অলখ আমেরিকা-মায়া

সাইফ শহীদ এর ছবি
লিখেছেন সাইফ শহীদ (তারিখ: বুধ, ২৮/০৭/২০১০ - ২:১৭পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

মাত্র কয়েক মাস হয়েছে আমেরিকা আসার। আমার পরিবার তখনো বাংলাদেশে অপেক্ষা করছে ভিসার জন্যে। আমি লস এঞ্জেলস-এর কাছের শহর 'সান-বারনাডিনো'-তে থাকি। এমন সময় আমাকে বদলি করা হল আরও পূর্বের শহর 'ভিক্টরভিলে'। ছোট এই শহরটি - বেশ উচুতে অবস্থিত । এর পাশেই শুরু হয়েছে ক্যালিফোর্নিয়ার মরুভূমি। গাছ-গাছালি কম এখানে।

প্রথম কিছুদিন 'সান-বারনাডিনো'-তে আগের আবাসে থেকেই দৈনিক ভিক্টরভিলে যাতায়াত শুরু করে দিলাম। রাস্তাটা বেশ সুন্দর। তবে প্রতিদিন দুই ঘন্টা করে অতিরিক্ত সময় নষ্ট হতে থাকলো। পরে ভিক্টরভিলে আবাসস্থল পরিবর্তনে কথা চিন্তা করলাম। LA (লস এঞ্জেলস) শহর থেকে ৯০ মাইল দূরের শহর এটি। অবাক হলাম, যখন জানলাম বহু লোক ভিক্টরভিলে থাকে আর কাজ করতে LA যায় প্রতিদিন। এ ধরনের শহরগুলিকে সাধারনত 'বেড রুম' শহর বলে এখানে। অর্থাৎ - লোকে শুধু রাত কাটায় এখানে, আর দিনের বাকী সময়টা ব্যয় করে তাদের কর্মস্থলে।

যেহেতু আমি তখন একলা আছি, ঠিক করলাম আলাদা এপার্টমেন্ট ভাড়া না করে, অন্য কারো সাথে শেয়ার করে থাকবো। এতে কিছুটা টাকা বাঁচবে থাকা খরচ বাবদ। একই সাথে নতুন একটা অভিজ্ঞতার সম্ভবনায় জোড়ে-সোড়ে খোঁজা আরম্ভ করলাম তেমন একটি আবাসস্থল। স্থানীয় খবরের কাগজের বিজ্ঞাপন দেখে যোগাযোগ করলাম এক দম্পতির সাথে। আমার সাথে কিছুক্ষণ কথা বলে তারা আমার সাথে সাক্ষাৎ করতে চাইলো। তাদেরকে দাওয়াত দিলাম ডিনারে। আমার চেহারা দেখে এবং আরো কিছু কথা বার্তা বলার পর তারা রাজি হলে আমাকে তাদের 'রেন্টার' বানাতে। 'পেইং গেস্ট' না বলে এখানে 'রেন্টার' শব্দটি ব্যবহার করে।

সুন্দর একটি এলাকায় মোটামুটি ছিমছাম বাড়ী তাদের। আমার তখন তেমন কিছু আসবাব পত্র ছিল না। যা ছিল, তাতেই ভরে গেলো ছোট ঘরটি। আমার কোন টিভি সেট নেই দেখে বাড়ীর মালিক, মাইকেল, তাদের অতিরিক্ত পরে থাকা একটি ছোট টিভি আমাকে আপাতত ব্যবহারের জন্যে দিলেন। ভালই লাগলো এদের সাথে থাকতে।

প্রথম দিনেই মাইকেল আমাকে পরিস্কার ভাবে জানিয়ে দিল এই বাড়ীর 'হাউস রুল'। আমার ঘর ছাড়াও লিভিং রুম (বাংলাদেশে যাকে আমরা সাধারনত ড্রয়িং রুম বলে জেনে এসেছি) ও কিচেন আমি যথেচ্ছা ব্যবহার করতে পারবো এবং ফ্রিজের এক পাশে আমার খাবার-দাবার রাখতে পারবো। তারাও এগুলি ব্যবহার করে, তাই আমি যেন দায়িত্ব সহকারে এগুলি ব্যবহার ও রক্ষণাবেক্ষণ করি। তারা কুকুর ও বিড়াল পোষে - আমি যেন তাদের সাথে সদয় ব্যবহার করি। প্রয়োজনে কোন মেয়েকে আমার ঘরে আনতে পারি, তবে এক টানা তিন দিনের বেশী তাকে রাখা যাবে না।। বেশ মজা লাগলো এই কথা শুনে। ঢাকাতে ফোনে কথা বলার সময় মমতাজকে এই কথাটা জানালাম। শুনে সে বললোঃ

- তা হলে তেমন কাউকে নিয়ে থাকো, আমাদেরকে আর কষ্ট করে ওখানে নেবার দরকার কি?
- কিন্তু তিন দিনের বেশী যে থাকতে দেবে না। রোজ রোজ নিত্য নতুন মেয়ে কোথা থেকে খুঁজে পাবো?

টেলিফোনের লাইন কেটে দিল সে।

কিছু দিন পরে জানলাম মাইকেলের সাথে লিজা নামের যে মহিলা থাকেন, যাকে আমি তার স্ত্রী হিসাবে জানি, তিনি মাইকেলের বিবাহিত স্ত্রী নন। তারা এক সাথে আছেন প্রায় ৫ বছরের বেশী। এ জিনিসটা এখানে বেশ সাধারন ঘটনা। আমি যে এ খবরে একটু অবাক হয়েছি, সেটা জেনে লিজা আরও অবাক হলো।

লিজার সাথে সম্পর্কটা ক্রমে আরও সহজ হয়ে এলো। ভারতবর্ষের ব্যাপারে লিজার প্রচন্ড আগ্রহ। দীপক চোপরার ভক্ত সে। আমি দীপক চোপরাকে চিনিনা বা তার নামও শুনিনি, শুনে আরও বিস্মিত সে। দীপক চোপরার বই দিল আমাকে পড়তে। বৃথা চেষ্টা করলাম তাকে বোঝাতে যে আসলে আমি ভারতীয় নই। আমিও আর বেশী চেষ্টা করলাম না, যখন দেখলাম তার এই প্রচন্ড ভারত ভক্তি।

পেশাতে লিজা একজন অকুপেশনাল থেরাপিস্ট। তার কাজে যাবার নির্দিষ্ট দিন ও সময় ঠিক ছিল না। মাইকেল LA-এর কাছে একটা ওয়ার্কশপে কাজ করতো। সকালে কাজে বেড়িয়ে যেয়ে তার ফিরতে সন্ধ্যা বা রাত হতো। তারা সাধারণত শনি-রবিবার বাড়ীতে থাকলেও ওই দুই দিন আমার ছুটি ছিল না। সপ্তাহের অন্য কোন দিনে ছুটি পেতাম আমি। মাঝে মাঝে আমার ছুটির দিনে দেখতাম লিজাও বাড়ীতে। গল্প হতো ঐ সময় তার সাথে।

লিজার একটা ছোট টু-সিটার স্পোর্টস-কার ছিল। এক দিন তাতে করে আমাকে নিয়ে গেল একটু দূরের একটি সুন্দর পাহাড়ী বেড়াবার যায়গায়। লোভ সামলাতে না পেরে আমার পায়ের সাধারণ জুতা পড়েই মশৃণ পাহাড়ের গা বেয়ে উঠে পড়লাম বেশ খানিকটা। নামতে যেয়ে অসুবিধায় পড়লাম। দেখলাম আমার জুতা পিছলে যাচ্ছে পাহাড়ের গায়ে। অনেক কষ্টে এটা ওটা ধরে ধরে শেষ পর্যন্ত নীচে নামলাম। লিজা নীচে বসে বসে আমার মজা দেখছিলো। বুঝলাম আমেরিকান মেয়েরা এমনই হয়। নিজে থেকে অহেতুক আগ বাড়িয়ে সাহায্য করতে আসে না।

লিজার সাথে গল্প করার সময় স্বাভাবিক ভাবে মমতাজের অনেক গল্প করতাম।

- তুমি তাকে অনেক ভালবাসো, তাই না? - প্রশ্ন করলো লিজা।
- তা বলতে পারো।
- যখন টেলিফোনে কথা বলো, তখন কতবার করে তাকে বলো, যে তুমি তাকে ভালবাসো?

তথমত খেয়ে গেলাম। মনে করার চেষ্টা করলাম শেষ কবে তাকে এই কথাটা বলেছি। মাস খানেক আগে ই-মেইলে একবার লিখেছিলাম, মনে পড়লো। টেলিফোনে কখনো বলেছি বলে মনে করতে পাড়লাম না। খুব যে টেলিফোন করি তাও না। ঢাকায় টেলিফোন করা তখন বেশ খরচের ব্যাপার।

- মনে করতে পারছি না - বললাম আমি।
- আমি মমতাজ হলে তোমার মত লোকের সাথে থাকতাম না।
- মুখে না বললে কি হবে, আমি তো তাকে খুব ভালবাসি।
- কি ভাবে বুঝবে সে, যদি মুখে না বলো?
- সে সব বোঝে। আমার চাইতে বেশী বুদ্ধি তার।

হাসতে লাগলো লিজা। আমার বোকা বোকা চেহারা আরো বোকা হয়ে গেল। ভাগ্যিস কোন আমেরিকান মেয়েকে বিয়ে করতে হয়নি আমার।

এক দিন জানালো, তার মেয়ে আসছে বেড়াতে।

- তোমাদের মেয়ে আছে? জানতাম না তো। মাইকেল তো কোন দিন তার মেয়ের কথা বলেনি।
- মাইকেলের না। আমার মেয়ে।

বুঝলাম, না জেনে বোকার মত প্রশ্ন করেছি।

- কি নাম তোমার মেয়ের?
- মায়া।
- মায়া? এটাতো ভারতীয় নাম।
- জানি। সে জন্যেই তো রেখেছি।
- মানে জানো?
- তাও জানি।
- কত বড় সে?
- ১৯ শে পা দিয়েছে এখন।
- সে তো বেশ ছোট মেয়ে তাহলে। তোমার সাথে থাকে না কেন?
- ১৮ পার হবার পর কি ছেলে মেয়েরা আর বাবা-মার সাথে থাকতে চায়।
- তা বটে। কি করে মায়া? পড়াশুনা শেষ করেছে।
- পড়াশোনাতে ওর কখনো আগ্রহ ছিল না। লস এঞ্জেলস-এর একটা ক্লাবে সে একজন 'এক্সোটিক ড্যান্সার'। মোটামুটি ভালই আয় করে।

'এক্সোটিক ডান্সার' সম্পর্কে আমার ধারণা ছিল সীমিত। এর আগে এক বার শুধু আমার বন্ধু জো-র সাথে একটা 'ষ্ট্রিপ-টিজ' ক্লাবে গিয়েছিলাম। ভালই লাগছিল দেখতে - যখন সুন্দর সুন্দর মেয়েরা নাচতে নাচতে তাদের পোষাক খুলে ফেলছিল এক এক করে। পরে জো-র সাথে আর এক দিন 'ল্যাপ-ড্যান্স' দেখতে যাবার কথা ছিল, কিন্তু ভিক্টরভিলে চলে আসায় আর সেটা হয়ে ওঠেনি। মায়া দেখতে হয়তো ঐ সব মেয়েদের মত হবে - মনে করেছিলাম।

সন্ধ্যায় কাজ থেকে ফিরে এসে মায়াকে দেখলাম। বেশ ছোটখাট পাতলা চেহারার অল্প-বয়সী একটা মেয়ে। আমার দিকে কোন আগ্রহ দেখালো না। দেখে মনে হলো খুব ক্লান্ত সে। লিজাও আমাকে তাই জানাল। খুব ক্লান্ত বোধ করায় মায়ের কাছে এসেছে দু'দিন বিশ্রাম নেবার জন্যে।


Sleeping on sofa

মাঝ রাতে আমার ঘুম ভেগে গেল পানি তৃষ্ণায়। উঠে কিচেনে এলাম ফ্রিজ থেকে নিয়ে পানি খাবার জন্যে। দেখলাম লিভিং রুমে আলো জ্বলছে। একটা সোফার হাতলে মাথা রেখে পা ভাজ করে গুটিসুটি হয়ে মায়া ঘুমাচ্ছে। দেখে মায়া হল। মনে হল যেন ছোট্ট একটা বাচ্চা মেয়ে সোফাতে ঘুমাচ্ছে। আমার নিজের মেয়ের কথা মনে হলো। কতদিন দেখিনি তাকে।

মায়া তার নিজের মায়ের বাড়ীতে অতিথীর মতো যেন। মূল বেড রুমে মা তার বয়-ফ্রেন্ড নিয়ে শুয়ে আছে। মায়ার বাবার ব্যাপারে আমি কিছু জানিনা। মায়া কতটা জানে তাও জানিনা। বাবাকে কি মায়া 'মিস' করে?

অতিরিক্ত বেড রুমটা আমার দখলে। আজ আমি না থাকলে হয়তো সেই ঘরে শুতো সে। বড় বিছানায় আরাম করে শুয়ে বিশ্রাম নিতে পারতো। আমি একা, কিন্তু বেশ বড় কিং-সাইজ একটা বেড ব্যবহার করি। আচ্ছা, মায়াকে ডেকে নিয়ে আমার বিছানার এক পাশে তো শুতে বলতে পারি। অনেক বড় বিছানা - কোন ছোয়াছুয়ি ছাড়াই ইচ্ছা করলে আমরা দু'জনে বিছানার দু'পাশে শুয়ে থাকতে পারি।

ঘুমন্ত মায়ার বাহুতে স্পর্শ করে আস্তে করে ডাকলাম - মায়া, মায়া।

গভীর ঘুমে আচ্ছন্ন সে। কোন সাড়া পেলাম না। ঘুমন্ত মায়ার পানে কিছুক্ষণ স্নেহভরা মায়াময় দৃষ্টিতে তাকিয়ে থেকে আস্তে করে ফিরে গেলাম আমার রুমে।


মন্তব্য

তাসনীম এর ছবি


দয়া-মায়া-স্নেহ-ভালোবাসা এই জিনিসগুলো সার্বজনীন এবং দেশ, কাল, স্থানভেদে পরিবর্তন হয় না। এই ব্যাপারটা সুন্দর ফুটে উঠেছে আপনার লেখায়।

আমার কোম্পানির এক সিনিওর মহিলা ম্যানেজার এক সময় এক্সোটিক ড্যান্সার ছিলেন। মহিলার সন্তানও আমাদের পাশের একটা টিমে কাজ করত। সিঙ্গেল মাদার ওই মহিলা এটা করেই সন্তান পালন করেছেন এবং পড়াশুনা শেষ করেছেন। অর্থ কষ্টে থাকা অনেক মেয়েই এটা করে, এদের মধ্যে সিঙ্গেল মাদার ও ছাত্রীও আছে প্রচুর। সম্মানের না হলেও এটা নিয়েও আমেরিকানদের বিশেষ মাথা-ব্যথা নেই।

আমার চেনা এক মহিলার ছেলের ঘরে নাতি হয়েছিল, তার ছেলে অবশ্য বিবাহিত নয়। পরে জানা গেল ওই বাচ্চাটার বাবা মহিলার ছেলে নয়। মহিলা এই গল্প খুব সাধারন ভাবেই আমাকে বলছিলেন। পরে তারা ব্যাপারটা "ওয়ার্ক আউট" করেছিলেন এবং বাচ্চাটা ওনারাই বড় করছেন। উনি নাতির মতই স্নেহ করেন বাচ্চাটাকে। এ ছাড়াও আমি কলিগ বা বন্ধুদের মায়ের বিয়ে এটেন্ড করতে দেখেছি। অনেক ঘটনা আমার কাছে অদ্ভুত লেগেছ কিন্তু এরা এতে নির্বিকার। বরং বাংগালী মুসলমানের কাজিন বিয়ে করার ঘটনা শুনে এদের চোখ কপালে উঠে যায়। স্বাভাবিক ও অস্বাভাবিকের ব্যাপারটা খুব সাবজেক্টিভ।

আমার মনে হয়েছে জীবনকে অনেক যৌক্তিক ও নৈর্বক্তিকভাবে নেয় মার্কিনিরা। বাবা-মায়ের ডিভোর্স, সৎ বাবা-মা, সৎ ভাই-বোন এগুলো কোন ব্যাপার মনে করে না এরা। ওদের সাফল্যের পিছে অনেক কারণের মধ্যে এটাও একটা কারণ বলে আমার মনে হয়।

+++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...

________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...

অতিথি লেখক এর ছবি

সাবলীল লেখা।ভাল লাগলো।

সাইফ শহীদ এর ছবি

ধন্যবাদ।

[নাম কোথায় ?]

সাইফ শহিদ

http://www.saifshahid.com

সাইফ শহীদ

অতিথি লেখক এর ছবি

আমার নাম শহিদ। খুব ব্যস্ত না হয়ে গেলে সিরিজটা কনটিনিউ করবেন কাইন্ডলি।

সাইফ শহীদ এর ছবি

এমিল,

খুব খুশী হলাম তোমার মন্তব্য পরে। আমার একটু ভয় ছিল লেখাটা নিয়ে। প্রথমে আমি এটাকে 'যুবা (১৮ বছর বা তদুর্দ্ধ)' হিসাবে তালিকাভুক্তি করতে চাইছিলাম না। আমার কাছে এটা একটা সন্তান স্নেহে কাতর বাবার অনুভুতি প্রকাশের সত্য ঘটনা মাত্র।

কিন্তু ১৯ বছরের 'এক্সোটিক ড্যান্সার' অনাত্মীয় মেয়েকে নিজের বিছানায় নিয়ে শোয়াতে চাচ্ছি - এটার পিছনে আর কোন দূরাভসন্দি আছে কিনা - এ চিন্তা সাধারণ বাঙ্গালী মানসে আসা অসম্ভব নয়।

তাই খুব ভাল লাগছে জেনে, যে সঠিক মানেই বুঝতে পেরেছো আমার লেখা পড়ে - এতেই আমার সার্থকতা।

সাইফ শহিদ

http://www.saifshahid.com

সাইফ শহীদ

পল্লব এর ছবি

ব্যাপার না। ১৮ বছর ট্যাগ না মারলেও পারতেন। মিচকা মাইনষে উলটাপালটা ভাবলেই বা কি যায় আসে?

লেখাটা ভাল্লাগসে।

==========================
আবার তোরা মানুষ হ!

==========================
আবার তোরা মানুষ হ!

অতিথি লেখক এর ছবি

আমার কাছে কিন্তু একবারও মনে হয় নি যে এখানে অন্য কোনো চিন্তা আছে। আমার কাছে বরং আপনার পিতৃস্নেহই চোঁখে পড়েছে। এটাই আপনার লেখার সার্থকতা। আর লেখাটা বরাবরের মতই ভাল লেগেছে।

অনন্ত

সাইফ শহীদ এর ছবি

অনন্ত,

ব্যাপারটা হচ্ছে যে মানুষ যেমন, সে অন্যকে সেই ভাবে দেখে। আমার এক বন্ধু আছে - অস্ট্রেলিয়া থাকে - ইঞ্জিনিয়ার এবং পি,এইচ,ডি। একবার সে বাংলাদেশে যেয়ে এক বাসের গায়ে বাংলা ও ইংরেজীতে "মামা-ভাগিনা পরিবহন" এই লেখাটা দেখে মহা খাপ্পা। দেশের লোকের কান্ড-জ্ঞান নাই, ইত্যাদি ইত্যাদি।

পরে পরীক্ষা করার জন্যে আমি তাকে কয়েটা ছবি পাঠাই। একটা ছিল প্যারিসের পওন(ট) নুই ব্রীজ - যার আর্চের সংখ্যা সিমেট্রিকাল না। ইচ্ছা করে ব্রীজের সামনে একটা মেয়ে ফুল তুলছে এমন একটা ছবি বের করে পাঠাই। বাঁকা হয়ে ফুল তুলতে যেয়ে মেয়েটার স্কার্ট একটু উঁচুতে উঠে গেছে, ফলে কিছুটা নগ্ন দেখা যাচ্ছে। আমি ভেবেছিলাম আর্চের অসম সিমেট্রির দিকে আগে নজর পরবে আমার সেই 'উচ্চ শিক্ষিত' প্রকৌশলী বন্ধুর। কিন্তু দেখলাম নগ্ন ছবির দিকেই তার নজর বেশী পড়ল।

এ জন্যেই আমার এই অতিরিক্ত সাবধানতা।

সাইফ শহিদ

http://www.saifshahid.com

সাইফ শহীদ

কেমন সুর [অতিথি] এর ছবি

কিছু মনে কইরেন না, বস. ছবিটা দেখতে মন চায়...

-- কেমন সুর

সাইদ এর ছবি

অঃটঃ বন্‌দ্ধ কিভাবে লিখে অভ্রতে কেউ কি অনুগ্রহ করে জানাবেন

সাইফ শহীদ এর ছবি

'বন্ধ' লিখতে হলে ব+অ+ন+দ+হ (b o n d h)

অথবা মাউস দিয়ে বাংলা

[প্রশ্নটা সঠিক বুঝেছি কি?]

সাইফ শহিদ

http://www.saifshahid.com

সাইফ শহীদ

সাবিহ ওমর এর ছবি

আমি একটা মুচকি হাসি দিসি কিন্তু (বিশেষ করে ছবিটা দেখার পর)। ধুশ আমি লোকটাই বদ ইয়ে, মানে...

সাইফ শহীদ এর ছবি

দোষটা আমার। ইচ্ছা করে এমন ছবি বের করেছি যাতে পাঠকের মনটা অন্য চিন্তাও করতে পারে।

সাইফ শহিদ

http://www.saifshahid.com

সাইফ শহীদ

অতিথি লেখক এর ছবি

ভাল লাগছে।


ছেড়া পাতা
ishumia@gmail.com

সাইফ শহীদ এর ছবি

শুনে ভাল লাগলো।

সাইফ শহিদ

http://www.saifshahid.com

সাইফ শহীদ

অবাঞ্ছিত এর ছবি

ছবিটা কি মায়ার?
__________________________
ঈশ্বর সরে দাঁড়াও।
উপাসনার অতিক্রান্ত লগ্নে
তোমার লাল স্বর্গের মেঘেরা
আজ শুকনো নীল...

__________________________
ঈশ্বর সরে দাঁড়াও।
উপাসনার অতিক্রান্ত লগ্নে
তোমার লাল স্বর্গের মেঘেরা
আজ শুকনো নীল...

সাইফ শহীদ এর ছবি

কি মনে হয়?

সাইফ শহিদ

http://www.saifshahid.com

সাইফ শহীদ

অবাঞ্ছিত এর ছবি

যদি হয় তাইলে আশা করি অনুমতি নিয়ে দিয়েছেন। আর না হলে যদি ছবিটা আপনার তোলা না হয়, তাইলে উত্স উল্লেখ করা দরকার মনে হয়। হাসি
__________________________
ঈশ্বর সরে দাঁড়াও।
উপাসনার অতিক্রান্ত লগ্নে
তোমার লাল স্বর্গের মেঘেরা
আজ শুকনো নীল...

__________________________
ঈশ্বর সরে দাঁড়াও।
উপাসনার অতিক্রান্ত লগ্নে
তোমার লাল স্বর্গের মেঘেরা
আজ শুকনো নীল...

হরফ এর ছবি

আপনার এই সিরিজটা ভাল লাগছে, আজকের লেখাও ভালই লাগলো, তবে ছবিটা বেশ বেমানান ঠেকলো, "নচেৎ পয়সা ফেরত" দাবিওয়ালা ঘুম-বড়ি বা আইকিয়ার সোফা-র বিজ্ঞাপন যেন হাসি অ্যাবস্ট্র্যাক্ট ছবি হলে যথোপযুক্ত হত কি?
-------------------------------------------------------------------------------------
"ছুটলে কথা থামায় কে/আজকে ঠেকায় আমায় কে"

ছুটলে কথা থামায় কে/আজকে ঠেকায় আমায় কে

সাইফ শহীদ এর ছবি

কথাটা খানিকটা ঠিক।

অ্যাবস্ট্র্যাক্ট ছবি হলে যথোপযুক্ত হত কি?

আছে এমন কোন ছবি?

সাইফ শহিদ

http://www.saifshahid.com

সাইফ শহীদ

হরফ এর ছবি

কথাটা ঠিক। গুগলিয়ে দেখলাম sleeping on a sofa খুঁজলে যে সব ছবিরা আসছে তারা বিখ্যাত হলেও সচলোপযগি নয় একেবারেই। তবে একটা পেলাম, দেখুন ক্যামন লাগে আপনার। এহহে...লিঙ্ক দিতে গিয়ে দেখছি লম্বা লেজ আর কিকরে ছবি অ্যাটাচ করে আমি জানি না। আপনি গুগলকে "sleeping painting" খুঁজতে বলুন, অনেক সুন্দর ছবি দেবে,প্রায় সব মডেলই মেয়ে এবং অনেকের মুখশ্রীতেই মায়া-র ভালনারবিলিটি, তারুন্য আর পরিশ্রান্তি মাখামাখি হয়ে আছে।

-------------------------------------------------------------------------------------
"ছুটলে কথা থামায় কে/আজকে ঠেকায় আমায় কে"

ছুটলে কথা থামায় কে/আজকে ঠেকায় আমায় কে

সিরাত এর ছবি

খুব ভালো লাগতেসে আপনার এই সিরিজটা। পাঁচ দিলাম।

পরশু থেকে নিজেই দেখার একটা সুযোগ হবে হয়তো। চোখ টিপি

সাইফ শহীদ এর ছবি

পরশু থেকে নিজেই দেখার একটা সুযোগ হবে হয়তো।

সাইফ শহিদ

http://www.saifshahid.com

সাইফ শহীদ

সৈয়দ আখতার এর ছবি

ঊর্ধ্ব - তদূর্ধ সঠিক বানান
উর্দ্ধ - ভুল

সাইফ শহীদ এর ছবি

তবে কি এগুলি ভুল?

"চল চল চল...উর্দ্ধ গগনে বাজে মাদল...নিম্নে উতলা ধরনীতল...অরুণপ্রাতের তরুণদল...চলরে চলরে চল!" - নজরুল

"৫৫। সেই দিন শাস্তি তাদের আচ্ছন্ন করবে তাদের উর্দ্ধ ও অধঃদেশ থেকে ৩৪৮৭ ; এবং [ একটি কণ্ঠস্বর ] বলবে; " তোমাদের কাজের [ প্রতিফল ] আস্বাদন কর ৩৪৮৮। " - সূরা আনকাবুত, কোরআন

সাইফ শহিদ

http://www.saifshahid.com

সাইফ শহীদ

অতিথি লেখক এর ছবি

সাইফ ভাই, কোথাও ভুল বানান ছাপা হলেই তা শুদ্ধ হয়ে যায় না। একসময় আমিও যেকোনো "মুদ্রিত অক্ষর" মানেই শুদ্ধ বলে মনে করতাম। ঊর্ধ্ব বানানটিই সঠিক। যেহেতু লেখালেখি করছেন, তাই হাতের কাছে অভিধান রাখতে পারেন বা অনলাইন ডিকশনারি ব্যবহার করতে পারেন।

আপনার অলখ-আমেরিকা সিরিজটি খুব ভালো লাগছে। চলুক। হাসি

কুটুমবাড়ি

সাইফ শহীদ এর ছবি

আমার ভাই মাত্র ক্লাশ নাইন পর্যন্ত বাংলা জ্ঞান। বাকীটা অন্যের লেখা পড়তে পড়তে।

তবে বানান সংশোধনীর নামে মাঝে মাঝে কিছুটা বাড়াবাড়ি দেখি। আমি মনে প্রানে বিশ্বাস করি 'ভাষার মালিক' জনগণ, কোন সরকারী প্রতিষ্ঠান নয়। এ ব্যাপারে ডঃ সিরাজুর রহমানের বক্তবে আমি একমত।

ভালো লাগার জন্যে অনেক ধন্যবাদ।

সাইফ শহীদ

সাইফ শহীদ

অতিথি লেখক এর ছবি

অলখ আমেরিকা সিরিজটা আমার বেশ লাগে। এ লেখাটিও ভালো লাগল। তাসনীম ভাইয়ের কমেন্টটাও ভালু।
-----------------------------------------------------------------------------------------------------

চতুর্বর্গ

সাইফ শহীদ এর ছবি

হ্যা, আমারও ভাল লেগেছে এমিলের (তাসনীম) অভিজ্ঞতার বর্ণনা।

সাইফ শহীদ

সাইফ শহীদ

সাইফ শহীদ এর ছবি

হ্যা, আমারও ভাল লেগেছে এমিলের (তাসনীম) অভিজ্ঞতার বর্ণনা।

সাইফ শহীদ

সাইফ শহীদ

দ্রোহী এর ছবি

আপনার অলখ-আমেরিকা সিরিজের ভক্ত হয়ে গেছি অনেকদিন আগেই।


কি মাঝি, ডরাইলা?

সাইফ শহীদ এর ছবি

ধন্যবাদ দ্রোহী।

সাইফ শহিদ

http://www.saifshahid.com

সাইফ শহীদ

মাহবুব লীলেন এর ছবি

পড়ছি এই সিরিজটা

মেহবুবা জুবায়ের এর ছবি

"মাস খানেক আগে ই-মেইলে একবার লিখেছিলাম, মনে পড়লো। "
এটা কী চিঠি হবে?
যখন আমরা ইমেল চালাচালি শুরু করেছিলাম,(৯০/৯১) তখন ঢাকায় ফোন করা তেমন খরচের ব্যপার ছিলো না। লস এঞ্জেলস থেকে তো খুব কম খরচে কথা বলা যেত। এটা কোন সময়ের কথা?
---যে ছবিটা পোষ্ট করেছেন, পিতৃস্নেহটা এর সাথে যাচ্ছে না। তবে " ইচ্ছা করে এমন ছবি বের করেছি যাতে পাঠকের মনটা অন্য চিন্তাও করতে পারে।" তাহলে কোন কথা নাই।
ভালো লাগলো।

--------------------------------------------------------------------------------

সাইফ শহীদ এর ছবি

মেহবুবা,

বড় কঠিন নজর আপনার। মনে করেন না এটা শুধু একটা গল্প। তা হলেতো সব মাপ, নয় কি?

চিঠিতেও হয়তো লিখেছিলাম, তবে এখানে ই-মেইলের কথাই বলেছি। আসলে আমি তখন কলিং কার্ডের কথা জানতাম না। এক মাসে দেখি ৬০০ ডলারের উপরে টেলিফোনের বিল এসেছে। তখন থেকে ঠিক করলাম সপ্তাহে এক বারের বেশী না, আর এক সাথে ৫ মিনিটের বেশী কথা বলবো না।

যে ছবিটা পোষ্ট করেছেন, পিতৃস্নেহটা এর সাথে যাচ্ছে না।

কথাটা অনেকটা ঠিক। তবে মানুষের মন এবং ভালবাসা কি সব সময় হিসাব করে চলে?
Blue lagoon - নামের সিনেমাটা কি কখনো দেখেছেন?

আপনার ই-মেইল ঠিকানা দিলে এ বিষয়ে আলাপ করতে পারি। এত মনযোগ দিয়ে আর খুটিয়ে লেখাটা পড়ার জন্যে অনেক অনেক ধন্যবাদ।

সাইফ শহীদ

সাইফ শহীদ

মেহবুবা জুবায়ের এর ছবি

গল্প তো অবশ্যই। কিন্তু আমার কাছে শুধুই একটা গল্প নয় বলেই শত কাজের মাঝেও সময় বেড় করে পড়তে আসি।
হ্যাঁ কিশোরীবেলায় লুকিয়ে ও বড়বেলায় বরের সাথে Blue lagoon ছবিটা দেখেছি।
আমি যদি ঠিক বুঝে থাকি-- সমাজ সংসারের সম্পুর্ণ বাইরে থেকে বিন্দু মাত্র sex সম্বন্দে জ্ঞান না থাকা সত্ত্বেও দুটো বিপরীত লিঙ্গের শিশু পাশাপাশি বেড়ে উঠলে they endup with having sex. মানে sex হলো spontaneous. শেখাতে হয় না। এটাই তো ছবিটার মদ্দ কথা তাইনা?
কিন্তু আপনার পিতৃস্নেহের সাথে Blue lagoon এর কী বা কোথায় সম্পর্খ বুঝতে পারলাম না।

আমার ইমেল

--------------------------------------------------------------------------------

সাইফ শহীদ এর ছবি

আমার যতদূর মনে পড়ে ঐ দুই শিশু ভাই-বোন ছিল (ভুলও হতে পারে)।

আপনাকে আলাদা ই-মেইল করলাম। অনেক ধন্যবাদ।

সাইফ শহীদ

সাইফ শহীদ

সাইফ শহীদ এর ছবি

আমার যতদূর মনে পড়ে ঐ দুই শিশু ভাই-বোন ছিল (ভুলও হতে পারে)।

আপনাকে আলাদা ই-মেইল করলাম। অনেক ধন্যবাদ।

সাইফ শহীদ

সাইফ শহীদ

রণদীপম বসু এর ছবি

চমৎকার হচ্ছে সাইফ ভাই !

অফটপিকেঃ আপনার নিম-নেইমে দেখছি সাইফ শহীদ, অথচ আপনি স্বাক্ষর করছেন সাইফ শহিদ নামে। এর মাজেজা কী ?

-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’

-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’

সাইফ শহীদ এর ছবি

রণদীপম,

অনেক অনেক ধন্যবাদ ভুলটা ধরিয়ে দেবার জন্যে। এখনি এই 'টাইপো'টা ঠিক করলাম।

সাইফ শহীদ

সাইফ শহীদ

S R Akhtar এর ছবি

বন্ধুবর সাইফ,
হ্য, এগুলিও ভুল। তবে বহুল প্রচলিত ভুল।"ঊর্ধ্ব" এভাবেই লিখা হবে। আমি ঢাকা ও কোলকাতার কয়েকটি অভিধান দেখেছি।
আখতারত

নিবিড় এর ছবি
অতিথি লেখক এর ছবি

অনেক দিন ধরে আপনার সিরিজটা দেখছিলাম কিন্তু পড়া হচ্ছিল না, আজ পড়লাম এবং ভাল লাগল। অনেক সাবলীল লেখা আপনার। এই রকম লেখা দেখলে মনে হয় - আমিও যদি এমন সুন্দর করে লিখতে পারতাম!
ভাল থাকবেন।

অনন্ত আত্মা

সানাউল্লাহ এর ছবি

সাইফ ভাই,

ফেসবুকে লিংক ধরে আপনার "অলখ আমেরিকা" ধারাবাহিকটা পড়ে যাচ্ছি। মন্তব্য করা হয় না। গত পর্বটা বাদ পরেছিল। আজ সেটাও পড়লাম।

একেবারে অন্যরকম লেখা। প্রতিটি লেখায় মানুষের জন্য আপনার ভালোবাসাটা বেশ প্রকাশ পায়। আপনার লেখার মাধ্যমে এইসব অচেনা, অজানা সব মানুষদের জন্য আমাদেরও 'মায়া' জন্মায়। এ এক অদ্ভুত ছোঁয়াচে রোগ!

ভালো থাকবেন।

লাবলু

সাইফ শহীদ এর ছবি

ধন্যবাদ লাবলু, তোমার সুন্দর মন্তবের জন্যে।

সাইফ শহীদ

সাইফ শহীদ

সাইফ শহীদ এর ছবি

ধন্যবাদ লাবলু, তোমার সুন্দর মন্তবের জন্যে।

সাইফ শহীদ

সাইফ শহীদ

ধুসর গোধূলি এর ছবি

- তা হলে তেমন কাউকে নিয়ে থাকো, আমাদেরকে আর কষ্ট করে ওখানে নেবার দরকার কি?

টেলিফোনের লাইন কেটে দিল সে।

এখানে এসে ব্যাপক মজা পেয়েছি। দেঁতো হাসি

মনের মানুষেরা খালি হুদাই, বিনা কারণে ঝারি মারে, তাই না! মন খারাপ
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক

সাইফ শহীদ এর ছবি

মনের মানুষেরা খালি হুদাই, বিনা কারণে ঝারি মারে, তাই না!

আর ভাই বলো না - এদের ছেড়ে থাকাও কষ্ট, সাথে থাকাও কষ্ট

সাইফ শহীদ

সাইফ শহীদ

অনিন্দ্য রহমান এর ছবি

পড়ার মতো সিরিজ
___________________________
Any day now, any day now,
I shall be released.


রাষ্ট্রায়াত্ত শিল্পের পূর্ণ বিকাশ ঘটুক

সাইফ শহীদ এর ছবি

ধন্যবাদ অনিন্দ্য।

সাইফ শহীদ

সাইফ শহীদ

সাইদ এর ছবি

ধন্যবাদ

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।