নিরাময়

সুলতানা পারভীন শিমুল এর ছবি
লিখেছেন সুলতানা পারভীন শিমুল (তারিখ: বুধ, ০৫/১১/২০০৮ - ২:৫২অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

০২.১১.২০০৭

পাহাড়ের ওপরে অনেকখানি জায়গা জুড়ে ছাড়াছাড়াভাবে বিস্তৃত এক উপাসনালয়। এটা কোনো মন্দির, মসজিদ না মাজার, ঠিক জানিনা। তবে মনের মধ্যে খুব ক্ষীণ বুদবুদ, দু-একটা বুদ্ধমূর্তি বোধহয় দেখেছি। যাই হোক, আমার সাথে ছিলো আব্বা-আম্মা। তারা এসেছে স্বল্পায়ু মেয়ের দীর্ঘজীবন কামনায়। একটাই মাত্র মেয়ে। তিনমাস মাত্র আয়ু যার, তার অনিশ্চিত সুস্থতার জন্য তাদের চেষ্টার কমতি নেই। আর আমি ঘুরে বেড়াচ্ছি চন্চলা হরিণীর মতো।

প্রার্থনার জন্য অনেকগুলো জায়গা আছে। সেসব জায়গায় দাঁড়িয়ে অনেকেই প্রার্থনা করছে। আব্বা-আম্মাও করছে। কিন্তু আমি সবখানে গিয়ে শুধু কিছুক্ষণের জন্য সামনে দাঁড়াচ্ছি। কোনো প্রার্থনা করছি না। কোথাও হাত ধুচ্ছি। কোথাও খাচ্ছি। কোথাও দেয়ালের নকশা ছুঁয়ে দেখছি। মূল যে প্রার্থনাঘর আছে, সেটা বিশাল একটা হলঘর। উঁচু বেদীতে উঠে একপাশ থেকে শুরু করে ধীরে ধীরে প্রার্থনা করতে করতে অন্যপাশ দিয়ে নেমে আসতে হয। একজন ধর্মযাজক রয়েছেন। নিয়মের ব্যতিক্রম হলেই তিনি শুধরে দিচ্ছেন।

এখানেও আমি যথারীতি চন্চলভাবে নড়াচড়া করছি। বেদীর উপরে উঠেও প্রার্থনার কোনো তাড়ণা আমি নিজের ভেতর অনুভব করছি না। তবে এখানে এলেই সবাই কেমন শান্ত আর সৌম্য হয়ে যাচ্ছে, এটা খেয়াল করলাম। একহাতে পড়ে যাওয়া স্কার্ফ মাথায় তোলার চেষ্টা, আর অন্য হাতে কিছু জিনিস আঁকড়ে ধরে রাখার চেষ্টা করছি। এর ফাঁকে একপাশ থেকে অন্য পাশে সরে যাচ্ছি। সেই ভদ্রলোক আমাকে উদ্দেশ্য করে গম্ভীর কন্ঠে বললেন, ”যদি একাগ্রভাবে প্রার্থনা করতে না পারো, তবে সরে এসো।” কথাগুলো ঠিক কানে যাওয়ার সাথে সাথেই আমি আঁকড়ে থাকা জিনিসগুলোর অস্তিত্ব হারিয়ে ফেললাম। স্কার্ফটা মাথায় তুলে দিলাম। দুহাত জোড় করে প্রার্থনা শুরু করলাম।

প্রার্থনা পুরোপুরি শেষ হবার আগেই আমি অনুভব করলাম, আমার শক্তি সব নিঃশেষ হয়ে যাচ্ছে। আমি বেদীর ওপরেই টলে পড়ে যাচ্ছি। তারপর, সে এক অদ্ভুত অনুভূতি । শরীরের ভেতর থেকে বেরিয়ে এলাম আমি। এলাম না। আমাকে বের করে আনা হলো। ওরা কারা আমি জানি না। তবে আমাকে ধরে শূণ্যে তুলে নিয়ে চললো ওরা। আমি ওপর থেকেই সব দেখতে পাচ্ছি। হলঘর পার হয়ে সিঁড়ি... আশ্চর্য ! সিঁড়ি বেয়ে আব্বা-আম্মার সাথে খুব স্বাভাবিক ভঙিতে ফিরে যাচ্ছি পুরোনো আমি। ওরা কেউ জানতেও চায়নি, আমি কেন বেদীতে ওভাবে পড়ে গিয়েছিলাম। তারমানে কি ব্যাপারটা ঘটেইনি? বুঝতে পারছি না। সে চেষ্টাও তখন করছি না।

ওরা আমাকে নিয়ে আরো - আরো ওপরে উঠে যাচ্ছে। আস্তে আস্তে উপাসনালয়ের গম্বুজ, গাছপালা, নদী, বিল্ডিং, সব চোখের সীমানায় ছোট হয়ে আসতে আসতে একসময় মিলিয়ে গেলো। আরো কিছুণ শূণ্যতায় ভাসার পর আমার গন্তব্যস্থলে নামিয়ে দেয়া হলো। আশেপাশে কুয়াশার মতো পর্দা। কিচ্ছু দেখতে পাচ্ছি না। কোথাও কিছু দৃশ্যমান নয়। তবু আমার সমস্ত অস্তিত্ব আমাকে বুঝিয়ে দিলো, ভীষন ভালোলাগার মতো যেন কিছু আছে, খুব কাছাকাছি কোথাও।

আস্তে আস্তে কুয়াশা সরে গেলো। পদ্মা। একটা নৌকা। তাতে কিছু লোক। শীর্ণ শরীরের নদীটা পার হতেও তাদের নৌকা লাগে। কয়েকটা হাঁস। অলসভাবে ভাসছে। কিন্তু নদীর ধারে কেন আমি? একটু দূরে একটা ছোট্ট মাঠ। ফুটবল খেলছে ছেলেরা। পাশেই অনেকগুলো পাথর। বিভিন্ন সাইজের। তারই মাঝে মাঝে দুই একটা বড় গাছ। তার নীচে একটুখানি ছায়া। আর ছায়ার নীচে একটা মানুষ। পাথরের ওপর বসে আছে। জীবনে দেখিনি তাকে। অথচ দেখেই মনে হলো, আমি একে সাত জনম থেকে চিনি। আমারই দিকে চেয়ে আছে মানুষটা। চোখে সর্বনাশের ডাক। কিছু বুঝে ওঠার আগেই পা পা করে এগিয়ে যাই তার দিকে। হাত বাড়িয়ে আমার হাত ধরে সে। সারা শরীরে ঝিমঝিম অনুভূতি। আলতো টানে তার শরীর ঘেঁষে বসে পড়ি আমি।

কোনো কথা বলে না মানুষটা। আমার মনে হাজারটা প্রশ্ন। কিন্তু নীরবতা ভাঙতে ইচ্ছে করে না। চুপচাপ কেটে যেতে থাকে আবেশী প্রহরগুলো। আমি খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে দেখতে থাকি তার চুল, চোখ, হাত। অনুভব করি তার হাতের ভেতরের উষ্ঞতা। হঠাৎ কি যে হয়, আরো একটু কাছে টেনে মানুষটার গালে ঠোঁট ছোঁয়াই আমি। তারপর আবারো চুপচাপ বসে থাকা। যাক না এভাবে অনন্তকাল...

ইচ্ছেমতো হয় না কিছুই। আমাকে নিতে আসে ওরা। কিন্তু আমি যেতে চাই না কোথাও। দুপাশে অনুভব করি তাদের বাঁধন। নিজেকে ছাড়িয়ে নিতে চেষ্টা করি আমি। মানুষটা এবার উঠে দাঁড়ায়। কপালে ছোট্ট একটা চুমু খেয়ে হাতে আলতো চাপ দেয় । রহস্যময় একটা হাসি দিয়ে বলে, ”কোনো চিন্তা নেই। যাও।”

০২.১১.২০০৮

আজ এক বছর হয়ে গেলো। পুরোপুরি সুস্থ আছি আমি। অনেক অনেক ভালো আছি।


মন্তব্য

পান্থ রহমান রেজা এর ছবি

০১.
হৈতারে। একজন মানুষের ছোঁয়ায় কত কী'না-ই হয়, হতে পারে।
০২.
গল্পের মেয়েটি ভালো আছে। শিমুলাপা, আপনি ভালো আছেন তো? তয় বেশ কয়েকদিন আগে মিঃ সু. পা. শিমুলের একখানা লেখা পড়েছিলাম। লেখায় ভদ্রলোকের প্রথম প্রেম, বিয়ে নিয়ে যে উচ্ছ্বাস দেখেছি, তাতে শিমুলাপা'র তো এমনিতেই ভালো থাকার কথা। কেন জানি গল্পের টাইমফ্রেম ভদ্রলোকের উচ্ছ্বাসের কথা মনে করিয়ে দিলো।

সুলতানা পারভীন শিমুল এর ছবি

০১
হাসি
০২
হাসি দেঁতো হাসি

...........................

সংশোধনহীন স্বপ্ন দেখার স্বপ্ন দেখি একদিন

...........................

একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা

আহমেদুর রশীদ এর ছবি

জটিল......

---------------------------------------------------------

আমরা যারা শিখিনি চাষবাস,ফসলের গীত
গুলালিতে পাখি হত্যা

---------------------------------------------------------

ঘাস তুমি ঘাসের মতো থাকো মাটি ছুঁয়ে
যে দেখার সে নতজানু হয়ে ছুঁবে তোমার আঙুল
অবরুদ্ধ মাঠ থেকে তুমি লাফিয়ে নেমোনা প্লিজ পাথরের পথে
________________________________________
http://ahmedurrashid.

সুলতানা পারভীন শিমুল এর ছবি

বেশি ? চিন্তিত

...........................

সংশোধনহীন স্বপ্ন দেখার স্বপ্ন দেখি একদিন

...........................

একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

বুঝি নাই...
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

সুলতানা পারভীন শিমুল এর ছবি

আগে কইবেন তো !
বসেন, তাইলে আবার বুঝাই... হাসি
ব্যাপারটা আসলে হইছে কি...পাহাড়ের ওপরে অনেকখানি জায়গা জুড়ে ছাড়াছাড়াভাবে বিস্তৃত এক উপাসনালয়। এটা কোনো মন্দির, মসজিদ না মাজার, ঠিক জানিনা। তবে মনের মধ্যে ....

...........................

সংশোধনহীন স্বপ্ন দেখার স্বপ্ন দেখি একদিন

...........................

একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

হ... এইবার বুঝতে পারছি... দেঁতো হাসি
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

সুলতানা পারভীন শিমুল এর ছবি

যাক !
আমার কষ্ট সার্থক হইলো। দেঁতো হাসি

...........................

সংশোধনহীন স্বপ্ন দেখার স্বপ্ন দেখি একদিন

...........................

একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা

নজমুল আলবাব এর ছবি
সুলতানা পারভীন শিমুল এর ছবি

ধন্যবাদ, জনাব।

...........................

সংশোধনহীন স্বপ্ন দেখার স্বপ্ন দেখি একদিন

...........................

একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা

তানবীরা এর ছবি

ভালো আছো জেনে ভালো লাগল। গল্পের বর্ননা ভীষন মনকে টেনে নিয়েছে।

তানবীরা
---------------------------------------------------------
চাই না কিছুই কিন্তু পেলে ভালো লাগে

*******************************************
পদে পদে ভুলভ্রান্তি অথচ জীবন তারচেয়ে বড় ঢের ঢের বড়

সুলতানা পারভীন শিমুল এর ছবি

আপনার কমেন্টে ভীষন আন্তরিকতার ছোঁয়া পাই।
তাই অনেক বেশি ধন্যবাদ।

...........................

সংশোধনহীন স্বপ্ন দেখার স্বপ্ন দেখি একদিন

...........................

একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা

রণদীপম বসু এর ছবি

একটু অন্যরকম বলেই হয়তো গল্পটা খুব ভালো লাগলো।

-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’

সুলতানা পারভীন শিমুল এর ছবি

থ্যাঙকিউ, রণদা... হাসি

...........................

সংশোধনহীন স্বপ্ন দেখার স্বপ্ন দেখি একদিন

...........................

একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা

ভূঁতের বাচ্চা এর ছবি

সময় খুব তাড়াতাড়ি যায় তাইনা আপুনি ?
এইতো সেদিন দেখতে দেখতে এক বছর হয়ে যায়।
বছর গড়িয়ে যুগ হতেও সময় লাগবেনা দেখবেন।
তবে ভাল থাকুন সবসময় সেই কামনাই করি।
অনেক অনেক ভাল। সুখী দেখতে চাই সবসময়।
আন্তরিক শুভকামনা রইল।

--------------------------------------------------------

সুলতানা পারভীন শিমুল এর ছবি

ভুত কি বাচ্চি কারে সুখী দেখতে চায়?
এই অধম, না কি গল্পের মাইয়াটারে? চিন্তিত

...........................

সংশোধনহীন স্বপ্ন দেখার স্বপ্ন দেখি একদিন

...........................

একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা

অতন্দ্র প্রহরী এর ছবি

অদ্ভুতরকম সুন্দর একটা গল্প... ভীষণ ছুঁয়ে গেলো... তিনবার পড়সি, তাও পুরাপুরি হয়তো বুঝি নাই... তবে এটা বুঝতে পারসি, গল্পটা ভীষণ ভালো হইসে...

[অন্য টপিক: এইরকম রোগা-দুবলা মানুষ আপনি, আর আমার হাত ভাঙতে চান! ঠিকাছে, আসতেছি তাড়াতাড়ি!] দেঁতো হাসি

সুলতানা পারভীন শিমুল এর ছবি

তিনবার পড়ছেন শুইনা কি এক্সপ্রেশন দিমু বুঝতারছি না।
খুশি, না চিন্তার?

(অন্য টপিক : রোগা-দুবলা মানুষ নাহয় আগে ছিলাম। এখন তো... কাজেই নো টেনশন, প্রহরী। হাত ভাঙা স্রেফ বাঁ-হাত-কা-খেল। চোখ টিপি)

...........................

সংশোধনহীন স্বপ্ন দেখার স্বপ্ন দেখি একদিন

...........................

একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা

অতন্দ্র প্রহরী এর ছবি

খুশিরই দিতারেন চোখ টিপি
ঠিকাছে... কিন্তু হুঁশিয়ার... সাবধান! ধুগো'দা টিকিট কাইটা ফেলসে, সে আসুক... দুইজন মিলকার আপকা বা-হাত হাম তোর দেঙ্গে! তাব খেল জামেগী দেঁতো হাসি

ধুসর গোধূলি এর ছবি

- ধুগো ডেঙ্গু মশারে ডরায়! অতএব, ডেঙ্গু মশা মেরে জ্বর বাঁধানোর কোনো ইচ্ছাই মাননীয় জনাব ধুগোর নাই। ধুগো আপাততঃ ব্যস্ত মোসাম্মৎ প্যালিন আক্তারের স্বপ্ন দেখায়! চোখ টিপি
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক

অতন্দ্র প্রহরী এর ছবি

আচ্ছা, আপনি স্বপ্ন দেখাটা শেষ করেই আসেন... আমি এখন কনফিডেন্ট... এইরকম রোগা-পাতলা মানুষের বা-হাত আমি একাই সামলাতে পারবো... দেঁতো হাসি
কিন্তু ডেঙ্গু থেকে বাঁচার রাস্তা কী! চিন্তিত

সুলতানা পারভীন শিমুল এর ছবি

কারা জানি কি কি কতা কয়? রেগে টং

...........................

সংশোধনহীন স্বপ্ন দেখার স্বপ্ন দেখি একদিন

...........................

একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা

অতন্দ্র প্রহরী এর ছবি

এহ্-হেরে, শুইনা ফালাইলো! মন খারাপ
নতুন প্ল্যান কষতে হইবে এইবার চিন্তিত

সুলতানা পারভীন শিমুল এর ছবি

হুমমম...

...........................

সংশোধনহীন স্বপ্ন দেখার স্বপ্ন দেখি একদিন

...........................

একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা

দময়ন্তী এর ছবি

ভাল্লাগলো, ভাল্লাগলো৷ খুব ভাল্লাগলো৷
আর হ্যাঁ তখন সময় ছিল না বলে লেখা হয় নি, আপনার সেই শাড়ি কিনে দেবার গল্পটাও ফাটাফাটি লেগেছিল৷

-----------------------------------------------------
"চিলেকোঠার দরজা ভাঙা, পাল্লা উধাও
রোদ ঢুকেছে চোরের মত, গঞ্জনা দাও'

সুলতানা পারভীন শিমুল এর ছবি

অনেক ধন্যবাদ, দময়ন্তী।
বলা হয়নি, আপনার নামটা আমার ভীষন পছন্দ। হাসি

...........................

সংশোধনহীন স্বপ্ন দেখার স্বপ্ন দেখি একদিন

...........................

একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা

রায়হান আবীর এর ছবি

পুরা ওয়াও হইছে শিমুল আপা। অসাধারণ।

=============================
তু লাল পাহাড়ীর দেশে যা!
রাঙ্গা মাটির দেশে যা!
ইতাক তুরে মানাইছে না গ!
ইক্কেবারে মানাইসে না গ!

সুলতানা পারভীন শিমুল এর ছবি

ওয়াও !
সত্যি? মন ভালো হইয়া গেলো। দেঁতো হাসি

...........................

সংশোধনহীন স্বপ্ন দেখার স্বপ্ন দেখি একদিন

...........................

একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা

ক্যামেলিয়া আলম এর ছবি

এ কি গল্প না আত্মকথন?

গল্প হিসেবে পড়ে মন্তব্যে এসে চোখ ছানাবড়া------

আত্মকথন হলে নতুন কিছু বলবার নেই-------গল্প হলে চমৎকার এক আইডিয়া---------
.....................................................................................
সময়ের কাছে এসে সাক্ষ্য দিয়ে চ'লে যেতে হয়
কী কাজ করেছি আর কী কথা ভেবেছি..........

.....................................................................................
সময়ের কাছে এসে সাক্ষ্য দিয়ে চ'লে যেতে হয়
কী কাজ করেছি আর কী কথা ভেবেছি..........

সুলতানা পারভীন শিমুল এর ছবি

গল্পই তো মনে হয় লিখলাম, ক্যামেলিয়া।
আত্মকথন হইলো ক্যামতে? হাউ? চিন্তিত

...........................

সংশোধনহীন স্বপ্ন দেখার স্বপ্ন দেখি একদিন

...........................

একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা

দৃশা এর ছবি

লেখাটা ভাল হয়েছে। কিন্তু আপনার আগের লেখাগুলো আমার বেশী ভাল লেগেছে এর চেয়ে। দেঁতো হাসি
--------------------------------------------
দুঃখ তোমায় দিলেম ছুটি...
বুক পাঁজর আজ ফাঁকা।
দুঃখ বিদায় নিলেও সেথায়...
দুঃখের ছবি আঁকা।

দৃশা

সুলতানা পারভীন শিমুল এর ছবি

আগের লেখাগুলো পড়ার জন্যই তাহলে বেশি ধইন্যবাদ। হাসি

...........................

সংশোধনহীন স্বপ্ন দেখার স্বপ্ন দেখি একদিন

...........................

একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা

স্নিগ্ধা এর ছবি

সত্যিই আপনার নিজের ঘটনা এটা, শিমূল? মাত্র এক বছর আগের?!

সুলতানা পারভীন শিমুল এর ছবি

হা হা হা
সবার কমেন্ট পড়ে আমি হাছাই ছিরিংখলার মইধ্যে পড়ছি, স্নিগ্ধা। (আপু) চোখ টিপি
সত্যিই কি এটা আমার নিজের ঘটনা? চিন্তিত

...........................

সংশোধনহীন স্বপ্ন দেখার স্বপ্ন দেখি একদিন

...........................

একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা

মাহবুব লীলেন এর ছবি

হায়রে
মানুষ উঠতে বসতে গল্প পায় গল্প খায়
আর আমরা খাই উষ্ঠা আর ঠোক্কর

সুলতানা পারভীন শিমুল এর ছবি


আর আমরা কই, আহা ! আপনের মতো উষ্ঠা আর ঠোক্কর যদি আমরা খাইতে পারতাম !!

...........................

সংশোধনহীন স্বপ্ন দেখার স্বপ্ন দেখি একদিন

...........................

একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা

ধুসর গোধূলি এর ছবি

- আপনার গল্পটা পড়ে আমার পাহাড়ের উপরের 'ঠুমরি বাবা'র কথা মনে পড়ে গেলো। একটা মেয়ে খুব কঠিন রোগে আক্রান্ত, ডাক্তার-কোবরেজ সব শালা ফেইল। কেউ কোনো আশার বাণী শোনায় না। সব শালা ফাউল পুরা। তখন বাবা-মা উপায়লেস হয়ে এক পাথরের টুকরার অলৌকিকতার শরনাপন্ন হয়। মেয়েটির ভাইয়ের বন্ধু হলো আমাদের মাননীয় লেখক। আরও অনেক উপায়হীন-অলৌকিকতায় বিশ্বাসী মানুষের সঙ্গে লেখকও হেঁটে চলে সেই পাহাড়ি পথ বেয়ে। মনে তার একটাই আকাঙ্খা, "একটাবার, অন্ততঃ একটাবারের জন্য হলেও তুমি সত্যি হয়ে ওঠো 'ঠুমরিবাবা'!"
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক

সুলতানা পারভীন শিমুল এর ছবি

ইয়া হাবিবি ! দেঁতো হাসি

...........................

সংশোধনহীন স্বপ্ন দেখার স্বপ্ন দেখি একদিন

...........................

একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা

হিমু এর ছবি

শিমুল, মডারেশন স্লিপের জন্যে মাঝে মাঝে কিছু উদ্ভট মন্তব্য প্রকাশিত হয়ে যায়। দুঃখিত। এরকম একটি মন্তব্য মুছে দেয়া হয়েছে।


হাঁটুপানির জলদস্যু

সুলতানা পারভীন শিমুল এর ছবি

কোনো উদ্ভট মন্তব্য পড়ে মন খারাপ করার আগেই ওটা মুছে দেয়ায় আমি কৃতজ্ঞ।
থ্যাংকস, হিমু। হাসি

...........................

সংশোধনহীন স্বপ্ন দেখার স্বপ্ন দেখি একদিন

...........................

একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা

কীর্তিনাশা এর ছবি

আমারও প্রশ্ন এইটা কি আত্মকথন না গল্প?

লেখায় আপনাকে জাঝা

-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।

-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।

সুলতানা পারভীন শিমুল এর ছবি


আমারো প্রশ্ন তো এইটাই।

...........................

সংশোধনহীন স্বপ্ন দেখার স্বপ্ন দেখি একদিন

...........................

একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা

খেকশিয়াল এর ছবি

আত্মকথন নাকি জিগামু না
গল্পটা ভাল লাগছে

------------------------------
'এই ঘুম চেয়েছিলে বুঝি ?'

-----------------------------------------------
'..দ্রিমুই য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'

সুলতানা পারভীন শিমুল এর ছবি

শুকরিয়া, পন্ডিতজী। হাসি

...........................

সংশোধনহীন স্বপ্ন দেখার স্বপ্ন দেখি একদিন

...........................

একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা

তুলিরেখা [অতিথি] এর ছবি

খুব ভালো লাগলো সুলতানা শিমূল। আরো লিখুন।

সুলতানা পারভীন শিমুল এর ছবি

ধন্যবাদ। হাসি

...........................

সংশোধনহীন স্বপ্ন দেখার স্বপ্ন দেখি একদিন

...........................

একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা

রেনেট এর ছবি

শিমুল আপা ও সাঙ্কেতিক ভাষায় লেখা শুরু করলেন মন খারাপ
আমার মত বেকুবদের এখন কি হবে ইয়ে, মানে...
-----------------------------------------------------
We cannot change the cards we are dealt, just how we play the hand.

---------------------------------------------------------------------------
একা একা লাগে

সুলতানা পারভীন শিমুল এর ছবি

মুহাহাহাহা

...........................

সংশোধনহীন স্বপ্ন দেখার স্বপ্ন দেখি একদিন

...........................

একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা

সংসারে এক সন্ন্যাসী এর ছবি

পড়তে বেশ লাগছিল। কিন্তু শেষ করে বুঝলাম, বুঝলাম না গল্পটা। নজরুল ইসলাম, রেনেট আর আমি ছাড়া দেখি বেবাকেই বুজছে মন খারাপ

~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
একলা পথে চলা আমার করবো রমণীয়...

~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
টাকা দিয়ে যা কেনা যায় না, তার পেছনেই সবচেয়ে বেশি অর্থ ব্যয় করতে হয় কেনু, কেনু, কেনু? চিন্তিত

অতন্দ্র প্রহরী এর ছবি

আমাকে বাদ দিলেন যে জনাব! চিন্তিত

সুলতানা পারভীন শিমুল এর ছবি

হা হা হা
এই প্রথম "তাহলে-বোধহয়-জটিল-টাইপ" একটা লেখা লিখতে পেরে বেশ আনন্দ লাগছে। চোখ টিপি
আমার লেখা বরাবরই বড় বেশি সহজ-সরল হয়। এটা দোষ কিনা ঠিক বুঝতে পারি না।

...........................

সংশোধনহীন স্বপ্ন দেখার স্বপ্ন দেখি একদিন

...........................

একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।