১৩টি ক্রিকেটিয় জোকস, ১টি ফাউ

মৃদুল আহমেদ এর ছবি
লিখেছেন মৃদুল আহমেদ (তারিখ: মঙ্গল, ১০/০৬/২০০৮ - ৬:৫৭অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

১.
তোড়সে ব্যাট চালিয়ে লাঞ্চ আওয়ারে প্যাভিলিয়নে ফিরল এক ব্যাটসম্যান। সবাই তাকে বাহবা জানাচ্ছে, ফুর্তির চোটে বেশ খানিকটা ড্রিঙ্ক করে ফেলল সে। তার কিছুক্ষণের মধ্যেই সে আবিষ্কার করল সবকিছুই সে তিনটা করে দেখতে পাচ্ছে। মহা মুশকিল! উপায়ন্তর না দেখে মাঠে যাওয়ার আগমুহূর্তে কোচকে ব্যাপারটা খুলেই বলল সে। কাঁদো কাঁদো মুখে বলল, এখন কী করব আমি, সামনে তিনটা বল ছুটে আসছে দেখলে কোন বলটা পেটাব? কোচ তাকে ধমকাধমকি না করে সান্ত্বনা দিয়ে বলল, অসুবিধা নেই, তিনটা বল ছুটে আসতে দেখলে তুমি ঠিক মাঝখানের বলটাকেই পেটাবে! ঠিক আছে?
ব্যাটসম্যান মাথা নাড়িয়ে সায় দিয়ে ফিরে গেল মাঠে। এবং প্রথম বলেই বোল্ড! প্যাভিলিয়নে ফিরে আসতেই কোচ চেঁচামেচি শুরু করল, আমি তোমাকে না বলেছিলাম তিনটা বলের মাঝখানের বলটা পেটাতে! ব্যাটসম্যান আরো কাঁদে কাঁদো মুখে বলল, ওটাই তো পিটিয়েছিলাম ! কিন্তু তিনটা ব্যাটের ডানদিকের ব্যাটটা দিয়ে পিটিয়েছিলাম যে!

২.
দুই ব্যাটসম্যান একজন আরেকজনকে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী মনে করে। দুজনেরই ভেতরেই সবসময় চাপা রেষারেষি কাজ করে। একদিন তারা পাশাপাশি হাঁটতে হাঁটতে কথা বলছিল। কথায় কথায় একজন বলল, স্থানীয় এক ক্লাব আমাকে একটা অন্যরকম প্রস্তাব দিয়েছে। তারা চায়, আমি তাদের প্রতিদ্বন্দ্বী ক্লাবে জয়েন করে খারাপ খেলে তাদেরকে যেন জিতিয়ে দেই। এজন্য তারা আমাকে বিরাট অঙ্কের টাকা অফার করেছে। কিন্তু বুঝতে পারছি না, কাজটা ঠিক হবে কিনা!
দ্বিতীয়জন সঙ্গে সঙ্গে বলল, এত চিন্তা করার কী আছে, তুমি তো বিনা পয়সাতেই এই কাজটা বরাবরের মতো করে আসছ!

৩.
খানিক আগেই আউট হয়ে যাওয়া এক ব্যাটসম্যান প্যাভিলয়নে বসে দেখছিল তার দল ক্রমশই হেরে যাচ্ছে। খেলা দেখতে দেখতে সে মুখ গোমড়া করে বসে আছে, এমন সময় তার এক বন্ধু এসে কানে কানে বলল, দোস্ত, একটা খুবই খারাপ খবর আছে, তোর বাড়িতে আগুন লেগে সারা বাড়ি পুড়ে ছাই, তোর ছেলে-মেয়ে-বৌ রাস্তার ওপরে বসে হাপুস নয়নে কাঁদছে!
ব্যাটসম্যান বিষণœ মুখে তার দিকে ফিরে বলল, আমি এর থেকেও একটা খারাপ খবর তোকে দিতে পারি! আমাদের লাস্ট ব্যাটসম্যান এইমাত্র আউট হয়ে গেল!

৪.
একটা বিতর্কিত রানআউটের পর আউট হয়ে যাওয়া ব্যাটসম্যান প্যভিলিয়নের দিকে ফিরে যাচ্ছিল, আম্পায়ারের পাশ দিয়ে যাবার সময় সে বলল, দেখুন, আমি কিন্তু সত্যি সত্যি আউট ছিলাম না!
আম্পায়ার বলল, বটে! সত্যি নাকি মিথ্যা, সেটা কালকের পত্রিকাতেই জানতে পারবে!

৫.
ব্যাটসম্যান ছক্কা পেটাবার পর বলটা দর্শকদের ভিতরে গিয়ে পড়েছিল। একজন ফিল্ডার আস্তে আস্তে দৌড়ে গেল সেদিকে। বলটা ফেরত চাইল। কিন্তু বলটা কিছুতেই খুঁজে পাওয়া গেল না। দর্শকদের ভেতর বসে ছিল এক কমবয়েসী ছোকরা। সে খুব নিরীহ মুখে জানাল, আমার মনে হয়, বলটা বোধহয় এদিকে পড়ে নি। তবে আমি বাড়ি থেকে একটা বল নিয়ে এসেছি, আপনার খুব প্রয়োজন হলে একশ টাকা দিয়ে সেটা কিনতে পারেন। নেবেন?

৬.
এক দুর্দান্ত ব্যাটসম্যান এক ফাস্ট বোলারকে অ্যায়সা নাজেহাল করে সমানে ছয়-চার পেটাচ্ছিল। এমন সময় প্যাভিলিয়ন থেকে একজন দৌড়ে এসে তার কানে কানে কী যেন বলে যাওয়ার পর থেকেই ব্যাটসম্যানের খেলা পড়ে গেল। তাকে খুব অধৈর্য দেখাচ্ছিল। ফাস্ট বোলার তার বল করার আগে আস্তে আস্তে যখন তার দৌড় শুরু করার জায়গায় যাচ্ছিল, তখন ব্যাটসম্যান চেঁচিয়ে আম্পায়ারকে বলল, আমার বাড়ি থেকে এইমাত্র খবর এসেছে আমার স্ত্রী খুবই অসুস্থ, সে আমাকে এখনই দেখতে চায়। আম্পায়ার সাহেব কি দয়া করে ঐ হতভাগা বোলারটাকে একটু বলবেন, সে যেন তার দৌড়ের জায়গাটাকে আরো একটু ছোট করে!

৭.
একবার স্বর্গের দেবতারা আর নরকের শয়তানেরা মিলে ক্রিকেট খেলবে বলে ঠিক করল। স্বর্গের দেবতারা খেলায় জিত নিয়ে খুবই আত্মবিশ্বাসী, কারণ সব ভালো ভালো ক্রিকেটাররা স্বর্গে তাদের সঙ্গেই আছেন। কিন্তু শয়তানদের এই নিয়ে খুব বেশি চিন্তিত দেখা গেল না। তাদের নিশ্চিন্ত ভাবভঙ্গি দেখে এক দেবতা এক শয়তানকে ডেকে বলল, কী ব্যাপার, ভালো ভালো ব্যাটসম্যান তো সব আমাদের এখানে, কিন্তু তোমাদেরকে বিশেষ চিন্তিত মনে হচ্ছে না! শয়তান সঙ্গে সঙ্গে দাঁত বের করে শয়তানি হাসি দিয়ে বলল, তোমাদের যতই ব্যাটসম্যান থাকুক, আম্পায়ারগুলো তো সব আমাদের এখানে!

৮.
এক স্লিপের ফিল্ডার সারাদিনের খেলায় কমসে কম আটটা ক্যাচের বল হাত থেকে ফেলে দিয়েছে। সেই খেলায় হেরে যাবার পর ম্লান মুখে সবাই বসে আছে, এমন সময় সেই ফিল্ডার ক্যাপ্টেনের কাছে ছুটি চাইতে এল। বলল, আমাকে এখনই ছুটি দিতে হবে, সন্ধ্যা ছটার ট্রেনে বাড়ি যাব, টিকেট কেটে রেখেছি!
ক্যাপ্টেন বিরস বদনে তার দিকে তাকিয়ে বলল, ছুটি দিতে আমার আপত্তি নেই। কিন্তু ট্রেনটা ধরতে পারবে তো?

৯.
এক ক্রিকেট ভিজিটিং টিম গ্রামে গিয়েছিল সেখানকার লোকদের আয়োজনে এক ক্রিকেট খেলা দেখতে। সেখানে গিয়ে তারা দেখে, সেখানে কোনো স্কোরবোর্ডের ব্যবস্থা নেই । টিমের লোকজন তখন সেই গ্রাম্য আয়োজকদের জিজ্ঞেস করল, আপনারা কোনো স্কোরবোর্ড রাখেন নি, তাহলে খেলার হিসেব রাখেন কী করে?
একজন আয়োজক দাঁত বের হেসে জানাল, দুই দলই মনে মনে হিসেব রাখে, তারপরও যদি দু-একদিন মতান্তর হয়, তখন হাতের কাছে লাঠিসোটা যা কিছু পায়, তাই নিয়ে মাঠে নেমে পড়ে একটা মীমাংসা করে ফেলে!

১০.
এক গ্রামের দাওয়াতে সেখানে বড় বড় দুই দল ক্রিকেট খেলতে গেল। দেখা গেল, সবই আছে, শুধু নেই একজন আম্পায়ার। সেই ভিড়ের গ্রাম্য লোকজনদের ভেতর থেকেই একজন আনকোরা আম্পায়ার খুঁজে বের করা হল। তাকে সাদা সার্ট-প্যান্ট, কোট পরানো হল। তারপর সে এক দলের ক্যাপ্টেনের কাছে এল, বলল, এবার আমাকে একটু খেলার নিয়মকানুন শিখিয়ে দিন!
ক্যাপ্টেন বলল, নিয়মকানুন! খুবই সহজ! এখন আমাদের দল বল করছে। আমাদের ফিল্ডাররা যখন সবাই একসঙ্গে ‘হাউজ দ্যাট’ বলে চেঁচিয়ে উঠবে, তখন তুমি তোমার এক আঙ্গুল উঁচিয়ে হাতটা তুলে ধরবে। আপাতত এটুকুই শিখে রাখ, আমরা যখন ব্যাটিং করতে নামব, তখন বাকিটুকু শিখিয়ে দেব!

১১.
এক লোক সবসময় ক্রিকেট নিয়ে মেতে থাকে। একদিন তার বৌ গোমড়া মুখে তাকে বলল, তোমার শুধু সবসময় ক্রিকেট আর ক্রিকেট ! তুমি তো বোধহয় আমাদের বিয়ের তারিখটাও বলতে পারবে না!
লোকটি লাফিয়ে উঠে বলল, ছি ছি, তুমি আমাকে কী মনে কর! আমি কি এতই পাগল নাকি? আমার ঠিকই মনে আছে, যেবার শ্রীলঙ্কার সঙ্গে ইন্ডিয়ার খেলায় টেন্ডুলকর এগার রানের মাথায় মুত্তিয়া মুরলিথরনের বলে আউট হয়ে গেল, সেদিনই তো আমাদের বিয়ে হল!

১২.
এক দুর্দান্ত ফাস্ট বোলারের সামনে কোনো ব্যাটসম্যানই টিকতে পারছিল না। সাত নম্বর ব্যাটসম্যান মাঠের দিকে যাবার সময় প্যাভিলিয়নের গেট দিয়ে বেরিয়ে আবার গেটটাকে আটকাতে যাচ্ছিল, তখন ভিড়ের ভেতর থেকে একজনের জোর গলার মন্তব্য, খামোখা কষ্ট করছেন কেন দাদা? একটু পরেই তো ফিরবেন, তখন না হয় আটকে দেবেন!

১৩.
ভারতীয় ক্রিকেট দলের লাগাতার ব্যর্থতা নিয়ে ভারতীয়দের মধ্যে যথেষ্ট ক্ষোভ রয়েছে। সেগুলোর প্রতিফলন ছড়িয়ে আছে বিভিন্ন জোকসে। সেরকমই দুটি জোকস :

হ্যালো, আজহারউদ্দিন আছে? আমি ওর ফ্রেন্ড বলছি!
আমি আমি ভারতীয় দলের টিম ম্যানেজার বলছি। আজহার তো এইমাত্র ব্যাট করতে মাঠে নামল। আপনি একটু কষ্ট করে পরে আবার ফোন করুন!
না, না, আমি ধরছি! আজহার এখনই ফিরে আসবে!

এক দম্পতির বিবাহবিচ্ছেদ হয়ে গেল। তাদের নাবালক মেয়েটিকে জিজ্ঞেস করা হল, তুমি কার সঙ্গে থাকতে চাও, মায়ের সঙ্গে?
মেয়েটি বলল, না, মা বড্ড পেটায়!
তাহলে বাবার সঙ্গে?
না, বাবাও ভীষণ পেটায়!
তাহলে কার সঙ্গে থাকতে চাও?
ভারতীয় ক্রিকেট টিমের সঙ্গে। ওরা ভারী ভালোমানুষ, চাইলেও পেটাতে পারে না!

(জোকসগুলো অনুবাদ করা হয়েছিল আজকের কাগজের জন্য। ২০০২-এ। পুরনো চাল নাকি ভাতে বাড়ে। পুরনো মদও একই পন্থা অবলম্বন করে চলে। পুরনো জোকসও সেই একই ধর্মের অনুসারী কিনা বলা মুশকিল। সেটা বোধহয় আপনারাই ভালো বলতে পারবেন। তবে ত্রিজাতি ক্রিকেটের এই সময়ে কারো কারো হয়ত ভালো লেগে থাকতেও পারে।)


মন্তব্য

অতিথি লেখক এর ছবি

তবে ত্রিজাতি ক্রিকেটের এই সময়ে কারো কারো হয়ত ভালো লেগে থাকতেও পারে।

ভালো লাগলো মৃদুল ভাই।

পান্থ রহমান রেজা

অতন্দ্র প্রহরী এর ছবি

জোস! তবে বেশি ভালো লাগল ১, ২, ৭, ৮, ১১, ১৩ এবং ফাউ জোকটা। এরকম আরো জোক ছাড়েন দেঁতো হাসি

দ্রোহী এর ছবি

কয়েকটা আগে পড়া ছিল। কয়েকটা দারুন।


কি মাঝি? ডরাইলা?

ইশতিয়াক রউফ এর ছবি

আরেকটা জোক সংযোগ করুন। "বাংলাদেশের একটি ক্রিকেট টিম ছিল"।

দ্রোহী এর ছবি

হাঃ হাঃ হাঃ হাঃ হাঃ

এইটা কড়া!!!!!!!!!!!


কি মাঝি? ডরাইলা?

লুৎফুল আরেফীন এর ছবি

খারাপ না। কয়েকটা সত্যিই ফাটাফাটি হাসি

___________________________
বুড়োরা সবাই সমস্বরে বললো, "নবজন্ম", আমি চাইলাম "একটা রিওয়াইন্ড বাটন"

সংসারে এক সন্ন্যাসী এর ছবি

‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍আজ পাকিরা হেরেছে। আহ্! কী তৃপ্তি!

~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
মৌমাছির জীবন কি মধুর? চিন্তিত

~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
টাকা দিয়ে যা কেনা যায় না, তার পেছনেই সবচেয়ে বেশি অর্থ ব্যয় করতে হয় কেনু, কেনু, কেনু? চিন্তিত

রেনেট এর ছবি

শুধু হারা? গো হারা বললেও কম বলা হয় হো হো হো
-----------------------------------------------------
We cannot change the cards we are dealt, just how we play the hand.

---------------------------------------------------------------------------
একা একা লাগে

রায়হান আবীর এর ছবি

আহ্‌ বড় শান্তি।

আমার জন্য একটু বেশী কারণ টিভিরুমে শালাদের সাথে ঝগড়া হইছে। ফুটবল খেলা দেখতে দিবো না। ক্রিকেট খেলা দেখা নাকি তাগো অধিকার। হারতেছে তাও লজ্জা নাই। শালারা মানুষ হৈব না।

---------------------------------

সংসারে এক সন্ন্যাসী এর ছবি

@ রেনেট
‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍@ রায়হান আবীর

(বিপ্লব)

~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
মৌমাছির জীবন কি মধুর? চিন্তিত

~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
টাকা দিয়ে যা কেনা যায় না, তার পেছনেই সবচেয়ে বেশি অর্থ ব্যয় করতে হয় কেনু, কেনু, কেনু? চিন্তিত

ধুসর গোধূলি এর ছবি

- কন এইহানে ফাও ফাও দুইচাইরটা মাইরা দিলাম-

*. স্যার ডন ব্র্যাডম্যানের সময়ের একটা ম্যাচের কথা বলি। তখন ক্রিকেটের অনেক নিয়ম কানুনই পাকাপোক্তভাবে আসেনি। অস্ট্রেলিয়া ইংল্যাণ্ডের একটা ম্যাচ চলছে তখন। অস্ট্রেলিয়ান ইনিংস। বেলা শেষের দিকে উইকেটের টার্ণ কাজে লাগিয়ে স্পিনাররা বল করছেন। এরকমই এক ঘূর্ণীবলে মারতে যাবার আগে পা পিছলে পড়ে গেলেন ব্যাটসম্যান আর বল গিয়ে আঘাত করলো ঠিক তার মাথায়। না ভাইসব ভয় পাইয়েন না, রমন লাম্বার মতো কিছু হয়নি, মাথায় হেলমেট ছিলো! কিন্তু ঘটনা প্যাঁচ খাইছে অন্য জায়গায়। স্ট্যাম্পের সামনে ঠ্যাঙ থাকলে এলবিডব্লিউ দেয়া যায়, মাথা থাকলে কি আউট দিবে আম্পায়াররা?

এই নিয়ে রীতিমতো হাউকাউ। আউট হয়েছে এটা কনফার্ম শুধু টাইপটা নিয়েই জটলা। পরে অনেক হুমড়িতুমড়ির পর ঠিক হলো, 'এইচবিডব্লিউ'। বিশ্বাস করেন, ক্রিকেট ইতিহাসে এটাই একমাত্র 'এইচবিডব্লিউ' আউট, মানে "হেড বিফোর দ্যা উইকেট!"।।

**. আঠারশো শতকের কোন এক সময় ক্রিকেট খেলায় ব্যাটসম্যান ডেনিস লিলি টাইপের বলে খিইচ্যা আতাইল্যা ব্যাট চালাইয়া শরীরের ভারসাম্য আর রক্ষা করতে না পেরে পিছলা খেয়ে পড়ে গেলো ক্রিজে আর বল সোজা স্ট্যাম্পস উপড়ে ফেলে চলে গেছে কীপারের হাতে। আউট!!!

ফিল্ডাররা যখন আউট উদযাপনে ব্যস্ত, সহযোদ্ধা ব্যাটসম্যান দলের বিপর্যয়ে চোখ বন্ধ করে প্রার্থনারত, আম্পায়ারদ্বয় নিজেদের ওয়াইফ নিয়ে 'বীচিং'-এ মগ্ন, আউট হওয়া ব্যাটসম্যান তখন মাটিতে পড়ে থাকা ব্যাটখানা বগল দাবা করে প্যাভিলিয়নের দিকে হাঁটা শুরু করলেন।

বাউণ্ডারী লাইনের কাছে এসে হঠাতই কোন এক ফিল্ডারের চিতকার কানে এলো তার। কী ব্যাপার, আউট হওয়া ব্যাটসম্যানকে আবার ডাকে কেনো? খুব বিরক্তিভরে পেছন ফিরে তাকালেন। এক কামান গালি ছুড়তে যাবেন অমনি তাকিয়ে দেখেন এক আম্পায়ার তারদিকে ভুড়ি দুলিয়ে দৌড়ে আসছেন আর বলছেন, "আরে করছো কি!! দিয়ে যাও বলছি, দিয়ে যাও..."!

একেতো মনের ক্ষেদ তারওপর পেছন থেকে ডাকাডাকি! আম্পায়ারের মাথা বরাবর বারি দেবার জন্য বগলের ব্যাটটা রেডি করতে গিয়ে বেচারা ব্যাটসম্যান সামনে তাকিয়ে দেখেন ক্রিজে তার ব্যাট পড়ে আছে, মানে ব্যাটের বদলে পড়ে থাকা স্ট্যাম্প বগলে নিয়ে হাঁটা দিয়েছেন বাল্লেবাজ মহাশয়!

___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক

মামুন-উর-রশীদ এর ছবি

আমি আমার বিদ্যা জাহির করার চেষ্টা করছি না, শুধু একটা তথ্য দিতে চাচ্ছি- ব্র্যাডম্যানের মতো করে শচিন একবার আউট হয়েছিলো।

এমন ঘটনা আর কি ঘটেছে?---
ওয়ানডে ইনিংসের শেষ ওভার বল করছেন একজন বোলার (কোন ফাষ্ট বোলার নয়, এমনকি নিয়মিত বলও করেন না) বিপক্ষ দলের দলনায়ক ঐ ওভারটি মেডিন খেললেন। তখনও জিততে হলে ৭০ রান দরকার আর হাতে সম্ভবত ৩ টি উইকেট ছিলো।

যদি কেউ জানেন তাহলে জানাইয়েন, সম্ভবত এমন ঘটনা কখনই ক্রিকেটে ঘটে নাই।

সংসারে এক সন্ন্যাসী এর ছবি

‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍আমিও তাব্দা খবরটা শুইনা!

~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
মৌমাছির জীবন কি মধুর? চিন্তিত

~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
টাকা দিয়ে যা কেনা যায় না, তার পেছনেই সবচেয়ে বেশি অর্থ ব্যয় করতে হয় কেনু, কেনু, কেনু? চিন্তিত

অতিথি লেখক এর ছবি

হা হা হাঃ খুব মজা পাইলাম মৃদুল ভাই, ধুগো ভাই দুজনের জোকস গুলো পড়ে।
তবে মৃদুল ভাইকে বলছি - এরকম ফাঁকি আর কতদিন চলবে? আপনার দুর্দান্ত ছন্দের দুধর্ষ ছড়াগুলো কই গেল? বেশি দেরী করলে কিন্তু আলটিমেটাম খাইবেন কইয়া দিলাম।

কীর্তিনাশা

মৃদুল আহমেদ এর ছবি

উফফ! পোলাপান খালি ফাঁকি ধরে!
তবে সচলের সবাই যে পাকিদের বিরুদ্ধে পুরো একাট্টা, আমার জন্য এটা ভারী শান্তির বিষয়! সারাজীবন চোখের সামনে শুধু পাকিস্তানের নামে গলা ফাটাতে দেখলাম পোলাপানেরে... দুর্ভাগ্য!
---------------------------------------------
বুদ্ধিমানেরা তর্ক করে, প্রতিভাবানেরা এগিয়ে যায়!

--------------------------------------------------------------------------------------------
বললুম, 'আমার মনের সব কপাট খোলা ভোজরাজজী। আমি হাঁচি-টিকটিকি-ভূত-প্রেত-দত্যি-দানো-বেদবেদান্ত-আইনস্টাইন-ফাইনস্টাইন সব মানি!'

অতিথি লেখক এর ছবি

৭, ৯, ১০ নাম্বারগুলো জটিলস্য জটিল।
ধন্যবাদ মৃদুলদা।
---- মনজুর এলাহী ----

অতিথি লেখক এর ছবি

হেহে!! ৭ বেশি জুশ।
বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের নিয়ে কিছু লেখেন নাইক্কা?

বোহেমিয়ান

অতিথি লেখক এর ছবি

৭। নাম্বারটা চরম হৈসে । সিলেক্টর আর পিচ কিউরেটর দেরও বদমাইশীর কারনে নরকে খোজা যেতে পারে । হাসি
মাঠ আর প্লেয়ার উল্টাপাল্টা করলে -- খেলায় জিততে কতোক্ষন লাগে আর ।
---
ক্রিকেট রংগ নামে সেবার একটা বই ছিলো -- সেখানে থেকে একটা মনে পড়লো --
ইন্ডিয়ায় এসেছে ব্রিটিশ কোন টিম । ইন্ডিয়ার আতিথ্যে হেভি খানাদানা করে সবাই অস্থির । তো পরেরদিন খেলা শুরু হচ্ছে ।
ব্যাটসম্যান আম্পায়ায় ফিল্ডার সবাই জায়গা মতো রেডি ।
বোলার প্রথমবলটা করতে দৌড় দিলো । আম্পায়ার কে পেরিয়ে গেলো । বল ছুড়লো না । ডেড বল । বোলার দৌড়াতে দৌড়াতে ব্যাটসম্যানকে পেরিয়ে গেলো , উইকেট কিপারকে ও । ষ্টেডিয়ামের সবাই উৎসুক হয়ে উঠলো -- "ঘটনা কি ?"।
বোলার বাউন্ডারী কর্ডন পার করে -- সোজা ড্রেসিং রুমে ।
পুরো মাঠ এই অভাবনীয় ঘটনায় অবাক ।
শেষে আম্পায়ার আর টীমের সাথে কথা বলে অধিনায়ক রওনা হলেন ড্রেসিংরুমের দিকে ।
ড্রেসিংরুমের বাথরুমের কাছে গিয়ে অধিনায়ক বল্লেন "কি হে সমস্যা কি ?"
বোলার-- "পেটটা হঠাৎ মোচড় দিলো !"
অধিনায়ক -- "তো সেটা ভালো কথা -- তুমি তো এটলিষ্ট বলটা বাথরুমে না নিয়ে ঢুকলেও পারতে " দেঁতো হাসি

--

Imtiaz Mirza

শাহেনশাহ সিমন এর ছবি

মৃদুলদা আর জোকস দেন না যে?
_________________
ঝাউবনে লুকোনো যায় না

_________________
ঝাউবনে লুকোনো যায় না

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।