"কোনখেনে তুই কুড়িয়ে পেলি আমারে?"


সচলায়তনের খোঁজ এর সদস্য, অতিথি ও পাঠকেরা কীভাবে পেলেন, তা জানতেই এই জরিপের অবতারণা। যেহেতু অনিবন্ধিত (অথবা নিবন্ধিত কিন্তু এখনও সক্রিয়কৃত নন) পাঠকেরা জরিপে অংশগ্রহণ করতে পারেন না, তাই মন্তব্যের ঘরে তাঁদের অংশগ্রহণ প্রত্যাশা করা হচ্ছে।

ধন্যবাদ। সচল থাকুন, সচল রাখুন।

Choices

দুঃখিত, এই পোস্টে আপনার ভোট গৃহীত হবে না।

মন্তব্য

সুজন চৌধুরী এর ছবি

সুমন সামুর ঠিকানা দিছিলো, পড়তাম আর দাপায়া হাসতাম, যখনই মন খারাপ থাকতো সামু পড়তাম আর গড়য়া হাসতাম হেহেহেহে !!! তখন সামুতে পৌণে পাৎলুন ঢ়ৈষুর সার্কাস চলতেছিলো!
যাইহোক সুমনই দিছিলো সচলায়তনের ঠিকানা, জুনের ৭-এ নিবন্ধন করি।
লিখুম কৈত্থিকা! আমি কি আর লেখক! তারপর হিমু বাধ্য করছে দাগাইতে, সেইত্থিকা ব্লগে দাগাই।


লাল গানে নীল সুর, হাসি হাসি গন্ধ

গৌতম এর ছবি

সামুতে মাহবুব মোর্শেদের রাগ-ক্ষোভ-বিদ্বেষপ্রসূত একখান পোস্টের সূত্র ধরে... হাসি

.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ

শিক্ষাবিষয়ক সাইট ::: ফেসবুক

.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ

সুজন চৌধুরী এর ছবি
গৌতম এর ছবি

...তবে আমি কিন্তু নীল-মোর্শেদের লেখার কাছে কৃতজ্ঞ।

.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ

শিক্ষাবিষয়ক সাইট ::: ফেসবুক

.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ

মণিকা রশিদ এর ছবি

২০০৯ এর মার্চ এ মনে হয়। ফেইসবুকে পরিচিত একজনের লেখার লিঙ্ক পেয়ে সচলায়তনে ঢুকে পড়েছিলাম। তার আগে ব্লগিং বলে যে কিছু আছে ,ধারণাও ছিলোনা আমার।
_______________________________
শান্তিও যদি সিংহের মত গর্জায়, তাকে ডরাই।
--নরেশ গুহ

----------------------------------------------
We all have reason
for moving
I move
to keep things whole.
-Mark Strand

শুভাশীষ দাশ এর ছবি

কেমনে যে পাইছি সেটা ভুলে গেছি চোখ টিপি

খেকশিয়াল এর ছবি

সবজান্তা একদিন কইলো সচলায়তনের কথা, ওই শুরু

------------------------------
'..দ্রিমুই য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'

-----------------------------------------------
'..দ্রিমুই য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'

অমিত এর ছবি

এর মধ্যে একদিন অরূপ মেসেঞ্জারে সচলে রেজিস্ট্রেশন করতে বলে (কপি পেস্ট মন্তব্যলাই)

সুমন চৌধুরী এর ছবি

লোকে পুরানা কাসুন্দি ঘাঁটা নিয়া নানা কথা বলে। আমার কিন্তু উল্টাটা। আমার পুরানা কাসুন্দি ঘাঁটতে রীতিমতো ভাল্লাগে। যেন কাসুন্দি পুরানা না হলে কাঁচাআম খেয়ে সুখ নাই।

সচলায়তনের নাম ষড়যন্ত্রের শুরু থেকেই জানতাম। প্রাথমিক যূগে সেটা ছিল একটা স্বপ্ন। এর মাঝের ঘটনাগুলি সেই স্বপ্ন বাস্তবায়নের পক্ষে প্রবাহিত হয়। ২০০৬ এর জুন-জুলাইতে ষড়যন্ত্র শুরু হয়ে ২০০৭ এর মে মাসের শেষ সপ্তাহে পরিণত স্বপ্ন দেখে। মে মাসের ৩০ তারিখে অরূপ এমএসএনে একটা লিঙ্ক ধরিয়ে দিয়ে বলে এইখানে গিয়া ফ্লাডিং করতে থাকেন। সেই করতে করতে গেলো সোয়া দুই বছর। এখন সচলায়তনের শুধু গোঁফই না গোঁফে প্রান্তিক কুন্ডলী পর্যন্ত বাড়তে শুরু করেছে।



অজ্ঞাতবাস

সাইফ তাহসিন এর ছবি

অনিকেতদার সাথে গিয়েছিলাম ডিসি অর্নবের কনসার্ট দেখতে, ফিরে এসে অনিকেতদা লেখা দিলেন অর্নবকে নিয়ে, সেটার লিংক দিলেন জি-টকে, পড়ে খুব মজা পেলাম, তার চেয়েও মজা পেলাম মন্তব্যে, প্রতি মন্তব্যে, তারপরে অনেকদিন চুপচাপ কেটে গেছে, এরপর আবার লিংক দিলেন অনিকেতদা, এবারে পড়ার সময় নীড়পাতায় গেলাম, সেখান থেকে সবুজ বাঘের একটা লেখা দেখে সেখানে ঢুকে পড়লাম শিরোনাম দেখে, তারপর চেইন রি-অ্যাকশনের মত পড়ে যেতে লাগলাম সবুজ বাঘের ব্লগ এক পাশ থেকে, পড়তে পড়তে নীড়পাতায় চোখে পড়ল কস্কী মমিন, ঢুকে দেখি লগ ইন করতে বলছে, তখন নিবন্ধন করতে বাধ্য হই, কিন্তু মহা জ্বালা, আসলে নিয়ম কানুন পড়িনি ঠিকমত, তাও লগইন করতে পারি না। ধুর ছাই বলে আবার সবুজ বাঘে ফেরৎ যাই, আর এর মাঝে যোগ হয় আদমচরিত, মুখফোড়ের ব্লগ পড়তে পড়তে কেটে যায় কয়েকমাস। এর মাঝে একদিন কি মনে করে যেন তড়িৎডাকে যোগাযোগ করি সচলে, তখন মডুদাদা নতুন সদস্যদের করণীয় ব্যাপারগুলো বুঝিয়ে বলেন। তারপরে বুঝতে পারি, লেখতে হবে কিন্তু চিন্তা করতেই হাত পা ঢুকে যায় পেটের মধ্যে। এভাবে কেটে যায় আরো কয়েকমাস, এরপর ছাপা হয় প্রথম লেখা, নিজেই হা করে তাকিয়ে থাকি নিজের লেখার দিকে। যেহেতু সামুতে যাইনি আগে, এখানে এসে খবর পেলেও পরে আর যাওয়া হয়নি, একদিন গেলাম বেড়াতে ও পাড়ায়, লে-আউট দেখেই মাথা ধরে গেছে আমার। এখানে আছি, ভালো আছি, অসাধারন সব লেখা পড়ছি, ছবি দেখছি, গান ও শুনছি [ধুগোদা চোখ টিপি, হিমুদা, অনিকেতদা]।

=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদ্বপি গরীয়সী

=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী

যুধিষ্ঠির এর ছবি

চার-পাঁচবার ব্যর্থ চেষ্টার পর জানুয়ারী ২০০৮ এ ষষ্ঠ পাণ্ডবকে বাংলা টাইপ করতে শেখানো সম্ভব হয়। ওকে দিয়ে নিয়মিত লেখালেখি করানোটা একটা দায়িত্ব হিসেবে পড়ে গিয়েছিলো। এপ্রিল ২০০৮ এ ওর প্রথম লেখাটা প্রকাশ হয়, সেটা পড়তেই সচলায়তনে প্রথম ঢুঁ মারা। তারপর থেকে প্রথম ক'মাস ষষ্ঠ'র লেখা প্রকাশ হয়েছে খবর পেলেই শুধু আসতাম। কিন্তু আস্তে আস্তে দেখলাম অন্য লেখাগুলোর প্রতিও মায়া পড়ে যাচ্ছে! মাঝে মাঝে মন্তব্যও করতে ইচ্ছে হচ্ছে। সেই থেকে শুরু।

এর আগে বাংলা কমিউনিটি ব্লগ খায় না গায়ে দেয় তাও জানতাম না, নিজে ব্লগার, মন্তব্যক বা "লেখক" হবার কথা কোনদিন মাথায়ও আসেনি।

ষষ্ঠ পাণ্ডব এর ছবি

ধর্ম্মপুত্রের ঠ্যালায় পরে বাংলা টাইপ করতে শিখলেও বাংলায় আর লেখা হয়ে ওঠেনা। লেখা হয়ে না ওঠার একটা বড় কারণ লিখে কাকে দেখাবো, কাকে পড়াবো? আমার আবার পত্র-পত্রিকাতে লেখা দেবার ব্যাপারে একটু অ্যালার্জী আছে। এর মধ্যে একদিন শ্বেত যবনের পুরীতে নির্বাসিত অভিমন্যুর সাথে ফোনে কথা বলতে গিয়ে তাঁর কাছে শুনলাম সচল রাজ্যের কথা। ঢুঁ মারলাম, পড়লাম - ব্যাস মন্তব্য করার জন্য হাত নিশ্‌পিশ্‌ করে উঠল। মন্তব্য করতে গিয়ে মনে হল কিছু একটা লিখলেও তো পারি - তাই নিবন্ধন করা। তারপর লেখা দেয়া, লেখা প্রকাশ - এই তো। এখন আমার দিনের ঘন্টা দুয়েক খেয়ে নেয় এই আপদ্‌টা। এই আপদের লোকজনের জন্য খোমাখাতায় নিবন্ধন করতে হয়েছে, মোবাইলের ফোনবুকে নতুন গ্রুপ তৈরি করতে হয়েছে, সন্ধ্যায় বাড়ি ফেরার পথে আজিজের চিপার চায়ের দোকানে হাঁটুর বয়সী পোলাপানের সাথে চা-বিড়ি খাবার জন্য, আড্ডা দেবার জন্য মন আঁকু-পাঁকু করে, বুড়া বয়সে রেস্টুরেন্টে জন্মদিন পালন করা লাগে আর কত কী যে কপালে আছে.....



তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।


তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।

শাহেনশাহ সিমন এর ছবি

দেঁতো হাসি
_________________
ঝাউবনে লুকোনো যায় না

_________________
ঝাউবনে লুকোনো যায় না

সুহান রিজওয়ান এর ছবি

গড়াগড়ি দিয়া হাসি গড়াগড়ি দিয়া হাসি

______________________________________________________

মধ্যরাতের কী-বোর্ড চালক

এস এম মাহবুব মুর্শেদ এর ছবি

"আমি তো এমনি এমনি পাই..."

====
চিত্ত থাকুক সমুন্নত, উচ্চ থাকুক শির

অছ্যুৎ বলাই এর ছবি

সচলায়তন শুরুরও প্রায় সাত-আট মাস আগের কথা। তখন সামুব্লগে আমি নোতুন; কিন্তু প্রচন্ড অ্যাকটিভ। ৪ মাসে প্রায় ১০ হাজারের মতো মন্তব্য করেছিলাম, পোস্ট বেশি ছিলো না, ১০০র কিছু বেশি। এসময়টায় কর্তৃপক্ষের ওপর ক্ষিপ্ত হয়ে ব্লগাররা প্রায়ই কলম ধর্মঘটে যেতো, তাদের প্রধান অভিযোগ ছিলো চিহ্নিত জামায়াত সমর্থক ব্লগাররা কর্তৃপক্ষ থেকে বাড়তি সুবিধা পায়। যাহোক, সেই সময়টায় একবার সুমন বলেছিলো, অরূপ, মাহবুব, উৎস ওরা নাকি এরকম একটা ব্লগ বানানোর চিন্তা করছে, আমি টেকনিক্যাল সাইডে কোনোভাবে কন্ট্রিবিউট করতে পারবো কিনা। আমার ওয়েব ডেভেলাপের জ্ঞান শূন্যের কোঠায়, তাছাড়া ব্লগে অনেক সময় কাটালেও কাজ নিয়ে প্রচন্ড ব্যস্ত ছিলাম, কিছু ব্যক্তিগত ঝামেলাও ছিলো, আমি কোনো ডিসিশান দিতে পারি নাই, সুমনও আর কখনো এইটা নিয়া বলে নাই।

এরপর একটা সময় সামুব্লগ ছেড়ে দেই। তার সম্ভবত ২/৩ সপ্তাহ পরে সচলায়তন অনানুষ্ঠানিকভাবে শুরু হয়। তখন মূলত বাগটেস্টিং চলছিলো, সামুব্লগ থেকে সমমনা ব্লগারদের কয়েকজনই জানতো সচলায়তনের অস্তিত্ব। এর মধ্যে একদিন অরূপ মেসেঞ্জারে সচলে রেজিস্ট্রেশন করতে বলে। আমি তখন কাজ নিয়া বিজি, ব্লগিংও তেমন ভালো লাগছে না, গড়িমসি করি। এর মধ্যে সুমন আরেকদিন বলে রেজিস্ট্রেশনের কথা। রেজিস্ট্রেশন করে ফেলি। নোতুন লেখার সময় পাই না, কয়েকটা পুরোনো লেখা দিয়ে শুরু হয়। (অতিথি সচলরা ঈর্ষান্বিত হইলে কিছু করার নাই চোখ টিপি ) আমি রেজিস্ট্রেশন করি জুনের ৮ তারিখে, জুলাইয়ে সচলায়তন আনুষ্ঠানিকভাবে খুলে দেয়া হয়।

সচলে আমি ঠিক তেমনভাবে অ্যাকটিভ কখনো হতে পারিনি। আমি কখনোই লেখক ছিলাম না, তবে জীবনের একটা সময়ে হাবিজাবিতে পৃষ্ঠার পর পৃষ্ঠা ভরে ফেলতে পারতাম। ইনফ্যাক্ট সেই হাবিজাবিগুলো আমার সেই সময়টাকে ধরে রাখতে সাহায্য করেছে। এরপরে হাবিজাবির ওপরও বিতৃষ্ণা ধরে যায়। লিখিও না, পড়িও না। এদিক দিয়ে সামুব্লগের কাছে আমি কৃতজ্ঞ। ওখানে ব্লগিং করতে গিয়ে বুঝি হাবিজাবি কথা বলার সেই নেশাটা মরে নাই, ঘুমিয়ে ছিলো।

কিন্তু গত আড়াই বছরের সচলজীবনে কথার নেশায় বুঁদ হওয়ার সময়টা প্রায় পাই-ই না। কখনো কখনো হালকা নেশা থাকলে কিছু পোস্ট দিতাম, গত কয়েকমাসে অবস্থা আরো খারাপ। তবে নেশাটা যে আবার এসে যাবে, সে পূর্বাভাস পাচ্ছি বেশ ভালোরকমই! আহ! কতো কথা যে জমে আছে!

---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো

লুৎফুল আরেফীন এর ছবি

... আর আপনার হাত ধরেই আমারও সচল যাত্রার শুরু!
ধন্যবাদ বলাই, এতো ফাটাফাটি একটা জায়গায় হাত ধরে এনে নামিয়ে দেবার জন্য।