অগাস্ট ১০, ২০১৩ এর ইকনমিস্ট পত্রিকার একটি রিপোর্টে সজীব ওয়াজেদ জয় আর তারেক রহমানের মধ্যে তুলনায় তারেক রহমান কে wilier বলা হয়েছে যার মানে তারেক রহমান তুলনামূলক ভাবে বেশী crafty (skillful in underhand or evil schemes যার অর্থ "শয়তানী কর্মকান্ডে দক্ষ") আর cunning (ধূর্ত)/ ইকনমিস্টের তুলনা ঠিক কি বেঠিক সেই আলোচনায় আমি যাব না তবে wily বিশেষণটির কারনে তারেক রহমান সম্পর্কে বেশ আগ্রহ জন্মালো। বেশ কিছু পুরোন ভিডিও দেখলাম এবং গত বিএনপি-জামাত জোট সরকারের আমলে বহুল আলোচিত টপিক "বিদ্যুৎ সমস্যা মোকাবেলা" সংক্রান্ত এই তারেক রহমানের একটি সাক্ষাতকার পেলাম (লেখার শেষে লিঙ্ক):
অদ্ভুত সাক্ষাতকার। বিদ্যুৎ সমস্যার সমাধান করা নিয়ে তারেক রহমানের এই সাক্ষাৎকার থেকে অজানা যেসব তথ্য জানলাম তা হলঃ
১/ নিউ ইয়র্কে নাকি বিদ্যুৎ ক্রাইসিস চলেছে ২০০৬ সালে (২০০৬ সালে আমি নিজেই নিউ ইয়র্কের আশে পাশে ছিলাম, টাইম স্কয়ারের আলোতে মনে হয় আমি নিউ ইয়র্কের লোডশেডিঙের অন্ধকার টা মিস করে গেছি)।
২/ ওয়ার্ল্ড ব্যাংকও নাকি ওই সময় বলেছিল বিদ্যুৎ সমস্যা নিয়ে নাকি বাংলাদেশে অহেতুক অতিরঞ্জন করা হচ্ছে, আসলে এই সমস্যা সমাধান করা সম্ভব না।
৩/ যে কোন সরকারের জন্যেই নাকি বাংলাদেশের বিদ্যুৎ ঘাটতি মেটানো অসম্ভব কারন তা "কস্টলি"।
৪/ বিদ্যুৎ উৎপাদন বাড়ানোর কোন প্ল্যান শুনলাম না এই ইন্টারভিউ তে, কিন্তু (কোন কারনে যদি অলৌকিক ভাবে) বিদ্যুৎ উৎপন্ন হয়েও যায় তাতে যেন বিদ্যুতকে একজায়গায় বসে থেকে পচে মরতে না হয় সেই কথা চিন্তা করে ৬৮০০০ কিলো মিটার লাইন টেনে ফেলা হয়েছে যদিও একসিস্টিং লাইন/বাসা/দোকানের বিদ্যুৎ কোথা থেকে আসবে তারই ঠিক নাই।
৫/ কখন আমরা চাহিদার চাইতে বেশী বিদ্যুৎ করব সেই সুদূররেও সুদূর ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে এই ৬৮০০০ নতুন লাইন আর ইনফ্রাস্ট্রাকচার (খাম্বার পোশাকি নাম মনে হয়) তৈরী করা হয়েছে যেন স্বপ্নে দেখা সেই বিদ্যুৎ (আলাদিনের চেরাগের সাহায্যে) উৎপন্ন হলে তার ব্যাবহার তৎক্ষণাৎ করা যায় (বাহ ...কি দারূন ফিন্যান্সিয়াল প্ল্যানিং ...পাওয়ার প্ল্যান্ট বসানো কস্টলি তাই যা টাকা আছে তাই দিয়ে পাওয়ারের জন্যে লাইন টেনে ফেলাই ভাল)... কিন্তু যতদিন ওই বাড়তি বিদ্যুৎ উৎপন্ন না হচ্ছে ততদিন ওই লাইন আর ইনফ্রাস্ট্রাকচার কি কাজে ব্যাবহার হবে তার কোন দিক নির্দেশনা আমাদের এই ভবিষ্যৎ কান্ডারী দেন নাই (আমার সাজেশান হল ইন্ডিয়া বা চীনকে কাপড় শুকানোর জন্যে ভাড়া দেওয়া...এতে আমরা বিপুল বৈদেশিক মুদ্রা আয় করতে পারব)।
এখন আবার কৃষি ক্ষেত্র নিয়ে এই চিন্তাবিদ লন্ডনে বসে তাঁর চিন্তাভাবনা শুরু করেছেন। ফিলীং ইন্সিকিওর্ড।
[ https://www.facebook.com/photo.php?v=10151617993975886&set=vb.646085885&type=2&theater ]
মন্তব্য
পরবর্তী প্রধান মন্ত্রী বলে কথা
ভয় টা তো সেখানেই। কৃষি খাতের উন্নয়নের লক্ষ্যে দেখা গেল অনেক খাদ্য গুদাম তৈরী করে ফেললেন আমাদের এই ভবিষ্যৎ প্রধানমন্ত্রী যেন কখনও বাংলাদেশের কোন সরকার যদি উদবৃত্য খাদ্য উৎপাদনে সক্ষম হয় তাহলে যেন মজুদের অভাব না হয়। চায় তাতে সারের অভাবে ফসল উৎপাদন বন্ধ থাকুক না কেন।
আগের সরকারের আমলে ছাগলপালন প্রকল্প বাম্পারহিট, যত্রতত্র ছাগলের ম্যা ম্যা শোনা যায়, এবার তারা গোলা(গ্রামাঞ্চলে ধান সংরক্ষণ করে যেখানে) প্রকল্প করবেন, ফসল হোক বা নাহক সাবাইকে গোলা দেওয়া হবে। গুদামের খরচ অনেক বেশি।
-মুক্তবিহঙ্গ
গোলাই হবে তাইলে। গুদাম নহে। গুদামে খরচ বেশী। তাই ট্যকা টুকা কম মারা যাবে। সো, গুদাম আউট গোলা ইন।
হু বুঝলাম, তারমানে চালের দাম বেশি থাকলে তাহলে আমরা ওই টাকায় সস্তা দেখে দুটো পাতিল কিনে আনব... যাতে চাল কিনে আনা পর্যন্ত বেচে থাকলে চট করে রান্না চড়িয়ে দিতে পারি... ... তাই কি?
____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?
সত্য কথা নাকি তিতা হয়...কিন্তু আপনার বলার গুনে তো দেখি আমি হাসিই থামাতে পারছি না।
অপপ্রচারে পিষ্ট জনগনের হাবভাব দেখে মনে হচ্ছে উনি আসতেছেন …কি যে হবে !
সরকার কে অপপ্রচার থামানোর জন্যে কাজ করতে হবে আর তা না হলে জনগন খাম্বায় ঝুলবে আবার।
হা হা হা---
ভালো একটা জিনিস দেখাইলেন ভাইয়া! এ হবে আবার প্রধানমন্ত্রী!
-এস এম নিয়াজ মাওলা
সে রকম ই তো ভাবে সাবে আভাস পাই ... নেক্সট সরকারের প্রধান ইনফ্রাস্ট্রাকচার (খাম্বা) নাকি ইনিই হতে যাচ্ছেন !!!
২০০৬ সালের সাক্ষাতকার। রাজনৈতিক কথাবার্তায় ভর্তি, খুবই কম পরিসংখ্যান - বেশী অকাজের কথা। যে পয়েন্টে তারেক রহমান নিজেকে ডিফেন্ড করছেন সেই পয়েন্টেই উনি আওয়ামী লিগকে এখন আক্রমণ করছেন। সেই জিরো-সাম-গেম চলছেই।
পথের দেবতা প্রসন্ন হাসিয়া বলেন, মূর্খ বালক, পথ তো আমার শেষ হয়নি তোমাদের গ্রামের বাঁশের বনে । পথ আমার চলে গেছে সামনে, সামনে, শুধুই সামনে...।
সহমত।
"ফিলীং ইন্সিকিওর্ড।"
পিলীং নিয়া এত ছেঞ্ছেতিব হইলে চলে! যেই সব খাম্বা পোঁতা বাকি আছিল সেগুলি কাটিয়া কুটিয়া গোদাপানা হাতুড়ির অর্ডার হতিছে। পরিবর্ত্তনের ঋতু বড়ই আমোদগেড়ে! আসিয়া গেল পেরায়!
- একলহমা
আপনার এই পিলে চমকানো কথায় পিলীং নিয়ে আর কিছুই পিল কচ্চি না। হাতুরির ভয়ে হেডের চিন্তায় হার্ট পেল হওয়ার যোগাড় একুন।
বাইয়া তারেক জয়ের চাইতে অনেক অনেক বেশি ইসকিলফুল,কারন বাইছা তারেক(ফেনির ভাষাতে বললাম)দাউদ ইবারাহিম আর মুফতি হাননানের কাছ থেকে অনেক কিছু শিকছেন,জয় বাবাতো এখনও শিশু।
কথা সত্য।
আভাস পাওয়ার কিছু নাই। যদি নির্বাচনে বিএনপি বিজয়ী হয়ে আসে তবে উনি ঠিক পোধানমন্তি হবেন বলে আশা রাখি। সমস্যা হলো অসমাপ্ত খাম্বাগুলো কোথায় পুতবেন সেটা নিয়ে। পুটু সামলে রাখতে হবে মনে হয়
হা হা।
আমাদের দেশের মহান ভবিষ্যৎ, বড়ই খুশি খুশি লাগছে
ইসরাত
১৬ বিলিয়ন এর টান বলে কথা। আসবে না মানে? প্রধান মন্ত্রী হয়েই ছাড়বেন বড় গনতন্ত্র।
তারকে ভাই আসার নু-বেল বাবুনগরী আসুক!!!
আচ্ছা বাবুনগরী আসলে কি বাংলাদেশ ব্যাংকের নাম গ্রামীন ব্যাংক হবে??? মতিকন্ঠেরে রির্পুটার কই?
লাল নীল মডু ভাই: ক্যাপচা বহুত পেইন দিতাছে!! এইটা ট্রাই নম্বর ৩+১+১+২
হইতেই পারে।
উনি ভবিষ্যতের স্বপ্নদ্রষ্টা
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
স্বপনের পরিমান ১৬ বিলিয়ন।
ওহ!!!
কী আর বলবো!!
____________________________
আসলেই কিছু বলার নেই।
নতুন মন্তব্য করুন