দুঃখ প্রকাশ নয় পাকিস্থানের ক্ষমা চাইতে হবে (একাত্তরে গণহত্যাঃ বাংলাদেশিদের কাছে দুঃখ প্রকাশ করেছে পাকিস্তানীরা)

রাহা এর ছবি
লিখেছেন রাহা (তারিখ: বিষ্যুদ, ২৭/১২/২০০৭ - ৩:৪৮পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

দুঃখ প্রকাশ নয় পাকিস্থানের ক্ষমা চাইতে হবে(একাত্তরে গণহত্যাঃ বাংলাদেশিদের কাছে দুঃখ প্রকাশ করেছে পাকিস্তানীরা)
১৯৭১ সালে পাকিস্তানি সেনাদের গণহত্যার কারণে বাংলাদেশের জনগণের কাছে দুঃখ প্রকাশ করেছে সে দেশের বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার মানুষ। পাকিস্তানের প্রতিষ্ঠাতা মোহাম্মদ আলী জিন্নাহর জন্মদিন উপলক্ষে গত মঙ্গলবার ইসলামাবাদ প্রেসক্লাবে এক অনুষ্ঠানে এ ব্যাপারে একটি প্রস্তাবও নেওয়া হয়। এ অনুষ্ঠানে সাংবাদিক, আইনজীবী, ছাত্র ও সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
পাকিস্তানের জিও টেলিভিশন চ্যানেলের নির্বাহী সম্পাদক হামিদ মীর গণহত্যার ব্যাপারে বাংলাদেশের মানুষের কাছে দুঃখ প্রকাশের প্রস্তাব পেশ করেন। অনুষ্ঠানে উপস্থিত সাংবাদিক, আইনজীবীসহ বিভিন্ন পেশার মানুষ এ প্রস্তাব সমর্থন করে। পরে সমাবেশে একই বিষয় লেখা একটি ব্যানার প্রদর্শন করা হয়।
অনুষ্ঠানে হামিদ মীর বলেন, জিন্নাহ দিবসে আমরা একাত্তরের গণহত্যার কারণে বাংলাদেশিদের কাছে দুঃখ প্রকাশ করছি। তিনি বলেন, তৎকালীন পাকিস্তানের সামরিক শাসকেরা বাংলাদেশি ভাইদের অধিকার হরণ করেছিল বলে আমরা তাদের হারিয়েছি। সেই গণহত্যার কারণে আজ আমাদের অবশ্যই তাদের কাছে দুঃখ প্রকাশ করতে হবে।
উপস্থিত বিভিন্ন পেশাজীবীর উদ্দেশে হামিদ মীর বলেন, মনে করুন, সামরিক সরকারের দমন-নিপীড়নের বিরুদ্ধে আজ ৫৫ দিন আমরা প্রতিবাদ করছি। বেনজির ভুট্টো ও নওয়াজ শরিফ দুজনই আমাদের প্রতিবাদশিবির ঘুরে গেছেন এবং আমাদের প্রতি সমর্থন জানিয়েছেন।
ইসলামাবাদ প্রেসক্লাব আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে ১৯৭১ সালে ঢাকায় নিযুক্ত পূর্ব পাকিস্তান সরকারের তথ্যসচিব হিসেবে দায়িত্ব পালনকারী রোয়েদাদ খানও অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। তিনিও বাংলাদেশিদের প্রতি দুঃখ প্রকাশের প্রস্তাবকে সমর্থন করেন। রাজনৈতিক নেতাদের মধ্যে ইমরান খান ইতিমধ্যে এ উদ্যোগকে সমর্থন জানিয়েছেন। (তথ্যসূত্রঃ প্রথম আলো)

পাকিস্থানের বিভিন্ন পেশাজীবিদের অনেক দেরীতে হলেও এই বোধদয়কে স্বাগত জানাই । হামীদ মীরকে ধন্যবাদ । কিন্তু ১৯৭১ নারকীয় গণহত্যা কোন সাধারণ বিষয় নয়, পৃথিবীর ইতিহাস এই গণহত্যা পাকিস্থানীদের নৃশংসতার স্বাক্ষর বয়ে বেড়াবে আজীবন । যতক্ষণ পর্যন্ত পাকিস্থান রাষ্ট্র এই গণহত্যার জন্য ক্ষমা না চাইবে ততোক্ষণ পর্যন্ত আমরা তাদের ক্ষমা করতে পারি না । এটা কোন সাধারণ বিষয় নয় ভুল হয়ে গেছে তাই সরি , রাষ্ট্র যেখানে এমন মানবতা বিরোধী পৈশাচিক কর্ম করে তখন রাষ্ট্রকেই ক্ষমা চাইতে হবে । পাকিস্থানীরা বেঈমন , সেটা নতুন নয় । ১৯৭৪ এর চুক্তিকেও তারা পালন করেনি । আমরা সেই চুক্তিতে শপথ নিয়ে পাকিস্থানী সরকার যে ক্ষতি পূরণের অংগীকার করেছিল সেই দাবীও মাফ করে দিব কিন্তু তার আগে পাকিস্থান রাষ্ট্রকে তার কৃতকর্মের জন্য করজোড়ে ক্ষমা প্রার্থনা করতে হবে । এমন দুঃখ প্রকাশ জনগণের প্রতি জনগনের সহমমর্িতা, সেটা ১৯৭১ও ছিল । কেননা কোন বিবেকবান মানুষ গণহত্যা কে সমর্থন করেনা । ১৯৭১ তো করেনি আর বর্তমানে প্রশ্ন আসে না ।
দুঃখ প্রকাশকারীদের ধন্যবাদ তবে তাদের উচিত একটি সভ্য রাষ্ট্র হিসেবে পাকিস্থানকে বাংরাদেশের কাছে ক্ষমা চাইতে বাধ্য করা ।


মন্তব্য

মেহদী হাসান খান এর ছবি

"তিনি বলেন, তৎকালীন পাকিস্তানের সামরিক শাসকেরা বাংলাদেশি ভাইদের অধিকার হরণ করেছিল বলে আমরা তাদের হারিয়েছি।"

বাংলাদেশি আর পাকিরা ভাই ভাই হইল কবে?

যাই হোক, শুরু হিসেবে খারাপ না। কিন্তু মাফ চাওয়ার বেলায় আপোস নাই

অনিকেত এর ছবি

সহমত।

হিমু এর ছবি

এটা একটা ফাজলামো ছাড়া আর কী হতে পারে? চলতে ফিরতে কারো সাথে ধাক্কা লাগলেও তো আমরা সরি বলি! সরি আই বাম্পড ইনটু ইউ দোস্ত, সরি আই স্পিলড দ্যাট ব্লাডি কফি অল ওভার ইউ দোস্ত, সরি ফর দ্য জেনোসাইড অ্যান্ড ম্যাস রেপ দোস্ত!

সরি? জাস্ট আ পুওর ফাকিং সরি?

মাদারচোদের জাত। সরি তোদের পুটকি দিয়ে ঢুকিয়ে বসে থাক। মানুষের পয়দা হলে মাফ চা ভিলি ব্রান্ট এর মতো হাঁটু গেড়ে বসে। খানকির বাচ্চারা এতদিন পর সরি বলে কমিক চোদাতে আসছে। বৃটিশরা গুমুতের সাথে এই সরি ফেলে রেখে গেছে এই উপমহাদেশে, এই সরি বলে সবাই পার পেয়ে যেতে চায়।


হাঁটুপানির জলদস্যু

বিপ্লব রহমান এর ছবি

একমত।।


আমাদের চিন্তাই আমাদের আগামী: গৌতম বুদ্ধ


একটা ঘাড় ভাঙা ঘোড়া, উঠে দাঁড়ালো
একটা পাখ ভাঙা পাখি, উড়াল দিলো...

এস এম মাহবুব মুর্শেদ এর ছবি

বিপ্লব! সরি ফরি চলবে না। মাদাোতদের নাকে খৎ দিতে হবে, ক্ষমা চাইতে হবেই হবে।

====
চিত্ত থাকুক সমুন্নত, উচ্চ থাকুক শির

রাশেদ হাসান এর ছবি

হিমু ভাই এর সাথে একমত ।
পাকিরা মুখে বলে একটা আর বাস্তবে করে আরেকটা তাই শুধু মাফ চাওয়া নয় তাদের পাঠ্য বই এ বাংলাদেশ নিয়ে যে মিথ্যা কথা বলা আছে সেটাও সংশোধন করতে হবে ।

হিমু এর ছবি

ব্রাভো, রাশেদ ভাই! ঠিক পয়েন্ট তুলে ধরেছেন।


হাঁটুপানির জলদস্যু

হাসান মোরশেদ এর ছবি

আন্তর্জাতিক অংগনে বাংলাদেশ যদি কোনদিন গুরুত্বপুর্ন হয়ে উঠতে পারে তাহলে শুধু দুঃখিত বা ক্ষমা নয়,পাকিস্তানের কাছ থেকে গনহত্যার ক্ষতিপুরন ও আদায় করা যাবে ।
বৃটেনের কালোরা দাসব্যবসার রিপার্টেশন দাবী করছেন খুব জোরেসোরে । একেবারে হিসেব নিকেশ করে দেখিয়ে দিয়েছেন ক্ষতিপুরন অংকটা কত হবে । বলাবাহুল্য এটা কয়েক হাজার ট্রিলিয়ন ।
আজকের আফ্রিকার দারিদ্রকে ও এই হিসেবে রাখা হয়েছে । যুক্তি খুব সহজঃ সে সময় আফ্রিকা থেকে সবচেয়ে শক্তিশালী,সবল ও কর্মক্ষম পুরুষদের ধরে আনা হয়েছে এখানে । ওখানে রয়ে গেছে দুর্বল কর্মহীন ও অসুস্থরা । ফলে আফ্রিকা ন্যাশনটাই বিস্তার লাভ করেছে দুর্বল হিসেবে ।
২৫ মার্চ রাতের ঢাবি ও ১৪ ডিসেম্বর বুদ্ধিজীবি হত্যার তুল্য ক্ষতিপুরন নির্ধারন করা যেতে পারে ।
----------------------------------------
সঙ্গ প্রিয় করি,সংঘে অবিশ্বাস

-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।

সংসারে এক সন্ন্যাসী এর ছবি

কুত্তার বাচ্চারা ভেবেছে 'সরি' বললেই আমরা বিগলিত হয়ে যাবো? চুৎমারানিরা হাঁটু গেড়ে (হিমুর বর্ণনায়) মাফ চাবি, তারপর আমরা বিবেচনা করে দেখবো, আমরা তোদের মাফ করবো কি করবো না!

~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
টাকা দিয়ে যা কেনা যায় না, তার পেছনেই সবচেয়ে বেশি অর্থ ব্যয় করতে হয় কেনু, কেনু, কেনু? চিন্তিত

মুহম্মদ জুবায়ের এর ছবি

তাদের ব্যানারে 'জেনোসাইড' শব্দটা চোখে পড়লো। যাক, তাহলে স্বীকার করছে!

ক্ষমা তারা চাইলে চাক, নাইলে নাই। যাদের কোনোদিন মানুষের পয়দা বলে মানি না, তারা মাফ চাইলে কি, না চাইলেই কি!

-----------------------------------------------
ছি ছি এত্তা জঞ্জাল!

রাশেদ এর ছবি

মুক্তিক্সুদ্ধের পক্ষের সকলকে অনুরোধ জানাবো এই স্বাধীনতা বিরোধীদের সকল ক্ষেত্রে প্রতিহত করুন।

মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের এক লাইন কমেন্ট ও একটা বুলেটের সমান প্লিজ আপনারা সবাই নিচের ভিডিও গুলতে কমেন্ট করবেন

http://www.youtube.com/watch?v=Jxgbm9BSUZg&feature=related

http://www.youtube.com/watch?v=OqASDVFErhg&feature=related

http://www.youtube.com/watch?v=XLhhBZ7viBI&feature=related

প্লিজ আসুন আমরা আরেকবার রুখে দাড়াই এই মিথ্যাচারের বিরুদ্ধে

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।