দিনগুলি মোর ৬: শীত কয় যাহারে

মূলত পাঠক এর ছবি
লিখেছেন মূলত পাঠক (তারিখ: সোম, ১৪/১২/২০০৯ - ১১:৪৬পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

দিনগুলি মোর আজকাল মোটামুটি দৌড়ের উপর কাটে, কাজেই "দিনগুলি মোর" নামক সিরিজটা ছাড়া আর কিছু লেখার মতো চিন্তাভাবনা করার অবকাশও জোটে না। কলেজ স্ট্রীট বহু দূরের বস্তু, উপন্যাস লেখার জন্য যে প্রস্তুতির প্রয়োজন তা করা প্রায় অসম্ভব আপাতত, কাজেই এই সব খুচরো মাল দিয়েই কাজ চালাই।

এই ঘোর শীতের মধ্যে হর হপ্তা যাই সুদূর উত্তরের মিনিয়াপোলিসে। এটি শীতকাতুরেদের জন্য নয়, যেরকম হরর ফিল্মের পোস্টারে থাকে, দুর্বলচিত্ত দর্শকের জন্য নহে, সেই রকম। আজ এখানের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা মাইনাস চোদ্দ ডিগ্রি সেলসিয়াস, ও সর্বনিম্ম মাইনাস আঠারো (লেখাটি গত বেস্পতিবারে লিখেছিলাম)। দেশের সাথে তুলনা করে যদি বুঝতে সুবিধা হয় তো কলকাতারটাও বলি, ২৬ ও ১৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস, ঢাকা ওর কাছাকাছিই হবে। আগে আমি শীত খুব উপভোগ করতাম, সাদা তুষারে চারদিক ঢেকে গেলে দেখতে তো মন্দ হয় না। কিন্তু আজকাল বিরক্ত লাগে, বয়সের লক্ষণই বোধ হয়। এখন এয়ারপোর্টে বসে টাইপ করতে করতে এই ভেবে ভালো লাগছে যে কয়েক ঘন্টা পরে যেখানে নামবো সেই আটলান্টার সর্বোচ্চটা অন্তত মাইনাস না।

মিনিয়াপোলিসের নিন্দাটুকু সেরে নিয়ে এবার ভালো কথা বলা যাক। এটি আমার প্রিয় শহরগুলোর মধ্যে পড়ে, নানা কারণে। সাংস্কৃতিক দিক থেকে এ শহর খুবই সমৃদ্ধ, চমৎকার নাটক থিয়েটার চলে বচ্ছরভর। আছে ভালো ভালো মিউজিয়াম, ওয়াকার আর্ট সেন্টার দেখে খুব একচোট মুগ্ধও হয়েছিলাম। তবে সে অবশ্য ২০০৭-এর কথা, এখন আর সময় থাকে না। শীতের উপর মানুষের নিয়ন্ত্রণ নেই, কিন্তু তার হাত থেকে আত্মরক্ষার উপায় এখানে রয়েছে। মূল শহরের ডাউনটাউনের কাছাকাছি আপনার বসবাস হলে, আর মোটামুটি ভদ্রস্থ সময়ে কাজকর্ম সেরে বাড়ি ফেরা নসিবে থাকলে বাইরে না বেরিয়েও আপনি কাটিয়ে দিতে পারেন দিনের পর দিন, স্কাইওয়ের সৌজন্যে। ডাউনটাউনের প্রায় সব বাড়িই দোতলা বরাবর সংযুক্ত শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত বারান্দা দিয়ে। তবে অতি-অটোমেশনের ভূত এদের ঘাড়ে চেপে অবধি এই চমৎকার জিনিসটার উপরে বড়ো বেশি রকমের নিয়ন্ত্রণ চালানো হয়। সীমিত লোকবল নিয়ে তাতে করে কাজ হয় বেশি, কিন্তু আমার মতো হতভাগাদের জীবন দুর্বিষহ হয়ে ওঠে। খুলে বলি ব্যাপারটা। অধিকাংশ বিল্ডিংয়ের মূল প্রবেশদ্বার বন্ধ হয়ে যায় সন্ধে হলেই, আমি যেখানে কাজ করি তারটা সাড়ে ছ'টায়। তারপর বেরোতে পারলেও ঢোকা যাবে না, কেবল একটি খিড়কি দুয়ার থাকবে যা তালাবন্ধ, খোলা যাবে একমাত্র আপনার ব্যাজটি ব্যবহার করে। মন্দ আয়োজন নয়, তবে এই বাঘা ঠান্ডায় এক পা বেশি হাঁটতে হলেও প্রাণ বেরিয়ে যায়, কিন্তু ধূমপায়ীদের মুক্ত এলাকায় বেরোতেই হয়। বাড়ির ভেতর আরামপ্রদ ধূমপান কক্ষ এখানে আকাশকুসুমের চেয়েও অসম্ভব, আহা ইউরোপ, সে বড়ো ভালো জায়গা! সেখানে সুন্দরী বালিকারা নরম গদি আঁটা সোফায় বসে মধুকণ্ঠে খোশগল্প করতে করতে নরম লাল ঠোঁট দিয়ে সিগারেট টানে, দেখে পরম অধূমপায়ীরও ফোঁকার সখ হবে তাতে আশ্চর্য কী। এই মার্কিনিগুলো যদি একটা ভালো জিনিসও শিখতো!

যাক, গল্পে ফিরি। তো আপনি ধূমপান না করলে বেঁচে গেলেন, তাও না। ঐ সংযোগপথগুলো আবার রাত দশটার পর যায় বন্ধ হয়ে। এদিকে কাজ সেরে সবাই মিলে বেরিয়ে রেস্তোরাঁ খুঁজে বসে অর্ডার করে খানাপিনা সেরে বেরোতে বেরোতে দশটার কাঁটা পার হয়েই যায়। যদিও অফিস আর হোটেল এমনিতে স্কাইওয়ে বরাবর হেঁটে খুবই কাছে, দশটার পর সেই দুরত্বই হয়ে যায় যোজনবিস্তার। তখন দুখানা ব্লক দূরে হলেও ক্যাব নেওয়া ছাড়া গতি নেই। ভাগ্যিস এখানে ক্যাব ড্রাইভাররা কলকাত্তাই চালকদের মতো আপন মর্জির মালিক নয়, যেতে আপত্তি করে না, নইলে প্রায় প্রাণসংশয় হতো। কাল রাতে যেমন। আমাদের দলপতিটি খুব খাদ্যরসিক, এবং কাল তার ছিলো দলের সাথে শেষ ডিনার, অন্তত আপাতত। কাজেই খাওয়াদাওয়াটা গুছিয়ে হবে সে বলাই বাহুল্য। ডাব্লু নামক হোটেলটির লাগোয়া ম্যানি'স নামক স্টেকহাউসে যাওয়া হলো, সুউত্তম গাভীমাংস*, অস্ট্রেলিয়ান গোদা চিংড়ি ও নাপাপ্রাদেশিক সুরা সহযোগে খেয়েদেয়ে যখন বেরোনো গেলো তখন স্বাভাবিক ভাবেই ঘড়ির কাঁটা দশটার দাগ পেরিয়ে গেছে। বেরিয়ে একটি ক্যাবে কিছু জনতা চড়ে বসলো, আমি ও একটি পূর্ব এশীয় বালক পরের ক্যাবটিতে যাবো স্থির হলো। তা না দাঁড়িয়ে থেকে পায়ে পায়ে এগোতে থাকলাম, পেট ভরা থাকলে নিজেকে কেমন যেন বীর বীর মনে হয়। তো খানিক গিয়েই মনে হলো এর পরে আর ক্যাব নেওয়াটা অসভ্যতা হয়ে যাবে এতোটাই কাছে, হোটেলের নাম লেখা আলো অবধি নাকের ডগায় দেখতে পাচ্ছি। কাজেই বাকিটুকু হেঁটেই মেরে দেবো ঠিক করলাম। ভুল করলাম। ডাহা ভুল করলাম। সময় লেগেছিলো বোধ হয় চার-পাঁচ মিনিট, কিন্তু তারপর টের পেলাম যে আর কিছু টের পাচ্ছি না। নিজের মুখটা মুখোশের মতো লাগাটা প্রায় অস্তিত্বের সংকট, এবং হাত দিয়ে বুঝতে পারছিলাম না ওটা আমারই মুখ কি না। যাক কোনো ক্রমে হোটেলের ভেতরে ঢুকে বুঝলাম এ যাত্রা বোধ হয় বেঁচে গেলাম। এলিভেটরের সাউথ ক্যারোলাইনার বাসিন্দা সহযাত্রিনী যখন বললেন কান্ট ওয়েট টু গো ব্যাক, সহমত না হওয়ার কারণ খুঁজে পেলাম না। হায়, তিনি বেঁচে গেলেও আমাকে আগামী সোমবার আবার আসতে হবে এই চমৎকার শীতের রাজ্যে।

* এখানে ভবিষ্যতে যাঁরা এ চত্বরে আসার ইচ্ছা রাখেন তাঁদের জানিয়ে রাখি, স্টেকরসিক হলে এই শহরে অন্তত: তিনখানা অসাধারণ জায়গার খোঁজ দিতে পারি। ম্যানি'স (Manny's), মারে'স (Murray's), ও ওয়ান ওয়ান টু ইটারি (112 Eatery)। টেন্ডার্লয়েন-সার্লয়েন-ন্যুইয়র্ক-রিবাই যা খুশি খান, আমি রেয়ার / মিডিয়াম-রেয়ার আস্বাদন করে বড়োই ভালো পেয়েছি। আহা, মাখন, মাখন!


মন্তব্য

মুস্তাফিজ এর ছবি

ওখানকার সাথে তুলনীয় না হলেও দেশে এবারে শীত পড়েছে, গত কয়েকদিন যাবৎই ১১টার আগে সূর্যের দেখা মেলা ভার, আশা করি এ ভার কেটে যাবে অচিরেই।

...........................
Every Picture Tells a Story

দিশা এর ছবি

চমৎকার লাগলো বর্ননা। এক নিঃশ্বাসে পরলাম হাসি তবে একটা জিনিস - অনেক ইন্ডিয়ান ও বাংলাদেশী বালিকারাও কিন্তু বহু বছর আগে থেকেই ধুম্র সেবনে ওস্তাদ ও রেগুলার ছিলেন এবং আছেন। তাই মার্কিনিদের ওকথাটা বলা যায় না। চোখ টিপি

ভাল থাকবেন!

দিশা
_____________________________
যে পাখি আকাশে ওড়ে আকাশ ছোবার ইচ্ছেয়

দিশা
_____________________________
যে পাখি আকাশে ওড়ে আকাশ ছোবার ইচ্ছেয়

তাসনীম [অতিথি] এর ছবি

ওই অঞ্চলে ছিলাম দুই বছর, গ্রীষ্মে খুবই সুন্দর, শীত পড়ে সৃষ্টিছাড়া...শীতের ধাক্কায় টেক্সাসে পালিয়েছি ১০ বছর আগে, তারপর যত স্মৃতি থাকুক, ও পথে আর পা বাড়াইনি, রোমন্থন করেছি ১০৫ ডিগ্রীতে বসে। অথচ দেশে থাকতে শীত ভালোই লাগত...বাপ, সেই শীত কি আর এই শীত...

(BTW, Texas has very good steak and drinks also...so ভাবিয়া করিও কাজ, করিয়া ভাবিও না)

অবাঞ্ছিত এর ছবি

ভাই... এই দক্ষিণে ১৬ ডিগ্রি ফারেনহাইট.. (-১৪ ডিগ্রি সেলসিয়াসের কাছে বোধহয়.. অংক করতে ইচ্ছা করছে না) দিয়ে যেই দৌড়ানি টা দিল মন খারাপ

লেখা মচত্কার হইয়াছে হাসি

__________________________
ঈশ্বর সরে দাঁড়াও।
উপাসনার অতিক্রান্ত লগ্নে
তোমার লাল স্বর্গের মেঘেরা
আজ শুকনো নীল...

__________________________
ঈশ্বর সরে দাঁড়াও।
উপাসনার অতিক্রান্ত লগ্নে
তোমার লাল স্বর্গের মেঘেরা
আজ শুকনো নীল...

অতিথি লেখক এর ছবি

ভালো লাগল। শীতের দেশে মানুষ কীভাবে থাকে, আমিতো বাংলাদেশের ১৪ ডিগ্রিটাই সইতে পারি না। মূলত পাঠক দা আপনার প্রবাস জীবন নিয়ে আরো লেখা চাই, ধন্যবাদ শেয়ার করার জন্য।
ডি,এম,কামরুজ্জামান।

কল্পনা আক্তার এর ছবি

সুস্বাদু লেখা হাসি

আমাদের জন্য দেশের শীতও মিনিয়াপোলিশের মতো লাগতাছে.....যা শীত পড়তেছে গো মূলোদা মন খারাপ
........................................................................................................
সব মানুষ নিজের জন্য বাঁচেনা


........................................................................................................
সব মানুষ নিজের জন্য বাঁচেনা

স্নিগ্ধা এর ছবি

খিক, খিক, খিক দেঁতো হাসি

মূলত পাঠক এর ছবি

এতো হাসি কীসের? হাসি

হাসিব এর ছবি

আহা ইউরোপ, সে বড়ো ভালো জায়গা!

ঘটনা অনেক দিক থিকা সত্য । তবে ইউরোপে বিড়ি টাইনা শান্তি নাই । আমি জার্মানিতে এখনও পর্যন্ত কোন অফিস দেখি নাই যেখানে ঘরের মধ্যে বিড়ি টানা এ্যালাউড । উল্লেখযোগ্য সংখ্যক বাসায় আপনে নিজের ঘরের মধ্যে বিড়ি টানতে পারবেন না । টানতে হৈলে জানলা খুইলা সেইখানে দাড়ায়া টানতে হবে । অথবা বাইরে গিয়া । গত বছর বা তার আগের বছর এরা রেস্টুরেন্ট/বার এগুলাতে বিড়ি টানা নিষিদ্ধ করছে । পাবলিকের চেচামেচিতে সীমিতভাবে এখন কিছুটা চালু হৈছে ।

মূলত পাঠক এর ছবি

সে কী, আমি তো জার্মানিতেই গদি আঁটা সোফায় বসে বিড়ি খেয়েছি, স্টুটগার্টে, এবং সেখানে গ্রীক ব্লন্ড বালিকাও ছিলো!

রেস্তোরাঁয় বিড়ি বন্ধটায় আমার পুরো সমর্থন আছে, নিজে খেলেও। অধূমপায়ীদের অসুবিধা করাটাও কাজের কথা নন, কী কন। তবে আলাদা সেকশন থাকলে আলাদা কথা ছিলো। এখানেও অবস্থা তদ্রুপ, কোনো কোনো দোকানে অবশ্য ঐ সেকশন থাকে, যেমন প্রাতঃরাশের রেস্তোরাঁ ক্রাকার ব্যারেল-এ।

ইউরোপে (বিশেষত সুইটজারল্যান্ডে) কী কী নিষিদ্ধ তা নিয়ে একটা মজার বই পড়ছি এখন, 'ব্লিস' নামে, শেষ হলে তা নিয়ে আড্ডানো যাবে।

হাসিব এর ছবি

আমি তো জার্মানিতেই গদি আঁটা সোফায় বসে বিড়ি খেয়েছি,

ভাগ্যিস মামুদের নজরে পড়েন নাই । জার্মানরা আইন বানাতে মনে হয় ভালোবাসে । আর প্রতিটা বিধিনিষেধের সাথে এরা জরিমানা বিষয়টা মনে করে যোগ করে দেয় । যেমন, অজায়গা-কুজায়গায় থুতু ফেলা, রাস্তাঘাটে চুইঙগাম ফেলা, সাইকেল লিমিটের থেকে ছোট রাস্তায় চালানো, হাটার জায়গায় সাইকেল চালানো, কবুতরের জন্য খাবার দেয়া ইত্যাদি ইত্যাদি । একটা লিস্ট ছিলো । খুঁজে দেখবোনে ।
আপনার বইটা পড়া শেষ হলে একটা পোস্ট দিতে পারেন হাসি

ধুসর গোধূলি এর ছবি

- গদি আঁটা সোফা কেনো, জাজিম বিছানো বিছানায় শুয়েও বিড়ি টানা গেছে বছর দুয়েক আগ পর্যন্ত। মানে তখনো রেস্তোরাঁগুলোতে বিড়িটানা অধিকার সংরক্ষণ আইন পাস হয় নাই। তখন যেখানে সেখানে চেগায়াচোগায়া বিড়ি টানা যেতো আয়েশ করে। আইন হবার পর ব্যবসা রক্ষার তাগিদে লোকজন স্মোকিং জোন আর নো-স্মোকিং জোন আলাদা করে ফেলছে রেস্তোরাঁগুলোতে। স্মোকিং জোনে সোফায় বসে বিড়ি কেনো, গুরগুর করে হুক্কা টানলেও কেউ কিছু বলবে না। তবে হিমু আর হাসিব্বাই থেকে সাবধান! এরা সাথে থাকলে কিছু না করেও আপনাকে জরিমানা দিতে হতে পারে!
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক

অতিথি লেখক এর ছবি

দেশে আছি, শান্তিতে বিড়ি টানতে পারতেছি। ঢাকায় তো শীত পড়া শুরু করসে।

স্পার্টাকাস

দময়ন্তী এর ছবি

ও বাবা আপনাকেও মিনিয়াপুলিশে ধরেছে!? তা বেশ তা বেশ৷
দ্যাখেন, ওখানেই যদি আপনি এমন করেন, তাহলে তো উত্তরমেরুতে কিম্বা কৈলাশ পর্বতে যেতেই পারবেন না!! তাই আমি বলি কি, বরং সইয়ে সইয়ে অভ্যাস করে নেন৷ আর এইসব বিড়িফোঁকা জনগণের জন্য আগে যা অসুবিধা হত না ---- আজকাল ভাল হয়েছে৷
-----------------------------------------------------
"চিলেকোঠার দরজা ভাঙা, পাল্লা উধাও
রোদ ঢুকেছে চোরের মত, গঞ্জনা দাও'

-----------------------------------------------------
"চিলেকোঠার দরজা ভাঙা, পাল্লা উধাও
রোদ ঢুকেছে চোরের মত, গঞ্জনা দাও'

দুর্দান্ত এর ছবি

রে থার্মাল জাঙ্গিয়া, তুহু মম শ্যাম সমান।

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

ধুর... আপনে সিনেমা টিনেমা বা গান টান নিয়া লেখেন না অনেকদিন... শীতের রাইতে শীতভেজা হইয়া আরো শীতের গল্প পড়তে আরাম পাই না...
বরঞ্চ আপনে নাহয় বিদেশী নারীদের কথা বলে টলে ছবি টবি দিয়ে গরম নামায়ে দিতে পারতেন চোখ টিপি
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

সাফি এর ছবি

আমার এখানেও বেশ ঠান্ডা (নিউ মেক্সিকো) কিন্তু এটা বেশ একটা গরমের জায়গাই ছিলো, কদিন আগে রাত তিনটার দিকে ডিপার্টমেন্ট থেকে ফিরলাম -১৫ ডিগ্রী সেলসিয়াসে হি হি করতে করতে। যাকে বলে না পারি দৌড়াতে না পারি হাঁটতে অবস্থা

মূলত পাঠক এর ছবি

ভালো ভালো মন্তব্যের জন্য সব্বাইকে অনেক ধন্যবাদ। দুঃখিত, প্রত্যেককে আলাদা করে উত্তর দেওয়া হয় নি, আর এখন এতো দেরিতে দিলে কেউই আর হয়তো দেখবেন না, তাই সে চেষ্টা করলাম না।

সিরাত এর ছবি

আরো ভালো!

মূলত পাঠক এর ছবি

হা হা, আরো থাংকু!

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।