এন্টিগল্প > রাতকানা পাখি >

মনজুরাউল এর ছবি
লিখেছেন মনজুরাউল (তারিখ: বিষ্যুদ, ০৭/০৮/২০০৮ - ৫:৪৭পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

.......অ। তুমিই তাহলে বডিটেকার ?ডেডবডি নিতে এসেছ?তোমার পরিচয়?
-পোরিচোয় দিয়ে কি হোবে? লাছ দিলে দিবেন, না দিলে হেঁটে যাব
-চোপ ! একদম রোয়াব দেখাবি না। শালা পকেটমারের সাগরেদ গাঁটকাটা!
দারোগার চোখের রং বদলাতে দেখে ঘাবড়ে যায় ঘনা। মনে মনে রাগও হয়...স্লা দেবে একটা লাছ তার নখরা কত?যেন ঢেউটিনের পামিট দিচ্ছে?দারোগা আবার চোখ তুলতেই ঘনা বোঝে,এবার বাপ-মা তুলবে.....
-আজ্ঞে ঘনা।
-ঘনা মানে ? ঘনা কিরে বানচো........
-ঘনশ্যাম। ঘনশ্যাম ঝুনঝুনওয়ালা.......

-যা: বাবা! একিরে! সাতসকালে কোন ঝুনঝুনের পাল্লায় পড়লামরে বাবা!
-ছেনো কে দিবেন? ঘনার এই রসিকতা এদম ভাললাগছিল না।
-তা ছেনো তাহলে ওর নাম? সেওকি তোর মত ঝুনঝুনওয়ালা? এ্যাই মকবুল বডির চেনটা খোল.......ঘনার চোয়ালের দুপাশের হাঁড় একবার শক্ত হয়ে আবার স্বাভাবিক।
-দরোগা সাব,আমি হিদুঁ.ছেনো মোছলমান তাতে কি আমি জানি না। ওর মা জানেও না যে ছেনো ফিনিস। আমি বাদে আর কেউ নেই যে। ঘনার গলাটা ধরে আসে।

সে কারণেই হোক কিংবা ঝুটঝামেলা এড়াতেই হোক দারোগা খস খস করে ঘনার নামধাম লিখে ছেনোর বডি হিল্লে করে দেয়। ভ্যানে চেপে ছেনো বাড়ি ফেরে.....বাড়ি?জীবনের হোগায় লাত্থি মেরে যখন ছেনোদের মত আউটসাইডাররা মরে যায় তখন বাড়ির সাকিন হয় মাটিচাপা নয়তো ভাসান। ছেনোর শবযাত্রায় কোন ধ্বনি হয়না। ঘনা নিজেই ভ্যান চালিয়ে ওয়াইজঘাটে নিয়ে বডিটা ভাসিয়ে দেয়। আড়ম্বরহীন শুরু যে জীবনের তার শেষটাও অনাড়ম্বর হবে এতে অবাক হওয়ার কিছু নেই। সবার অলক্ষে ঘুনপোকার মুত্যুর মত ছেনোর মরে যাওয়া,ভেসে যাওয়াতে এই শহরের সামান্যতম ছন্দপতন ঘটে না। ঝাড়ুদার,হল্লাগাড়ি,পানওয়ালা.দুধঅলা,হকার,রিক্সা,বাস,ট্যাক্সি,
ট্রেন,স্টীমার,কেরানি-কর্তা,উকিল-পুলিশ,মাগি-মর্দা,কচি-ধেড়ে,খুনি-বাটপার,ভদ্র-অভদ্র,চামার-চন্ডালদের এই শহর তার আপন মহিমায় বয়স বাড়াতে থাকে । আরো একবার নতুন সূর্য উঠে পুরোনো হয়ে অস্ত যায়। শুধু ছেনোর মা ছাপড়ার কোনায় কাকটাকে দেখে ঢোক গেলে!ছেনো ! আর একজন ঢোক গেলে-ঘনা। ঘনার পুষ্যি একজন বাড়ল।

ঘনা দয়াগঞ্জের ছেলে। বছর চারেক আগে ছেনো ঘনাদের ঠেকে চোলাই খেতে যেত। ঘনার মা-ই চোলাই বানাতো। ওর বাপের মেথরের চাকরিটা চলে যাবার পর ওর মা চোলাই বানাতে শুরু করে। পালের শুয়োরগুলোও শেষ হয়ে গিয়েছিল। ঘনার শৈশব কেটেছে শুয়োরের সাথে। খাবারের অভাবে যেমন শুয়োর শেষ হয়েছে তেমনি খাবারের অভাবে হাজার হাজার বাঙালি মেথরের পেশা নেমেছে। কালেক্রমে ঘনা ছেনোর সাগরেদ হয়ে যায়। ছেনোই তাকে নাইট স্কুলে ভর্তি কারে দিয়েছিল। তাতেই দু'পাতা বিদ্যে। ছেনোকে যেদিন ফিনিস করা হলো সেদিন ঘনা ফার্মগেট অপারেট করছিল। ওদের দু'জনের বড় মিল-দু'জনেই পকেটমার। অমিল-ছেনো কখোনো ঠেক দিত না,মেয়েদের গায়ে হাত দিত না। ঘনা দিত। ঘনা দেয়। ঘনা হিংস্র। ঘনা দয়ামায়াহীন। ঘনা শুয়োরের সাথে বেড়ে উঠেছে।

দু'দিন পর। সেই মামার চা দোকানে বসে ঘনা ম্যাচের কাঠি দিয়ে দাঁত খোঁচাচ্ছে,আর কান খাড়া করে শুনছে রিওয়াইন্ড করা ছেনোপ্যাদানি ক্যাসেট।মামা কাপের মধ্যে চামচ ঘুরাচ্ছে আর বয়ান দিয়ে যাচ্ছে। আরো দুইতিন জন ফড়াত্ ফড়াত্ করে চুমুক দিচ্ছে আর খ্যাক খ্যাক করে হাসছে।চোয়ালের হাড় শক্ত হওয়ায় ঘনা উঠে গেল। যাবে কোথায়? অপারেশনে মন নেই । অলস ভাবে চাকতির দোকানে গিয়ে দাঁড়াল। চার -পাঁচজন লোক দোকান ঘিরে এটা ওটা হাতে নিচ্ছে,আবার নামিয়ে রাখছে। ওইটার নাম বিল্টু। সিডি বেচে। পাংশুটেমারা চেহারা। কেউ কেউ বলে ও নিজেই হাত দিয়ে নাকি কি সব করে করে নাকি এই চেহারা হয়েছে। ঘনাকে দেখেই ......ঘনা ফোট, এখোনো বউনি হয়নাই। ঘনা ফোটে না। একটা সিডি হাতে নেয়-'যৌবন জ্বালা'।একটু বাদেই সুন্দর করে ছাঁটা দাড়িঅলা এক সায়েব এসে জোরে জোরে বলে-কিরে আইজ আছে বাংলা টম এন্ডজেরি?
হ' আনছি,বিন ও আছে ,থ্রীস্টুজ ও আছে.....
ছাঁটা দাড়ি বেছে বেছে তিন পিস সিডি নিয়ে ৬০ টাকা ফেলে চলে যায়। ঘনা তিনটা নামই মুখস্ত করে_'করা মাল'_'আরো জোরে সুন্দর লাগতাছে'_'পিওর বাংলা হট'।

ঘনা নাম মুখস্ত করেছিল। ঘনা পিছু নিয়েছিল। ঘনা সফল হয়েছিল। ঘনা ছেনোর মা কে টাকা দিয়ে এসেছিল। ঘনা ঘুমিয়ে পড়েছিল।

ঘুমোনোর আগে ঘনা ভাবছিল। ছাঁটা দাড়ি প্রথম কোনটা দেখবে? হাসি পেল ওর। ঘনা অপারেশন শেষে অনেক বারই হেসেছে।এক একটা মানিব্যাগ আর ভ্যানিটি ব্যাগ খুলে অবাক হয়ে দেখেছে,কত কি জিনিসপত্তর,কত কিসিমের!এর মধ্যে কয়েকটা কমন আইটেমও আছে। ঘনার লিস্টিটাএরকম_মানিব্যাগ:_তিন-চার শ টাকা,ছোট্ট একগাদা স্লিপে ফোন নম্বর,একটা বেণী বাঁধা মেয়ের ফটো,একটা মোবাইলের সিম,ট্যাবলেটের নাম লেখা কাগজ,দুইতিনটা বুম্বাই নায়িকার ফটো..এর মালিক পোলাপান। এর সাথে প্রেসক্রিপশন,আরো একটা সিম,খুচরো পয়সার খোপে একটা কনডম আর টাকার পরিমান আরো বেশি হলে ৩০/৩৫ এর লোক। ভ্যানিটি ব্যাগ:-৫শ থেকে ২ টাকার নোট মিলিয়ে হাজার খানেক,ছোট্ট মেকাপবক্স,নেইলকার্টার,তিন ধরণের লিপিস্টিক,চাবির গোছা, ৪/৫টা চকলেট,দুইটা রুমাল,একদলা টিস্যুপেপার,এক প্যাকেট পানপরাগ,একটা চিরুনী,ছোট্ট দুইটা সেন্টের শিশি,একটা বাটামুখ লোকের ফটো একটা বা দুইটা বাচ্চার ফটো......এর মালকিন চাকরি করা মহিলা। আর এসবের সাথে সাহরুখ খান সালমান খান থাকলে বিয়ে হয়নি এই জাতের মাল। একবার একটা ব্যাগে ইয়া পেশিটেশি ফোলানো এক মালের ছবি দেখে চেনেনি ,পরে বিল্টু বলেছে..রম্বো। ছাঁটাদাড়ি,মানিব্যাগ, ছেনোর মা,পিওর বাংলা হট......ঘনা ঘুমিয়ে পড়ে।

পর দিনের সকাল কোনো নতুন ঢঙে শুরু হয় না। রোজকার ছবি।সালসা কারখানায় গাড়ি ঢোকে,গাড়ি বেরোয়। দয়াগঞ্জ পুলে রিক্সাগুলো ঠেলে তোলে কচি ছেলে গুলো। সায়দাবাদের গমগম আওয়াজ আসে। হরদেওজি 'র সবশেষ পুরুষের ভবতরি জি নতুন হকার্স মার্কেটটা দেখে আবার চলে যায়।গুলিস্তানমুখো বাসগুলো হুড়মুড় করে ছুটতে থাকে।

ঘনা সারাদিন শুয়ে বসে কাটিয়ে সন্ধার দিকে বাসে চেপে বাংলা মটর নামে। সন্ধা গড়িয়ে রাত। নয়টা সাড়ে নয়টা হবে। একটা অটো ইঞ্জিনকেল্টে দাঁড়িয়ে যায়। মুহূর্তেই এক লাফে ঘনা অটোর ভিতর ঢুকে চাকু বের করে। গোলগাল মাঝবয়সী এক লোক। চাপা হিস হিসে ঘনার কন্ঠ...মালফাল যা আছে বার কোরেন, বেছি ইসমাটগিরি দেখাবেন তো কেলিয়ে দেব......এ অন্যায়! ঘোরতর অন্যায়! তুমি জান আমি কে?.....চোপ স্লা, ফিন মু খুলবি তো ভরিয়ে দেব, বার কোর!......দেখো ভাই আমি শিক্ষক, বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াই......তোমরা কেন এসব কর......এই হচ্ছে অবক্ষয়.....ঘনা জানে এই মাল এখন লেকচার ঝাড়া শুরু করবে, ওর লেকচার শুনতে থাকলে খোঁচর এসে যাবে এবং গুবলেট।....এ হচ্ছে নৈতিক অব.........এ্যাই মাষ্টর !এক থাবড়া মেরে ....বলে চাকুটা র মাথা হালকা চাপ দেয় । কাজ হয় এতে। চ্যানেলপাড়ায় লেকচার দিয়ে ফেরা শিক্ষক সাহেব মানিব্যাগ,ঘড়ি,মোবাইল তুলে দেন সুবোধ বালকের মত। ঘনা আউট। অটো স্টার্ট। অটো হাওয়া। ঘনার এবার মুত চাপে। ঞ্জানট্যানের কথা শুনলেই ঘনার মুত চাপে।

সারা দিনে মাত্র একটা কাজ, তাও শালা কাঙালিমার্কা পার্টি। গুনেটুনে ঘনা দেখে তিন শ'বিয়াল্লিশ টাকা !আপনাতেই গালিটা বেরিয়ে আসে-ল্যাওড়া!

ঘনা হাটতে থাকে । এ লাইনে বাস নেই এখন। একটা ক্লিনিকের পাশ দিয়ে হাটছে। হঠাত্ দেখে রিকসা থেকে নেমে এক মহিলা ভাড়া দিচ্ছে। পেশাদারি ক্ষীপ্রতায় ঘনা ছোঁ মেরে ব্যাগটা ছিনিয়ে দৌড়।ঘটনার আকষ্মিকতায় ওই মহিলা চিত্কারও করতে পারে না। নিয়ম মাফিক যা হয়.....খালাম্মা কি হইছে ? কয় টাকা আছিল ? ফলো করতাছিল কিনা ? চিনতে পারছেন কিনা ? ক্রমে জটলা বাড়তে থাকে। মহিলা কারো কথার উত্তর না দিয়ে দৌড়ের ভঙ্গিতে ক্লিনিকে ঢোকে............

গলির শেষ মাথায় এসে ঘনা দম নেয়। ব্যাগটা খুলে দেখারও সুযোগ নেই! যেদিকে তাকাও খালি মানুষ! তবুও রিক্স নিয়ে ব্যাগটা খোলে ও । নিজেই হেসে ওঠে। গাবতলির হাট! খালি গোবর ! মাত্র ৮০ টাকা!ধ্যাত্ বাল, বলে ব্যাগটা ছুঁড়ে ফেলবে তখনই দেখতে পায়। দুটো কাঁচের শিশি ! ইঞ্জেকশন ! ঘনা স্থির হয়ে যায় ! মহিলারক্লিনিকেযাওয়া...রাতদশটাএগারটা...ইঞ্জেকশন. .তার মানে....রুগি....। কে ? কে হতে পারে ? হঠাত্ ছেনোর মুখটা ভেসে ওঠে....ছেনো মরে গেছে ....যা বোঝার বুঝে নিয়েছে ঘনা। যা ভাবার ভেবে নিয়েছে ঘনা। যা করার তা করতে হবে ঘনাকে.. এখনি......ঘুরে দাঁড়িয়ে ছুটতে থাকে ঘনা...ক্লিনিকে ঢুকে এতলা ওতলা খুঁজতে থাকে....ওই মহিলাকে না পেলে তো হবে না। কাকে কি বলবে ? কাকে খুজছে ও ?এজন নার্সকে ধরে ঝাকি দিয়ে কি কি যেন বলে ও, নার্স ও হাত নেড়ে নেড়ে কি সব বলে.....ঘনা সিঁড়ি ভেঙ্গে তিন তলায় উঠতে থাকে....একটা খোলা দরজার সামনে দাঁড়ায় ,ভাবে। নিজেকে গালি দেয়, ভাবার সময় নেই...আপনি একজন কন্সাস মানুষ এই ভুলটা করলেন ? এখন কী হবে?আমাদের কাছে ওই এ্যাম্পুলটা নেই! হ্যাঁ বাবা...আমি একুশ-বাইশটা দোকান ঘুরে এক দোকানে পেয়েছিলাম...মাত্র দু'টো ছিল......কি ভাবে কি হলো....ঘনা দেখল বেডে ছোট্ট মেয়েটি নেতিয়ে আছে...একটু নড়ে উঠল....ডাক্তর চিত্কার করে উঠল...সিস্টার অক্সিজেন...আর্টিফিসিয়াল ব্রিদিং...কুইক....মেয়েটার বুকটা দ্রুত উঠছে-নামছে...মুহূর্তে এত কিছু ঘটে যাচ্ছে...ঘনা দৌড়ে গিয়ে ডাক্তারের হাতে এ্যাম্পুল দুটো তুলে দিল..ডাক্তার প্রশ্ন করতে যাবে...চিত্কার করে উঠল ঘনা ...কুইক..কথা পরে..। পুশ। অপেক্ষা । ঘড়ির টিক টিক..দশ..পনের....বিশ...পঁচিশ.....বুক ওঠা-নামা বন্ধ হলো । আরো পনের বিশ মিনিট পরে মেয়েটা চোখ মেলে
তাকাল..মহিলাকন্ঠ ডাকল তুলি...! মা আমার..!

ঘনার চোখ জ্বালা করে উঠল...ধীর পায়ে বারান্দায় এসে দাঁড়াল । জীবনে এই প্রথম কাঁদল ঘনা। একটা রাতকানা পাখি ল্যাম্পপোষ্টের নিচে পোকা ধরতে চাইল-পারল না।


মন্তব্য

কীর্তিনাশা এর ছবি

মুগ্ধ হয়ে পড়ছি কেবল। অসাধারন!!
-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।

-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।

মনজুরাউল এর ছবি

কৃতজ্ঞতা আপনার প্রতি।

.......................................................................................
আমাদের মাতৃগর্ভগুলি এই নষ্ট দেশে
চারদিকের নিষেধ আর কাঁটাতারের ভিতর
তবু প্রতিদিন রক্তের সমুদ্রে সাঁতার জানা
হাজার শিশুর জন্ম দেয় যারা মানুষ......

.......................................................................................
আমাদের মাতৃগর্ভগুলি এই নষ্ট দেশে
চারদিকের নিষেধ আর কাঁটাতারের ভিতর
তবু প্রতিদিন রক্তের সমুদ্রে সাঁতার জানা
হাজার শিশুর জন্ম দেয় যারা মানুষ......

রায়হান আবীর এর ছবি

গল্পটা যে মোটামুটি বড় সাইজের সেটা তো বোঝাই গেলোনা আপনার অসাধারণ লেখনীর কারণে। ভালো লাগছে।

---------------------------------
জানিনা জানবোনা... কোন স্কেলে গাইছে কোকিল
গুনিনা আমি গুনিনা...কার গালে কটা আছে তিল

মনজুরাউল এর ছবি

অনেকক্ষণ ধর্য্য রাখতে পারার জন্য ধন্যবাদ।

.......................................................................................
আমাদের মাতৃগর্ভগুলি এই নষ্ট দেশে
চারদিকের নিষেধ আর কাঁটাতারের ভিতর
তবু প্রতিদিন রক্তের সমুদ্রে সাঁতার জানা
হাজার শিশুর জন্ম দেয় যারা মানুষ......

.......................................................................................
আমাদের মাতৃগর্ভগুলি এই নষ্ট দেশে
চারদিকের নিষেধ আর কাঁটাতারের ভিতর
তবু প্রতিদিন রক্তের সমুদ্রে সাঁতার জানা
হাজার শিশুর জন্ম দেয় যারা মানুষ......

দেবোত্তম দাশ এর ছবি

শক এর পর শক, আমাদের জেগে উঠতে গেলে এরকম শক ই বোধহয় দরকার । আবারো শুভেছা আপনার জন্য ।
------------------------------------------------------
স্বপ্নকে জিইয়ে রেখেছি বলেই আজো বেঁচে আছি

------------------------------------------------------
হারিয়ে যাওয়া স্বপ্ন’রা কি কখনো ফিরে আসে !

মনজুরাউল এর ছবি

স্টাবলিশমেন্ট আর কর্পোরেট হাঙ্গরগুলো ক্রমাগত আমাদের শক দিয়ে চলেছে। আমাদের 'শক ' এ আমরা জেগে উঠতে পারলে তবেই লেখা সার্থক।

ধন্যবাদ।

.......................................................................................
আমাদের মাতৃগর্ভগুলি এই নষ্ট দেশে
চারদিকের নিষেধ আর কাঁটাতারের ভিতর
তবু প্রতিদিন রক্তের সমুদ্রে সাঁতার জানা
হাজার শিশুর জন্ম দেয় যারা মানুষ......

.......................................................................................
আমাদের মাতৃগর্ভগুলি এই নষ্ট দেশে
চারদিকের নিষেধ আর কাঁটাতারের ভিতর
তবু প্রতিদিন রক্তের সমুদ্রে সাঁতার জানা
হাজার শিশুর জন্ম দেয় যারা মানুষ......

সুলতানা পারভীন শিমুল এর ছবি

শেষের মোচড়টা যথারীতি চমৎকার !

...........................

সংশোধনহীন স্বপ্ন দেখার স্বপ্ন দেখি একদিন

...........................

একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা

মনজুরাউল এর ছবি

টু দ্য পয়েন্টে ক্লিক করার জন্য ধন্যবাদ

.......................................................................................
আমাদের মাতৃগর্ভগুলি এই নষ্ট দেশে
চারদিকের নিষেধ আর কাঁটাতারের ভিতর
তবু প্রতিদিন রক্তের সমুদ্রে সাঁতার জানা
হাজার শিশুর জন্ম দেয় যারা মানুষ......

.......................................................................................
আমাদের মাতৃগর্ভগুলি এই নষ্ট দেশে
চারদিকের নিষেধ আর কাঁটাতারের ভিতর
তবু প্রতিদিন রক্তের সমুদ্রে সাঁতার জানা
হাজার শিশুর জন্ম দেয় যারা মানুষ......

নিরিবিলি এর ছবি

অনেক ভাল লাগলো। আপনার লেখা ভাল লাগছে লিখতে থাকুন।:)

ফারুক ওয়াসিফ এর ছবি

যথারীতি তীব্র এবং মোক্ষম! কেবল এটার জন্য নয়, পেটকাটি চাঁদিয়াল গল্পটাকে বাড়িয়ে এ পর্যন্ত আনার জন্য। বৃত্তটা এতক্ষণে পূরণ হলো।

আমাদের সাহিত্যে নিম্নবর্গের অভিজ্ঞতা আসে না, যা আসে তার বেশিরভাগই মেকি, মধ্যবিত্ত দর্পনে দেখা ছবির নেগেটিভ। যেখানে ওরা কেবলই ভিলেন, নৈতিকতাহীন দু'পেয়ে জীব মাত্র। এখানে সেই ছবির পজিটিভ পাওয়া গেল। অভিনন্দন কমরেড।
...........................................................................................
হাঁটাপথে আমরা এসেছি তোমার কিনারে। হে সভ্যতা! আমরা সাতভাই হাঁটার নীচে চোখ ফেলে ফেলে খুঁজতে এসেছি চম্পাকে। মাতৃকাচিহ্ন কপালে নিয়ে আমরা এসেছি এই বিপাকে_পরিণামে।

হাঁটাপথে আমরা এসেছি তোমার কিনারে। হে সভ্যতা! আমরা সাতভাই হাঁটার নীচে চোখ ফেলে ফেলে খুঁজতে এসেছি চম্পাকে। মাতৃকাচিহ্ন কপালে নিয়ে আমরা এসেছি এই বিপাকে_পরিণামে।

মনজুরাউল এর ছবি

মৃদুল আর আপনার ,বিশেষ করে আপনার অনুপ্রেরণায় ছেনো কাহিনীটায় ঘনা কে কম্পাইল করলাম। ঘনার মত রূঢ়,ক্রুর,আবেগহীন মানুষটা কি করতে পারে তার একটা গতানুগতিক পূর্বাভাস আমার অন্য গল্পের সাথে মেলালে যে পরিনতি হতে পারত, তা না করে যা দেখানো হয়েছে সেটা আমরা কেউ মানতে চাই না।

ধন্যবাদ।

.......................................................................................
আমাদের মাতৃগর্ভগুলি এই নষ্ট দেশে
চারদিকের নিষেধ আর কাঁটাতারের ভিতর
তবু প্রতিদিন রক্তের সমুদ্রে সাঁতার জানা
হাজার শিশুর জন্ম দেয় যারা মানুষ......

.......................................................................................
আমাদের মাতৃগর্ভগুলি এই নষ্ট দেশে
চারদিকের নিষেধ আর কাঁটাতারের ভিতর
তবু প্রতিদিন রক্তের সমুদ্রে সাঁতার জানা
হাজার শিশুর জন্ম দেয় যারা মানুষ......

দময়ন্তী এর ছবি

"পেটকাটি চাঁদিয়াল' আর এইটা -- আমার মনে হল দুটো মিলিয়ে এর মধ্যে আসলে একটা উপন্যাসের বীজ ছিল ৷ গাব্দাগোবদা উপন্যাস নয় ৷ ছোট্ট পাতলা, এই ধরুন "হার্বার্ট'এর মত ৷
ভেবে দেখবেন নাকি?

-----------------------------------------------------
"চিলেকোঠার দরজা ভাঙা, পাল্লা উধাও
রোদ ঢুকেছে চোরের মত, গঞ্জনা দাও'

মনজুরাউল এর ছবি

এই প্রথম আমি শক্ খেলাম।
সেটা অবশ্যই সুখানুভূতির। 'হার্বার্ট 'আমার প্রিয় লেখা । বার বার আমার লেখায় সে হানা দেয়। কষ্ট করে সরিয়ে রাখি_কোলকাতা আর ঢাকা তো এক নয়,তাই। 'হার্বার্ট 'আর কাঙাল মালসাট 'দুটো আমায় কুরে কুরে খায়।

ভাবলাম। সিদ্ধান্ত নিলাম। হ্যাঁ। তবে ওটা আমায় কাগজে লিখতে হবে।
তারপর পোস্ট।

আবারো ধন্যবাদ।'হার্বার্ট মননের ' কাউকে পেয়ে একাকিত্ব কেটে যাচ্ছে..।

.......................................................................................
আমাদের মাতৃগর্ভগুলি এই নষ্ট দেশে
চারদিকের নিষেধ আর কাঁটাতারের ভিতর
তবু প্রতিদিন রক্তের সমুদ্রে সাঁতার জানা
হাজার শিশুর জন্ম দেয় যারা মানুষ......

.......................................................................................
আমাদের মাতৃগর্ভগুলি এই নষ্ট দেশে
চারদিকের নিষেধ আর কাঁটাতারের ভিতর
তবু প্রতিদিন রক্তের সমুদ্রে সাঁতার জানা
হাজার শিশুর জন্ম দেয় যারা মানুষ......

ঝরাপাতা এর ছবি

আবারো আপ্লুত হলাম . . .


যে রাতে গুঁজেছো চুলে বেগুনি রিবন বাঁধা ভাট,
সে রাতে নরকও ছিলো প্রেমের তল্লাট।
. . . . . . . . . . . . . . . . . . (আবু হাসান শাহরিয়ার)


বিকিয়ে যাওয়া মানুষ তুমি, আসল মানুষ চিনে নাও
আসল মানুষ ধরবে সে হাত, যদি হাত বাড়িয়ে দাও।

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।