সুন্দর মনে সুন্দর বনে (শেষপর্ব)

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি
লিখেছেন সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর (তারিখ: রবি, ৩০/০৮/২০০৯ - ১২:৪৩পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

পূর্বপর্ব

একে একে হরিণেরা আসিতেছে গভীর বনের পথ ছেড়ে,
সকল জলের শব্দ পিছে ফেলে অন্য এক আশ্বাসের খোঁজে
দাঁতের-নখের কথা ভুলে গিয়ে তাদের বোনের কাছে ওই
সুন্দরী গাছের নিচে_জোৎস্নায়!_
মানুষ যেমন ক'রে ঘ্রাণ পেয়ে আসে তার নোনা মেয়েমানুষের কাছে
হরিণেরা আসিতেছে!

-ক্যাম্পে
জীবনানন্দ দাশ

হয় জীবনানন্দ মিয়া আমার পাশে বসে বসে এই কবিতাখান লিখছিলো। অথবা এই কবিতার স্ক্রিপ্টখান আগে থেকে এখানে মহড়া টহড়া করে রাখা হইছিলো। আমাদের সামনে তা অভিনীত হইলো। ঠিক এইরকম...

শেষ দেড়দিন বৃষ্টি আর মেঘলা আকাশ ছিলো। বনও ছিলো নিরব। দীর্ঘসময় পর সোনালী রোদ্দুর উঠলে পুরো বন যেন একসঙ্গে জেগে উঠলো। আমরা তখন কেওড়াশুটি খালের পাশ দিয়ে ধীরে ধীরে যাচ্ছিলাম ছোট নৌকোখান বেয়ে। তখন পুরো বন যেন খুলে দিলো তার সব রহস্যের দ্বার। জনাব সাদাপাখি জনাবা লালপাখি আর জনাবিনী নীলপাখি রাঙ্গাঠোঁটু সবুজ টিয়া সব ডানা ঝাপটে জলকনা ঝাড়তে লাগলেন। হরিণ শাবকেরা দল বেঁধে আড়মোড়া ভেঙ্গে উঠে দাঁড়াতে লাগলেন। দৌড়ান তারা, খেলাধুলা করেন তারা, খালের পানিতে মুখ ডুবিয়ে চুক চুক করে পানি খান, কেওড়াফল খান। খাওয়া শেষে দলবেঁধে বসে রোদ পোহান। ঝুঁটিকাঁধে বনমোরগ গম্ভীর হেঁটে যান অলস দৃষ্টি ফেলে। বানরগুলো এসবের তোয়াক্কা না করে লাফাতে থাকেন ডালকে ডাল। আমরা হা করে দেখি। ছবি তোলার কথা ভুলে যাই যেন।

এবং আশ্চর্য, এরা একদম ভয় পায় না আমাদের। মনটা চায় গিয়ে বলে আসি এই নাও ছোট হলেও এখানে কিন্তু বাঘমারা ইমদাদ আছে আর আছে তিন তিনটা বন্দুক। ডরাস না ব্যাটা?
কিন্তু তারা সত্যিই ডরায় না। আমরা পাশ দিয়ে যাই, তারা নির্বিকার তাকিয়ে থাকে। সবার তখন আরো কাছে যাওয়ার দাবী। কিন্তু বাপ্পী ভাইয়ের এক কথা, যতো যাই হউক, নামলেই দেখবেন সব ভোঁ দৌড়। তাই না নামেন। এখান থেকেই দেখেন। আমরা ডানে দেখি, আমরা বামে দেখি। আমাদের দেখার শেষ হয় না। বিস্ময়ের শেষ হয় না। ইয়া বড় হরিণ দেখি, বাচ্চা হরিণ দেখি। মা হরিণ বকনা হরিণ সব হরিণ। চিত্রা হরিণ শিঙল হরিণ...
একটা দৃশ্যের কথা একেবারেই ভুলবো না। পাঁচ হরিনের (সম্ভবত এরা মিলে একটা পরিবার) খালের পাশের ঘাসের জমিতে রোদ পোহাতে পোহাতে আমাদের দিকে তাকিয়ে ছিলো। আহ্... অপার্থিব একটা দৃশ্য।

আমাদের নৌকো কেওড়াশুটি পার হয়ে মরাকাগায় আসে। ততক্ষনে আমাদের বিস্ময় কিছু কমেছে। কমেছে হরিণেদের জলকেলীও। এবার সবাই মিলে আবার মরাকাগায় নামে। নেমে কোনো ফায়দা নাই... আমি আর শরীফ ভাই গপ জুড়ে দেই নানান বিষয়ে। কথার পিঠে কথা চলে। আর বসে বসে দেখি অভিযাত্রীদল বনের ভেতরে ঢুকবে ঢুকবে করেও না ঢুকে ফিরে আসে। কারণ ততক্ষনে আকাশ আবার কালো হয়ে আসছে। সময়ও ফুরিয়ে আসছে দ্রুত। আমাদের এখন ফেরার তাড়া। তার মধ্যে বেশিরভাগই অসুস্থ।

মরাকাগা থেকে আমরা মাইটা ভাড়ানী খাল পেরিয়ে হংসরাজ নদীতে। এর ফরেস্ট অফিসের ধ্বংসাবশেষের জায়গায় হুট করেই দেখা পেলাম বিরাট সাইজের এক হরিণকে। আমাদের দেখেই ছুটে পালালো। আর বেচারার শান্তিমতো পানি খেতে না পারার অভিশাপেই যেন নামলো আবার বৃষ্টি। সেই গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি মাথায় নিয়ে আমরা গেলাম পাটকোষ্টা খালে, পাটকোষ্টা ফরেস্ট অফিসে।

বাপ্পী ভাইয়ের ইচ্ছে ছিলো আরো কোনো একটা জায়গা ঘুরিয়ে দেখাবেন। কিন্তু কোনো এক অজ্ঞাত কারণে এখানেই থেকে যাওয়ার সিদ্ধান্ত হলো। পরে আর খুঁজেই পাওয়া গেলো না এখানে থেকে যাওয়ার সিদ্ধান্তটা কার ছিলো?

যাত্রার প্রথম রাত্রি থেকেই আমরা পৃথিবী থেকে যাবতীয় যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন। একটা রেডিও কেবল সম্বল। মোবাইল ফোনের নেটওয়ার্কের আওতার বাইরে আমরা। জানা গেলো এই পাটকোস্টায় নেটওয়ার্ক আছে। ব্যস... লাইন লেগে গেলো। সকলেই এতদিনের জীর্ণ মোবাইল ফোন বের করে গুতাগুতি... কিন্তু নেটওয়ার্ক নাই। জানা গেলো বিশেষ এন্টেনার স্পর্শ পেলে জিপির সিম কাজ করে। নানান কায়দা কসরত করে শরীফ ভাই প্রথম ধরলো। আমি অপেক্ষা করছি পাশের বারান্দায়। ওমনি ফরেস্ট অফিসার লাঠি নিয়ে তেড়ে এলেন মারতে। আমি তো অবাক।
কিন্তু না, আমাকে না। ঘরে একটা সাপ পেঁচিয়ে রেখেছিলো পড়ার টেবিলের পায়া। সেটাকেই মারলেন। আমি তো ভয়ে অস্থির। সাপে আমার বিরাট ভয়। এ দেখি শ্বাপদ সংকুল পরিবেশ।

কোনোরকমে ঢাকায় একটু প্রয়োজনীয় কথা টথা বলে আর বউ পোলাপানের খবর নিয়ে নৌকায় ফিরছি। তখন শুনি এক অদ্ভুত প্রযুক্তির কথা। ঘাটে একটা প্লাস্টিকের পট রাখা আছে। সেটাতে বাংলা লিঙ্কের সিমওয়ালা সেট রাখলেই নেটওয়ার্ক আসে।
বিশ্বাস হলো না। তাই আমার গোপন বাংলালিঙ্ক নম্বরটা বের করে পরীক্ষা করে অবাক হয়ে দেখলাম ঘটনা সত্য। কাহিনী কী? কেউ জানে না। কোনো ব্যাখ্যা নাই।

বিকেলটা আমরা পাটকোস্টা অফিসের পুকুরপাড়ে ঘুরে ফিরে কাটিয়ে। চা বিড়ি খেয়ে সন্ধ্যে বানিয়ে দিলাম। তারপর আবার আড্ডা। এখন একেবারেই তরল নেই।

একটা মজার কথা বলতে ভুলে গেছি। বাপ্পী ভাই আমাদের জন্য ৫০টা বড় খনিজ পানির বোতল কিনে রেখেছিলেন। কিন্তু আমরা তার হদিশ পাইনি প্রথমদিন। দেদারছে মিঠাপানি খেয়েছি পুকুরের। নইলে কি আর বোঝা যেত "৭জনের জন্য একটা টয়লেট কতোটা অমানবিক"?

সন্ধ্যা হতে হতেই বৃষ্টি শুরু হয়ে গেলো। ঝড় ঝড় ভাব। ততক্ষনে নিচের আমাদের থাকার জায়গার অনেক বিছানা বালিশই ভিজা। আমার বিছানার পুরোটাই ভিজা। সেখানে ঘুমানোর কোনো উপায় নাই। দিনের বেলা রোদ দেখে ভাবছিলাম আজ তাহলে কষ্ট করতে হবে না। আজ নৌকার ছাদে ঘুমাবো। কিন্তু রাত হতে না হতেই এই অবস্থা।

ঘুমানো তো দূর কথা। নৌকা নিয়েই বিপদে আমরা। আমাদের যে ছোট নাও। তাড়াতাড়ি এটাকে নিয়ে যাওয়া হলো একটা খালে। খালটা বেশ চওড়া। সেই খালের মাঝখানে নোঙড় ফেলা হলো। নৌকো সারারাত ভাসবে। দুপাশে বন। বন থেকে বাঘ সাঁতরে নৌকায় উঠে এলে কিছুই করার নেই। ডাকাতেরা উঠে এলে আরো কিছু করার নেই। এরই মধ্যে হলো এক মজার কাণ্ড। হুট করেই এখানে সবার কপালে জুটে গেলো মোবাইল নেটওয়ার্ক। সবাই অযথাই ফোন করে কথা বলতে লাগলো এর তার সঙ্গে। বেশিক্ষন না। একটু পরেই নেটওয়ার্ক কই যেন হাওয়া হয়ে গেলো।

নিজেদেরকে রাহেলিল্লাহ্ ছেড়ে দিয়ে বিসমিল্লাহ বলে রাত শুরু করে দিলাম। সবাই অত্যধিক ক্লান্ত। কিন্তু আড্ডার কোনো কমতি নাই। ব্যাপক আড্ডা জমতে চলতে লাগলো। মুস্তাফিজ ভাই ততদিনে পীর মর্যাদায় গদিনশীন। বাপ্পী ভাই পারলে দম ফেলার আগে মুস্তাফিজ ভাইয়ের অনুমতি নিয়ে নেন। এতোটাই ভালোবাসা তাদের। নানাবিধ ভবিষ্যত পরিকল্পনা। নৌকা এটার সংস্কার, বড় লঞ্চ কেনা। আরাম আয়েশ... এসবের পরিকল্পনা চললো। আমরা ভবিষ্যত ভ্রমণসূচি ঠিক করে ফেললাম। আগামীবছর মৌচাক কাটার মওশুমে আমরা বনে ঢুকবো মৌয়ালদের সঙ্গে। এটা ফাইনাল করে ফেললাম। সেই ভাবনায় রোমাঞ্চিত। বৃষ্টি চলছে, তবু আড্ডার কমতি নেই। অনেক রাত অব্দি আড্ডা দিয়ে সকলে নিচে চলে গেলো। আমার নিচের বিছানার অবস্থা তো আগেই বলেছি। তাই আর সেদিকে গেলাম না। তখনো বৃষ্টি খুব জোরে নামেনি। শুয়ে পড়লাম এই বৃষ্টির ভেতরেই ছাদে। কিন্তু একটু পর শুরু হলো ভীষণ ঝড়। উড়িয়ে নিয়ে যাবার জোগাড়। বাপ্পী ভাই আর তার বাহিনী পুরোটা সময় অমানুষিক সংগ্রাম করে আমাদের নিরাপদ রাখলেন। আমার যেহেতু ঘুম নাই। আমিও যতোটা পারি হাত মিলালাম। একেবারে ভোরে যখন ঝড় থামলো, তখন একটু ঘুম... বাপ্পী ভাই আমার ভেজা শরীর ভেজা কাপড়ের ওপর একটা তোয়ালে দিয়ে একটু ওম দিলেন।

সকাল হলো। বিদায়ী সকাল। ব্যাগগুলো গুছিয়ে ফেলার সকাল। নৌকো আবার ঘুরিয়ে পাটকোস্টায়। হাতমুখ ধুয়ে ফ্রেশ হয়ে পুকুরপাড়ে কিছুক্ষন ঘুরঘুর ছবি তুলে টুলে নৌকায় বসে নাস্তা। তারপর আবার যাত্রা। বাটোলা, কপোতাক্ষ আর পাষাইন্যা নদীর মোহনা পার হয়ে খোলপুকুর নদী পার হয়ে আমরা পৌঁছলাম কলাগাছীতে। এখানে আবার সেই গোসল। ক্লান্তি ধুয়ে ফেলা। অনেকদিন পর ডাঙ্গায় বসে দুপুরের খাবার খাওয়া। অলস সময় কাটানো। সম্ভবত খুলনা টেকি ইউনির একদল ছাত্র আজ রওনা দিচ্ছে সুন্দরবনে। তাদের তারুণ্য দেখা গেলো।

দেখা গেলো বিডিআর কর্মকর্তার সপরিবারে সুন্দরবন বিহার। সেখানে আছে সুন্দরের হাতছানি। তাই দেখে বাপ্পী ভাইয়েরও টাঙ্কিবাজীর ইচ্ছা। মুস্তাফিজ ভাইয়ের ২০০ লেন্সওয়ালা ক্যামেরা নিয়ে ভাব নিয়ে সামনে খাড়ানো। কিন্তু মুস্তাফিজ ভাই লুকটা বেজায় খ্রাপ। হাটে হাঁড়ি ভেঙ্গে দিলো।

আমরা আবার নৌকায় উঠলাম। এবার গন্তব্য বুড়ি গোয়ালিনী। সেখানে আমাদের জন্য অপেক্ষা করে আছে মাইক্রোবাস।
মুস্তাফিজ ভাই তার দামী বুটজুতোজোড়া দিয়ে এসেছেন দত্তবাবুকে। সে তো এই খুশিতে আটখানা। এই জুতো পায়ে না দিয়ে মাথায় দেওয়া যায় কী না তাই ভাবতেছে। আব্দুল ওহাবকে দিলেন বিদেশী টর্চ। তাই দেখে সবকটা দাঁত বেরিয়ে গেলো। আরো কাকে কাকে যেন গোপনে গোপনে কী কী দিলেন...

এবার চড়ে বসলাম মাইক্রোতে। বাপ্পী ভাই এতদিন ইঞ্জিন নৌকা চালানোর দক্ষতা দেখিয়েছিলেন, এবার দেখালেন মাইক্রোবাসে। ঘন্টাখানেকের যাত্রা। আমরা এক জমিদার বাড়ির ধ্বংসাবশেষে এসে হাজির হলাম। এর বংশ পরিচয় আমার জানা নাই, ভুলে গেছি। মুস্তাফিজ ভাই ছবি দেওয়ার সময় যোগ করে দিবেনে। জমিদার বাড়ি থেকে আমরা বাপ্পীবাড়িতে। ভাবী বাড়িতে নেই। দুই সুপুত্র। বাপ্পী ভাই আগেই মুস্তাফিজ ভাইকে ফিট দিয়ে এনেছেন তার এসএসসি পরীক্ষার্থী ছেলেটাকে নসিহত করার জন্য। মুস্তাফিজ ভাই বিদেশে উচ্চশিক্ষার লোভ বিলিয়ে দিলেন। বাপ্পী ভাই নিজে চা বানালেন। আমরা খেয়ে দেয়ে আবার রওনা দিলাম। এবার বাপ্পী ভাই মটর বাইক যোগে আমাদের সঙ্গী হলেন। লোকটা পারেও...

বাস স্টপেজ। আমরা গাট্টি বোচকা নিয়ে বাসে চেপে বসলাম। বহুদিন পর শুনলাম গাড়ির হর্ণ যেন। পাখির ডাক রিপ্লেস করে গাড়ির হর্ণ সেট করতে কানকে বেশ যুঝতে হলো। গাড়ি ছাড়লো। এর মধ্যেই খবর পেলাম, মাত্র একটা ম্যাচ সামনে থেকে নেতৃত্ব দিতে পারিনি বলে বাংলাদেশ ক্রিকেট দল জিম্বাবুয়ের কাছে হেরে গেছে। তাই শুনে মহা বিরক্ত। সাতক্ষীরায় গাড়ি থামিয়ে সিধা খাড়ায়ে গেলাম। দেশ না জিতায়ে নট নড়ন চড়ন।

মুসলমানের এক জবান... জিতসি... হ...

খুদা হাফেজ...


মন্তব্য

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

এই পর্বে ছবি দিতে চাইছিলাম। কিন্তু ব্লগটা এত্তো বড় হয়ে গেলো... আগামী ব্লগটা কেবলই ছবি ব্লগ হবে... থাকিবে হরেক রকম ছবি... আসিতেছে...
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

উজানগাঁ এর ছবি

বাচ্চাদের চকলেটের লোভ দেখানো আর কি !! লজ্জা-শরম নাই আপনার। ঐটা খোদা আপনারে দেননি। চোখ টিপি

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

লজ্জা তো নারীর ভূষণ... আমার থাকবে কেন?
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

অনিন্দিতা চৌধুরী এর ছবি

প্রথমেই ছবির ঘোষনা দিয়ে বেঁচে গেলেন।
তবে লেখা যথারীতি দুর্দান্ত!

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

ধন্যবাদ অনিন্দিতা। এই পর্বটারে দুই পর্বে ভাগ করার ইচ্ছা ছিলো। কিন্তু নানান ব্যস্ততায় লেখার সময় পাই না। তাই একটু তাড়াহুড়ো করে লিখে এই পর্বেই শেষ টেনে দিলাম
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

প্রকৃতিপ্রেমিক এর ছবি

ছবি লাগবেনা, আপনার বর্ণনা ছবির চেয়ে কম হয়নি। আহারে শেষ হয়ে গেল মন খারাপ

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

এই জন্যই তো আমি ছবি দেই না চোখ টিপি

এইটা শেষ হইলে কী হইছে? সামনে আরো অনেক অনেক সফর আসিবে... ঘুর্ঘুরি আবার পূর্ণোদ্যমে শুরু হইবে
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

বালক এর ছবি

লেখায় উত্তম উত্তম জাঝা!

_____________________________________________
কার জন্য লিখো তুমি জলবিবরণ : আমার পাতার নৌকা ঝড়জলে ভাসে...

____________________________________________________________________
"জীবনের বিবিধ অত্যাশ্চর্য সফলতার উত্তেজনা
অন্য সবাই বহন করে করুক;
আমি প্রয়োজন বোধ করি না :
আমি এক গভীরভাবে অচল মানুষ হয়তো
এই নবীন শতাব্দীতে
নক্ষত্রের নিচে।"

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

আপনাকে উত্তম মধ্যম... থুক্কু... উত্তম ধন্যবাদ
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

রেজওয়ান এর ছবি

পুরো সিরিজই মজার। ছবি লেখা সবগুলোই চমৎকার।

পৃথিবী কথা বলছে আপনি কি শুনছেন?

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

ধন্যবাদ রেজওয়ান ভাই
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

মূলত পাঠক এর ছবি

চমৎকার।

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

ধন্যবাদ
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

কীর্তিনাশা এর ছবি

আহারে শেষ হয়ে গেল মন খারাপ

-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।

-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

হ... মন খারাপ
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

শাহেনশাহ সিমন [অতিথি] এর ছবি

অসাধারন এক সফর ছিলো বোঝা যাচ্ছে। চলুক

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

হ... গঠনা সত্য
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

উজানগাঁ এর ছবি

লেখাটা তাইলে শেষ হয়ে গেল!! একটা কথা এই মুহূর্তে মাথায় আসলো। পুরো ভ্রমণে আপনাদের আড্ডার অংশটুকু বাদ দিলে বাকিটা শুধু আপনাদের বাঁচার লড়াই (বৃষ্টি থেকে) ;)। সবাই বলতে গেলে অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন। কিন্তু আপনার লেখা পড়ে মনে হচ্ছিল এই অসুস্থ হওয়টা মজার ব্যাপার !! এইটা সবাই পারেন না, আপনি পারেন। সেলাম আপনাকে। হাসি

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

আরাম কইরা কোথাও গেলেন, ফাইভ স্টার হোটেলে থাকলেন খাইলেন, আইসা পড়লেন। এইখানে আনন্দের কিছু নাই

কষ্ট থেকেই আসলে আনন্দগুলো আসে। তখন খুব কষ্ট হইছিলো এইটা সত্য... মানুষ কোন অবস্থায় পড়লে ঘোড়ার মতো খাড়ায়া খাড়ায়া ঘুমাইতে পারে বুঝেন না?

কিন্তু আসলে এইটাই মজা। জমিদারী ঘুরতে মজা কৈ?
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

কিংকর্তব্যবিমূঢ় এর ছবি

চমৎকার একটা সিরিজ ... দারূণ লাগলো ...

এই জীবনে আর সুন্দরবন যাওয়া হইলো না মন খারাপ
................................................................................................
খাদে নামতে আজ ভয় করে, নেই যে কেউ আর হাতটাকে ধরা ...

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

দেশে আসেন, দল বাইন্ধে যাবোনে
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

শান্ত [অতিথি] এর ছবি

পুরো সিরিজটাই চমতকার হয়েছে।
আফসোস !!!!!
পরবর্তীবারে আমি সুন্দরবন যেতে চাই আপনাদের সাথে।

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

যোগাযোগে থাইকেন
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

মামুন হক এর ছবি

সিরিজটা মনে হলো ফুরুৎ করে শেষ হয়ে গেল।
নজু তুই আবার কোন অভিযানে বের হ, আমরা তোর ভ্রমণ কাহিনী গোগ্রাসে গিলি!

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

রোজার মাসটা খালি ছাড়ান দে... ঈদেই বাইরইতেছি আবার
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

মুস্তাফিজ এর ছবি

অ্যাঁ কোথায়?

...........................
Every Picture Tells a Story

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

সেইটা তো এখনো জানি না। ঈদের ঢাকা হইলো সবচেয়ে বিরক্তিকর। আমি কোলকাতা যাইতে চাইছিলাম। কিন্তু নূপুর কোরবানীর আগে দেশ ছাড়তে রাজী না। তাই দেশেই কোথাও পলায়া থাকতে হবে... দেখি... খবর দিমুনে
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

অতিথি লেখক এর ছবি

আহা শেষ হয়ে গেল । এখন কি হবে! আরও চাই এমন ভ্রমণ কাহিনী ।

নৈশী।

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

আসিবে... আবার কোনো ভ্রমণে বাইরইলেই লেখা হইবে... ধন্যবাদ আপনাকে অনেক
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

সৈয়দ আখতারুজ্জামান এর ছবি

দুর্দান্ত লেখা হইছে। আমার বাড়ি সুন্দরবনের কাছে। রবগুনা জেলার পাথরঘাটা থানায়। ছোট বেলার আব্বার সাথে হরিণ শিকারে গেছি বেশ কয়েকবার। বিশেষকরে সুন্দরবনের কাছে ফাতরার চরে, লালদিয়ার চরে... আপনার বর্ণনা পড়ে মনেহলো আবার শৈশবে ফিরে গেছি। দিগন্তে গাঢ় সবুজ বনানী, মাঝে মাঝে জেলেদের ছনের ঘর দেখা যায়, আকাশে সাদা সাদা গাঙচিলের ওড়াওড়ি, আমরা নৌকায়, আব্বা বন্দুক হাতে কড়া নজর রেখে চলেছেন বনের ভেতর। চোখের সামনে যেন সব ভাসছে। নজরুল ভাইকে এই সিরিজটার জন্য আবারো ধন্যবাদ। ছবি দিয়েন।

উজানগাঁ এর ছবি

শৈশবের সেই কাহিনীগুলো তুলে দেন না সচলে আমাদের জন্যে।

সৈয়দ আখতারুজ্জামান এর ছবি

দিমু দিমু সবই দিমু। প্রায় বছরখানেক পর আইজগা লগইন করলাম তো। আস্তে আস্তে আসতাছি। খালি চোখ খোলা রাইখেন।

কীর্তিনাশা এর ছবি

হ তুই আর দিসোস রেগে টং

আবার বছরখানেক পরে আইসা এই ডায়ালগ ঝাইরা যাইস।

-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।

-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

আপনেরা দুই সখা মিইলা গোটা দেশ ঘুইরা বেড়াইলেন... আমার যদি এইরম অভিজ্ঞতা থাকতো আমি প্রতিদিন একটা কইরা ভ্রমণকাহিনী লেখতাম... আপনাদের দুইজনরেই দিক্কার...

কীর্তি... আপনের দোস্তরে জিগান এখন আবার রেগুলার হইবো কী না?
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

সৈয়দ আখতারুজ্জামান এর ছবি

এই যে আইয়া পড়ছি। এতদিন কম্পিউটারে বাংলা ফন্ট খুঁইজা পাইতাছিলাম না বইলা লিখবার পারি নাই। কীর্তি আইসা এইমাত্র ঠিক কইরা দিছে। আগে ঠিক কইরা দিলো না ক্যান, জিগান তারে। যাউগ্গা, আইসা যখন পড়ছি তখন আর ঠ্যকায় কে! এইবার দ্যাখেন লেখা কারে কয়। তার উপর আবার চাকরি ছাইড়া দিছি, পুরা ২৪ ঘণ্টা নিজের হাতে। দেঁতো হাসি

যুধিষ্ঠির এর ছবি

ভালো লাগলো সিরিজটা। অতিরিক্ত ঈর্ষান্বিত হয়ে পড়ায় বস্তনিষ্ঠ আলোচনা ধরণের মন্তব্য দিলাম না।

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

ধন্যবাদ বস...
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

নাজমুস সামস এর ছবি

সুন্দরবনে আপনারা আমাদের কয়েকজনকে(টুটুল,বণিক,তারেক,সিমন,এনকেদু) না জানিয়ে চলে গেলেন। মনে দু:খ ছিল।সেই দু:খ ভুলতাম আপনার ডাগর ডাগর লেখা পড়ে।কিন্তু তাড়াতাড়ি বন্ধ করে দিয়ে তাও বন্ধ করে দিলেন।

সবই নজরুলের লীলা বোঝা বড় দায়
এবার ছবিতে তা করবো আদায়।।

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

ডাগর ডাগর লেখা? কস্কি মমিন!
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

পান্থ রহমান রেজা এর ছবি

স্যার, খাসা লেখা হৈছে। কিন্তু তা শ্যাষ হৈল জাইন্যা দুঃখ পাইলাম!
...............................................................................................

আমি অতো তাড়াতাড়ি কোথাও যেতে চাই না;
আমার জীবন যা চায় সেখানে হেঁটে হেঁটে পৌঁছুবার সময় আছে,
পৌঁছে অনেকক্ষণ ব'সে অপেক্ষা করার সময় আছে।

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

তোগো লাইগ্গা কি আমি সারাজীবন সুন্দরবনে বইসা থাকুম নাকি?
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

ফিরোজ জামান চৌধুরী এর ছবি

দুর্দান্ত এক সিরিজ শেষ হলো।
অনেক অনেক ধন্যবাদ নজরুল।

ঝিনুক নীরবে সহো, নীরবে সয়ে যাও
ঝিনুক নীরবে সহো, মুখ বুঁজে মুক্তো ফলাও।

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

ধন্যবাদ ফিরোজ ভাই
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

অতন্দ্র প্রহরী এর ছবি

অসাধারণ সিরিজ। মিস্কর্বো এইটা মন খারাপ

ছবি আর শেষ পর্যন্ত দিলেনই না। আপনি আসলেই মুমিন বান্দা। এক জবান খাইছে

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

আরে কইলাম তো দিমু... দিতাছি... ওয়েটান...
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

স্পর্শ এর ছবি

এই লেখা পড়েছি আমি সবার আগে। কিন্তু পড়া শেষ করেই দেখি আমার গায়ের রঙ শ্রী কৃষ্ণের মতো নীল হয়ে গেছে। সেই দুঃখে কমেন্টাই নাই।
এইযে রসিয়ে রসিয়ে এইসব লিখলেন। পেট খারাপ করেনি??


ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...


ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

আমার তো গণ্ডারের চামড়া। সবার সেখানেই পেট খারাপ করলো। আমি সহি সালামতে ফিরত আইলাম। কিন্তু আসনের পরে শুরু হইলো আমার। ১ সপ্তাহ ভোগাইছে... এখন ভালু
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

দময়ন্তী এর ছবি

আরও একগাদা হিংসে করতে গিয়েও করলাম না৷ কারণ আমারও অনেকটা মনে মনে বেড়ানো হয়ে গেল তো৷ চলুক চলুক
---------------------------------------
"নিভন্ত এই চুল্লিতে মা
একটু আগুন দে
আরেকটু কাল বেঁচেই থাকি
বাঁচার আনন্দে৷'

-----------------------------------------------------
"চিলেকোঠার দরজা ভাঙা, পাল্লা উধাও
রোদ ঢুকেছে চোরের মত, গঞ্জনা দাও'

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

আমরা এতো কষ্ট কইরা ঘুরলাম আর আপনে ঘরে বইসা বইসা ঘুইরা ফেলাইলেন? এইটা একটা ইনসাফের কথা হইলো?
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

দুষ্ট বালিকা এর ছবি

ভাইজান, পরের বারে কইলাম শিমুল আপুর লগে আমিও আছি, আমাদের না নিলে খবর আছে! [আপুর নাম কইলাম, গাইল দিবার পারবেন না! আহ!]

লেখা মারাত্মক, এখন খালি যাইতে চাই!

---------------------------------------------------
আয়েশ করে আলসেমীতে ২৩ বছর পার, ভাল্লাগেনা আর!

**************************************************
“মসজিদ ভাঙলে আল্লার কিছু যায় আসে না, মন্দির ভাঙলে ভগবানের কিছু যায়-আসে না; যায়-আসে শুধু ধর্মান্ধদের। ওরাই মসজিদ ভাঙে, মন্দির ভাঙে।

মসজিদ তোলা আর ভাঙার নাম রাজনীতি, মন্দির ভাঙা আর তোলার নাম রাজনীতি।

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

সুপা শিমুলের নাম নিলে আপনেরে গাইল না দিতে পারার রহস্যটা বুঝলাম না...

আপনেও যাইবেন? খাড়ান... এই উপলক্ষে একটা গান গাই...
"এক পায়ে নূপুর, তোমার অন্য পা খালি
একপাশে পাহাড়, অন্যপাশে বালি
আমার ছোট তরী, বলো যাবে কী?"
হো হো হো
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

সমুদ্র [অতিথি] এর ছবি

এই সিরিজের দ্বিতীয় সিজন বের করা যায়না? খাইছে

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

আবার যদি যাই...
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

অতিথি লেখক এর ছবি

খুব ভালো লাগলো আপনাদের ভ্রমনকাহিনি।

'আকাশনীলা'

অতিথি লেখক এর ছবি

নজরুল ভাই আপনাকে গুরু মানতে চাই। আপনি ধারুন লিখেন। একটা ভ্রমন কাহিনী যে এতোটা আবেগ দিয়ে লেখা যায়, সেটা আপনার লেখা পড়লেই বুঝা যায়। আপনার লেখাটা রবিন্দ্রনাথের ছোট গল্পের মত-"শেষ হয়েও হইলো না শেষ।"

সাইফুল আকবর খান এর ছবি

গ্রেটগ্রেটাগ্রেট! চলুক

জীবনে জিওগ্র্যাফিক চ্যানেল না দেখা আমারও বহুত খ্রাপ লাগতেছে, এইরকম একটা সিরিজ শেষ হয়ে গ্যালো ব'লে‍! মন খারাপ
___________
স্বাক্ষর?!
মাঝেসাঝে বুঝতে পাই- আমি
নিরক্ষর!

___________
সবকিছু নিয়ে এখন সত্যিই বেশ ত্রিধা'য় আছি

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।