ডিটেকটিভ গল্প: সেলিব্রিটি প্রবলেমস (১ম পর্ব)

জ্বিনের বাদশা এর ছবি
লিখেছেন জ্বিনের বাদশা (তারিখ: বুধ, ০১/০৮/২০০৭ - ২:২১অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

[সামহোয়ার থেকে আনা ,,, শুরু করেছিলাম মাত্র ,,, অনেকদিন ধরতে পারিনি ,,, এবার দেখি শেষ করা যায় কিনা হাসি ,,,]

++++++++++++++++++++++++++++++

ভুঁইয়া টাওয়ারের নীচ তলার লবীর পেছনের দিকটার ছোট্ট গেটটা দিয়ে বের হয়ে তাড়াহুড়ো করে সিগারেট ধরায় হাসনাইন। হাতে সময় আছে মাত্র ছয় মিনিট। চার মিনিটে সিগারেট টেনে শেষ করবে, আর বাকী দুই মিনিটে লিফটে চড়ে তারুণ্য'র অফিসে যাবে। এফ এম রেডিও স্টেশন তারুণ্য'র অফিসটা ছয়তলায়, ভুঁইয়া টাওয়ারের লিফটটা বেশ দ্রুত ওঠানামা করে, দু'মিনিটে হয়ে যাবে। তারপরও তাড়াহুড়ো করেই সিগারেট টানতেহয়, যার ফলে মাঝপথে আগুনের সবটুকুসহ সামনের অংশটা পড়ে যায়। মেজাজ খানিকটা বিগড়ে উঠে হাসনাইনের, জড়বস্তুর উপর ওর রাগটা এমনিতেও বেশী। হাসনাইন যদিও ভীষন যুক্তিবাদী, কাঠখোট্টা ধরনের মানুষ তাও ওর ধারনা জড়বস্তুর প্রাণ না থাকলেও অসময়ে ঝামেলা বাঁধানোর একটা বিশেষ ক্ষমতা এদের আছে। জীবের বিবর্তনের সাথে সাথে জড়েও কোন এক মাত্রার বিবর্তন যে হয়েছে তাতে সে নিশ্চিত, এবং তার ধারনা এই লাইনের বিজ্ঞানী-গবেষকদেরই শুধু সেটা টের পাওয়াটা বাকী আছে।

লম্বা লম্বা দমে সিগারেট শেষ হয় দ্রুত, ঘড়িতে তাকিয়ে হাসনাইন দেখে এখনও চার মিনিট শেষ হয়নি। হেলেদুলে যাওয়া যাবে; হলের পশ্চিম দিকের লিফট কর্নারে এসে দাঁড়ায়, ওপরে ওঠার বাটন প্রেস করে। হাতে যেহেতু সময় আছে তাই সিঁড়ি দিয়ে উঠে যাবে কি যাবেনা তা ভেবে বাড়তি টেনশন হয়না তার, এসব দোনোমনো ধরনের অযথা টেনশন মাথায় ভর করে সাধারণত যখন হাতে সময় থাকেনা, মুহূর্তের মধ্যে সিদ্ধান্তের দরকার হয় তখন। তবে একটু অন্যরকম টেনশন যে তার নেই এমুহূর্তে তাও নয়, এবং সেটাও সঙ্গত কারণেই। আজই সে প্রথম প্রধান তদন্তকারী হিসেবে একটি কেইস হ্যান্ডেল করতে যাচ্ছে, এবং গোঁদের ওপর বিষফোঁড়া বা মেঘ না চাইতেই জল -- যেটাই ভাবা হোক, মজার ব্যাপার হলো এই কেইসের ক্লায়েন্টও হলেন একজন বিশিষ্ট নামকরা জনপ্রিয় ব্যাক্তিত্ব।

আসলে কেইসটা নেয়ার কথা ছিল হাসনাইনের বস্ শাহাদাত সাহেবের, কিন্তু আজ সকালেই উনার মামার মৃত্যুর খবর পেয়ে চিটাগাংয়ে ছুটে যান শাহাদাত সাহেব। সকালে অফিসে এসেই দেখে ব্যাপক অস্থিরতা নিয়ে তার ডেস্কের সামনে দাঁড়িয়ে আছেন আরেক বস্ খালেক সাহেব, হাসনাইনকে সামনে পেয়েই এমন অবস্থা যেন পারলে ওর হাত-পা ধরে অনুরোধ করেন। সিনিয়ার কেউই আজ ডিউটিতে নেই, যদিও শাহাদাত সাহেবেরটা ছিল ভি.আই.পি'র সাথে এপয়েন্টমেন্ট। তাই অগত্যা হাসনাইনকেই দায়িত্ব দেয়া হয় আজকের জন্য, বলা হয় যে শুধু দেখে আসার জন্য কি সমস্যা, ভিকটিমের মতামত শুনে আসার জন্য। হাসনাইন অবশ্য খালেক সাহেবের মতো কড়া সি.আই.ডি-বিগবসের এমন নমনীয় চেহারা দেখেই গলে যায়। তাছাড়া, জুনিয়ার অফিসার হয়েও কেইসের মূল দায়িত্ব পাবার সৌভাগ্য তো আর সব সময়ে আসেনা। তারওপর, ক্লায়েন্ট যখন রেশমা মুনতারিনের মতো বিখ্যাত গায়িকা, হালের হার্টথ্রব সুন্দরী মাল্টিডাইমেনশনাল সেলিব্রিটি, তাহলে তো কোন কথাই থাকেনা।

লিফটের সামনে এসে হাসনাইন দাঁড়িয়েছে মাত্র, হঠাৎই লবীর নীরবতা ভেঙে জেগে ওঠতে শোনা যায় উদ্ধত হাই হিলের শব্দ, একেকটা আওয়াজ যেন মেপে মেপে করা হচ্ছে। কিছুক্ষণের মধ্যেই ত্রস্তব্যাস্ত ভঙ্গিতে লিফটের সামনে এসে দাঁড়াতে দেখা যায় রেশমা মুনতারিনকে, সাথে আরো তিনজন আছেন, দু'জন মধ্যবয়েসী পুরুষ আড় একজন বেশ কমবয়েসী তরুনী। হাসনাইনের ভালমতো খুঁটিয়ে দেখতেও ইচ্ছে করেনা, কিন্তু এটুকু বোঝে যে এরা সবাই 'ম্যাডামে'র যাতে কোনরকম সামান্যতম অসুবিধাও না হয় তা নিয়েই চব্বিশ ঘন্টা ব্যাস্ত থাকা মানুষ, পুঁজিবাদী চাটার দল। তাও চাকরীর নিয়মের খাতিরেই একবার চোখ বুলাতেই হয় দলের সবার উপর।

রেশমাকে এই প্রথম সামনাসামনি দেখল হাসনাইন। আসলেই ভীষন সুন্দরী, জিন্সের প্যান্টের সাথে কালচে রঙের হাফস্লীভড টি শার্ট, উপরে অফহোয়াইট কালারের পাতলা একটা কার্ডিগান। কার্ডিগানের কলারের অংশটি খুব সুন্দর কারুকাজসমৃদ্ধ, বর্ডারের দিকটা নীলচে রঙের কাজে ভরা। সানগ্লাস এখনও খোলেননি রেশমা, লম্বা আর স্ট্রেইট সিল্কি চুল নেমে গেছে কাঁধের অন্ত ছয় ইঞ্চি নীচ পর্যন্ত। পোষাকের সাথে মিলিয়েই কিনা, ম্যাডাম খুব গম্ভীর। এমনিতে রেশমা খুব ভাল গান করেন, নাচতে পারেনও চমৎকার। ৩৫ এর মতো বয়েস, অথচ ফিগার, স্কিন সবই অসাধারণ, অনায়াসেই ২৫ বলে চালিয়ে দেয়া যায়। সাথে এসেছেন দুজন পুরুষ আর একজন মহিলা। রেশমাকে খেয়াল করতে করতে অন্যদের খুঁটিয়ে দেখার সময় হয়না হাসনাইনের, লিফট নেমে আসে। হাসনাইন রেশমার দলটিকে আগে আগে ঢুকতে অফার করে লিফটে, তবে সবাই ঢুকে গেলে যেই হাসনাইন নিজে ঢুকতে যাবে তখনই দলের একজন গম্ভীর ধরনের লোক গম্ভীরতর কন্ঠে বলে উঠে, 'ছয়তলার আগে যদি নেমে পড়েন, তাহলে একটু ওয়েইট করুন। উই আর রিয়্যালী শর্ট-অভ-টাইম।'
'ওহ, আমি হাসনাইন, আপনাদের দলেরই একজন।' হাসনাইনের সপ্রতিভ উত্তর।
হাসনাইনের নাম শোনার সাথে সাথেই দলের তরুণী মেয়েটি প্রায় চিৎকার করে বলে উঠে, 'ওহ মাই গড। আপনিই ডিটেকটিভ অফিসার হাসনাইন সাহেব!!'

এরই মধ্যে হাসনাইন লিফটে ঢুকে পড়ে, দরজা বন্ধ হয়ে লিফট চলা শুরু করে উপরের দিকে।
'আপু, তোমাকে বলেছি না, আজ শাহাদাত সাহেব আসতে পারবেননা, তাঁর বদলে ইনি এসেছেন, মিঃ হাসনাইন।'মেয়েটি উচ্ছলভাবে বলতে থাকে।
রেশমা ভদ্রতার হাসি হেসে হাসনাইনের দিকে তাকান, হাসনাইন রীতিমতো ধন্য বোধ করা শুরু করে, সাথে সাথে খানিকটা নার্ভাসও যে হয়না, তা না। মাথা নড করে বলে, 'নাইস টু মীট য়্যু, স্যার ...স্যরি ... ম্যাডাম', লিফটের সবার মুখে হালকা একটা মিষ্টি হাসি ফুটে উঠে; 'হোয়াট আ কিউট মিসটেক' মনে মনে ভাবেন রেশমা।

ধীরে ধীরে সবার সাথে পরিচয় হয় হাসনাইনের, লিফটের ভেতরই। মেয়েটি হলো পিয়া, রেশমার সেক্রেটারী; বয়েস ২৫ এর বেশী হবেনা, অসম্ভব মিষ্টি চেহারা, হালকা কোঁকড়ানো চুলকে সুন্দরভাবে সামলে পনিটেইল করে বেঁধে রেখেছে। সেও একটা নীলচে রঙের পাতলা হাফস্লীভড টিশার্ট, আর থ্রি-কোয়ার্টার লং-স্কার্ট পরেছে। কথাবার্তায় বেশ সপ্রতিভ, রেশমার মতো সেলিব্রিটিদের জন্য যাকে বলে একেবারে পারফেক্ট এসিসট্যান্ট।

সাথের দুজন লোকের ব্যাপারে হাসনাইনের প্রাথমিক ধারনা ভুল হয়, তাঁদের কেউই কিন্তু রেশমার সাথে কাজ করেনা, যে লোকটি হাসনাইনকে লিফটে উঠতে মানা করেছিল সে হলো তারুণ্যর রেডিওর অনুষ্ঠান পরিচালক, সবাই ডাকে 'লাবু ভাই' বলে। লাবু ভাই দেখতে ৩৫ থেকে ৪০ এর কাছাকাছি, ইনিও জিন্স আর টি-শার্ট পরে আছেন। মাথার চুল বেশ হালকা হয়ে গেছে, এত বেশী চুলের মধ্যে হাত বোলান যে বারবার চুলে হাত দেয়াটা যে তার ভয়ঙ্কর এক অভ্যেস এটা মিনিট দুয়ের মধ্যেই বুঝে ফেলে হাসনাইন।

আর অন্যপাশে যে লোকটি চুপচাপ কোন কথাই বলেনি, এমনকি না পারতে চোখ তুলে তাকায়ওনা, সে হলো এফ.এম. রেডিওর জনপ্রিয় উপস্থাপক আখতার। যে প্রতিদিন কয়েকঘন্টার জন্য হাজার হাজার বা লাখ লাখ শ্রোতার মন মাতিয়ে রাখে শুধু কথার জোরে। টিনএজাররা সম্ভবত একে খুব ভাল চিনে থাকবে, যদিও হাসনাইন লোকটার নাম শুনেছে কি শুনেনি তা নিয়ে একটু দিধান্বিত। তবে লোকটার মধ্যে যে 'আমি সেলিব্রিটি হয়ে গেছি' এমন একটা ভাব আছে সেটা তার চোখ এড়ায়নি। আখতার পরে আছে একটা হালকা মেরুন রঙের ফতুয়া, আর একটা ঢলঢলে জিন্স। তারও চোখে সানগ্লাস ছিল, তবে লিফটে উঠে সেটা হাতে নিয়ে নিয়েছে। প্রোগ্রামের সময় তো এরা অনেক কথা বলে, অথচ লোকটা অসম্ভব চুপচাপ। হাসনাইনের সাথে শুধুই একটা 'হাই' বলল, হাতও মেলায়নি, ভালমতো হাসনাইনের দিকে তাকায়ওনি।

লিফট ছয়তলায় পৌঁছে গেলে তারুণ্য'র অফিসটা দেখে ছোটখাট একটা শক খায় হাসনাইন। এত জনপ্রিয় এরা, প্রতি শুক্রবার সকাল দশটায় এদের করা 'বিলবোর্ড' নামের এসপ্তার টপ-টুয়েন্টি গানের অনুষ্ঠানটা মনে হয় ঢাকার সব টিনেজাররা শোনে; গত বছর ঢাকায় হঠাৎ রেডিও'র বিক্রী অস্বাভাবিকভাবে বাড়িয়ে দেয় তারুণ্য যেটাকে সরকারীভাবে "তারুণ্য ফেনোমেনা" ঘোষনা দেয়া হয়, তারুণ্যকে পুরস্কৃতও করা হয়। আর তাদের অফিসটা মাত্র দুই রুমের! বাইরের রুমে মোট ছয়টা ডেস্ক, রুমের শেষ মাথায় প্লাইউড দিয়ে ছোট্ট একটা কক্ষ তৈরী করা, কক্ষের দরজায় বড় বড় করে লেখা,
"হামিদুল হক
সি.ই.ও, তারুণ্য গ্রুপ" ।
বড় সাহেবের অফিসে পাশেই একটা দরজা, উপরের অংশ কাঁচের। দরজার ওপাশে স্টুডিও।

লাবু ভাই পাঁচজনকে নিয়ে স্টুডিওতে ঢোকেন, সেখানে রিল্যাক্স করার একটা সোফা আছে। স্টুডিওতে এই মুহূর্তে রেকর্ডিং চলছেনা, রেকর্ডেড প্রোগ্রাম চালু করে রেখেছে আখতারের সহকারী ডি.জে. লুৎফা। সোফায় বসার পর ঠান্ডা ড্রিংকস আসে, সবার জন্য কোক, রেশমা ম্যাডামের জন্য চিল্ড বেলের শরবত। খেতে খেতে রেশমা বলতে থাকেন,'লাবু ভাই, বলছিলামনা আপনাকে ঐ ঝামেলাটার কথা। ইনি এসেছেন সেজন্যই।' বলে হাসনাইনের দিকে দেখিয়ে দেন রেশমা।

'ও,আচ্ছা। সো ইউ গাইজ আর গন্না গীভ হার প্রোটেকশান ফর দ্য নেক্সট ফিউ উইকস, আই সী' নিজের মাথায় আঙুল চালাতে চালাতে লাবু বলে।

'অনেকটা সেরকমই, আমার দুটো ঈগলস আই রেখে এসেছি নীচে, আর আমি যে মিস রেশমার সাথে আধঘন্টার মতো সময় চেয়েছি কথা বলার জন্য সেটা আপনারা স্কেজ্যুলে রেখেছেন আশা করি।' কথা বলতে বলতে কিছুটা স্বাভাবিক হতে চেষ্টা করে হাসনাইন।

'অফ কোওর্স, দ্যাটস নট বিগ আ ডীল। আধঘন্টা কেন, য়্যু স্টীল হ্যাভ মোর দ্যান এন আওয়ার, ম্যান। ডোন ওয়ারি, ডোন ওয়ারি' লাবু ভাই বিরক্তিকর ইংরেজীতে বলে যেতে থাকে, 'বাই দ্য ওয়ে ইয়াং অফিসার, হোয়াট'স দ্যাট ঈগল'স আই?'

'হা হা হা, লাবু ভাই আপনি কিচ্ছু জানেননা।' অন্যপাশ থেকে কথা শুনতে থাকা লুৎফা হেসে উঠে, 'ওটা টিকটিকি'।

'ঠিকঠীকি! য়ু মীন লিজার্ড? হোয়াটস .... ওহ আই সী আই সী' লাবু ভাই মিটি মিটি হাসতে হাসতে চেক করে দেখে কেউ তার বোকামোতে হাসছে কিনা। সবার মুখেই হাল্কা হাসির রেশ, লাবু ভাই কিছু একটা আনতে যাবার ভাব করে দ্রুত বেরিয়ে যায়।

'লুৎফা, আমি মি. হাসনাইনের সাথে প্রাইভেটলি কিছু কথা বলতে চাই। একটু স্পেস দিতে পারবে?' রেশমা কাজের কথায় আসে।

'হুমমম', কিছুক্ষণ ভেবে লুৎফা পাশের রুমে লাবুভাইয়ের দিকে যেতে যেতে বলে,'লাবু ভাই, স্যারের অফিস রুমটাতো আজ খালি, তাইনা?'

একটু পরেই স্টুডিও রুমে আবার ঢুকে লুৎফা বলে,'ম্যাডাম, সারের রুমটা ব্যবহার করতে পারেন।'

'হাসনাইন সাহেব, এখন শুনবেন?' রেশমার কণ্ঠে তাড়া।
'আমার কোন সমস্যা নেই' হাসনাইন বলে।
(চলবে ...)


মন্তব্য

তারেক এর ছবি

জমাট রহস্য হবে আশা করি। সাগ্রহে পরের পর্বের অপেক্ষা হাসি
_________________________________
ভরসা থাকুক টেলিগ্রাফের তারে বসা ফিঙের ল্যাজে

_________________________________
ভরসা থাকুক টেলিগ্রাফের তারে বসা ফিঙের ল্যাজে

ঝরাপাতা এর ছবি

হুম। জ্বিনের বাদশাহ এবার শার্লক হোমসের আখাড়াতে।


রোদ্দুরেই শুধু জন্মাবে বিদ্রোহ, যুক্তিতে নির্মিত হবে সমকাল।


বিকিয়ে যাওয়া মানুষ তুমি, আসল মানুষ চিনে নাও
আসল মানুষ ধরবে সে হাত, যদি হাত বাড়িয়ে দাও।

হাসান মোরশেদ এর ছবি

বিসমিল্লাহ কইয়া শুরু করলাম । ফাঁকি না দিয়া ঝটপট বাকী পর্ব নামান

-----------------------------------
'পড়ে রইলাম বিধির বামে,ভুল হলো মোর মুল সাধনে'

-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।

মুহম্মদ জুবায়ের এর ছবি

ডিটেকটিভ গল্প ধারাবাহিক পড়ে পোষাবে না। একবারে সবগুলো পর্ব পড়বো। যদি অবশ্য শেষ হয়, জ্বিনের বাদশা জাঁহাপনার শেষ পর্যন্ত লেখার ট্র্যাক রেকর্ড দেখেই বলছি ;

-----------------------------------------------
ছি ছি এত্তা জঞ্জাল!

জ্বিনের বাদশা এর ছবি

ধন্যবাদ তারেক রহিম, ঝরাপাতা, মোরশেদ ভাই, জুবায়ের ভাই।
,,, মোরশেদ ভাই, জুবায়ের ভাই, ২য় পর্ব ছেড়ে দিলাম কিন্তু চোখ টিপি

========================
যার ঘড়ি সে তৈয়ার করে,ঘড়ির ভিতর লুকাইছে

========================
যার ঘড়ি সে তৈয়ার করে,ঘড়ির ভিতর লুকাইছে

Rain dancer এর ছবি

পড়তে পড়তে দুই জায়গায় একটু খটকা লাগলো ।তাই লিখতে বসে গেলাম । বুঝতে পারছিনা মনের ভুলে লিখেছেন, নাকি আমার বোঝায় ভুল। এখনো পড়া শেষ করি নি । করে আবার মন্তব্য দিবো । আশা করি ভালোই হবে... গত কয়েকদিনে আপনাদের ফ্যান হয়ে গেছি । রেজিস্টার করি নি । ঝামেলা পুর্ণ মনে হওয়াতে । আশা করি আরো ভালো লিখতে থাকবেন । আর আমরা পাঠক সমাজ আপনাদের লেখা পড়ে আগাগোড়া উপভোগ করবো ।

খটকা ১:
সাথে তিনজন আছে, একজন আবার তরুনী এক মেয়ে। (৪র্থ প্যারা)
সাথে এসেছেন চারজন পুরুষ আর একজন মেয়ে। (৫ম প্যারা)

আসলে কয়জন ছিলো ?

খটকা ২:
সাং্লাস এখনও খোলেননি তিশমা,

কে এই তিশমা?সেলিব্রেটি তো রেশমা ।

@To the admin

আপনাদের কমেন্ট বক্সে লিখতে গেলে প্রতিটা অক্ষর দুইবার করে আসছে কেন? অভ্র ব্যবহার করে লিখছি । ব্রাউসার অপেরা v9.22 । অপারেটিং সিস্টেম উইন্ডোজ এক্সপি ।

উদাহরণঃ RRaaiinnDDaanncceerr

এস এম মাহবুব মুর্শেদ এর ছবি

আমাদের টেকস্ট বক্সগুলোতে বাংলা লেখার স্ক্রীপ্ট যুক্ত করা আছে। প্রায়শ জিজ্ঞাস্য দেখুন এটা কিভাবে ব্যবহার করতে হবে সেজন্য।

তবে অপেরা টেস্ট করা হয়নি কখনো। নির্ঘাৎ অপেরা সংক্রান্ত বাগ এটা। জানানোর জন্য ধন্যবাদ।

====
চিত্ত থাকুক সমুন্নত, উচ্চ থাকুক শির

জ্বিনের বাদশা এর ছবি

Rain dancer,
ধন্যবাদ অনেক অনেক
দুটাই অনিচ্ছাকৃত ভুল মন খারাপ
তিশমার ব্যাপারটা হলো, সেলিব্রিটিকে কি নাম দেব ভাবতে গিয়ে তিশমার কথা মনে হলো ,,,হালের মডার্ণ ইমেজ ,,,চোখ টিপি ,,, তিশমা থেকে হলো রেশমা ,,, লেখার ভুলে আবারও তিশমা হাসি

ঠিক করে দিলাম ,,, মনোযোগ দিয়ে পড়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ ,,, এমন কমেন্ট আসলেই ভাল লাগে
========================
যার ঘড়ি সে তৈয়ার করে,ঘড়ির ভিতর লুকাইছে

========================
যার ঘড়ি সে তৈয়ার করে,ঘড়ির ভিতর লুকাইছে

আনোয়ার সাদাত শিমুল এর ছবি

সই, কেমনে সইবে হিয়া, আমার বধুয়া আনবাড়ি যায় আমারই আঙিনা দিয়া। সিরিজটা চোখে পড়েছে নিয়মিত। সময় সংকট এবং খানিকটা অবহেলায় পড়া হয়নি। আজ শুরু করলাম, ভ্রাত: !

জ্বিনের বাদশা এর ছবি

যাক ভ্রাতঃ হাসি, ভাল সময়ে শুরু করেছেন ,,, সব পর্ব নামানো হলো আজ ,,,
তবে আমার প্রথম বড় আকারে লেখালেখির প্রচেষ্টাতো, ভাষার জড়তা নিজেই টের পাই মন খারাপ
পারলে এক কাপ কফি পাঠিয়ে দিতাম চোখ টিপি
========================
যার ঘড়ি সে তৈয়ার করে,ঘড়ির ভিতর লুকাইছে

========================
যার ঘড়ি সে তৈয়ার করে,ঘড়ির ভিতর লুকাইছে

আনোয়ার সাদাত শিমুল এর ছবি

এক কাপ!
ওকে জমা থাক।
দেখা হলে এক কাপ কফি দুজনে ভাগাভাগি করে খাবো।
সেলিব্রিটি নিয়ে টুকটাক আলাপও হবে!

জ্বিনের বাদশা এর ছবি

হা হা হা ,,, ভাল প্রস্তাব হাসি

========================
যার ঘড়ি সে তৈয়ার করে,ঘড়ির ভিতর লুকাইছে

========================
যার ঘড়ি সে তৈয়ার করে,ঘড়ির ভিতর লুকাইছে

মুহম্মদ জুবায়ের এর ছবি

এই যে বাদশা জাঁহাপনা, শুরু হলো পড়া।

-----------------------------------------------
ছি ছি এত্তা জঞ্জাল!

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।