মিলন, ক্ষমা করিসরে ভাই আমার.....

মূর্তালা রামাত এর ছবি
লিখেছেন মূর্তালা রামাত (তারিখ: মঙ্গল, ০৯/০৮/২০১১ - ৩:১৮অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

মিলন নামের এই কিশোরটির দিকে যতোবার তাকাচ্ছি ততোবারই চোখ ফিরিয়ে নিতে বাধ্য হচ্ছি। এক ধরনের মস্ত অপরাধবোধে আমি তার চোখে চোখ রেখে কথা বলতে পারছি না।

কিশোরটিকে আপনি দেখুন। তার উপর অজস্র কিল, ঘুষি, লাথি পড়ছে একের পর এক, কিন্তু তার চেহারায় কোন যন্ত্রনার চিহ্ণ নেই। আছে একরাশ বিস্ময় মাখা প্রশ্ন। তার এই প্রশ্ন আপনার কাছে, আমার কাছে, সমাজের মানুষের কাছে, মানুষের বিবেকের কাছে, সর্বোপরি রাষ্ট্রের কাছে- কেন তাকে এভাবে মারা হচ্ছে? কী তার অপরাধ? সে জানে না। আপনি কি জানেন? আমি কি জানি?

না, আমরা কেউই জানি না। যে পুলিশ তাকে চুলের মুঠি ধরে জনতার মাঝে ছুঁড়ে দিলো স্বাক্ষ্য প্রমাণ থেকে নিশ্চিত মিলনের অপরাধ সম্পর্কে সেও মিথ্যা বলেছে। যে জনগণ তাকে পিটিয়ে কুপিয়ে নাড়ি ভুড়ি কলিজা বের করে মেরে ফেললো তারাও তার অপরাধ সম্পর্কে নিশ্চিত ছিল না। পুলিশ বলেছে ‍‍‌'পিডি মাইরা হালাইতে" তাই তারা মেরেছে। একটিবারও ভাবেনি এই কিশোরটি তার ভাইয়ের মত, তার বন্ধুর মত, তার আপন সন্তানের মত।

যদি প্রশ্ন করা হয় মানুষের ভেতর থেকে মানবতার অনুভূতি কখন উঠে যায়? সহজ উত্তর, যখন অপরাধীরা অপরাধ করে সদর্পে ঘুরে বেড়ায়, যখন প্রচলিত আইন সঠিকভাবে প্রয়োগ হয়না, যখন হতাশ হতে হতে আর হতাশ হওয়া যায় না, তখন মানুষ অন্ধের মত আইন নিজের হাতে তুলে নেয়। আমাদের দেশের মানুষগুলি এখন তেমনই হয়ে উঠছে দিনদিন।

মানুষের এই পরিবর্তন কিন্তু এক দিনের ঘটনা নয়। বহুদিন ধরে আমরা দেখে আসছি একের পর অপরাধের ঘটনা ঘটছে। কিন্তু সরকারের পক্ষ থেকে জনগণের জানমালের নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়নি। বরঞ্চ দলীয় বিবেচনায় একাধিকবার খুনের আসামীকে রাষ্ট্রের পক্ষ থেকে ক্ষমা করায় জনগণের মাঝে প্রচলিত আইন সম্পর্কে আরো আস্থাহীনতার সৃষ্টি হয়েছে। প্রচলিত বিচার পদ্ধতিকে পাশ কাটিয়ে গুপ্ত হত্যার মাধ্যমে অপরাধ দমনও সমাজে দারুণ ভীতির সৃষ্টি করেছে। মানুষ একে অপরকে আর বিশ্বাস করতে পারছে না।

অন্যদিকে রাষ্ট্র কর্তৃক সাহসপ্রাপ্ত হয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীগুলোও হয়ে উঠেছে বেপরোয়া। বিশেষ করে পুলিশ বাহিনীর বিভিন্ন সদস্যের অপরাধের কাহিনী প্রকাশ্য দিবালোকের মত সত্য হলেও আদতে এর কোন বিচার হয়নি। ফলে তাদের ভেতর এমন ধারনা জন্মে গেছে যে তাদের যা খুশি তাই করার নিত্য অধিকার আছে। সেই অধিকার বলেই তারা ছাত্রকে ডাকাত বানিয়ে জনগণ দিয়ে পেটাচ্ছে, নিরীহ ছাত্রকে থানায় আটকে চাপাতি দিয়ে কুপিয়ে সন্ত্রাসী বানাচ্ছে, কিশোরের টাকা, মোবাইল ছিনিয়ে তাকে গণপুটিনী দিতে জনগণকে উৎসাহিত করছে, একে তাকে ধরে নিয়ে ক্রসফয়ারের কল্পিত কাহিনী তৈরি করছে, গুম করে দিচ্ছে লাশ।

এ যেন ষাট এর দশকের কমুনিস্ট শাসিত কোন দেশের অভ্যান্তরীন চালচিত্র। অথচ বাংলাদেশ একটি গণতান্ত্রিক দেশ, যেখানে জনগণকে হেফাযতের অঙ্গীকার নিয়েই সরকার ক্ষমতায় আসে। মিলন নামের কিশোরটি এদেশের জনগণেরই একজন। তাকে নিরাপত্তা না দিতে পারার দায় রাষ্ট্রের, সরকারের। উন্নত বিশ্বের দেশ হলে এ ঘটনার দায়ে সরকারের পতন পর্যন্ত ঘটতো।

কিন্তু বাংলাদেশে আমরা জানি, এসবের কিছুই হবে না। তিন চার জন পুলিশ সদস্য ক্লোজড হয়েছেন, বিচার বিভাগীয় তদন্তের সুপারিশ করা হয়েছে, মিডিয়ায় এ নিয়ে কিছুদিন হৈ চৈ হবে, টক শোতে সরকারকে তুলোধুনা করা হবে,আমরা খাওয়ার টেবিলে কদিন এ নিয়ে আলোচনা করবো তারপর ক্রমশ ভুলে যাবো সব।

কেবল কিশোরটির হতবাক, বিমূঢ়, বিস্ময়মাখা চেহারায় প্রশ্নগুলো লেপ্টে থাকবে চিরকাল। সেটি পুঁজি করে ক্ষমতার পালাবদল হবে। কিশোরটির মা বিচারের আশায় বুক বাধবেন.....তাহের পুত্র বিপ্লবের শিকার হওয়া হতভাগ্য নুরুল ইসলামের স্ত্রীর মতো বুক বাধতেই থাকবেন......আমরা কখনোই তাদের মুখোমুখি দাঁড়িয়ে স্বপ্ন দেখাতে পারবো না, মেরুদণ্ড বাকা করে চোখ ফিরিয়ে নেবো। সবকিছু দুমড়ে মুচড়ে স্বপ্নবাজ হবার মতো সাহসী আমরা নই, এ দায় রাষ্ট্রের একার নয়- আমাদের সবার।

তথ্যসূত্র:
http://www.amadershomoy1.com/content/2011/08/09/news0628.htm
http://www.prothom-alo.com/detail/date/2011-08-09/news/176744
http://www.prothom-alo.com/detail/date/2011-08-09/news/176797
http://www.prothom-alo.com/detail/date/2011-08-09/news/176745

ছবিসূত্র: সময় টেলিভিশন, http://www.youtube.com/watch?v=QyFu9ZE_KKI

৯/০৮/২০১১
সিডনি, অস্ট্রেলিয়া।

ছবি: 
11/05/2008 - 5:01pm

মন্তব্য

ত্রিমাত্রিক কবি এর ছবি

আমার কেন যেন মনে হচ্ছে, এই ধরণের ঘটনাগুলো ধীরে ধীরে বেড়েই চলছে। আমরা দিনে দিনে আরও বন্য হচ্ছি। সরকার, সরকারের বাহিনী, বিরোধীদল, জনগণ সবাই মিলে যেন আমরা নেমেছি বন্য হওয়ার প্রতিযোগিতায়। এরকম ঘটনাগুলোই হয়ত কিছুদিন পরে আমাদের পরিচয় হবে।

সেদিন মাংস কিনতে গেছি। দোকানির সাথে কথপকথন হচ্ছিল, কথাপ্রসঙ্গে চলে আসে, আমি বাংলাদেশি। সে তখন হুট করে প্রসংগ পরিবর্তন করে রুমানা মঞ্জুরের প্রসঙ্গে চলে আসে। আমাকে জিজ্ঞেস করে তোমরা বাংলাদেশিরা কি এরকমই নাকি। দেশের নাম বলে এত লজ্জা কোনদিন পাইনি। আমি যদিও প্রতিবাদ করেছিলাম, কিন্তু এরকম চলতে থাকলে আমরা হয়ত বিশ্বের সবচেয়ে বর্বর জাতি হিসেবে পরিচিত হব মন খারাপ

_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই

মূর্তালা রামাত এর ছবি

কদিন আগে ছয় ছাত্রকে ডাকাত বানিয়ে পিটিয়ে মারার ঘটনার পর আমার এটাই মনে হচ্ছিল, তখন হতাশ হয়ে একটা কবিতাও লিখেছিলাম-
কসাইপুরে স্বাগতম

শকুনেরা পালিয়েছে আগেই, কাকেরাও যাচ্ছে
ভাগছে কুকুরও

ঘোষণা হয়ে গেছে, এ শহর কেবল মানুষের, মানুষই ঠুকরে খাচ্ছে মানুষের মগজ কলিজা ও বিবেক অবলীলায় বত্রিশ টুকরো করে মানুষকে ডাকযোগে বাড়ি বাড়ি পৌঁছে দিচ্ছে মানুষ উঠোনে প্রিয়জনের নাড়ি ভুড়ি টানিয়ে সেখানে শুকাচ্ছে স্নেহ মমতার কোলবালিশ, বাড়িতে বাড়িতে ক্রমাগত বাড়ছে কসাই হবার একান্ত বাসানা, রাজপ্রসাদ থেকে শুরু করে নর্দমার অলিতে গলিতে রক্তের টাটকা ছোপ মানচিত্র বেয়ে বেয়ে মস্ত কসাইখানা যেন আজ এ দেশ যেখানে প্রেমিকার পদ্ম চোখ খুবলে রক্ত চাটছে প্রেমিকের প্রতারক জিভ, পিতার অবিশ্বাসের দোকানে বিক্রি হচ্ছে নবজাতকের পোড়া ঘ্রাণ রোস্ট আর তাদের মায়েরা তা খুবলে নিচ্ছে প্রণয়ের কাঁটাচামচের দূর্গন্ধে - বাতাস স্বয়ং নাকে চেপে আছে রুমাল অথচ সবাই অনাবিল হাসিখুশি, বন্ধুকে অবলীলায় কেটে খেলনা বানিয়ে বেলুন উড়াচ্ছে বন্ধু, হাসতে হাসতে ভাইয়ের হৃৎপিন্ড চিরে মুক্তো হাতাচ্ছে ভাই, সিন্দুকের তালা খুলতে বাবাকে পিটিয়ে চাবি বানাচ্ছে ছেলে, ছেলেকে জবাই করে মোরগককে খাওয়াচ্ছে মা, মায়ের স্তন কেটে নিতম্বের মাংস বাড়ছে মেয়ের, বাড়ছে এবং বাড়তে বাড়তে আব্বুর ঘোলা চোখের আংটায় ঝুলে আছে মাংসের দোকানে, ছড়াচ্ছে ঘ্রাণ আর ঘ্রাণে মানুষ মাংস আর মৃত্যুর কড়া ডাক মদের মত কড়া নেড়ে নেড়ে প্রকম্পিত করছে লোকালয়, আর্তনাদ ঠেকাতে ছাত্রীর মুখে শিশ্ন পুরে দিচ্ছে স্বরস্বতীর স্বামী, মানুষকে পিটিয়ে কুপিয়ে গ্রামে গঞ্জে চলছে বৃক্ষরোপন উৎসব, মুয়াজ্জিনের হাসিমাখা রক্তে হাবুডুবু খাওয়া শিশুর গোঙানীতে মুসল্লিরা খুঁজছে দলীয় প্রতীক, পিস্তলের ভেতরে ঢুকিয়ে মেধাবী শিক্ষার্থীদের নিংড়ানো হচ্ছে আখ মাড়াইয়ের উচ্চতর গবেষণায়, উচ্চফলনশীল ফসল ফলানোর নামে ক্ষেতে বোনা হচ্ছে ক্রসফায়ারের হাইব্রিড বীজ, পল্লী উন্নয়নের ল্যাম্পপোস্ট হয়ে মোড়ে মোড়ে নিভে আছে অষ্টাদশীর ক্ষত বিক্ষত লাশ, লাশের পর লাশ ফেলে ভরাট হচ্ছে নদী খাল বিল পতাকার লাল বৃত্ত সমস্ত কিছু লাশের অধিকারে, লাশ দিয়ে লাশ পেটাচ্ছে ধড় হীন হাত, পেট হীন মাথা, মাথা হীন পা- অন্ধের মত পালন করছে গায়েবি নির্দেশ নামা, স্কুলে স্কুলে পঠিত হচ্ছে ঘণ্টার পর ঘণ্টা কে হবে সেরা খুনি’র কলাকৌশল, ফাঁসিকাষ্ঠের খুনিও নেমেছে উন্মুক্ত অডিশনে, সকলের মুঠোর ভিতর বিবস্ত্র খুনের উন্মত্ত সঙ্গম, প্রকাশ্য দিবালোকে সময়কে চিরে ফেড়ে দেশেকে কেটে মর্গের বিছানা বানাচ্ছে কতিপয় সংকল্পধারী আদেশ, মানুষ আর মানুষ নেই তাই দল মত নির্বিশেষে ধাবমান আজ পাশবিক প্রত্যয়ে-

জানোয়ার পালিয়েছে তাতে কী
আমরাই দেখিয়ে দেবো জানোয়ার কত প্রকার ও কী কী!

---------------
মিলনের ঘটনার পর আমার প্রিয় দেশকে আমি এখন কসাইখানা ছাড়াআর কিছু ভাবতে পারছি না.........নিজেকে খুব অসহায়, অসুস্থ লাগছে.....

.

মূর্তালা রামাত

The Reader এর ছবি

কিছু বলার সাহস হচ্ছে না ভাইয়া । কিছুই বলতে পারছি না । নিজ দেশে আমরা আজ এতই অসহায় ।

মূর্তালা রামাত এর ছবি

আমারও কিছু বলার ভাষা নেই.......

মূর্তালা রামাত

guest_writer এর ছবি

শুধু বাংলাদেশ নয় সারা পৃথিবীতেই নৈতিকতার ধ্বস নেমেছে। দেখুন কি হচ্ছে ইংল্যান্ড ? জ্বালাও পোড়াও দোকান লুটের মত কর্মকান্ড চলছে সেখানেও। মিলনের কথা বলছিলেন, বলছিলেন আমাদের দায়বদ্ধতার কথা। এই অবস্থা কি একদিনে হয়েছে, দীর্ঘদিনের অপশাসন, বৈষম্য, সূধীসমাজের সুবিধাভোগী মনোভাব আরও কতকি। সাধারন মানুষ তাদের ন্যায্য অধিকার থেকে বঞ্চিত। বিভিন্নক্ষেত্রে বৈষম্যের শিকার। প্রচন্ড আস্থার সংকটে ভুগছে আপামর জনসাধারন। সমাজের উঁচুস্তর থেকে শুরু করে সর্বস্তরে পচন ধরেছে। নৈতিকতা আজ বিসর্জিত। যাঁরা পথ দেখাবেন তাঁরাই আজ পথের হদীস ভুলে বসে আছেন। মিলনের কাছে ক্ষমা চাওয়াও এক ধরনের প্রতারনা। আগামীকালওতো আবার এধরনের ঘটনা ঘটবে। আবারও ক্ষমা চাইব। এভাবে কি শুধু ক্ষমাই চেয়ে যাব আমরা?

মূর্তালা রামাত এর ছবি

নৈতিকতার ধ্বস যেন আমাদের দেশেই বেশি নেমেছে.......সমাজের পচন অস্বীকার করার উপায় নেই.....সেটাই ভাই এভাবে আর কত ক্ষমা চাইব আমরা......টানেলের শেষে আলো কোথায়? এর শেষ কোথায়?

মূর্তালা রামাত

তানিম এহসান এর ছবি

.............................

স্বাধীন এর ছবি

নিজেকে অনেক শক্ত মনের মানুষ হিসেবেই জানি। তারপরেও ভিডিও দেখে গা গুলিয়ে এসেছে। বার বার ভিডিওটা চোখের সামনে ভাসছে। আপনার সাথে সহমত। এই বর্বরতা এক দিনেই শুরু হয়নি। অনেক দিন ধরেই চলে আসছে। এখন দিন দিন সেটা বাড়ছে আরো। কিন্তু তারপরেও করণীয় কিছু নেই, সেটাই হলো সবচেয়ে দুঃখজনক। আমরাও সেগুলোতে অভ্যস্ত হয়ে গিয়েছি। দু'দিন ব্লগে, পত্রিকায় লিখবো, হা হু করবো। তারপর নুতন আরেকটি খবর আসবে, আমরা সেটি নিয়ে ব্যস্ত হবো। এক গোলক ধাঁধায় পড়ে গেছি। সবচেয়ে কষ্টকর হলো এরকম একটি মৃত্যুর পরেও সংখ্যাগরিষ্ঠ জনগণের কোন বিকার নেই, নেই কোন প্রতিবাদ, নেই কোন আন্দোলন। এক অশুভ সময়ের মধ্য দিয়ে যাচ্ছি আমরা।

সবুজ পাহাড়ের রাজা এর ছবি

বাকরুদ্ধ হয়ে গেলাম।
গতকাল ইফতারের পর টিভিতে দেখলাম বাণিজ্যমন্ত্রী বলছেন দেশের অবস্থা খুব ভালো, আইন-শৃঙ্খলা অবস্থা খুবই ভালো, মানুষ সুখে-শান্তিতে বসবাস করছে, বাংলাদেশ নাকি বিশ্বের কাছে এখন মডেল রাষ্ট্র...ব্লা-ব্লা-ব্লা....
রাতে সংবাদে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে বলতে দেখলাম বর্তমানে দেশের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি খুব ভালো, কোথাও কোন অপরাধ হচ্ছে না।
দায়িত্বহীনতা কাকে বলে???
মিলনকে হত্যার দায়ে অভিযুক্ত পুলিশদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে কিন্তু ভরসা পাচ্ছি না, কারণ রুবেলকে হত্যার দায়ে অভিযুক্ত পুলিশদের মত এই পুলিশ সদস্যদেরও খালাস দেয়া হবে।
দেশের আইন-শৃঙ্খলা প্রয়োগকারী সংস্থাগুলো আমাদের জান-মালের নিরাপত্তা দিতে পারছেই না, বরং আইন-শৃঙ্খলা প্রয়োগকারী সংস্থাগুলোর সদস্যরাই নিজেরাই আমাদের জান-মালহানি করছে। সরকারও এ ব্যাপারে কিছু করছে না।
আমরা নিরাপদ নয়।

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।