে দিয়েছি, উড়িয়ে-পুড়িয়ে দিতে চেয়েছি নিজেকে। দ্বিধা আর শঙ্কা, এই নিয়েই আমি এক বিতিকিচ্ছিরি

মণিকা রশিদ এর ছবি

লিখে ফেলবো! পড়েছ জেনে আনন্দ লাগছে।
____________________________
শান্তিও যদি সিংহের মত গর্জায়, তাকে ডরাই।
--নরেশ গুহ

----------------------------------------------
We all have reason
for moving
I move
to keep things whole.
-Mark Strand

অতিথি লেখক এর ছবি

তাড়াতাড়ি আসুক পরের পর্ব।
মধুবন্তী মেঘ

মণিকা রশিদ এর ছবি

ধন্যবাদ, দিদি!
____________________________
শান্তিও যদি সিংহের মত গর্জায়, তাকে ডরাই।
--নরেশ গুহ

----------------------------------------------
We all have reason
for moving
I move
to keep things whole.
-Mark Strand

সাঈদ আহমেদ এর ছবি

"চলবে" না হয়ে চলতে থাকলেই ভালো হতো...

অপেক্ষায় নাজির সাঈদ হাসি

-----------
"সে এক পাথর আছে কেবলি লাবণ্য ধরে"

-----------
চর্যাপদ

মণিকা রশিদ এর ছবি

আসলেই ভালো হতো। আসলে, টাইপ করতে বসলে নানান ধরণের ঝামেলার উদ্ভব হচ্ছে। খন্ড ত লেখার সাথে সাথে বাকী সব লেখার আকার বদলে যাচ্ছে, দাড়ির পরে প্রথম লেখাট আসে বৃত্তাকার কিছু... এরকম হতে হতে যখন সময় লেগে যায় প্রচুর, অনেক লেখার ধৈর্য থাকে না। ধৈর্যধারণের তালিম নিচ্ছি! পড়েছেন জেনে ভালো লাগল।
____________________________
শান্তিও যদি সিংহের মত গর্জায়, তাকে ডরাই।
--নরেশ গুহ

----------------------------------------------
We all have reason
for moving
I move
to keep things whole.
-Mark Strand

শেখ নজরুল এর ছবি

চমতকার! চলুক। দৌড়াতে থাকি।

শেখ নজরুল

শেখ নজরুল

মণিকা রশিদ এর ছবি

লেখাটি বুঝি দৌড় করাচ্ছে? ধন্যবাদ পড়ার জন্যে।
____________________________
শান্তিও যদি সিংহের মত গর্জায়, তাকে ডরাই।
--নরেশ গুহ

----------------------------------------------
We all have reason
for moving
I move
to keep things whole.
-Mark Strand

তুলিরেখা এর ছবি

পড়ছি। চমৎকার লেখা। অপেক্ষায় আছি পরেরটুকুর জন্য।
----------------------------------------------
কোন্‌ দূর নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -

-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -

মণিকা রশিদ এর ছবি

আজকেই দিয়ে দিতে চেষ্টা করব। ভালো লাগলো পড়েছেন জেনে।
____________________________
শান্তিও যদি সিংহের মত গর্জায়, তাকে ডরাই।
--নরেশ গুহ

----------------------------------------------
We all have reason
for moving
I move
to keep things whole.
-Mark Strand

অতিথি লেখক এর ছবি

শুভ কামনা। অপেক্ষায় থাকলাম ভাই।

শেখ আমিনুল ইসলাম

মণিকা রশিদ এর ছবি

অনেক ধন্যবাদ রইল।
____________________________
শান্তিও যদি সিংহের মত গর্জায়, তাকে ডরাই।
--নরেশ গুহ

----------------------------------------------
We all have reason
for moving
I move
to keep things whole.
-Mark Strand

ধুসর গোধূলি এর ছবি

- পড়ছি। কয়েকটা জায়গায় বানান বিভ্রাট আছে, ওগুলো কেটে যাবে সময়ের সাথে।

গল্পটা জমে উঠছে। পর্বগুলো আরেকটু বড় করে দেখন না একবারে ছাড়া যায় কীনা!
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক

মণিকা রশিদ এর ছবি

ধুগো, বানান ভুলগুলো ধরিয়ে দিলে খুবই উপকার হবে আমার। শোধরাতে পারব। পড়ার জন্যে ধন্যবাদ।
____________________________
শান্তিও যদি সিংহের মত গর্জায়, তাকে ডরাই।
--নরেশ গুহ

----------------------------------------------
We all have reason
for moving
I move
to keep things whole.
-Mark Strand

স্বাধীন এর ছবি

অভিনন্দন সচলত্বে। আগেই হয়েছেন কিনা জানা নেই, কিন্তু আজ চোখে পড়লো তাই জানিয়ে গেলাম।

মণিকা রশিদ এর ছবি

ধন্যবাদ! পঁচিশ তারিখ সকাল থেকেই অতিথি শব্দটি উধাও,অভিনন্দন সময়মতই জানালেন! আপনাকে শুভেচ্ছা!
____________________________
শান্তিও যদি সিংহের মত গর্জায়, তাকে ডরাই।
--নরেশ গুহ

----------------------------------------------
We all have reason
for moving
I move
to keep things whole.
-Mark Strand

রানা মেহের এর ছবি

এধরনের লেখা একবারে পড়তে ভালো লাগে।
বিরতি না দিয়ে একপর্বেই /ডিন প্লিজ। বড় হলেও
-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস

-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস

মণিকা রশিদ এর ছবি

আপনার মন্তব্য আমার জন্যে অমূল্য। বুঝতে পারছিলাম যে একবারে দিলেই ভালো হয়। কিন্তু এইটুকু টাইপ করতে আমার প্রায় এক সপ্তাহ লেগে গেল। তার পরেও অনেক ভুল রয়ে গেছে। পরবর্তীতে একবারেই দেবার চেষ্টা করব। অনেক ধন্যবাদ!
____________________________
শান্তিও যদি সিংহের মত গর্জায়, তাকে ডরাই।
--নরেশ গুহ

----------------------------------------------
We all have reason
for moving
I move
to keep things whole.
-Mark Strand

দুষ্ট বালিকা এর ছবি

তাত্তাড়ি আপু... ইয়ে, মানে...

---------------------------
ওলো সুজন আমার ঘরে তবু আইলোনা
এ পোড়া মনের জ্বলন কেন বুঝলোনা!

**************************************************
“মসজিদ ভাঙলে আল্লার কিছু যায় আসে না, মন্দির ভাঙলে ভগবানের কিছু যায়-আসে না; যায়-আসে শুধু ধর্মান্ধদের। ওরাই মসজিদ ভাঙে, মন্দির ভাঙে।

মসজিদ তোলা আর ভাঙার নাম রাজনীতি, মন্দির ভাঙা আর তোলার নাম রাজনীতি।

মণিকা রশিদ এর ছবি

ঈশ! আমায় যদি কেউ টাইপ করে দিত! খুব তাড়াতাড়ি হয়ে যেত তাহলে।
____________________________
শান্তিও যদি সিংহের মত গর্জায়, তাকে ডরাই।
--নরেশ গুহ

----------------------------------------------
We all have reason
for moving
I move
to keep things whole.
-Mark Strand

তানবীরা এর ছবি

মণি, অসাধারণ বর্ননা করছিস, তোর গদ্যের সংখ্যা বাড়ানো উচিত।
মলিনারা সারাজীবন কেনো কষ্ট পায়?
*******************************************
পদে পদে ভুলভ্রান্তি অথচ জীবন তারচেয়ে বড় ঢের ঢের বড়

*******************************************
পদে পদে ভুলভ্রান্তি অথচ জীবন তারচেয়ে বড় ঢের ঢের বড়

মণিকা রশিদ এর ছবি

হুম! মলিনারা জন্মই নেয় সমাজের বলি হবার জন্যে!
____________________________
শান্তিও যদি সিংহের মত গর্জায়, তাকে ডরাই।
--নরেশ গুহ

----------------------------------------------
We all have reason
for moving
I move
to keep things whole.
-Mark Strand

দ্রোহী এর ছবি

১.
বাহ্ দারুণ গল্প! পরের পর্ব পড়ার অপেক্ষায়।
২.
সচল পরিবারে স্বাগতম। ☺

মণিকা রশিদ এর ছবি

ধন্যবাদ!
আপনার প্রোফাইল এর ছবি পছন্দ হইছে!____________________________
শান্তিও যদি সিংহের মত গর্জায়, তাকে ডরাই।
--নরেশ গুহ

----------------------------------------------
We all have reason
for moving
I move
to keep things whole.
-Mark Strand

অনন্ত [অতিথি] এর ছবি

ভাল লেগেছে। পরের পর্বের অপেক্ষায় রইলাম।

===অনন্ত===

মণিকা রশিদ এর ছবি

অনেক ধন্যবাদ, অনন্ত!
____________________________
শান্তিও যদি সিংহের মত গর্জায়, তাকে ডরাই।
--নরেশ গুহ

----------------------------------------------
We all have reason
for moving
I move
to keep things whole.
-Mark Strand

শুভাশীষ দাশ এর ছবি

এই আপা চুপচাপ সচল অইয়া গেসেন। কেউ বুঝকর্তে পারে নাই।আমি পরথম আপ্নেরে অভিনন্দন দিছিলাম। আমারে খাওয়ায়েন।

মণিকা রশিদ এর ছবি

মন্ট্রিয়াল চলে আসেন, আর কি কি খাবেন লিষ্ট দিয়েন...ব্যবস্থা হবে!
____________________________
শান্তিও যদি সিংহের মত গর্জায়, তাকে ডরাই।
--নরেশ গুহ

----------------------------------------------
We all have reason
for moving
I move
to keep things whole.
-Mark Strand

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।