সেলুলয়েডের গল্পঃ আমি স্যাম বলছি

সুহান রিজওয়ান এর ছবি
লিখেছেন সুহান রিজওয়ান (তারিখ: রবি, ১১/১০/২০০৯ - ১২:৫৭অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

স্টারবাকস কফি শপের এক জ্যানিটর স্যাম ডসন- তার মূল কাজ কেবল কফি তৈরীতে সাহায্য করা এবং খদ্দেরের কাছ থেকে অর্ডার গ্রহণ। এই স্যামের সাথে ভাসমান এক নারীর ক্ষণস্থায়ী সম্পর্কের নিমেষের ভুলে জন্ম নেয় একটি শিশুকন্যা। সন্তান জন্মের পরপরই ভাসমান নারীটি ত্যাগ করে স্যামকে- যেখানে ছবিটি শুরু হয়েছে। এরপরের গল্প স্যামের একটি অন্যরকম যুদ্ধের। এই যুদ্ধ শিশুটির মায়ের অভাব পূরণ করতে নয়, এই যুদ্ধ দারিদ্র্যের সাথেও নয়- এই যুদ্ধ স্যামের নিজের সাথে তার মেয়েটির। কারণ সন্তানের জন্যে অপরিসীম ভালোবাসা লালন করা স্যাম একজন অটিস্টিক- যার বুদ্ধিমত্তা একজন সাত বছর বয়সী শিশুর সমান।

বীটলসের অন্ধভক্ত স্যাম সন্তানের নাম রাখে জন লেননের 'লুসি উইথ দ্যা ডায়মন্ড ইন স্কাই' গানের অনুকরণে; লুসি ডসন। সাত বছরের শিশু স্যাম এই লুসিকে বড় করে তোলার সময় পাশে পায় পাশের ফ্ল্যাটের মিসেস এনি ফ্রেজার নামের বৃদ্ধাকে- অজ্ঞাত কোন কারণে যিনি ২৮ বছর বয়স থেকে এই এপার্টমেন্টের বাইরে বেরোননি। লুসির মুখ থেকে প্রথম উচ্চারিত শব্দটি হয়- "এনি" !!... আর সাথে থাকে স্যামের অটিস্টিক স্কুলের ছেলেবেলার চার বন্ধু- এই পাঁচ বন্ধুর মাঝে অটিজম ছাড়া আরেকটি সাধারণ বৈশিষ্ট্য হচ্ছে তাদের অন্ধ 'বীটলস' প্রীতি।

গোলমালটা বাঁধে লুসির সাত বছরের জন্মদিনে। বুদ্ধিমত্তার মাত্রায় পিতার সমান হয়ে যাওয়া লুসি তার এক বন্ধুকে 'অটিস্টিক পিতা' বলে স্যামকে পরিচয় দিতে চায় না, বরং বলে- সে স্যামের দত্তক নেয়া সন্তান। দেশের "শিশু অধিকার বিষয়ক আদালত" কাজে নেমে পড়ে। সাত বছরের বুদ্ধিসম্পন্ন স্যামের হাতে লুসির ভবিষ্যৎ বিকাশ সঠিকপথে হবে না- এই মর্মে মামলা দায়ের করে সরকার লুসিকে আরেকটি পরিবারে পাঠানোর দাবি জানায়। ঘন্টায় আট ডলার আয় করা স্যাম লুসির জন্যে ভালোবাসায় ধরণা দেয় শহরের সবচেয়ে সফল ল'ইয়ার রিটা হ্যারিসনের কাছে। নানা ঘটনার পরে রিটা কাজে নামে লুসিকে ফিরিয়ে আনার কাজে এবং সেই সাথে ব্যক্তি-জীবনে অসুখী মা রিটার ধারণা হয়; এই 'অটিস্টিক' পিতার কাছ থেকে শেখার মত তার অনেক কিছুই রয়েছে...।ঘটনা এগোয়।

জেসি নেলসন পরিচালিত ১২৪ মিনিটের 'আই এম স্যাম' চলচ্চিত্রের কাহিনী এগিয়েছে এইভাবে। নানা ছোট-খাটো ঘটনা আর সংলাপ এই ছবির প্রতি দর্শকের মনোযোগ ধরে রাখতে সক্ষম বেশ ভালোভাবেই। স্মরণীয় অনেক দৃশ্যের মাঝে আমার মনে ধরেছে আদালত কক্ষে স্যামের জবানবন্দী; সেই আদালত কক্ষেই লুসি আর স্যামের কান্নার দৃশ্য আর পুরো ছবি জুড়েই স্যাম আর বন্ধুদের কথোপকথন - তাদের 'বীটলস' উদ্ধৃত করা সব সংলাপ।

ছবিতে লুসি চরিত্রে ডাকোটা ফ্যানিং আর রিটা চরিত্রে মিশেল ফেইফার ভালো কাজ দেখিয়েছেন। ছবির নেতিবাচক দিক ছিলো শেষের দিকে কাহিনীর একটু গতি হারিয়ে ফেলা এবং পরের দৃশ্যে কী হতে চলেছে সেটা বুঝে নিতেও দর্শককে খুব একটা কষ্ট করতে হয় না। আর ছবির সবচেয়ে ইতিবাচক দিক ছিলেন- স্যাম চরিত্রের অভিনেতা শন পেন একাই। 'রেইনম্যান' ছবিতে ডাস্টিন হফম্যান আর 'ফরেস্ট গাম্প' ছবিতে টম হ্যাঙ্কস- এই দুইজনের অসাধারণ অভিময় দেখার ভাগ্য হয়েছে; কিন্তু শন পেন যেনো ছাড়িয়ে গেলেন বাকি সবাইকেই। একটা সাধারণ গল্পের ছবিকে তিনি একাই বানিয়ে দিলেন অসাধারণ।

কাজেই যারা একটু কষ্ট পাওয়া ছবি দেখতে চান- দেখে নিন 'আই এম স্যাম'। আমার বেশ ভালোই লেগেছে। আপনারও লাগবে আশা রাখি।


মন্তব্য

ওসিরিস এর ছবি

ছবির নেতিবাচক দিক ছিলো শেষের দিকে কাহিনীর একটু গতি হারিয়ে ফেলা এবং পরের দৃশ্যে কী হতে চলেছে সেটা বুঝে নিতেও দর্শককে খুব একটা কষ্ট করতে হয় না।

সহমত। শেষের ঘণ্টা আদ্ধেক সহজেই অনুমেয়। তবে শেষ পর্যন্ত দুর্দান্ত উপভোগ্য।

***********************************************
সিগনেচার কই??? আমি ভাই শিক্ষিৎ নই। চলবে টিপসই???

সুহান রিজওয়ান এর ছবি

তুমি তো জানোই- আর কথা কয়া লাভ কি ??

---------------------------------------------------------------------------

মধ্যরাতের কী-বোর্ড চালক

রাগিব এর ছবি

বেশ পছন্দের সিনেমা এটা আমার। বিশেষত ডাকোটার অভিনয় এতো মিষ্টি ...

----------------
গণক মিস্তিরি
ভুট্টা ক্ষেত, আম্রিকা
ওয়েবসাইট | কুহুকুহু

----------------
গণক মিস্তিরি
জাদুনগর, আম্রিকা
ওয়েবসাইট | শিক্ষক.কম | যন্ত্রগণক.কম

সুহান রিজওয়ান এর ছবি

কেবল ডাকোটার অভিনয় দেখতে হলে 'হাইড এন্ড সিক' দেখতে পারেন রাগিব ভাই; সেখানে মেয়েটা দুর্দান্ত দেখিয়েছে...। আর ডি নিরো ছিলো ছবিটায়।

---------------------------------------------------------------------------

মধ্যরাতের কী-বোর্ড চালক

পান্থ রহমান রেজা এর ছবি

দেখে নেব কোনো একদিন!
....................................................................................

আমি অতো তাড়াতাড়ি কোথাও যেতে চাই না;
আমার জীবন যা চায় সেখানে হেঁটে হেঁটে পৌঁছুবার সময় আছে,
পৌঁছে অনেকক্ষণ ব'সে অপেক্ষা করার সময় আছে।

সুহান রিজওয়ান এর ছবি

আপনার এতো সময় হয় ?? আদৌ হবে কী কখনো ?? দেঁতো হাসি

---------------------------------------------------------------------------

মধ্যরাতের কী-বোর্ড চালক

অতিথি লেখক এর ছবি

দেখে নিব। ধন্যবাদ শেয়ার করার জন্য।
দলছুট।

সুহান রিজওয়ান এর ছবি

ধন্যবাদ ।

---------------------------------------------------------------------------

মধ্যরাতের কী-বোর্ড চালক

সূর্যবন্দী মেঘ... [অতিথি] এর ছবি

শুধু ডাকোটা ফ্যানিং এর অভিনয়ের জন্য ছবিটা দেখা যায়। অনুমেয় কাহিনী, কিন্তু শন পেনের অভিনয়ও ছিল অসাধারণ।

মূলত পাঠক এর ছবি

ভাল্লাগ্লো হাসি

সুহান রিজওয়ান এর ছবি

থ্যাঙ্কো !!

---------------------------------------------------------------------------

মধ্যরাতের কী-বোর্ড চালক

মেহদী হাসান খান এর ছবি

অনেক আগে দেখেছিলাম, সেই দুই সিডিতে এক সিনেমার যুগে। বেশ ভালো লেগেছিল তখন।

সুহান রিজওয়ান এর ছবি

এতো কিসু দেক্সেন, কিসু লেখেন না ক্যা ?? ঠিক না ভাই...

---------------------------------------------------------------------------

মধ্যরাতের কী-বোর্ড চালক

জ্বিনের বাদশা এর ছবি

আমার দেখা অন্যতম সেরা মুভি ...
========================
যার ঘড়ি সে তৈয়ার করে,ঘড়ির ভিতর লুকাইছে

========================
যার ঘড়ি সে তৈয়ার করে,ঘড়ির ভিতর লুকাইছে

সুহান রিজওয়ান এর ছবি

আমারো- আসলেই খুব ভালো লেগেছে...

---------------------------------------------------------------------------

মধ্যরাতের কী-বোর্ড চালক

ভুতুম এর ছবি

চমৎকার একটা ছবির রিভিউ লেখার জন্য ধন্যবাদ।

-----------------------------------------------------------------------------
সোনা কাঠির পাশে রুপো কাঠি
পকেটে নিয়ে আমি পথ হাঁটি

-----------------------------------------------------------------------------
সোনা কাঠির পাশে রুপো কাঠি
পকেটে নিয়ে আমি পথ হাঁটি

সুহান রিজওয়ান এর ছবি

ধন্যবাদ । ছবিটা দেখেছেন বলে মনে হচ্ছে। তাহলে আপনার অভিজ্ঞতার কথাটাও বলতেন; মিলিয়ে দেখা যেতো...

---------------------------------------------------------------------------

মধ্যরাতের কী-বোর্ড চালক

ওয়াইল্ড-স্কোপ এর ছবি

বদ সিনেমা, দেইখা পাঁচ গ্যালন চোখের পানি ফালাইসি খাইছে

সুহান রিজওয়ান এর ছবি

আবার জিগস, সেইরাম বদ... দেঁতো হাসি
এই টাইপের ছবি পাইলে আম্মারে দেখাই সাধারণতঃ- কিন্তু এইটা দেইখ্যা আমার মত কঠিন প্রাণের মানুষেরই এতো কষ্ট হইসে যে তারে দেখানের আর ভর্সা পাইতেসি না। দশ গ্যালনের একটা বোতল জোগাড় করি আগে...

---------------------------------------------------------------------------

মধ্যরাতের কী-বোর্ড চালক

দ্রোহী এর ছবি

দেখছি!

এইটা থেকে কোন হিন্দী সিনেমা বানানো হয় নাই? দেঁতো হাসি

কিংকর্তব্যবিমূঢ় এর ছবি

হইসে আমি যদ্দূর জানি ... পেনের রোলটা করসে অজয় দেবগন [শোনা কথা, আমি দেখি নাই দেঁতো হাসি ]
................................................................................................
খাদে নামতে আজ ভয় করে, নেই যে কেউ আর হাতটাকে ধরা ...

কিংকর্তব্যবিমূঢ় এর ছবি

এই যে এইটা ... কারো ধৈর্য্য থাকলে দেখে একটা রিভিউ দিতে পারে দেঁতো হাসি
................................................................................................
খাদে নামতে আজ ভয় করে, নেই যে কেউ আর হাতটাকে ধরা ...

_প্রজাপতি এর ছবি

কেউ ভুল করেও হিন্দি ভার্ষনটা দেখেন না , অজয় দেবঘনের ভন্ড ন্যাকামী দেখে পিত্তি জ্বলে যাবে।
------------------------------------------------
ছিন্ন পাতার সাজাই তরণী, একা একা করি খেলা ...

ছিন্ন পাতার সাজাই তরণী, একা একা করি খেলা ...

সুহান রিজওয়ান এর ছবি

বড় হবার পরে বুঝছিলাম, 'আকেলে হাম আকেলে তুম' নামের ভালোলাগা হিন্দি ছবিটা 'ক্র্যামার ভার্সাস ক্র্যামার' এর নকল... আমির খানের প্রতি শ্রদ্ধাটা কইমা গেসিলো অনেকটা।

---------------------------------------------------------------------------

মধ্যরাতের কী-বোর্ড চালক

কিংকর্তব্যবিমূঢ় এর ছবি

আকেলে হাম আকেলে তুম ছবিটার সবই নকল; কাহিনী, ডায়লগ, গান [একটা গান জর্জ মাইকেল আরেকটা ডীপ পার্পলের আমি নিজেই বের করসিলাম, বাকিগুলিও নকল হওয়ারই কথা] ... কিন্তু তাও মুভিটা ভালো লাগসিলো এইটা অস্বীকার করবো না দেঁতো হাসি ... পরে ক্রেমার ভার্সাস ক্রেমার দেখে এতটা অভিভূত হই নাই যতটা হিন্দিটা দেখে হইসিলাম ...
................................................................................................
খাদে নামতে আজ ভয় করে, নেই যে কেউ আর হাতটাকে ধরা ...

মণিকা রশিদ এর ছবি

আমার খুব প্রিয় সিনেমা এইটা।

_______________________________
আর সব যুদ্ধের মৃত্যুর মুখে হঠাৎ হাসির মতো ফুটে ওঠা পদ্মহাঁস
সে আমার গোপন আরাধ্য অভিলাষ!
--আবুল হাসান

----------------------------------------------
We all have reason
for moving
I move
to keep things whole.
-Mark Strand

সুহান রিজওয়ান এর ছবি

আমরো !!

---------------------------------------------------------------------------

মধ্যরাতের কী-বোর্ড চালক

সিরাত এর ছবি

হুঁম।

ওই মিয়া, আরেকটু কম গুছায় লেখলেও তো পারো! চোখ টিপি

সুহান রিজওয়ান এর ছবি

হিহি, আরে ভাই- আমার পড়াশুনা কম, এইজন্যে অল্প যা জানি - তাই লেইখ্যা দিই দেঁতো হাসি

---------------------------------------------------------------------------

মধ্যরাতের কী-বোর্ড চালক

সাইফ তাহসিন এর ছবি

লেখা ভালু হইসে, ছবিতে ৩ জনেরই অভিনয় দুর্দান্ত হইসিল। চলুক

=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী

সুহান রিজওয়ান এর ছবি

হ, অভিনয় আসলেই ভালা হইসিলো, শন পেন তো ফাটায়া দিসে এক্কেবারে।

---------------------------------------------------------------------------

মধ্যরাতের কী-বোর্ড চালক

ঈশান  এর ছবি

হুমম, ছবিটা আসলেই অনেক সুন্দর। এটাকে বলা হয় আইএমডিবি এর অন্যতম আন্ডাররেটেড মুভি। আর শন পেনের অভিনয় ছিল দেখার মত। তার এই মুভির জন্য অস্কার মিস আসলেই দূর্ঘটনা।

সুহান রিজওয়ান এর ছবি

ছবি সুন্দর হলেও ছবির পরিচালনা কিন্তু দুর্বল, অনেক কাঁচা কাজ- কেবল একটা সুন্দর/মানবিক গল্পের জন্যে দাঁড়ায়ে গেসে।
... শন পেন অস্কার পেতেই পারেন এটার জন্যে, কিন্তু এটা আসলে সেরা ছবির অস্কার পাওয়ার মত না।

---------------------------------------------------------------------------

মধ্যরাতের কী-বোর্ড চালক

শাহেনশাহ সিমন এর ছবি

সাধু

_________________
ঝাউবনে লুকোনো যায় না

রায়হান আবীর এর ছবি

সিনেমা দেখে মন্তব্য দিতে ভুলে গেছিলাম। এখন নিজের সুচিন্তিত মতামত জানায় গেলাম দেঁতো হাসি


পুচ্ছে বেঁধেছি গুচ্ছ রজনীগন্ধা

সুহান রিজওয়ান এর ছবি

এ প্রসঙ্গে আমাদের আগে বুঝে নিতে হবে সুচিন্তিত মতামত কাকে বলে। এই নিয়ে মহামতি লুইস সাহা তার কেলানো দাঁতের হাসি দিয়ে বলেন... (চা খায়া আসি)।

-------------------------------------------------------------
মধ্যরাতের কী-বোর্ড চালক

রায়হান আবীর এর ছবি

চা খাইয়া শহীদ মিনারের সামনে আমার কাছে রিপোর্ট কর্বি।


পুচ্ছে বেঁধেছি গুচ্ছ রজনীগন্ধা

দুষ্ট বালিকা এর ছবি

সেই দুই ভিসিডিতে এক সিনেমার যুগে কেনা এইটা! সেসময় প্রতি সপ্তাহে টিফিন না খেয়ে একটা তিন গোয়েন্দা, একটা রানা আর ১০০ টাকা দিয়ে ফিল্ম ফেয়ার থেকে একটা সিনেমা কিনতাম! সেযুগের কেনা ৩৫০ সিনেমা আছে এখনও আমার কাছে! আর নিঃসন্দেহে তাদের মাঝে অন্যতম প্রিয় মুভি এইটা! আমি এটা দেখে এতো কান্না কাটি করসিলাম যে পরে নিজেই লজ্জা পেয়ে যাই! এরপরে বিউটিফুল মাইন্ড দেখে অনেক কষ্ট করে চোখের পানি চাপসি!

শুধু যদি একটু যত্ন করে ছবিটা বানানো হতো! এতো ভালো গল্প আর অভিনয়, ইশ!

----------------------------
ইহাসনে শুষ্যতু মে শরীরং
ত্বগস্থিমাংসং প্রলয়ঞ্চ যাতু।
অপ্রাপ্য বোধিং বহুকল্পদুর্লভাং
নৈবাসনাৎ কায়মেতৎ চলিষ্যতি।।

- ললিতবিস্তর

**************************************************
“মসজিদ ভাঙলে আল্লার কিছু যায় আসে না, মন্দির ভাঙলে ভগবানের কিছু যায়-আসে না; যায়-আসে শুধু ধর্মান্ধদের। ওরাই মসজিদ ভাঙে, মন্দির ভাঙে।

মসজিদ তোলা আর ভাঙার নাম রাজনীতি, মন্দির ভাঙা আর তোলার নাম রাজনীতি।

মাহিন এর ছবি

দেখবো, কিন্তু ঢাকায় ভাল প্রিন্ট পাওয়া দুষ্কর।

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।