জীবের বিলুপ্তি ৫ঃ ফিরে আয় ম্যামথ!

সজীব ওসমান এর ছবি
লিখেছেন সজীব ওসমান (তারিখ: শুক্র, ০২/০৮/২০১৩ - ১০:৪২অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

এবছরের জুন মাসের ৫ তারিখে একটা প্রত্নতাত্ত্বিক এবং বৈজ্ঞানিক আবিষ্কার দুনিয়াজুড়ে মিডিয়াতে বেশ গুরুত্ব নিয়ে প্রকাশিত হয়েছিল। ১০,০০০ বছরের পুরানো এক উলি ম্যামথের দেহাবশেষ খুঁজে পাওয়া গিয়েছে লায়াখোভস্কি নামক এক সাইবেরিয়ার দ্বীপে। ইয়াকুটস্ক এর নর্থইস্ট ফেডারেল বিশ্ববিদ্যালয়ের আবিষ্কারক দলটি দাবি করছেন এই ফসিল থেকে তরল রক্ত পাওয়া গিয়েছে! কোন ফসিল থেকে তরল রক্ত পাওয়ার প্রথম দাবি এইটি! প্রচন্ড ঠান্ডায় বরফে প্রোথিত থাকার কারনে এইরকম রক্তরে মধ্যে জীবিত কোষ পাওয়া যেতে পারে বলেও দাবি করছেন তারা। বলছেন, যখন তারা ফসিলটি খোঁচাখুঁচি করছিলেন তখন সেখান থেকে তরল রক্ত গড়িয়ে পড়েছে।

ছবিঃ আবিষ্কৃত ম্যামথের দেহাবশেষ

বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের ম্যামথ জাদুঘরের প্রধান সেমন গ্রিগোরিভ লিখেছেন, "ম্যামথের শরীর থেকে যেই পেশী পেয়েছি তার রঙ ছিল প্রাকৃতিকভাবেই লাল। আমরা এমন একটি আবিষ্কার করতে পেরেছি কারন ম্যামথটির নিচের অংশ পুরোটাই কঠিন বরফের মধ্যে নিমজ্জ্বিত ছিল এতকাল ধরে।"

ছবিঃ আবিষ্কৃত ম্যামথের দেহ থেকে নেয়া পেশী। লাল রঙ দেখতে পাচ্ছেন

দলটি বলছে, ম্যামথের রক্তের রঙ ছিল কালচে লাল। সম্ভবত বরফ ভেদ করে পানিতে পড়ে গিয়েছিল ৫০ থেকে ৬০ বছর বয়সী ম্যামথটি এবং আর উঠতে না পেরে সেখানেই মারা যায়। ফলে নিচের চোয়াল এবং জিহ্বার কিছু অংশসহ পুরো পিছনের দিকটাই প্রায় অক্ষত রয়ে গেছে। যখন খোঁড়াখুঁড়ির কাজ চলছিল তখন যায়গাটির তাপমাত্রা ছিল -৭ থেকে -১৭ ডিগ্রী সেলশিয়াস।

গ্রেগোরিভ বলছেন প্রাপ্ত রক্তের উপাত্তটি 'অমূল্য'। এই রক্ত দিয়ে হয়তো নতুন একটি ম্যামথ ক্লোন করা যাবে, কারন তরল রক্তে জীবিত কোষ থাকার সম্ভাবনা আছে। আর সেজন্যই তারা কোরিয়ার সিউলের একটি গবেষণাগারের সঙ্গে যৌথভাবে কাজ করছেন। কিন্তু সিউলের গবেষণাগারটির নামে খুব ভাল কথা বৈজ্ঞানিক মহলে ছড়ানো নেই। গবেষণাগারটি ২০০৪ সালে মানুষের ভ্রূণ স্টেম সেল তৈরি ভূয়া খবর দিয়েছিল। ফলে বিশ্বজুড়ে এই আবিষ্কার এবং এর ক্লোনিং এর সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনার ঝড় উঠেছে।

আজকে লেখাটা এই আবিষ্কারের সম্ভাবনা নিয়েই আলোচনা। আগের লেখাটা থেকে মনে করে নিনি কি কি উপায়ে আমরা ম্যামথ ক্লোন করতে পারি। বলেছিলাম যে ম্যামথ ক্লোন করার সবচেয়ে সহজ উপায় হয় যদি ম্যামথের একটি জীবিত কোষ কোনভাবে পাওয়া যায়। স্পার্ম পাওয়া গেলে তো কথাই নেই। সেইজন্যই সম্প্রতি এই তরল রক্ত পাওয়াটা এত জরুরী একটি খবর। কিন্তু এই আবিষ্কারের সত্যতা নিয়ে অনেকেই সংশয় প্রকাশ করছেন। কেউই আসলে জানেনা ম্যামথটি থেকে পাওয়া এই অদ্ভুত তরল আসলেই রক্ত কিনা। বরফযুগের-স্তন্যপায়ী-বিশেষজ্ঞ রস ম্যাকফি বলছেন, " আমরা এই তরল বস্তুটিকে যাই বলেই ডাকিনা কেন, সেখান থেকে জীবিত কোষ পাওয়া গেলে সেটা হবে দারুন! আমি অপেক্ষা করছি আরেকটু এই নিয়ে নির্ভরযোগ্য তথ্যের।" তবে খবরটা শুনে অনেক ডাকশাইটে জীববিজ্ঞানীই জীবিত কোষের সত্যিই উপস্থিতি থাকতে পারে কিনা সেটা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করছেন।

আবিষ্কারটি নিয়ে একটা ব্যাপার এখানে বলে নেই। অনেকেই প্রশ্ন করছেন রক্ত কিভাবে -১৭ ডিগ্রী সেলশিয়াসে তরল থাকে, যেখানে আমাদের রক্ত জমাটা বেঁধে যায় -০.৬ সেঃ তাপমাত্রায়? এই বিষয়ে গ্রিগোরিভ বলছেন, "ম্যামথের রক্তে প্রাকৃতিক এন্টিফ্রিজ আছে।" এন্টিফ্রিজ হলো কোন রাসায়নিক বা প্রোটিন বা পেপটাইড যা কোষ বা জৈবিক অণুকে ঠান্ডায় জমাট বাঁধতে প্রতিরোধ করে। এদেরকে cryoprotectant ও বলে। ব্যাপারটা আসলে সত্যি হতেই পারে। আসলে ম্যামথের জেনোম বিন্যাস থেকে দেখা গেছে এর হিমোগ্লোবিন প্রোটিন (যা আমাদের দেহে অক্সিজেন পরিবহন করে) হাতির হিমোগ্লোবিন থেকে এমনভাবে পরিবর্তিত হয়েছে যে সেটা কম তাপমাত্রাতেও অক্সিজেন সরবরাহ করতে পারে। এই অভিযোজন ম্যামথকে প্রচন্ড ঠান্ডায় বেঁচে থাকতে সাহায্য করেছে। শুধু ম্যামথে নয়, শীতল পানিতে বেঁচে থাকা মাছের দেহে ঠান্ডায় বেঁচে থাকার উপায় হিসেবে এন্টিফ্রিজ প্রোটিনের ব্যবহার করতে দেখা গেছে।

ছবিঃ আবিষ্কৃত ম্যামথের দেহ থেকে পাওয়া রক্তের উপাত্ত

কিন্তু প্রাপ্ত রক্তের উপাত্ত্বে জীবিত কোষ পাওয়া কতটা যৌক্তিক হতে পারে? জীব মারা যাওয়ার কিছু পরেই ডিএনএ ভাঙা শুরু হয়ে যায়। তাই প্রায় অক্ষত ম্যামথের দেহের কোষেও যেই ডিএনএ পাওয়া যাবে সেটাও হয়তো ভেঙে যাওয়া ডিএনএ। আবার এন্টিফ্রিজ রাসায়নিক এতদিন ধরে সত্যিই রক্তকে জমাটা বাঁধা থেকে বাঁচিয়ে রাখা কতটা সম্ভব? আর সেজন্যই মিশিগান বিশ্ববিদ্যালয়ের ড্যানিয়েল ফিশার মনে করছেন যে ডিএনএ পাওয়া যাবে সেটা মোটেই ক্লোনিং এর উপযুক্ত হবেনা।

কানাডার ম্যানিটোবা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেভিন ক্যাম্পবেল এর সঙ্গে আসলে গ্রিগোরিভের দলটি যোগাযোগ করেছিলেন এই আবিষ্কার নিয়ে। গ্রিগোরিভ নাকি ক্যাম্পবেলকে বলেছেন যে এই রক্ত জাদুঘরের -১৭ সেঃ তাপমাত্রাতেও জমে যায়নি! ক্যাম্পবেল ভাবছেন তিনি এই অদ্ভুত বিষয়টা নিয়ে কিছু পরীক্ষা করে দেখবেন। কারন ম্যামথের মত প্রাণীতে ঠান্ডায় জমাট প্রতিরোধী রাসায়নিক (cryoprotectant) এর উপস্থিতি খুবই বিরল বিষয় হবে। কিছু পোকা এবং মেরুদন্ডীর দেহে জমাট-নিরোধী পেপটাইড (ছোট প্রোটিন) বা গ্লাইকোপ্রোটিন পাওয়া যাওয়া প্রসঙ্গ তুলে তিনি বলছেন-

"যদি ম্যামথের রক্তও একই রকম আচরণ করে তবে আমার জানামতে এটা হবে স্তন্যপায়ীদের মধ্যে একমাত্র উদাহরণ (যদিও মেরু অঞ্চলের ভূমি-স্কোয়ারেল এর পেট চরমঠান্ডা (-২.৯ সেঃ) পর্যন্ত যেতে পারে, তবে এর প্রক্রিয়া বুঝে ওঠা হয়নি এখনও।) যেকোন ভাবেই হোক না কেন, আমার জন্য চরমঠান্ডা রক্ত থাকতে পারাটা বিশ্বাস করাটা কঠিন। তবে কিভাবে রক্তের মত তরলটি -১৭ সেঃ এও তরল থাকে সেটা পরীক্ষা করে দেখা দাবী রাখে।"

এই নতুন ম্যামথ আবিষ্কার নিয়ে এবং এর উপর পরীক্ষাগুলি নিয়ে এখনও কোন বৈজ্ঞানিক নিবন্ধ প্রকাশিত হয়নি। আশা করছি বিজ্ঞানীর দ্রুতই আমাদের সামনে কিছু পরীক্ষালব্ধ উপাদান পেশ করবেন যা দিয়ে আসলেই এই রহস্যময় ম্যামথকে পরিষ্কারভাবে বুঝতে পারবো। বিশষ করে রক্তের মত উপাদানগুলি আসলে কি, তার মধ্যে কি আছে বা আদৌ জীবিত কোষ আছে কিনা সেটা জানতে পারাটা দারুণ হবে। সত্যিই জীবিত কোষ পাওয়া গেলে হয়তো ম্যামথ ক্লোনিং এর স্বপ্ন বিজাঞানীরা আসলেই বাস্তবায়ন করতে পারবেন।

সূত্রঃ

http://www.cnn.com/2013/05/30/world/asia/siberia-mammoth-blood-discovery/index.html

http://www.nature.com/news/can-a-mammoth-carcass-really-preserve-flowing-blood-and-possibly-live-cells-1.13103

http://news.nationalgeographic.com/news/2013/06/130601-woolly-mammoth-blood-russia-science-extinct-species-deextinction/

http://www.guardian.co.uk/environment/nature-up/2013/jun/07/deextinction-critics-scientific-american


মন্তব্য

সাক্ষী সত্যানন্দ এর ছবি

পপকর্ন লইয়া গ্যালারীতে বইলাম

এবার ধুম করে শেষ হয়ে গেল মন খারাপ

____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?

সজীব ওসমান এর ছবি

হুম

তারেক অণু এর ছবি

অপেক্ষা করছি! সাইবেরিয়া চলেই যামু, দাঁড়ান-

সজীব ওসমান এর ছবি

চলে যান। আমাদেরকেও ছবি দেখান!

শেষ প্রশ্ন এর ছবি

যদি রক্তে জীবিত কোষ পাওয়া যায় ব্যাপারটা কি দারুণ হবে সেটায় ভাবছি! আপনার লেখা সবসময়ের মত ভালো লেগেছে হাসি

সজীব ওসমান এর ছবি

হাসি

রণদীপম বসু এর ছবি

দশ হাজার বছরের পুরনো ম্যামথে তরল রক্ত, বিষয়টাই কেমন কেমন ! কে জানে, প্রকৃতির কতো বিচিত্র রহস্যই তো আমাদের অজানা এখনো ! দেখা যাক্ কী হয় !!

-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’

সজীব ওসমান এর ছবি

দেখা যাক

তীর্থ চক্রবর্তী এর ছবি

পপকর্ন লইয়া গ্যালারীতে বইলাম
‘জুরাসিক পার্ক’ সিনেমার কথা মনে পরে গেল...কেমন চমৎকার হবে যদি চিড়িয়াখানায় গিয়ে একটা ম্যামথকে হেঁটেচলে বেড়াতে দেখি!

সজীব ওসমান এর ছবি

হাসি

সজীব ওসমান এর ছবি

প্রাণীদের শুধু 'মানুষ ছাড়া অন্য জীব' হিসেবে দেখলে আসলেই কোন দরকার নাই ফিরিয়ে আনার। অনেকেই এমন মনে করেন।

কিন্তু একটা প্রাণী কোন জাতি বা দেশ বা গোত্রের গর্ব হতে পারে, তাদের একধরনের আইডেন্টিটি হতে পারে। যেমন, রয়েল বেঙ্গল টাইগার বিলুপ্ত হয়ে গেলে আমাদের মনেই হতে পারে, 'আহা, যদি আবার এরা আমাদের বনে ঘুরে বেড়াতো!'

তেমনি অষ্ট্রেলিয়ার গ্যাষ্ট্রিক ব্রুডিং ব্যাঙ, বা স্পেইনের আইবেক্স, রাশিয়া-আলাস্কা-কানাডার জন্য ম্যামথ ইত্যাদি।

আবার আরেকটা বিষয় হলো কৌতুহল। মানুষ, বিশেষ করে বিজ্ঞানীদের কৌতুহল হয় অপরিসীম। কেমন ডাইনোসর দেখতে ছিল, তাদের আচরণ ছিল এসব খুঁজে পেতে বিজ্ঞানীরা স্বাভাবিকভাবেই চান।

মাহবুব লীলেন এর ছবি

আমার প্রশ্নটা বেশ বোকা কিসিমের; আচ্ছা বিলুপ্ত হয়ে যাওয়া প্রাণীকে ফিরিয়ে আনার দরকারটা কী?

স্যাম এর ছবি

পড়ে যাচ্ছি, লেখা চলুক।

সজীব ওসমান এর ছবি

হাসি

অতিথি লেখক এর ছবি

ফিরিয়ে আনার শেষ নাই, আনার চেষ্টা বৃথা তাই দেঁতো হাসি
তবে লেখা ভাল্লাগসে, তাই লেখা চলুক।
- একলহমা

সজীব ওসমান এর ছবি

হাসি

ত্রিমাত্রিক কবি এর ছবি

রক্ত তরল থাকলেই কি কোষ জীবিত থাকবে? আমরা যখন রক্ত দেই, সেই রক্ত কি ফ্রিজে রাখলেই অনির্দিষ্টকাল পর্যন্ত জীবিত কোষ নিয়ে একেবারে ঠিকঠাক থাকবে? আমাদের রক্ত কতক্ষণ পর্যন্ত ঠিকঠাক থাকে? সন্দেহজনক লাগছে আসলেই ব্যপারটা। সেরকম কিছু হলে কোন পেপারই বা পাব্লিশ করলেন না কেন ওনারা? কে জানে, দেখা যাক!

_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই

সজীব ওসমান এর ছবি

রক্ত তরল থাকার সঙ্গে জীবিত কোষ থাকার সম্পর্ক হলো, যদি রক্ত তরল থাকে তার মানে কোন এন্টিফ্রিজিং উপাদান রক্তে ছিল যা কোষটিকে জমিয়ে ফেলেনি। ধীরগতির ফ্রিজিং কোষকে ভেঙে মেরে ফেলার কথা। ফলে এই তরলে অন্ততঃ রক্তের কোষ থাকাটা স্বাভাবিক।
আমাদের রক্তে যদি এন্টিফ্রিজিং দেয়া যায় তবে সাধারন সময়ের চেয়ে বেশি সময় জীবিত কোষ বেঁচে থাকার কথা জমাট বাঁধা তাপমাত্রায়। আমার জানামতে ৪ সেঃ তাপমাত্রায় ৯০ দিন আমরা আমাদের রক্তকে সংরক্ষণ করে রাখতে পারি। তবে শূণ্যের নিচের তাপমাত্রায় আমাদের কোষ ভেঙে যাবে।
নিবন্ধ প্রকাশ করেন নাই কারন- সাধারনত এই আবিষ্কারগুলি খুঁজে পাওয়ার পরপরই জানিয়ে দেয়া হয় সবাইকে। গুরুত্বপূর্ণ ডাইনোসর ফসিলও এরকম। খুঁজে পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে জানিয়ে দেয়া হয় মিডিয়াতে। পরে এর উপর বিজ্ঞানীরা গবেষণা করে নিবন্ধ প্রকাশ করেন।

অতিথি লেখক এর ছবি

দেখা যাক কি হয়!
তবে আমি অবশ্যই ম্যামথ ক্লোন করার পক্ষে নই!

-এস এম নিয়াজ মাওলা

সজীব ওসমান এর ছবি

দেখা যাক। কিন্তু আপনি কেন ম্যামথ ক্লোন এর পক্ষে নন সেটা উল্লেখ করলে ভাল হত।

প্রোফেসর হিজিবিজবিজ এর ছবি

লেখা চলুক।

____________________________

সজীব ওসমান এর ছবি

হাসি

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

যেগুলা আছে সেগুলোই তো দিনে দিনে বিলুপ্ত হয়ে যাচ্ছে... ম্যামথ আবার পয়দা করে লাভ কী?

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

সজীব ওসমান এর ছবি
তীর্থ চক্রবর্তী এর ছবি

শুধু কৌতূহল কেন, একধরনের বিস্ময়-ও তো জাগবে তাতে...হাজার হাজার বছর আগের একটা জানোয়ার আজকের পৃথিবীতে...যদিও সেটা খোদার ওপর খোদকারি, তবে মানুষের তো সেটাই অভ্যেস...বংশগতি সংক্রান্ত একটা দেখা দেবে দুই লিঙ্গের প্রাণী সৃষ্টি হলে...একদিকে কৌতূহল আর বিস্ময় আরেকদিকে অমানবিকতা..ব্যাপারটা ভাবাবে,বড় বিতর্কের জন্ম দেবে যদি সত্যি কিছু সম্ভব হয়...

সজীব ওসমান এর ছবি

চলুক

অতিথি লেখক এর ছবি

ম্যামথ ফিরে এলে মন্দ হবে নামনে হয়। দেখা যাক শেষব্দি কী হয়। লেখা ভালো লেগেছে।

স্বয়ম

সজীব ওসমান এর ছবি

হাসি

আয়নামতি এর ছবি

জটিল অবস্হা দেখি! ঘটনা সত্যি সত্যি ঘটে গেলে দারুণ একটা ব্যাপার হবে কিন্তু।

সজীব ওসমান এর ছবি

সত্যিই দারুণ হবে!

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।