এক পাকিস্তানীর লেখা গরুর রচনা

কীর্তিনাশা এর ছবি
লিখেছেন কীর্তিনাশা (তারিখ: বিষ্যুদ, ৩১/০৭/২০০৮ - ৬:২২অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

আমি এখানে এখন যে রচনাটা পোস্ট করছি তা জনৈক পাকিস্তানী লিখেছিল সরকারী চাকরীর জন্য লিখিত পরীক্ষা দেবার সময়। আমি এটি পেয়েছি এক বন্ধুর কাছ থেকে পাওয়া ইমেইলের মাধ্যমে। কথা হচ্ছে রচনাটি ইংরেজীতে লেখা। এটা পড়ে আমি এতই মজা পেয়েছি যে আপনাদের সাথে এ মজা ভাগাভাগি না করে পাড়লাম না।

(সম্মানিত মডুদের জ্ঞাতার্থে জানাচ্ছি - আমার এ পোস্টে যেহেতু ইংরেজীর ব্যবহার আছে তাই এটা যদি সচলায়তনের নীতি বিরুদ্ধ হয় তবে দয়াকরে এ পোস্ট প্রথম পাতা থেকে সরিয়ে দেবেন।)

কথিত আছে এমন রচনা লেখার পরও এই পাকিস্তানী ইন্টারভিউতে পাস করেছিল এবং সে এখন পাকিস্তানের বানু নাকি বান্নু প্রদেশে কালেক্টর হিসেবে কর্মরত আছে।

তো এই হলো তার লেখা গরুর রচনা -

"Essay: The Cow”

"The cow is a successful animal. Also he is 4 footed. And because he is female, he gives milks, [but will do so when he is got child.]. He is same like-God, sacred to Hindus and useful to man. But he has got four legs together.

Two are forward and two are afterwards. His whole body can be utilized for use. More so the milk. Milk comes from 4 taps attached to his basement. [horses dont have any such attachment]

What can it do? Various ghee, butter, cream, curd, why and the condensed milk and so forth. Also he is useful to cobbler, water mans and mankind generally. His motion is slow only because he is of lazy species. Also his other motion. gober is much useful to trees, plants as well as for
making flat cakes [like Pizza], in hand, and drying in the sun. Cow is the only animal that extricates his feeding after eating. Then afterwards he chew with his teeth whom are situated in the inside of the mouth. He is incessantly in the meadows in the grass. His only attacking and defending organ is the horns, specially so when he is got child.

This is done by knowing his head whereby he causes the weapons to be paralleled to the ground of the earth and instantly proceed with great velocity forwards. He has got tails also, situated in the backyard, but not like similar animals. It has hairs on the other end of the other side.

This is done to frighten away the flies which alight on his cohesive body hereupon he gives hit with it. The palms of his feet are soft unto the touch. So the grasses head is not crushed. At night time he have poses by looking down on the ground and he shouts. His eyes and nose are like his other relatives. This is the cow........

আমি আবার একটু হেসে নি - হা হা হা হা।


মন্তব্য

রাফি এর ছবি

পইড়া মজা পাওয়ার বদলে মেজাজ খারাপ হইছে...........।

বেকুব পাকিরএই ভুলভাল লেখা পড়ার কোন দরকার আছিল না।

---------------------------------------
অর্থ নয়, কীর্তি নয় ,স্বচ্ছলতা নয়-
আরো এক বিপন্ন বিস্ময়
আমাদের অন্তর্গত রক্তের ভেতরে
খেলা করে;
আমাদের ক্লান্ত করে;

---------------------------------------
আমি সব দেবতারে ছেড়ে
আমার প্রাণের কাছে চলে আসি,
বলি আমি এই হৃদয়েরে;
সে কেন জলের মতন ঘুরে ঘুরে একা কথা কয়!

অছ্যুৎ বলাই এর ছবি

জোকটা ভালো। এরকম জোক অনেক আছে। হাসির। কিন্তু কোনো দেশের/জাতির সাথে অ্যাসোশিয়েট করাটা ভালো লাগলো না।

---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো

কীর্তিনাশা এর ছবি

বলাই ভাই আমি যেভাবে এটা পেয়েছি সে ভাবেই তুলে দিয়েছি। কে জানে হলেও হতে পারে এটা এক পাকিস্তানীর লেখা। এ জগতে ওদের চেয়ে কাবিল আর কয়টা জাতি আছে?
-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।

-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।

অছ্যুৎ বলাই এর ছবি

ইনজামামরে নিয়াও একটা আছে। খেলায় জেতার পরে ইন্টারভিউতে তার ছেলের জন্মের জন্য অভিনন্দন জানালে টীম এফোর্টে বলে চালিয়ে দেয়া ...
সমস্যা হলো, এভাবে জাতি তুলে রসিকতা জিনিসটা ইন জেনারেল ব্যাড জোক। বাংলাদেশকে পঁচিয়ে আমেরিকার টিভি শোতে রসিকতা করার চেষ্টায় আমরাও ক্ষুব্ধ হই।

---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো

কীর্তিনাশা এর ছবি

বলাই ভাই, অন্যকোন জাতিকে জড়িয়ে এই জোক হলে আমি সেটা এখানে পোস্টাইতাম না। কারন আপনার কথার সাথে আমি পুরোপুরি একমত। কিন্তু এই জোকটা পাকিগো নিয়া। তাই এই জোক পোস্টাইতে আমার কোন গ্লানিবোধ নেই। আমি খুব মজা পাইছি এই জোকটা পড়ে তাই আপনাদের সাথে শেয়ার করলাম।
-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।

-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।

এস এম মাহবুব মুর্শেদ এর ছবি

স্বাধীনতা যুদ্ধের ইস্যুতে মাইরা কাইটা গালি দিয়া শুয়ায় ফেলেন - আমার আপত্তি নাই। কিন্তু একটা খারাপ ইংরেজী রচনার ভিত্তিতে এরকম জেনারেলাইজেশন সার্পোট করতে পারলাম না। বাঙ্গালীর এরকম হাজারটা ছাগলামির উদাহরন বেরা করা যাবে।

====
চিত্ত থাকুক সমুন্নত, উচ্চ থাকুক শির

মুশফিকা মুমু এর ছবি

omg কীর্তিনাশা ভাই এটা কি দিলেন, হাসতে হাসতে তো পড়ে গেলাম গড়াগড়ি দিয়া হাসি গড়াগড়ি দিয়া হাসি গড়াগড়ি দিয়া হাসি
------------------------------
পুষ্পবনে পুষ্প নাহি আছে অন্তরে ‍‍

------------------------------
পুষ্পবনে পুষ্প নাহি আছে অন্তরে ‍‍

কীর্তিনাশা এর ছবি

আমারো একই দশা হইছিল। হা হা!
-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।

-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।

পুতুল এর ছবি

ফাকি দের হাসির কাহিনী! মজা পেলাম।
**********************
কাঁশ বনের বাঘ

**********************
ছায়াবাজি পুতুলরূপে বানাইয়া মানুষ
যেমনি নাচাও তেমনি নাচি, পুতুলের কী দোষ!
!কাশ বনের বাঘ!

কীর্তিনাশা এর ছবি

আপনারা মজা পেলেই আমি স্বার্থক।
-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।

-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।

দেবোত্তম দাশ এর ছবি

And because he is female, he gives milks,

------------------------------------------------------
স্বপ্নকে জিইয়ে রেখেছি বলেই আজো বেঁচে আছি

------------------------------------------------------
হারিয়ে যাওয়া স্বপ্ন’রা কি কখনো ফিরে আসে !

অছ্যুৎ বলাই এর ছবি

এটা এই রচনার সেরা বাক্য। হাসি

---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো

ইমরুল কায়েস এর ছবি

১। ইংরাজী বুঝিনা । গরুর রচনাও তাই বুঝতে পারিনি । হাসতেও তাই পারলাম না ।
২। কে জানে আমারে গরুর রচনা লেখতে দিলেও হয়ত
এরম হত ।

অচ্ছুত মানুষ এর ছবি

হে হে ! তা কইছেন বেশ ।

রায়হান আবীর এর ছবি

মজা পাইছি।
---------------------------------
জানিনা জানবোনা... কোন স্কেলে গাইছে কোকিল
গুনিনা আমি গুনিনা...কার গালে কটা আছে তিল

রণদীপম বসু এর ছবি

সেরা উদ্ধৃতি :

And because he is female, he gives milks,
..........
His eyes and nose are like his other relatives. This is the cow........

একটা জাতিকে কটাক্ষ করা আমিও সমর্থন করছি না। তবে ব্যক্তি বিবেচনায় এটাকে কৌতুক হিসেবে মেনে নিতে আপত্তি নেই। স্বজাতির প্রতি টান বলে একটা কথা আছে না ! সেই টানেই মনে হয়েছে পরীক্ষার্থীর হৃদয় মন একেবারে ঢেলে পড়েছে রচনাটিতে। যেহেতু তিনি এখন বিস্ময়করভাবে চাকুরিতে কর্মরত, তাই স্বজাতি হিসেবে পরীক্ষক হিসেবে যে বা যারাই ছিলেন তারাও যে..
This is the cow......., এটা আরও মজার বৈ কি।

-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’

অতন্দ্র প্রহরী এর ছবি

বিতর্কে না জড়িয়ে খালি গরুর রচনাটা বিবেচনা করে বলি, হাসতে হাসতে ... ব্যাপক মজা পাইলাম হো হো হো

দ্রোহী এর ছবি

রচনাটা আগেও পড়েছিলাম। এক বন্ধু ইমেইলে পাঠিয়েছিল... তবে পাকিস্তানী কারো লেখা কিনা তা জানি না। মনে হয় না.....
×××××××
আমাকে তখনো স্কুলে দেয়া হয়নি। আমি বাড়িতে বসেই মোটামুটি লিখতে, পড়তে শিখেছি। আমরা গ্রামে থাকি, বাবা চাকুরিসুত্রে ঢাকায় থাকেন। আমি ঢাকায় বেড়াতে এসেছি। বাবা অফিসে চলে গেলে আমি বুয়ার সাথে কিছুক্ষণ ঘোরাঘুরি করি। বুয়ার কাজ শেষ হলে আমাকে পাশের বাসায় রেখে বুয়া চলে যায়।

একদিন বাবা অফিসে যাবার আগে আমাকে বাড়ির কাজ দিয়ে গেলেন। গরু নিয়ে দশটি বাক্য লিখতে হবে।

আমি খুব খেটেমেটে নয়টি বাক্য লিখে ফেললাম। দশ নম্বরে কী লেখা যায় তা আর কিছুতেই মাথায় আসছে না। শেষে হঠাৎ করে দশ নম্বর লাইনটি মাথায় এল।

দশ নম্বর লাইন হিসাবে আমি লিখেছিলাম - গরুর একটি পোঁদ আছে!!!


কী ব্লগার? ডরাইলা?

অতন্দ্র প্রহরী এর ছবি

গড়াগড়ি দিয়া হাসি

মনজুরাউল এর ছবি

দ্রোহী........................
আপনাকে........................
দশে এক শ'......................হু হু বাবা পোঁদ বলে কথা................

.......................................................................................
আমাদের মাতৃগর্ভগুলি এই নষ্ট দেশে
চারদিকের নিষেধ আর কাঁটাতারের ভিতর
তবু প্রতিদিন রক্তের সমুদ্রে সাঁতার জানা
হাজার শিশুর জন্ম দেয় যারা মানুষ......

.......................................................................................
আমাদের মাতৃগর্ভগুলি এই নষ্ট দেশে
চারদিকের নিষেধ আর কাঁটাতারের ভিতর
তবু প্রতিদিন রক্তের সমুদ্রে সাঁতার জানা
হাজার শিশুর জন্ম দেয় যারা মানুষ......

তানবীরা এর ছবি

কালেক্টরের এই জ্ঞান দেইখাই পাকিদের এই দশা

তানবীরা
---------------------------------------------------------
চাই না কিছুই কিন্তু পেলে ভালো লাগে

*******************************************
পদে পদে ভুলভ্রান্তি অথচ জীবন তারচেয়ে বড় ঢের ঢের বড়

অনামী এর ছবি

তথ্য যাচাই না ক'রে লেখালেখি করাটা ইন্টারনেটের কল্যাণে বিশাল ব্যপ্তি পেয়েছে। আলোচ্য রচনাটির সূত্র হিসেবে অনেক পরস্পরবিরোধী মতামত দেখা যায়। ভারতে অনেক পত্রিকায় এটি জনৈক বিহারী ভদ্রলোকের রচনা হিসেবে এসেছে, যিনি UPSC পরীক্ষা দেবার সময় এ-রচনাটি লেখেন ব'লে দাবি করা হয়। বস্তুত এটি একটি জোক-মাত্র, একে জাতিগত দৃষ্টিতে দেখা যেমন ঠিক হবে না, তেমনি ঠিক হবে না একে তথ্য হিসেবে নেওয়া।

আশা করি লেখক ভবিষ্যতে তথ্য এবং জোক-এর পার্থক্য নিরূপনে সচেষ্ট হবেন।

তথ্যসূত্র:
http://www.hinduonnet.com/mag/2002/03/03/stories/2002030300020300.htm

http://www.lightoflife.com/light_of_life_Quiz.htm

নিঝুম এর ছবি

ভাই জানিনা সবাই কেন এত সিরিয়াসলি এই লেখাটা সম্পর্কে বলে চলেছেন । লেখক তো বলেছেনই এইটা পাকি এক গাধার লেখা ,তাই তিনি পোস্ট হিসেবে দিয়েছেন । পাকিদের যে কোন বিষয়ে , যে কোন ভাবে অপমান করা যায় । এইটা জায়েজ । পাকি ছাড়া অন্য কোন জাতির মানুষ যদি এই রচনা লিখতেন তবে লেখক এই পোস্ট হয়ত করতেন না । পাকিদের শুধু ১৯৭১ ইস্যুতে গালি-গালাজের পক্ষে আমি নাই। যতক্ষন শ্বাস আছে তাদের ততক্ষন যে কোন বিষয়ে গালি দেয়ার দরকার । পাকিরা মানুষ না তারা জানোয়ার । আর তাছাড়া পাকিদের নিয়ে এক্টু রঙ তামাশা না হলে জীবন চলবে কেন ???
-------------------------------------------------------
... বাড়িতে বউ ছেলেমেয়ের গালি খাবেন, 'কীসের মুক্তিযোদ্ধা তুমি, কী দিয়েছ আমাদের'? তিনি তখন আবারো বাড়ির বাইরে যাবেন, আবারো কান পাতবেন, মা জননী কি ডাক দিল?

---------------------------------------------------------------------------
কারও শেষ হয় নির্বাসনের জীবন । কারও হয় না । আমি কিন্তু পুষে রাখি দুঃসহ দেশহীনতা । মাঝে মাঝে শুধু কষ্টের কথা গুলো জড়ো করে কাউকে শোনাই, ভূমিকা ছাড়াই -- তসলিমা নাসরিন

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।