আসুন আমরা উনার মূল্যায়ন করি

অমি রহমান পিয়াল এর ছবি
লিখেছেন অমি রহমান পিয়াল (তারিখ: শনি, ২৭/১০/২০০৭ - ১:০৮পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

উনার মনে হলো, অমনি বলে দিলেন আর কি! আরে উনি! আমাদের সাবেক সমাজকল্যাণ মন্ত্রী আলী আহসান মুজাহিদ সাহেব। বাংলাদেশে কোনো যুদ্ধপরাধী নেই। স্বাধীনতা বিরোধী শক্তিও নেই। মাশাল্লাহ, কী ভয়ানক মিথ্যা কথা! তারে জিজ্ঞাস করা হয়েছে ১৯৭১ সালে জামায়াতের ভূমিকা কি ছিল। উনার জবাব- সেটা আপনারা খোজ করে দেখুন, মূল্যায়ন করুন।

ঠিক আছে জনাব। আপনার ভূমিকা কি ছিল সেটাই আমরা একটু খোঁজ করি, তারপর বাকিরা না হয় মূল্যায়ন করবেন।

১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন সময়ে আলী আহসান মুহাম্মদ মুজাহিদ ফকিরাপুল, নয়াপল্টন এলাকায় বিভিন্ন বাড়িতে থাকতেন। তার মধ্যে একটি হলো- শেখ ভিলা, ৩/৫ নয়াপল্টন। তবে তার প্রধান আড্ডা ছিল ফকিরাপুল গরম পানির গলিতে ফিরোজ মিয়ার ১৮১ নং (এখন ২৫৮ নং) বাড়িটি। ‘৭১ এ মতিঝিল, ফকিরাপুল এলাকার মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার বর্তমানে জাতীয় পার্টির নেতা আবদুস সালাম, মুক্তিযোদ্ধা ও সাংবাদিক জিএম গাউস, মুক্তিযোদ্ধা ও কলামিস্ট মাহবুব কামালের সাক্ষ্য অনুযায়ী জানা গেছে, ফিরোজ মিয়া ছিলেন এলাকার রাজাকার কমান্ডার। তার বাড়িটি শুধু ফকিরাপুল নয়, গোটা ঢাকার রাজাকারদের অন্যতম ঘাটি ছিল। এখানেই অনুষ্ঠিত হতো রাজাকারদের বিভিন্ন সভা, সশস্ত্র ট্রেনিং ইত্যাদি। এখান থেকেই পরিচালিত হতো রাজাকারদের বিভিন্ন অপারেশন, রাজাকার রিক্রুটমেন্ট। এখানে এলাকার মুক্তিযোদ্ধা এবং মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের শক্তির লোকদের ধরে এনে নির্যাতন চালানো হতো। ফিরোজ মিয়া গংয়ের নীতি নির্ধারক ছিলেন আলী আহসান মুজাহিদ। কেন্দ্রীয় নেতা হিসেবে তার নেতৃত্বেই পরিচালিত হতো যাবতীয় মুক্তিযুদ্ধবিরোধী তৎপরতা।

জিএম গাউস বলেছেন- ‘৭০ এর মাঝামাঝি সময় থেকে আমরা ফকিরাপুল এলাকার ভাড়াটিয়া আলী আহসান মুহাম্মদ মুজাহিদকে চিনতাম জামায়াত ও ইসলামী ছাত্র সংঘের লোক হিসেবে। এলাকায় তার সাংগঠনিক তৎপরতা চালাতেন তিনি। কেন্দ্রীয় সমাবেশে এলাকা থেকে লোক নিয়ে যেতেন, এলাকার ছেলেদের ছাত্র সংঘে যোগদানের ব্যাপারে প্ররোচিত করতেন। ‘৭১ এর মার্চের পর মুজাহিদের সার্বিক তত্বাবধানে ফকিরাপুলে রাজাকার বাহিনী গঠিত হয়। যার নেতৃত্বের দায়িত্ব দেওয়া হয় ফিরোজ মিয়া ওরফে ফেরু মেম্বারকে। মুজাহিদের সরাসরি নির্দেশেই পরিচালিত হয়েছে ফকিরাপুল এলাকায় রাজাকার বাহিনীর তৎপরতা, অস্ত্র ট্রেনিং, রিক্রুটমেন্ট ইত্যাদি। তিনি এলাকায় যাবতীয় দুষ্কর্মে সহায়তা করেছেন। মুক্তিযুদ্ধের মাঝামাঝি সময় এ এলাকায় মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক ও স্বাধীনতার পক্ষের বুদ্ধিজীবিদের ধরে এনে অত্যাচার নির্যাতন এমনকি হত্যা করার উদ্দেশ্যে গঠিত আলবদর বাহিনীর নেতা ছিলেন আলী আহসান মুহাম্মদ মুজাহিদ।

আবদুস সালাম বলেছেন, ‘৭১ এর মুক্তিযুদ্ধের সময় ফকিরাপুল গরম পানির গলির ফিরোজ মিয়ার বাড়িটি ছিল রাজাকারদের অন্যতম নির্যাতন কেন্দ্র। এই ফিরোজ মিযা গংয়ের নীতিনির্ধারক বা পরামর্শদাতা ছিলেন মুজাহিদ। অবশ্য কেন্দ্রীয় নেতা হিসেবে শুধু ফকিরাপুল নয়, মুজাহিদের অপতৎপরতা ছিল গোটা ঢাকা জুড়ে। বিজয়ের পর আমি আমার সহযোদ্ধাদের নিয়ে ফিরোজ মিয়ার বাড়ি থেকে প্রচুর মূল্যবান দলিল ও ছবি উদ্ধার করি। কাগজ পত্রগুলোতে ঢাকা শহরের রাজাকারদের তালিকা, বায়োডাটা, ছবি ও তাদের বিভিন্ন কর্মকান্ডের দলিল ছিল যা ছাপা হয়েছে একাত্তরের ঘাতক ও দালালেরা কে কোথায় বইটিতে।
কলামিস্ট মাহবুব কামাল বলেছেন, ফিরোজ মিয়ার বাড়িটি ছিল ষড়যন্ত্রের ঘাটি। এই বাড়িতে বসেই ফেরু মেম্বার ও আলী আহসান মুজাহিদ বিভিন্ন গুটি চালতেন। মুজাহিদের নির্দেশে ফিরোজ মিয়া ও তার সাগরেদরা মুক্তিযোদ্ধাদের বাড়িতে তল্লাসী চালাত। তখনকার ইউনিয়ন আওয়ামী লিগের সাধারণ সম্পাদক জোবেদ আলীর বাড়িতে বেশ কয়েকবার তল্লাশী চালানো হয়েছে। আমাদের বন্ধু মুক্তিযোদ্ধা নাজুর বাড়িতেও অনেকবার হানা দিয়েছে তারা। আগস্ট-সেপ্টেম্বরের দিকে নাজু নিখোজ হয়ে যায়। ধারনা করা হয় মুজাহিদের নির্দেশে ফিরোজ মিয়া গংই তাকে হত্যা করেছে। আমার এক চাচাত ভাই মহসিন চাকরি খুঁজতে রাজশাহী থেকে ঢাকা আসে। সে আমাদের বাসাতেই থাকত। নিয়মিত নামাজ পড়ত। যুদ্ধের মাঝামাঝি সময় তাকে খুব অস্থিরচিত্ত ও ভীত দেখাচ্ছিল। জিজ্ঞেস করে জানলাম আলী আহসান মুজাহিদ তার সঙ্গে যোগাযোগ করেছে, তাকে রাজাকার বাহিনীতে যোগ দিতে বলা হয়েছে এবঙ হুমকি দিয়েছে রাজাকার বাহিনীতে যোগ না দিলে তাকে মেরে ফেলা হবে। মুজাহিদের হাত থেকে বাচাতে তাকে আমরা রাজশাহী পাঠিয়ে দিই। এখন সে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মরত।”

মুজাহিদের রিক্রুট ফিরোজ মিয়া ফকিরাপুলে ৩০০ সদস্যের একটি রাজাকার প্লাটুন গড়ে তুলে। এলাকার প্রবীন বাসিন্দাদের সাক্ষ্য থেকে জানা যায়, যুদ্ধের সময় সে ফকিরাপুর ও আরামবাগ এলাকার শত শত বাঙালীকে হত্যা করেছে। নির্যাতন করেছে এলাকার মেয়েদের উপর।

‘৭১ এর ছাত্র সংঘ নেতা ও বদর বাহিনীর প্রধান মুজাহিদের অপতৎপরতার ছবিও প্রকাশিত হয়েছে বিভিন্ন পত্রিকায়। ১১ ডিসেম্বর দৈনিক আজাদে প্রকাশিত একটি ছবির ক্যাপশন ছিল : “গতকাল গুজব সৃষ্টিকারীদের বিরুদ্ধে হুশিয়ারী প্রদান করিয়া আলবদর আয়োজিত পথসভায় বক্তৃতা করিতেছেন আলবদর প্রধান জনাব মুজাহিদ।”

আলী আহসান মুজাহিদের স্বাধীনতা বিরোধী তৎপরতা ও নৃশংসতা ‘৭১এই শেষ হয়ে যায়নি। এর ধারাবাহিকতা চলছে এখনো। আলী আহসান মুহাম্মদ মুজাহিদ বর্তমানে জামাতে ইসলামীর সেক্রেটারী জেনারেল। সাপ্তাহিক বিচিত্রায় ১১ নভেম্বর ১৯৮৮ সালে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বলা হয় - ১৯৭৮ সালে ঢাকা আলিয়া মাদ্রাসার ভিন্নমতাবলম্বী ছাত্রনেতা মওলানা আবদুস সোবহানকে শিবির কর্মীরা কোরআন পাঠরত অবস্থায় নির্মমভাবে হত্যা করে। বিশেষ সূত্রে জানা যায়, এই হত্যা অভিযানের নেতৃত্ব দেয় ৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন সময় ঘাতক আলবদর বাহিনীর প্রধান আলী আহসান মুজাহিদ।’

তথ্যসূত্র : মুক্তিযুদ্ধ বিশ্বকোষ (প্রথম খন্ড) -সম্পাদনা মুনতাসীর মামুন

মাহবুবুর রহমান জালাল ও জন্মযুদ্ধ

‘একাত্তরের ঘাতক-দালালেরা কে কোথায়’ থেকে :

১৯৭১ সালে পূর্ব পাকিস্তান ইসলামী ছাত্র সংঘের সভাপতি ও আলবদর বাহিনীর ঢাকা মহানগরী প্রধান ছিলেন আলী আহসান মুহাম্মদ মুজাহিদ। মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে দলীয় আদর্শ অনুযায়ী পাকিস্তান সেনাবাহিনীর গণহত্যা, লুটপাট ও নারী নির্যাতনে সহযোগিতা করেছেন। তার নেতৃত্বাধীন আলবদর বাহিনী বিজয়ের আগমুহূর্তে সুপরিকল্পিতভাবে হত্যা করেছে এদেশের বরেণ্য বুদ্ধিজীবিদের।

আলী আহসান মুহাম্মদ মুজাহিদের স্বাধীনতাবিরোধী তৎপরতার বিবরণ পাওয়া গেছে সে সময়কার বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় প্রকাশিত তার বক্তৃতা ও বিবৃতিতে। ‘৭১ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর ফরিদপুরে ছাত্র সংঘের এক জমায়েতে ‘বিপুল করতালীর মধ্যে’ আলী আহসান মুহাম্মদ মুজাহিদ ঘোষনা দেয় ‘ঘৃন্য শত্রু ভারতকে দখল করার প্রাথমিক পর্যায়ে আমাদের আসাম দখল করতে হবে। এজন্য আপনারা সশস্ত্র প্রস্তুতি গ্রহন করুন।’
১৫ অক্টোবর ১৯৭১ সালে প্রকাশিত এক সংবাদে বলা হয়- ‘রাজাকার ও আলবদরদের ভুমিকা সম্পর্কে আপত্তিকর মন্তব্য করায় পূর্ব পাকিস্তান ইসলামী ছাত্র সংঘের সভাপতি জনাব আলী আহসান মুজাহিদ জনাব ভুট্টো, কাওসার নিয়াজী ও মুফতি মাহমুদের তীব্র সমালোচনা করেন।... এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, ‘পুর্ব পাকিস্তানে দেশপ্রেমিক যুবকেরা ভারতীয় চরদের হাত থেকে দেশকে রক্ষার জন্য এগিয়ে এসেছে এবং রাজাকার, আলবদর ও অন্যান্য স্বেচ্ছাসেবক বাহিনীর সদস্য হিসেবে জাতির সেবা করছে। অথচ সাম্প্রতিক সময়ে দেখা যাচ্ছে কতিপয রাজনৈতিক নেতা যেমন জনাব জেড এ ভুট্টো, কাওসার নিয়াজী, মুফতি মাহমুদ ও আসগর খান রাজাকার, আলবদর ও অন্যান্য দেশহিতৈষী স্বেচ্ছাসেবক বাহিনীর বিরুদ্ধে আপত্তিকর মন্তব্য করে বিষোদগার করছেন। এসব নেতার এ ধরণের কার্যকলাপ বন্ধ করার জন্য এবং এ ব্যাপারে কঠোর মনোভাব গ্রহন করার জন্য সরকারের প্রতি আবেদন জানান। পরিশেষে ছাত্র সংঘ নেতা ক্লাসে যোগদানের জন্য এবং সেইসঙ্গে আইনশৃংখলা পরিস্থিতি ফিরিয়ে আনার ক্ষেত্রে সেনাবাহিনীকে সহায়তা করার জন্য আলবদর ও দেশ হিতৈষী ছাত্রদের প্রতি আহবান জানান।’

ছবি : ফকিরাপুলে ফিরোজ মিয়ার নেতৃত্বে রাজাকারদের ট্রেনিং


মন্তব্য

আড্ডাবাজ এর ছবি

মুজাহিদের এই বায়োডাটা তার পরবর্তী চাকরির জন্য কাজে লাগবে।

সুমন চৌধুরী এর ছবি

স্যলুট



ঋণম্ কৃত্বাহ ঘৃতম্ পীবেৎ যাবৎ জীবেৎ সুখম্ জীবেৎ

রেজওয়ান এর ছবি

উনি না নিজামী মনে হয় একবার বলেছিলেন যে অপরাধী হলে কেউ মামলা করেনা কেন? আমার মনে হয় এবার শুরু করা উচিৎ। বিচার বিভাগ কতটুকু স্বাধীন হচ্ছে পরীক্ষা করা উচিৎ এক একে এদের বিরুদ্ধে তথ্য প্রমান হাজির করে মামলা করা। কোন সংস্থা বা কেউ কি এগিয়ে আসবে? তখন বোঝা যাবে কে অপরাধী আর কে ধোয়া তুলসীপাতা।

পৃথিবী কথা বলছে আপনি কি শুনছেন?

অমি রহমান পিয়াল এর ছবি

এ নিয়ে আজকে ভালো একটা বাহাস হইছে ইটিভিতে। এইখানে শাহরিয়ার কবির একটা জটিল সত্য বলছেন। মামলা তো করাই যায়, কিন্তু কোনো সরকার আন্তরিক না হইলে বিচার সম্ভব না। গত চারজোট সরকারের সময় হাইকোর্ট রুলিং দিছিল সংবিধান সংশোধন করা অবৈধ। সেটা সরকার হল্ট করছে। যুদ্ধপরাধীদের ক্ষেত্রে যেটা দরকার সরকার তাদের বিচার করতে রাজি হোক, আমরা অবশ্যই সাক্ষ্যপ্রমাণ সহ আদালতে হাজির হব। নাইলে গোলাম আজমের নাগরিকত্ব ফিরাইয়া দেয়ার মতো আরো প্রহসন তৈরি হবে, কোর্ট বলবে তারা যুদ্ধপরাধী এমন প্রমাণ নাই, কিংবা যথেষ্ট না। আর সেই রায় দেখাইয়া নাকড্যাঙ্গাড্যাঙ্গ নৃত্য করবে জামায়াত


তোর জন্য আকাশ থেকে পেজা
এক টুকরো মেঘ এনেছি ভেজা
বৃষ্টি করে এক্ষুনি দে তুই
বৃষ্টি দিয়ে ছাদ বানিয়ে শুই


তোর জন্য আকাশ থেকে পেজা
এক টুকরো মেঘ এনেছি ভেজা
বৃষ্টি করে এক্ষুনি দে তুই
বৃষ্টি দিয়ে ছাদ বানিয়ে শুই

অয়ন এর ছবি

মামলা আন্তর্জাতিক আদালতে করা যায় না? পাকিস্তান, ব্রিটেন, আরব আমিরাত এইসব দেশেও তো অনেক যুদ্ধাপরাধী লুকায়া আছে।

বিপ্লব রহমান এর ছবি

শাহরিয়ার কবির ইটিভির ওই অনুষ্ঠানে আরও দুটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় তুলে ধরেছেন:

ক. দেশে দেশে যুদ্ধাপরাধীদের সামরিক আদালতে বিচার করা হয়। কেননা তারা একটি সুশৃঙ্খল সেনা বাহিনীর বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে যুদ্ধাপরাধ করে। সে দৃষ্টিকোন থেকে স্বাধীন বাংলার মুক্তিবাহিনীর বিরুদ্ধে অবস্থান নেওয়ার জন্য এখনো বাংলাদেশে সামরিক আদালত গঠন যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করা সম্ভব।

খ. দেশে স্বাধীনতা বিরোধী ও যুদ্ধাপরাধী নেই -- মুজাহিদের এই বক্তব্যকে মেনে নিলে ধরে নিতে হবে কোনো স্বাধীনতা যুদ্ধের মাধ্যমে বাংলাদেশ নামক রাষ্ট্রটির জন্ম হয়নি এবং ৩০ লাখ শহীদ ও দুই লাখ মা - বোনের সম্ভ্রমহানীও হয়নি!

কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছে--স্বাধীনতা যুদ্ধের মধ্যে দিয়ে বাংলাদেশের জন্ম হয়েছে, এ জন্য ৩০ লাখ লোককে জীবন ও দুই লাখ মা - বোনকে সম্ভ্রম দিতে হয়েছে এবং এ কারণেই যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করতেই হবে।

...তথ্যবহুল লেখাটির জন্য পিয়াল ভাইকে আন্তরিক ধন্যবাদ।


আমাদের চিন্তাই আমাদের আগামী: গৌতম বুদ্ধ


একটা ঘাড় ভাঙা ঘোড়া, উঠে দাঁড়ালো
একটা পাখ ভাঙা পাখি, উড়াল দিলো...

হাসান মোরশেদ এর ছবি

-----------------------------------
মানুষ এখনো বালক,এখনো কেবলি সম্ভাবনা
ফুরোয়নি তার আয়ু

-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।

তারেক এর ছবি

সেইদিন এক জামাতীর সাথে আলাপে জানলাম, পূর্ব পাকিস্তানের স্বাধীনতা যারা চাইছে তারা নাকি বিচ্ছিনতাবাদী আছিল! সে কাগজে হাবিজাবি আঁইকা প্রাণপাত করতাছিল বুঝাইতে গিয়া। আমি মনে মনে হাসি...
_________________________________
ভরসা থাকুক টেলিগ্রাফের তারে বসা ফিঙের ল্যাজে

_________________________________
ভরসা থাকুক টেলিগ্রাফের তারে বসা ফিঙের ল্যাজে

সংসারে এক সন্ন্যাসী এর ছবি

আসুন আমরা উনার নয়, ওই শুয়োরের বাচ্চার মূল্যায়ন করি। এই জাতীয় পশুর ক্ষেত্রে সম্মানসূচক 'আপনি' বলা এড়িয়ে চলা দরকার।

~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
টাকা দিয়ে যা কেনা যায় না, তার পেছনেই সবচেয়ে বেশি অর্থ ব্যয় করতে হয় কেনু, কেনু, কেনু? চিন্তিত

কেমিকেল আলী এর ছবি

ধন্যবাদ
অনেক সুন্দর লেখার জন্য

নজমুল আলবাব এর ছবি
আনোয়ার সাদাত শিমুল এর ছবি

এ হতাশাকেই কেন যেন বাস্তবতা মনে হয়!

ইশতিয়াক রউফ এর ছবি

যুদ্ধ যে একটা হয়েছিল, কিছুদিন পর সেই কথা বলার দায়ে আমাদেরই যুদ্ধাপরাধী সাব্যস্ত করা হবে। অপেক্ষায় থাকলাম সেই দিনের!

শফিক সুমন এর ছবি

আপনার আজকে কি মনে হচ্ছে ৬ বছর পরে? আপনার কথা কিছুটা হলেও ফলে গেছে।

অতিথি লেখক এর ছবি

খুব সাহস লাগতেসে ভাই ,সবার এইসব লেখা,মন্তব্ব পড়ে।আমি বলেছিলাম আমরা খুব সহসা পাকিস্তানি কুত্তার বাচ্চা,রাজাকার কুত্তার বাচ্চাদের বিরুধধে একটা আন্দোলন গড়ে তুলব।আমরা কিছু বন্ধুরা মিলে লন্ডন থেকে কাজ শুরু করছি।এর ই পেপার ওয়ার্ক হিশেবে আজ কথা বললাম ১৯৭১ সালে বাংলাদেশ কাভার করা সাংবাদিক
মি।ডেভিড আর্মস্ট্রং এর সাথে।

আমার কাছে পুরা ঘটনা,পরিকল্পনা আর মুক্তিযুধধের কথা মনে করে বুড়ো লোকটা অঝোর ধারায় কাঁদলো।আমি পুরোপুরি হতবাক হয়ে তার সামনে বসে ছিলাম।কি লিখব?তিনি তার খুব কাছের বন্ধু রবার্ট ফিস্ক (১৯৭১ সালে বাংলাদেশ কাভার করা ইন্ডিপেন্ডেন্ট পত্রিকার সাংবাদিক)কে ও আমাদের সাহায্য করার জন্য বলবেন ।

কত দূরের এক ভীনদেশী এই ভদ্রলোক অন্য দেশের কথা মনে করে এইভাবে কাঁদতে পারে।আর আমরা কি করি।কুত্তার বাচ্চা মুযাহিদ,মইতা নিজামি,গো-আযম,সাঈদী হারামজাদাদের কিছু করতে পারি না।

জানেন?এইখানে প্রচুর জামাতের ছেলে তাদের খরচে পড়তেসে।জামাতী দের পরিকল্পনা সব লেভেলে ওরা জাতে উঠতে চায়।ল',বি।বি।এ,কম্পিউটার,ইঞ্জিনিয়ারিং,সব লেভেলে ওদের ছেলেরা এইখানে বিনা খরচে পরতেসে।কিছুদিন আগে এক জামাতি পোলারে চেয়ার দিয়া পিটাইয়া মাথা ফাটানোতে আমাকে এক রাত জেলে থাকতে হইসে।ভাগ্য ভাল সব উইটনেস আমার দিকে ছিল।আমি ওইদিন দেখসি কত জামাতের লোক এই লন্ডনে।অবাক হইয়া গেসিলাম ওদের সাপোর্ট দেইখা।কুত্তার বাচ্চা জামাতের পোলা বলে কিনা বঙ্গবন্ধু রাজাকার ছিলো!!!!

-নিঝুম

ইরতেজা এর ছবি

নিঝুম ভাই সহমত

_____________________________
টুইটার

অতিথি লেখক এর ছবি

তারেক ভাই,জামাতিরা কিছু কইলে কান-কুন হাতায়া দিবেন।জা হবার হবে।
-নিঝুম

ইরতেজা এর ছবি

ভাই ভাষা হারিয়ে ফেলেছি। কি বলব বুঝতে পারছি না। আপনি ভাই এত এত তথ্য প্রমান দিয়ে লিখেছেন। এইলিখাটি একটা অসাধারণ প্রমাণ।

ইসলাম ধর্মী সর্বদা সত্য কথা বলার জন্য বলা হয়েছে। এই ভাবে মিথ্যা বলেছে। মাত্র ৩৬ বছর হতে না হতেই। সময় চলে যাচ্ছে । আমরা এই সব ভণ্ড লোকদের কিছুই করতে পারলাম না। এই লজ্জা কোথায় রাখব।

রাজাকার, আল বদর বড় বড় নেতারা রাজনীতিক স্বার্থসিদ্ধি জন্য আমার দেশে এত বড় বেইমানি করছে। আমরা কেন এখনো ঘুমিয়ে আছি। হে প্রভু আমার শক্তি দাও, আর যে পারি না।

_____________________________
টুইটার

proma এর ছবি

মন ভরে গেল,সাহস পাচ্ছি, ভালো লাগছে।

অতিথি লেখক এর ছবি

দেরীতে হলেও পড়লাম । এই সব রাজাকার যতদিন এইদেশে থাকব ততদিন আমি মনে করি আমরা সত্যিকারের স্বাধীনতা অর্জন করতি পারিনাই। এখনও একটা যুদ্ধ বাকী আছে। অমি ভাইকে ধন্যবাদ এমন একটা পোষ্ট দেয়ার জন্য। আর নিঝুম ভাইয়ের সাহসের তারিফ করি।
রবিন

শফিক সুমন এর ছবি

২০০৭ সালের লেখা, এবং অনেক মন্তব্য আজকে সত্যি হয়ে গেছে
১। যুদ্ধ অপরাধিদের বিচার শুরু হয়েছে
২। যারা এই বিচার কে সমর্থন করি তাদের কেই কেউ কেউ দোষী মনে করছে।

পিয়াল ভাই আপনাকে এত বছর পর ধন্যবাদ দিচ্ছি কারন তখন আপনার লেখে আমি পরিনি

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।