আমি আর নেই সেই আমি

বন্দনা এর ছবি
লিখেছেন বন্দনা [অতিথি] (তারিখ: রবি, ১১/০৯/২০১১ - ১২:৩৮পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

কদিন ধরেই মাথাটা বড্ডো বেশী খারাপ, বেশ কখানা ডেডলাইন ঝুলছে ঘাড়ের উপর। কোনটা রেখে কোনটা করি ভেবে না পাই কূল টাইপ অবস্থা আর কি। কিন্তু এ যাত্রায় আর রক্ষে নাই বোধহয়, যেমন করেই হোক কিছু একটা ধরায়ে দিতে হবে সুপারভাইজারের হাতে। কারণ বেশ কদিন আগে বেশ মোলায়েমভাবেই বলছিলাম যে পার্টটাইম করে ফেলতে চাই। এই শুনে উনারা ও আমাকে যাকে বলে এক্কেবারে ক্যোঁৎ করে ধরে ফেললেন, বললেন যা হয় আগে একটা ড্রাফট জমা দাও বাপু সেপ্টেম্বর এর মাঝামাঝি সময়ের মাঝে। তারপর না হয় চাকুরীর কথা ভাবা যাবেখন। তো সেই ড্রাফট লিখতে গিয়ে আমি আর কোন কূল কিনারা পাচ্ছিনা। ব্যাপক যন্ত্রণার মধ্য দিয়ে দিনানিপাত করছি। তার উপর একখান পেপার জার্নালে দেবার কথা ছিলো সেটার পিছনে একটু সময় দিতে চাচ্ছি। নতুন করে যোগ হয়েছে অন্য আর একখান পেপার এর রিভিউ, যেটা বছর খানিক আগে জমা দিয়েছিলাম। সেই জার্নালের এডিটর আমার এক্স-বস, আমাকে অত্যন্ত পছন্দ করেন! তার পছন্দের নমুনা হিসেবে আসতে যেতে পথে দেখা হলে আমাকে জমা-কৃত পেপার এর কথা স্মরন করিয়ে দেন, আর কোন কোন জার্নালের উনি এডিটর সেটা ও মনে করিয়ে দেন যাতে আমি ওগুলাতে সাবমিট করি এবং আরো একবার ধরা খাই। তো এই জার্নালের ডিসিশন হোল এক রিভিউয়ার আমাকে রিজেক্ট করেছেন, অন্যজন মাইনর কারেকশন দিয়েছেন, তৃতীয়-জন কোন সাড়াশব্দ করছেনা। উনি এখন তাই আমাকে রিজেক্ট করা রিভিউয়ারের কারণ জাস্টিফাই করার সুযোগ দিচ্ছেন। আল্লাহ মালুম, জানিনা কেম্নে কি করলে সেটা জাস্টিফাই হবে, তবে চেষ্টা করে দেখতে হবে কেমনে ওই রিভিউয়ার ব্যাটাকে প্রীত করা যায়। তো এই হোল আমার বর্তমান ল্যাজেগুবড়ে অবস্থা!!

এসব জ্বালাযন্ত্রণার কারণে আজকাল ল্যাবে সকাল সকালই যাই, কাজকামে মনঃসংযোগ দেবার ব্যাপক চেষ্টা চরিত্র ও করছি। কিন্তু সকালে গিয়ে পত্রিকা, সচল আর ফেসবুকিং করতে করতে লাঞ্চ টাইম হয়ে যায়, আরে খেয়ে এসে পায় বড্ডো ঘুম । তারপর ধীরেসুস্থে কাজকামে হাত দেই। লোকে বলে, “যায় দিন ভালা আসে দিন খারাপ”। আমার ও তাই ভালা দিন আর কপালে সইতেছেনা। ডেডলাইন ভয়ঙ্কর-ভাবে কাছে চলে আসছে। আজকাল তাই সচলে চোখ বুলালে ও সব লিখা পড়ছিনা, কমেন্ট করছিনা, ফেসবুকিং করা কমিয়ে দিয়েছি, পত্রিকার হেডলাইন দেখে নিচ্ছি শুধু। পছন্দের অনেকের লিখা ও মিস হয়ে যাচ্ছে ঠিক এইসব কারণে। কিন্তু এ পদ্ধতিতে একটু একটু কাজ হচ্ছে এখন, কোনমতে ড্রাফট গুছিয়ে আসছে, যদি ও খুব ধীর গতিতে।

ইদানীং আর কোন পরীক্ষণ চালাচ্ছি না বলে মূলত আমার সিটিং প্লেসেই বসি। আমার বস এর সাথে মিটিং ফিটিং থাকলে ল্যাবে যাই, নইলে সিটিং প্লেসেই বসে লিখালিখির কাজকারবার সারি। ল্যাবে হুট-হাট উনারা হামলা করলে ও অন্তত এখানে আসেন না। তাই এখানে বসে নিশ্চিন্তে গানবাজনা শোনা যায়, সিনেমা ও দেখাটেখা হয় বেশ ভালোই। কিন্তু এই সুখ ও কেন যেনো কপালে সইলোনা বেশীদিন। এই খানে ও দিন কতক ধরে আমার সুপারভাইজার কারণে অকারণে আসাযাওয়া শুরু করছেন। সবসময় কানে হেড-ফোন লাগিয়ে বসে বসে গান শুনতে শুনতে লিখালিখি করা আমার বহুত পুরানা বদভ্যাস। কয়দিন আগে ধরা ও খেয়েছি সুপারভাইজারের হাতে। উনি ল্যাবে এসেছেন, কিন্তু কানে হেড-ফোন থাকায় টের পাইনি। আমার ডেস্কের কাছে এসে আমাকে ডাক দিলেন উনার নতুন এক্সচেঞ্জ স্টুডেন্টের সাথে পরিচয় করিয়ে দিলেন। আমি পুরা থতমত খেয়ে গেছি ততক্ষণে, ভাগ্যিস মনিটরে তখন থিসিসের এর চ্যাপ্টার খোলা ছিলো। সিনেমা দেখতে থাকলে খবরই ছিলো, এক্কেবারে অল্পের উপর দিয়ে বেঁচে গেছি। পরিচয় পর্ব শেষে আমার প্রগ্রেস এর কাহিনী জানতে চাইলেন স্বভাবমতো। তারপর মনে করিয়ে দিলেন, ড্রাফট জমা দিলে ও আমাকে যে এনালিটিকাল মডেলটা করা লাগবে তার কথা। আমার তখন ছেড়ে দে মা কেঁদে বাঁচি অবস্থা। কথায় কথায় আরো বললেন, অই কাজটা হলে মেশিন টুলস নামক যে বিখ্যাত মর্যাদাসম্পন্ন জার্নাল আছে ওটাতে সাবমিট করার কথা। কই যে যাই, রান্না হবার আগেইই খাওয়ার কথা কইলে কেম্নে হবে, আমি যে এখন ও চুলায় রান্নাই চড়াইনি। অনেক কচকচ করার পর সেদিনের মত নিস্তার দিয়ে উনি স্টুডেন্ট-সমেত বিদায় নিলেন। হাফ ছেড়ে বাঁচলাম। উনি যাবার পরপরই ল্যাবমেটরা আমার অবস্থা দেখে মিচকা শয়তানের মত হাসাহাসি শুরু করে দিলো মুখটিপে। একজন তো জিজ্ঞেসই করে বসলো আমার হার্ট ঠিক আছে কিনা। যখনই সুপারভাইজারদের সাথে মিটিং থাকে, আগের দিন রাতে আমার ঠিকমত ঘুম হয়না, মিটিং এর সময় আমার হার্টবিট অসম্ভব রকম বেড়ে যায়। এইজন্য ওরা সুপারভাইজারকে আমার বয়-ফ্রেন্ড বানিয়ে দিছে। উনার কাছে গেলেই নাকি আমার হৃদয় লম্ফঝম্ফ মারতে থাকে। আজকে উনার সামনে আমার নাজেহাল অবস্থা দেখে ওরা আর ও একবার তাই খুব করে হেসে নিলো। আমি ও ওদের সাথে মলিন হেসে যোগ দিলাম।

সেদিনের মত সুপারভাইজার তো গেলো ঠিকই, কিন্তু এরপর থেকে রাতে আমার আর ঠিকমত ঘুম হচ্ছে না, শয়নে স্বপনে সুপারভাইজার আর এনালিটিকাল মডেল চলে আসছে। ফলস্বরূপ দিনের বেলায় প্রচণ্ড মাথাব্যথায় ভুগে কাজের গতি আর ও কমে গেছে। দেখা যাক কপালে আর কি কি দুর্ভোগ আছে। জমা যদি দিতে ও পারি, সুপারভাইজারদের কিল মনে হয় একটা ও মাটিতে পড়বেনা। এই দুর্ভাগা তাই আপনাদের সবার দোয়া-প্রার্থী।


মন্তব্য

পাগল মন এর ছবি

বাহ! আপনি তো আমাকে ভালো একটা বুদ্ধি দিলেন। আমারও কয়দিন পরেই লেখা শুরু করতে হবে কিন্তু সচল, ফেসবুক, পত্রিকা এসব করে সময়ই পাইনা। দেখি আপনার বুদ্ধিটা কাজে লাগাবো।

আমারতো আপনার পরিস্থিতি পড়ে নিজেকে ভাগ্যবান মনে হচ্ছে। আমার সুপারভাইসর এখনো তেমন একটা তাড়া দেননি তবে খুব শীঘ্রই দিবেন বলে মনে করছি।

এই চান্সে আমিও সবার দোয়া চেয়ে রাখি (যদিও দোয়াদরুদে তেমন কাজ হবে বলে মনে হয় না)।

------------------------------------------
হায়রে মানুষ, রঙিন ফানুস, দম ফুরাইলে ঠুস
তবুও তো ভাই কারোরই নাই, একটুখানি হুঁশ।

তাপস শর্মা এর ছবি

আপনি একটা কাজ করতে পারেন ভাই পাগল মন ম্যাঁও বাবা রামদেবের ম্যাঁও সাথে দেখা করতে পারেন !!!! ওঁয়া ওঁয়া ওঁয়া ওঁয়া

পাগল মন এর ছবি

তাপসদা, বাবা রামদেবের ফেসবুক আইডিটা দেন, ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট পাঠাই। সেটা অ্যাকসেপ্ট করলে, দোয়া চাওয়া যাবে। চোখ টিপি

------------------------------------------
হায়রে মানুষ, রঙিন ফানুস, দম ফুরাইলে ঠুস
তবুও তো ভাই কারোরই নাই, একটুখানি হুঁশ।

বন্দনা এর ছবি

পাগল ভাই, জানিনা এই বুদ্ধি কাজে লাগবে কিনা, এই যে আমাকে দেখেন একটু গুছিয়ে আনছি এই ভেবে ব্লগিং শুরু করে দিছি আবার। হাহহাহহাহহা।।
আর আপনার জন্য দোয়া করে দিলাম যান, আমার জন্য করতে ভুলবেন না কিন্তু।

পাগল মন এর ছবি

এইটা কী শুনাইলেন? আমি আপনার বুদ্ধি কাজে লাগানোর চিন্তায় আছি আর আপ্নে এভাবে আমার আশার বাঁধ ভেঙে দিলেন? ওঁয়া ওঁয়া

------------------------------------------
হায়রে মানুষ, রঙিন ফানুস, দম ফুরাইলে ঠুস
তবুও তো ভাই কারোরই নাই, একটুখানি হুঁশ।

অপছন্দনীয় এর ছবি

আপনি তো পাবলিকেশনের মেশিন দেখি! আমার গুরু আপনাকে পেলে বড়ই খুশি হতেন... আপাতত আমাকে নিয়ে তিনি বড্ড জ্বালায় আছেন। অনেকভাবে চেষ্টা চরিত্র করেছেন আমার হার্টবিট, ব্লাডপ্রেশার, অ্যাড্রেনালিন সিক্রেশন ইত্যাদি বাড়ানোর কিন্তু কিছুতেই পেরে উঠছেন না, ইদানী তাই ক্ষ্যামা দিচ্ছেন মনে হয় দেঁতো হাসি

তাপস শর্মা এর ছবি

আপনি বরং নাইজেরিয়ান হেলথ দপ্তরের সঙ্গে যোগাযোগ করেন অপছন্দনীয় ভাই। মন খারাপ ওদের অবস্থা ভালো। ওদের "হার্টবিট, ব্লাডপ্রেশার, অ্যাড্রেনালিন সিক্রেশন " এই সবের বালাই নাই । চোখ টিপি

বন্দনা এর ছবি

পছন্দনীয়দা, আমার ল্যাবের সিনিয়ররা সব ৮, ১০ টা করে পাবলিকেশন নিয়ে বের হয়ছেগো, আমিতো তাদের কাছে এক্কেবারে শিশু। আপনার মত হতে পারলে ভালো হোত, আমার হার্ট আমার কথা শোনেনা, যখন তখন বিট বাড়িয়ে দেয়।

অপছন্দনীয় এর ছবি

আমার গুরুও তা-ই চান, আমি MSc তেই অন্তত ছয়খানা নিয়ে বের হই। সামনে কোন কনফারেন্স ডেডলাইন থাকলেই এমন তিড়িং করে লাফিয়ে ওঠেন যে মনে হয় চেয়ারে বোধহয় কাঁটা বসানো ছিলো। সবসময়েই আমার পিছনে লেগে আছেন অর্ধসমাপ্ত কাজকেও অর্ধসমাপ্ত হিসেবে পাবলিশ করে কাউন্ট বাড়ানোর জন্য। কিন্তু সমস্যা হচ্ছে মোটামুটি ধরনের ছয়খানা পাবলিকেশনের চেয়ে একখানা ভালো পাবলিকেশনের উপরে আমার আগ্রহ অনেক বেশি - এবং আমি কারো পাবলিকেশন গুণতে যাই না। এই নিয়ে গুরুর সাথে প্রতিদিন সকালে একবার আর বিকেলে আরেকবার মন কষাকষি চলে।

আমি কোনদিনই এবং কোন অবস্থাতেই শিক্ষকতায় যাবো না - কাজেই পাবলিকেশনের সংখ্যা নিজের জন্য অতটা গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে হয়নি। একমাত্র বাংলাদেশের ইউনিভার্সিটিগুলো ছাড়া আর কোন জায়গায় পাবলিকেশনের মান না দেখে সংখ্যা গোণা হয় কিনা সন্দেহ আছে আমার।

পাগল মন এর ছবি

গুরুর সাথে মন কষাকষি করতে করতে আর কিছু কষায়ে ফেলেন না যেন। চোখ টিপি

------------------------------------------
হায়রে মানুষ, রঙিন ফানুস, দম ফুরাইলে ঠুস
তবুও তো ভাই কারোরই নাই, একটুখানি হুঁশ।

বন্দনা এর ছবি

MSc তে ছয় খানা পেপার, আমার পিএইচডিতে ও ছয় খানা হবেনা!! তবে কিনা আমার বস পেপার ছাড়া কিছু বুঝেনা, আমার ও পেপার উৎপাদন না করে উপায় নাই তাই মন খারাপ

তাপস শর্মা এর ছবি

আমার তো ভাই সচল, ফেসবুক, পত্রিকা এই সব নিয়েই কারবার। আর সিনেমা হা হা হা হা হা। ওটা গিললে আর লেখালেখি কচলাইলেই আমি দু'চারটা পয়সা পাই।

বন্দনা এর ছবি

তাপসদা, আমার তো এই সব ছাইপাশ রিসার্চ করেই খেতে হবে অন্য কোন উপায় না ওঁয়া ওঁয়া । ইস আপনার কি মজা।

তারেক অণু এর ছবি

হাসি চালাতে থাকেন, সব একসাথে !!

বন্দনা এর ছবি

চেষ্টা করছি তারেক ভাই সব একসাথে গিলতে, কিন্তু ইহাতে বদহজম এর সম্ভবনা ব্যাপক মন খারাপ

কৌস্তুভ এর ছবি

সব গ্র্যাডস্টুডেন্টদেরই অবস্থা কমবেশি একইরকম। আপনি সংগ্রাম করে যেতে থাকেন।

বন্দনা এর ছবি

কৌস্তুভদা আপনি ঠিক ই বলছেন, তবে কিনা আমি ভয়ঙ্কর অলস... কাজকামে খালি ফাঁকি মারতে চাই, তাই একটু প্রেশার পড়লেই পুরাই কলাপ্স করি।

ষষ্ঠ পাণ্ডব এর ছবি

একটা সহজ বুদ্ধি দেই। আপনি যদি অবিবাহিতা হয়ে থাকেন তাহলে সুপারভাইজারকে এমন ভাব দেখান যে আপনি তার প্রেমে গদগদ (আপনি বিবাহিতা হলে সুপারভাইজার আপনার এই বাটপারী ধরে ফেলবেন)। তারপর, সুপারভাইজারের উপরে চোটপাট শুরু করে দিন। তার দেয়া পেপার লেখা, এক্সপেরিমেন্ট, ল্যাব ওয়ার্ক সব তাকে দিয়েই করিয়ে নিন। ভালোয় ভালোয় সব শেষ হলে সুপারভাইজারকে কাঁচকলা দেখিয়ে কেটে পড়বেন।

ইহা একটি পরীক্ষিত পদ্ধতি। প্রাগতৈহাসিক আমলে বুয়েটে এর কাছাকাছি মডেলের সফল প্রয়োগ দেখিয়াছি। সুতরাং আস্থা রাখিতে পারেন।


তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।

অপছন্দনীয় এর ছবি

আমাদের মত বেচারা গ্র্যাড স্টুডেন্টদের কী হবে পান্ডবদা? গুরুর তো আর বিবাহযোগ্যা মেয়ে নেই মন খারাপ

প্রাগৈতিহাসিক যুগের পরে ওই মডেল প্রয়োগ না করলেও উল্টোদিক দিয়ে এর কাছাকাছি অভিজ্ঞতার পাবলিশড রেফারেন্স আছে।

বন্দনা এর ছবি

পাণ্ডবদা, অবিবাহিতা হয়ে কোন লাভ নাইগো, আমার দুই বসই আমার বাপের বয়সী, তার উপর বাংলাদেশী বস এর কোন মেয়ে নাই তিন ছেলে, উনি আমাকে মেয়ের মতই দেখেন, তার উপর উনি ও বুয়েটের প্রডাক্ট। আপনার মডেলের সাফল্য বুয়েটে থাকতে একটু আকটু ভোগ করতে পারলে ও এখানে সেই সম্ভবনা দেখতে পাচ্ছিনা। মন খারাপ
অফটপিক আপনি ও কি বুয়েটের প্রডাক্ট নাকি?? হাসি

ষষ্ঠ পাণ্ডব এর ছবি

১. বাপের বয়সী বসদের সাথে ধর্মকন্যা টাইপ সম্পর্ক পাতিয়ে ফেলুন। তারপর, বাকি কাহিনী প্রেসক্রিপশন মোতাবেক।

২. বাংলাদেশী বসের তিন তিনটা ছেলে আছে আর তারপরও আপনি বাঁচার রাস্তা খুঁজে পাচ্ছেন না? জগতে কি শ্বশুর নামক শব্দটা আর নাই! তারপর, বাকি কাহিনী প্রেসক্রিপশন মোতাবেক। ভদ্রলোক যেহেতু বুয়েট প্রডাক্ট তাই এইক্ষেত্রে একটু সমস্যা দেখতে পাচ্ছি। সাবধানে না আগালে বাটপারী ধরা পড়ে যাবার ব্যাপক সম্ভাবিলিটি আছে।

৩.

আপনার মডেলের সাফল্য বুয়েটে থাকতে একটু আকটু ভোগ করতে পারলে ও এখানে সেই সম্ভবনা দেখতে পাচ্ছিনা।

আচ্ছা! তাহলে শুধু প্রাগৈতিহাসিক আমলেই না, এই আমলেও এই ট্রিক্স চালু আছে।

৪. আমি প্রাগৈতিহাসিক আমলে বিশ্বকর্মার পাঠশালার শিক্ষার্থী ছিলাম।


তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।

বন্দনা এর ছবি

পাণ্ডবদা, বসের তিন ছেলেই আমার ছোট, কী আর করা, কপালে নাইক্কা মন খারাপ । আপনার প্রাগৈতিহাসিক আমলটা কোন বছর জানতে বড্ডো মন চায় দাদা চিন্তিত

ষষ্ঠ পাণ্ডব এর ছবি

১৯৯১ এর ১৮ই মে থেকে ১৯৯৬ এর ৭ই জুলাই পর্যন্ত।


তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।

রু (অতিথি) এর ছবি

দোয়া থাকল।

বন্দনা এর ছবি

ধন্যবাদ রু হাসি

আশালতা এর ছবি

লেখা পড়ে বিমলানন্দে হাসতে গিয়ে হটাত মনে পড়ে গেল 'ঘুঁটে পোড়ে গোবর হাসে' ! ইয়ে, মানে...

----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি

বন্দনা এর ছবি

আশাদিদি একটু হাসুন, তবে বেশী হাসলে কিন্তু আমি কেন্দে দেবো কইলাম মন খারাপ

তানিম এহসান এর ছবি

সবাইতো দেখছি আপনাকে নানানরকম দাওয়াই দিয়েই দিয়েছে, অতএব চিন্তা কি, ’অ্যবরাকাড্যাবরা’ বলে দুম করে কাজ শুরু করে দিন দেঁতো হাসি

বন্দনা এর ছবি

অ্যবরাকাড্যাবরা’ টা আবার কি জিনিস তানিম ভাই চিন্তিত

উচ্ছলা এর ছবি

মাথা ঠান্ডা রেখে সব ধরনের উচ্চচাপ, নিম্নচাপ, ল্যাবচাপ ফেইস্ করুন। এতদিন পেরেছেন, এত দূর পেরেছেন; বাকিটাও পারবেন। Failure is not an option দেঁতো হাসি

শুভেচ্ছা ♥

বন্দনা এর ছবি

ধন্যবাদ উচ্ছলা। হাসি

নীরব পাঠক এর ছবি

ডর করে খুউউউব! ইয়ে, মানে... আমাগের ইবার সিরিয়াস রিসার্চ ( আগের গুলিন দুধভাত+টেবিলিনভেস্টিগেশন) আছে... আল্লাগো! আপ্নের পোস্ট পড়ি আমারও যেন ধুকপুক শুরু হয়ি গিছে...

বন্দনা এর ছবি

হাহহাহহাহা যাক আপনি আমার কষ্ট টা তাইলে বুঝছেন নীরব পাঠক।

মৃত্যুময় ঈষৎ এর ছবি

একটু চিন্তা ভাবনা করে, গুরুত্বপূর্ণ কাজটা আগে.............


_____________________
Give Her Freedom!

বন্দনা এর ছবি

হুম তুমি ঠিকই বলেছো মৃত্যুময় ঈষৎ... কিন্তু আমি মনে হয় বড্ডো পঁচা দেখতেই পাচ্ছো, কি করে বেড়াচ্ছি।

জহিরুল ইসলাম নাদিম এর ছবি

অনেক দোয়া ও শুভ কামনা থাকল। ডাউনলোড করে নিন! হো হো হো

বন্দনা এর ছবি

ধন্যবাদ নাদিম ভাই, আপনি ঠিক মত আপলোড করে থাকলে আমি ও আশা করি ডাউনলোড করে নিতে পারবো। হাসি

রোমেল চৌধুরী এর ছবি

'ফেসবুকিং' কমানো ভালো 'ফেস বুকিং' নয়, কি বলেন? চোখ টিপি

------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
আমি এক গভীরভাবে অচল মানুষ
হয়তো এই নবীন শতাব্দীতে
নক্ষত্রের নিচে।

বন্দনা এর ছবি

মন্দ বলেন নাই রোমেল ভাই চোখ টিপি

নিটোল. এর ছবি

লেখা মজারু হইসে! চলুক! চলুক

বন্দনা এর ছবি

ধন্যবাদ নিটোল। এরকম লিখা চললে তো ভাই বিপদ...সারাক্ষন ডেডলাইনের উপর কে থাকতে চায় বলেন।

অতিথি লেখক এর ছবি

চলুক

---------------------
কামরুজ্জামান পলাশ

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।