অলখ আমেরিকা-একটা কোয়ার্টার হবে?

সাইফ শহীদ এর ছবি
লিখেছেন সাইফ শহীদ (তারিখ: বুধ, ৩০/০৬/২০১০ - ১২:৪৭পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

বিগত কয়েক বছর ধরে আমেরিকার অর্থনৈতিক দূর্যোগ চলছে। কম বেশী সবাইকে কোন না কোন ভাবে প্রভাব বিস্তার করছে। ব্যবসা-বানিজ্যে বিক্রি কমে গেছে, অনেক ব্যবসা বন্ধ হয়ে গেছে, সম্পতির মূল্য অনেক স্থানে কমে গেছে। ঢাকায় জমি বা বাড়ীর মূল্য প্রতি বছরই বেড়ে চলেছে। এখানেও মোটামুটি তেমনি ছিল। কিন্তু বিগত কয়েক বছরে অনেক জায়গাতে জমি বা বাড়ীর মূল্য কমে গেছে। আমার এক বন্ধুর ক্যালিফোর্নিয়ার নিউ পোর্ট বিচে বেশ সুন্দর একটি বাড়ী ছিল যার দাম বছর তিনেক আগে ৩ মিলিয়নের উপরে উঠেছিল। এখন সেই বাড়ীর দাম কমে ১ মিলিয়নের নিচে নেমে এসেছে। এর মধ্যে এই বাড়ী বন্ধক দিয়ে সে ব্যাংক থেকে প্রায় দেড় মিলিয়ন ধার নিয়েছিলো ব্যবসায় লগ্নি দেবার জন্যে। এখন ব্যবসার অবস্থা ভাল না। ক'বছর আগেও গোটা বিশেক রেস্তোরার মালিক ছিল সে - সেই সংখ্যা কমে এখন মাত্র তিনটিতে দাড়িয়েছে। আগে যেখানে কর্মহীন মানুষের সংখ্যা শতকরা ৪ ভাগের নীচে ছিল, সে সংখ্যা এখন বেড়ে দাড়িয়েছে ১০-এর উপরে। ডেট্রয়েট এবং ক্যালিফোর্নিয়ার কিছু শহরে এই সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৫ থেকে ২৫ ভাগে। এর ফলে আইন-শৃংখলা পরিস্থিতি খারাপ হচ্ছে অনেক খানে। চুরি, ডাকাতি, রাহাজানি ও খুনের সংখ্যা বাড়ছে। আর বাড়ছে ভিখারির সংখ্যা। হ্যা, আমেরিকাতেও ভিখারি আছে - তবে অন্য নামে ডাকা হয় তাদের। 'হোমলেস' বা গৃহহীনদের মধ্যে ধরা হয় তাদেরকে। বাংলাদেশের ভিখারিদের সাথে অবশ্য এদের তফাত আছে। ঢাকার রাস্তায় বিরক্ত হতাম যখন গাড়ী চড়ে যাচ্ছি আর ট্রাফিক সিগনালে গাড়ী দাড়ালেই জানলার কাছে এসে হাত বাড়িয়ে দিতো কোন ভিখারি আর শুনতে হতো ;

- বাবা, কিছু ভিক্ষা দিবেন।
- হবে না। যাও যাও।


Dhaka begger

এখানে ধরনটা একটু আলাদা।

আমি ওয়াল-মার্ট সুপার স্টোর থেকে কিছু বাজার করে পার্ক করা গাড়ীর দিকে যাচ্ছি। এমন সময় জিনস্-এর প্যান্ট, টি-সার্ট ও বেস বল ক্যাপ পরিহিত এক যুবক এসে সামনে দাড়াল।

- আমার গাড়ীর তেল ফুরিয়ে গেছে। তেল কেনার জন্যে কি কিছু স্পেয়ার টাকা হবে?
- দুঃখিত - অনেকটা চিন্তা না করেই উত্তর দিলাম।

আমার থেকে সরে অন্য দিকে যাওয়া শুরু করলো যুবকটি। হঠাৎ ঢাকার ভিখারির কথা মনে পড়লো। আবার তাকালাম যুবকটির দিকে। তাকে দেখে ঠিক গতানুগতিক ভিখারি বা মাদকাসক্ত ব্যক্তি মনে হল না।

- এদিকে আসো। - ডাকলাম তাকে।

পার্স বের করে দেখলাম নগদ মাত্র ৬ ডলার আছে। আমি সাধারনত নগদ টাকা খুব কম সাথে রাখি। এখানে কেনা-কাটা সবই ক্রেডিট কার্ডে। এর ফলে খরচের পর এক মাস সময় পাই পাওনা মেটাবার।

- আমার কাছে শুধু ৬ ডলার আছে। এই নাও এই ৪ ডলার।

টাকাটা নিয়ে আমাকে ধন্যবাদ জানিয়ে চলে গেলো সে। যখন গাড়ী চালিয়ে বেড়িয়ে আসছি তখন দেখলাম যুবকটি আর একজন লোকের সাথে কথা বলছে, সম্ভবত আরো টাকার জন্যে। টাকাটা সে কি ভাবে ব্যয় করবে সেটা আমার কাছে মূখ্য ছিল না। আমি ভাবছিলাম ঢাকার সেই ভিখারির কথা। প্যান্টের পকেট থেকে টাকা বের করার কষ্ট পরিহার করার জন্যে যাকে বলতাম - হবে না। সেই অপরাধ বোধ কমাতেই বোধ হয় এই যুবককে সাহায্য করলাম। যখন গাড়ী চালিয়ে মেইন রাস্তায় ঢুকবো, তখন দেখলাম আর একজন লোক দাড়িয়ে আছে রাস্তার কোনায়, হাতে একটা কার্ড বোর্ডের প্লাকার্ড যাতে লেখা - "সাহায্য চাই"। এবার আর গাড়ী থামালাম না।

পরের দিন দুপুরে, একাকী পায়ে হেটে অফিসের কাছের এক রেস্তোরায় যাচ্ছিলাম লান্চ খেতে, আর চিন্তা করছিলাম আমেরিকার ভবিষ্যত, যার সাথে এখন আমাদের ভবিষ্যতও জড়িত। আমাদের বাড়ীর দুই দিকের দুই বাড়ীতেই এখন 'বিক্রী হবে' এই সাইন ঝুলছে। শুধু এই এলাকাতেই প্রায় গোটা ছ'য়েক বাড়ী বিক্রীর অপেক্ষায়। এদের মধ্যে কয়েক'টি বেশ অনেক মাস ধরে খালি পড়ে আছে। অথচ ৫ বছর আগে আমরা যখন বাড়ী কিনেছিলাম তখন পাহাড়ের পদতলের এই এলাকাতে খালি বাড়ী পাওয়া ছিল বেশ দুরূহ ও ভাগ্যের ব্যাপার। যেদিন বাড়ীটা দেখলাম সেদিনই যদি অফার না করতাম, তাহলে পেতাম না। আর এখন মাসের পর মাস খালি পরে থাকছে বাড়ী বিক্রী না হয়ে। এ সবই অর্থনৈতিক মন্দার কারনে।

- একটা কোয়ার্টার হবে?

তাকিয়ে দেখলাম বেশ সুন্দর দেখতে কম বয়েসী একটি মেয়ে আমাকে প্রশ্ন করছে।

- 'সরি, আই ডোন্ট হ্যাভ চেইঞ্জ' - হাটা না থামিয়েই উত্তর দিলাম তাকে।
- 'দ্যাটস ওকে' - সুন্দর ভাবে বললো মেয়েটি।

এটা সত্যি যে আমার সাথে কোন কোয়ার্টার বা কোন খুচরা পয়সা ছিল না। আসলে খুচরা পয়সা সাধারনত সাথে রাখিনা আমি। হঠাৎ মনে পড়লো আমার পার্সে তো গত কালের রেখে দেওয়া দু'টি ডলার আছে। এই শহরে বাস ভাড়া দেড় ডলার। হয়তো মেয়েটি শুধু একটি কোয়ার্টারের জন্যে টিকিট কিনতে পারছে না।

মনে পড়লো ৬০-দশকের ঢাকার অভিজ্ঞতা। খুব সিনেমা দেখতাম তখন। এক বছরে ২০০ সিনেমা দেখার রেকর্ড আমার। পলাশীর হোস্টেল থেকে পায়ে হেটে বলাকা সিনেমাতে আসতাম সিনেমা দেখতে। ম্যাটিনির আগে একটা স্পেশাল শো হতো কম টাকার টিকিটে। টিকিটের দাম ছিল মাত্র পাঁচ-সিকা। স্পেশাল শোতে সাধারনত ইংরেজী সিনেমা বেশী দেখানো হতো। এক দিন হলে পৌছিয়ে দেখি সাথে মাত্র একটি টাকা আছে। একটি সিকির অভাবে সিনেমা দেখা হবে না, আবার হেটে ফিরতে হবে হলে, এটা ভাবতেই মনটা খারাপ হয়ে গেল। এমন সময় এক সহপাঠির সাথে দেখা হলো। বললাম শুধু একটি সিকির অভাবে টিকিট কিনতে পারছিনা না। পকেট থেকে তখনি বের করে দিল একটি সিকি। সে সব সময় খুচরা সাথে রাখতো - যে অভ্যাসটা কখনো গড়ে ওঠেনি আমার। এই মেয়েটার অবস্থাটা হয়তো সেই ছোটবেলার আমার মত।

পকেট থেকে পার্স বের করে ১ ডলারের একটি নোট মেয়েটির দিকে হাত বাড়িয়ে এগিয়ে দিলাম।

- আমার কাছে কোয়ার্টার নেই। এই ডলারটি নিতে পার।

কিছুটা যেন অবাক হলো সে। হাত বাড়িয়ে নিলো ডলারটি। আমার মুখের দিকে তাকিয়ে একটু মিস্টি হাসি দিয়ে বললো -

- তুমি খুব ভাল লোক।

এবার একটু খেয়াল করে তাকালাম তার দিকে। মেয়েটি সুন্দরী সন্দেহ নেই। মুখে ভাল মেক-আপ, এমনকি ভুরু পায়ার্সিং করে ছোট একটা রিং লাগানো। আজকাল আমেরিকাতে ১০ ডলারের লান্চ খেয়ে অন্তত ৫ ডলার টিপস না দিলে ওয়েট্রেসের মুখ থেকে হাসি দেখা যায় না - আর সামান্য একটি ডলার দিয়েই এত মিস্টি একটা হাসি পেলাম। কম বয়সী মেয়েটি হয়তো এখনো লান্চ করেনি। মেয়েটাকে কি আমার সাথে লান্চ খেতে ডাকবো? বাস ভাড়া যখন নেই, তখন খাবার পয়সাও নিশ্চয় সাথে নেই তার। ডাকবো কি ডাকবো না, চিন্তা করতে করতে দেখলাম মেয়েটা অনেকটা দূরে চলে গেছে।


Got a quarter

আমার এক স্কুলের বন্ধুর সাথে টেলিফোনে কথা বলার সময় বললাম এই গল্প। অবসরপ্রাপ্ত আর্মির জেনারেল সে। প্রতি বছরে আমেরিকা আসে তার মেয়েকে দেখতে। ঢাকাতে তার সময় কাটে দিনে গলফ খেলে আর রাতে ঢাকা ক্লাব, উত্তরা ক্লাবে বন্ধু-বান্ধবের সাথে আড্ডা মেরে। আমেরিকায় আসলে প্রায় প্রতিদিন আমাকে ফোন করে। ফলে অনেক তুচ্ছ বিষয় নিয়েও আলাপ হয়। আর কিছু তেমন আলাপ করার ছিল না তাই এই কোয়ার্টার চাওয়ার গল্প বললাম। শুনে হাসতে লাগলো সে।

- হাসির কি হলো?
- তুই সত্যিই খুব ভাল মানুষ।
- তার মানে?
- আজকাল ভাল মানুষ মানে বোকা - তা জানিস না?
- এর মধ্যে বোকামীর কি দেখলি?
- আরে আজকাল কোয়ার্টার দিয়ে কি কিছু পাওয়া যায়?
- আমিও তাই ভাবছিলাম।
- ওই মেয়েটি ছিল 'হুকার' - কোয়ার্টার চাওয়াটা ছিল তাদের কোড।
- কিন্তু মেয়েটাকে দেখেতো মনে হলো ভাল মেয়ে। দেখতে সুন্দরীও।
- এটা আমেরিকা, ভাল মেয়েরা কি হুকার হতে পারে না?
- এ সম্ভাবনা তো আমার মাথায় একবারেও আসেনি।
- ঐ জন্যেই তো মেয়েটা তোকে ভাল মানুষ বলে গেছে।

এর কিছুদিন পরে ডাউন-টাউনের মধ্যে হাটছি আবার শুনলাম সেই একই প্রশ্নঃ
- একটা কোয়ার্টার হবে?

এবার তাকিয়ে দেখলাম রোগা একটি মেয়ে - মনে হয় ভাল করে খেতে পায়না অথবা ড্রাগ-এডিক্টও হতে পারে আমাকে প্রশ্নটা করছে।

'সরি' - বলে এড়িয়ে গেলাম তাকে।

সত্যিই তো - শুধু একটা কোয়ার্টারে কি এখন কিছু হয় আমেরিকাতে?


মন্তব্য

সিরাত এর ছবি

আমেরিকার মত ধনী দেশেও স্কিড রো আছে, মানুষ হয়তো অভ্যাস বা জীবনযাত্রার কারণে নিজের এসব চাহিদা মেটাতে পারে না। আপেক্ষিক দারিদ্র্য থাকবেই যদিও। এদের বাংলাদেশ নিয়ে একখান ডকুমেন্টারি দেখালে কি লাভ হতো? হাসি

অতিথি লেখক এর ছবি

ভালই লাগল
_____________
ত্রিমাত্রিক কবি
E-mail:

তাসনীম এর ছবি

ভালো লেগেছে লেখাটা।

++++++++++++++
ভাষা হোক উন্মুক্ত

________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...

পল্লব এর ছবি

সিরাতের মন্তব্যটা মজা লাগল দেঁতো হাসি আমাদের ভার্সিটির এইদিকে একটা রাস্তা আছে, খাবারের দোকানে ভর্তি, আমরা বলি "strip"। প্রায়ই দেখি ম্যাকডোনাল্ডসের সামনে বেঞ্চে বসে দুইটা বুড়া জুস খায়। পরে শুনি, সারাদিন কোন কাজকাম নাই, মাইনষের কাছে এক-দুই ডলার "ধার" করে আর ম্যাক থেকে জুস কিনে আর বিড়ি খায়। এই হইল এই দেশী ফকিরের নমুনা।

লেখাটা ভাল লাগসে। কিন্তু আর সব পয়েন্ট ছাপায়ে যেটা মাথায় ঘুরতেসে, সেটা হল, লাঞ্চ করতে ডাকতে গিয়ে ধরা খাইতেন আরেকটু হইলে দেঁতো হাসি

==========================
আবার তোরা মানুষ হ!

==========================
আবার তোরা মানুষ হ!

অতিথি লেখক এর ছবি

লেখার টোনটা ভাল লাগল; চালিয়ে যান

-- কেমন সুর

shafquat [অতিথি] এর ছবি

বিশ্ব মন্দা শুধু আমেরিকা না গোটা বিশ্বটাকেই কুরে কুরে খাচ্ছে; এই দূর্দিনে আমেরিকার অন্য প্রেক্ষাপট লেখায় সুন্দর করে তুলে ধরেছেন। আসলে তুলনা করে লাভ নেই, বেঁচে থাকার তাগিদ থাকবে বিশ্বের প্রতিটা মানুষের যতদিন তারা বেঁচে থাকবে যত বিপদেই...
--শফকত মোর্শেদ

-------------------------------------------------------------------------
সহজ কথা যায় না বলা সহজে

অতিথি লেখক এর ছবি

অদ্ভুত এক অনুভূতি,
আপনাকে ধন্যবাদ

_____________________
বর্ণ অনুচ্ছেদ

শরিফ এর ছবি

লেখাটা ভাল লাগল। মাঝে মাঝে এই রকম অভিজ্ঞতা শেয়ার করবেন বলে আশা করি।

যাযাবর ব্যাকপ্যাকার এর ছবি

ভাল লাগছে সিরিজ পড়তে।

___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।

___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।

ইশতিয়াক রউফ এর ছবি

ভালো লাগলো লেখাটা। আমি বেকুবের মতো অনেক টাকা দিয়েছিলাম একটা বাম-কে একবার। তাও আবার বৌ ও বন্ধুর কাছ থেকে ধার নিয়ে। তাদের দুই জনের গালির পর আর দেই না কিছু এখন। খাইছে

অতিথি লেখক এর ছবি

আপনার কোয়ার্টারের গল্পটা পড়ে মজা পেলাম... যদিও মজা পাবার মতো কোন গল্প না এটা! অর্থনৈতিক অবস্থা কতোটা খারাব হলের রাস্তায় একজন সুন্দরী হুকার বেসাতী ফেরী করে বেড়ায় ভাবছি!

--- থাবা!

আব্দুর রহমান এর ছবি

আমি আছি মন্ট্রিয়লে। এইখানে এক লোক প্লাকার্ড নিয়ে দাঁড়ায়া থাকে, Down on luck, spare a buck. ঐদিন দেখি ব্যাটা ফ্রুট সালাদ খাচ্ছে, আর আমি এদিকে পয়সা বাঁচাইতে নিজে রাইন্ধা খাই, এক বাটি সালাদের দাম দিয়ে আমার একদিনের খাবার হয়ে যাবে।
------------------------------------------------------------------
এই জীবনে ভুল না করাই সবচেয়ে বড় ভুল

------------------------------------------------------------------
এই জীবনে ভুল না করাই সবচেয়ে বড় ভুল

রেদওয়ানুর রহমান লিন এর ছবি

ভালো লাগলো।

পল্লব লিখেছেন:
সেটা হল, লাঞ্চ করতে ডাকতে গিয়ে ধরা খাইতেন আরেকটু হইলে দেঁতো হাসি
হা হা, একমত

বাউলিয়ানা এর ছবি

হুম ভাল লেগেছে লেখা।

এরকম এক একটা আটপৌড়ে দিনের লেখা আরও চাই।

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।