সোমালিয়া অ্যান্ড কোং

হিমু এর ছবি
লিখেছেন হিমু (তারিখ: শুক্র, ২৮/১০/২০১১ - ৮:০৯অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

ফররুখ ভাইকে প্রথমটায় চিনতেই পারিনি। কামরুলকে তাই নির্বিকার চিত্তে যা-তা বলে গালাগালি করেই যাচ্ছিলাম। কামরুল নিরীহ ভালোমানুষ, এক একটা গালি খায় আর প্রতিবাদ করে। শেষমেশ যখন পরিচারিকারমণের অভিযোগ অস্বীকার করে সে ডুকরে উঠলো, তখন দূরে এক জোড়া কোঁচকানো ভুরু দেখে ফররুখ ভাইকে চিনতে পারলাম।

কিন্তু, কিমাশ্চর্যম, ফররুখ ভাইয়ের এই হাল কেন?

বেশ রোগা হাড় জিড়জিড়ে একটা প্রোলেতারিয়েত চেহারা ছিলো ফররুখ ভাইয়ের, সেটা একেবারেই উধাও। গাল দুটো ফুলেফেঁপে হয়রান অবস্থা। ফররুখ ভাইয়ের প্রবাদপ্রতিম সুতির পাঞ্জাবি, যেটা বিপ্লব-সংগ্রামের সব ঝড়ঝাপটার ধকল সামলাতে সামলাতে চিমসে গন্ধ ছড়াতো, সেটাও দেখা যাচ্ছে না। উল্টোদিকের চায়ের টেবিলে বসে যা বুঝলাম, একটা টিশার্টের ওপর খদ্দরের চাদর গায়ে বসে আছেন তিনি। আগে চায়ের সাথে একটা কি দুটো ডালপুরি খেতেন, সামনে তাকিয়ে দেখি প্লেটের ওপর পরোটা আর শিক কাবাবের পাগমার্ক।

উঠে গিয়ে ফররুখ ভাইয়ের টেবিলে বসতে গিয়ে দেখি বেশ দামী একটা ফোন চিত হয়ে পড়ে আছে টেবিলের ওপরে। ওটার মালিকও ফররুখ ভাই বলেই মালুম হচ্ছে।

কামরুলটা গাধা, সরল মনেই হয়তো বলে বসে, "বস, বিজনেস শুরু করলেন নাকি?"

ফররুখ ভাইয়ের টেবো টেবো গাল দুটো রাগে গোলাপি হয়ে ওঠে। বিজনেসের মতো একটা পুঁজিবাদী অনাচারের আভিযোগ এভাবে চায়ের দোকানে মুখের ওপর খাড়া কেউ করে বসবে, এটা সহ্য করা কঠিন, জানি আমি। তাই কোলেইটারাল ড্যামেজ সামলানোর জন্য বলি, "বস মনে হয় মোটা হয়ে গেছেন।"

ফররুখ ভাই কিছুক্ষণ স্তব্ধ হয়ে তাকিয়ে থাকেন আমার দিকে, তারপর চায়ের কাপটা তুলে একটা মাপা সংগ্রামী চুমুক দেন। তারপর খদ্দরের নিচ থেকে একটা ছোটো হাতআয়না বার করে নিজের মুখশ্রী দেখেন খানিকক্ষণ। তারপর ছোটো একটা বিপ্লবী দীর্ঘশ্বাস ফেলে সেটা আবার চালান করেন খদ্দরের নিচে। আমি বুঝি, টিশার্ট নয়, পকেটঅলা কিছু পরে আছেন তিনি।

"হ্যাঁ", বহু কষ্টে স্বীকার করে আবার চায়ের কাপে চুমুক দেন তিনি। "একটু।"

কামরুলটা ডিপ্লোমেসির কিছুই বোঝে না, সে বলে, "একটু না বস। আপনে তো ফু্‌ইল্যা শ্যাষ।"

ফররুখ ভাই আবারও রাগে রাঙা হন। ইনকিলাবি চোখে কামরুলকে সেকেণ্ড বিশেক ভস্ম করে বলেন, "একটু।"

কামরুল আবারও সংবিধান লঙ্ঘনের আগে আমি মুখ খুলি, "কী হইছে বস?"

ফররুখ ভাই কিছুক্ষণ চায়ের কাপের ওম নেন আনমনে। তারপর সেটাকে নামিয়ে রেখে বলেন, "আর বইলো না। অনশন করতে করতে ... এই অবস্থা।"

কামরুলটা স্তব্ধ হয়ে যায়। আমার চোখের সামনে মহাত্মা গান্ধীর টিংটিঙে চেহারাটা ভেসে ওঠে।

"অনশন করলে মোটা হয় নাকি মাইনষে?" কামরুল গোঁ-গোঁ করে বলে।

ফররুখ ভাই আবারও চোখে ইনকিলাবের আগুন জ্বেলে কামরুলকে পোড়ান। "তুমি কী বুঝবা? অনশন করছো জীবনে?"

কামরুল মাথা নাড়ে, কিন্তু মুখ বন্ধ করে না। "না খাইয়া থাকলে মাইনষে মোটা হয় ক্যামনে?"

ফররুখ ভাই চায়ের কাপ তুলে একটা বিরক্ত চুমুক দেন ফড়াৎ করে। "অনশনের সাথে না খেয়ে থাকার সম্পর্ক কী?"

এইবার আমরা দুজনেই মৌন মেরে যাই। কিছুক্ষণ ভাবি। অনশনের সাথে না খাওয়ার সম্পর্ক নিয়ে।

ফররুখ ভাই খদ্দরের নিচ থেকে হাত দু'খানা বার করে বলেন, "অনশনের প্রাচীন অর্থ ছিলো উপবাস। কিছু খাবে না, কিছু পান করবে না, চুপটি করে পড়ে থাকবে এক কোণায়। সারা পৃথিবী যখন খাচ্ছে, তখন তোমার প্রতিবাদ জ্বলে উঠছে এই স্বেচ্ছাক্ষুধায়। কিন্তু সময়ের সাথে এর অর্থ পাল্টে গেছে।"

কামরুল বলে, "এখন অনশন মানে কী?"

ফররুখ ভাই বলেন, "এখন অনশন মানে হচ্ছে, তুমি কর্তৃত্ববাদী পুঁজিতান্ত্রিক পেটোয়া বাহিনীকে চ্যালেঞ্জ করছো, আয় তুই বেরিয়ে আয় তোর দালালবাদিতার কেল্লা থেকে, বেরিয়ে এসে আমাকে মিনারেল ওয়াটার খাওয়া।"

কামরুল এবার আমার দিকে তাকায়। আমি বলি, "না খাইয়া থাকা লাগে না?"

ফররুখ ভাই বলেন, "তা থাকে। না খেয়ে থাকলে পুঁজিবাদের চামচারা এসে তোকে পানি খাওয়াবে কেন?"

কামরুল বলে, "তাইলে তো অনশনই হইল। উপাসই তো থাকলেন।"

ফররুখ ভাই বলেন, "হ্যাঁ, তা-ই তো।"

কামরুল এবার রেগে যায়। বলে, "তাইলে এইরাম ফুইল্যা গোলালু হইলেন ক্যাম্নে?"

ফররুখ ভাইও চটে যান। বলেন, "আরে অনশন কি দিনের পর দিন মাসের পর মাস করার জিনিস নাকি? সকাল বেলা যাবি, শহীদ মিনারে বসবি, দুপুরের পরই মন্ত্রী এসে তোকে মিনারেল ওয়াটার আর মালয়েশিয়ার বিস্কুট খাওয়াবে।"

কামরুল বলে, "মিনারের ওয়াটার আর মালয়েশিয়ার বিস্কুট খাইয়া কেউ এইরাম মোটা হয় নিকি? কইলেই হইলো?"

ফররুখ ভাই ক্ষেপে যান খুব। বলেন, "ছাগল কোথাকার, সকালে অনশন শুরুর আগে যে ফাটায় নাস্তা করতে হয়, সেইটা হিসাবে ধরবি তো! দুইটা মাস ধরে খালি গরুর গোস্তো দিয়ে পরোটা গরুর গোস্তো দিয়ে পরোটা গরুর গোস্তো দিয়ে পরোটা খেয়ে খেয়ে অনশন করতে গেছি!"

কামরুল গোল গোল চোখে আমার দিকে তাকায়। আমি মিনমিনিয়ে বলি, "গরুর গোস্তো পরোটা দিয়া সকালে নাস্তা কইরা এইরাম মোটা হয় নাকি কেউ?"

ফররুখ ভাই চায়ের কাপ তুলে একটা স্তালিনশীতল কঠোর চুমুক দেন, সাইবেরিয়াতে কোনো হ্রদের পানির লেভেল যেন এক ইঞ্চি কমে যায় ওতে। তারপর বলেন, "আর অনশনের পরে যে বিরিয়ানি খাইতে হয়, সেইটার হিসাব কে রাখবে? তোদের বাপ?"

কামরুল আবারও স্তব্ধ হয়ে যায়। আমি দুর্বল গলায় বলি, "বিরিয়ানি? বিরিয়ানি ক্যান?"

ফররুখ ভাই বলে, "চুক্তিতে বিরিয়ানির কথা আছে তাই বিরিয়ানি!"

কামরুল বলে, "কীসের চুক্তি?"

ফররুখ ভাই বলে, "সোমালিয়া অ্যান্ড কোঙের সাথে চুক্তি।"

আমি বলি, "সোমালিয়া অ্যান্ড কোং কী?"

ফররুখ ভাই অধৈর্য হয়ে হাত নাড়েন। বলেন, "অনশন একটা সামগ্রিক প্রতিবাদ। তুই আজকে একা গিয়ে শহীদ মিনারের সামনে না খেয়ে পড়ে থাকলে তোকে কেউ বাল দিয়েও পুঁছবে না। অনশনের একটা আয়োজন লাগে। এটা একটা ইভেন্ট। এইটার লজিস্টিক সাপোর্ট লাগে না? অনশনের আগে মিডিয়াকে ম্যানেজ করতে হয়, খবরের কাগজ রেডিও টিভিকে ফিট করতে হয়, তারা অনশনের খবর আগে রাষ্ট্র করে। অনশনের দিন সকালে শহীদ মিনারে যাবি, খালি হাতে যাবি? পুষ্পস্তবক লাগবে না? ব্যানার লাগবে না? ফেস্টুন লাগবে না? অনশনের সময় আবার মিডিয়ার লোকদের ডেকে এনে কাভারেজ নিতে হবে না? তারপর এই যে মন্ত্রী আসবে তোকে মিনারেল ওয়াটার খাওয়াতে, সেইটার একটা কোঅর্ডিনেশনের ব্যবস্থা করতে হবে না? ফোটোগ্রাফার দিয়ে ভালো ছবি তোলাতে হবে না? ফেসবুকে গ্রুপ খুলে সেটা চালাতে হবে না? মন্ত্রী কি তার বাপের বাড়ি থেকে মিনারেল ওয়াটার আর বিস্কুট নিয়ে আসবে তোর জন্যে, সেটা এগিয়ে দিতে হবে না? তারপর সারাটা দিন না খাওয়া তুই, অনশন শেষ হওয়ার পর বিরিয়ানি খাবি না তো কি চোদায়া মুড়ি খাবি?"

কামরুল বলে, "সোমালিয়া অ্যান্ড কোং কী?"

ফররুখ ভাই হুঙ্কার দিয়ে বলেন, "আরে এতক্ষণ কী কই? এইসব ম্যানেজ করে তারা, ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট কোম্পানি! এখন অনশনের ফুল সিজন চলতেছে, সামনে শীতকাল, আরো অনশন হবে। যে যত অনশন করে, সব ম্যানেজ করে সোমালিয়া অ্যান্ড কোং!"

একেবারে তাক লেগে যায়। বলি, "এইখানেও পুঁজিবাদ?"

ফররুখ ভাই বড় বিরক্ত হন। একটা সিগারেট ধরিয়ে বলেন, "সাদা কালো দিয়ে সব কিছু বিচার করলে চলে না। মাঝের ধূসর জায়গাগুলি নিয়ে ভাবতে হবে।"


মন্তব্য

চরম উদাস এর ছবি

দেঁতো হাসি জটিল

হিমু এর ছবি

গাদ্দাফীরে নিয়ে কিছু লিখবেন না?

চরম উদাস এর ছবি

ভালো আইডিয়া দিছেন, দাঁড়ান লেখতেছি, খাইছি হালারে দেঁতো হাসি

সাফি এর ছবি

সব ইভেন্ট সোমালিয়া এন্ড কোং আয়োজন করলে ভুরুঙ্গুমারির কি হবে?

হিমু এর ছবি

ফটোসৌজন্য: হয়রান আবীর

সুমাদ্রী এর ছবি

হাহাহা। " আদনান সামি এণ্ড কোং " হবে কিসের নাম তাই ভাবছি?

হিমু এর ছবি

সোমালিয়ায় ত্রাণ সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান?

শম্পা এর ছবি

দারুন! হাসি

কিন্তু চন্ডিশীরা কো? মন খারাপ

হিমু এর ছবি

চণ্ডীশিরাও বাংলা ভাইয়ের মতো, মিডিয়ার সৃষ্টি।

মন মাঝি এর ছবি

আর ঐ ১৫০ পাতার সাইন্স ফিকশন ? ঐটা কদ্দুর ?

****************************************

হিমু এর ছবি

আপনি কে? আমি কোথায়?

কল্যাণF এর ছবি

সব কিন্তু ফলো করতেছি ভাইয়েরা খিক্ক খিক্ক শয়তানী হাসি

মন মাঝি এর ছবি

এইযে... এইদিকে দেখেন। ্‌্‌্‌ ... হ্যাঁ... আচ্ছা, এইবার ঠিক আছে! শোনেন, আপনি জনাব হিমু, একজন জর্মন প্রবাসী বাঙালি। আপনি একজন ফাটাফাটি পুরষ্কারপ্রাপ্ত লেখক। আপনি অনেক জাগাতেই লিখেন, তবে বর্তমানে আপনি সচলায়তন নামক এক্টা ব্লগে ১৫০ পাতার একটা সাইন্স ফিকশন লেখার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। আপনি সাইন্স ফিকশন জন্রার একজন স্পেশালিস্ট। এটাই আপনার ধ্যানজ্ঞান, বর্তমানে একমাত্র পরিচয়। কেউ যদি আপনাকে, কি বলে... 'চন্ডীশিরা' বা ঐ রকম কোন নাম উচ্চারন করে আপনার সামনে - খবর্দার পাত্তা দিবেন না। বুঝছেন? ডাক্তারের কঠিন নিষেধ আছে! এখন আপনার একমাত্র কাজ হচ্ছে একমনে ঐ ১৫০ পাতার সাইন্স ফিকশনটা লিখে শেষ করে সচলায়তনে.কমে যত দ্রুত সম্ভব পোস্ট করা। তাহলেই আপনি পুরোপুরি সুস্থ হয়ে উঠবেন, ফিরে পাবেন পূর্ণ স্মৃতিশক্তি। মনে পড়ে যাবে আপনি কে ও কোথায়। ক্ষুধা-হজম-ঘুম... সব শক্তিই বৃদ্ধি পাবে। প্রমিস। এটাই এখন আপনার একমাত্র ওষুধ।

হ্যাঁ, এবার উঠুন... শুরু করে দিন...

****************************************

হিমু এর ছবি

এ তুমি কী বলছো আলেয়া? মোহাম্মদী বেগ, এক কাপ চা নিয়ায়।

কল্যাণF এর ছবি

খাইছে, আবার সেই ঘাতক চা?

ধুসর গোধূলি এর ছবি

মোহাম্মদী বেগ একটু আগে এসেমেস করছিলো। মীরণরে বাজারে পাঠাইছে চা আনতে। হালায়, পুরা বাজার ঘুইরা চা কেনার কথা ভুইলা এখন যাত্রা দেখতে গেছেগা। শেঠজী লাঠিতে ভর কইরা কোঁকাইয়া কোঁকাইয়া বাজারের বটতলায় ক্যানভাস করতাছে, উত্তর পাড়ার সিরাইজ্যা নাকি হাউজি খেলায় নাইমা পুরা বাংলা দাওপে লাগাদিয়া!

কল্যাণF এর ছবি

হাহাপগে

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

তুখোড়

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

অতিথি অন্যকেউ এর ছবি

ইজ্জত নিয়া টানা হ্যাঁচড়া! কালকে দেখুম বস শাহবাগের ফুটপাথে বইসা থাকপে, "হিমু সচলে লিখলে ভুরুঙ্গামারীর কী লাভ? বেশ উচ্চাভিলাষী কাজ মনে হয়।" খাইছে

ওডিন এর ছবি

"এখন অনশন মানে হচ্ছে, তুমি কর্তৃত্ববাদী পুঁজিতান্ত্রিক পেটোয়া বাহিনীকে চ্যালেঞ্জ করছো, আয় তুই বেরিয়ে আয় তোর দালালবাদিতার কেল্লা থেকে, বেরিয়ে এসে আমাকে মিনারেল ওয়াটার খাওয়া।"

গুরু গুরু

আপনার মেরুভালুকের চামড়া জড়িয়ে এনডেনজারড স্পিশিজ রক্ষার জন্য সত্যাগ্রহের কি অবস্থা? আমি তো আমার কর্মক্ষেত্রের ক্যানটিনে পরোটায় তেল ক্যানো বেশি এইটা নিয়ে হাদুমপাদুম শুরু করে দিয়েছি, খালি শাদা চাদরের অভাবে ঠিক যুত করতে পারছি না... ভাবছি একটা শাদা বেডশিট নিয়েই শুরু করে দেবো কি না ...

হিমু এর ছবি

ভিভা লা ভুরুঙ্গামারিয়া, সিয়েম্প্রে পারা লা লিবেরতাদ!

বন্দনা কবীর এর ছবি

আজকাল অনশনের হড়িক দেখে-শুনে তো ফররুখ ভাইয়ের কথাই সত্য মনে হচ্ছে... হাসি

মৃত্যুময় ঈষৎ এর ছবি

ঘটনা সৈত্য!!! উত্তম জাঝা!

"হিমু সচলে লিখলে ভুরুঙ্গামারীর কী লাভ?

হ এমন কথাও উঢতে পারে!!!


_____________________
Give Her Freedom!

অনার্য সঙ্গীত এর ছবি

উত্তম জাঝা!
অনেকের কাছেই আজকাল আন্দোলন বায়ুত্যাগ করার মতো ব্যপার! আমার সমস্যা হচ্ছে, স্বাধীনতার সুযোগ নিয়ে এরা প্রায়শই এই কাজটা শহীদ মিনারে করতে যায়!

______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন

হিমু এর ছবি

কাছেই স্টার, রাজ্জাকস ...

রাতঃস্মরণীয় এর ছবি

বেশ কিছু চটপটি-ফুচকার দোকানও কিন্তু আছে আশেপাশে। ইন্সট্যান্ট বায়ুত্যাগের মশলা।

------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।

নিটোল. এর ছবি

যে অবস্থা দেখা যাইতেছে কয়েকদিন পর তো সব রেস্টুরেন্টে লেখা থাকব- 'এইখানে স্বল্প মুল্যে হাই ক্যালরীযুক্ত "অনশন বিরিয়াণী" সরবরাহ করা হয়'। ক্যাম্নে কী?

উচ্ছলা এর ছবি

কম্যুনিস্টরা 'Fart in the wind'-এর মত অদৃশ্য হয়ে যাচ্ছে ক্যান? তারা এরকম পূঁজিবাদীদের মত খাইখাই করছে ক্যান?! সাম্রাজ্যবাদের কালো হাত কে ভেঙে দেবে এখন?!

KamrulHasan এর ছবি

দূর্ভাগ্যজনক হইলেও সত্য যে, এই দূর্গন্ধযুক্ত রাজনৈতিক সমাজে ভূরুঙ্গামারামারির মতো জনপ্রিয় বিষয়গুলোকে পুজি করে নাম কামানোর চেষ্টায় সুযোগসন্ধানী লোকেরও অভাব নাই।

এই টাইপের লোকেরা আবার কোলেইটারাইল ড্যামেজ সারাইতেও বিশেষজ্ঞ হইয়া থাকে। মাঝে সাঝে দৌড় টউর ও দিয়া থাকে। মেরুদন্ড নাই তো, তাই সব ধরনের ড্যামেজের মধ্যেই নিজেগোরে চিপকাইয়া দিতে পারে। এদের আরেকটা বৈশিষ্ট্য হলো এরা আবার প্রচন্ড ঈর্ষা পরায়ন। অন্যের সামান্য ভালো দেখলেই এদের ঘর্মাক্ত, দূর্গন্ধযুক্ত বল ব্যাগে চুলকানি চিরবিড়াইয়া উঠে। এই চুলকানির ওষুধ আবার ফররুখ ভাইয়ের বিজনেসের বিশেষ আইটেম যা "শাহাবাগের ফুটপাথে চলাচলকারী" অনেকেই কিন্যা থাকবেন।

যাহোক, পোষ্ট ভালু পাইলাম। অন্ততঃপক্ষে ফররুখ ভাইয়ের ধমকে কামরুল গাধার সাথের টাও যেভাবে চুপসাইয়া যায়, মিন মিনাইয়া কয় তাতে ঐটারেও গাধার সমগোত্রীয় বলিয়াই প্রতীয়মান হয়। গেরুয়া পোশাক পরলেই কি একটা গাধা হুমায়ুনের ক্যারেক্টার হয় নি?

যদি বুইজ্যা থাকেন, আর কিছু কইতে আমু না। ভুরুঙ্গুমারিতেও কারো কারো সময়ের দাম টেন ডলার পার আওয়ার।

আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-

ত্রিমাত্রিক কবি এর ছবি

"সাদা কালো দিয়ে সব কিছু বিচার করলে চলে না। মাঝের ধূসর জায়গাগুলি নিয়ে ভাবতে হবে।" গুল্লি

ফররুখ ভাই বলেন, "তা থাকে। না খেয়ে থাকলে পুঁজিবাদের চামচারা এসে তোকে পানি খাওয়াবে কেন?

টাইপো হিমু ভাই, মনে হয় লাগে হবে।

_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই

দ্রোহী এর ছবি

দারুণ প্লট! দারুণ গল্প!

হিমু এর ছবি

দেক্তে হবে তো কার আইডিয়া মারলাম?

প্রকৃতিপ্রেমিক এর ছবি

অনেক কিছুই বুঝতে পারলাম না। কেউ একটু আলো ফেললে ভালো হয়।

নীড় সন্ধানী এর ছবি

একদম ফাটানো লেখা হয়েছে গুল্লি

‍‌-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?

শাব্দিক এর ছবি

সোমালিয়া এন্ড কোং -ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট কোম্পানি গড়াগড়ি দিয়া হাসি
নামকরণের সার্থকতা ১০০%

দিহান এর ছবি

বাহ... অনশনের ব্যাপার স্যাপার জেনে মুগ্ধ হয়ে গেলাম।

ইদানীং পৃথিবী অনুভব করে, একটা সূর্যে চলছেনা আর
এতো পাপ, অন্ধকার
ডজনখানেক সূর্য দরকার।

কৌস্তুভ এর ছবি

আহ, খাসা। পুরো হিমুয়িত স্টাইল।

তদানিন্তন পাঁঠা এর ছবি

আমার আগের কমেন্ট টা এজাক্স ইরর দেখায়া গায়েব করে দেয়ায় তীব্র পেতিবাদ জানাচ্ছি। আহারে কত্তকিছু লিখছিলাম। মন খারাপ

ধ্রুব বর্ণন এর ছবি

চলুক

মেঘা এর ছবি

হিমু ভাইয়া আপনি বস মানুষ। যা লিখেন তাই মজারু। তবে মজার মধ্যে চমৎকারভাবে খোঁচারু।

ইমো দিতে গেলে এটা বলে TypeError: BUE.smlyWrap is not a function কেন?

তারেক অণু এর ছবি

দারুণ

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।