গবেষণাগারে তৈরি কৃত্রিম মাংস - কিছু ভাবনা

সজীব ওসমান এর ছবি
লিখেছেন সজীব ওসমান (তারিখ: শুক্র, ০৪/১২/২০২০ - ২:৪৩পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

জানেন হয়তো, গবেষণাগারে তৈরি মাংস প্রথমবারের মতো বাজারে আসছে এই মর্মে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে আজকের সংবাদ মাধ্যমগুলোতে। দুয়েকটা খবর আমি নিচে দিয়ে দিলাম। আজকে এর ধরনধারন নিয়ে বেশি কিছু লিখবোনা, তবে কৃত্রিম মাংস-কেন্দ্রিক চিন্তাভাবনাগুলো বন্টন করছি। মূলতঃ আপনাদের সাথে আলোচনার খাতিরে এবং মতামত পাওয়ার ব্যাপারে এই পোস্ট। পৃথিবীর খাদ্যব্যবস্থাকে আমূল পরিবর্তন করে দেয়ার সম্ভাবনাসহ এমন একটা পদ্ধতি নিয়ে সবাই নিশ্চয়ই আগ্রহী।

গবেষণাগারে পশুর পেশির কোষ (সাধারণত) বংশবৃদ্ধি করায়ে এমন 'কৃত্রিম মাংস' তৈরি করা হয়। কোষগুলা বংশবৃদ্ধি শুরু করা হয় নিধিকোষ বা স্টেমসেল দিয়ে। বিশেষায়িত নিধিকোষ ব্যবহার করা চলে। যেমন, পেশির মাংস তৈরি করতে চাইলে একরকম নিধিকোষ, কলিজার মাংসের জন্য আরেকরকম নিধিকোষ ব্যবহার করা যায়। কোষগুলো নিয়ে গবেষণাগারে খাদ্য দিয়ে সংরক্ষণ করলে এরা বংশবৃদ্ধি করতে শুরু করে। খাবারের মধ্যে থাকে এমিনো এসিড, ভিটামিন, শর্করা ইত্যাদি। মূলতঃ আমরা যেগুলো খাই তার সরলতর উপাদানগুলো দিয়েই কোষের খাদ্য তৈরি হয়। এইরকম কোষের খামার ব্যবস্থার কোষকে বলে লালনকোষ (কালচারড সেল), খাবারকে বলে লালন মাধ্যম (কালচার মিডিয়াম)। এভাবে পর্যাপ্তপরিমান খাদ্য এবং সঠিক পরিবেশে কোষের সংখ্যা বৃদ্ধি করিয়ে অনেক পরিমান পেশি উৎপাদন করা সম্ভব।

এবার চলুন কয়েকটা বিষয় ভাবি -

প্রাণ হত্যা?

অনেকে বলছেন কৃত্রিম মাংস বাজারে আসলে মাংসের জন্য আর এতো প্রাণী হত্যা করা লাগবেনা। ঘটনা সত্য। তবে একটু ভিন্নভাবে ভাবলে দেখা যায় অন্য বিষয়। কেউ যদি বলতেন আর 'প্রাণ' হত্যা করা লাগবেনা তখন সেটা মিথ্যা হতো। কারন গবেষণাগারে বংশবৃদ্ধি করা সবগুলা কোষেরই প্রাণ আছে। আমাদের গবেষণাগারে আমরা প্রতিনিয়ত এমন কোষ বংশবৃদ্ধি করাই। আপনার নিজের কোষও এইভাবে দেহের বাইরে বংশবৃদ্ধি করাতে পারবেন। দেহের বাইরে গেলেই একটা কোষ প্রাণহীন হয়ে যায়না। অতএব, কৃত্রিমকোষ হলেও প্রাণ হত্যা ঠিকই হচ্ছে। প্রাণী হত্যা হচ্ছেনা। সেটাই সুখের বিষয় ভাবতে পারেন। আমরা কোষকে কোন সম্পূর্ণ প্রাণীর চেয়ে বেশি 'জড়' ভাবতে স্বাচ্ছন্দবোধ করি।

ভেগান বা শাকাহারিগণ কী ভাবছেন?

উপরের যুক্তিতে ভেগানরা তাদের খাদ্যাভাসের পেছনে যুক্তি দিতে ঝামেলায় পরবেন। একটু ব্যাখ্যা করি। প্রথমতঃ গবেষণাগারে তৈরি মাংস প্রাণী উৎস থেকে তৈরি বিধায় শক্ত-শাকাহারিগণ একে খেতে চাইবেন না, স্বাভাবিকভাবেই। কিন্তু তাদের যে যুক্তি শোনা যায় প্রায়ই - প্রাণীহত্যা করে খাবার তারা খাবেন না - এই যুক্তিতে ঝামেলা বাঁধবে। গবেষণাগারে তৈরি মাংসে কোন প্রাণী হত্যা হচ্ছেনা। এই চিন্তা থেকে শাকাহারিগণ নিজেদেরকে মাংসাশী বানাতে চাইবেন কিনা সেটা ব্যক্তিগত ব্যাপার।

গবেষণাগারে তৈরি গরুর মাংস কি হালাল হবে?

এইটা একটা ঝামেলার প্রশ্ন। বেশিরভাগ বাংলাদেশিই বিদেশের দোকানগুলো থেকে মাংস কিনে খান না, যদিনা সেই মাংসের ওপরে 'হালাল' লেখা থাকে। খ্রিষ্টানপ্রধান দেশে অনেকের যুক্তি হলো খ্রিস্টানদের কতল করা প্রাণী খাওয়া জায়েজ, সেজন্য খাওয়া চলে। আবার অনেকের যুক্তি হলো খাওয়ার আগে বিসমিল্লাহ বলে নিলেই হয়। তবে আমি ধারণা করি মুসলিম বিশ্ব এইধরনের মাংস গ্রহণ করতে সময় নেবেন। দেখা যাবে পৃথিবীর বেশিরভাগ দেশেই গবেষণাগারের মাংস চললেও বেশিরভাগ মুসলিম বিশ্ব খামারের ওপর নির্ভর করছেন মাংসের চাহিদা মেটাতে। তখন আরেকটা যেই ঝামেলা হবে তা হলো মুসলিম পৃথিবীতে মাংসের যোগান কমে যাওয়া। নিজেদেরই চাহিদা মেটাতে হবে। তবে এই কেন্দ্রিক ব্যবসা কারও কারও জন্য সেজন্য বেশ লাভবান হতে পারে। প্রাণীর মাংস তখন 'একজোটিক' খাবার হবে!

পরিবেশের ক্ষতি কতটুকু?

যদিও মাত্র তৈরি এবং বাজারে আসা শুরু হলো তারপরও বোঝা যাচ্ছে গবেষণাগারে তৈরি মাংস অনেক বেশি 'সবুজ' হওয়ার কথা। যেমন, একটা তথ্য বলছে গবেষণাগারে মাংস তৈরিতে খামারব্যবস্থার চেয়ে ৪৫ শতাংশ কম বিদ্যুৎ বা অন্যান্য শক্তি খরচ, ৯৯ শতাংশ কম জমি ব্যবহার এবং ৯৬ শতাংশ কম গ্রীণহাউজ বায়ু নির্গত হয়।

প্রাণীহত্যা কেন্দ্রিক নৈতিকতার পরিবর্তন ঘটবে

এই নতুন বানিজ্যের কারনে যদি আসলেই বিশ্বে প্রাণীহত্যা কমে যায় তবে খাবারের জন্য প্রাণীহত্যার ব্যাপারে আমাদের মনে আরও সংবেদনশীলতার জন্ম নেবে। আপনারা জানেন, কোন সমাজে আগে যেসব চর্চা খুব স্বাভাবিক ছিলো সেগুলোকে এখন আমরা অপরাধ বা খারাপ বলে গণ্য করি। আমরা দিন দিন আরও বেশি মানুষ হচ্ছি বলে। এসব পরিবর্তিত চিন্তা এবং সামাজিক চিন্তার মানের অনেকগুলো উদাহরণ দেয়া চলে। বাল্যবিবাহ, নারীকে স্বাধীনভাবে চলতে দেয়া, ত্বকের রঙের কারনে বিদ্বেস ইত্যাদি আমরা যেমন পরিবর্তন করেছি। প্রাণীহত্যা রোধের আন্দোলন কি একইরকম বেগ পাবে? সেটা একটা বড়সড় গবেষণার বিষয়। আমরা এখন শুধু আগাম কিছু কিছু ভাবতে পারি।

প্রাণীহত্যা বন্ধ হলে এই কেন্দ্রিক উৎসবগুলার কী হবে সেটা অবশ্য বেশ আপেক্ষিক প্রশ্ন।

গরুগুলোর কী হবে?

বিশালাকার ক্ষেত্রে গবেষণাগারে এই মাংসবানিজ্য প্রতিষ্ঠা করতে বেশ বড় পরিসরের প্রয়োজন। তবে সেটা অবশ্যম্ভাবি ভাবেই খামার করার চেয়ে কম ক্ষতিকর পৃথিবীর জন্য। আমি চিন্তা করছি অন্য কথা, যখন খাওয়ার জন্য প্রাণীহত্যা একেবারেই বন্ধ হয়ে যাবে তখন আমাদের গরুগুলোর কী হবে? আরেকটু বিস্তৃতভাবে বলতে গেলে বলা চলে আমাদের খাদ্যাভাসের কারনে যত প্রাণিকে গৃহপালিত হিসেবে তৈরি করেছি তারা বনে বেঁচে থাকার উপায় হারিয়ে ফেলেছে তাদের স্বভাব থেকে। সেজন্য তাদেরকে আবার বনে ফিরে যেতে তো ঝামেলায় পরবে। অবশ্য কয়েক বছর আগে একটা খবর বেশ মজাদার হয়েছিলো - এক গরু বুনো বাইসনদের সাথে মিশে গিয়ে তাদের দলের একজন হয়ে গিয়েছিলো এবং বেশ আনন্দেই ঘুরে বেড়াতো। প্রশ্ন হলো, আমরা কি জানি কোন প্রাণিকে কিভাবে বুনো বানানো যায়?

এই চিন্তাগুলোর পাশাপাশি আমার মাথায় আরও কিছু ভাবনা ঘুরছে। যেমন, দাম কেমন হবে, মাংসের পুষ্টিমান নিয়ন্ত্রণ কতটুকু সম্ভব, চাইলেই যেকোন স্বাদের মাংস তৈরি করা যাবে কিনা ইত্যাদি তার মধ্যে কয়েকটা। আপনার ভাবনা কী? চলুন আলোচনা করি।


https://www.vox.com/future-perfect/2020/12/2/22125518/lab-grown-chicken-meat-singapore-bioreactor-approve
https://www.cnn.com/2020/12/02/business/lab-grown-chicken-intl-scli-scn/index.html


ছবি, দ্য আটলান্টিক


মন্তব্য

হিমু এর ছবি

গ্রহান্তরের ঘাঁটিগুলোয় এই প্রযুক্তি কিছুটা কাজে আসবে। পৃথিবীতে যত দিন যাচ্ছে, সামুদ্রিক মাছের ফলন কমছে, এমনটা পড়েছিলাম কিছুদিন আগে। সস্তা আমিষের চাহিদা মেটানোর জন্যে খামারের ওপর বরং চাপ বাড়তে পারে। আরেকটা বিকল্প নিয়ে বেশ কথাবার্তা হচ্ছে, সেটা কীটজ আমিষ। দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় পোকার বাজার বেশ রমরমা, সেখানে ঝিঁঝির খামার আছে অনেক; "ঝিঁঝির আটা" এখন ইয়োরোপ আর উত্তরামেরিকাতেও চলে এসেছে।

এরকম ভর্তার মতো মাংস বার্গারের পুর বা আঁতুরি (সসেজ) হিসেবে খাবারে সহজে যোগ করা যাবে। যারা মাংসের চাপ (স্টেক) বা টুকরো (গুলাশ) খেতে চায়, তাদের জন্যে আবার বাড়তি কয়েক দফা প্রক্রিয়া চালাতে হবে। তাতে খরচ বেড়ে কোথায় যাবে সেটাও দেখতে হবে।

বিজ্ঞানের গোস্ত খেয়ে দেখেছেন নাকি এর মধ্যে?

সজীব ওসমান এর ছবি

ঠিক বলেছেন, গ্রহান্তরে পাড়ি জমাতে গেলে গরু নেয়ার চেয়ে কোষ তৈরির উপাদান নেয়া সুবিধাজনক।

কীটের ব্যাপারটাতো তবুও জীবের খামার হয়। তবে অন্যান্য আমিষের উৎসের খামারের চেয়ে কম ক্ষতিকর শুনেছি। কখনও খাওয়া হয়নাই এরকম বিকল্প আমিষ, যদিও।

আমার ধারণা এখন শুধুমাত্র খুব কম সংখ্যক ধরনের মাংস পাওয়া যাবে, লোকজনকে সেজন্য খাওয়াতে কষ্ট হতে পারে। ধীরে ধীরে বিভিন্ন পদের মাংস বেরোবে। তবে যেই প্রাণি খুব বিরল তাদের শুধু নিধিকোষ সংগ্রহ করে গবেষণাগারে তৈরি করা গেলে বেশ। সবচেয়ে ভালো হতো যদি 'চৈনিক ঔষধের' নামে যে প্রাণীদের মারা হয় সেই প্রাণীদের দেহের অংশগুলা তৈরি করে বাজারে ছেড়ে দেয়া। নকল শিং ছাড়লে যে পরিবর্তন আসে সেরকম।

গোস্ত খাইনাই, ইচ্ছা আছে!

হিমু এর ছবি

বিজ্ঞান কি ঝোপেঝাড়ে না পিটিয়ে সোজা চীনাদের জন্য একটা করে চিরদণ্ডায়মান নুনু বানিয়ে দিতে পারে না? তাহলে তো আর বাঘের নুনু গণ্ডারের শিং তক্ষকের যকৃত ধনেশ পাখির তেল ইত্যাদি উত্থানবান্ধব অঙ্গপ্রত্যঙ্গের ওপর বাড়তি চাপ পড়ে না।

তারেক অণু এর ছবি

'বিজ্ঞান কি ঝোপেঝাড়ে না পিটিয়ে সোজা চীনাদের জন্য একটা করে চিরদণ্ডায়মান নুনু বানিয়ে দিতে পারে না? তাহলে তো আর বাঘের নুনু গণ্ডারের শিং তক্ষকের যকৃত ধনেশ পাখির তেল ইত্যাদি উত্থানবান্ধব অঙ্গপ্রত্যঙ্গের ওপর বাড়তি চাপ পড়ে না।" গুল্লি মোক্ষম

সজীব ওসমান এর ছবি

হেহে.. ঐটা বানানোর চেয়ে সুবিধাজনক এইসব খাদ্যাভ্যাসীদে গোমরাহ করা, 'নকল' পণ্য দিয়ে।

মন মাঝি এর ছবি

হারাম-হালাল ইস্যুটা নিয়ে মুসলিম দেশগুলিতে সিরিয়াস সমস্যা হবে মনে হয়। শুধু বিসমিল্লাহ বলা না, "জবাই" করাও লাগে মনে হয়। অন্তত অনেকেই সেরকম মত দিবেন। এর উপর বাংলাদেশিদের রয়েছে খাবারের ব্যাপারে অবিশ্বাস্য ফিনিকিপনা! আমরা ফার্মের মুরগি বা উন্নত ব্রীডের বিদেশি গরুর মাংসই খেতে চাই না, সেখানে ল্যাবের মাংস??? হা হা হা!

****************************************

সজীব ওসমান এর ছবি

কয়েকটা রেস্টুরেন্টে চালু করে দেয়া গেলে চলতেও পারে। আমাদের আরেকটা গুণ আছে - হুজুগেপনা।

সত্যপীর এর ছবি

যেমন, দাম কেমন হবে, মাংসের পুষ্টিমান নিয়ন্ত্রণ কতটুকু সম্ভব, চাইলেই যেকোন স্বাদের মাংস তৈরি করা যাবে কিনা ইত্যাদি তার মধ্যে কয়েকটা। আপনার ভাবনা কী? চলুন আলোচনা করি।

আমার ভাবনা হল, জিনিসটা খাইতে কেমন হবে। চলুন সেবিষয়ে আলোচনা করি।

এই মাংস হাতে পাইলে আমি প্রথমে একটা বড় স্টিলের পাতিল নিব। সেইটাতে মাংস, কিঞ্চিৎ সরিষার তেল, লবণ, দুইটা ডিম, দুধে ভিজিয়ে নেওয়া তিন স্লাইস সাদা পাঁউরুটি, ব্রেডক্রাম্ব (চিজ ছাড়াটা), অল্প এক ছিটা কেচাপ আর ৩/৪ চামচ রাঁধুনি কাবাব মশলা দিয়া দিয়া ইচ্ছামত মাখায় ফেলব। তারপর হাত ধুয়ে (কিন্তু না মুছে) তাওয়া গরম তেলে এক ছিটা পানি দিয়ে দেখব ছ্যাঁত করে জ্বলে ওঠে কিনা পুরাতন প্রেমিকার অভিমানের মত। ছ্যাঁত শব্দ হলে মাখানো মাংস প্রথমে গোল তারপরে চ্যাপ্টা করে বসায় দিব গোটা দশেক আধা ডুবা তেলে। বাদামি হয়ে আসলে চামচ দিয়ে উল্টায় দিব। দুইদিক রান্না হয়ে গেলে তুলে টেষ্ট করে দেখব লবণ্টবণ মশলাটশলা ঠিকাছে কিনা। এরপর পুনরায় ফ্রাইং রাউন্ড টু।

সব হই গেলে নান্দোস স্পাইসি মেয়ো দিয়ে খেতে খেতে পাখির ওড়াউড়ি দেখব আর ভাবতে থাকব জীবনে কী পেলাম আর কী পেলাম না।

..................................................................
#Banshibir.

সজীব ওসমান এর ছবি

ভালো রন্ধনপ্রণালী বললেন তো।

পশ্চিমে হাড্ডির বড় অপচয় হয়। আমাদের মাংসের স্বাদ অনেকখানি হাড্ডিকেন্দ্রিক গজানো। সেইজন্য কতোটা স্বাদের হবে সেইটা হইলো কথা। বার্গার বুর্গার নিরাপদ অপশান এইদিক দিয়ে।

নৈষাদ এর ছবি

ব্যাপারটা বোঝার চেষ্টা করছি ।
গবেষণাগারে তৈরি মাংস – ধারনাকরি কোন নির্দিষ্ট আকারহীন হাড়-ছাড়া একধরনের মাংসপিন্ড?

সজীব ওসমান এর ছবি

হুম। সেইটাই একটা ঝামেলা। আমরা হাড্ডিওয়াল মাংস বেশি পছন্দ করি। অনেক দেশেই ব্যাপারটা ভিন্ন। তবে বার্গার সেইজন্য সবচেয়ে ভালো অপশান মনে হইতেসে আমাদের জন্য।

এক লহমা এর ছবি

ভালো লাগল পড়ে (যেমন আশা করেছিলাম হাসি )।

--------------------------------------------------------

এক লহমা / আস্ত জীবন, / এক আঁচলে / ঢাকল ভুবন।
এক ফোঁটা জল / উথাল-পাতাল, / একটি চুমায় / অনন্ত কাল।।

এক লহমার... টুকিটাকি

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।