সেই কলার উঁচু ছেলেটা (৬)

প্রদীপ্তময় সাহা এর ছবি
লিখেছেন প্রদীপ্তময় সাহা [অতিথি] (তারিখ: বিষ্যুদ, ২৪/০৫/২০১২ - ৫:৪৩অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

পর্ব ১ ।। পর্ব ২ ।। পর্ব ৩ ।। পর্ব ৪ ।। পর্ব ৫

মনে হচ্ছিল সচলায়তনের আরও অনেক সিরিজের মত আমারটারও অপমৃত্যু ঘটবে। তবে আমাকে আশ্চর্য করে আই,সি,ইউ থেকে ফিরে এল সেই কলার উঁচু ছেলেটা। এবারে পর্ব ছয়।

মাধ্যমিকের টেস্ট পরীক্ষার পর কয়েকদিন ক্লাস হয়েছিল। মানে যতদিন টেস্টের রেজাল্ট হয়নি ততদিন আরকি। তারপর টেস্টের ভয়াবহ ফলাফল আর সামনে মাধ্যমিকের আতঙ্ক এমনভাবে তাড়া করে বেড়াতে লাগল যে, বাধ্য হয়ে দলবদ্ধভাবে স্কুল কামাই করে মেকআপ দেওয়া শুরু করতে হল। যেদিন আমরা শেষদিনের মত ক্লাস টেনে ক্লাস করলাম সেইদিনটার কথা মনে পড়লে আজও মন খারাপ হয়ে যায়। আমি ঠিক করে রেখেছিলাম বিজ্ঞান নিয়ে পড়ব। রকি আর্টস আর নাসির কমার্স। অর্থাৎ একই স্কুলে পড়লেও একসাথে ক্লাস করার সেখানেই ইতি। একটা প্রচণ্ড খারাপলাগা ঘিরে ধরল আমাদের। প্রাণপনে চাইছিলাম বড় না হতে। কিন্তু ইচ্ছেয় হোক আর অনিচ্ছায়, বড় আমাদের প্রত্যেককেই হতে হয়। পড়াশোনার চাপে আর স্কুল বন্ধ থাকায় নাসিরের সাথে যোগাযোগ অনেকটা কমে গেল।

কিন্তু সময় তো থেমে থাকে না। যেভাবে একদিন পরীক্ষা শুরু হল সেভাবেই একদিন শেষ হল। আর একদিন পরীক্ষার ফলাফলও বেরোল। আমার বাবা আমি যে স্কুলে পড়তাম সেখানকারই শিক্ষক হওয়ার সুবাদে এতদিন আমাকে এমন অনেক কানাঘুষো শুনতে হয়েছে যে, আমি নাকি আগে থেকেই প্রশ্ন জেনে যেতাম। স্যারেরা নাকি আমাকে অকারণে বেশি নম্বর দিতেন। খুব খারাপ লাগত এইসব আজগুবি কথা শুনে। কিন্তু জবাব দেবার উপায় ছিল না। এবারে মাধ্যমিকে মহকুমাতে প্রথম হয়ে আমি সকলের মুখ বন্ধ করতে সক্ষম হলাম। কিন্তু সে আনন্দের চেয়ে কোন অংশে কম ছিল না নাসিরের দ্বিতীয় বিভাগে পাশ করার খবর। আসলে জীবনটাকে, সাফল্যকে, এক একটা প্রেক্ষিত থেকে একেক রকম লাগে। পড়াশোনা সম্পর্কিত সবরকম সুযোগ-সুবিধে পেয়ে আমার করা রেজাল্টের চেয়ে, অতরকম প্রতিকূলতার মধ্যে অল্পের জন্যে প্রথম বিভাগ না পেয়ে দ্বিতীয় বিভাগে পাশ করা নাসিরের কৃতিত্ব অনেক অনেক বেশি ছিল। সাধারণ দৃষ্টিতে যা চোখে পড়ে, তার বাইরেও থেকে যায় অনেক অনেক না দেখা গল্প। যদি তুল্যমূল্য বিচার হয় সমস্তটার নিরিখে, তখন আমাদের জানা অনেক হিসেবই বদলে যায়। অনেক হিরোই সেখানে জিরো বনে যায়, আর জিরো বনে যায় প্রকৃত হিরো।

আমরা সবাই ব্যস্ত ছিলাম একাদশে ভর্তির উত্তেজনায়। ইলেভেন আর টুয়েলভ ছিল কো-এড। তাই আগত দিনগুলোর জন্যে উত্তেজনার মাত্রা আরেকটু বেশিই ছিল। ছোটবেলা থেকেই আমার ভাল লাগা সেই মেয়েটাও আমাদেরই স্কুলে ভর্তি হবে বলে খবর পেলাম। প্রতিদিন সকাল-বিকেল চলতে লাগল ক্রিকেটের ম্যাচ। মানে এককথায় এক অদ্ভুত আনন্দের জোয়ারে ভাসতে লাগলাম আমরা। কিন্তু নাসিরের জীবনে আসতে লাগল আরেকটা নতুন সংকট। ওর মা অসুস্থ হয়ে পড়ায়, আগের মত বাড়ি বাড়ি গিয়ে কাজ করার ক্ষমতা হারাল। এদিকে বোনের বিয়ে দেবার চিন্তাও মাথায় ঘা মারতে শুরু করল। শুধু মাত্র দাদার টিউশনের ওপর ভিত্তি করে তো আর সংসার চলে না। একদিন বিকেলে আমাদের শহরের গাঁ ঘেঁসে চলে যাওয়া রায়ডাক নদীর ব্রিজের রেলিং এ বসে নাসির বলল ‘আর বোধহয় পড়া হবে না রে।’ নদীর একপাশ দিয়ে বাঁধ ঘেঁসে আমাদের শহর আর আরেকপাশে চর। ঐ দূরে ডুবছে লাল সূর্য। হালকা তির তির হাওয়া। একটা জেলে নৌকা থেকে ভেসে আসছে অস্পষ্ট ভাওইয়া গানের সুর। নাসির কথাটা বলার পড় কিছুক্ষনের নীরবতা। ওর মুখের দিকে তাকিয়ে দেখলাম ওর চোখ দেখছে বহূ দূরের নদীর বাঁক। রাগ-দুঃখ-হতাশা সব মিলেমিশে একটা অন্যরকম ছায়ায় ঢেকে গেল চরাচর।

সেদিন আমার শুধু একটাই কথা মনে হয়েছিল, যেভাবেই হোক নাসিরের পড়াশোনাটা বন্ধ হতে দেওয়া যাবে না। কিন্তু আমার নিজের আর ক্ষমতা কতটুকু! বাবাকে জানালাম। জেদ করলাম একটা কিছু ব্যবস্থা করে দেবার জন্যে। কিন্তু নাসির কোনরকম অর্থসাহায্য যে নেবে না, সে ব্যাপারে আমি নিশ্চিত ছিলাম। বাবা তার বাণিজ্য বিভাগের সহকর্মীদের বলে একটা ভাল উপায় বের করল। স্পেসিমেন বইয়ের সুবাদে নাসিরকে একটাও বই কিনতে হবে না। আর প্রত্যেক শিক্ষক নাসিরকে বিনামূল্যে টিউশনি পড়াবেন। আর স্কুলে ভর্তি আর অন্যান্য যে সব টুকটাক খরচ আছে তা আমরা বন্ধুরা মিলে জোগাড় করে ফেলব। বেশ বড় একটা কিছু করে ফেলার আনন্দে আর গর্বে ভরে গেল মনটা। নির্দিষ্ট দিনে শুরু হল স্কুল। আর বাণিজ্য বিভাগের ক্লাসে দেখা গেল নাসির আনসারিকে।

কিন্তু এই ব্যবস্থা বেশিদিন স্থায়ী হয়নি। জীবনে চলতে গিয়ে অনেকসময় এমন কিছু পরিস্থিতির সামনে আমাদের দাঁড়াতে হয়, যখন আমাদের আন্তরিক চেষ্টাও বিফল হয়। একটা অব্যক্ত ক্ষোভ বা অভিমান বা রাগ জমে ওঠে জীবনের প্রতি, সময়ের প্রতি। এও ছিল সেরকমই একটা পরিস্থিতি। শুধু পড়াশোনার ব্যবস্থা হয়ে যাওয়াটাই নাসিরের পক্ষে আর যথেষ্ট ছিল না। ওর দাদা বিয়ে করে আলাদা থাকতে শুরু করল। মায়ের শরীর আরেকটু ভেঙে পড়ায় উপার্জনের সমস্ত রাস্তা বন্ধ হয়ে গেল। পড়াশোনা করার ইচ্ছে নাসিরের মধ্যে যথেষ্টই ছিল। কিন্তু কারও অনুগ্রহে নগদ টাকা ও কোনদিন নেয়নি। কথায় বলে অভাবে নাকি স্বভাব নষ্ট হয়। আমি মানি না। স্বভাব স্ব-ভাবেই নষ্ট হয়। ছন্দ মিল হয় বলেই তার দায় অভাবের ওপর বর্তায় না। নাসিরের পড়াশোনায় সাহায্য করাটা আলাদা ব্যাপার আর ওর সংসার চালাবার ব্যবস্থা করে দেওয়াটা আলাদা ব্যাপার। সে হাল ওকে নিজেকেই ধরতে হত। ফলাফল? স্কুলের হাজিরা খাতায় নাসিরের নামের পাশে লাল দাগ বাড়তেই থাকল। আর নাসিরকে দেখা গেল একটা জেরক্সের দোকানে। না আংশিক নয়, পূর্ণ সময়ের কর্মী হিসেবে। সে দোকানে জেরক্স করাতে যেতাম আমাদের বন্ধুদের গোটা গ্রুপ। সকাল-বিকেল বিভিন্ন ছুতোয় সেখানে গিয়ে দেখাও করে আসতাম। সেসকল নোটপত্র বা বই দেখে নাসিরের মনে হয়ত অনেক ভাবনা জমত। কিন্তু কোনদিন সেকথা জিজ্ঞেস করিনি। কারন বন্ধুত্বের মধ্যে এমন একটা বোঝাপড়া থাকে যাতে অনেককিছুই খোলসা করে সামনাসামনি না বললেও বলা হয়ে যায়। শুধু শুধু সে কথা তুলে একটা অস্বস্তিকর পরিবেশ তৈরী করে কোনও লাভ হত না। বরঞ্চ আপাতদৃশ্য হাসি-ঠাট্টার আড়ালে থাকা যন্ত্রনাগুলো নীরবে ভাগাভাগি করে নেওয়া ঢের ভাল।

এর মাঝে আমার জীবনে আকটা বড় পরিবর্তন এল। কে,জি স্কুলের সেই সহপাঠিনী বালিকা যিনি একাদশে আমাদের স্কুলে এসে ভর্তি হলেন, আমার পত্র মানে প্রেমপত্র মঞ্জুর করলেন। কিন্তু প্রতিদ্বন্দ্বী দেখা গেল অনেক। কেউ কেউ আবার প্রত্যাখানের পরেও হুংকার ছাড়ল, ‘বিনা যুদ্ধে নাহি দেব সূচাগ্র মেদিনী’।

এদিকে আমার মত ভেতো ভদ্র োদা বাঙালীর কাছে যুদ্ধ ব্যাপারটা খুব নিন্দনীয়। বাগযুদ্ধ তবু ঠিক আছে, তা বলে মল্লযুদ্ধ!! এ কি অনাচার! ঝামেলা বাধলে আমাদের প্রেমকাহিনী বাবার কানে যেতে বেশি সময় লাগবে না। আর তারপর কী হবে তা সহজেই অনুমেয়। কিন্তু নাসিরের মত বন্ধু থাকতে চিন্তা কী? সেই সকল যোদ্ধারা একে একে কেউ নদীর চরে, কেউ বাঁধের পাড়ে, কেউ বা জঙ্গলে আহত হতে লাগল। ‘কে বা কাহারা’ এর জন্যে দায়ী তা কেউ বুঝে উঠতে পারল না। অথবা বলা ভাল বুঝে উঠেও জোর করেই বুঝে উঠতে পারল না। অনাচারের আচার বানিয়ে নাসির আঙুলের ডগা চেটে খেল। আর আমি? থাক সে কথা।

(চলবে)

----------------------------------------------------------------------------------------


মন্তব্য

অতিথি লেখক এর ছবি

দাদা পরবর্তী পর্বের অপেক্ষায় থাকলাম। ভালো লাগলো।

প্রদীপ্তময় সাহা এর ছবি

অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
তবে আপনি যদি আপনার নামটা দিতেন ভালো হত।

ভালো থাকবেন।
শুভেচ্ছা।
আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-

মরুদ্যান এর ছবি

পপকর্ন লইয়া গ্যালারীতে বইলাম এত ছোট কেন??

প্রদীপ্তময় সাহা এর ছবি

আসলে আরেকটু বড় করা যেত, কিন্তু এরপর ঘটনাপ্রবাহে একটা গ্যাপ দরকার ছিল এমনিতেই।
যাই হোক পড়ার জন্যে অনেক ধন্যবাদ।

ভালো থাকবেন।
আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-

অতিথি লেখক এর ছবি

সুন্দর প্রদীপ্তদা, ভাল থাকুন।।।

বাঘের বাচ্চা বাঘের বাচ্চা

প্রদীপ্তময় সাহা এর ছবি

আপনিও ভালো থাকবেন।
আর হ্যাঁ, আপনার নামটা যে জানা গেল না।
সেটা জানলে আরও ভালো লাগত।

অতিথি লেখক এর ছবি

আর হ্যাঁ, আপনার নামটা যে জানা গেল না।

>আসলে ভুলে গিয়েছিলাম, আমরা অচলতো, তাই মনে থাকেনা। ভালো থাকুন সবসময়।

আশরাফুল কবীর

প্রদীপ্তময় সাহা এর ছবি

আরে ভাইয়া, অচল-হাচল-সচলের ব্যাপার না। ভুল তো সবারই হয়। এমন করে বললে মনে দুঃখ হয়। মন খারাপ

আমিও তো কতকিছুই গুলাই। খাইছে

একটু ধৈর্য ধরে লেগে থাকলে অচল থেকে সচল হতে আর কদিন।
নামটা জানাবার জন্যে অনেক ধন্যবাদ।

আব্দুল গাফফার রনি এর ছবি

জীবন নদীর মতোই বোহেমিয়ান, কবিতার মতো ছন্দময়। নাকি ভুল বললাম, রিনিঝিনি নিক্কন, শ্রাবনের বাদল? হেমন্তের অস্তরাগ, নাকি শরতের শুভ্রতা? সে কি বসন্তের সবুজ, নাকি কালবৈশাখীর মাদল? আসলে সব মিলিয়েই জীবন। প্রতিটা জীবন রুদ্ধশ্বাস নাটকীয়তায় মোড়ানো এক-একটি অনন্য উপন্যাস।

প্রদীপ্তদা, ভালো লাগল স্মৃতির ভাণ্ডার থেকে তুলে আনা আপনার টুকরো টুকরো শৈশবগাথা। চলুক

----------------------------------------------------------------
বন পাহাড় আর সমুদ্র আমাকে হাতছানি দেয়
নিস্তব্ধ-গভীর রাতে এতোদূর থেকেও শুনি ইছামতীর মায়াডাক
খুঁজে ফিরি জিপসি বেদুইন আর সাঁওতালদের যাযাবর জীবন...
www.facebook.com/abdulgaffar.rony

প্রদীপ্তময় সাহা এর ছবি

পড়ার ও মন্তব্য করার জন্যে অসংখ্য ধন্যবাদ।
আর সত্যিই জীবনের চেয়ে বড় উপন্যাস আর কীই বা হয়?

খুব ভালো থাকবেন।
শুভেচ্ছা।
আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-

কানিজ ফাতেমা এর ছবি

ভাল লিখছেন।চালিয়ে যান।

প্রদীপ্তময় সাহা এর ছবি

ভালো লাগা জানিয়ে যাবার জন্যে অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।

খুব ভালো থাকুন। আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-

বন্দনা এর ছবি

দাদা আপনি তো মেলা ভাল ছাত্র দেখা যায়।এই সিরিজটা বেশ হচ্ছে। পরের পর্বের অপেক্ষায় থাকলাম।

প্রদীপ্তময় সাহা এর ছবি

উৎসাহ দেবার জন্যে অনেক ধন্যবাদ।

আমাকে বাবা-মায়ের ঠেলায় পড়ে ভাল ছাত্র হতে হয়েছিল। নাহলে এমনিতে আমার সেরকম কোন উদ্দেশ্য একেবারেই ছিল না। সিলেবাসের বাইরের বই চিরকালই সিলেবাসের চেয়ে অনেক বেশি ভাল লাগার ছিল। খাইছে

আশা রাখি পরের পর্বেও আপনাকে পাশে পাব।
খুব ভাল থাকবেন। আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-

কাজি মামুন এর ছবি

বরাবরের মতই উপভোগ করলাম, প্রদীপ্তদা! তবে প্রেমযুদ্বের কাহিনী দীর্ঘায়িত করলে মন্দ হত না! 'কে বা কাহারা' কোন প্রেক্ষিতে কিভাবে নাসিরের আঙ্গুলের ডগার আচারে পরিণত হল, সেই টানটান উত্তেজনাকর গল্প মাত্র এক প্যারাতেই শেষ করে দিলেন?

প্রদীপ্তময় সাহা এর ছবি

আসলে নাসিরের কীর্তিকলাপ এত বেশি যে, বিশদে লিখতে গেলে আমি ফোকাসই হারিয়ে ফেলব।
পরে কখনও এ নিয়ে লিখব। আসলে এত বড় করে সিরিজ লেখার অভ্যেস নেই তো তাই খালি মনে হচ্ছে শেষের কথাগুলো কখন বলব। লইজ্জা লাগে

সেগুলো বলার তাগিদেই তো লেখা।

বরাবরের মত এবারেও পাশে থাকার জন্যে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া। হাসি

ব্যাঙের ছাতা এর ছবি

ইশ ! 'এতোদিন কোথায় ছিলেন?'
যাওবা আসলেন কিন্তু এত ছোট পর্ব নিয়ে কেন?
আগামী পর্ব তাড়াতাড়ি দিতে হবে। এক দফা, এক দাবি।

প্রদীপ্তময় সাহা এর ছবি

আপনার অনুযোগ আর দাবী, দুটোই আমাকে সম্মানিত করল আর প্রেরণাও যোগাল।

চেষ্টা করব আপনার কথা রাখার।
আসলে ব্যক্তিগত জীবনে হঠাৎ করে দৌড়ের ওপর চলে আসায় মুশকিলে পড়েছি। ইয়ে, মানে...

মন্তব্যের জন্যে অনেক অনেক ধন্যবাদ।
ভাল থাকবেন। (গুড়)

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।