পাতালপুরের গান

তিথীডোর এর ছবি
লিখেছেন তিথীডোর (তারিখ: বিষ্যুদ, ১২/০৬/২০১৪ - ৮:০৮অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

১. ঘুম আসে না, ঘুমও স্বার্থপর..♪♫

বড়মামা জিজ্ঞেস করছিলেন সেদিন-- সচলে লিখিস না এখন?
কথা হচ্ছিল স্কাইপতে। নানুমণির একটা মাইল্ডস্ট্রোক হয়ে গেছে গতসপ্তাহে। টেনশন করব বলে আমাকে জানানো হয়েছে হাসপাতাল থেকে ফেরার দিন। বুড়িকে দেখতে চেয়েছিলাম নিশ্চিত হতে, আসলেই কতটা ঠিকঠাক আছে এখন। প্রশ্নটা সেই পারিবারিক ভার্চুয়াল সম্মেলনের সময় করা।
অনেকদিন লেখা হয় না। কী লেখা যায় আসলে? লিখে কী হয়...
লেখা যায় একঘেঁয়ে নির্বাসনযাপনের দিনলিপি। সেটাই খানিক ভরাই কলমে, থুড়ি কীবোর্ডে? চোখ টিপি

হোস্টেলে উঠেছি এ মাসের প্রথম তারিখে, জীবনে প্রথমবারের মতো। হোস্টেল মানে ইউনির ডরমেটরি আর কী।
এই ডর্মের সিস্টেমটা হচ্ছে এক ইউনিটে চারটা বেড+বাথ, মাঝে কমন কিচেন আর ডাইনিং+লিভিং স্পেস। আমি বেশ টেনশনে ছিলাম, কারণ একে তো আমাদের ঝাঁঝালো মশলার ঘ্রাণ বৈদেশিরা বরদাশত করতে পারে না, তায় আমি অমানুষিক লেভেলের ঝাল খাই। তো পয়লাদিন রান্না করার আগেপরে বাকিদের কো-অপারেশন দেখে খুশিতে দেশের একগাদা গল্প শুনিয়ে দিলাম, ইউটিউব খুলে T-20 বিশ্বকাপ উপলক্ষে চমৎকার যে প্রমোশোনাল ভিডিওটা বানানো হয়েছিল-- সেটাও দেখিয়ে ফেললাম। দর্শক মুগ্দ্ধ, প্রদর্শক নিজেও আবেগাপ্লুত। আমাদের দেশটা এত সুন্দর কেনু কেনু?

অনেকে মনে করিয়ে দেবেন, আরে দূর, শ্যামচাচার দ্যাশের লোকজনের মিষ্টিকথায় ভুইলো না, ওরা হরদম মেকি বুলি কপচায়। জানি আম্রিকানরা একটু না, অনেকখানি আদিখ্যেতাই করে কারও প্রশংসাই করতে গিয়ে। ও মাই গড, দিজ ইজ সুপার্ব,অসাম ম্যান, ইউ আর লুকিং সো কিউট ইন দিস ড্রেস হানি... ব্লা ব্লা হ্যানত্যানের আড়ালে সারসত্য থাকে কমই। তা অতো সাট্টিফিকেটের দরকারটাই বা কী? হেহ! যে কদিন এক ছাদের তলায় আছি, তবে রেএএ কিসিমের ঠোকাঠুকি না লেগে গেলেই বাপু আমার চলবে।

সঙ্গী তিনজনের মধ্যে একজন রাশান। বালিকাটি মাত্রুশুকা পুতুলের মতোই, তার ম্যালাই বন্ধুবান্ধব। আন্দ্রিয়ানা রুমে থাকে কমই।
ব্রিয়ানা পুরোই নার্ডি, সে আছে তার পড়াশুনো নিয়ে। দিব্যি চশমা সেঁটে ক্লাসপ্রজেক্টে ডুবে থাকে। কিছু জিজ্ঞেস করলে হড়বড় করে একগাদা কথা বলে। (আমার মতো ছুপা বাচাল আর কী। দেঁতো হাসি )
আরেকজন জেসিকা, হুইলচেয়ার ব্যবহার করে বলে টুকটাক সময়ে তার দিকে খেয়াল রাখতে হয় কিছুটা। সে অবশ্য গত উইকে গেছে সান ফ্রান্সিসকো বেড়াতে। ছুটি পেলে হাত-পা গুটিয়ে ঘরে বসে থাকার পাবলিক তো আর এরা নয়। আমিই গাধাস্য গাধা, সারা মাস ধরে অস্টিন যাবার প্ল্যান করি, গাদাখানেক ডলার দিয়ে বেকুবের মতো গ্রেহাউন্ডের টিকেট ক্রয় করি আর শেষটায় বাস মিস করি। ভেউ ভেউ।

লাগোয়া চারটা ঘরের চার বাসিন্দা সম্পূর্ণ ভিন্ন ভঙ্গিতে জীবনকে যাপন করে এখানে। ভাবতে গেলে মজাই লাগে এক একসময়। কিন্তু মাঝরাতে কার্যকারণ ছাড়াই সচল শাহরিয়ার ভাই এবং সুরবালিকাকে (দুঃ)স্বপ্নে দেখে ঘুম ভেঙে যাওয়ার পর শাল- দোশালা (গায়ে) আর চপ্পল (পায়ে) চাপিয়ে তেলচুকচুকে পরোটার মতো গোলগাল চাঁদের নিচে পায়চারির সময় ক্যান যেন মনে হয়-- আমি বোধহয় অন্য কারো জীবনযাপন করছি। The girl in the mirror wasn't who I wanted to be and her life wasn't the one I wanted to have..

২. ♪♫ সাইকেলটা আমি ছেড়ে দিতে রাজি আছি, পারব না ছাড়তে এ ঠ্যাঙ..

দুইচাকার জিনিসখানা কেনার (এবং বাগে আনার, কারণ চালাতে পারি না) ভূত চড়েছে মাথায়। এখানে ক্যাম্পাসে সবাই কী সুন্দর সাইকেল চালায়, লোভ হয় দেখলে। শহরতুতো সচল সাফি ভাইকে জিজ্ঞেস করলাম কী টাইপের সাইকেল কিনব? উনি পাল্টা প্রশ্ন করলেন আপনি কয় মাইল চালাবেন? আমি তো এভারেজে বিশ-পঁচিশ থেকে পঞ্চাশ মাইলও চালাই। ঐরকম টার্গেট থাকলে একটু ভাল মানের মজবুত সাইকেল লাগবে।

বিশ-পঁচিশ-পঞ্চাশ! মাবুদে ইলাহী! আমার যা (আণ্ডার)ওয়েট, সপ্তাহে পাঁচ মাইল চালালেও এনএমের আকাশবাতাস হাতড়ে আর হাড়গোড়ের ধূলিকণা খুঁজে পাওয়া যাবে না। কিডস সাইজের চক্রযানের ঝিলিমিলি ফিতেবাঁধা ক্যারিয়ারে চকলেট, বেলাবিস্কুট আর কোকের বোতলসমেত এদিকসেদিক ঘুরে বেড়ানোর খায়েশ নিয়ে ঘুরছি আপাতত। হাসি

৩. আমার স্বপন কিনতে পারে, এমন আমীর কই? ♪♫

ভিজুয়াল জিনিসপাতিতে আগ্রহ একটু কম আমার। টিভি/ মুভি দেখি কালেভদ্রে। ইদানিং অবশ্য টুকটাক ছিনেমা দেখার (বদ)অভ্যাস হয়েছে, বইয়ের অভাবে। ইয়ে মানে, চোখের সামনে কিছু খোলা না থাকলে ভাত খেতে পারি না। ইয়ে, মানে...

বলিউডি কিছু মুভি চমৎকার লেগেছিল সব মিলিয়ে-- রাঙ দে বাসন্তি, তারে জমিন পার, ফ্যাশন, ইংলিশ ভিংলিশ এরকম। রিসেন্টলি পছন্দ হয়েছে কুইনকে।

এ বছরের ৭ই মার্চ মুক্তি পাওয়া কুইনের মূল কাহিনি রানী (কঙ্গনা রনৌত)কে ঘিরে। ২৪ বছরের মন বড় চঞ্চল, স্বপ্ন এখনো তরতাজা স্টেজে থাকা পাঞ্জাবি মেয়েটির জীবন চলছিল খুব স্বচ্ছন্দ ভঙ্গিতেই, অন্তত বিয়ের দু'দিন আগের তারিখটা পর্যন্ত। ঐদিনই হঠাৎ বাড়ির পাশের ক্যাফেতে ডেকে ফিঁয়াসে বিজয় (রাজকুমার রাও) তাকে জানিয়ে দেয়-- বিয়েটা সম্ভব নয়। লন্ডনফেরতা বিজয় এখন অন্যমানুষ, অন্যভাবে কথা বলে। সেই আধুনিক তরুণের পাশে দিল্লীর রজৌরি শহরের একেবারেই শাদামাটা রানীবেগম.. নাহ, সরি। ছৈলতন।

পুরো বাড়ির মানুষ যেখানে আসন্ন উৎসবের আনন্দে মশগুল.. অকারণ অপমানিত, বিধস্ত তরুণীটিকে সেখানে ফিরতে হয় চোখের পানিতে ভেজা মুখ লুকিয়ে। বহু প্ল্যান করে কেটে রাখা টিকেট নিয়ে এরপর রানী একাই বের হয় তার হানিমুন ট্রিপে, আমস্টারডাম আর প্যারিস ঘুরতে। প্রেম পর্বকালীন সময়ে অবশ্য বিজয় কথা দিয়েছিল আইফেল টাওয়ারের সামনে দাঁড়াবে ওরা দুজন।
পাশাপাশি।

প্যারিসে রানীর সঙ্গে বন্ধুত্ব হয় ভারতীয় বংশদ্ভূত তরুণী বিজয়লক্ষীর, আমস্টারডামে হৃদ্যতা গড়ে ওঠে টিম, তাকা আর ওলেকজান্দার নামের তিন তরুণের সঙ্গে। আবাল্য বাবা-মায়ের ছায়ায় আর বিজয়ের শাসনমিশ্রিত সোহাগের বেড়ায় লতানো রাণী ভিনদেশে, ভিনভাষীদের মাঝে একাই শক্ত হয়ে দাঁড়াতে শেখে, চিনতে শেখে নিজেকে নিজের কাছেই। অবয়ব আর পোশাকে বদল দেখে ফের কাছে টেনে নিতে ছুটে আসা বিজয় নামক বেদ্দপটিকে ফিরিয়ে দিতে এবার আর তার দ্বিধা হয় না এতটুকুও।

সানতা ফে ঘুরতে গিয়েছিলাম পরশু, হুট করেই। অনেকদিন পর একাএকা ট্রেনে চেপে নিজেকে রানী রানী মনে হচ্ছিল। খাইছে
অবশ্য ঘন্টাখানেকের রেলভ্রমণ শেষে পৌঁছে হতাশ হয়েছিলাম বেশ! এদেশের সবগুলো শহরের ডাউনটাউন দেখি একইরকম। যদিও এনাদের কালেকশন সেইরকম (দামও! গলাকাটা নয়, নাড়িভূড়ি কাটা বলা চলে), দেমাগও! কোন দোকানেই ছবি তুলতে দেয়না। ফাউলের দল! আর আছে হাজারে-বিজারে জাদুঘর আর আর্টগ্যালারী। বাউরে বাউ। ট্রাডিশনাল আর্ট শব্দটার উপরই বিরক্তি চলে এলো একপর্যায়ে! ভাল জিনিস অল্প হলেই না সে ভাল থাকে, নয়তো নিজেরই ভিড়ের ঠেলায় সে হয়ে যায় মাঝারি-- তাইনা? আমার বুড়ো বলতে কি কিছু বাকি রেখে গেছেন? হুঁ হুঁ বাবা!
কাজের কাজটা হয়েছে এই, সারাদিন রোদে ঘুরে ঘোর কৃষ্ণ গাত্রবর্ণ আরেক পোঁচ পোক্ত হয়েছে!
সাত দু'গুণে চৌদ্দর রইল ঐ চার, হাতের বাকিটা পেনসিল। মন খারাপ

ফ্যাশনের পর দেখা দ্বিতীয় এই মুভিতেও কঙ্গনাকে বেশ সাবলীল মনে হয়েছে, বাকিদেরও অভিনয় নেহায়েত মন্দ নয়। রাজকুমারের আইডল বোধহয় শাহরুখ খান, হাবভাবের কোথায় যেন ইচ্ছে বা অনিচ্ছেকৃত মিল আছে। বিজয়লক্ষীর চরিত্রে লিসা হেইডনকে দারুণ মানিয়েছে। গানগুলোও চলেবল (যদিও পাঞ্জাবী গান দুটো বুঝিনি)।
মুভিটা দেখতে পারেন। খারাপ লাগার কথা না বোধ হয়। হাসি

ভোর হলো, দোর খোলো, খুকুমণি ওঠোরে।
মানে ঘড়িতে সকাল ৭.৪৫, যাই চা-চু খাই গে...

I say let the world go to hell, but I should always hv my tea! by তিথীডোর, on Flickr


মন্তব্য

অতিথি লেখক এর ছবি

আমারো এক খানা সাইকেল কিনার ইচ্ছা বহুদিনের, চালাতে পারিনা আমিও। আমার বর বলেছে, শিখিয়ে দেবে, মেয়েও বলেছে, ঠিক ভরসা পাইনা। শেষে পা ভাংলে! পা তো মাত্র দুখানা। তাই আপাতত চারচক্র যানে ইচ্ছেমত স্পীড তুলে( মামুদের এবসেন্সে) মনের সাধ মিটাই।
তবে একটা কথা, (আণ্ডার) ওয়েট বাইক চালানোর জন্য সমস্যা হবার কথা নয়, বরং কিছুদিন চালানোর পড় পায়েঢ় মাংশ পেশী অনেক শক্ত-মজবুত হবার কথা। আর যে দেশে এসেছেন, এখানে আণ্ডার থাকা হোল আশীর্বাদ, আশে পাশে সবাই ওভার এর অভিশাপ নিয়ে ঘুরছে দেখবেন।
লেখা ভালো লেগেছে।

রীতু

'সেই যেখানে সারাজীবন বৃষ্টি পড়ে, বৃষ্টি পড়ে...
সেই যেখানে কেউ যায়না, কেউ যায় নি কোনদিনই...'

তিথীডোর এর ছবি

সাইকেল কিনছি আগামিকাল এনশাল্লাহ। চাল্লু
ড্রাইভিং পারি না, ওদিকে আপাতত যাওনের খেমতাও নাই আসলে।
ওভার না, বলতে পারেন প্রপার ওয়েট গেইনের জন্য দোয়াপ্রার্থী। খাইছে

মন্তব্যের জন্য আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-হাসি

________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"

অতিথি লেখক এর ছবি

সব মিলিয়ে তাহলে জীবনটা ভালোই চলছে, কি বলেন?

-আরাফ করিম

তিথীডোর এর ছবি

তা কৈতারেন। 'আনন্দে থাকি, আনন্দে রাখি' মটোতে আছি। দেঁতো হাসি

________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"

অতিথি লেখক এর ছবি

চায়ের কাপটা দেখে এখনি চা খাইতে মন চাইতেছে। দেঁতো হাসি

আশফাক(অধম)

তিথীডোর এর ছবি

এইটা আমার ফেভারিট কাপ (লাগেজের কাপড়ের ভাঁজে গুঁজে নিয়ে এসেছিলাম খাইছে )।
কাউরে দিমু না!

________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"

দীনহিন এর ছবি

দুই সাইকেল আরোহীনির সামনের জন আপনি?
পোস্ট ভাল লেগেছে, তিথী!! তবে কুইনের প্লট খুব একটা টানেনি, যেহেতু খুব নতুন ধাঁচের কিছু নয়!
কেন লিখছেন না আর আগের মত?
লিখুন না প্লিজ, আরও নিয়মিত!

.............................
তুমি কষে ধর হাল
আমি তুলে বাঁধি পাল

তিথীডোর এর ছবি

না। আমি ক্যামেরার পেছনের মানুষ, মডেল হই না। হাসি

কুইন ভাল লেগেছে বিশেষ কিছু দিক ভেবে। ভাল লেগেছে প্রত্যেকটা কাজের আগে ফ্ল্যাশব্যাকে রানীর আগের ভাবনাগুলোকে দেখানোর অংশটা। বিশেষত রানীকে যখন ইতালীয়ান রেস্টুরেন্টমালিক ভারতীয় খাবার রেঁধে দেখিয়ে দেবার চ্যালেঞ্জ দেয়, সে জিজ্ঞেস করে-- ইউ গিভ মি আ জব? কারণ একসময়ে শুধু বিজয়ের আপত্তির কারণে সে বাবার বন্ধুর দোকানে অ্যাকাউন্টসের কাজটা নিতে পারেনি। মেয়েটা নাচতে এত ভালবাসে অথচ বিয়ের অনুষ্ঠানে অন্যদের সঙ্গে ট্রাডিশনাল নাচের জন্যেই বাগদত্তের কাছে তাকে তীব্র তিরষ্কার শুনতে হয়েছে সেটা নিয়ে। এক তরুণীর জীবন পুরোই নিয়ন্ত্রিত ছিল সেই পুরুষপুঙ্গবটির ইচ্ছে-অনিচ্ছার ওপর। কী তামাশা! সেই ভীতু মেয়ে যখন কয়েক সপ্তাহের প্রবাসযাপনের পর ফিরে কনফিডেন্ট ভঙ্গিতে লাগেজ ঠেলে পৌঁছায় এয়ারপোর্টে বাবা-মার মুখোমুখি, সেই আত্মবিশ্বাসী মুখটা দেখতে ভাল লাগে। হাসি

হাত খালি। দূরেটুরে কোথাও ঘুরতে যাওয়ার পয়সা হলে ছবিটবিসমেত হাতি পোস্ট দিমু। চাল্লু

________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"

মেঘলা মানুষ এর ছবি

একি! মুভির কাহিনী তো জেনে গেলাম! (মুভিটার কথা বলার আগে "স্পয়লার অ্যালার্ট" লাগিয়ে দিন)
শেষের বাহারি কাপে চা দেখে চায়ের তেষ্টা পেয়ে গেল।

শুভেচ্ছা হাসি

তিথীডোর এর ছবি

ইয়ে, আমি তো ঠিক মুভি রিভিউ লিখতে চাইনি।

চা-টা খেতে খেতেই দেখে ফেলতে পারেন কিন্তু ছবিটা। হাসি

________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"

প্রৌঢ় ভাবনা এর ছবি

লেখা পড়ে মনে হল, কবতেখোর খুকিটি এখন বড় হয়ে গেছে!
লেখা ভাল লেগেছে বরাবরের মতই।
ভাল থাকুন। আনন্দে থাকুন।

তিথীডোর এর ছবি

কাদের থুক্কু নাদের আলী, এই অভাগা আর কবে বড় হবে! বিয়েশাদী করে বাচ্চাকাচ্চা পয়দা করার পরও কি সচলের লোকজন আমাকে খুকিই ডাকবে? ওঁয়া ওঁয়া রেগে টং

অন আ সিরিয়াস নোট, থ্যাঙ্কিউ ভাইয়া। মানে লেখা ভাল লাগার কথা জানানোর জন্য। হাসি

________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"

রংতুলি এর ছবি

রামিনের সাঁই সাঁই করে সাইকেল চালানো দেখে লোভ হতো। ভুত আমার মাথায়ও চাপসে। পুরানো ভুত। এখন চান্স পেলেই এর ওর সাইকেল বাগিয়ে চালাই। অনেক ছোট বেলায় চালাতাম, এখনো মনে আছে দেখে অবাক হইসি। তোমার জন্যে বেস্ট অফ লাক! (ইয়ো)

তিথীডোর এর ছবি

কৈতাসো? তৈলে আগামিকল্য দিবাগত রাত ১২ ঘটিকার মধ্যেই স্টার্টেড সাইক্লিং কিসিমের সচিত্র প্রতিবেদনসম লাইফ ইভেন্ট এফবির পাতায় রচিত হৈবেক এনশাল্লাহ। খাইছে

________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"

এক লহমা এর ছবি

প্রথম কাজ সাইকেলের সাথে জমিয়ে পোজ দিয়ে একখান ছবি তুলে ফ্লিকারে বসিয়ে সচলে পরের পোস্টে লটকে দ্যান। তারপরে ঘুরে বেড়ান সাইকেল নিয়ে এ মুড়ো ও মুড়ো হাসি

কুইন দেখেছি। ভাল লেগেছে। গত সপ্তাহান্তে 'শুধ দেশী রোমান্স' (Shuddh Desi Romance) দেখলাম। পছন্দ হয়েছে। অপরিচিত মনে হয়নি।

--------------------------------------------------------

এক লহমা / আস্ত জীবন, / এক আঁচলে / ঢাকল ভুবন।
এক ফোঁটা জল / উথাল-পাতাল, / একটি চুমায় / অনন্ত কাল।।

এক লহমার... টুকিটাকি

তিথীডোর এর ছবি

মুফতে একখানা ট্রাইপড পেয়েছি সবে। তুলবনে ছবি। হাসি

শুধ দেশি রোমান্সের কাহিনি সংক্ষেপ পড়লাম। এত পিওর রোমান্টিক ফ্লেভারের মুভির জন্য ধৈর্য্য কুলায় না আসলে। পরিণীতির হাসিটা খুব সুন্দর, শুধু ঐ খাতিরে নাহয় দেখে ফেলা যাবে কখনো। দেঁতো হাসি

________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"

অতিথি লেখক এর ছবি

আমি সাইকেল চালানো শিখেছিলাম সম্পূর্ণ নিজের চেষ্টায়। যখন বয়স ১২ কি ১৩ ছিল তখন বড়দের সাইকেল নিয়ে গাছের সাথে হেলান দিয়ে তাতে লাফ দিয়ে চড়ে বসতাম। পা ঠিকমত প্যাডেল পর্যন্তও পৌঁছাত না। কিন্ত দমে যাবার পাত্র ছিলাম না আমি। এক হাতে সাইকেলের হ্যান্ডেল থাকতো আর অন্য হাত দিয়ে গাছের গায়ে ধাক্কা দিয়ে সামনে ছুটে যাবার গতি অর্জন করতাম। ৫/১০ ফুট যেয়েই চিৎপটাং। খুবই আস্তে ধীরে শেষ পর্যন্ত সাইকেল চালানো শিখেছি। অবশ্য হাত পা কম কাটিনি। তবে কেষ্ট মিলতে হলে কষ্টতো কিছু করতে হবেই।

যাহোক, অফ টপিক প্রশ্নঃ আমি বানানে কাঁচা। যখনই সচলে কোন লেখা দেই তখনই আমার হাজার হাজার বানান ভুল ধরা পড়ে। তো কোন বানানটি সঠিক- আপনার নিক এ যা লেখা আছে। নাকি আপনার সিগনেচার এর জায়গায় (আপনার লেখার নিচে) লেখা কবিতা/গানের লাইনে যেটা লেখা আছে ( তিথীডোর নাকি তিথিডোর)?

সোহেল লেহস

তিথীডোর এর ছবি

সাইকেল চালিয়েছি আমিও একসময়ে, তেরো কী চৌদ্দতে। তখন অবশ্য গোড়ায় স্পেয়ার চাকা ছিল সঙ্গে। দেখা যাক, এবার হাত-পা আস্ত রেখে শিখতে পারি কিনা। হাসি

অট প্রশ্নের উত্তর: সিগনেচার লাইনদুটো রবীন্দ্রনাথের এপারে মুখর হলো কেকা গান থেকে নেয়া।
নিক নেয়া বুদ্ধদেব বসুর উপন্যাস তিথিডোর থেকে।
তিথিডোর-- আভিধানিকভাবে শুদ্ধ বানান এটাই। আমার ডাক নাম তিথী, সেই যুক্তি দেখিয়ে নিকের বেলায় তিথীডোর লিখি। বোঝাতে পারলাম?

________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"

শাব্দিক এর ছবি

সেই ছোটবেলা থেকে আমারও বিরাট শখ ছিল আইফেল টাওয়ার দেখব।
বডি পুরাই ইসটিল এই সচলার এই মন্তব্য পড়ার পর থেকে ইচ্ছাটা যা তা ভাবে মরে গেছে।

---------------------------------------------------------
ভাঙে কতক হারায় কতক যা আছে মোর দামী
এমনি করে একে একে সর্বস্বান্ত আমি।

তিথীডোর এর ছবি

আমার মরে নি।
আইফেল টাওয়ার ইশটিল হোক আর প্লাস্টিকের, আমি ছবির দেশে, কবিতার দেশে যেতে চাই। হাসি

________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"

নিরুপম রায়  এর ছবি

ঘুম একেবারেই না এলে, সান অগাস্টিনে রেডিও টেলিস্কোপটা দেখে আসুন সময় করে ... পোজ দিয়ে ছবি তোলার জন্যে সাইকেলের তুলনায় কোনো অংশে কম না।

তিথীডোর এর ছবি

শুধু পোজ দিয়ে ছবি তোলার জন্যে সাইকেলের শখ, লেখা পড়ে তাই মনে হলো! অ্যাঁ অ্যাঁ

নাহ.. ব্লগিং ছাইড়া দেওয়ার টাইম হৈসে, বুঝছি।

________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"

এক লহমা এর ছবি

হেঃ হেঃ হেঃ তিথীদিদি, কি একখান লব্জ ছাইড়া দিছি বাজারে! গোটা লেখাটা, অমন সোন্দর চা-চু-এর কাপ, কেমনে কি! লোকের নজর আটকায় থাকবে আমার ঐ পোজ দেওনের মন্তব্য খান-এ! মনে লয় এইবারে আমার মন্তব্য করাটাই ছাড়নের সুমায় হৈসে!

--------------------------------------------------------

এক লহমা / আস্ত জীবন, / এক আঁচলে / ঢাকল ভুবন।
এক ফোঁটা জল / উথাল-পাতাল, / একটি চুমায় / অনন্ত কাল।।

এক লহমার... টুকিটাকি

আয়নামতি এর ছবি

ইশশ খুব যে চেপে যাওয়া হলু স্বপন দেখে ঘানের কথা! দেঁতো হাসি
ছাইকেলের কথায় মনে বেপুক হতাছা এলু কিন্তুক! ভাঙা ঠ্যাংয়ে কী করে ছাইকেল চালাই এই ভরা ছাইকেলমৌসুমে ওঁয়া ওঁয়া ওঁয়া ওঁয়া
স্বপন কিনতে আমিরের বেইল নাই রে খাইছে
চিমটি!চিমটি!! কুইন আমিও ভালু পাইছি। কুইনের মত আমারও ছেঞ্চ অফ হিউমার বেপুক কিনা, নিজের জুকেই নিজেই হেসে সাড়া! লুকেরা আমার হাসিতে হাসে জুক শুনে না। তাইলে কার পাওয়ারটা বেশি কও!
রাজকুমারের kai po che( চেতনের থ্রী মিসটেকস অফ মাই লাইফ) [url=http://en.wikipedia.org/wiki/Shahid_(film)]shahid[/url] এ কেমুন ভালু মানুষ হইছিল এটাতে পুরাই বাটপার। তবে ঝামাটি দারুল দিয়েছে কুইন...শান্তি! শান্তি! দেঁতো হাসি লুটেরা দেখেছো নাকি হে? ও হেনরির গপ নিয়ে ওটা।[url=http://en.wikipedia.org/wiki/Highway_(2014_Hindi_film)]হাইওয়ে[/url] ভালুই লাগছে ওগুলান।
তুমার বই পড়া কেমন চলে রে? আমি কিছু হার্ডকপি শেষ করলাম। ছাইকেল চালাতে চালাতে চলে এসো একদিন,
পড়তে দিবো কেমন? ভালু থেকো হাসি

তিথীডোর এর ছবি

মজার ব্যাপার, কাই পো ছে আর লুটেরা -- দুটোই দেখেছি একই দিনে। ঢাকা টু দুবাই ফ্লাইটে। থ্রি মিসটেকস অফ মাই লাইফ অবশ্য আগেই পড়েছিলাম।
হাইওয়ে অখাদ্য। নায়িকা আলিয়া ভাটের ছোটবেলায় চাচার হাতে যৌননিপীড়িত হবার মমস্পর্শী অংশটুকু ছাড়া পুরো মুভিতে আমি কোন সার পদার্থের বিন্দু খুঁজে পাইনি। স্টকহোম সিনড্রোম টার্মটা ঝালাই হলো, এইই।

বই পড়া আপাতত বন। মাইনষে মন হারায়, আমি ক্যামনে যেন পড়ায় মনোযোগ হারায়লাইসি।
এখন সময়ে ছবি তুলি আর অসময়ে ঘুমাই। গেবন শেষ। মন খারাপ

________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"

নিরুপম এর ছবি

এক লহমা, ইতিহাস আপনাকে ক্ষমা করবে না!

তিথীডোর, ছবির ওই পুয়েবলো বাড়ি, রোদ্দুরের ওই রঙ, আর আপনার এনএম-এর কথকতা ... এসবের পর গলার কাছে কিছু একটা আটকে থাকে। মন্তব্যটা তাই একান্তই এক লহমার কথার পরিপ্রেক্ষিতে। এই সামান্য ভুল বোঝাবুঝি থেকে ব্লগিং ছেড়ে দেওয়ার কথা উঠলে, ইতিহাস আপনাকেও ক্ষমা করবে না!

এক লহমা এর ছবি

গড়াগড়ি দিয়া হাসি

--------------------------------------------------------

এক লহমা / আস্ত জীবন, / এক আঁচলে / ঢাকল ভুবন।
এক ফোঁটা জল / উথাল-পাতাল, / একটি চুমায় / অনন্ত কাল।।

এক লহমার... টুকিটাকি

তিথীডোর এর ছবি

আইচ্ছা ভাই যান, দুজনকেই ক্ষমা করে দিলাম।
আরো কিছুদিন ইতিহাসের নামে পাতিহাঁস কপচানোর তথা সহসা ব্লগিং ছেড়ে না দেওয়ার উৎসাহ প্রদানের জন্য আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা- নেন। দেঁতো হাসি

________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"

এক লহমা এর ছবি

বাঁচা গেল। হো হো হো
অন্য কথাঃ আপনার ফ্লিকার-আড্ডায় ঘুরতে গিয়ে একের পর এক চেনা মুখগুলিকে দেখে মনটা কি রকম হয়ে গিয়েছিল!

--------------------------------------------------------

এক লহমা / আস্ত জীবন, / এক আঁচলে / ঢাকল ভুবন।
এক ফোঁটা জল / উথাল-পাতাল, / একটি চুমায় / অনন্ত কাল।।

এক লহমার... টুকিটাকি

স্যাম এর ছবি

ভাল লেগেছে লেখা হাসি

তিথীডোর এর ছবি

অনেক ধন্যবাদ প্রিয় ব্যানার্জি। হাসি

________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"

তাহসিন রেজা এর ছবি

আজ সারাদিন রোয়াল্ড ডালের নতুন কেনা কয়েকটা বই পড়ছিলাম। পড়তে পড়তে আপনার কথা মনে হল। অনেকদিন আগে বইপড়ুয়াতে রোয়াল্ড ডালকে নিয়ে কথা হয়েছিল!! এখন সচলে এসে দেখি আপনার নতুন লেখা!!!!
আপনার অন্যসব লেখার মত এই লেখাটা দু:খ জাগানিয়া নয় বরং বেশ রোদ ঝলমলে। তবে অই লেখাগুলোর মতই এটাও খুব ভালো লাগল। এতো সুন্দর আর সাবলীল আপনার লেখার গতি, আপনার ভাষা!!!!
আমার মাঝে মাঝে মনে হয় আপনি বাচ্চাদের জন্য অসাধারণ লিখবেন।
লিখবেন?????? পপকর্ন লইয়া গ্যালারীতে বইলাম
অ.টঃ চায়ের কাপটা চুরি করতে ইচ্ছে করছে দেঁতো হাসি

------------------------------------------------------------------------------------------------------------
“We sit in the mud, my friend, and reach for the stars.”

অলীক জানালা _________

তিথীডোর এর ছবি

আমি এখন পাঠকের মৃত্যু উপন্যাসের খলনায়িকা বলতে পারেন। ওঁয়া ওঁয়া
মানে পড়ার (এককালে তো পড়তাম না, বই গিলতাম আসলে) অভ্যাস নষ্ট হয়ে যাচ্ছে।

হ্যাঁ, বাচ্চাদের জন্যেই লিখব এরপরের ব্লগটা। মানে এই অগাস্টে একখানা পিচ্চিতোষ (অ)গল্প ফাঁদা ডিউ।
ইয়া হাবিবি। খাইছে

মন্তব্যের জন্য কৃতজ্ঞতা। হাসি

________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"

তাহসিন রেজা এর ছবি

পিচ্চিতোষ গল্পের অপেক্ষায়। পপকর্ন লইয়া গ্যালারীতে বইলাম

------------------------------------------------------------------------------------------------------------
“We sit in the mud, my friend, and reach for the stars.”

অলীক জানালা _________

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।