আজকাল টুকিটাকি

মুশফিকা মুমু এর ছবি
লিখেছেন মুশফিকা মুমু (তারিখ: মঙ্গল, ১৪/০৬/২০১১ - ৮:১৮অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

১) চাকরি বাকরি

গত একমাস আমার মহা সুখে কেটেছে। যারা কনসাল্টেনসি করেন আইবিএম বা এক্সেনচুর ধরনের কম্পানিতে, তারা জেনে থাকবেন "বেঞ্চিং" শব্দটির মানে। অন্য সবার জন্য ব্যাপারটি খুলে বলছি। এসব কম্পানি কনসাল্টেনটদের একরকম রিসোর্সের মত ব্যবহার করে। আমরা এক প্রজেক্টে কাজ করি যতদিন প্রজেক্টের কাজ থাকে, শেষ হয়ে গেলে বসে থাকি এর পরের কোন প্রজেক্টে আমাদের দেয়ার জন্য। এই বসে থাকা সময়টাকে "বেঞ্চিং" বলে। ক্রিকেট খেলায় বা ফুটবল খেলায় এক্সট্রা খেলোয়াররা যেমন পাশের বেনচে বসে থাকে, অনেকটা সেরকমই।

গত পুরো মাস আমি এই "বেঞ্চিং" করে কাটালাম। যদিও ওরা বলে রাখে যারা "বেঞ্চিং" করছে তাদের এই সময়টা নিয়মিত আইবিএম অফিসে আসতে হবে, টুকিটাকি এটা সেটা কাজ করতে হবে। কিন্তু আসলেই এসব করছে কিনা তা দেখার কেউ নেই। তাই আমিও বোকার মত ৮টায় উঠে অফিসে যাব কেন, সকাল ১০ টায় ঘুম থেকে উঠতাম। উঠে তারাতারি আগে ল্যাপটপে লগইন করতাম যেন আমি ওনলাইনে আছি দেখলে ভাবে আমি কোন কাজ করছি। তারপর নাস্তা বানাতাম, মাঝে মাঝে কেনা ডাল পুরিও ভাজতাম, তার সাথে গরম কফি বা চা নিয়ে রোদে টিভির সামনে বসতাম। এরপর এক এক শো দেখা, ফ্রেন্ডস, সাইনফিল্ড। প্রায় মুখস্ত হয়ে গিয়েছিল আমার কোন চ্যানেলে কটার সময় কি হয়। মাঝে মাঝে দুপুরে রাতের জন্য কিছু রান্না করে আরামে একটা ঘুম দিতাম। ল্যাপটপের ভলিউম হাই করে পাশে রেখে ঘুমাতাম, যেন কেউ যোগাযোগ করলে সেই শব্দে সাথে সাথে ঘুম থেকে উঠে পরা যায়। এভাবে মহা আরামে কেটে গেল আমার একটি মাস।

সেই মাসের শেষে আবার ব্যাংক একাউন্টে আসল ফুল বেতন। বিনা বেতনে চাকরি বলে কথা আছে কিন্তু আমার হয়েছে বিনা কাজে বেতন। বলা যায় আইবিএম স্পনসর্ড হাউসওয়াইফ হয়ে একটা মাস মহা শুখে কাটিয়ে দিলাম। কিন্তু সব শুরুরই শেষ আছে। কিভাবে কিভাবে এক প্রজেক্ট পেয়ে আমাকে সেখানে ঢুকিয়ে দেয়া হল মন খারাপ আর বিনা কাজে বেতন নয়, গত কয়েক সপ্তাহ ধরে আমার কাজ করেই বেতন পেতে হচ্ছে। মন খারাপ

২) অজানা দ্বীপে অজানা গন্তব্য

গত মাসের শেষের দিকে আমরা ফুল ফ্যামিলি ফ্রেসার আইল্যন্ড নামের একটি দ্বীপে বেড়াতে গিয়েছিলাম। দ্বীপটি ওয়ার্ল্ড হেরিটেজে লিস্ট করা একটি যায়গা। অস্ট্রেলিয়ার কুইনসল্যান্ড স্টেট থেকে কিছু দুরে, সেখান থেকে ফেরিতে করে যেতে ১/২ ঘন্টার মত লাগে। সেখানে যাওয়ার যে অভিজ্ঞতা হয়েছে তা জীবনে ভোলার মত নয় তাই সবার সাথে সেয়ার না করে পারলাম না।

প্লেন থেকে ফ্রেসার আইল্যন্ড এর ছবি

যাওয়ার দিন সকাল ৭টায় আমরা সবাই উঠে রেডি হয়ে ৯টার মধ্যেই সবাই এয়ারপোেটর্ চেকইন করে ৪৫ মিনিট বসে থাকলাম ৯:৪৫ টার প্লেন ধরার জন্য। কেউ আমার আগের ক্যানস যাওয়া নিয়ে একটি লেখা পড়ে থাকলে বুঝবেন কেন এটা করা হয়েছে। যাইহোক সিডনি থেকে কুইনসল্যান্ড ১২:৩০ টার দিকে পৌছলাম। প্ল্যান ছিল পৌছে কিছু খাবার দাবার কিনে, ফোর-হুইল-ড্রাইভ ভারা করে ৩টার দিকে ফেরি ধরা। ফেরি আবার আমাদের নামাবে দ্বীপের সম্পুর্ন পশ্চিমে, আমাদের রিসোর্ট ভারা করা দ্বীপের সম্পুর্ন পূবের্। আমাদের এই এক দিক থেকে আরেক দিক যেতে সময় মোটামোটি ২ ঘন্টা লাগবে জানানো হয়েছিল, তারমানে সন্ধ্যার দিকে পৌছে যাব।

ফেরিতে করে যাওয়া

তারপর যেমন প্ল্যান তেমনই করা হল, খাবার কিছু কেনাকাটা করে, গাড়ি ভারা করে আব্বু, আমার বর আর খালুরা ফোর-হুইল-ড্রাইভ ট্রেনিং নিল। তারপর আমরা ৩টার মধ্যেই ফেরির জন্য চলে আসলাম। এসে দেখা গেল সেই ফেরি ১ ঘন্টা লেট। শেষমেষ আমরা দ্বীপে গিয়ে যখন পৌছলাম তখন বাজে বিকাল ৪:৩০ টার ওপরে। তখনো বুঝতে পারিনি যে আমাদের এর পরের কয়েক ঘন্টা কিরকম কাটবে।

ফেরি থেকে নেমে যখন গাড়ি রাস্তায় উঠল তখন দেখি কিসের রাস্তা এতো গ্রামের বালির রাস্তা। খুব সাদা আর মিহি সেই বালি। আর শুধু তাই নয় এমন উচুনিচু আর কিছু কিছু যায়গায় সাংঘাতিক নরম যেখানে গেলে গাড়ির চাকা যায় আটকে, তখন না যায় পেছানো না যায় আগানো। এমন এক যায়গায় গেল আমাদের গাড়ি আটকে। সেখানে হল আরো কিছু সময় নষ্ট। তবুও ভাগ্যভাল যে সে যায়গা শেষমেষ পার হওয়া গিয়েছিল।

রেইন ফরেস্ট

তারপর শুরু হলো গভীর জংগল, রেইন ফরেস্ট। একে তো গভীর জংগল, তার ওপর সাংঘাতিক খারাপ বালির সরু উচুনিচু রাস্তা, তার ওপর প্রায় সন্ধ্যা নেমে গিয়েছে। মাঝে মাঝে রাস্তার পাশে তাকালে দেখা যেত বিশাল খাদ, অনেক নিচু, হাত পা ভয়ে ঠান্ডা হয়ে যেত। এভাবে কিছুদুর যেতে যেতেই মোটামোটি ভালই অন্ধকার হয়ে গেল। গাড়ির লাইটে যতদূর দেখা যায় ততটুকু দেখেই চালানো হচ্ছিল। যদিও জংগলে বাঘ ভাল্লুক বলে কিছু নেই কিন্তু সবার সাপের ভয়ে আর আমার মাকড়শার ভয়ে জানালা সব ভালো মত আটকে দেয়া হল। রাস্তার সাইন গুলো পর্যন্ত ঠিকমত পরিষ্কার ছিলনা। বড় টর্চলাইট বের করতে হলে গাড়ি থেকে নামতে হবে, এই ভয়ে ফোনের লাইট দিয়ে কোনো ভাবে ম্যাপ দেখা হচ্ছিল। হঠাৎ হঠাৎ অন্ধকারে জ্বলজ্বল চোখ দেখে বোঝা যাচ্ছিল ডিংগো(বন্য কুকুরের মত, দেখতা শেয়ালের মত) ঘোরাফেরা করছে।

দুটো গাড়ির মাঝে আমাদের গাড়িতে ছিলাম আব্বু, আম্মু, আমি আর আমার বর। আব্বু গাড়ি চালাচ্ছিল আর আমার বর ম্যাপ দেখে গাইড করছিল। দ্বিতীয় গাড়ি আসছিল আমাদের পেছন পেছন। কোন বিপদ হলে একমাত্র উপায় ছিল অন্য গাড়ি সাহায্যের জন্য ফিরে যাওয়া কারন কোন ফোনের রিসেপশন ছিলনা। আমরা সবাই মোটামোটি সাংঘাতিক রকমের ঘাবরে গিয়েছিলাম কিন্তু একমাত্র আম্মুর ভয়টাই প্রকাশ পাচ্ছিল। কোনো সুরা পড়া আম্মু বাকি রাখেনি।

এভাবে দে্বর ঘন্টা বনের ভিতর দিয়ে যাওয়ার পর অবশেষে আমরা সমুদ্র দেখতে পেলাম, মানে দ্বীপের সম্পুর্ন পূর্ব দিকে এসে পৌছেছি, এখন কিছুদূর উত্ত ের গেলেই আমাদের রিসোর্ট। তখন জংগলে পথ হাড়িয়ে রাত কাটানো অথবা গাড়ি উল্টে পরা বা খাদে পরার ভয় তখন অনেকটা কমলো কিন্তু নতুন ভয় জন্মনিল অন্ধকারে ভুল করে গাড়ি চালিয়ে সমুদ্রে চলে যাওয়া। একদম সমুদ্রের ধার ঘেসে গাড়ি চালিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। অন্ধকারে বোঝা যাচ্ছিলো না সমুদ্রের ঢেউ ঠিক কতটুকু কাছে আসছে কারন বেশি নরম বা ভেজা বালিতে চালালে আবার চাকা আটকে যাওয়ার সম্ভাবনা আছে। আটকে গেলে যদি সমুদ্রের উচু ঢেউ আসে তখন আর গাড়ি বিচে ফিরে আনার কোনো উপায় থাকবে না।

এভাবে আমরা কলিজা হাতে করে অবশেষে যখন আমাদের রিসোর্টে এসে পৌছলাম তখন বাজে প্রায় রাত ৭:৩০ টা। তবে আসার দিন এমন খারাপ অভিজ্ঞতা হলেও পরের দিনগুলো আমাদের কেটেছিল দারুন। দ্বীপটি খুব সুন্দর। আর ৭৫ মাইল লম্বা বিচে গাড়ি চালানোর মজাই আলাদা।

লেক ম্যাকেনজি

দ্বীপে একটি বিশাল লেক/খাল আছে নাম লেক ম্যাকেনজি যার পানি খুবই স্বচ্ছ আর পানির পি-হেইচ লেভেল বেশি থাকায় পানিতে কোনো মাছ বা প্রানী নেই। খালটি বেশ উচুতে কয়েকটি পাহাড়ের মাঝে। সব মিলিয়ে নেচার লাভারদের জন্য এই দ্বীপকে এককথায় স্বগর্ বলা যায়।

বালির পাহাড়

ইন্ডিয়া হেড এর ওপর থেকে

অন্যান্য ছবি

ছবি: 
22/06/2007 - 1:26am
22/06/2007 - 1:26am
22/06/2007 - 1:26am
22/06/2007 - 1:26am
22/06/2007 - 1:26am
22/06/2007 - 1:26am
22/06/2007 - 1:26am
22/06/2007 - 1:26am
22/06/2007 - 1:26am
22/06/2007 - 1:26am
22/06/2007 - 1:26am
22/06/2007 - 1:26am
22/06/2007 - 1:26am
22/06/2007 - 1:26am
22/06/2007 - 1:26am

মন্তব্য

দ্রোহী এর ছবি

ওয়েলকাম্ব্যাক মুমু আপা। অনেকদিন পরে এলেন!

ছবি ছাড়া ভ্রমণের গল্প পড়া নিকষ আঁধারে সুন্দরী রমণীর মুখের দিকে তাকিয়ে থাকার মত ব্যাপার। মন খারাপ

মুশফিকা মুমু এর ছবি

থ্যান্কিউ ভাইয়া, হাসি ছবি দিব, ঠিকঠাক করে নেই

------------------------------
পুষ্পবনে পুষ্প নাহি আছে অন্তরে ‍‍

অনার্য সঙ্গীত এর ছবি

ছবি নাই মন খারাপ
অনেকদিন পর আপনার লেখা! খুব ভাল্লাগলো।

______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন

মুশফিকা মুমু এর ছবি

ধন্যবাদ হাসি

------------------------------
পুষ্পবনে পুষ্প নাহি আছে অন্তরে ‍‍

নীলকান্ত এর ছবি

প্রথমবারের মত আপনার লেখা পড়ছি এবং অবাক হচ্ছি এতদিন লিখেননি কেন ভেবে হাসি(২০০৯ এর পর দ্বিতীয় পোস্ট )
আরও জানতে চাই দ্বীপ সম্পর্কে, অনার্যদার সাথে একমত, ছবি নাই মন খারাপ, ছবি চাই


অলস সময়

মুশফিকা মুমু এর ছবি

অনেক ধন্যবাদ পলাশ দা, ছবি আসছে।

------------------------------
পুষ্পবনে পুষ্প নাহি আছে অন্তরে ‍‍

কৌস্তুভ এর ছবি

দ্বীপের ছবি কো?

মুশফিকা মুমু এর ছবি

আসিতেছে!

------------------------------
পুষ্পবনে পুষ্প নাহি আছে অন্তরে ‍‍

মুশফিকা মুমু এর ছবি

হাসি

------------------------------
পুষ্পবনে পুষ্প নাহি আছে অন্তরে ‍‍

অনিকেত এর ছবি

লেখাটা মজার হয়েছে,মুমু। অনেক দিন পর তোমার লেখা আসল।
বেঞ্চিং জিনিস্টা আগে জানা ছিল না। পড়ে খুব মজা লাগল।
ভ্রমনকাহিনীতে ছবি দেখতে মঞ্চায়। পারলে কিছু ছবি দিও

শুভেচ্ছা নিরন্তর

মুশফিকা মুমু এর ছবি

অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া। আপনার কমেন্ট দেখে বেঞ্চিং বানানটা ঠিক করে দিলাম হাসি ছবি দিব

------------------------------
পুষ্পবনে পুষ্প নাহি আছে অন্তরে ‍‍

তাসনীম এর ছবি

ওয়েলকাম ব্যাক। সবার মত আমারও দাবি ছবি...পারলে জুড়ে দিয়েন কিছু। গুগল করে কিছু ছবি অবশ্য পেয়েছি।

আপনাকে ব্লু পেইজে খুঁজে পেলাম হাসি

ভালো থাকুন।

________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...

মুশফিকা মুমু এর ছবি

ধন্যবাদ হাসি তারমানে আপনিও আইবিএম এ, কোথায় আছেন আপনি?

------------------------------
পুষ্পবনে পুষ্প নাহি আছে অন্তরে ‍‍

তাসনীম এর ছবি

আমি অস্টিন আইবিএমে। গ্লোবাল সার্ভিসের মতো আমার বেঞ্চে বসার ব্যবস্থা নেই মন খারাপ

________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...

মুশফিকা মুমু এর ছবি

ওহ আহারে মন খারাপ

------------------------------
পুষ্পবনে পুষ্প নাহি আছে অন্তরে ‍‍

আয়নামতি1 এর ছবি

জান হাতে করে ভ্রমণে যাবার সময় মনে হয়, বেঁচে ফিরলে আর জীবনেও এমন করে বের হবোনা। কিন্তু পরে সেসব নিয়েই তুমুল হাসাহাসি করা হয়। একবার ইয়োলোস্টোনপার্ক যাবার সময় এমন ভীতিকর ব্যাপার হয়েছিলো। আপনার অভিজ্ঞতায় সেই স্মৃতিটা মনে পড়ে গেলো! খুব ভালো লাগলো আপনার লেখাটা। সবার দাবীর সাথে আমি মিনমিন করে জানিয়ে গেলাম ছবি থাকলে আরো খোলতাই হতো পোষ্টের রূপ!

মুশফিকা মুমু এর ছবি

একদম ঠিক বলেছেন। তখন যে কি ভয় পেয়েছিলাম, এখন এসব মনে হলে আসলেই হাসি পায় আর মজাই লাগে হাসি ছবি সিলেক্ট করে দিব।

------------------------------
পুষ্পবনে পুষ্প নাহি আছে অন্তরে ‍‍

মুশফিকা মুমু এর ছবি

হাসি

------------------------------
পুষ্পবনে পুষ্প নাহি আছে অন্তরে ‍‍

ধুসর গোধূলি এর ছবি

যুগ যুগ জিও আইবিএম!

তুমি এমন বর্ণনা দিলা, ভয়ে তো আত্মারাম খাঁচাছাড়া হয়ে যাবার যোগাড়! ফ্রেজার আইল্যান্ড তো এতো ভয়ের না, বরং ‌এ্যাডভেঞ্চারাস! অবশ্য পুরোটাই শোনা কথা। যাওয়া হয়নি কখনো। তবে, যাওয়ার প্ল‌্যান আছে। দারা-পুত্র-পরিবার সংঘের প্রথম সদস্যকে হাতে পাওয়ার সাথে সাথেই...। হাসি

মুশফিকা মুমু এর ছবি

আসলেই এ্যাডভেঞ্চারাস, এখন ভাবলে মনেহয় এমন হয়ে ভালই হয়েছে, অন্যরকম স্মৃতি হয়ে থাকবে। আসলে ভয়ের তেমন কিছুনা আবার কিছু হলে সাংঘাতিক এক্সিডেনটও হতে পারতো। আর রাতে জংগলে গাড়ি চালাতে ওরাই মানা করে রাস্তা খারাপ হওয়ার জন্য, রিমোট জায়গায় কোনো বিপদ হলে সাহায্য আসতেই কয়েক ঘন্টা লাগবে। আর আমারা তো তার ওপর জানতাম না ঠিক কোথায় যাচ্ছি। তার ওপর সমুদ্রে জোয়ার থাকলে বিচে চালানো নিষেধ, আমাদের ভাগ্য ভাল ছিল যে সে রাতে তখন জোয়ার ছিল না। আমি বলি অবশ্যই যাবেন, আমারো আরেকবার যাওয়ার ইচ্ছা আছে

------------------------------
পুষ্পবনে পুষ্প নাহি আছে অন্তরে ‍‍

নিয়মিত পাঠক এর ছবি

আপনার লেখার সারল্য সবসময়ই মুগ্ধ করে। সেই সাথে এই লেখায় যুক্ত হলো অসাধারণ হিউমার। সুস্থ থাকুন, আর আমাদের জন্য এভাবেই লিখতে থাকুন।

মুশফিকা মুমু এর ছবি

অনেক ধন্যবাদ নিয়মিত পাঠক হাসি

------------------------------
পুষ্পবনে পুষ্প নাহি আছে অন্তরে ‍‍

যাযাবর ব্যাকপ্যাকার এর ছবি

বাহ্‌বা! পুরান সচলদের চমৎকার কামব্যাক উইক মনে হচ্ছে...! আর কে কে লিখেন না অনেকদিন লিস্টি দেখে আসি খ্রান...

লেখা-ছবি ভালো হয়েছে... কিন্তু আরেকটু বড় ছবি দিতেন... চিন্তিত

আর আচ্ছা, ভালো কথা, বেঞ্চিং জিনিসটা পছন্দ হইসে... বেঞ্চিং করা যায় এইরকম একটা আরামের চাকরি দেইখেন তো আমার জন্যেও...

___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।

মুশফিকা মুমু এর ছবি

হাহাহা আচ্ছা দেখব খাইছে অনেক ধন্যবাদ হাসি

------------------------------
পুষ্পবনে পুষ্প নাহি আছে অন্তরে ‍‍

দময়ন্তী এর ছবি

অনে-এ-এ-কদিন বাদে লিখলেন মুমু৷ ভাল লাগল৷

আহা বেঞ্চে থাকা বড় সুখের সময়৷ আমি ২০০৯ এ সোয়া দুই মাস বেঞ্চে ছিলাম৷ হাসি আমি অবশ্য এগারোটা নাগাদ অফিসে চলে যেতাম, কারণ অফিস গেলে আর খাওয়াদাওয়ার যোগাড়ে নিজেকে দৌড়াদৌড়ি করতে হয় না৷ ফুড কোর্টে গিয়ে কিছু একটা নিয়ে আরামে বসে বসে বই পড়া যায়৷

-----------------------------------------------------
"চিলেকোঠার দরজা ভাঙা, পাল্লা উধাও
রোদ ঢুকেছে চোরের মত, গঞ্জনা দাও'

মুশফিকা মুমু এর ছবি

ওহ তাই? আপনি তো তাইলে আমার চেয়েও আরো বেশি আরাম করেছেন খাইছে লাকি

------------------------------
পুষ্পবনে পুষ্প নাহি আছে অন্তরে ‍‍

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

আমারে বেঞ্চে একটা চাকরি দেন মন খারাপ

লেখা ভালো লাগছে

ওয়েল্কামব্যাক

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

মুশফিকা মুমু এর ছবি

ধইন্যবাদ নজরুল ভাই হাসি আমি সিইও হইলেই আপনাকে চাকরি দিব হাসি

------------------------------
পুষ্পবনে পুষ্প নাহি আছে অন্তরে ‍‍

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।