জীবন ভ'রে বাঁচা

পলাশ দত্ত এর ছবি
লিখেছেন পলাশ দত্ত (তারিখ: শনি, ১৮/১০/২০০৮ - ৪:২২অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

ভালোবাসা। প্রেম। যাকে ভালোবাসি তাকে ছুঁয়ে দেখতে ইচ্ছা করে। তাকে ধরে দেখতে ইচ্ছা করে। ভালো তো বাসিই; তবু কেনো এমন ধরে দ্যাখার ইচ্ছা? কেনো এমন এই ধরে দ্যাখার তীব্রতা? ভালোবাসতে গিয়ে এই ধরে ভালোবাসার দ্বিধায় আপনাতে আপনি আকুল হয়নি কে?

সুনীল গঙ্গোপাধায়ের যে-হাত নীরার মুখ ধরে সে-হাত কোনো পাপ করতে পারে না। পাপ করা আর না করার সঙ্গে এই নীরার মুখ ধরাধরির কী সম্পর্ক? নীরার মুখ ধরা মানে নিজের ভালোবাসার মুখ ধরা; আর নিজের ভালোবাসাকে ছুঁয়ে দ্যাখা এক পবিত্রতম কাজ। তাই এ-পবিত্র কাজ করেছে যে-হাত সে-হাত কোনো পাপ করতে পারে না- এই তো বলার সুনীলের। এই তো বলার বাংলার প্রেমিককূলের। সুনীল যখন ঘুর পথে ভালোবাসাকে নিয়ে শরীরের দিকে যাচ্ছেন তখনও বেঁচে ছিলেন তাঁর অগ্রজ বুদ্ধদেব বসু। ‘রাত ভ’রে বৃষ্টি’ উপন্যাসে সহজ ভাষায় সোজা তিনি লিখে দিলেন সেই দ্বিধা-শঙ্কার উত্তর : “ভালোবাসায় শরীরই আসল- আরম্ভ, শেষ, সব ঐ শরীর। ...। ভালোবাসা জৈব, ভালোবাসা যৌন, শরীর না-থাকলে কিছুই থাকে না ভালোবাসার।”

আজ এই একুশ শতকেও, বসুর জন্মরে প্রায় একশ বছর পরেও, এই কথা কেমন পীড়া দেয়! এই কথাকে মনে হয় আপাতঅশ্লীল; অথচ কঠোর সত্য। ১৯৬৭ সালেও ‘রাত ভ’রে বৃষ্টি’ উপন্যাসে লেখা বুদ্ধদেবের এই কথাগুলো সত্য ছিল। এবং সেই তখনও এই কথা (আপাত) অশ্লীলই ছিল। ১৯৭০ সালের ১০ ডিসেম্বর “কলকাতার এক বিচারালয়ে, বইখানা চিহ্নিত হয়েছিলো অশ্লীল ব’লে, সমাজের পে অনিষ্ট সাধক ব’লে।” উপন্যাসটির ছাপা সব কপির পাশাপাশি পাণ্ডুলিপিটিও ধ্বংসের নির্দেশ দেয় আদালত। কিন্তু এই বইয়ের বিরুদ্ধে অশ্লীলতার অভিযোগ কেনো? কারণ এই বই বিবাহিত নারী বা পুরুষের অন্য কোনও পুরুষ বা নারীকে ভালোবাসার বিষযটিকে খারাপ মনে করে না। খারাপ মনে করে না স্বামী বা স্ত্রী ছাড়া অন্য কারো সঙ্গে বিবাহিতের যৌন সম্পর্কের বিষয়টিকেও। এ বই ইঙ্গিত দিয়ে যায় সমাজে তরুণদের হস্তমৈথুনের অনুচ্চারিত অথচ প্রচল ঘটনারও। আর স্বামী-স্ত্রী পরস্পরকে ভালো-না-বেসে, পরস্পরের সঙ্গে যৌন সম্পর্ক না রেখে সংসার চালিয়ে যাওয়ার রূঢ় অথচ প্রবহমান সত্যটিকেও সাহিত্যের খাতায় তুলে আনে এই উপন্যাস। সমাজে টিকে থাকা অস্বাস্থ্যকর যৌনরীতিকে আক্রমণ করে এই বই। কথা বলে আধুনিক মানুষের ভালোবাসা-বিভ্রম নিয়ে। তাই ‘রাত ভ’রে বৃষ্টি’ একদা অশ্লীল বিবেচিত হয়।

২.
অশ্লীল ব’লে বিবেচিত হতেই পারে; যে-উপন্যাসের শুরুটাই হয় বৈবাহিক সম্পর্কে যুক্ত নয় এমন পুরুষের সঙ্গে আর এক বিবাহিত নারীর যৌন সম্পর্ক হয়ে যাওয়ার কথা দিয়ে সেই বইকে সমাজ অশ্লীল বলতেই পারে। কিন্তু যে-ভাষায় বুদ্ধদেবের মালতী মুখোপাধ্যায় সঙ্গম হয়ে যাওয়ার কথা বলে তা আমাদের চমকিত করে। উপন্যাসটি লিখিত হওয়ার প্রায় চল্লিশ বছর পরও মালতীর ওই ভাষাটা ঠিক আজকেরই : “হয়ে গেছে- ওটা হয়ে গেছে- এখন আর কিছু বলার নেই। আমি, মালতী মুখোপাধ্যায়, একজনের স্ত্রী আর একজনের মা, আমি ওটা করেছি। করেছি জয়ন্তর সঙ্গে, জয়ন্ত আমাকে চেয়েছে, আমিও তাকে।” বাক্যগুলোর কোথাও কিন্তু উচ্চারিত হলো না যৌন সম্পর্ক হয়ে যাওয়ার কথা। এলো না শরীরের কোনো বর্ণনা। তবু পড়ামাত্রই পাঠক বুঝে ফেলেন কী “হয়ে যাওয়া”র কথা বলা হচ্ছে। বুঝেছিলেন সেকালের ভদ্রলোকেরাও। মানুষ কি তবে তার ব্যক্তিজীবনে সঙ্গমের কথা গোপনে এই ভাষায়ই বলে? সরাসরি সঙ্গম বা যৌন সংসর্গের উল্লেখ না করে মানুষ কি এইভাবেই শারীরিক যোজনার কথা বলে? নইলে চল্লিশটা বছর ধরে পাঠকেরা কী করে বুদ্ধদেবের এই শরীরশূন্য বিবরণ থেকে শারীরিক সম্পর্কের বয়ান পেয়ে যায়?

ভালোবাসার সঙ্গে শরীরকে মেলানো; অথবা শরীর থেকে ভালোবাসাকে আলাদা করে রাখা- এইরকমের একটা টানাপড়েনে অনেক তরুণই তো পৌঁছায় একটা সময়। বয়ঃসন্ধিতে তাকে ঘিরে থাকে নারীশরীর, যদ্দিন না সে কোনো নারীরই প্রেমে পড়েছে। নারীশরীরের প্রতি বিপুল আগ্রহী তরুণ প্রেমে পড়ে দ্যাখে তার প্রেমেরও পোশাকের নিচে সেই নারীরই শরীরই। তখন প্রেমের পবিত্র স্বপ্নালুতা নিমেষে জর্জর হয়। বসুর ‘রাত ভ’রে বৃষ্টি’র নয়নাংশুর একটা প্রেম ছিলো পাড়ার কুসুমকে নিয়ে। কিন্তু তারও একসময় মনে হয় “ঔ সব মেয়েরই শাড়ি-জামার তলায় শরীর আছে। কুসুম- এমনকি কুসুমেরও।” শরীর আর মনের দ্বন্দ্ব মিটে গিয়ে নয়নাংশুও একদা মানুষ হয়েছিলো মালতীকে পেয়ে। সে বুঝেছিলো প্রেমে শরীর মিশলে তা কদর্য হয় না, বরং এতে প্রেম হয়ে ওঠে আরো গভীরতর। অমৃত ভাষায় বসু বলে যান প্রেম-শরীরের অকাট্য নিকট সম্পর্কের কথা। সেই কথা পড়তে পড়তে আমাদের মনে পড়ে যায় যে তিনি কবিও : “ভালোবাসা জৈব, ভালোবাসা যৌন, শরীর না-থাকলে কিছুই থাকে না ভালোবাসার। বিদ্যুতের মতো, বৈদ্যুতিক সংস্পর্শের মতো- শরীরের সঙ্গে শরীরের প্রেম। ঘরে সব সময় আলো জ্বালতে হয় না কিন্তু সুইচ টিপলেই জ্ব’লে ওঠে, যেহেতু তারের মধ্যে বিদ্যুৎ চলছে সব সময়। এও তেমনি। আছে শরীরে শরীরে বৈদ্যুতিক যোগ, তাই যখন প্রেম করো না তখনও থাকে প্রেম, শিরায়-শিরায় ব’য়ে চলে সারাণ- তাই কথা মধুর, হাসি, মধুর, কাছে থাকা মধুর, দূরে যাওয়া মধুর, কলহ মধুর, কলহের পর মিলন আরো বেশি মধুর। সবই শরীর।”

৩.

উত্তম পুরুষে লেখা উপন্যাসটি মালতী আর নয়নাংশুর বয়ানেই বোনা। শরীরকে ছেড়ে, শরীরকে নিয়ে নারী-পুরুষের ভালোবাসার বিবাহিত জীবনের কারণ আর টিকে থাকাকে খুঁজে বেড়িয়েছে উপন্যাসটি। এতে ধরা আছে পড়াশোনা জানা দম্পতির স্ত্রী-পুরুষ দু’জনেরই নিজস্ব গোপন মানবিক আকাক্সা। নারীর দিক থেকে প্রেমিক-স্বামী পুরুষটির প্রতি সম্ভবনীয় ও সামান্য অথচ স্বাভাবিকভাবে অপূর্ণ চাওয়ার বিবরণ আছে; যে-অপূর্ণ চাওয়া নারীকে ধীরে দূরে ঠেলে দিতে পারে; যে-অপর্ণূতায় নারী ধেয়ে যেতে পারে প্রবল পূর্ণ নতুন প্রেমপুরুষের দিকে : “বিয়ের পরও তেমনি;..., আমার অবাক লাগছে যে-মানুষ হাতে-কলমে প্রেম করতে পারে সে প্রেমের কবিতা পড়বে বা শোনাবে কেন, বা কথা বলবে কেন তা নিয়ে- ...” এ তো গেলো শরীর-মনের চাওয়া। এছাড়াও কি নেই মানুষ হিসেবে নারীর তুচ্ছ কোনও চাওয়া : “কোনো রোববারেও আমাকে নিয়ে সিনেমায় যায় না কেন নয়নাংশু, ... ওর ও-সব ভালো লাগে না ব’লে আমি কেন শখ মেটাতে পারবো না? ... কেন সবই শুধু তার ইচ্ছেমতো হবে, আমি যদি হিন্দী ফিল্ম ভালোবাসি সে হিন্দী ফিল্মেই যাবে না কেন- নিজের ভালো না লাগলেও আমাকে খুশী করার জন্যই?”

দৈনন্দিন মানবিক সব চাওয়া পেরিয়েও উপন্যাসটিতে প্রেম আর শরীরেরই দ্বন্দ্ব মেটানোর আকুল চেষ্টা বুদ্ধদেব বসুর। মালতীর চাওয়া মতো কল্পনায় শুধু তার শরীরেই আগ্রহী হতে চায় নয়নাংশু। কিন্তু এখানেও এসে বাধা দেয় নয়নাংশুর (নাকি বুদ্ধদেব বসুর?) প্রেম-শরীর দ্বন্দ্ব : “কেমন করে শরীরের সঙ্গে শরীরের বন্ধুতা থাকবে, মন যদি স’রে দাঁড়ায়?” শরীরের তার ছিঁড়ে গেলেও আসলে মানুষ বেঁচে থাকে। ঠিক স্বামী-স্ত্রী হিসেবেই বেঁচে থাকে। সমাজের আর সমস্ত মানুষের মতো। আর এখানেই হয়তো জীবনের জয়। শরীরকে শরীর থেকে অথবা মনকে শরীর থেকে অথবা শরীর-মন দুটোকেই দূরে সরিয়ে দিয়েও মানুষকে একত্রে বাঁচতে বাধ্য করে জীবন। এই তো জীবনের বয়ে যাওয়া! যেমন বোঝে নয়নাংশু : “... তুমি আর মালতী- ধীরে-ধীরে বুড়ো হবে- যেমন চারদিকে কোটি-কোটি মানুষ- অন্ধ মূর্খ, অচেতন- তেমনি বেঁচে থাকবে বছরের পর বছর। ... ভালোবাসা জরুরী নয়, স্বামী-স্ত্রী জরুরী, বেঁচে থাকাটা জরুরী।”

বেঁচে থাকার এই ফিরে ফিরে বয়ে চলা কেউ থামাতে পারবে না জীবনে। এরই ফাঁকে প্রেম, এরই ফাঁকে শরীর- দ্বন্দ্ব, ছন্দ, দোলা। জীবন ভ’রে বেঁচে থাকা। জীবনে বেঁচে থাকাই শেষ কথা॥


মন্তব্য

ধুসর গোধূলি এর ছবি

- আমার এক দোস্ত কইতো, " এইযে প্রেম ভালোবাসা এগুলা সবকিছুর শেষ হইলো এক জাগাতেই। শেষ পর্যন্ত কথা ঐটাই...! হানিমুন।"

এখন হানিমুন কথাটার একটা সংজ্ঞা সে দিছিলো। আমি ভালো হইয়া যাইতাছি দেইখা সেই সংজ্ঞাটা আর এইখানে দিলাম না। হাসি
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক

মৃদুল আহমেদ এর ছবি

আম্নেও যুদি বালোমানুচ অয়ে উটেন, তালে আমরা ব্যাকতেরা কার কাচে গিয়ে দাঁড়াব?
---------------------------------------------
বুদ্ধিমানেরা তর্ক করে, প্রতিভাবানেরা এগিয়ে যায়!

--------------------------------------------------------------------------------------------
বললুম, 'আমার মনের সব কপাট খোলা ভোজরাজজী। আমি হাঁচি-টিকটিকি-ভূত-প্রেত-দত্যি-দানো-বেদবেদান্ত-আইনস্টাইন-ফাইনস্টাইন সব মানি!'

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

ভালো লাগলো আপনার আলোচনা...
কেন যেন এটা পড়তে পড়তে সুনীলের সাঁতারু ও জলকন্যা বইটার কথা মনে হচ্ছিলো... সেখানেও শরীর মূখ্য... কিন্তু দারুণ অন্যরকম।
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

সুলতানা পারভীন শিমুল এর ছবি

জীবনে বেঁচে থাকাই শেষ কথা॥
তাই কি?
বেঁচে থাকার সাথে, ইচ্ছের তীব্র মিশেল না ঘটলে ক্যামনে কি?
লেখা ভালো লাগলো।

...........................

সংশোধনহীন স্বপ্ন দেখার স্বপ্ন দেখি একদিন

...........................

একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা

কনফুসিয়াস এর ছবি

নজরুল ভাই, সাঁতারু ও জলকন্যা তো শীর্ষেন্দুর। সুনীলেরও কি এইনামে কোন বই আছে?

পলাশ,
আপনার এই আলচনাটা খুব ভাল লাগলো। এই বইটা অনেক কম বয়েসে পড়েছিলাম, তখন ছিলো চমকাবার বয়েস, চমকেওছিলাম ভালই। পড়ে বড় হয়ে আবার পড়েছি, চমক কেটে তখন সত্যিকারের ভাল লেগেছিলো।

-----------------------------------
... করি বাংলায় চিৎকার ...

-----------------------------------
বই,আর্ট, নানা কিছু এবং বইদ্বীপ

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

স্যরি... ধুর... মিসটেক হয়া গেছে... আলোচনায় অনেকবার সুনিল পড়ায় মনে হয় নামটা মাথায় রয়ে গেছিলো...
স্যরি...
কি জানি... আউলায়া গেছে সব... যারই হোক... বইটা যে সাঁতারু ও জলকন্যা সেইটাই আরকি...
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

স্নিগ্ধা এর ছবি

আমার সবচাইতে, সবচাইতে প্রিয় বইগুলোর একটা! অনেকদিন পর মলাটটা দেখেই খুব ভালো লাগলো হাসি

দৈনন্দিন মানবিক সব চাওয়া পেরিয়েও উপন্যাসটিতে প্রেম আর শরীরেরই দ্বন্দ্ব মেটানোর আকুল চেষ্টা বুদ্ধদেব বসুর। মালতীর চাওয়া মতো কল্পনায় শুধু তার শরীরেই আগ্রহী হতে চায় নয়নাংশু। কিন্তু এখানেও এসে বাধা দেয় নয়নাংশুর (নাকি বুদ্ধদেব বসুর?) প্রেম-শরীর দ্বন্দ্ব : “কেমন করে শরীরের সঙ্গে শরীরের বন্ধুতা থাকবে, মন যদি স’রে দাঁড়ায়?”

দ্বন্দ মানে কি, এখানে?

পলাশ দত্ত এর ছবি

বুদ্ধদেবের ওই নয়নাংশুর একটা সমস্যা ছিলো না এই রকম যে, প্রেম জিনিসটা কেমন এক অপার্থিব বিষয়; যেখানে শরীরের সংযোগের কথা মনে পড়লে একরকমের বিবমিষা জাগে মনে। নয়নাংশু যখন প্রেমের কথা ভাবে তখন তো সে শরীর থেকে দূরে সরে থাকে (উপন্যাসটিতে তো তাই ছিলো, নাকি?)। অথচ নয়নাংশুও কিন্তু শরীর পেতে চায়; যাকে ভালোবাসে তারই শরীরকে; কিন্তু শরীর চলে এলেই প্রেমিকাকে নিয়ে অশরীর কল্পনায় ব্যাঘাত ঘটে তার। এটাকেই একটা প্রেম-শরীর দ্বন্দ্ব বলে মনে হয় আমার। আপনার মত কী?

==========================
পৃথিবীর তাবৎ গ্রাম আজ বসন্তের মতো ক্ষীণায়ু

অনিন্দিতা এর ছবি

লেখাটা ভাল লাগল।
শরীর আর মনের দ্বন্দ্ব বোধ হয় আমাদের জন্মান্তরের সংস্কারের ফল।
কখন কোনটা যে আমরা চাই তাই বোধ হয় নিশ্চিতভাবে জানি না।
দ্বন্দ্ব টা হয়ত তাই থেকেই যায়।

আনোয়ার সাদাত শিমুল এর ছবি

চলুক অসাধারণ!!!

সংসারে এক সন্ন্যাসী এর ছবি

ভালোবাসায় শরীরই আসল- আরম্ভ, শেষ, সব ঐ শরীর। ...। ভালোবাসা জৈব, ভালোবাসা যৌন, শরীর না-থাকলে কিছুই থাকে না ভালোবাসার।

সব কথার শেষ কথা।

একেবারে তরুণ বয়সে পড়ে স্তম্ভিত হয়ে পড়েছিলাম। পরে পড়েছি আরও কয়েকবার। মুগ্ধতা কাটেনি।

চমত্কার লাগলো লেখাটি।

~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
Life is what happens to you
While you're busy making other plans...
- JOHN LENNON

~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
টাকা দিয়ে যা কেনা যায় না, তার পেছনেই সবচেয়ে বেশি অর্থ ব্যয় করতে হয় কেনু, কেনু, কেনু? চিন্তিত

সবজান্তা এর ছবি

পড়েছি, তবে মন্তব্য করার মত বয়স মনে হয় আসে নি।


অলমিতি বিস্তারেণ

নজমুল আলবাব এর ছবি

ধন্যবাদ পলাশ অসাধারণ আলোচনার জন্য।

ভুল সময়ের মর্মাহত বাউল

সুমন সুপান্থ এর ছবি

ধন্যবাদ পলাশ অসাধারণ আলোচনার জন্য

অপুর মন্তব্যের প্রতিধ্বনিই করি না হয়। আর ৫ তারা দিই ।
---------------------------------------------------------

'...এইসব লিখি আর নাই লিখি অধিক
পাতার তবু তো প্রবাহেরই প্রতিক...'

---------------------------------------------------------
তুমি এসো অন্যদিন,অন্য লোক লিখবে সব
আমি তো সংসারবদ্ধ, আমি তো জীবিকাবদ্ধ শব !

সুমন সুপান্থ এর ছবি

কেন জানি রেটিং করা যাচ্ছে না !!

---------------------------------------------------------

'...এইসব লিখি আর নাই লিখি অধিক
পাতার তবু তো প্রবাহেরই প্রতিক...'

---------------------------------------------------------
তুমি এসো অন্যদিন,অন্য লোক লিখবে সব
আমি তো সংসারবদ্ধ, আমি তো জীবিকাবদ্ধ শব !

পরিবর্তনশীল এর ছবি

লেখাটা অসাধারণ হয়েছে।
বইটা আমার খুব প্রিয়। আর অসাধারণ সত্য বই।
---------------------------------
ছেঁড়া স্যান্ডেল

রানা মেহের এর ছবি

দুর্দান্ত লেখা পলাশ দা
-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস

-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস

পলাশ দত্ত এর ছবি

এই লেখার মন্তব্যগুলোর প্রতিক্রিয়া একটু সময় চাইছে। আশাকরি দুয়েকদিনের মধ্যে মন্তব্য-প্রতিক্রিয়ার ভেতর দিয়ে আর বুদ্ধদেবের আর একটা দিগন্ত উন্মোচিত হইবেক।।

==========================
পৃথিবীর তাবৎ গ্রাম আজ বসন্তের মতো ক্ষীণায়ু

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।