জীবন কী? - ১

শিক্ষানবিস এর ছবি
লিখেছেন শিক্ষানবিস (তারিখ: মঙ্গল, ০১/০৪/২০০৮ - ২:৩৪পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:


পদার্থবিজ্ঞানীদের মধ্যে যারা প্রথম জীবন এবং এর অর্থ নিয়ে ভাবতে শুরু করেছিলেন তাদের মধ্যে অন্যতম এরভিন শ্র্যোডিঙার। তার "What is Life?" নামক বইটি বিংশ শতাব্দীর অন্যতম সেরা বিজ্ঞান গ্রন্থ হিসেবে স্বীকৃত। এই বইটিই প্রথম দিককার জৈব-পদার্থবিজ্ঞানী হিসেবে শ্র্যোডিঙারের নাম স্মরণীয় করে রেখেছে। বইটি পড়ে অনেক পদার্থবিজ্ঞানী জীববিজ্ঞানের প্রতি আকৃষ্ট হন এবং সেই আকর্ষণের সূত্র ধরেই একসময় ডিএনএ'র গঠন আবিষ্কৃত হয়। ডিএনএ'র গঠনের অন্যতম আবিষ্কারক ফ্রান্সিস ক্রিকের মতে, এই বইটি প্রকৃত ডিএনএ আবিষ্কারের আগেই তাত্ত্বিক পর্যায়ে ব্যাখ্যা করেছিল, কিভাবে মানবদেহে জেনেটিক স্টোরেজ কাজ করতে পারে। এ কারণেই "হোয়াট ইজ লাইফ?" বইটি ছিল ডিএনএ গবেষকদের প্রেরণার প্রাথমিক উৎস। "জীবন কি?" শিরোনামে বইটির বঙ্গানুবাদ শুরু করলাম। ১৯৪ পৃষ্ঠার বইয়ের পূর্ণ অনুবাদ করার ইচ্ছা আছে।

এরভিন শ্র্যোডিঙার-এর "What is Life?" গ্রন্থের বঙ্গানুবাদ। ১৯৪৪ সালে বইটি প্রথম প্রকাশিত হয়।
বইটির পুরো নাম "What is life? The Physical Aspect of the Living Cell."
১৯৪৩ সালের ফেব্রুয়ারিতে ডাবলিনের ট্রিনিটি কলেজস্থিত "ডাবলিন ইনস্টিটিউট ফর অ্যাডভান্সড স্টাডিজ"-এ শ্র্যোডিঙার কিছু বক্তৃতা দিয়েছিলেন। সেই বক্তৃতাগুলোর উপর ভিত্তি করেই বইটি রচিত হয়েছে।
শ্র্যোডিঙার বইটি তার বাবা-মাকে উৎসর্গ করেছেন।

ভূমিকা

একজন বিজ্ঞানীর অবশ্যই কোন একটি বিষয়ে পরিপূর্ণ এবং স্বচ্ছ জ্ঞান থাকা উচিত; প্রত্যক্ষ অভিজ্ঞতার মাধ্যমে অর্জিত যে জ্ঞানের ভিত্তিতে তিনি কথা বলবেন। কোন বিজ্ঞানীরই এমন কোন বিষয়ে বিশদ কিছু লেখা উচিত নয়, যে বিষয়ে তিনি অভিজ্ঞ নন। উচ্চ মর্যাদার উচ্চ দায়িত্বের খাতিরেই তাকে এমনটি করতে হয়। কিন্তু, এখনকার জন্য আমি এই দায়িত্ব এড়িয়ে যাচ্ছি, এবং এই বাধ্যবাধকতা থেকেও নিজেকে জোরপূর্বক মুক্ত করে নিচ্ছি। কারণ হিসেবে আমি বলতে চাই: একটি সামগ্রিক এবং সর্বব্যাপী জ্ঞানের প্রতি আমাদের বিশেষ কৌতূহল রয়েছে যা উত্তরাধিকার সূত্রেই আমরা লাভ করেছি। অতি প্রাচীনকাল থেকে শুরু করে শতাব্দীর পর শতাব্দী জুড়ে আমরা কেবল সর্বজনীন বিষয়গুলোকেই সর্বোচ্চ মর্যাদা দিয়ে এসেছি। অতীতের সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠগুলোর নাম দেখলেই বোঝা যায়, সর্বজনীন জ্ঞান কতোটা প্রভাব বিস্তার করে ছিল। কিন্তু, গত কয়েক শতাব্দী জুড়ে জ্ঞানের বিপুল সংখ্যক শাখা-প্রশাখা বিস্তৃত হওয়ায় এক সংকটময় পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। জ্ঞানের সকল বিভাগের সমন্বয় সাধনের মাধ্যমে পরিপূর্ণতা অর্জনের মতো নির্ভরযোগ্য মাপকাঠিও আমরা সম্প্রতি অর্জন করতে শুরু করেছি। অন্য দিকে, একজন ব্যক্তির পক্ষে এই সবগুলো বিভাগের ধারণা লাভ অসম্ভব হয়ে পড়েছে। একজন বিশাল এই জ্ঞানভাণ্ডারের একটি ক্ষুদ্র অংশেই কেবল বিচরণ করতে পারে। এই জগাখিচুরি পাকানো পরিস্থিতিকে সরল করার একটা আনাড়ি উপায় হতে পারে, কেবল তত্ত্ব এবং বাস্তব তথ্যের সমাহার নিয়ে গবেষণা করা। অর্থাৎ একজন ব্যক্তি কোন বিষয়ে বিশেষজ্ঞ না হয়ে বিভিন্ন বিষয়ের তত্ত্ব এবং তথ্যগুলোকে একসাথে করার কাজ করে যাবেন। কিন্তু এতেও আছে ঝামেলা, কারণ অনেকগুলো বিষয়েই তার জ্ঞান থাকবে অপক্ক পর্যায়ের। এহেন পরিস্থিতিতে আমার আসলেই কিছু করার নেই। আর আমার এই বক্তৃতার প্রসঙ্গ উঠলে আবার বলতে হয়, এই মাত্র বলা সমস্যাগুলোর সাথে যুক্ত হচ্ছে ভাষার সমস্যা। যে কেউ তার মাতৃভাষায় কথা বলতে সবচেয়ে সাচ্ছ্যন্দ বোধ করেন। মাতৃভাষার বদলে অন্য যেকোন ভাষায় বক্তৃতা দিতে বললে অস্বস্তি বোধ করাটাই খুব স্বাভাবিক।

আমি বিশেষ ধন্যবাদ জানাচ্ছি ডঃ ইংকস্টার (ট্রিনিটি কলেজ, ডাবলিন), ডঃ প্যাডরেইগ ব্রাউন (সেন্ট প্যাট্রিক্‌স কলেজ, মেইনুথ) এবং জনাব এস সি রবার্টস এর প্রতি। তারা সবাই আমার এই ভিনদেশী ভাষার বক্তৃতাকে সুন্দরভাবে সাজানোর জন্য বিশেষ অবদান রেখেছেন। বক্তৃতা দেয়ার ক্ষেত্রে আমার নিজস্ব কিছু ভঙ্গিও পরিবর্তন করতে হয়েছে তাদের পরামর্শে। প্রথম দিকে এই ভঙ্গিগুলোর পরিবর্তনে আমার বিশেষ গরজ ছিল না। তারপরও কিছু কিছু ক্ষেত্রে আমার পুরনো স্বভাব ত্যাগ করতে পারিনি। সে সীমাবদ্ধতার দায় আমারই, আমার এ বন্ধুদের কারো নয়। বিভিন্ন অনুচ্ছেদের শিরোনামগুলো প্রকৃতপক্ষে ঐ অনুচ্ছেদের সারাংশ হিসেবে কাজ করেছে। শিরোনাম দিয়ে অনুচ্ছেদ ভাগ করার কোন অভিপ্রায় আমার ছিল না। সব অধ্যায়ের লেখাগুলো আসলে একইসাথে পড়া উচিত।

এরভিন শ্র্যোডিঙার
ডাবলিন সেপ্টেম্বর ১৯৪৪

Homo liber nulla de re minus quam de morte cogitat; et ejus sapientia non mortis sed vitae meditatio est. - স্পিনোজার "এথিক্‌স", খণ্ড ৪, প্রস্তাবনা ৬৭
অর্থঃ একজন স্বাধীন মানুষ কোন কিছু নিয়েই মৃত্যুর চেয়ে বেশী ভাবে না; অথচ তার প্রজ্ঞা জীবনের ধ্যান করার জন্য, মৃত্যুর ধ্যানের জন্য নয়।


মন্তব্য

শিক্ষানবিস এর ছবি

আমাদের দেশের পাঠ্যপুস্তকে "এরভিন শ্র্যোডিঙার" এর নাম লেখা হয় "আরউইন শ্রোডিঞ্জার" হিসেবে। অনেকেই বিভ্রান্তিতে পড়তে পারেন। এখানে বাংলা উইকিপিডিয়াতে বিদেশী শব্দের বাংলা প্রতিবর্ণীকরণের নিয়ম অনুযায়ী প্রতিবর্ণীকরণ করা হয়েছে।

দিগন্ত এর ছবি

নাম কিছু একটা লিখলেই হল। লেখাটা মন দিয়ে পড়ব।
---------------------------------
হাতি ঘোড়া গেল তল, মশা বলে কত জল।


পথের দেবতা প্রসন্ন হাসিয়া বলেন, মূর্খ বালক, পথ তো আমার শেষ হয়নি তোমাদের গ্রামের বাঁশের বনে । পথ আমার চলে গেছে সামনে, সামনে, শুধুই সামনে...।

অতিথি লেখক এর ছবি

"আমাদের দেশের পাঠ্যপুস্তকে "এরভিন শ্র্যোডিঙার" এর নাম লেখা হয় "আরউইন শ্রোডিঞ্জার" হিসেবে।"

ঠিকই বলেছেন।শ্রোডিঞ্জারের বিড়াল বিষয়ক একটা পরীক্ষা পড়েছিলাম।
eru

------------------------------
সুগন্ধ বিলোতে আপত্তি নেই আমার
বস্তুত সুগন্ধ মাত্রই ছড়াতে ভালবাসে।

অভিজিৎ এর ছবি

এ বইটা বিজ্ঞানের ইতিহাসে একটা মাইল ফলক। খুব ভাল লাগছে, আপনি শ্র্যোডিঙারের এ বইটা অনুবাদ করার সাহস দেখিয়েছেন।
আমি আমার 'মহাবিশ্বে প্রাণ ও বুদ্ধিমত্তার খোঁজে' বইটার দ্বিতীয় অধ্যায়ে উল্লেখ করেছিলাম কি ভাবে এই বইটা ওয়াটসন আর ফ্রান্সিস ক্রিককে উদবুদ্ধ করেছিল জেনেটিক্স নিয়ে ভাবতে।

এ বইটা বিভিন্ন কারণেই অসাধারণ। মূলতঃ এই প্রথম এ বইটার মাধ্যমে জ়ীববিজ্ঞানের সমস্যাগুলোকে আধুনিক পদার্থবিদ্যার আলোকে ব্যাখ্যা করার প্রয়াস নেয়া হয়।

শ্র্যোডিঙার যখন বইটি লেখেন তখন বংশানু বা জ়িন-এর আধুনিক ধারণা বাজারে ছিল না। ফলে শ্র্যোডিঙার মূলত নির্ভর করেন রেসোফস্কি, ৎসিমার এবং ডেল্ব্রুকের একটি গবেষণাপত্রের উপরে, যাতে তারা দেখিয়েছিলেন এক একটি বংশানু প্রায় এক হাজার পরমাণুর সমাহার। প্রজন্ম থেকে প্রজন্মান্তরে সঞ্চালনের সময় এত ছোট অনু কিভাবে অবিকৃত থেকে যায় - তা সমাধানের জন্য শ্র্যোডিঙার প্রস্তাব করেন বংশানু একটি 'অনাবর্তী কেলাস' (aperiodic crystal)। এই প্রস্তাবটি অভ্রান্ত হিসেবে প্রমাণিত হয় পরবর্তী গবেষনায় - বিশেষত ডিএনএ অনুর আবিস্কারের সাথে সাথে।

জীবকোষের যাবতীয় সংকেত কিভাবে বংশানুতে বি্ধৃত থাকতে পারে তা নিয়ে প্রথম সঠিক অনুমান করেছিলেন শ্র্যোডিঙার। এ ছারা তিনি পদার্থবিদ্যার সূত্রের সাহায্যে দেখিয়েছিলেন কি ভাবে জীবদেহ তার পারিপার্শ্বিক পরিবেশে বিশৃংখলা ছড়িয়ে দিয়ে নিজেদের দেহকোষে শৃংখলা বজায় রাখে। শ্র্যোডিঙারের আগে ব্যাপারটা এভাবে কেউ ভাবে নি।



পান্ডুলিপি পোড়ে না। -- বুলগাকভ (মাস্টার এন্ড মার্গেরিটা)


পান্ডুলিপি পোড়ে না। -- বুলগাকভ (মাস্টার এন্ড মার্গেরিটা)

শিক্ষানবিস এর ছবি

দেড় বছর আগে বইটা নেট থেকে ডাউনলোড করেছিলাম। তখন থেকেই অনুবাদ করার ইচ্ছা ছিল। অবশেষে শুরু করতে পারলাম। আরেকটি বাংলা অনুবাদ হয়েছে তা আজকেই আপনার মন্তব্যে জানলাম। তথাপি নিজের জানার জন্যই অনুবাদটা চালিয়ে যাবার ইচ্ছা আছে।

আপনি এ বিষয়ে অনেক ভাল জানেন। "মহাবিশ্বে প্রাণ ও বুদ্ধিমত্তার খোজে" বইতে এ বিষয়ে পড়েছি। বিভিন্ন সময় প্রয়োজনীয় পরামর্শ এবং সংশোধনীর মাধ্যমে সহযোগিতা করলে অনুবাদটি সার্থক হয়ে উঠবে।

এই মন্তব্যটিতে বেশ কিছু বিষয় জানলাম। অনাবর্তী কেলাস, বংশানুতে সংকেতের বিন্যাস এবং দেহকোষে শৃংখলার বিষয়গুলো মনে থাকবে। অনুবাদ করতে গেলে বিষয়বস্তু মনে রাখা খুব গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে হচ্ছে। মাঝে মাঝে ভাষা বোঝা যায় না। কিন্তু বিষয়বস্তু জানা থাকলে কনটেক্সট অনুসরণ করে একটা অর্থ করে ফেলা যায়। তাই আপনার পর্যালোচনাগুলো অনুবাদে বিশেষ সহায়ক হয়ে উঠবে বলে আমার বিশ্বাস।

অতিথি লেখক এর ছবি

জীবন মানে যন্ত্রনা
না ফুলের বিছানা
(তারপর ভুইলা গেসি)

~রেনেট

রায়হান আবীর এর ছবি

আবার (!!) অনুবাদ শুরু করার জন্য ধন্যবাদ...

সবার জ্ঞাতার্থে জানানো যাচ্ছে যে, মুহাম্মদ এই বইয়ের অনেকটুকু অনুবাদ করে ফেলেছিল। কিন্তু গান্ধাটা লিনাক্স ইন্সটল করার সময় সেইটা ভুল করে মুছে দিছে...এখন আবার শুরু করছে।
---------------------------------
এভাবেই কেটে যাক কিছু সময়, যাক না!

অনিশ্চিত এর ছবি

ইশ, এতো কঠিন কঠিন বিষয় কীভাবে লিখেন আপনারা? পড়েনও কীভাবে? মনে থাকে এইসব?

শিক্ষানবিস এর ছবি

আমার কিন্তু একদমই মনে থাকে না। এজন্যই কোন কিছু পড়ার সাথে সাথে নিজের ভাষায় লিখে ফেলার চেষ্টা করি। প্রকাশের জন্য তো সচলায়তন আছেই।

পরিবর্তনশীল এর ছবি

চলুক...ঘোড়ার মত দৌড়াক!!!'

---------------------------------
ছেঁড়া স্যান্ডেল

বজলুর রহমান এর ছবি

১৯৪৪ সালে মানূষ নিউক্লিয়াসের ভেতরের তথ্য যত ভালো জানত (কি মহানন্দে একটি প্রায় পরাজিত জাতির ওপরে দুটো এটম বোমা ফাটিয়ে এক্সপেরিমেন্ট করল! ) জীবকোষের নিউক্লিয়াস সম্পর্কে তত ভালো ধারণা ছিল না। তা সত্ত্বেও শ্র্যোডিংগারের বইটি জীব-পদার্থবিজ্ঞানের প্রথম বই হিসাবে এক ধ্রূপদী আসন পেয়েছে, এবুং সেই কারণে এর একাধিক অনুবাদ হতেই পারে।
ক্রিক আর ওয়াটসন রোসালিণ্ড ফ্রাঙ্কলিনের অনুপস্থিতিতে তার লন্ডনের ল্যাবের ড্রয়ার চোরের মত খুলে ডাবল হেলিক্সের নকশা দেখেন এবং সাত তাড়াতাড়ি প্রকাশ করে নোবেল প্রাইজ পান। রোজ়ালিন্ড অকালে মারা যান। ওয়াটসনের "ডাবল হেলিক্স" বইটিতে মহিলা সম্পর্কে আবার বাজে উক্তির সাহস দেখিয়েছেন। এই হারামী এখন এক প্রধান বর্ণবাদী, যদিও আরো অনেকের সাথে লেখা Molecular Biology of the Gene, Molecular Biology of the Cell বই দুটো চমৎকার টেক্সট বই।

শিক্ষানবিস এর ছবি

ওয়াটসনের এই জিনিসটা আসলেই খারাপ। ব্যক্তিগত জীবনে তিনি খুব একটা সুবিধার লোক না। ই ও উইলসন বলেন, জীবনে ওয়াটসনের চেয়ে আনপ্লিজেন্ট কারও সাথে তার পরিচয় হয়নি।

বর্ণ এবং গোত্র অনুযায়ী বুদ্ধিমত্তা পরিবর্তীত হয়, ওয়াটসনের এ ধরণের চিন্তা তো একেবারে মানবতাবিরোধী। আধুনিক সভ্য পৃথিবী গড়ে তোলার ক্ষেত্রে এরকম ধারণা একটা বিশাল বাঁধা। বিজ্ঞানী হয়েও তিনি কখনও কখনও বিজ্ঞানের প্রগতির পথে বাঁধা হয়ে দাড়াচ্ছেন।

দিগন্ত এর ছবি

ব্যক্তিগত জীবনে তিনি খুব একটা সুবিধার লোক না।

- একদম খাঁটি কথা।
---------------------------------
হাতি ঘোড়া গেল তল, মশা বলে কত জল।


পথের দেবতা প্রসন্ন হাসিয়া বলেন, মূর্খ বালক, পথ তো আমার শেষ হয়নি তোমাদের গ্রামের বাঁশের বনে । পথ আমার চলে গেছে সামনে, সামনে, শুধুই সামনে...।

সবজান্তা এর ছবি

বিজ্ঞানের যেকোন ক্ষেত্রের মধ্যে, জীববিজ্ঞানে আমার আগ্রহ সর্বনিম্ন। প্রচন্ড বিরক্তিতে উচ্চমাধ্যমিকে পরিসংখ্যান নিয়েছিলাম ( এবং যা অত্যন্ত মজাদার বিষয় ছিল ) ।

তবে সাম্প্রতিক কালে অভিজিৎ দা'র লেখাগুলি বিশেষত আত্মা নিয়ে ইতং বিতং পড়ে জীববিজ্ঞান বিশেষত জীনতত্বের উপর আগ্রহ এসেছে কিছুটা। আর এই বিষয়টাও অনেক চমকপ্রদ।

তাই চোখ খোলা রাখছি বইটা পড়ার জন্য। হয়ত সবপর্বে সেভাবে মন্তব্য করা হবে না, তবে এ বেলা জানিয়ে রাখি, আমি কিন্তু পড়ছি !!
----------------------------------------------------
অলমিতি বিস্তারেণ

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।