প্রথম বাংলা ইনপুট সিস্টেমের জনক সাইফুদ্দাহার শহীদের সাক্ষাৎকার - পর্ব ৩/৩

বেতারায়তন এর ছবি
লিখেছেন বেতারায়তন (তারিখ: বিষ্যুদ, ২৯/০৪/২০১০ - ৮:৪১পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

প্রথম পর্ব
দ্বিতীয় পর্ব

ভূমিকা

অতি সম্প্রতি অভ্র-বিজয় বির্তকের সূত্র ধরে বাংলা কিবোর্ড লেআউট, কপিরাইট, প্যাটেন্ট, ট্রেডমার্ক সংক্রান্ত বাংলা কম্পিউটিংয়ের বিষয়গুলো উঠে এসেছে। সেই সূত্র ধরে বাংলা কম্পিউটিংয়ের বিভিন্ন ব্যক্তিত্বের সাথে আলোচনা, ইতিহাস পুনরুদ্ধার এবং নতুন স্ট্যান্ডার্ড তৈরির সম্ভাবনা যাচাই করতে কিছু সাক্ষাৎকারের আয়োজন করেছে সচলায়তন। এই ধারায় আজ উপস্থাপন করা হচ্ছে সাইফুদ্দার শহীদের সাক্ষাৎকার।

সাইফুদ্দাহার শহীদ পেশায় যন্ত্রকৌশলী হলেও বেক্সিমকোতে চাকুরিরত অবস্থায় ১৯৮৩ সালের দিকে তাদের কম্পিউটার সিস্টেমের দায়িত্বে ছিলেন। তখন থেকেই তিনি বাংলা কম্পিউটিংয়ের উপর কাজ কর্ম শুরু করেন। ১৯৮৪ সালে সম্পূর্ণ ব্যক্তিগত উদ্দ্যোগে এবং খানিকটা ম্যাকিন্টোশ কর্পোরেশনের টেকনিক্যাল সহায়তায় ম্যাক কম্পিউটারের জন্য বাংলা ফন্ট যশোর, কিবোর্ড লেআউট শহীদলিপি এবং বাংলা ইন্টারফেইসে ম্যাক সিস্টেম ডেভলপ করেন। ১৯৮৫ সালে তিনি এই সিস্টেম ব্যবহার করে কম্পিউটারে প্রথম বাংলা চিঠি লেখেন তাঁর মাকে। এরপর ইউএনডিপিসহ প্রায় একশতটির মত প্রতিষ্ঠান তার এই সিস্টেম কেনে এবং ব্যবহার শুরু করে।

আলোচনা থেকে পরিষ্কারভাবে ভাবে প্রমাণিত হয় যে, সাইফ শহীদ বাংলা কম্পিউটিংয়ে প্রথম কিবোর্ডটি উদ্ভাবন করেছেন। যদিও পরবর্তীতে অনেকে ডেস্কটপ পাবলিশিং সফটওয়্যার নির্মাণ করে নিজেদের প্রথম উদ্ভাবক দাবি করেন, স্পষ্টত তাদের এই দাবি ভুল।

আশা করি সাইফ শহীদের সাথে এই আলোচনাটি অনেক ভুল ইতিহাসকে নির্মূল করবে।
প্রথম বাংলা ইনপুট সিস্টেমের জনক সাইফুদ্দাহার শহীদপ্রথম বাংলা ইনপুট সিস্টেমের জনক সাইফুদ্দাহার শহীদ

সাক্ষাৎকার
(এই ইন্টারভিউটি অনেকটা ইন্ট্যারএকটিভ ছিল। শহীদ অনেক প্রশ্নের উত্তর আলোচনা চলাকালীন জানিয়ে দিয়েছেন। তাই প্রশ্নের ধারা ক্রমান্বয়ে আসেনি। শুধুমাত্র স্ক্রিপ্ট তুলে দেয়া হচ্ছে। আশা করি আলোচনা শুনতে শুরু করলেই ধারাটি ধরতে পারবেন শ্রোতারা।)

হিমু: বাংলা একাডেমী জাতীয় কিবোর্ড প্রণয়ন করছে না কেন, বা প্রনয়ন করলেও বাজারজাত করার ব্যবস্থা করছে না কেন? শহীদলিপি কি জাতীয় কিবোর্ড হিসেবে নিবার্চিত হতে পারে? বেক্সিমকো কী এই মেধাসত্ত্বটির মালিকানা দাবী করতে পারে?

শহীদ:

মুর্শেদ: বাংলা কম্পিউটিঙে একজন সক্রিয় অবদানকারী হিসেবে আজকের বাংলা কম্পিউটিংকে আপনি কীভাবে মূল্যায়ন করবেন?

শহীদ:

হিমু: বাংলা কম্পিউটিঙের অগ্রযাত্রায় মূল প্রতিবন্ধকতা কী বলে আপনি মনে করেন?

শহীদ:

মুর্শেদ: নবীন ডিজটাল প্রজন্মের জন্যে আপনি কোনো বার্তা বা পরামর্শ পৌঁছে দিতে চান কি?

শহীদ:

তাসনীম: ব্যক্তিগত জীবনে আপনার পেশা কী? আপনি এখন কোথায় আছেন? আপনার সাথে যোগাযোগের উপায় কী?

শহীদ:

তাসনীম: সচলায়তন ভিজিট করেছেন? সচলায়তনের ভালো এবং খারাপ দিক কী মনে হয়েছে? সচলায়তনকে কীভাবে আরো ভালো করা যায়?

শহীদ:

মুর্শেদ: অনলাইনে বাংলাদেশের উপস্থিতিকে কীভাবে দেখেন? ডিজিটাল ডিভাইড দূরীকরণে ইন্টারনেট বঞ্চিতের জন্য কী করণীয় আছে বলে মনে করেন?

শহীদ:

হিমু: সাইফ শহীদের সাথে আলোচনা আজকের মত এখানেই শেষ করছি। রেকর্ড শেষে এই ইন্টারভিউ আলোচকদের মধ্যে বিতরণ করা হবে। মূল অংশ অবিকৃতরেখে আপত্তিকর বিবেচিত হতে পারে এরকম অংশগুলো সরিয়ে পোস্ট করা হবে। এব্যাপারে আপনার কোনো আপত্তি নেই তো সাইফ ভাই?

শহীদ:

মুর্শেদ: আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ সাইফ ভাই।

শহীদ:

রেফারেন্স

১। সাইফুদ্দাহার শহীদের হোমপেইজ
২। গুগল সাইটে সংরক্ষিত শহীদলিপির বিস্তারিত
৩। ইয়াহু গ্রুপসে রক্ষিত কম্পিউটারে বাংলা লিপির ইতিহাস
৪। মার্চ ২০১০ এ মোস্তফা জব্বারের বিবিসিকে দেয়া সাক্ষাৎকার
৫। মেহদী হাসানের সাক্ষাৎকার


মন্তব্য

ইশতিয়াক রউফ এর ছবি

সবগুলো পর্ব শুনলাম। দারুণ লাগলো।

ফন্টগুলো চাই।

রাগ ইমন  এর ছবি

অনেক অনেক ধন্যবাদ । বেতারায়ন দুর্দান্ত একটা কাজ করেছে। শহীদ ভাইকে আগামীতে আরো পড়তে, শুনতে পারবো বলে আশা করছি। ( কেবল ক্যাডেট কলেজ ব্লগেই নয়)

ইতিবাচক অনেক কথা উঠে এসেছে , ভালো লাগার অসংখ্য উপকরণ রয়েছে পুরো সাক্ষাৎকারে । কিন্তু মাথার ভিতর তীক্ষ্ণ ফলার মত বিঁধে রইলো মন্তব্যের একটি অংশ ,

" আমরা অনেক পিছিয়ে আছি । আমাদের এখনো অনেক কাজ বাকি। -----এই রকম অনেক গুলা কাজ আমরা করছি না , অর্থাৎ , মানে নিজেদের মধ্যে একে অপরের পিছনে লেগে থাকার কারণে । "
-----------------
" আসলে বোধ হয় আমাদের এখন ভুলে যেতে হবে । এই এদের মুখের দিকে তাকিয়ে ,বাংলা একাডেমী বা যে কোন প্রতিষ্ঠান এর কাছ থেকে। এখন একেবারে ধরতে হবে -যে ভালো ,তারই জয় হোক। সে যেই হোক। এজ সিম্পল এজ দ্যাট । এইটেই হলো করতে হবে। কারণ তা না হলে--

আমার অতিরিক্ত তিক্ত অভিজ্ঞতা । বিভিন্ন রকম লোক জন, বিভিন্ন রকম "জ্ঞানী গুনী" ব্যক্তিদের ব্যাপারে । অর্থাৎ আমি , ইন এ ওয়ে ভুল করেছি, যদি এঁদেরকে সম্মান না করে গায়ের জোরে তখন থেকেই একটা কিছু করার চেষ্টা করতাম , বোধ হয় আমরা অন্য ভাবে অনেক এগিয়ে থাকতাম। "

তৌফিক হাসান [অতিথি] এর ছবি

অনেক অনেক কিছু জানলাম।
বেতারায়তন এবং শহীদ ভাইকে অনেক ধন্যবাদ।

শরতশিশির এর ছবি

বেতারায়তনের অন্যতম স্মরণীয় ফিচার হয়ে থাকবে এই সাক্ষাৎকার। এরকম নিভৃতে থাকা আরও গুণী, সম্মানিত ব্যক্তিরা আমাদের সামনে আসুন, এই আশাই রইলো। সময়ের দাবী আজকে এটাই।

মুর্শেদ, হিমু, তাসনীম ভাই এবং অবশ্যই শহীদ আঙ্কেল-কে অসংখ্য ধন্যবাদ আমাদের শহীদ লিপির ইতিহাস আর এর সাথে বাংলা কম্পিউটিং নিয়ে সুন্দর আলোচনা উপহার দেবার জন্যে।

~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
আমি দেখতে চাই না বন্ধু তুমি
কতখানি হিন্দু আর কতখানি মুসলমান
আমি দেখতে চাই তুমি কতখানি মানুষ।

~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
আমি দেখতে চাই না বন্ধু তুমি
কতখানি হিন্দু আর কতখানি মুসলমান
আমি দেখতে চাই তুমি কতখানি মানুষ।

বিবেকহীন বিবেক এর ছবি

একটা মনোরম তথ্যবহুল সাক্ষাৎকার উপহার দেওয়ার জন্য সচল এবং শহীদ সাহেব সহ সবাইকে ধন্যবাদ। বাংলা কম্পিউটিং-এর ইতিহাসের একটি উল্লেখযোগ্য মাইলফলক এই সাক্ষাৎকারটি এবং অবশ্যই ব্লগিং প্ল্যাটফর্মের জয়ের স্মারকলিপি। আরও আগে অন্যান্য মিডিয়ার উচিৎ ছিল এই উদ্যোগ নেওয়ার, কিন্তু তারা পারেনি বা করেনি, কিন্তু ব্লগাররা পেরেছে তাদের। এইটাই প্রমাণ করে সঠিক, যুগোপযগী এবং নির্ভীক মিডিয়া হিসেবে ব্লগিং-এর মাহাত্ম্য। ব্লগিংকে একটি আন্দোলন হিসাবে দেখছি বর্তমানে, আশা করছি সময়ের সাথে সাথে একদিন ব্লগিংও মূল ধারার মিডিয়ার মর্যাদা পাবে এবং সবার থেকে এগিয়ে থাকবে।

শুভাশীষ দাশ এর ছবি

বেতারায়তন তার কাজের পরিধি আরো বাড়াক।

সাইফুদ্দাহার শহীদ আর বেতারায়তনকে ধন্যবাদ।

------------------------------------------------------------------------
অভ্র আমার ওংকার

দ্রোহী এর ছবি

এক এক করে তিনটে পর্বই শুনলাম।

সাইফুদ্দাহার শহীদকে অনেক অনেক ধন্যবাদ সচলায়তন কর্তৃপক্ষকে সাক্ষাৎকার দিতে রাজি হবার জন্য। সচলায়তন কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ অজানা ইতিহাসকে সবার সামনে তুলে ধরার প্রচেষ্টার জন্য।