তোমায় সেলাম হে জন গারাং দ্য ম্যাবিওর, তোমার সাউথ সুদান আজ স্বাধীন

রাতঃস্মরণীয় এর ছবি
লিখেছেন রাতঃস্মরণীয় [অতিথি] (তারিখ: বুধ, ১৩/০৭/২০১১ - ২:০৪পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

পৃথিবীতে সম্ভবত সব কিছুরই একটা বিকল্প স্বাদ থাকে। মানে সবকিছুরই স্বাদাস্বাদনে বিকল্প কিছু একটা ব্যবস্থা থাকে। যেমন চমচমের স্বাদ কালোজামে বা কালোজামের স্বাদ রসগোল্লায়। উদাহরণটা স্থুল মনে হলেও অর্থবহ। খুঁজে দেখলে এরকম হাজারটা উদাহরণ বের করে আনা সম্ভব। কিন্তু সম্ভবত স্বাধীনতা পৃথিবীতে একমাত্র প্রাপ্তি যার স্বাদ প্রাপ্তি ছাড়া অন্য কিছুতে অনুভূত হয়না বা হওয়া সম্ভবও নয়। আর সে স্বাধীনতা যদি হয় এক রক্তঝরা অধ্যায়ের যবনিকাতে এসে। এমনই বিরল এক গর্বে গরবিত আমরা বাংলাদেশীরা, আর এমনিই গর্বে নতুনভাবে বুক চেতিয়ে বিশ্বের সামনে দাঁড়ালো এক কালো মানিক, সাউথ সুদান বিশ্বের ১৯৩তম স্বাধীন দেশ হিসেবে। বিশ্বকে মনে করিয়ে দিলো কবি সুকান্তের সেই পংক্তি,

জ্বলে পুড়ে মরে ছারখার তবু মাথা নোয়াবার নয়।

৯ জুলাই ২০১১, সকাল থেকেই ফেসবুকে বন্ধুদের স্ট্যাটাসগুলো আপডেটে, লিঙ্কে ভরে উঠতে লাগলো। যারা আগে বহুদিন সাউথ সুদানে কাজ করতো বা এখন করছে। ওদের সুবাদেই সাউথ সুদান সম্পর্কে আমার ভিতরে ফিলিংস জন্মেছিলো বহুদিন আগেই। অনেক শুনতাম সাউথ সুদানের গল্প। ওখানে নাকি জাহাজের কন্টেইনারের ভিতরে ফাইভস্টার হোটেল, ৩০০ ডলার প্রতিরাতের ভাড়া। গতবছরের অক্টোবরে একটা আন্তর্জাতিক এনজিওর খাদ্যনিরাপত্তা পরামর্শকের একটা চাকরির প্রস্তাব পেয়েও যাওয়া হয়নি। একই সময়ে জাতিসংঘের একটা আকর্ষণীয় চাকরি পেয়েও যাওয়া হয়নি যে চাকরির জন্যে আমার মতো কেরানীরা লুল ফেলে। সে অবশ্য অন্য গল্প। তবে সুদানে কাজ করার একটা আগ্রহ আমার সবসময়েই ছিলো কিন্তু সঠিক সময়ে সঠিক সুযোগটা না আসায় আর যাওয়া হয়নি।

২০০৮ সালে প্রেডিসেন্ট ওমর আল বশীরের নামে যখন আন্তর্জাতিক আদালত গ্রেপ্তারী পরোয়ানা ইস্য করেছিলো, তখন সুদান থেকে আমার বেশ কয়েকজন বন্ধুকে (বাংলাদেশী এবং অন্যদেশী) জোরপূর্বক বের করে দেওয়া হয় এবং আজীবনে সুদানে প্রবেশাধিকার নিষিদ্ধ করা হয়। ওদের বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিলো যে ওরা বশীরের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক পর্য্যায়ে তথ্য পাচার করতো। ভাগ্যিস ওদেরকে বশীর বাহিনীর সেই নির্মম শারিরীক নির্যাতনের স্বীকার হতে হয়নি। এর আগে বিতর্কিত ডেনিশ কার্টুনের সেই ঘটনার পর সুদানিজ সরকার ডেনিশ সংস্থায় কর্মরত আমার কয়েক বন্ধুকে গৃহবন্দী করে রাখে।

সাউথ সুদানের সংগ্রাম আর স্বাধীনতার ইতিহাস আর নতুন করে বলার কিছু নেই। এটা প্রায় সবারই জানা। তবুও সংক্ষেপে বলা যায় যে দেশটি বহুযুগের গৃহবিবাদের ফলে ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে উপনীত হতে যাচ্ছিলো। লাখো লাখো গৃহহীন মানুষের চাপে আন্তর্জাতিক সহযোগিতার হাত সম্প্রসারিত না হলে সাউথ সুদানে খাদ্যাভাবে মহামারী নিশ্চিত ছিলো। সুদানের দুটি গৃহযুদ্ধে মৃতের সংখ্যা ২৫ লাখেরও বেশি এবং স্থায়ীভাবে গৃহহীন ৫০ লাখ ছাড়িয়ে। এর প্রথমটা চলে ১৯৫৫ থেকে ১৯৭২ পর্যন্ত এবং দ্বিতীয়টা ১৯৮৩ সালে সুদান পিপলস লিবারেশন পর্টি/মুভমেন্ট গঠনের পর থেকে দুই যুগেরও বেশি সময় ধরে। সাউথ সুদানের প্রবাতপ্রতীম বিদ্রোহী নেতা জন গারাং দ্য ম্যাবিওর সেই ১৯৮৩ সালে তার পার্টির প্রতিষ্ঠাকাল থেকে ২০০৫ সালে মৃত্যুবরণ করার আগ পর্যন্ত সাউথ সুদানের স্বাধীনতাকামী মানুষের স্বপ্ন বাস্তবায়নে তার লড়াই চালিয়ে যান। তিনি গৃহযুদ্ধকালীন সাউথ সুদানের বিদ্রোহী প্রেসিডেন্ট থাকলেও শান্তিচুক্তি স্বাক্ষরের পর ২০০৫ সালের জানুয়ারী থেকে ২০০৫ সালেরই জুলাইতে হেলিকপ্টার ক্র্যাশে দুর্ভাগ্যজনক মৃত্যুর আগ পর্যন্ত তিনি অফিসিয়ালি সুদানের প্রথম ভাইস প্রেসিডেন্ট হিসেবে সংক্ষিপ্তকাল দায়িত্ব পালন করেন। জন গ্যারাং আজ নেই কিন্তু তার উপস্থিতি সাউথ সুদানের মানুষের চেতনায়, অনুভবে, আদর্শে চিরঅম্লান। তার স্থান শুধু যে সাউথ সুদানের ইতিহাসেই লেখা থাকবে তা নয়, জন অমর হয়ে থাকবেন পৃথিবীর ইতিহাসে তার স্বাধীনতাকামী চেতনার জন্যে, যা বিশ্বের দেশে দেশে স্বাধীনতাকামীদের প্রতিনিয়ত প্রেরণা যোগাবে।

তাই আজ এমন দিনে তোমায় সেলাম হে জন গারাং দ্য ম্যাবিওর। সেলাম তোমাদের, যত স্বাধীনতাকামী সাউথ সুদানিজ ভাইবোনেরা। অভিনন্দন তোমাদের এই স্বাধীনতা অর্জনে। শুধু মনে রেখো এই স্বাধীনতা যেনো কাগুজে স্বাধীনতায় পর্যবসিত না হয়। এই গণতন্ত্র যেনো চিরসমুন্নত থাকে। লে.জে. বশীরের মতো গণতন্ত্রের আড়ালে যেনো কোনও স্বৈরাচারের জন্ম তোমাদের মাটিতে না হয়। জেনে রেখো তোমাদের হাতে যদি এই স্বাধীনতা এবং গণতন্ত্রের অপমৃত্যু ঘটে, তবে জন গারাং দ্য ম্যাবিওরের আত্মা কোনওদিন তোমাদের ক্ষমা করবে না।

ভিন্ন প্রসঙ্গঃ সম্প্রতি আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনালের গ্রেপ্তারী পরোয়ানা মাথায় নিয়ে সুদানি প্রেসিডেন্ট ওমর আল বশীর চায়নায় রাষ্ট্রীয় সফর করে আসলেন। চায়নার প্রেসিডেন্ট এবং বশীর পরষ্পরকে পরষ্পরের ভাই বলে সম্বোধন করেছেন এবং নিবিড় আলিঙ্গনে আবদ্ধ হয়েছেন। চায়না পাকিস্তানের ঐতিহাসিক এক অভিভাবক। আমেরিকা পাকিস্তানের সাথে লুকোচুরি খেললেও চায়না কখোনোই তা করেনি। আবদুল কাদের খানের পারমানবিক নেটওয়ার্কেরও অন্যতম মুরুব্বী ছিলো চায়না। আজ তারা আমেরিকার রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে বশীরকে রাষ্ট্রীয় সম্বর্ধনা দিলো। সোভিয়েত ইউনিয়ন বিলুপ্তির পর কার্যত সিঙ্গেল পোলের বিশ্ব রাজনীতি কি নতুন পোলারাইজেশনের দিকে চলছে তাহলে? আহমেদিনেজাদ, কিম, শ্যাভেজ, গাদ্দাফী, ক্যাস্ট্রো, বশীর, গিলানীরা কোন পথে এগোচ্ছেন? অনেকগুলো নতুন প্রশ্ন!

ছবিসূত্র


মন্তব্য

অনার্য সঙ্গীত এর ছবি

এমন হুট করে লিখলেন! মজা নিয়ে পড়তে শুরু করে হোঁচট খেলাম। লেখাটা অসম্পূর্ণ লেগেছ।

______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন

রাতঃস্মরণীয় এর ছবি

ধন্যবাদ অনার্য। শেষের একটা প্যারা বাদ পড়ে গিয়েছিলো। লেখাটা আসলেই হুট করে লেখা এবঙ সংক্ষিপ্ত, জন গ্যারাংকে শ্রদ্ধা এবং সাউথ সুদানকে অভিনন্দন জানাতে লিখেছিলাম। বিস্তারিতে যেতে চাইনি বিষয়গুলো ইন ডিটেইলস না জানার জন্যে।

------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।

ভাষাহীন এর ছবি

ওমর আল বশির ও সুদানের গৃহযুদ্ধ, মানবতাবিরোধী অপরাধ নিয়ে একটি লেখা দিতে পারবেন? আপনিতো আফ্রিকার ঐ এলাকায় কাজ করেছেন।

ব্লগে ইরানি মিডিয়াদালাল ও হিজবুতি-জামাতি-ছাগুদের জ্বালায় টেকা দায়। ওদের প্রোপাগান্ডা মেশিনবলে ওমর-আল-বশির মহান আফ্রিকান মুসলিম নেতা।

রাতঃস্মরণীয় এর ছবি

ধন্যবাদ ভাষাহীন। আমি হেকা (হর্ন, ইস্ট এবং সেন্ট্রাল আফ্রিকা) এলাকায় কাজ করলেও সুদানে কাজ করা হয়নি। তবে লে.জে. বশীরের মানবতাবিরোধী কার্যকলাপ সবার জানা। ভবিষ্যতে সময় পেলে কিছু লিখতে পারি।

ইসলামকে যদি কেউ শান্তির ধর্ম বলে মনে করেন, আমার মনে হয় তার পক্ষে বশীরকে 'মহান নেতা' বলে আখ্যায়িত করা একদমই অসম্ভব। বশিরের মতো এতো নৃশংস এবং অমানবিক চরিত্র গত শতাব্দিতে খুব কমই এসেছে। জামাতিদের পক্ষে অনেক কিছুই সম্ভব। একদা তারা মিছিলে স্লোগান দিতো,

আমরা সবাই তালিবান,
বাংলা হবে আফগান।

এদের কতোবড়ো সাহস দেখেন, স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাকে আফগান বানানোর স্বপ্নে বিভোর! তবে এই আচার নতুন কিছু নয়। এদের শিক্ষাটা এসেছে সম্ভবত তাদের কাছ থেকে যারা একদা বাংলার দেয়ালগুলোকে রক্তাক্ত করে ফেলেছিলো এই লিখে,

চীনের চেয়ারম্যান আমাদের চেয়ারম্যান।

দুঃখিত, একটু প্রসঙ্গান্তর ঘটে গেলো বলে।

------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।

কৌস্তুভ এর ছবি

হ্যাঁ, উৎসাহ নিয়ে পড়োছিলাম, ঘ্যাঁচ করে শেষ হয়ে গেল...

চীন সত্যিই একটা অদ্ভুত পররাষ্ট্রনীতি নিয়েছে, যত ঘাপলাবাজ দেশগুলোকে মদত করে যাচ্ছে...

রাতঃস্মরণীয় এর ছবি

ধন্যবাদ কৌস্তুভ ভাই। সকালে প্রতিমন্তব্য করেছিলাম কিন্তু একটা অশ্লীল শব্দ ব্যবহারের কারণে মনে হচ্ছে সেটা সেন্সর বোর্ডের চাড়পত্র পায়নি। তবে এখন আর অত লম্বা প্রতিমন্তব্য করতে মন চাইছে না। চীনের পররাষ্ট্রনীতি সবসময়েই মিস্টিরিয়াস। আমার মনে হচ্ছে চীন পরোক্ষভাবে আমেরিকার উপর একটা স্নায়বিক চাপ রাখতে চাচ্ছে এই ঘাপলাবাজগুলোকে মদত দেওয়ার মাধ্যমে।

------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।

ফাহিম হাসান এর ছবি

ছবিটা খুব সুন্দর। আপনি তুলেছেন?

লেখা চট করে শেষ হলেও আমার কাছে বেশ লেগেছে। এভাবে খন্ড খন্ড করেই পোস্ট দিতে থাকেন।

রাতঃস্মরণীয় এর ছবি

ধন্যবাদ ভাই, ছবিটা নেট থেকে সংগ্রহ করেছি। সূত্র দিতে ভূলে গিয়েছিলাম তবে এখন জুড়ে দিয়েছি।

------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।

মৃত্যুময় ঈষৎ এর ছবি

দক্ষিণ সুদানকে আরেকবার অভিনন্দন। স্বাধীনতার স্বাদ তারা বাস্তবিকার্থে উপভোগ করুক এই আশা করি। আর তাদের সেই আদর্শগুরু স্বাধীনতাধ্বজাধারী মানুষটাকে সশ্রদ্ধ স্যালুট................. চলুক

রাতঃস্মরণীয় এর ছবি

তোমাকে ধন্যবাদ ভায়া। হাসি

------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।

মাহবুব লীলেন এর ছবি

বেশ দ্রুত শেষ হয়ে গেলো। আরেকটা পর্ব লেখেন

ইউরোপ যখন দেশের বর্ডার ভেঙে ইউনিয়নের দিকে এগোচ্ছে তখন দরিদ্র দেশগুলো দেশ ভেঙে বর্ডার তৈরি করছে

আমার মনে হয় এই দুটো বিষয় নিয়ে আপনি লিখতে পারেন

রাতঃস্মরণীয় এর ছবি

ধন্যবাদ লীলেন ভাই। গৃহবিবাদ শুরুর আগে ১৯৪৭ সালে বৃটিশরা একটা উদ্যোগ নিয়েছিলো সাউথ সুদানকে উগান্ডার সাথে মার্জ করিয়ে দিতে। সেদিন কিন্তু তারা সফল হয়নি। তবে এই সেপারেশন কিন্তু ইনএভিটেবল ছিলো। এর একমাত্র ব্যাতিক্রম হতে পারতো সাউথ সুদানের জনশুন্য হয়ে যাওয়া।

কমনওলেথ থিওরি বা ইউরোপের দেশগুলোর মার্জার কিন্তু সুনির্দিষ্ট সাফল্যের উদাহরণ সৃষ্টি করতে পারছে না। শুধু কমন একটা মুদ্রা চালু করলে তো হয়না, সবকিছুই কমন করার প্রচেষ্টা থাকতে হয়। লক্ষ্য করে দেখেন, ইউরোপের বিভিন্ন দেশগুলোর মধ্যে সামাজিক নিরাপত্তা স্কীমগুলোতে কি পরিমান তারতম্য। শিক্ষা, আবাসন, দৈনন্দিন জীবনযাপন ব্যায় তুলনা করে দেখেন। সঁ ফ্রঁতে-সঁ ফ্রঁতে জিকির করতে করতে মুখে ফেনা তুলে ফেলার পরও দেখবেন উন্নত ইউরোপিয়ান দেশগুলো এখনও ইস্ট ইউরোপিয়ানদের মানুষের কাতারে গণ্য করেনা। আমস্টার্ডামের সেক্স মিউজিয়ামে ঢোকার পথে 'পকেটমার হইতে সাবধান' বানী ঝুলানো আছে। কৌতুহলী হয়ে জানতে চাইলে কর্মী বললেন যে তা এশিয়ান বা আফ্রিকানদের ভয়ে ওটা ঝুলানো হয়নি, হয়েছে ইস্ট ইউরোপিয়ানদের ভয়ে। ওয়েল, তবে আমি আশাবাদী যে তাদের মধ্যে ইকুইলিব্রিয়াম প্রতিষ্ঠিত হবে খুব অল্প কয়েক বছরের মধ্যেই।

আপনার পরামর্শ নিলাম। তবে এই বিষয়গুলো নিয়ে লিখতে গেলে যে পরিমান পড়াশুনা করা প্রয়োজন, অতোটা সময় ম্যানেজ করা আমার পক্ষে দূরুহ। তাছাড়া আমার রাজনৈতিক এবং সমাজবিষয়ক লেখায় পারদর্শীতা নেই।

------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।

মন_মাঝি এর ছবি

"নতুন পোলারাইজেশন" তো একরকম হচ্ছেই, তবে সেটা আমেরিকার সাথে যেচে পড়ে রাজনৈতিক টক্কর দেয়ার উদ্দেশ্যে যতটা না তারচেয়ে বেশি বোধহয় নিখাদ বানিজ্যিক প্রয়োজনের উদ্দেশ্যে। চীন এখন শিল্পায়নের যে পর্যায়ে গেছে সেখানে তার জ্বালানি, খনিজ, কাঁচামাল ও বাজারের চাহিদা অবিশ্বাস্য রূপ ধারন করেছে। এই চাহিদা পূরন করবে কে ? করবে এশিয়া-আফ্রিকার বিভিন্ন দেশ যাদের এখনো বিশাল পরিমান আনেক্সপ্লোরড বা আনট্যাপ্‌ড রিসোর্সেস রয়েছে। সুতরাং চীন সেসব দেশে যাবেই এবং নিজের বানিজ্যিক ও অর্থনৈতিক উন্নয়নের জাগারনট চালু রাখার স্বার্থে অনেক অরুচিকর রেজিমকে মদত দিবেই। এর মধ্যে শীতল যুদ্ধকালীন আদর্শিক ভেক বা খামাখা আমেরিকার পায়ে পা বাধানোর কোন বালাই নেই। শুনতে খারাপ লাগলেও বাস্তবতা হচ্ছে, চীনের এই পর্যায়ে থাকলে পৃথিবীর অন্য যে কোন দেশই এই কাজ করবে। একই কাজ পশ্চিমারা শতাব্দীধিক কাল ধরে করে যাচ্ছে, এখন আরো অনেক দেশ করছে। আমাদের জোট-নিরপেক্ষ জোটের এককালের মহান প্রবক্তা ভারত সরকারও কোন কোন দেশে একই কাজ করছেন। ক্ষ্যামতা থাকলে বাংলাদেশও করবে !

ভারত সরকারের আম্রিকার রক্তচক্ষু সত্বেও ইসলামী মৌলবাদী ইরান থেকে পাইপলাইন মারফৎ তেল আমদানির পরিকল্পনার কথা মনে আছে ? তখন কিন্তু আম্রিকার শত চোখ রাঙানি বা কোন রকম নৈতিকতা বোধের কারনে ইরানের ইসলামী মৌলবাদীত্ব, পারমানবিক বোমা বানানোর পায়তারা, বা বিরোধী নির্যাতন বা মানবাধিকার লঙ্ঘন কোন ইস্যুই হয়নি ভারতের জন্য। সাদ্দাম হোসেনের সাথে সম্পর্কের বেলাতেও একই কথা। কিন্তু সেই চিত্র বোধহয় এখন আমূল বদলে গেছে - এবং এই বদলটাও কোন ভাবাবেগ বা নৈতিক উপলব্ধির কারনে নয়। বদলটা আম্রিকার সাথে এলাইনমেন্টের কারনে। যেমন কিনা তাদের পৈশাচিক বর্মী সামরিক্তন্ত্রের সাথে বর্তমান মাখামাখি এবং তাদের বিরুদ্ধে কোনরকম ব্যবস্থা নিতে বাধা সৃশটি বা গাদ্দাফির বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নিতে বাধা সৃষ্টি ইত্যাদি লক্ষনীয়।

চীন বরং এসব ব্যাপারে অনেক রাজনীতি-ও-ধর্ম-নিরপেক্ষ। নর্থ-সুদানের ডিক্টেটরকে রেড-কার্পেট ট্রিটমেন্ট দিলে কি হবে, সাউথ-সুদানের সাথেও তাদের তলে তলে সম্পর্ক আছে। নর্থে কাজ না হলে এক লাফে দক্ষিনের নৌকায় চলে যেতে তারা বিন্দুমাত্র দ্বিধা করবে না। ইন ফ্যাক্ট সুনার অর লেটার যাবেও, কারন বেশির ভাগ তেল নাকি ঐ দিকেই পড়েছে। (তখন কি ওদের এহেন শোষিতবান্ধব-স্বাধীনতাবান্ধব মহান পদক্ষেপে আমরা হাততালি দিব ?)। চীন আফ্রিকার আরো বহু দেশ থেকেই খনিজ/প্রাকৃতিক সম্পদ আহরন বা সংগ্রহ করছে অত্যন্ত প্রবঞ্চনামূলক শর্তে বা পদ্ধতিতে, পাশাপাশি তাদের ট্রেডিশনাল শিল্পের বারোটা বাজিয়ে গছিয়ে দিচ্ছে নিজেদের অতি সস্তা দরের পন্যসামগ্রী। এই জাতীয় স্বার্থ ও প্র্যাক্টিসগুলি নিরাপদ রাখার স্বার্থে প্রয়োজনীয় ছোটোখাটো রাজনৈতিক সমর্থন ও জেসচারগুলি তো তাদের জারি রাখতেই হবে, নাকি? আফটার অল, ওরা তো ওদের ফ্লিট পাঠিয়ে দিচ্ছে না, ন্যাভাল ব্লকেড আরোপ করছে না বা কোন একটা বাহানায় সরাসরি আক্রমন করে বসছে না মহান মানবতাবাদী আম্রিকা-ইউরোপের মত। মহাচীন মহানতর !

আর এইসব কাজ সবাই করে নিজ নিজ সাধ্যানুযায়ী, শুধু চীন করলেই দোষ ? ঐ যে বলে না, গু খায় সব মাছই শুধু পাঙ্গাশ খেলেই দোষ ! সবশেষে শুধু মনে করিয়ে দেই কঙ্গোর এককালের সেই পরাক্রমশালী স্বৈরশাসক মোবুতুর কথা যাকে প্রেসিডেন্ট রিগ্যান অভিহিত করেছিলেন আফ্রিকায় আমেরিকার "বেস্ট ফ্রেন্ড" বলে। সেই "বেস্ট ফ্রেন্ড" যে একেবারে আক্ষরিক অর্থেই একটা মানুষখেকো রাক্ষস ছিল, পতনের পর যার ফ্রিজে নাকি বহু মানুষের মাংস কেটে লবন মাখিয়ে রাখা অবস্থায় পাওয়া গিয়েছিল !! রিগান পারলে এই রাক্ষসের পশ্চাদ্দেশে চুমুও খেতেন - কিংবা কে জানে খেয়েছেনও হয়তো। সেই তুলনায় চীনতো.... ধোয়া তুলসী পাতা চোখ টিপি

....................................................................................

পুনশ্চঃ বাংলাদেশের একটা কোম্পানি নাকি আফ্রিকার বিভিন্ন দেশে বিশাল পরিমান জমি লীজ নিয়েছে চাষাবাদের জন্য - এরকম কি যেন একটা খবর পড়েছিলাম পত্রিকায়। এটা নাকি অনেক সস্তা পড়ে এবং আমাদের 'খাদ্য নিরাপত্তা'র জন্য সহায়ক হবে! ধরা যাক, এ খবরটা সত্যি এবং বাংলাদেশের আরো অনেক কোম্পানি এই কাজ শুরু করলো এবং তা থেকে দেশ প্রভূত পরিমানে উপকৃত হল। বিশেষ করে সিডর জাতীয় দুর্যোগের পরে এর অনে পজিটিভ ইম্প্যাক্ট দেখা গেল। বহু মানুষের প্রান বাঁচলো। শর্ত শুধু একটাই, ঐসব দেশের স্বৈরশাসকদের ভাই বলে বুকে জরিয়ে ধরতে হবে, ঘুষ দিতে হবে, তেল মারতে হবে, ইত্যাদি।

আমার কৌতুহল, বেশির ভাগ সাধারন বাংলাদেশি যারা চীনা/আম্রিকানদের একই পদের কার্যকলাপের জন্য নিন্দা করেন, তারা কি বলবেন তখন ?

মন মাঝি এর ছবি

প্রকাশিত হওয়ার পরে মনে হচ্ছে এই কমেন্টটা একেবারেই অপ্রাসঙ্গিক হয়ে গেছে। মডুরা মুছে দিলে ভাল হতো।

****************************************

রাতঃস্মরণীয় এর ছবি

কোনও প্রবলেম নেই। এক প্রসঙ্গ থেকেই তো আমাদের অন্য প্রসঙ্গে জানার সূযোগ হয়।

------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।

রাতঃস্মরণীয় এর ছবি

আমার সন্দেহ যে চিন আম্রিকার সাথে কোনও নার্ভ গেইমে যাচ্ছে কি না। আজ হোক আর কাল হোক একটা পোলারাইজেশন কিন্তু দৃশ্যমান এবং সক্রিয় হবেই। তবে আমেরিকা যতোদিন চিনের স্বার্থসংরক্ষণ করে চলবে ততোদিন হয়তো পোলারাইজেশনটা দৃশ্যমান হবে না। তার পরেও চিন এই নার্ভ গেম খেলতে পারে আম্রিকাকে সাইজে রাখার জন্যে। নো ওয়ান্ডার।

নিটল গ্রুপের চেয়ারম্যান আবদুল মাতলুব আহমেদের নেতৃত্বে একটা কনসোর্টিয়াম ৩-৪টা আফ্রিকান দেশে কৃষিকাজের জন্যে জমি লীজ নিলেও বাংলাদেশ ব্যাংকের পোংটামির জন্যে তা আপাতত ঝুলে আছে। বাংলাদেশ ব্যাংক বিনিয়োগের অর্থ স্থানান্তরের উপর এমবারগো আরোপ করেছে। এটা অবশ্য খাদ্য নিরাপত্তায় প্রত্যক্ষ কোনও ভূমিকা রাখবে কি না তা নিয়ে আমার প্রশ্ন আছে কারণ এই কোম্পানীগুলো উৎপাদিত ফসল বাংলাদেশে নিয়ে আসবে এমন কোনও কথা শুনিনি। তবে বৈদেশিক মুদ্রা যে আসবে তা নিশ্চিত। এতে করে বিপুলসংখ্যক বাংলাদেশী কৃষি শ্রমিকের কর্মসংস্থান হতো। তবে সোমালিয়ায় বিনিয়োগের ব্যাপারে আমি বিরোধিতা করবো কারন সোমালিয়ার পাওয়ার এবং সোস্যাল ডাইনামিক্স সম্পর্কে আমার কিছুটা হলেও ধারণা আছে। ওখানে বিনিয়োগ রেসাল্টওয়ার্দি না হওয়ার সম্ভাবনা শতকরা ৯০ ভাগ। তার পরও বাংলাদেশ ব্যাংকের ভূমিকা আমার ভালো লাগেনি। কথায় বলে না,

সামনে দিয়ে পিঁপড়ে সরে যেতে পারে না কিন্তু পিছন থেকে সারি সারি হাতি চলে যায়।

------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।

তানিম এহসান এর ছবি

এই ক্র্যাশে মারা যাওয়া নিয়ে আমি কিছু ভিন্নমতও শুনেছি, বলা হয়ে থাকে যে তাকে মেরে ফেলার উদ্দেশ্যেই এই ঘটনা ঘটানো হয়েছিলো। ভুল শুনেছি কি?

জনগন এই বিষয়ে আরো জানতে চাচ্ছে, তাদের সাথে আমিও হাউকাউ জুড়ে দিলাম দেঁতো হাসি

রাতঃস্মরণীয় এর ছবি

এই বিষয়টা আমার এক্কেবারেই অজানা। তবে অস্বাভাবিক কিছু না এধরণের দূর্ঘটনা।

ধন্যবাদ তানিম এহসান।

------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।

রোমেল চৌধুরী এর ছবি

সাউথ সুদানের খনিজ সম্পদের হিসেব ঘাটলে, যত্রতত্র বিমানের রেকি মিশন চালিয়ে কোন এক পরাশক্তির অবাধ জিওলজিক্যাল সার্ভের উদ্দেশ্য উন্মোচন করার চেষ্টা নিলে, কঙ্গোর বুক চিরে সীমান্ত প্রদেশ বা'উলির সীমান্ত শহর দুংগু হয়ে সাউথ সুদান পর্যন্ত মেইন সাপ্লাই রুট (এম এস আর) তৈরির মহাযজ্ঞ বিবেচনায় নিলে থলের বিড়ালের অন্য চেহারাও বেরিয়ে পড়তে পারে।

------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
আমি এক গভীরভাবে অচল মানুষ
হয়তো এই নবীন শতাব্দীতে
নক্ষত্রের নিচে।

রাতঃস্মরণীয় এর ছবি

বস, এতোসব জানিওনা বুঝিওনা। তবে যা বলছেন তাতে তো বিশাল কোন কিছুর আলামত দেখা যায়।

ধন্যবাদ বস।

------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।

পাগল মন এর ছবি

স্বাধীনতা এমন জিনিস এটা সবাইই চায় আসলে। কিন্তু সবসময় আদৌ এটার দরকার আছে কিনা এ প্রশ্নটা থেকেই যায়। একবার চিন্তা করে দেখুনতো পৃথিবীতে যদি ১৯৩টি দেশ না থেকে সর্বোচ্চ ৭টি দেশ থাকতো আর সেসব দেশের অধীনের দেশগুলো স্বায়ত্ত্বশাসিত থাকত তাহলে পৃথিবীর গ্যাঞ্জাম কত কম থাকত। কার উক্তি সেটা মনে নেই, সে বলেছিল আমরা যদি মানুষকে তার দেশ, জাতি বা বর্ণ দিয়ে বিচার না করে মানুষ হিসেবে বিবেচনা করি তবেই পৃথিবীতে শান্তি ফিরে আসবে।

সুদানের ক্ষেত্রেও কথাটা খাঁটে। অনুন্নত কিন্তু খনিজ সম্পদে ভরপুর দেশগুলোর স্বাধীনতার ক্ষেত্রে যতটা না সেসব দেশের মানুষের আগ্রহ তার চেয়ে বেশি থাকে পরাশক্তিগুলোর আগ্রহ আর ইন্ধন। দক্ষিন সুদানেও সেটার কোন ব্যত্যয় ঘটেনি। আমার সাথে সেদিন সুদানীজের কথা হচ্ছিল, সে উত্তর সুদানের। সে আমাকে বলল তারাও খুশি যে এটার অবসান হয়েছে। ইন ফ্যাক্ট আরো আগে হওয়া উচিত ছিল। তবে এই পার্টিশনের ফলে উত্তর সুদান বেশ ভালো ক্ষতিগ্রস্থ হবে কেননা বেশিরভাগ খনিজ সম্পদই আসলে দক্ষিন সুদানে। এ থেকেই ধারনা পাওয়া যায় যে দক্ষিন সুদানের স্বাধীনতার পেছনের কিছু রহস্য।

------------------------------------------
হায়রে মানুষ, রঙিন ফানুস, দম ফুরাইলে ঠুস
তবুও তো ভাই কারোরই নাই, একটুখানি হুঁশ।

তারাপ কোয়াস এর ছবি

দক্ষিণ সুদানের নব যাত্রা শুভ হোক।


love the life you live. live the life you love.

রাতঃস্মরণীয় এর ছবি

কল্যাণময় হোক তাদের আগামী দিনগুলো। হাসি

------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।

আয়নামতি1 এর ছবি

দক্ষিণ সুদানের প্রতি অভিনন্দন! হাসি

রাতঃস্মরণীয় এর ছবি

ধন্যবাদ আয়নামতি। হাসি

------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।

তামান্না হায়দার এর ছবি

আফ্রিকা সম্পর্কে তেমন খুব বেশি কিছু জানা নেই। আপনার লেখা পড়ে সাউথ সুদান সম্পর্কে কিছু জানা গেল।

সাউথ সুদান এগিয়ে চল
বিশ্ব আছে তোমার সাথে

তামান্না হায়দার
ঢাকা

রাতঃস্মরণীয় এর ছবি

আপনাকে ধন্যবাদ তামান্না হায়দার। হাসি

------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।