চন্দ্রাবতরণের ৩৫ বছর পূর্তি: তিন ক্রু’র সাক্ষাৎকার

শিক্ষানবিস এর ছবি
লিখেছেন শিক্ষানবিস (তারিখ: বিষ্যুদ, ২৭/০৩/২০০৮ - ১:১৫অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

কলিন্স, বুশ, আর্মস্ট্রং, অলড্রিন
বুধবার, ২১শে জুলাই, ২০০৪; সময়: বিকাল ৪:৪৭ ইডিটি (২০:৪৭ জিএমটি)

ওয়াশিংটন (সিএনএন) — বিংশ শতাব্দীর সবচেয়ে চাঞ্চল্যকর ঘটনা হল মানুষের চাঁদে অবরণ। সেই ঘটনার পর ৩৫টি বছর পেরিয়ে গেছে।

এই চিরস্মরণীয় দিনের ৩৫তম বার্ষিকী উপলক্ষ্যে রাষ্ট্রপতি জর্জ বুশ ওভাল অফিসে অ্যাপোলো ১১’র ক্রুদেরকে অভ্যর্থনা জানান। অভ্যর্থনা অনুষ্ঠানের পর সিএনএন-এর সাংবাদিক মাইল্‌স ও’ব্রিয়েন এই ক্রু সদস্যদের সাক্ষাৎকার গ্রহণ করেন।

ও’ব্রিয়েন: অ্যাপোলো ১১’র ক্রুদের এমন সম্মিলন বেশ বিরল। আজ থেকে ৩৫ বছর আগে এই দিনেই প্রথম বারের মত চাঁদের মাটিতে অবতরণ করেছিল মানুষ। এই তিনজনের দুইজনই সেই মাটিতে হেটেছিলেন। আর যিনি চাঁদে নামেননি, তাকে সেই সময় পৃথিবী ও পৃথিবীর বাইরের সবচেয়ে নিঃসঙ্গ মানুষ হিসেবে বর্ণনা করা হয়েছিল।

আমাদেরকে আজ সঙ্গ দিচ্ছেন সেই নিল আর্মস্ট্রং, মাইকেল কলিন্স এবং বাজ অলড্রিন। অ্যাপোলো ১১’র এই ক্রুবৃন্দ প্রেসিডেন্টের সাথে কিছুটা সময় কাটিয়েই এখানে এসেছেন। কমান্ডারের সাথেই প্রথমে কথা বলা যাক। প্রেসিডেন্ট আজ কেমন আছেন? মহাকাশ অভিযানের বর্তমান উদ্যোগগুলো সম্বন্ধে কি বললেন তিনি?

আর্মস্ট্রং: এই সকালে প্রেসিডেন্ট বেশ খোশ মেজাজেই ছিলেন। তিনি আমাদের সাথে যতটা না কথা বলেছেন — তার চাইতে বেশী ধন্যবাদ দিয়েছেন হোয়াইট হাউজে আসার জন্য। কিন্তু, ভবিষ্যৎ সম্বন্ধে তিনি তেমন কিছুই বলেননি। তার কথার মূল বিষয় ছিল দেশের বর্তমান চরিত্র।

ও’ব্রিয়েন: এবং আপনি কি সেই কথাগুলোই একটু খুলে বলতে পারবেন? ঠিক কি কি বলেছেন তিনি?

আর্মস্ট্রং: বেশ। আমাদের ঐতিহ্য বিষষে তিনি যে জ্ঞান রাখেন এবং এ বিষয়ে যে উৎসাহ দেখিয়েছেন তা দেখে আমি আসলেই মুগ্ধ।

ও’ব্রিয়েন: এবার মাইকেল কলিন্সকে জিজ্ঞাস করবো। নাসার পক্ষ থেকে চাঁদে ফিরে যাওয়া এবং মঙ্গল গ্রহে মানুষ প্রেরণের জন্য নতুন করে কথা উঠছে। অবশ্যই, দৈনন্দিন প্রেক্ষাপটে চিন্তা করলে, অনেক সমস্যা রয়েছে এতে। যেমন, অর্থের যোগান দেয়া একটা বড় ধরণের সমস্যা।

৩৫ বছর আগে চাঁদের মাটিতে পা রেখে আপনারা যে জয়যাত্রা শুরু করেছিলেন কোন না কোনভাবে আবার সেই ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটবে, এ ব্যাপারে আপনি কি আশাবাদী?

কলিন্স: অবশ্যই আমরা অন্য গ্রহে যাবো। আর এই যাত্রায় মঙ্গল অভিযানই হতে পারে সবচেয়ে যুক্তিযুক্ত। এটি এক বিস্ময়কর গ্রহ, চাঁদের থেকেও অনেক বেশী রহস্যময়।

সম্প্রতি আপনি দেখবেন, মঙ্গল থেকে বিপুল পরিমাণ তথ্য আসছে। আমি দেখতে চাই সেই তথ্যকে অনুসরণ করে একসময় মানুষ যেতে শুরু করবে মঙ্গলে, জনবহুল করে তুলবে সে গ্রহটিকে।

ও’ব্রিয়েন: এই সাক্ষাৎকারটি যদি আমি ৩৫ বছর আগে নিতাম, তাহলে আপনারা কি ভবিষ্যদ্বাণী করতেন না যে, যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে মহাকাশে আরও স্থায়ী বসতি স্থাপনের উদ্যোগ নেয়া হবে?

কলিন্স: আমি কখনই খুব একটা ভাল ভবিষ্যৎ বক্তা ছিলাম না।

ও’ব্রিয়েন: তার মানে, আপনার ভবিষ্যদ্বাণীটা কি সেরকম নাও হতে পারতো?

কলিন্স: হতেও পারতো, আবার নাও হতে পারতো। ঠিক বলা যাচ্ছে না।

ও’ব্রিয়েন: বাজ অলড্রিন, বর্তমানে মহাকাশ প্রোগ্রাম নিয়ে আপনার চিন্তাভাবনা কেমন? কেন ৩৫ বছর পরও এই অবস্থায় আমরা, যেখানে আমাদের এগিয়ে থাকার কথা ছিল নির্দিষ্ট কোন গন্তব্যের দিকে?

অলড্রিন: সেই সময়গুলোতে আমরাই অগ্রগামী ছিলাম। অগ্রগতির যুগে সবকিছুর গতি একটু বেশীই হয়ে থাকে। সে সময় পৃথিবীতে প্রতিযোগিতা ছিল এবং সেই প্রতিযোগিতাই উস্কে দিয়েছিল সবকিছু। কিন্তু বর্তমানের অবস্থা অনেকটাই ভিন্ন। বর্তমান বিশ্বে আমরা প্রতিযোগিতা নয়, বরং সহযোগিতা চাচ্ছি।

এবং আমি মনে করি, আমাদের আরও বিপ্লবী পদক্ষেপ গ্রহণ করা উচিত। আমি অনেক আশা করে আছি যে, মানুষ মঙ্গলের পথে পা বাড়াবে। তবে ততদূর যাওয়ার আগে আমাদের উচিত চাঁদে ফিরে যাওয়া। চাঁদের পর গ্রহাণু এবং মঙ্গলের উপগ্রহগুলোতে আর তারপর মঙ্গলে। সাধ্যমত এগিয়ে নিয়ে যাওয়া উচিত মহাকাশ অভিযানকে, আমাদের অর্থে যতদূর কুলোয় ততদূর।

ও’ব্রিয়েন: নিল আর্মস্ট্রং, নাসার প্রতি বুশ প্রশাসনের বর্তমান উপদেশ হচ্ছে ধীরলয়ে এক পা এক পা করে এগিয়ে যাওয়া। আপনি কি মনে করেন এটা কাজে দেবে? অ্যাপোলোর দিনগুলোতে আপনারা যে অভিজ্ঞতা লাভ করেছিলেন তার সাথে কিন্তু এই অগ্রগতির কোন মিলই নেই।

আর্মস্ট্রং: হ্যা, এই অগ্রগতিটা একেবারে ভিন্ন রকম। এবং পরিকল্পনার বিস্তারিত কিছুই আমি জানি না। আমি মনে করি পরবর্তী কয়েক বছর ধরে এই অগ্রগতি আরও বিবর্তিত হবে, অন্তত নাসা এবং অন্যান্য প্রযুক্তিকেন্দ্রিক সম্প্রদায়ের মধ্যকার আলোচনায় তা-ই প্রতীয়মান হচ্ছে। তাই কয়েক বছর পর পরিকল্পনার কাঠামোয় রসদ যোগ করা হবে এবং তখনই কেবল আমরা বুঝতে পারবো, আসলে কি হতে যাচ্ছে।

ও’ব্রিয়েন: এই ৩৫তম বার্ষিকীতে এমন একটি কথোপকথনের আয়োজন করতে পারাটা আসলেই বিরাট ব্যাপার। এটা অনেকটা অগ্রগামী চিন্তার মত। পুরনো হয়ে যাওয়া গল্পের কথা না বলে তাই ভবিষ্যতের কথা বলাই যুক্তিসঙ্গত নয় কি?

আর্মস্ট্রং: অবশ্যই। এভাবে ভবিষ্যৎ দেখার চেষ্টা করার চেয়ে সুন্দর আর কি হতে পারে!

ও’ব্রিয়েন: মাইকেল কলিন্স, ৩৫ বছর আগের কথা যখন এসেই গেল তখন আপনাকে সে সময়কার একটা প্রশ্নই জিজ্ঞেস করি। আমরা জানি সেদিন কমান্ড মডিউলে আপনি একা ছিলেন। আজ সেই দিনের কথা মনে করে আপনার কেমন লাগছে? কি মনে পড়ছে বারবার? সেই অভিযানের শুভ সমাপ্তি সম্বন্ধে আজ ৩৫ বছর পর কি বলার আছে আপনার?

কলিন্স: আসলে, কমান্ড মডিউলে আমি খুব আনন্দে ছিলাম। আত্মতৃপ্তির আনন্দ।

না, আমি মনে করি, যতদূর আমার স্মৃতিতে ধরে, সেই নির্দিষ্ট অভিযান এবং সেই নির্দিষ্ট অ্যাপোলো যানটিতে সবকিছুই একেবারে ঠিক মত চলেছিল বলেই এটা সম্ভব হয়েছে। অনেক দুর্ঘটনাই ঘটতে পারতো, ছোটখাট কোন ভুল থেকে সৃষ্টি হতে পারতো বিশাল কোন দুর্ঘটনার। আমাদের অত্যন্ত সৌভাগ্য বলতে হবে যে, সেদিন তেমন কিছু ঘটেনি। এটা আমাকে আশ্চার্যান্বিত করেছিল।

ও’ব্রিয়েন: আসলেই অনেক কিছু ঘটে যেতে পারতো। একবার শুধু চিন্তা করুন, আপনি কন্ট্রোল মডিউলে বসে একটি সুইচ টিপলেন আর চান্দ্র মডিউলটা চন্দ্রপৃষ্ঠ ছেড়ে উপরে উঠতে শুরু করলো। স্পষ্ট করে বলতে গেলে, একটি মাত্র মোটর, একটি মাত্র প্রচালক; আপনারা সেখানেই আটকে যেতে পারতেন। এমনটি কি একবারের জন্যও মনে হয়নি তখন?

অলড্রিন: ব্যাপারটা হল, আমরা সবাই এক ইঞ্জিনবিশিষ্ট এরোপ্লেনে উড়তে শিখেছিলাম। এগুলো এমন ইঞ্জিন যা যেকোন সময় অকার্যকর হয়ে যেতে পারে। সম্ভবত অ্যাপোলোতে মনোযোগ দেবার এতো বেশী উপকরণ এবং কাজ ছিল যে এ নিয়ে ভাবার সুযোগ হয়নি।

আমি মনে করি, আমরা এতোগুলো লোক যে মহাযজ্ঞে নিযুক্ত হয়েছিলাম তার উপর আমাদের অগাধ বিশ্বাস ছিল। আর ভবিষ্যথের কথা বললে বলতে হয়, আজ থেকে ২০-৩০ বছর ভবিষ্যতে নিজেকে স্থাপন করুন। আপনি যদি সেই সময়কার লোক হন তাহলে আজকের সিদ্ধান্তের জন্য কি আপনি গর্ববোধ করবেন? যেমন আজ থেকে ৩৫ বছর পূর্বের সিদ্ধান্তের জন্য আমরা গর্ব বোধ করছি।

আমার মনে হয়, মার্কিন জনগণ এবং নেতৃস্থানীয় লোকদের দায়িত্ব হল, বর্তমানে এমন একটি সিদ্ধান্ত নেয়া যার জন্য আজ থেকে ২০-৩০ বছর পর মার্কিন জনগণই গর্ব বোধ করবে।

ও’ব্রিয়েন: নিল আর্মস্ট্রং, আজ থেকে ৩৫ বছর আগে ঠিক এই সময়ে, আপনার কি মনে পড়ছে, আপনার মূল চিন্তাটা কি ছিল? আপনি কি বোধ করছিলেন যে, সব বাধা পেরিয়ে চাঁদে অবতরণের মাধ্যমে কঠিনতম কাজটি আপনি সম্পন্ন করেছেন?

আর্মস্ট্রং: একটা বিষয় হল, আমরা সাধ্যমত চেষ্টা করেছি অতি প্রত্যয়ী না হতে। কারণ অতি প্রত্যয়ী হতে গেলেই কোন দুর্ঘটনা ঘটে এবং বিপত্তি সামনে এসে দাড়ায়। আমরা সতর্ক ছিলাম ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র প্রতিটি প্রতিবন্ধকতা সম্পর্কে এবং সেগুলো মোকাবেলা করার উপযোগী প্রস্তুতি গ্রহণ করছিলাম। পরবর্তী অভিযানগুলোতেও অনেক প্রতিবন্ধকতা ছিল এবং তারাও সেগুলো সতর্কভাবে অতিক্রম করেছেন। এই কৃতিত্ব অনেকটাই তাদের যাদের সাথে আমরা কাজ করেছি এবং যারা আমাদেরকে সেখানে পৌঁছে দেয়ার জন্য অক্লান্ত পরীশ্রম করেছেন।

ও’ব্রিয়েন: আজ যখন আপনি ফিরে তাকান, আপনি কি ছিলেন বা আপনি কি করেছেন তা নিয়ে বিস্মিত হওয়ার পরিবর্তে কি সামগ্রিক অভিযানের কারণেই বিস্মিত হন না? সেই অবিস্মরণীয় সময়ের অসাধারণ অভিযান, যাতে অনেক সমস্যাই হতে পারতো কিন্তু হয়নি, তা-ই কি আপনার বিস্ময়ের প্রধান লক্ষ্য?

আর্মস্ট্রং: সেটা এক স্মরণীয় সময়। আমরা পেয়েছিলাম হাজার হাজার লোক যারা সবাই অভিযানটি সফল করার জন্য মরণপণ চেষ্টা করেছেন। এবং আমি মনে করি তারা এমন কাজ করেছে যা কল্পনাকেও ছাড়িয়ে যায়।

ও’ব্রিয়েন: মাইকেল কলিন্স, আপনিও একই ধারণা পোষণ করেন?

কলিন্স: আমি যেকোন সংস্থাকে তার পার্কিং লট দেখে বিচার করি। সে সময়গুলোতে খুব ভোরেও নাসার পার্কিং লট পূর্ণ থাকতো এবং সন্ধ্যার পরও লটে গাড়ির কমতি হতো না। সবাই নিজেকে উজার করে দিয়েছেন। তারা অতুলনীয়। সবাই যার যার কাজ সফলভাবে শেষ করেছেন।

ও’ব্রিয়েন: অ্যাপোলো ১১ এর ক্রুদের সাথে এতক্ষণ কথা বললাম। আমাদের সাথে সবাই ছিলেন, নিল আর্মস্ট্রং, মাইকেল কলিন্স এবং বাজ অলড্রিন। উনাদের সবাইকে একসাথে পেয়ে আমরা যারপরনাই আনন্দিত। আর ৩৫ বছর পূর্তিতে তাদেরকে প্রাণঢালা অভিনন্দন জানাচ্ছি। আমরা এখন ভবিষ্যতের পানে চেয়ে আছি, আরও দুর্দান্ত সব মহাকাশ অভিযানের আশায়। আশাকরি আপনারাও একই আশায় বুক বেঁধে আছেন।


মন্তব্য

দিগন্ত এর ছবি

নাসার পার্কিং লট পূর্ণ থাকতো এবং সন্ধ্যার পরও লটে গাড়ির কমতি হতো না। - এটাই বেস্ট ...


পথের দেবতা প্রসন্ন হাসিয়া বলেন, মূর্খ বালক, পথ তো আমার শেষ হয়নি তোমাদের গ্রামের বাঁশের বনে । পথ আমার চলে গেছে সামনে, সামনে, শুধুই সামনে...।

শিক্ষানবিস এর ছবি

একেবারে মিলে গেল। আমার কাছেও এটা সবচেয়ে চমৎকার লেগেছে।

লুৎফুল আরেফীন এর ছবি

হু

___________________________
বুড়োরা সবাই সমস্বরে বললো, "নবজন্ম", আমি চাইলাম "একটা রিওয়াইন্ড বাটন"

পরিবর্তনশীল এর ছবি

আমার কাছে তো সবগুলাই চমৎকার লাগল।
তয়...
চন্দ্রের পৃষ্ঠ থেকে ঘুরে আসা মানুষ তো চমৎকার কথা তো বলবেই:D
---------------------------------
ছেঁড়া স্যান্ডেল

শিক্ষানবিস এর ছবি

চন্দ্রের পৃষ্ঠ থেকে ঘুরে আসা মানুষ তো চমৎকার কথা তো বলবেই

ঠিক তাই।

রায়হান আবীর এর ছবি

আর যিনি চাঁদে নামেননি, তাকে সেই সময় পৃথিবী ও পৃথিবীর বাইরের সবচেয়ে নিঃসঙ্গ মানুষ হিসেবে বর্ণনা করা হয়েছিল।

আরে তাই তো...

তিনি আমাদের সাথে যতটা না কথা বলেছেন — তার চাইতে বেশী ধন্যবাদ দিয়েছেন হোয়াইট হাউজে আসার জন্য।

দেঁতো হাসি

একটা বিষয় হল, আমরা সাধ্যমত চেষ্টা করেছি অতি প্রত্যয়ী না হতে। কারণ অতি প্রত্যয়ী হতে গেলেই কোন দুর্ঘটনা ঘটে এবং বিপত্তি সামনে এসে দাড়ায়।

হুম...

অনুবাদ অতি সুন্দর হয়েছে। (বিপ্লব) দাগাইলাম...

---------------------------------
এভাবেই কেটে যাক কিছু সময়, যাক না!

শিক্ষানবিস এর ছবি

ধন্যবাদের সাথে (বিপ্লব) গৃহীত হল।

অতিথি এর ছবি

আসলেই কি চাঁদে নেমেছিল ওরা? পরবর্তীতে যেসব প্রশ্ন উঠেছিল নাসা'র অ্যাপোলো-১১ নিয়ে সেগুলোর বৈজ্ঞানিক সদুত্তর তো নাসা দিতে পারে নাই, বারবার পাশ কাটায় গেছে । যেমন ভিডিওতে পরিস্কার দেখা গেছে পতাকা পতপত করে উড়ছে - কিন্তু চাঁদে বাতাস এলো কোথা থেকে ? আবার আলোর উত্স বহুদূরের সূর্য - কিন্তু ছোট ছোট ছায়া কেন? কিংবা আলোর উত্স সূর্য হওয়া সত্বেও বিভিন্ন জিনিষের ছায়া বিভিন্নমুখী কেন? এরকম আরো অনেক অসামন্জ্ঞস্যতা আছে । বিশেষ করে ওই সময়ের অনেক অভিজ্ঞ অ্যাস্ট্রনটরাই মনে করে পুরা ব্যাপারটাই ছিল স্টুডিওতে সাজানো । রাশানদের আগেই চাঁদে পৌছানোর ক্রেডিট নেবার চেষ্টা । আবার মানবের এমন বিশাল অর্জন পুরাটাই ধাপ্পাবাজি - এটা বিশ্বাস করতেও তো বাধে ।

সুমন চৌধুরী এর ছবি

এইখানে একটু ঘুইরা আসেন



ঋণম্ কৃত্বাহ ঘৃতম্ পীবেৎ যাবৎ জীবেৎ সুখম্ জীবেৎ

শিক্ষানবিস এর ছবি

আমি মিলিয়ে দেখেছি। এ ধরণের যুক্তিগুলো কনস্পাইরেসি থিওরি ছাড়া আর কিছুই নয়। আর সুমন চৌধুরী যে লিংক দিয়েছেন তাতে যে বিস্তর আলোচনা হয়েছে তার পর তো বলার আর কিছুই থাকে না।

আমার ভালোবাসা বিজ্ঞানের প্রতি। অবিজ্ঞান আর ষড়যন্ত্রবাদের প্রতি নয়। তাই বিজ্ঞান নিয়েই আছি। আর মহাকাশ অভিযানটা একটু বেশী ভালোবাসি, সব থেকে বেশী।

অতিথি এর ছবি

সুমন চৌধুরী লিখেছেন:
এইখানে একটু ঘুইরা আসেন


ঋণম্ কৃত্বাহ ঘৃতম্ পীবেৎ যাবৎ জীবেৎ সুখম্ জীবেৎ

ধন্যবাদ । অনেক লিংক পাওয়া গেলো ... ঘাটাঘাটি করে দেখতে হবে ।

লিংকন এর ছবি

পতাকা উড়ছে এটা নিয়ে ভয়ের কিছু নেই। মাথায় আনুভুমিক ডান্ডা লাগানো আছে। একটু ভালোমত খেয়াল করলেই বোঝা যায়।
আর আম্রিকানরা যদি না যেয়ে নাটক করত তাহলে রাশান বিজ্ঞানীরা চুপ করে বসে থাকতেন না। মূলত রাশানদের সাথে টেক্কা দেবার জন্য অভিযানটি পরিচালনা করা হয়। পুরা ব্যাপারটি বিজ্ঞানীরা সচক্ষে প্রতক্ষ করেছেন। তাই এখন কয়েকজন ষড়যন্ত্রকারীর কথায় সন্দেহ পোষণ না করাটাই উত্তম...

সুমন চৌধুরী এর ছবি

এইটাও একবার দেখেন দেঁতো হাসি



ঋণম্ কৃত্বাহ ঘৃতম্ পীবেৎ যাবৎ জীবেৎ সুখম্ জীবেৎ

শিক্ষানবিস এর ছবি

দুই দুইটা চরম লিংক দিলেন। আগে দেখি নাই। অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।

তারেক এর ছবি

ধন্যবাদ পোস্টের জন্য। আপনার অনুবাদ গুলো ভাল হচ্ছে, কষ্ট করে সেগুলো আমাদের পড়ার জন্য তুলে দিচ্ছেন সেটা আরো ভাল হচ্ছে। হাসি
_________________________________
ভরসা থাকুক টেলিগ্রাফের তারে বসা ফিঙের ল্যাজে

_________________________________
ভরসা থাকুক টেলিগ্রাফের তারে বসা ফিঙের ল্যাজে

ধুসর গোধূলি এর ছবি

- ওপরের বিশাল লিস্টে এই অধমের নামটা (ধুসর গোধূলি) তন্ন তন্ন করেও খুঁজে পেলাম না। অথচ নামটা ঐ লিস্টে থাকার কথা ছিলো বৈকি! মন খারাপ
_________________________________
<সযতনে বেখেয়াল>

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।