মুক্তিযুদ্ধের বিস্মৃত প্রায় এক চ্যাপ্টারঃ শিলিগুড়ি কনফারেন্স ও একটি ভাষণ

নিবিড় এর ছবি
লিখেছেন নিবিড় (তারিখ: বুধ, ১১/০২/২০০৯ - ৫:২২অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

ইতিহাস বড় অদ্ভুত । তার খাতায় খুব বড় করে লেখা থাকে কোন ঘটনার ফলাফল কিন্তু কখন কখন আস্তে করে ঝাপসা হয়ে আসে সেই ফলাফলের পিছনে ভূমিকা রাখা কোন গূরুত্বপূর্ন আরেকটি ছোট ঘটনা । আমরা আস্তে আস্তে ভুলে যাই সেই ছোট ঘটনা কে । আর তাই ইতিহাসের পাতায় অবহেলায় আরো ঝাপসা হয়ে আসে তা ।সেই রকম আমাদের মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসে ঝাপসা হয়ে আসা একটি ঘটনা হল শিলিগুড়ি কনফারেন্স ।

আমরা আমাদের মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস লেখার সময় অনেক কিছুই লেখি । লেখি আমাদের গণহত্যার কথা, আমাদের যোদ্ধাদের কথা, সেই যুদ্ধে দেশি-বিদেশি অনেক রকম প্রভাবের কথা কিন্তু সেই ভাবে লেখা হয় না একটি সম্মেলনের কথা, সেই সম্মেলনে ছোটখাট এক নেতার দূরদর্শী এক ভাষণের কথা যা হয়ত তার পূর্বসূরী নেতার মত সেই অর্থে জ্বালাময়ী নয় কিন্তু বিভ্রান্তির বেড়াজ্বালে আবদ্ধ বাকিদের জন্য সেই ভাষণ ছিল বাতিঘরের মতই দিকনির্দেশক।

আমাদের মুক্তিযুদ্ধের মাঝামাঝি সময়ে আওয়ামে লীগ ও ছাত্রলীগের একাংশের কাছ থেকে দাবি উঠে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমান কে পাকিস্তানি কারাগার থেকে যে কোন মূল্যে মুক্ত করে আনার , যে কোন মূল্যে । এমনকি এই দাবি শেষ পর্যন্ত - বঙ্গবন্ধু কে চাই না স্বাধীনতা চাই এমন হঠকারী বির্তকে রূপ নেয় । এছাড়া এই সময় পর্যাপ্ত ভারী অস্ত্র এর অভাবে বড় কোন অভিযান চালাতে না পারার কারনে মুক্তিবাহিনীতে একরকম হতাশা দেখা দেয় । এই দুই অযাচিত ঘটনা মুজিবনগর সরকার এর ভিতর ও বাইরে অস্থিরতার জন্ম দেয়।

এইসময় মুজিবনগর সরকার এই আত্মঘাতী বির্তক নিরসনের জন্য ভারত সরকারের পরামর্শে ততকালীন ৭০’এর নির্বাচনে নির্বাচিত সকল পূর্ব পাকিস্তানি এমপি এবং এমএনএ দের এক সম্মেলনের আহব্বান করে। সম্মেলনের আয়োজনের দ্বায়িত্ব পড়ে কুমিল্লার কাজী জহিরুল কায়উম এর উপর এবং ভারতের পক্ষ থেকে সমন্বয়কারী হিসেবে দ্বায়িত্ব পান ডিপি ধর(ইন্দিরা গান্ধীর বিশেষ রাজনৈ্তিক সচিব) । এই ব্যক্তিদ্বয় সম্মেলনের স্থান ঠিক করেন শিলিগুড়ি।

এইসময় দেশের অভ্যন্তরে মুক্তিবাহিনির কাছে নির্দেশ দেওয়া হয় যে কোন মূল্যে এমপি এবং এমএনএ দের কাছে এই সম্মেলনের সংবাদ পৌছে দিতে এবং তাদের নিরাপদে ভারতে যাতায়তের ব্যবস্থা করতে। এমন কি এই নির্দেশও দেওয়া হয় যে কেউ যেতে অনিচ্ছুক হলে দরকার হলে তাকে জোর করে পাঠানোর ব্যবস্থা করতে।

এই সম্মেলনের শুরুতে বঙ্গবন্ধুকে চাই এই স্লোগানের দাপটে নজরুল ইসলাম কিংবা ওসমানীর মত ব্যক্তিত্ব বক্তৃতা দেওয়ার সাহস করতে পারেন নি। সেই সময় প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমেদ মন্ব্ঞে উঠে সহজ ভাষায় যেই যুক্তি উপস্থাপন করেন তা ছিল আমাদের সেই কুয়াসাচ্ছন্ন সময়ে দারুন এক পথানির্দেশক। শিলিগুড়ি সম্মেলনের সেই ছোটখাট মানুষ টা যেই বক্তব্য দিয়েছিলেন তাই আমাদের যুদ্ধের ইতিহাসের বাকি পথের শেষ লক্ষ ঠিক করে দেয়। আসুন আজ আমরা দেখি কেমন ছিল সেই ভাষণ টা-

(শিলিগুড়ী সম্মেলনে তাজউদ্দীন আহমেদের ভাষণ)
“আমরা স্বাধীনতা চাই। স্বাধীনতা পেলেই বঙ্গবন্ধুকে আমাদের মাঝে পাব। বাংলাদেশের স্বাধীনতার জন্য যদি খোদা না করুন, বঙ্গবন্ধুর মৃত্যু হয় পাকিস্তানি হানাদারদের হাতে, তাইলে বঙ্গবন্ধু শহীদ হয়েও স্বাধীন বাঙ্গালী জাতির ইতিহাসে অমর ও চিরঞ্জীব হয়ে থাকবেন। তিনি একটি নতুন জাতির জনক হিসেবে ইতিহাসে স্বীকৃত হবেন। ব্যক্তি মুজিব, ব্যক্তি নজরুল, তাজউদ্দীন, কামরুজ্জামান কেউ হয়ত বেচে থাকবেন না। একদিন না একদিন আমাদের সকলকেই মরতে হবে। বঙ্গবন্ধুকেও মরতে হবে। আমরা চিরদিন কেও বেঁচে থাকব না।

আল্লাহর পিয়ারা দোস্ত, আমাদের নবী(সঃ) ও চিরদিন বেঁচে থাকেন নি। কিন্তু তিনি তাঁর প্রচারিত ধর্ম ইসলাম প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে সারা দুনিয়ায় আজ পরম শ্রদ্ধার আসনে অধিষ্ঠিত রয়েছেন। তেমনি, আমরা যদি বাঙ্গালী কে একটি জাতি হিসেবে বিশ্বের বুকে প্রতিষ্ঠা করতে পারি, আমরা যদি বিশ্বের মানচিত্রে বাংলাদেশ নামক আরেকটি রাষ্ট্রের মানচিত্র স্থাপন করতে পারি, তাইলে সেই স্বাধীন জাতি এবং নতুন রাষ্ট্রের মানচিত্রে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমান প্রভাত সূর্যের মত উজ্জ্বল হয়ে থাকবেন।

আমরা যখন বাংলাদেশ ছেড়ে যার যার পথে ভারত চলে আসি, তখন কিন্তু জানতম না বঙ্গবন্ধু জীবিত আছেন, না শহীদ হয়েছেন। ভারতে এসে দেখা না হওয়া পর্যন্ত আমিও জানতাম না সৈয়দ নজরুল ইসলাম, মনসুর আলী কিংবা হেনা সাহেব(কামরুজ্জামান) জীবিত আছেন কিনা। আমি নিজেও বাঁচতে পারব এ কথাটি একবারও ভাবতে পারি নি। এখানে আসার পর যতক্ষন পর্যন্ত পাকিস্তানি সামরিক জান্তা ঘোষনা না করেছে যে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব তাদের কাছে বন্দী আছেন, ততক্ষন পর্যন্ত আমি মনে করতে পারি নি তিনি জীবিত আছেন। পাকিস্তানি জল্লাদ বাহিনীর কামান, বন্দুক,ট্যাঙ্ক, মেশিনগানের গোলাগুলির মধ্যে বঙ্গবন্ধু আর বেঁচে নেই একথা ভেবে এবং সম্ভবত মেনে নিয়েই তো আমরা নিজ নিজ প্রাণ নিয়ে চলে এসেছি।

বঙ্গবন্ধু মুজিবের ছায়া হয়ে তার পাশে আজীবন রাজনীতি করেছি, জেলে থেকেছি। তিনি আমাদের শিক্ষা দিয়েছেন দেশের জন্য জীবন দিতে। তিনি নিজেও বারবার বাংলার পথে প্রান্তরে বলেছেন, বাংলার মানুষের মুক্তির জন্য তিনি জীবন তিনি কুন্ঠিত নন। আজ যদি বঙ্গবন্ধু মুজিবের জীবনের বিনিময়ে আমরা স্বাধীন বাংলাদেশ পাই, তাহলে সেই স্বাধীন বাংলাদেশের মধ্যেই আমরা পাব বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব কে। আমি নিশ্চিত, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব কিছুতেই পাকিস্তানিদের কাছে তার নীতি ও আদর্শের প্রশ্নে আপোষ করবেন না, আত্মসমর্পন করবেন না এবং করতে পারেন না। এটাই আমার প্রথম ও শেষ বিশ্বাস।

বাংলাদেশ যদি আজ এত রক্তের বিনিময়েও স্বাধীন না হয়, তাহলে বাংলাদেশ চিরদিনের জন্য পাকিস্তানি দখলদারদের দাস ও গোলাম হয়ে থাকবে। পূর্ব পাকিস্তানীর মর্যাদাও বাঙ্গালী কোনদিন আর পাকিস্তানীদের কাছে পাবে না। প্রভুভক্ত প্রাণীর মত আমরা যতই আনুগত্যের লেজ নাড়ি না কেন, পাকিস্তানীরা পূর্ব পাকিস্তানীদের আর বিশ্বাস করবে না, বিশ্বাস করার কোন প্রশ্নই উঠে না। আর এই অধিকৃ্ত পূর্ব পাকিস্তানে যদি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব পাকিস্তানের প্রেসেডিন্ট হয়েও আসেন, তবু তিনি হবেন পাকিস্তানের গোলামীর জিঞ্জির পরান এক গোলাম মুজিব।

বাংলাদেশের জনগন কোনদিন সেই গোলাম শেখ মুজিবকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব বলে গ্রহন করবে না, মেনে নিবে না। আমার স্থির বিশ্বাস বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর পাকিস্তানীদের কাছে নতি স্বীকার করবেন না। বাঙ্গালী জাতির গলায় গোলামীর জিঞ্জির পরিয়ে দেবার পরিবর্তে তিনি নিজে বরং ফাঁসীর রজ্জু গলায় তুলে নেবেব হাসিমুখে। এটাই আমার বিশ্বাস। বঙ্গবন্ধু সম্পর্কে এটাই আমার ঈমান। এ মূহর্তে বাংলাদেশের স্বাধীনতা ছাড়া, আমাদের অস্তিত টিকিয়ে রাখার আর কোন বিকল্প নেই। বাঙ্গালীকে বাঁচিয়ে রাখার জন্যই, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব কে বাঁচিয়ে রাখার জন্য স্বাধীনতা চাই। স্বাধীনতা ছাড়া বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানের আর কোন অস্তিত নেই, আর পরিচয় নেই। স্বাধীন বাংলাদেশ মানেই বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব। পরাধীন বাংলায় বঙ্গবন্ধু ফিরে আসবেন না। গোলামের পরিচয় নিয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমান অধিকৃ্ত পূর্ব পাকিস্তানে ফিরে আসবেন না কোন দিন। জীবনের বিনিময়ে হলেও আমরা বাংলাদেশকে স্বাধীন করব। পরাধীন দেশের মাটিতে আমার লাশও যাতে ফিরে না যায় সে জন্য জীবিতদের কাছে আর্জি রেখে যাই। আমার শেষকথা, যে কোন কিছুর বিনিময়ে আমরা বাংলার মাটিকে দখলদার মুক্ত করব। বাংলার মুক্ত মাটিতে মুক্ত মানুষ হিসেবে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবকে আমারা ফিরিয়ে আনব। মুজিব স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশেতে ফিরে আসবেন এবং তাকে আমরা জীবিত অবস্থায় ফিরিয়ে আনব ইনশাল্লাহ। স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানের প্রাণ রক্ষার জন্য বিশ্ব মানবতার কাছে আমরা আকুল আবেদন জানাচ্ছি”।

প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমেদের এই আবেগময়ী ভাষনের পর জয় বাংলা জয় বঙ্গবন্ধু স্লোগানে শিলিগুড়ি কনফারেন্স গর্জে উঠেছিল। এভাবেই নিষ্পত্তি হয় আমাদের স্বাধীনতা যুদ্ধের ইতিহাসের একটি বিভ্রান্তিমূলক ও আত্মঘাতী ষড়যন্ত্রের।



(ভাষণ সংগ্রহ- একাত্তরের রনাঙ্গান অকথিত কিছু কথা, লেখক-নজরুল ইসলাম)


মন্তব্য

হিমু এর ছবি

এই বিতর্কের উত্থাপক ছিলো বিশ্বাসঘাতক খন্দকার মোশতাক (থুঃ)।


হাঁটুপানির জলদস্যু

নিবিড় এর ছবি

খন্দকার মোশতাক ছাড়াও এই বিতর্কের উত্থাপক আর ছিলেন , খেয়াল করুন ছাত্রলীগের একাংশ ।
*********************************************************
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড় ।

হিমু এর ছবি

বিশেষ করে মুজিববাহিনীর তরুণ নেতারা এই দাবির সাথে গর্জন মেলায়। তাজউদ্দীন নিজেকে প্রবাসী মুজিবনগর সরকারের প্রধানমন্ত্রী ঘোষণা করায় আওয়ামী লীগের সুবিধাবাদী লোকজন তাঁর প্রায় প্রতিটি কাজে বিঘ্ন সৃষ্টির জন্যে উঠে পড়ে লাগে। খোন্দকার মুশতাক (থুঃ) এই সব কাজে ইন্ধন যোগায়, এবং বিভিন্ন গ্রুপকে উসকিয়ে চলে। তাজউদ্দীন যে কী সরু কন্টকিত পথ পেরিয়ে দেশটিকে স্বাধীন করার রাজনৈতিক ও কূটনৈতিক হারকিউলিয়ান টাস্ক পালন করেছেন, তা পড়লে শিহরিত হতে হয়।

মঈদুল হাসান তালুকদারের মূলধারা '৭১ এ এর বিস্তৃত বিবরণ আছে। বইটি সকলের অবশ্যপাঠ্য।


হাঁটুপানির জলদস্যু

এনকিদু এর ছবি

ধন্যবাদ নিবিড়, সচলে আমাদের জন্য তুলে দিয়েছ বলে ।

একদিন স্টিকার মিশনে বের হয়েছিলাম তোমার সাথে তখন দেখলাম হাতে তাজউদ্দীন আহমেদের ভাষণ লেখা একটা খাতা । তখনই ভেবেছিলাম সচলে এই জিনিস পড়তে পারব কয়েকদিন পর । হাসি


অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...


অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...

নিবিড় এর ছবি

আপ্নাকেও ধন্যবাদ এনকিদু ভাই হাসি
*********************************************************
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড় ।

রায়হান আবীর এর ছবি

আমি সেদিন খাতাটা পড়েই এই ভাষণ সম্পর্কে জানতে পেরেছিলাম। কষ্ট করে টাইপ করে সবার জন্য তুলে দেওয়ার জন্য ধন্যবাদ।

=============================

নিবিড় এর ছবি

আসলে আর আগেই দিতে চেয়েছিলাম কিন্তু প্রাগৈতিহাসিক টাইপিং স্পীড নিয়ে আর তাড়াতাড়ি করতে পারলাম না । হাসি
*********************************************************
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড় ।

অতন্দ্র প্রহরী এর ছবি

বাহ্‌, ছেলের বুদ্ধি তো দেখি অনেক বাড়সে! কচিকাঁচাদের সাথে কাটানো মধুর সময়গুলো সুন্দরমতো লুকিয়ে ফেলল "প্রাগৈতিহাসিক টাইপিং স্পীডের" দোহাই দিয়ে চোখ টিপি

তোমার না কিছু ফুন-নাম্বার দেয়ার কথা ছিল! মন খারাপ

নিবিড় এর ছবি

ভাবছিলাম নাম্বার দিব না চাল্লু কিন্তু ভাবলাম ছেলেটা কিছুদিনের মাঝে শহীদ হইতে যাইতেছে এর মাঝে নাহয় একটু দুনিয়ার রঙ টা দেখুক চোখ টিপি
*********************************************************
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড় ।

হিমু এর ছবি

ফেব্রুয়ারির উপহারপোঁটলাঃ

ভুল শুদ্ধ
জনগন জনগণ
ভাষন ভাষণ
গূরুত্বপূর্ন গুরুত্বপূর্ণ
বেড়াজ্বাল বেড়াজাল
ততকালীন তৎকালীন
আহব্বান আহ্বান
কুয়াসা কুয়াশা
ক্ষন ক্ষণ
সমর্পন সমর্পণ
গ্রহন গ্রহণ

আরো কিছু টাইপো আছে, সেগুলো ঠিক বানান ভুল নয়।


হাঁটুপানির জলদস্যু

নিবিড় এর ছবি

শুদ্ধ বানান গুলো দেওয়ার জন্য ধন্যবাদ হিমুদা । তবে মনে হয় ভাষণ বানান টা ঠিক আছে আর ততকালীন বানান টা ইচ্ছে করে লেখা কারন আমি খন্ড-ত লিখতে পারি না ।
আরেকটি কথা , সম্পাদনা করতে গেলে দেখি লেখা আসছে You do not have sufficient wrokflow permission to edit. এই কথাটার মানে কি আমি চাইলে সম্পাদনা করতে পারব না?? এই তথ্য টা জানালে ভুল বানান গুলো ঠিক করা সম্ভব হত ।
*********************************************************
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড় ।

রায়হান আবীর এর ছবি

ৎ - t`` ( ` এই বাটনটা আছে esc বাটনটার ঠিক নীচে)।

ইন্টারনেট এক্সপ্লোরার ইউজ করিস? তাইলে ৎ দেখা যাবে না।

=============================

নিবিড় এর ছবি

দাড়া দেখি সত্য বলছিস নাকি চোখ টিপি আরে এইবার তাৎক্ষণিক বানানা তাৎক্ষণিক ভাবেই তো লিখতে পারলাম হাসি
কিন্তু কেও তো আরেক টা প্রশ্নের উত্তর দিল না মন খারাপ
*********************************************************
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড় ।

হিমু এর ছবি

অতিথিরা নিজেদের লেখা পোস্ট করার পর আর সম্পাদনা করতে পারেন না। অতীতে এক বদমাইশ অন্যের আটটা পোস্ট মুছে দিয়েছিল অতিথি অ্যাকাউন্ট থেকে। সেই থেকে এই সতর্কতা। লেখার পর একদফা পড়ে নিলে সংশোধনের অবকাশ থেকে যায়।


হাঁটুপানির জলদস্যু

অতন্দ্র প্রহরী এর ছবি

নিবিড়, তোমাকে ভাই বিশাআআআআআআ...ল একটা ধন্যবাদ, ভাষণটা শেয়ার করার জন্য।

চলুক

নিবিড় এর ছবি

আরে বিডিআর ভাই এত বড় ধন্যবাদ দেওয়ার দরকার ছিল না হাসি কারন হাজার হইলেই সাইজ ডোন্ট ম্যাটার চোখ টিপি
*********************************************************
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড় ।

অতন্দ্র প্রহরী এর ছবি

তোমার সাইজ তো মিয়া ঠিকই আছে, খালি ওয়েটে মার খায়া গেসো দেঁতো হাসি
আর নিজের সাইজ লুকায়া আমারে সমবেদনা জানানোর চেষ্টা করাতে তোমাকে মাইনাস মন খারাপ

নিবিড় এর ছবি

মন খারাপ কইরেন না প্রহরী ভাই ইয়ে, মানে... পোষ্ট টা মনযোগ দিয়ে পড়েন তাইলে দেখবেন তাজউদ্দীম আহমেদও ছোটখাট গড়নের ছিলেন কিন্তু তার অবদান দেখেন ।
*********************************************************
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড় ।

s-s এর ছবি

ধন্যবাদ, ভালো কাজ।

জীবন জীবন্ত হোক, তুচ্ছ অমরতা

নিবিড় এর ছবি

আপনাকেও ধন্যবাদ ।
*********************************************************
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড় ।

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

মঈদুল হাসান তালুকদারের মূলধারা '৭১ এ এর বিস্তৃত বিবরণ আছে। বইটি সকলের অবশ্যপাঠ্য।

হ...
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

ভাঙ্গা মানুষ [অতিথি] এর ছবি

কত সুন্দর এবং বিস্তৃত অথচ সংক্ষিপ্ত ভাষণ! কোনো বাহুল্য নেই, ঠিক যতটুকু বুঝিয়ে বলা দরকার ততটুকুই বলা... এখনকার বক্তৃতাগুলো এমন হয়না কেন?

নিবিড় এর ছবি

আসলে এখন কার নেতাদের মধ্যে একজনও এইরকম বাহুল্য বর্জিত স্পষ্ট ভাষণ দেওয়ার ক্ষমতা রাখে কিনা তা নিয়ে আমার যথেষ্ট সন্দেহ আছে।
*********************************************************
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড় ।

নুরুজ্জামান মানিক এর ছবি

ভাই নিবিড় , অজস্র ধন্যবাদ গুরুত্বপূর্ণ এই পোস্টের জন্য ।
কনফারেন্স এর তারিখ দেননি , যুক্ত করুন প্লিজ ।
সেই কনফারেন্স এ তাজউদ্দীনের পদত্যাগের দাবিও তোলা হয়েছিল ।
চক্রান্তকারীদের সাথে ছিলেন খন্দকার মোশতাকগ্রুপ আর শেখ মনি গ্রুপ ।

প্রথম থেকে শেষ অবধি তাজউদ্দীনের একান্ত সাথী ও সমর্থক ছিলেন ব্যারিস্টার আমিরুল ইসলাম । পরে আরো বিস্তারিত লিখব ।

নুরুজ্জামান মানিক
*******************************************
বলে এক আর করে আর এক যারা
তারাই প্রচণ্ড বাঁচা বেঁচে আছে দাপটে হরষে
এই প্রতারক কালে (মুজিব মেহদী)

নুরুজ্জামান মানিক
*******************************************
বলে এক আর করে আর এক যারা
তারাই প্রচণ্ড বাঁচা বেঁচে আছে দাপটে হরষে
এই প্রতারক কালে (মুজিব মেহদী)

নিবিড় এর ছবি

মানিক ভাই আমি ঘটনা পড়েছিলাম পাবলিক লাইব্রেরীর এক বই থেকে । শুধু ভাষণ টা লেখে এনেছিলাম কিন্তু তারিখের কথা ঠিক মনে নেই তাই যাতে বিভ্রান্তির সৃষ্টি না হয় তাই স্মৃতি থেকে আর তারিখ দিলাম না। আপ্নে জানলে দয়া করে মন্তব্যে জানিয়ে দিন।
*********************************************************
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড় ।

নুরুজ্জামান মানিক এর ছবি

আমারও মনে পড়ছে না । খুব সম্ভবত ৫ জুলাই ১৯৭১ ।

নুরুজ্জামান মানিক
*******************************************
বলে এক আর করে আর এক যারা
তারাই প্রচণ্ড বাঁচা বেঁচে আছে দাপটে হরষে
এই প্রতারক কালে (মুজিব মেহদী)

নুরুজ্জামান মানিক
*******************************************
বলে এক আর করে আর এক যারা
তারাই প্রচণ্ড বাঁচা বেঁচে আছে দাপটে হরষে
এই প্রতারক কালে (মুজিব মেহদী)

নুরুজ্জামান মানিক এর ছবি

আমারও মনে পড়ছে না । খুব সম্ভবত ৫ জুলাই ১৯৭১ ।

নুরুজ্জামান মানিক
*******************************************
বলে এক আর করে আর এক যারা
তারাই প্রচণ্ড বাঁচা বেঁচে আছে দাপটে হরষে
এই প্রতারক কালে (মুজিব মেহদী)

নুরুজ্জামান মানিক
*******************************************
বলে এক আর করে আর এক যারা
তারাই প্রচণ্ড বাঁচা বেঁচে আছে দাপটে হরষে
এই প্রতারক কালে (মুজিব মেহদী)

হরিপদ কেরাণী [অতিথি] এর ছবি

দয়াকরে বলবেন মঈদুল হাসান তালুকদারের "মূলধারা '৭১" বইটি কোন প্রকাশনীর। তাহলে বইমেলা চালু থাকতেই বইটা সংগ্রহ করা যেত!

রানা মেহের এর ছবি

এতো চমতকার একটা কাজ চলুক
-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস

-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস

নিবিড় এর ছবি

ধন্যবাদ মেহের আপু ।
*********************************************************
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড় ।

সংসারে এক সন্ন্যাসী এর ছবি

দারুণ!

~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
যৌনদুর্বলতায় ভুগছি দীর্ঘকাল। দুর্বল হয়ে পড়ি রূপময়ী নারী দেখলেই...

~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
টাকা দিয়ে যা কেনা যায় না, তার পেছনেই সবচেয়ে বেশি অর্থ ব্যয় করতে হয় কেনু, কেনু, কেনু? চিন্তিত

নিবিড় এর ছবি

ধন্যবাদ সন্ন্যাসী'দা ।
*********************************************************
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড় ।

রাগিব এর ছবি

লেখাটা বাংলা উইকিতে "শিলিগুড়ি কনফারেন্স" শিরোনামে যোগ করা যেতে পারে।

----------------
গণক মিস্তিরি
ভুট্টা ক্ষেত, আম্রিকা
http://www.ragibhasan.com

----------------
গণক মিস্তিরি
জাদুনগর, আম্রিকা
ওয়েবসাইট | শিক্ষক.কম | যন্ত্রগণক.কম

নিবিড় এর ছবি

রাগিব ভাই আপ্নে চাইলে এই লেখাটা উইকিতে যোগ করতে পারেন।
*********************************************************
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড় ।

সাইফুল আকবর খান এর ছবি

সত্যিই দারুণ ছিল এই ব্যাপারটা।
অনেক ধন্যবাদ নিবিড়।

০-০-০-০-০-০-০-০-০-০-০-০-০-০-০
"আমার চতুর্পাশে সবকিছু যায় আসে-
আমি শুধু তুষারিত গতিহীন ধারা!"

___________
সবকিছু নিয়ে এখন সত্যিই বেশ ত্রিধা'য় আছি

নিবিড় এর ছবি

পড়ার জন্য ধন্যবাদ সাইফুল ভাই।
*********************************************************
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড় ।

দৃশা এর ছবি

উরিইইইইই... কোন ফাঁক দিয়া জানি এটা চোখে পড়ে নাই।
ব্রাভো... চলুক
-------------------------
দুঃখ তোমায় দিলেম ছুটি...
বুক পাঁজর আজ ফাঁকা।
দুঃখ বিদায় নিলেও সেথায়...
দুঃখের ছবি আঁকা।

দৃশা

নিবিড় এর ছবি

যাক চোখে পড়ছে তাইলে ।
*********************************************************
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড় ।

তানবীরা এর ছবি

ধন্যবাদ নিবিড়কে ।

তানবীরা
---------------------------------------------------------
চাই না কিছুই কিন্তু পেলে ভালো লাগে

*******************************************
পদে পদে ভুলভ্রান্তি অথচ জীবন তারচেয়ে বড় ঢের ঢের বড়

নিবিড় এর ছবি

ধন্যবাদ আপু।
*********************************************************
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড় ।

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।