নিয়ম যেন সবার জন্য সমান হয়

রাহা এর ছবি
লিখেছেন রাহা (তারিখ: শুক্র, ২৫/০৪/২০০৮ - ৪:১২পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

ডুয়েল পোস্টিং নিয়ে জটিলতায় ভুগছি । এর আগেও মডারেটর গণ ডুয়েল পোস্টিং নিয়ে আমাকে সর্তক করেছে । আমি ও সতর্ক থেকেছি কিছুদিন , তারপর আবারো ডুয়েল পোস্টিং করে বসেছি । এই আবারো ডুয়েল পোসিটং করার দায় আমি একা নিতে চাই না । কিছুদিন চলার পর যখন দেখি যে কোন কোন ব্লগার ডুয়েল পোস্টিং অনায়াসে করে যাচ্ছে তখন ভাবি হয়তো আইন আগের চেয়ে শিথিল হেছে, এখন হয়তো করা যায় । সেই হয়তো বাবনার বসেই ডুয়েল পোস্টিং করে ফেলা ।
তবে আজকের ব্যাপারটা আরেকটু অন্যরকম । অনেক ক'দিন ব্লগ লেখা হচ্ছে না । তাই আজ একটা পোস্ট লিখে ভাবলাম পোস্ট করে দেই । কিন্তু সচলে যেহেতু একই পোস্ট দেয়ার বারণ আছে তাই একটু শিরোনাম আর লেখার কন্টেন্ট পাল্টিয়ে দিলাম । পোস্ট হলো তার অল্পক্ষণ বাদেই পোস্ট প্রথম পাতা থেকে সরিয়ে নেয়া হলো এবং ম্যাসেজ চলে এলো, বুঝলাম এই পদ্ধিতিও চলবে না । আমার কোন আপত্তিও নেই । মডারেটরগণকে যেহেতু মেনে নিয়েছি তাই আপত্তির কারণ নেই । কিন্তু প্রশ্ন জাগে কিংবা আমি ও প্রশ্ন করতে পারতাম , সবার জন্য কেন এক নিয়ম নয়, কিন্তু সেটাও নিজের কাছেই বাহুল্য মনেহয় ।
আমার অজান্তে যখন দেখি ঠিক আমার মতোই একটি ঘটনা ঘটেছে । তখন আশ্বস্ত হই ,কারো কারো বেলাতেও আমার মতন মডারেশন এর কবলে পড়তে হয় ।
কিন্তু অলৌকিক হাসান এর পোস্টে যখন দেখি, আমাদের কোন মডারেটর এমন বাক্য লেখেঃ মডারেশন ভালো না লাগলে যেখানে মডারেশন নাই সেখানে যান, সামগ্রিক মঙ্গলের জন্য সেটাই ভালো। নীতিমালা ভেঙ্গেছেন, আমরা তৎপর হয়েছি। অন্য কাকে কি করলাম সেই কৈফিয়ত দিতে বাধ্য নই।
তখন কষ্ট পাই । ভাষার অসংযত ব্যবহার দেখে । আর কৈফিয়ত দিতে কেউ বাধ্য নয় হয়তো কিন্তু আইন কেন সবার বেলায় এক হবে না ??
সচলায়তন ব্লগে কর্তৃপক্ষ আছেন, মডারেটর আছেন । থাকবেন । আর নানা রকম ব্লগার বিভিন্ন জায়গা থেকে ব্লগ করবেন । কিন্তু কর্তৃপক্ষের মনোভাব যদি এমন হয়, আমার ব্লগ আমি যা ইচ্ছে তাই করব, তা নিতান্তই ছেলেমানুষি হবে । কর্তৃপক্ষ হতে হলে কোনপক্ষ হওয়া যায় না । কর্তৃপক্ষ যেন সবার পক্ষে, আইনের পক্ষে, নীতির পক্ষে থাকেন, কারো বিপক্ষে নয় । আর অহেতুক ভুল বোঝাবুঝির অবসান হোক । সেই প্রত্যাশ করছি । সচলায়তন আরো সচল হোক এবং আরো আনন্দময় ব্লগ হয়ে উঠুক ।


মন্তব্য

হিমু এর ছবি

প্রথমত, আপনার পোস্ট ডিলিট হয়নি, আপনার ব্লগে প্রকাশিত হয়েছে।

দ্বিতীয়ত, সবার জন্যেই এই নিয়মটি খাটে। ব্যতিক্রম যদি আপনার চোখে ধরা পড়ে, তাহলে জানান। মডারেশন দল উপকৃত হবে। আইন সবার বেলায় এক রকম নয়, এই ধারণার কারণ কী?

তৃতীয়ত, আজ চতুর্থবারের মতো আপনাকে অনুরোধ জানানো হয়েছে ডুয়াল পোস্টিং না করার জন্যে। এ ব্যাপারে আপনার মনোভাব জানতে চাওয়ায় আপনার জবাব এসেছে, "হুমমমম!"

সচলায়তনে ভাষার অসংযত ব্যবহারের জন্যে মডারেটরকে দায়ী করা খুবই সহজ, কিন্তু যে নিয়মটা সবাই মেনে চলছেন, তা অনুসরণ করা কি এতই কঠিন, যে একই বার্তা আপনাকে চতুর্থবারের মতো পাঠাতে হয়?


হাঁটুপানির জলদস্যু

রাহা এর ছবি

প্রথমতঃ সেজন্য পোস্ট সংশোধন করে লিখলাম পোস্ট প্রথম পাতা থেকে অপসারিত হয়েছে ।
দ্বিতীয়, তৃতীয় এবং চতুর্থ প্রশ্নের উত্তর আমার পোস্টেই আছে তাই অযথা কথা বাড়ালাম না ।

..হৃদি ভেসে যায় অলকানন্দার জলে...

হিমু এর ছবি

আমি দুঃখিত, আপনার উত্তর অস্পষ্ট। আপনি দয়া করে বুঝিয়ে বলুন, আইন সবার জন্যে সমান নয়, এই ধারণার কারণ কী।

আপনি যদি বুঝিয়ে বলতে না পারেন, তাহলে ধরে নেয়া যেতে পারে আপনি এই ধোঁয়াটে কথা বলে একটা তর্ক ফেনিয়ে তোলার চেষ্টা করছেন।

আপনার ব্যাখ্যার অপেক্ষায় আছি।


হাঁটুপানির জলদস্যু

রাহা এর ছবি

আমি স্পষ্ট করেই বলেছি । এর আগে একই পোস্ট দুই ব্লগে দেখেছি বলেই বিভ্রান্ত হয়েছি । কোন ধোয়াটে কিংবা কুণ্ডুলি পাকানো কথা নয় ।

..হৃদি ভেসে যায় অলকানন্দার জলে...

হিমু এর ছবি

ভবিষ্যতে এমনটি দেখলে দয়া করে মডারেটরের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে পারেন। এতে করে এই ব্যতিক্রমের সংখ্যা হ্রাস পাবে। তা না করে সেই একই কাজ আপনিও যদি করেন, তাহলে তো মুশকিল।

উদাহরণ দিচ্ছি। ধরুন কোথাও আগুন জ্বলতে দেখলেন। আপনিও নিশ্চয়ই সাথে সাথে নিজের ঘরে আগুন দেন না, নাকি?


হাঁটুপানির জলদস্যু

রাহা এর ছবি

ঠিক!!!
তেমনি উনুনে তেল দেখলেই তেলে-বেগুনে জ্বলে উঠতে হয় না !!!

..হৃদি ভেসে যায় অলকানন্দার জলে...

হিমু এর ছবি

আপনার পদ্ধতিটি আমার পছন্দ হয়েছে। আমার এক বন্ধু এর নাম দিয়েছিলেন, গোয়া মেরে টিস্যু দান। ইস্পাতের জাঙ্গিয়া এর বিপরীতে মাঝে মাঝে কাজে দ্যায়।

আপনার পরবর্তী মৌলিক পোস্টের অপেক্ষায় রইলাম। আশা করি ধোঁয়াটে অনুযোগ ছাড়াও আপনি ঝরঝরে কোন লেখা উপহার দিতে পারবেন আমাদের।


হাঁটুপানির জলদস্যু

রাহা এর ছবি

কথাটা মাথায় রাখা উচিত ।
সবখানে ঠাপাতে যেতে হয় না । নইলে ঠাপ খেয়ে মাঝে মাঝে আপনার মতো টিস্যু হাতে ঘরে ফিরতে হবে ।

..হৃদি ভেসে যায় অলকানন্দার জলে...

হিমু এর ছবি

কাঁদবেন না। মুছে ফেলুন। টিস্যু তো আছেই হাতে।


হাঁটুপানির জলদস্যু

ইশতিয়াক রউফ এর ছবি

মন্তব্যেই এই থ্রেডটি মনে হয় দুই জনেরই discontinue করা উচিত। কারো ভেতর থেকেই ভালটা এর করে আনছে না। অকারণ নোংরামো বাড়ছে দুই তরফেই।

হিমু এর ছবি
ধুসর গোধূলি এর ছবি

- এই আলোচনাটা চলছিলো, ঠিকাছে। কিন্তু এবার বোধকরি অন্যদিকে চলে যাচ্ছে। এটা অনাকাঙ্খিত।

সচলায়তনের প্রথম থেকেই এখানে কুমারী লেখা প্রকাশ করার জন্য সচলদের উৎসাহিত করা হয়ে আসছে। মনে করি যারা সচলায়তনকে ভালোবেসে সচল হয়েছেন তারা এই উৎসাহকে সম্মান দেখিয়েই তবে সচল হয়েছেন। সচলরা, সকলে এই সম্মানটা বজায় রাখবেন, এটা কেবল কর্তৃপক্ষ কেনো বরং সবার কাছেই কাম্য।

যতদূর জানি, সচলায়তনে প্রকাশিত লেখা অন্য কোথাও প্রকাশ করার ক্ষেত্রে কোনো বাধকতা নেই। যেটুকু আছে তা হলো সচলায়তনের প্রতি ভালোবাসা কিংবা সম্মান- যা-ই বলুন। এই ভালোবাসার কারণেই বলা হয়ে থাকে, অন্তত চব্বিশটা ঘন্টা আপনার লেখাটা সচলায়তনকে উপভোগ করতে দিন। তারপর আপনি প্রকাশ করুন অন্য যেকোনো জায়গায় (বিশেষ করে অন্য যেকোনো ব্লগস্ফীয়ারে)। এটা কি খুবই বেশি চাওয়া সচলায়তন পরিবারের সদস্যদের কাছ থেকে!

আমরা যদি এই সম্মানটুকুও না দেখাই আমাদের সচলায়তনের প্রতি তাহলে কেমনে হয়! আমাদের কাছ থেকে এতোটুকু ছাড় তো সচলায়তন দাবী করতেই পারে নাকি!

এই সাধারণ একটা ব্যাপারে মন কষাকষির কোনো অবকাশ আছে, এটা দেখতে ঠিক ভালো লাগছে না সচলায়তনে। আশা করি সকল সচল ব্যাপারটা অনুধাবন করবেন। সচলায়তনের প্রতি ভালোবাসার তাগিদেই অনুধাবনটা জরুরী, অন্য কারণ গুলো আপাততঃ দূরেই থাকুক না হয়!

_________________________________
<সযতনে বেখেয়াল>

হিমু এর ছবি

আর একটা ব্যক্তিগত প্রশ্ন করি। আপনি সচলায়তনে সদস্যদের টাটকা সব লেখা পড়েন, নিজে কেন বাসি একটা লেখা নিয়ে হাজির হন? আপনার কি মনে হয় না ব্যাপারটা আনফেয়ার?


হাঁটুপানির জলদস্যু

রাহা এর ছবি

ব্যক্তিগত উত্তরঃ ভাই আমি তো লিখতে পারি না !!! পেটে মাঝে মাঝে কামান দাগিয়ে যে দুই একটা পোস্ট পয়দা করি তাই সবখানে মিলেঝিলে দেই ।
উত্তরটা পোস্টে দিয়েছিলাম আবারও বলি আর মাঝে মাঝে অন্যদের বাসি পোস্ট দেখেই সে প্রবণতায় ভুগেছি, লিখতে পারি না তো!!!
আর সবার শেষে- কর্তপক্ষকে ব্যক্তিপক্ষ ভুলে যেতে হয় ।

..হৃদি ভেসে যায় অলকানন্দার জলে...

হিমু এর ছবি

প্রিয় রাহা, অত্যন্ত সন্তাপের সাথে বলতে বাধ্য হচ্ছি, সচলের পাঠকদের প্রতি কোন মমতা নেই আপনার। এক কুমীরের ছানা সাত জায়গায় না দেখালে কি আপনার খুব ক্ষতি হয়?

সচলে যাঁরা লিখছেন, সবাই মৌলিক আর নতুন লেখা উপহার দিচ্ছেন পাঠকদের জন্যে। সেরকম কিছু যদি আপনার হাতে না আসে, আপনি অপেক্ষা করুন, সময় নিয়ে লিখুন একটা কিছু। নতুন কিছু উপহার দিন আমাদের। কোন তাড়া তো নেই, নাকি?


হাঁটুপানির জলদস্যু

হিমু এর ছবি

আপনার সবার শেষের উত্তরে বলি, কর্তৃপক্ষকে ব্যক্তিপক্ষের বিপরীতে জোর করে টেনে আনবেন না। যদি বুঝিয়ে বলতে না পারেন, কিভাবে কোথায় কর্তৃপক্ষ ব্যক্তিপক্ষ বিস্মৃত না হয়ে কাজ করেছে, তাহলে এই ধোঁয়াটে বুলি আওড়ানোর পন্থাটি অনুগ্রহ করে পরিত্যাগ করুন।


হাঁটুপানির জলদস্যু

রাহা এর ছবি

ঠিক শেষ কথা বলি, আর কথা বাড়াতে চাই না । আমার পোস্টটি মনোযোগ সহকারের পড়লে কথাগুলো এত গড়াতো না । আর বিষয়টি ব্যক্তিগতভাবে না নিলে কোন কৈফিয়ত বা উত্তরেরও প্রয়োজন ছিল না ।
ধন্যবাদ ।

..হৃদি ভেসে যায় অলকানন্দার জলে...

হিমু এর ছবি

আপনার পোস্ট মনোযোগ দিয়ে পড়েই বুঝলাম, ওতে যতো ধোঁয়া আছে ততো মাংস নেই। আপনি মনোযোগ দিয়ে লিখলে হয়তো আমার বুঝতে এতো সমস্যা হতো না। আমার বাংলা ভাষাজ্ঞানের ওপর আস্থা রাখার অনুরোধ জানিয়ে বলছি, গুছিয়ে লিখুন। আপনার অনুযোগের ভিত্তি যেন শুধু আপনার ভুল ধারণা না হয়।


হাঁটুপানির জলদস্যু

শোহেইল মতাহির চৌধুরী এর ছবি

প্রশাসনিক বিষয় নিয়ে অনেক দিন পর কোনো পোস্ট দেখলাম সচলে।
এরকম বিষয়ে পোস্ট না দিয়ে কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করাটাই যুক্তিসঙ্গত মনে হয়।
এরকম পোস্ট সচলের সামগ্রিক পরিবেশের সাথে যায় না। একরকম বিভ্রান্তিও তৈরি করে।

ব্লগার রাহাকে অনুরোধ করছি পোস্টটা সরিয়ে নিতে।
সচলকে নির্মল রাখুন।
-----------------------------------------------
Those who write clearly have readers, those who write obscurely have commentators.--Albert Camus

-----------------------------------------------
মানুষ যদি উভলিঙ্গ প্রাণী হতো, তবে তার কবিতা লেখবার দরকার হতো না

রাহা এর ছবি

ধন্যবাদ শোহেইল ভাই । প্রথম পাতা থেকে সরিয়ে নিচ্ছি ।

..হৃদি ভেসে যায় অলকানন্দার জলে...

ইশতিয়াক রউফ এর ছবি

"পছন্দের পোস্টে যুক্ত" ও "লেখককে মেসেজ" এর মাঝখানে আপত্তিকর পোস্ট হিসেবে চিহ্নিত করবার অপশন আছে। আমার জিজ্ঞাস্য#১: এত দিন ধরে চেপে না রেখে অতীতের ডুয়াল পোস্টগুলোয় আপত্তি করলেই পারতেন। অযথা ব্লগের পরিবেশটা গুমোট করতে হত না। ব্লগ/ব্লগারের প্রতি শ্রদ্ধা/ভালবাসা থেকে এই অনাপত্তি, তা বলবার জো নেই। তেমনটা হয়ে থাকলে এহেন বিস্ফোরণও হবার কথা ছিল না। আমি পাঠক হিসেবে দাবির সুরেই বলতে পারি, কার ডুয়াল পোস্ট আগে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে তা জানতে চাই। মডুকে মেসেজ দিয়ে হোক, রেস্ট্রিক্টেড কমেন্ট করে হোক, বা প্রকাশ্যেই হোক, এটা বলতে পারা উচিত আপনার। নচেৎ এ-সব শুধুই লাইবেল।

লেখকমাত্রেই নিজের লেখার অধিক ও নতুন পাঠক চাইবে। এটা খুবই স্বাভাবিক। ডুয়াল পোস্টিং তাই একটু খারাপ লাগারই কথা। তবে সব জায়গায়ই তো কিছু নর্ম থাকে। সেটা মেনেই তো আমরা সবাই এখানে এসেছি। আমি মনে করি সচলায়তনের একটি "চরিত্র" আছে, একটা "প্রাণ" আছে, একটা "মান" আছে। সে-কারণেই কখনো মডুর শাসনে, কখনো নিজের বিবেকদহনেই অনেক কিছু মেনে চলি। আমার দ্বিতীয় সরাসরি জিজ্ঞাস্য#২: ব্লগার ও প্ল্যাটফর্মের মাঝে আপেক্ষিক সম্পর্ক কেমন হওয়া উচিত?

সচলায়তনকে একটি ক্লোজড ফোরাম হিসেবে জেনেই সবাই এখানে এসেছি। অনেক গুণী লেখক/লেখিকাকেও "অতিথি" হিসেবে লিখতে লিখতে "সচল" হতে হয়েছে। এই ওরিয়েন্টেশন কাউকে লিখতে শেখানোর জন্য না, বরং সচলায়তনের মেজাজের সাথে পরিচিত করানোর জন্য, এখানে যেই সৌহার্দ্য নিয়ে আমরা সহাবস্থান করি, তার মাণদণ্ডের সাথে আত্মস্থ করানোর জন্য। একবার সচল হলে যে-কোন কিছুই লেখার অধিকার আছে সবার। কেউ বাধা দেয় বলে শুনিনি, দেখিনি। "মুক্তি"কে স্রেফ ব্র্যান্ড নেম হিসেবে ব্যবহার করার পরিণাম দেখেছি সবাই-ই।

সচলায়তন নিজেকে "অনলাইন রাইটার্স কমিউনিটি" বলে, "ব্লগ" না। এখানে লিখতে পেরে আমি অন্তত নিজেকে অনেক গর্বিত মনে করি। অনেক বড়, ভাল, গুণী, চিন্তাশীল লেখক এখানে লেখেন। এলেমদার লেখকদের সান্নিধ্যও আমার কাছে অনেক। আমি তুলনায় বিশ্বাসী নই, তবু খোলাসা করার জন্য উদাহরণ দেই কিছু। দৈবচয়ন করে যেকোন কমিউনিটি ব্লগে যান। প্রথম পাতায় কম করে দুটি পোস্ট পাবেন যাতে তিন থেকে চার বাক্যে "আজকে ঢাকা ফিরলাম অনেক দিন পর" বা "রাইতের ঘুমটা জুইতের হয় নাই" বা কোন ব্যাক্তিবিশেষ "@ঁ(#!*-এর বাচ্চা" জাতীয় পোস্ট পাবেন। ছাত্রমাত্রেই এই সময়টায় খুব ব্যস্ত। তবু এর চেয়ে ভাল পোস্টানোর মত ঘটনা আমাদের জীবনে ঘটে। হয়তো পাঁচ-সাত বাক্যেই বলে ফেলা যায় অনেক মজার ঘটনা। তবু তেমন কিছুর ছড়াছড়ি নেই সচলায়তনে। সবাই অন্যের লেখায় যত্নের মাত্রা ও পরিমাণের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। দোষ যদি সবটা দিতে হয়, তাহলে এই সুস্বাস্থের জন্য প্রশংসাটাও কিন্তু সচলায়তনের মডুদের প্রাপ্য। কারিগরি উন্নতি (সাম্প্রতিকতম উদাহরণঃ স্পেলচেকার) বা সাহিত্যিক উদ্যোগের কথা বাদই দিলাম।

অমিত এর ছবি

ঠিক, নির্মল পরিবেশই আমাদের কাম্য।ওম শান্তি।

সংসারে এক সন্ন্যাসী এর ছবি

‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍ভালো লেখার সমাবেশের ব্যাপারটি তো আছেই, তবে আমি ব্যক্তিগতভাবে সবচেয়ে বেশি উপভোগ করি সচলায়তনের পরিবেশটি। এর নির্মলতা বজায় রাখতেই হবে।

আমি একগামী ব্লগার। একমাত্র সচলায়তনকে ভালোবাসি হাসি

~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
আমি একগামী পুরুষ। একমাত্র নারীদের ভালোবাসি চোখ টিপি

~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
টাকা দিয়ে যা কেনা যায় না, তার পেছনেই সবচেয়ে বেশি অর্থ ব্যয় করতে হয় কেনু, কেনু, কেনু? চিন্তিত

ইশতিয়াক রউফ এর ছবি

আমি কিন্তু গুরু বহুগামী মানুষ! এক জায়গায় লাগাতার যাওয়া-আসা আমার। চোখ টিপি

রাগিব এর ছবি

আমার সাম্প্রতিক একটি পোস্ট (হল জীবনের স্মৃতি সিরিজে) পূর্বে অন্যত্র প্রকাশ পেয়েছে, সে জন্য দুঃখিত। পোস্টটি সময়মত মডারেটরেরা প্রথম পাতা থেকে সরিয়ে দিয়েছেন, সেজন্য ধন্যবাদ। সাধারণত আমি সচলায়তনেই সবার আগে লেখা পোস্ট করে থাকি, এই ক্ষেত্রে ব্যত্য ঘটাতে দুঃখ প্রকাশ করছি।

সচলায়তনের পোস্টিং সংক্রান্ত নীতিমালা এবং অন্যান্য terms and conditions পরিষ্কার ভাবে লিংক আকারে থাকলে সুবিধা হতো ... নীতিমালা ভুলে গেলে চট করে দেখে নেয়া যেতো।

----------------
গণক মিস্তিরি
ভুট্টা ক্ষেত, আম্রিকা
http://www.ragibhasan.com

----------------
গণক মিস্তিরি
জাদুনগর, আম্রিকা
ওয়েবসাইট | শিক্ষক.কম | যন্ত্রগণক.কম

ইশতিয়াক রউফ এর ছবি

সহমত। কেস-বাই-কেস একটু খোলাসা করে লেখা থাকলে ভাল হত। সমসাময়িক অন্যসব কমিউনিটি ব্লগের সাথে ডুয়াল পোস্টিং-এর ব্যাপারটুকু সবাই বুঝি। তবে ব্যক্তিগত ব্লগ, পত্রিকার সম্পাদক বরাবর চিঠি, উইকি বা মুক্তিযুদ্ধের নথির উপাদান, হারিয়ে যাওয়া গান/লেখার আর্কাইভ, ইত্যাদির ব্যাপারে ডুপ্লিসিটির ভূমিকা কেমন, জানা থাকলে ভাল হয়। আমি চাই যা-কিছু নতুন এবং সমৃদ্ধ, তার সবকিছুর সাথেই সচলায়তন যুক্ত থাকুক।

অমিত আহমেদ এর ছবি

আমার মনে হয়না এ পোস্টের কোনো দরকার ছিলো। তথ্য প্রমান সহ কোথায় ডুয়েল পোস্টিং এর নিয়মটি মানা হয়নি তা কতৃপক্ষকে ইমেইল করে জানিয়ে দেয়াটাই যথেষ্ঠ ছিলো। এমন পোস্ট বিভ্রান্তি ছাড়া আর কিছু দেয় না। ইশতিয়াক রউফের পোস্টের সাথে শতভাগ একমত হলাম। সচলায়তনের এসব নিয়মকে নিয়ম বলে মনে হয়নি কখনো, সতস্ফুর্ত ভাবেই এসেছে, সেটা সচলায়তনের প্রতি সচলদের ভালোবাসার জন্য।


ওয়েবসাইট | ফেসবুক | ইমেইল

অমিত এর ছবি

রাগিব এর ছবি

এখানে কতগুলো ব্যাপার একটু পরিস্কার, to the point জানাটা দরকার। যেমন

#১ নিজের লেখা অন্যত্র, যেমন পত্রিকায় যদি ছাপা হয়, তাহলে এখানে তুলে দেয়া যাবে কি?

#২ নিজের লেখা অন্য ব্লগে ছাপা হয়ে থাকলে এখানে কয় দিন পরে দেয়া জায়েজ? এক দিন, এক সপ্তাহ, এক মাস, এক বছর, কখনোই না -- কোনটি?

#৩ এই ব্লগে কিছু ছাপা হলে কয় দিন পরে তা অন্য ব্লগে দেয়া যাবে? এক দিন, এক সপ্তাহ, এক মাস, এক বছর, কখনোই না -- কোনটি? নাকি, সচলায়তনের প্রথম পাতা পেরিয়ে গেলে তা অন্য ব্লগে দেয়া যাবে?

#৪ উইকিপিডিয়া বা অন্য তথ্যউৎস থেকে কপিরাইট ভঙ্গ না করে এখানে কিছু দেয়া যাবে কি?

#৫ একইভাবে, অন্যত্র (যেমন ইউটিউব) প্রকাশিত ভিডিও এখানে পোস্ট করা যাবে কি?

---

সচল লেখকদের "সুবিবেচনা"র উপরে এগুলো ছেড়ে দিলে কিন্তু নানা মুনির নানা মতে নানা ব্যাখ্যা আসবে, যা হয়তো মডারেটরদের চিন্তাধারার সাথে মিলবে না, এবং এই পোস্টে বর্ণিত ভুলবোঝাবুঝির মতো ঘটনা হতে থাকবে। কাজেই এখানে যদি একটি এই ব্যাপারগুলো পরিস্কার করে নীতিমালা আকারে দিয়ে দেয়া যায়, (প্রতি পাতার তলার "জিজ্ঞাস্য" অংশে দেয়া যেতে পারে), তাহলে সবারই উপকার হবে।

----------------
গণক মিস্তিরি
ভুট্টা ক্ষেত, আম্রিকা
http://www.ragibhasan.com

----------------
গণক মিস্তিরি
জাদুনগর, আম্রিকা
ওয়েবসাইট | শিক্ষক.কম | যন্ত্রগণক.কম

ধ্রুব হাসান এর ছবি

জরুরী বিষয়াবলী তুলে ধরেছেন আপনি। আসলেই এভাবে খোলাসাভাবে নীতিমালাগুলো থাকলে হয়তো অনেক ভুল বুঝাবুঝি এড়ানো যায়। আশা করি মুডুগণ তাদের এই সুন্দর প্লাটফর্মকে সচলের স্বার্থেই তাদের নানা ধরনের নীতিমালার নিয়ত আপগ্রেড করবেন ।

সৌরভ এর ছবি


আবার লিখবো হয়তো কোন দিন

ক্যামেলিয়া আলম এর ছবি

লেখক মিয়া আপনে -------- নতুন দিয়া মুখ বন্ধ কইরা দেন না --- কি দরকার নিয়ম নিয়া টানা হ্যাচড়ার ----- যার যা কিছু স্বজন প্রীতি থাকুক আপনার দেখার দরকার কি? আপনের যোগ্যতা থাকলে যে কোন মিডিয়াতে টিকা থাকবেন নাইলে ঝইরা যাবেন --- এ নিয়া মন কষাকষির কিছু নাই ------- আর নতুন লেখা লেখেন বেশি কইরা ------- পরে এ চর্চার জন্য সচলায়তনের কাটাছিড়া কমিটিকে ধন্যবাদ দিয়া কুল পাইবেন না-----

তবে আমারও প্রশ্ন আমি নেট ছাড়া কাগজের নোটে ছাপাবার জন্য দিতে পারব কিনা? কারণ আমি জানি যে শুধু নেট-এর কোন ব্লগে দিতে পারব না তাই এর মধ্যে আমি একখান গল্প ছাপাখানায় দিয়া দিছি -------। পত্রিকার নাম আইকনস।

( রাহা, ভাই আপনে রাগ কইরেন না আমার উপর------ আমি নিরীহ প্রানী-------- কারও বকা সহ্য করতে পারিনা)
.....................................................................................
সময়ের কাছে এসে সাক্ষ্য দিয়ে চ'লে যেতে হয়
কী কাজ করেছি আর কী কথা ভেবেছি..........

.....................................................................................
সময়ের কাছে এসে সাক্ষ্য দিয়ে চ'লে যেতে হয়
কী কাজ করেছি আর কী কথা ভেবেছি..........

সচলায়তন এর ছবি

রাহার আপত্তিকর মন্তব্য ও হিমুর অভিযোগ মুছে দেয়া হলো।

সদস্যদের অবগতির জন্যে জানানো হচ্ছে, বিতর্ক যেন গালাগালির দিকে না যায়, সেদিকে আপনাদের সদয় মনোযোগ কাম্য।



সচলায়তন.COM কর্তৃপক্ষ

_________________________________
সচলায়তন.COM কর্তৃপক্ষ

বিবাগিনী এর ছবি

ইশতি ঠিক বলেছে হাসি

‌‌::একাকিত্বের বিলাস আমার অনেকদিনের সাধ::

‌‌::একাকিত্বের বিলাস আমার অনেকদিনের সাধ::

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।