গণহত্যা আর্কাইভের সর্বোচ্চ পাবলিসিটি চাই

সুবিনয় মুস্তফী এর ছবি
লিখেছেন সুবিনয় মুস্তফী (তারিখ: রবি, ১৩/০৭/২০০৮ - ৩:২৫অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

ম্যাশ, জালাল ভাই, রেজওয়ান, সুশান্ত, জাফা ইত্যাদির অক্লান্ত পরিশ্রমে যেই গণহত্যা আর্কাইভ গড়ে উঠেছে, সেটা ইন্টারনেটের এক নিভৃত কোনায় পড়ে আছে। ট্রাফিক কেমন জানি না, মনে হয় খুব বেশী না। সেটা বদলাতে চাই, আজকেই। এই আর্কাইভের ভিডিও লাইব্রেরীর প্রতিটি ভিডিও সবার দেখা চাই। এই আর্কাইভের ৭১-এর সংবাদপত্র সেকশানের প্রতিটি আর্টিকেল মানুষের পড়া চাই। বিচার হয়তো হবে না কোনদিন এই বেজন্মার বাংলাদেশে। কিন্তু সচেতনতা যেন না মরে, ক্রোধ যেন জীবিত থাকে, উদাসীনরাও যেন জানে কি ঘটেছিল।

এখানে পাবেন গণহত্যার ভিডিও আর্কাইভ। এখান থেকে প্রতিদিন একটা করে ভিডিও দেখুন, এবং অন্যদেরকে দেখান। অন্যদের কিভাবে দেখাবেন? ইমেইল করে সবার সাথে ইউটিউব লিংক শেয়ার করুন। ফেসবুকের সদস্য হলে প্রোফাইল পেজের বাঁয়ে দেখুন 'Posted Items'। সেখানে গেলে পাবেন ভিডিও লিংক বসিয়ে দেয়ার বাক্স। আপনি যেই ভিডিওটি পোস্ট করে দিবেন সেটা আপনার বন্ধু লিস্টের সবাই দেখতে পারবে।

অনেকের বন্ধু লিস্টে ১০০-১৫০ মানুষ আছে। অধিকাংশ নবীন। সবাইকে দেখার সুব্যবস্থা করে দিন। (তার আগে পাতার একেবারে উপরে প্রাইভেসি সেটিং-এ গিয়ে দেখুন সবাই যাতে ভিডিও দেখতে পারে, সেই সেটিং দেওয়া আছে কিনা।) আজকেই একটা ভিডিও লিংক তুলে দিয়ে এর আকিকা করুন।

একই উপায়ে সংবাদপত্র আর্কাইভ বিষয়ে সচেতনতা গড়ুন। এখানে পাবেন সেই আর্কাইভ। যুদ্ধের সময়ে দেশীয় পত্রিকার সংবাদ। আর তখনকার বিদেশী পত্রিকার কভারেজ। এই লিংকটা বেশী গুরুত্বপূর্ণ। বেজন্মা আর বেজন্মাদের পোলাপান আজকে বলে - প্রমাণ কই? চাক্ষুষ প্রমাণ লিখে রেখে গেছে অজস্র মানুষ। বিদেশী সাংবাদিক যারা নিউট্রাল হয়ে যুদ্ধ কভার করেছিলেন, তাদের লিখিত প্রতিবেদন, ছবি সব আছে। এইসবই সবার মুখের সামনে ধরে রাখা দরকার দিনের পর দিন, বছরের পর বছর। দিনে একটা করে পড়ুন। এবং অন্যদেরকে পড়তে সাহায্য করুন। অকাতরে লিংক শেয়ার করুন। আজকে থেকে শুরু।

ভিডিও আর্কাইভ
সংবাদপত্র আর্কাইভ
ম্যাশের ব্লগ থেকে ব্যাকআপ লিঙ্ক


মন্তব্য

হিমু এর ছবি
পলাশ দত্ত এর ছবি

শুধু ধন্যবাদ দিয়ে আমার কৃতজ্ঞতা প্রকাশ হবে না সুবিনয়।

==========================
পৃথিবীর তাবৎ গ্রাম আজ বসন্তের মতো ক্ষীণায়ু

সুমন চৌধুরী এর ছবি
রেজওয়ান এর ছবি

ধন্যবাদ সুবিনয়।

গত মাসে বিবিসিতে একটি আর্টিকেলে এর লিন্ক ছাপা হয়েছে RELATED INTERNET LINKS হিসেবে:

http://news.bbc.co.uk/2/hi/south_asia/7470000.stm

এটি যখন করা হয় তখন আমার ইচ্ছে ছিল একে যতটুক সম্ভব নৈর্ব্যাক্তিক করার। কারন এর পেছনে মাসের পর মাস সময় ব্যয় করলেও ব্যক্তি প্রচার লক্ষ্য ছিল না কখনও। আর আমার অন্যতম উদ্দেশ্য ছিল ইন্টারনেটে অন্যান্য যে সব উদ্যোগ রয়েছে তাদের সবকিছূর লিন্ক নিয়ে একটি ওয়ানস্টপ আর্কাইভ। এর যদিবা কিছু কৃতিত্ব থাকে তাহলে সে সব সাইটও তার ভাগীদার।

কিন্তু দেখলাম নৈর্ব্যাক্তিকতা অনেক সময় সংশয়ের সৃষ্টি করে।
বিবিসির ঢাকা প্রতিনিধি মার্ক ডামেট আমার ইমেইল খুঁজে বের করে আমাদের উদ্দেশ্য লক্ষ্য সব জানতে চাইলেন। তিনি বললেন তার ইচ্ছে ছিল আমাদের সাইটকে তুলে ধরার। কিন্তু কোন নাম না দেখে তিনি দ্বিধায় ছিলেন। আমি উত্তর দিতে দিতে এই রিপোর্ট ছাপা হয়ে গেছে। তবে উনি লিন্কটুকু দিয়েছেন তাই ওনার প্রতি কৃতজ্ঞতা।

এখন অবশ্য ছোট করে কিছু নাম ঢুকিয়েছি।

এই মুক্তিযুদ্ধের সংকলনের ইবুকটিও চমৎকার হয়েছে। দেখেছেন কি?

পৃথিবী কথা বলছে আপনি কি শুনছেন?

জুলিয়ান সিদ্দিকী এর ছবি

ধন্যবাদ সুবিনয় মুস্তফী। নিজকে আমি ঋদ্ধ মনে করছি।

____________________________________
ব্যাকুল প্রত্যাশা উর্ধমুখী; হয়তো বা কেটে যাবে মেঘ।
দূর হবে শকুনের ছাঁয়া। কাটাবে আঁধার আমাদের ঘোলা চোখ
আলোকের উদ্ভাসনে; হবে পুন: পল্লবীত বিশুষ্ক বৃক্ষের ডাল।

___________________________
লাইগ্যা থাকিস, ছাড়িস না!

কীর্তিনাশা এর ছবি

ধন্যবাদ সুবিনয় দা। আছি এই মহতি উদ্যোগের সাথে।
-----------------------------------
সোনার স্বপ্নের সাধ পৃথিবীতে কবে আর ঝরে !

-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।

তীরন্দাজ এর ছবি

জরুরী কাজ করছেন। অনেক ধন্যবাদ ও সেইসাথে সাফল্য কামনা করি।
**********************************
কৌনিক দুরত্ব মাপে পৌরাণিক ঘোড়া!

**********************************
যাহা বলিব, সত্য বলিব

ফারুক ওয়াসিফ এর ছবি

আমার সংগ্রহে কিছু কাগজপত্র-বিশ্লেষণ ও দলিলপত্র আছে। দেখি তুলে দেব একসময়_যদি কারো কাজে লাগে।
কিন্তু সুবিনয়, আমার একটা কথা মনে হয়। আমরা আমাদের বৃত্তেই ঘুর্পাক খাচ্ছি। বাম যায় বামের কাছে, মুক্তিযোদ্ধা যায় মুক্তিযোদ্ধার কাছে, শিক্ষিত রুচিবান কথা বলে আরেকজন রুচিবানের কাছে। আমার এও মনে হয়, আমরা যারা এসব বুঝছি, জানছি তারা বেশি কিছু করবো না। করবে অন্যরা, যারা হয়তো কম জানে কম বোঝে। তার মানে আমি জানা ও জানানোর বিরোধী নই।
শিবিরকর্মীরা তরুণরা কিন্তু একাত্তরের পরের সন্তান। তারা যে এসব দেখে না বা জানে না, তা ঠিক নয়। কিন্তু তারা এসবের শক্তিশালী এ্যান্টিথিসিস গড়ে তুলেছে। সেটাকে ভাংতে গেলে পুরনো গত গাইলে হবে না। এদের সামগ্রিক রাজনৈতিক ভিত্তিটা কেন দেশ ও মানুষের বিরোধী তা দেখাতে হবে। নতুন রাজনৈতিক অবস্থান তুলে না ধরলে পুরনো রাজনীতির এমনি এমনি ক্ষয়ে যায় না।
এদের না হয় বাদ দেয়া গেল, যারা সম্ভাব্য জামাতি, তাদের ঠেকানোর জন্য কী করা? আমরা কি দোরে দোরে, স্কুলে স্কুলে যাওয়ার সামর্থ্য রাখি? আমরা কি আন্দোলনে যাবার চেষ্টা করি? আমাদের শিক্ষিত সুশীল আলোকিত মহল তো রাজনীতির দায় সেনাবাহিনী আর ইউনূস-মোজাফ্ফরের হাতে তুলে দিয়েছে। জনগণের বৃহত্তর অংশ কেন আমাদের কথা শুনবে, তার কোনো জোরালো যুক্তি বা সেই কথাই কি আমরা তৈরি করেছি?
যাহোক আমি সিনিক নই, কিন্তু নিজেদের বৃত্ত নিয়ে হতাশা বোধ করি। এই আর কি।

হাঁটাপথে আমরা এসেছি তোমার কিনারে। হে সভ্যতা! আমরা সাতভাই হাঁটার নীচে চোখ ফেলে ফেলে খুঁজতে এসেছি চম্পাকে। মাতৃকাচিহ্ন কপালে নিয়ে আমরা এসেছি এই বিপাকে_পরিণামে।

সুবিনয় মুস্তফী এর ছবি

ফারুক ভাই, আপনার সংগ্রহে যে দলিলগুলো আছে, সেটা ম্যাশ বা রেজওয়ান বা সুশান্ত এদের কারো সাথে যোগাযোগ করে ওদের হাতে কিছু কপি তুলে দেওয়ার চেষ্টা করেন। অন্তত নেটে একটা চিরস্থায়ী উপস্থিতি থাকবে সেই দলিলগুলোর।

*

আপনার বাকি কথাগুলো ভাবালো। আপনি হয়তো সিনিক নন। কিন্তু আমি আগা-গোড়াই সিনিক। ভবিষ্যত নিয়ে প্রচন্ড হতাশাবাদী। দশ বছর আগে মতিঝিলের এক বহুতল ইমারতে শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত অফিসে কাজ করতাম। জানালার বাইরেই শাপলা চত্ত্বর দেখা যেতো। কাজ ফেলে প্রায়ই জানালা দিয়ে তাকিয়ে থাকতাম। ভেবে পেতাম না, কি করে চলছে সব? অভ্যাসের অটোপাইলট? নাকি চিরকাল পিষ্ট হয়ে যাওয়া মানুষের অসীম ধৈর্য আর সহিষ্ণুতা? তখন সিয়েরা লিওনে গৃহযুদ্ধ শুরু হয়েছে মাত্র। মনে হতো, আমাদেরটা ঠেকে আছে কিভাবে?

এখনো ভাবি, একদিন নিশ্চিত শুরু হবে। ইতিহাসের সর্বনিকৃষ্ট, সবচেয়ে স্বার্থপর এবং অদূরদর্শী শাসক শ্রেণী আমাদের পিঠে সওয়ার হয়েছে। অনেক দিন ধরেই সওয়ার। আজকে জানলাম দেশের এক এলিট পাড়ার ছেলে তার প্রথম বিবাহ বার্ষিকী উদযাপন করার জন্যে প্রাইভেট প্লেন ভাড়া করেছে। যেই দেশের মানুষ ভাত খেতে পায় না, খিদের জ্বালায় নিজের ভিটে-মাটি ছেড়ে পাশের দেশে গিয়ে বস্তিতে থাকে, শত্রুর দেশ পাকিস্তান চলে যায় ভাতের খোঁজে, এমনকি মরিয়া হয়ে প্লেনের চাকার খোলে ঢুকে পড়ে দেশান্তরী হবার উদ্দেশ্যে, সেই বেজন্মার বাংলাদেশেই আরেক শ্রেণীর লোক প্রাইভেট প্লেন ভাড়া করে, ট্রফি বৌ আর বন্ধু-আত্মীয়দের মনোরঞ্জনের জন্যে।

কাকে বেশী ঘৃণা করবো এই অবস্থায়? ওদেরকে? দেশকে? নাকি নিজেকে? এর মধ্যে কেন যে লেখালেখি করি, তার উত্তর আমার নিজের কাছেও পরিষ্কার না। টিমটিমে একটা আশার আলো দেখতাম এক সময়, মনে প্রাণে বিশ্বাস করতাম যে অর্থনৈতিক উন্নয়নে সকল শ্রেণীকে অন্তর্ভুক্ত করতে পারলে, তার ফল সবার পাতে অন্তত আধা-ন্যায্য ভাবে তুলে দেওয়ার চেষ্টা করলেও হয়তো প্রলয় একদিন ঠেকানো যাবে। কিন্তু যতদিন যায়, মনে হয় সে আশা নিভে আসছে। প্রলয় প্রক্রিয়া আরো তরান্বিত হবে যখন আমাদের স্থলভূমি ভালোমত সংকুচিত হওয়া শুরু করবে।

আমরা যারা এসব বুঝছি, জানছি তারা বেশি কিছু করবো না।

শেষমেষ এই কথাটাই ঠিক। আর সব কিছুতে আমাদের যে পঙ্গুত্ব, নৈতিক, মানসিক, বুদ্ধিবৃত্তিক বৈকল্য - নব্য-রাজাকারদের উত্থান তো সেই সর্বাত্ত্বক ভ্যাকুয়ামের মধ্যেই হয়েছে। বাংলাদেশের বর্তমান পরিপ্রেক্ষিতে মহাকবি ইয়েটসের বিখ্যাত কবিতার লাইনগুলো মনে পড়ে - The best lack all conviction, while the worst are full of passionate intensity. আমাদের হয়েছে সেই দশা। সবচেয়ে খারাপ লোকগুলো এখন লাফায় সবচেয়ে বেশী।

অন্তরে এটাও বিশ্বাস করি যে মুক্তিযুদ্ধের বিচার আর সামাজিক ও অর্থনৈতিক ন্যায়বিচার, এই দুটোকে আলাদা করে দেখা সম্ভব না। মাছ আর ভাতের প্রতিশ্রুতি যতদিন না পুরণ হবে, ততদিন পর্যন্ত অন্যান্য বিচার অসম্পূর্ণ থাকবে, বড় জোর উইন্ডো ড্রেসিং হবে। যতদিন ফেনীর বেলাল-রা কাজের খোঁজে পাকিস্তান যাবে, ততদিন বিজয় হবে গোলাম আজমের আর নিজামীর, ভুট্টোর আর টিক্কা খানের। নিজামী-আজমের কোনদিন সত্যি সত্যি বিচার হলেও তাতে তারতম্য হবে না।

*

আমরা কি দোরে দোরে, স্কুলে স্কুলে যাওয়ার সামর্থ্য রাখি? জনগণের বৃহত্তর অংশ কেন আমাদের কথা শুনবে?

আবারো সত্যি কথাই বলেছেন। গরীবের কোন বাচ্চাটাকে আমরা দেখে রেখেছিলাম? মাদ্রাসায় যখন দিয়ে দিয়েছিল তার দরিদ্র বাবা-মা, তখন কি এগিয়ে এসে বলেছিলাম -- দাঁড়ান আমি বেতন দিয়ে দিচ্ছি, আপনি বাচ্চাকে সঠিক স্কুলে পাঠান। আমরা তো কেউই তা করিনি। এখন চত্ত্বর কাঁপিয়ে দেয় যখন ছোট হুজুরদের দল, তখন কেন এতো অবাক হই আমরা? কোনকালে কেয়ার করেছিলাম, যে হঠাৎ করে চিন্তায় এখন কপালে রেখা উঠেছে? বেজন্মার দেশে আমরাই তো সবচেয়ে বড় বেজন্মা।

ওরা আজকে অনেক বেশী সংঘবদ্ধ। হুজুরদের টাকা আসে সৌদি থেকে। তেলের দাম ১৪০ - বাংলাদেশ সহ বিশ্বব্যাপী হুজুরদের পালতে টাকার কোন অভাব হবে না আগামী ৫০ বছর। চ্যাটের বালের সংস্কৃতিমনা আয়েশী মধ্যবিত্ত ভদ্রলোকদের থেকে ওরা অনেক বেশী ক্ষুধার্ত, অনেক বেশী সংঘবদ্ধ, অনেক বেশী ফোকাস্‌ড। এবং এই সব কারনে আগের থেকে অনেক বেশী শক্তিশালী। টিএসসির চত্ত্বরে ২০ জনের সামনে ক্ষীণ কন্ঠে বক্তৃতা দিয়ে এদের সামষ্টিক শরীরে ন্যূনতম আঁচড়টাও দেওয়া যাবে না। আমার তো স্থির বিশ্বাস যে আদৌ যদি কোন দৈবক্রমে নিজামীকে বিচারে নেওয়াও হয়, সৌদি সহ অন্যান্য বৃহৎ শক্তির প্রত্যক্ষ-পরোক্ষ হস্তক্ষেপে ওকে খালাস দিয়ে দিতে হবে।
-------------------------
হাজার বছর ব্লগর ব্লগর

ফারুক ওয়াসিফ এর ছবি

সুবিনয় যা বললেন তার ভাব ও ভাষার প্রতিটি বিন্দুর সঙ্গে একাত্ম।

ইতিহাসের সর্বনিকৃষ্ট, সবচেয়ে স্বার্থপর এবং অদূরদর্শী শাসক শ্রেণী আমাদের পিঠে সওয়ার হয়েছে।

এবং তারা আমাদের টেনে নিয়ে চলছে দৈত্যের হা-য়ের মধ্যে। অচিরেই যে বাংলাদেশ বাংলাদেশের মতো করেই নাইজেরিয়া বা সিয়েরা লিওন হবে না, তা নয়। বরং সেই সম্ভাবনাই প্রবল হতে দেখছি। বিশেষত এখানকার রাজনৈতিক সংকট যেভাবে আন্তর্জাতিক সংঘাতের মাঠে গিয়ে পড়ছে, যেভাবে আবারো অচলাবস্থা সৃষ্টির সম্ভাবনা ফুটে উঠছে।

এগুলো নিয়ে কাজ করা দরকার। যার যা সামর্থ্য তা নিয়েই, এবং ভিন্ন ভিন্ন কাজগুলোর মধ্যে সমন্বয়ও দরকার। প্রবাসীরা এখানে বিরাট ভূমিকা পালন করতে পারে। শুধু বিনিয়োগ করেই নয়, দেশের রাজনৈতিক পালাবদলে সমর্থন দিয়ে, বাইরে থেকে সংগঠিত সমালোচনা ও প্রস্তাব তোলার মাধ্যমে। চাইলে অনেক ভাবেই তা করা যায়। আবার দেশের ভেতরেও নতুন সাড়া দরকার। এখন যদি তা না শুরু করা যায়, তাহলে কয়েক দশকেও কিছু হবে না।

নব্বই-য়ের জেনারেশন পারে নাই, ব্যবস্থার মধ্যে হজম হয়ে গেছে। শূণ্য দশকে যারা এসেছে তাদের মধ্যে চিন্তায় ও জীবনে সীমা ডিঙাবার ইচ্ছাটাই মরে গেছে দেখতে পাচ্ছি, যেটা আগের প্রজন্মের মধ্যেও ছিল। আমরা এখন প্রতিষ্ঠার দৌড়ে হারিয়ে যাচ্ছি। আমরা চাইছি আমাদের চারপাশে নিরাপত্তা ও আরামের কচ্ছপ খোল বানাতে, বানিয়ে থাকলে তা আরো পুরু করতে, পুরু হলে তাকে অক্ষয় করতে।
ভরসা রাখি যে, তারপরও হবে। কিছু মানুষ চেষ্টা শুরু করে যদি দৃষ্ঠান্ত স্থাপন করতে পারে, তবে আরো অনেকেই আসবে। তার আগে একটা কথায় আমি খুবই বিশ্বাস করি, স্বতঃষ্ফূর্ত কার্যকর ক্ষোভ-বিক্ষোভ বরং ভাল। কিন্তু ভুল চিন্তায় বা পুরনো বাতিল চিন্তায় মাতোয়ারা হয়ে কিছু করা হবে আত্মঘাতী। তাই চিন্তা জাগানো চাই। দেশটাকে, দেশটার বিশিষ্ট সম্ভাবনা আর বিশিষ্ট সমস্যাকে কেউই বুঝতে চায়নি। মস্কোওয়ালারা মস্কোর কথায় চলেছে আজকে উন্নয়নঅলারা প্রভুদের কথায় চলছে। তাদের চাহিদামাফিক গবেষণা ও প্রকল্প দাঁড় করাচ্ছে। দেশ, দেশের মানুষ কারো হিসাবেই নাই। এ অবস্থায় আমরা যারা কুটির শিল্পের মতো করে চেষ্টা করি, তারাও ক্লান্ত হয়ে পড়ি। আমাদেরও চাকরিতে ঢুকতে হয় একসময়। সেখান থেকে দুই নৌকায় পা দিয়ে যা করি, তাতে কিছু কাজ হয় বটে, কিন্তু জীবনটাকে দ্বিধাবিভক্ত করতে হয়। এর থেকে কোনো একদিকে চলে যাওয়া ভাল।
আমি আমার প্রতি, আমার শ্রেণীর মানসিকতার প্রতি সিনিক। বাসনা রাখি যে, এখানেই শেষ হবে না। ভাল থাকবেন।

হাঁটাপথে আমরা এসেছি তোমার কিনারে। হে সভ্যতা! আমরা সাতভাই হাঁটার নীচে চোখ ফেলে ফেলে খুঁজতে এসেছি চম্পাকে। মাতৃকাচিহ্ন কপালে নিয়ে আমরা এসেছি এই বিপাকে_পরিণামে।

রেজওয়ান এর ছবি

ফারুক ওয়াসিফ:

আপনি দয়া করে ওগুলো আপলোড করে আমাকে লিন্কটি পাঠিয়ে দিন। আমি আর্কাইভে তুলে দেব।

"জনগণের বৃহত্তর অংশ কেন আমাদের কথা শুনবে, তার কোনো জোরালো যুক্তি বা সেই কথাই কি আমরা তৈরি করেছি?"

এই আর্কাইভের লক্ষ্য একটিই সব প্রশ্নের উত্তর এখানে সংরক্ষণ করা। সব ধরণের তথ্য বিকৃতির অবসান ঘটানো। একটি ঘটনার যখন অনেকগুলো পরিপ্রেক্ষিত থাকে (প্রত্যক্ষদর্শী, প্রচার মাধ্যম, গোয়েন্দা প্রতিবেদন, দলিল, বইপত্র, ছবি, ভিডিও ইত্যাদি) তাহলে তা উড়িয়ে দেওয়া কষ্টকরই বটে।

"তারা এসবের শক্তিশালী এ্যান্টিথিসিস গড়ে তুলেছে"।

- এর কারন হচ্ছে মুক্তিযুদ্ধের সাথে রাজনীতিকে জড়ানো হচ্ছে। এটি শুধূ আওয়ামী লীগ বা জামাতের রাজনীতি সংক্রান্ত নয়। ভারতীয় প্রচার মাধ্যমে ছড়ানো ভারতই একমাত্র আমাদের স্বাধীনতা এনে দিয়েছে বা পাকিস্তানীদের এ সমস্ত কিছু অস্বীকার করার প্রবণতা তাও পরিস্থিতি ঘোলা করছে। এ সমস্ত তরুন-তরুনীদের কনফিউজড করে দিচ্ছে।

জার্মানীতে স্কুল কলেজে ইতিহাস ঠিকমত পড়ানো হয়, কন্সেন্ট্রেশন ক্যাম্পে তাদের নিয়ে যাওয়া হয় - সেজন্যে তাদের অনেকেই দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের ইহুদি জেনোসাইডের জন্যে লজ্জিত থাকে। বার্লিনে মাদাম তুসোর উদ্বোধনী দিনে হিটলারের মুর্তির উপর আক্রমণ হয় - এতই ঘৃণা করে তারা (অনেকেই -নিও নাৎসীরা ব্যাতিক্রম) - এধরনের কাজের দায়িত্ব কিন্তু সরকারের।

আমরা শুধু সত্য তুলে ধরতে পারি। এই আর্কাইভ হয়ে উঠতে পারে সেই রিসোর্স - মুক্তিযুদ্ধ বিরোধী/ ইতিহাস বিকৃতিকারী কোন বক্তব্যকে খন্ডাতে যেন এই আর্কাইভের একটি লিন্কই যথেস্ট হয়- সেরকম কাজই আমাদের করতে হবে।

তাই সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিন। সবাই মিলেই এটি সম্ভব।

পৃথিবী কথা বলছে আপনি কি শুনছেন?

ফারুক ওয়াসিফ এর ছবি

দেখি, যথাসাধ্য করার চেষ্টা করবো।
আমাকে একটা লেখার খোঁজ দিতে পারেন? ইয়াসমিন সাইকিয়া নামে আসামের এক মহিলা সম্ভবত অক্সফোর্ড থেকে গবেষণা করতে এসেছিলেন। একাত্তরে নারীর প্রতি সহিংসতা। এর একটা ভাগ ছিল বাংলাদেশে আরেকটা পার্ট হওয়ার কথা পাকিস্তানে। বাংলাদেশেরটা পেয়েছি, অনুবাদ করে ধারাবাহিকভাবে ছাপিয়েছিও সমকালে। কিন্তু পাকিস্তানের সোলজারদের ইন্টারভিউ-এর ভিত্তিতে বাকি গবেষণাটি পাওয়া দরকার বা জানা দরকার আদৌ তা শেষ হয়েছে কি না।
তাঁর সেই লেখাটার নাম ছিল : সাইলেন্সিং দ্য ভায়োলেন্স এগেইনস্ট ওমেন ইন ১৯৭১।

এছাড়া বেলজিয়ামে বাংলাদেশ জেনোসাইড স্টাডিজ নামে একটা ইনস্টিটিউট আছে। সেখানকার অধিকর্তা ড. আহমেদ জিয়াউদ্দিন। তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করলে অনেক সহায়তা পাবেন। আমি ওনার সঙ্গে কথা বলে তাঁর ঠিকানা পরে দিচ্ছি। এখন কানাডায় আছেন একাত্তরের অন্যতম প্রধান গবেষক আফসান চৌধুরী। তিনিও আপনাদের সহায়তা করতে পারবেন।

হাঁটাপথে আমরা এসেছি তোমার কিনারে। হে সভ্যতা! আমরা সাতভাই হাঁটার নীচে চোখ ফেলে ফেলে খুঁজতে এসেছি চম্পাকে। মাতৃকাচিহ্ন কপালে নিয়ে আমরা এসেছি এই বিপাকে_পরিণামে।

সুবিনয় মুস্তফী এর ছবি

ইয়াসমিন সাইকিয়া বর্তমানে নর্থ ক্যারোলাইনা বিশ্ববিদ্যালয়ে ইতিহাসের প্রফেসর। এখানে তার ওয়েব পেজ। তাতে সব যোগাযোগের ডিটেইলস দেয়া আছে।

Contact - Yasmin Saikia
University of North Carolina at Chapel Hill
Department of History
CB #3195, Hamilton Hall
Chapel Hill, NC 27599-3195
Email -
Phone - 919-962-3961 (office)

তার মুক্তিযুদ্ধ রিসার্চের সর্বশেষ স্ট্যাটাস যা খুঁজে পাওয়া গেল, তা হলো এই পেজে (পিডিএফ ফাইল)। ২০০৬ সালে লেখা। পড়ে মনে হচ্ছে উনি ২০০৫-এ পাকিস্তানী ভেটারানদের ইন্টারভিউ নিয়ে ফেলেছেন। বই আছে ড্রাফট পর্যায়ে।

-------------------------
হাজার বছর ব্লগর ব্লগর

রেজওয়ান এর ছবি

Beyond the Archive of Silence: Narratives of Violence of the 1971 Liberation War of Bangladesh
History Workshop Journal - Issue 58, Autumn 2004, pp. 274-286

হিস্টোরী ওয়ার্কশপ জার্নালে তার একটি আর্টিকেল আছে। ফ্রি ভিউ হলে ভালো হত।

মুক্তমনার এই আর্টিকেলে একটি লিন্ক ছিল কিন্তু ওটি কাজ করছে না।

পৃথিবী কথা বলছে আপনি কি শুনছেন?

ফারুক ওয়াসিফ এর ছবি

হ্যাঁ, ওনাকে মেইল করার কথা মনে হয়েও আর করা হয় নাই। শীঘ্রই করবো। আমার ধারণা উনি বাংলা পড়তে পারবেন। তাহলে আমার অনুবাদটা ওনাকে পড়াতে পারব।
এছাড়া একাত্তরে ধর্ষণ (জেন্ডারসাইড) বিষয়ে প্রথম যিনি পশ্চিমে নীরবতা ভাঙেন, তিনি সুসান ব্রাউমিলার। তাঁর লেখাও ওয়েবে পাওয়া যায়। আপনারা চাইলে দুটোর সাইকিয়ার প্রথম পার্টটা এখানে কিস্তি করে দেয়া যায়। অসাধারণ কাজ।
দ্বিতীয়ত, পাকিস্তান পার্টটা নিয়ে আমার আগ্রহ অনেক বেশি। দেখি উনি কি সত্য বের করে আনেন।
লিংকটা ধরে দেখলাম, উনি ওনার কাজের আরো কয়েকটা চ্যাপ্টার দিয়েছেন। কেউ কি আছে যে প্রজেক্ট মিউজের সাবস্ক্রাইবার। আমি চেষ্টা করছি, আপনারাও একটু দেখুন না। ওনার বইটা বাংলা হওয়া দরকার।

হাঁটাপথে আমরা এসেছি তোমার কিনারে। হে সভ্যতা! আমরা সাতভাই হাঁটার নীচে চোখ ফেলে ফেলে খুঁজতে এসেছি চম্পাকে। মাতৃকাচিহ্ন কপালে নিয়ে আমরা এসেছি এই বিপাকে_পরিণামে।

সংসারে এক সন্ন্যাসী এর ছবি

‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍খুবই, খুবই সময়োপযোগী (সময় এখনও পেরিয়ে যায়নি) উদ্যোগ। ধন্যবাদ, সুবিনয় মুস্তফী।

~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
মৌমাছির জীবন কি মধুর?

~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
টাকা দিয়ে যা কেনা যায় না, তার পেছনেই সবচেয়ে বেশি অর্থ ব্যয় করতে হয় কেনু, কেনু, কেনু? চিন্তিত

আকতার আহমেদ এর ছবি

স্যালুট !

ধ্রুব হাসান এর ছবি

@ সুবিনয় মুস্তফী যথাসাধ্য চেষ্টা করবো এ বিষয়ে পাশে থাকতে। তবে মনে মনে একটা প্রতিজ্ঞা করলাম আজ, আজকে থেকে (১৩ জুলাই ২০০৮)এ বিষয়ে কথা বলাও বন্ধ করে দিলাম। ভুল হোক আর ঠিক হোক জীবনে যদি একটা যুদ্ধাপরাধীকেও হত্যা করতে পারি তো কথা হবে এ বিষয়ে, নতুবা কচ্চপের খোলসই শেষ গন্তব্য।
(একজন হিপোক্রেট হিসেবে এর চেয়ে আর বেশী কিছু বলার নাই)।

সবজান্তা এর ছবি

এই সাইটের নাম ছড়ানোর জন্য, আমার সাধ্যে যতটুকু কুলায়, ততটুকু আমি অবশ্যই করবো। এর মধ্যে যে কাজগুলি এখনি করা যেতে পারে, ইন্টারনেটে যে সমস্ত ফোরামগুলি তে আমরা মেম্বার, সে ফোরামগুলিতে আমার সিগনেচারে এ সাইটের লিঙ্ক দিতে পারি। যদি ফোরামের প্রকৃতি অনুকূল হয়, তাহলে এ সাইট নিয়ে বিস্তারিত পোস্টও দেওয়া যেতে পারে। এর পাশাপাশি নিজস্ব ব্লগেও এর লিঙ্ক দেওয়া যেতে পারে।

টেকনিক্যালি আরো যে কাজ করা যেতে পারে - SEO বিশেষজ্ঞ কেউ যদি সাইটটির কিছু SEO উন্নয়নের কাজ করে দেন, তাহলে কেউ এ সংক্রান্ত সার্চ দিলেই প্রথম পাতাতেই হয়ত এটা আসবে।

এ নিয়ে আরো হয়ত কিছু ভাববার অবকাশ আছে। পরবর্তীতে আরো কিছু মাথায় আসলে জানাবো।

পুনশ্চঃ সাইটের কিছু লিঙ্ক ( ইমেজ সেকশনের ) দেখলাম কাজ করছে না। আশা করি নজর দিবেন।


অলমিতি বিস্তারেণ

রেজওয়ান এর ছবি

সাইটের ইমেজ সেকশন আপডেট করেছি। ধন্যবাদ। এভাবে যদি সবাই সহায়তা করে তাহলে অবশ্যই এর মান রাখা সম্ভব।

পৃথিবী কথা বলছে আপনি কি শুনছেন?

ইশতিয়াক রউফ এর ছবি

অধমের ছোট্ট একটা আইডিয়া আছে। "আপনাকে বিপ্লব" ((বিপ্লব)) বা প্রচারমাধ্যমের স্বাধীনতা চেয়ে gif ছবিগুলোর মত কিছু করা যায়?

একটা ওয়েবসাইট করা যায় যেখানে গোলাম আযম-নিজামী দের মত টপ রাজাকারদের নাম ও বর্তমান অবস্থান থাকবে। সাংবাদিকরা চাইলে এদের অবস্থান ইনপুট করতে পারেন সেই সাইটে। সেখান থেকে ইমোটিকনটা ডাইনামিক ভাবে অবস্থান জেনে নিল।

আমরা একেক জন নিজেদের "প্রিয় রাজাকার" (?) পছন্দ করবো। ধরুন, আমি নিলাম গোলাম আযম, সুবিনয় নিলেন মতিউর রহমান নিজামী।

তাহলে আমারটায় দেখাবে "গোলাম আযম এখন পান খায়", আর সুবিনয়েরটায় দেখাবে "নিজ়ামী এখন পাঙ্খায়"।

গোলাপী এখন ট্রেনে-র রাজাকারিফাইড ভার্সন আর কি!


রাজাকার রাজা কার?
এক ভাগ তুমি আর তিন ভাগ আমার!

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

অসাধারণ... ছড়িয়ে দেবো... সেখানে সেখানে... যেখানে যেখানে আসলে দরকার... নতুন প্রজন্মের কাছে...
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

স্নিগ্ধা এর ছবি

সুবিনয় - অভিবাদন! যেখানে যেখানে পারি, ছড়িয়ে দেবো।

জিফরান খালেদ এর ছবি

নিঝুম ওইদিন মধ্যরাতে ঘুম ভাঙ্গালো। খুবই শান্ত অথচ উত্তেজিত কন্ঠস্বরে রাজাকারবিরোধী একটা সাইট করার কথা বললো।

আমি হু হা করে গেলাম।

আপনাদের লিখা পড়েই বোধহয় আমার ঘুম ভাঙ্গানো... এই সাইটের সাথে জড়িত হলেই বোধহয় সবচেয়ে বেশি কিছু করা হয়।

আচ্ছা, অ্যান্থনি মাস্কেরানহানসের বইগুলি বা সাক্ষাতকারগুলো কি এখানে আছে বা প্রাসঙ্গিক?

নিঝুম এর ছবি

এই তথ্য এবং লেখার জন্য সুবিনয় ভাইকে অন্তরের অন্তঃস্থল থেকে ভালোবাসা , ধন্যবাদ ।

--------------------------------------------------------
... বাড়িতে বউ ছেলেমেয়ের গালি খাবেন, 'কীসের মুক্তিযোদ্ধা তুমি, কী দিয়েছ আমাদের'? তিনি তখন আবারো বাড়ির বাইরে যাবেন, আবারো কান পাতবেন, মা জননী কি ডাক দিল?

---------------------------------------------------------------------------
কারও শেষ হয় নির্বাসনের জীবন । কারও হয় না । আমি কিন্তু পুষে রাখি দুঃসহ দেশহীনতা । মাঝে মাঝে শুধু কষ্টের কথা গুলো জড়ো করে কাউকে শোনাই, ভূমিকা ছাড়াই -- তসলিমা নাসরিন

বিপ্লব রহমান এর ছবি

গণকবর ও মুক্তিবাহিনী, ন্যাট জিও, ১৯৭২গণকবর ও মুক্তিবাহিনী, ন্যাট জিও, ১৯৭২
---
মহতি উদ্যোগ সফল হোক। জয় বাংলা!


একটা ঘাড় ভাঙা ঘোড়া, উঠে দাঁড়ালো
একটা পাখ ভাঙা পাখি, উড়াল দিলো...


একটা ঘাড় ভাঙা ঘোড়া, উঠে দাঁড়ালো
একটা পাখ ভাঙা পাখি, উড়াল দিলো...

স্যাম এর ছবি

গুরু গুরু

আয়নামতি এর ছবি

কী অসাধারণ একটা পোস্ট! কী প্রাণবন্ত আলোচনা!

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।