অন্ধরাতের ধারাবিবরণী ( শেষ অধ্যায় )

সুমন সুপান্থ এর ছবি
লিখেছেন সুমন সুপান্থ (তারিখ: বুধ, ২৯/১০/২০০৮ - ৫:০৮অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

প্রথম অধ্যায় আর দ্বিতীয় অধ্যায় এখানে

অপরিচিত মুখ দেখেই হামলে পড়েছিলো দারোয়ান । আফতাব বাড়তি গম্ভীর এক স্বরে বললো- ‘ দেখা করে... একটু বসতে চাই আর কি ’ স্বরের গম্ভীরতায় ভালোই আশ্বস্ত করা গেলো গোঁফওয়ালা মোটামতন লোকটা কে । সিঁড়ির দিকে আঙুল বাড়িয়ে বললো, ‘ দোতলাত উইঠ্যা ডাইনের রুমটাত অপেক্কা করইন । সময় অইলে কল পাইবেন ।’

সবুজাভ রঙ চার দেয়ালে । এক কোণে ফ্লাওয়ার ভাস – আফতাব দেখছিলো দেয়ালে নিহত এক রাষ্ট্রপতির জল্পাই চেহারা । সবগুলো জানালা বন্ধ । তার অস্বস্থি বেড়ে বিপন্নতায় পৌছবার আগেই তিনি এলেন । শহরে এক নামে সবাই তাকে চেনে । তবু আফতাবের সে সৌভাগ্য হয় নি, তাকে এর আগে দেখার । অথচ দেখা উচিত্‌ই ছিলো । কি প্রতাপ তার এই শহরে ! শরীর প্র-তাপ ও কম নয় – আফতাব চোখ তুলে তাকালো একবার । সবুজ সিফনে বেশ আবেদনময়ী । মধ্য চল্লিশের শরীর অনেক কসরতে ত্রিশে আটকাতে চাইছেন, বোঝা যায় । বললেন , ‘ অপরিচিত কাউকে আমরা নিই না, জানেন তো ? আমাদের প্রেস্টিজ্‌’এর ব্যাপারে আমরা খুব কন্‌সার্নড’ । সবুজ সিফন গমগম করে বললেন । বিশেষতঃ প্রেস্টিজ আর কন্‌সার্নড শব্দ দু’টো বললেন চোস্ত উচ্চারণে ।
আফতাব বললো, ‘জ্বী’
-‘তবে এলেন যে ?’
আফতাবের উত্তর জান নেই । সে নিচু মাথা । সে কম্পিত । কাচুমাচু । সবুজ সিফন বললেন আবার, ‘ যাই হোক ঢুকেই যখন পড়েছেন, কি আর করা ! ভবিষতে আর এভাবে আসার চেষ্টা করবেন না । আমাদের ক্লায়েন্টদের আপত্তি আছে এই সব ব্যাপারে । যে কাউকে আমরা এভাবে নিতে পার না ! বাই দ্যা ওয়ে, টাকা আছে কি ? আমাদের রেইট কিন্তু খুব হাই,... একটু পরে আপনাকে রুম দেখিয়ে দেবে । তার আগে পেমেন্টটা দিয়ে দিবেন । আর এই নিয়ে বাইরে কারো সাথে কথা বলা যাবে না।’

তার মাথার ভেতর এক হাজার ঝিঁ ঝিঁ পোকা নাচ শুরু করে দেয়, আর অপরপক্ষ তখন শাড়ি খুলে রাখছে পাশের চেয়ারে ! সে বুঝে উঠতে পারে না এখন তার কী করা উচিত্‌ ! সে ঠায় দাঁড়িয়ে দেখে মহিলাটি নিজেকে আরও অনাবৃত করতে ব্যস্থ । আশ্চর্য, সর্বশেষে সে খুললো তার জুতা ! ওটা তো প্রথমেই খোলার কথা ছিলো, না কি ! এখানে কি সব কিছুই অন্য রকম ? তার মনে হলো জুতা খোলার উছিলায় মহিলাটি ইচ্ছে করেই, তার শরীরের তুলনায় অধিক বড় স্তন দু’টো কে নাচিয়ে তুললো এক সংহারী মুদ্রায় ! আফতাব চোখ তুলে তাকাতে চেষ্টা করে । পারে না । তার মাথা কেবলি সামনের দিকে ঝুলে পড়ে । শিরদাঁড়া
বেয়ে হিমস্রোত নামতে থাকে । আর তার হৃত্‌পিন্ড লাফাতে থাকে অস্বাভাবিক ভাবে । আফতাবের শুন্য শুন্য লাগে , যেন-বা এখনই সে ভরহীন হয়ে যাবে ! তারপর ভাসতে থাকবে অনন্তের দিকে ।
অপরপক্ষ তখন তৈরী-‘নতুন আইছইন বুঝি ?’
আফতাব মাথা নাড়ায় । তার চোখ মেঝেলগ্ন । আনত । শব্দহীন । তার মনে হতে থাকে সে অন্ধ হয়ে যাচ্ছে !

-‘মাথা ধর্‌ছে নি ? আহেন , আমার কাছে আহেন টিইপ্পা দেই’।
মহিলার অভিজ্ঞতা বলে নতুন ক্লায়েন্টদের এমন হয়ই । তার উপর একেবারে জোয়ান মানুষ, বিয়ে সাদী ও করে নাই মনে হয় । তাকে-ই তো এগিয়ে আসতে হবে । সে বিছানা থেকে নেমে আফতাবের হাত ধরে কাছে টেনে আনে । বিছানায় বসায় । তার পেন্সিল পেন্সিল আঙুলগুলো দিয়ে আফতাবের ঘন চুলের ভেতর খেলতে থাকে । আফতাবের তন্দ্রামতোন এলে, সে নিজেকে বিছানায় এলিয়ে দেয় । মহিলাটির তাতে সুবিধাই হয় । সে তার ভারী বুক দু’টো এবার আফতাবের মুখের কাছে নিয়ে আসে আলগোছে । নিজের নগ্ন একটা পা তুলে দেয় আফতাবের শরীরের ওপর । তাতে যদি কাজ হয় ! চামড়াতে চামড়া লাগে, আর রক্তে যদি লাগে নাচন !

আফতাব তবু নির্বিকার । উত্তাপহীন । শরীরে, মনে কোথাও সে নিজেকে খুঁজে পায় না । তার পা থেকে গলা অব্দি পাথুরে স্থিরতা ভর করে । জিহবামূলে
রাজ্যের তৃষ্ণা । তার গলা শুকিয়ে কাঠ । তৃষ্ণা । ভয় । আতংক । সে টের পায়, বহুকাল ঘুমিয়ে থাকা শ্বাসকষ্টের ঘোড়াটা ছুটতে শুরু করেছে আবার ! এতো জোরে তার নিঃশ্বাস পড়ছে যে, মহিলাটি ও এবার না ঘাবড়িয়ে পারে না । অপ্রস্তুত সে আফতাবকে ধাক্কাতে থাকে –‘ কী অইছে আফনার? পানি খাইবেন ...পানি?’

পর্দার ভেতর তখন দৃশ্য বদলাচ্ছে দ্রত । বহুদুরে রাত ভাঙছে । পাল পাড়ায় কীর্তন । আসমান থেকে নেমে আসা অপার্থিব জ্যোত্স্নায় ধুয়ে যাচ্ছে কার্তিকের মাঠ । আর তার গলার কাছে আটকে আছে শ্বাস । ব্যথা । যন্ত্রণায় নীল হয়ে যাচ্ছে সব শিরা উপশিরা । আফতাব এবার শিশুর মতো কেঁদে উঠলো কষ্টে । আর আচমকাই কে যেন তাকে কোলে তুলে নিলো । তারপর কেবল পায়চারী...দৌড়, উঠোনময় । কেউ গেয়ে উঠলো ঘুম পাড়ানি গান -
কে আইছো রে পুবের বন্দে দিয়া...

একটা গাঢ়,কালো পর্দা দোলে উঠলো বার কয়েক ।


মন্তব্য

partha roy এর ছবি

তিনটি পর্ব শেষের অপেক্ষায় ছিলাম । আপনার লেখার সঙে পরিচিত অনেক দিন থেকে । এই গল্পটা ছাড়া ও , আরো কিছু গল্প পড়েছি আপনার ,বিভিন্ন ছোট কাগজে । বরাবরই ভালো লেগেছে, কিন্তু আপনি যে লেখায় নিয়মিত ছিলেন , সেটা বলা যাবে না । কেন বলুন তো ? যদ্দুর জানি ,আপনি বাইরে থাকেন । কিন্তু বাংলাদেশের গল্পের ধারণা বদলে দেয়া গল্পকার মামুন হুসাইন যার প্রিয় লেখক, তাকে একটু বেশী পরিশ্রমী না হলে হবে বলুন !

কিছু মনে করবেন না , আপনার লেখায় মামুন হুসাইনের প্রভাব দুর্লক্ষণীয় নয় । এই গল্পে ও আছে । কিন্তু এর বাইরে ও আপনি আপনার নিজস্ব একটা স্বর খুজে নিয়েছেন , অন্য অনেক তরুণদের থেকে আপনার সম্ভাবনা এখানটাতেই এগিয়ে । নিয়মিত লিখুন প্লিজ ।

আর এই গল্প ? যৌন-মনস্তাত্তিকতা নিয়ে এই প্রজন্মের হাত থেকে এই রকম গল্প এখন আর বেরুয় না ।
দু একজন ব্যতিক্রম । যেমন - রাশিদা সুলতানা কিংবা সুমন রহমান ।
আপনাকে সাধুবাদ ।

হাসান মোরশেদ এর ছবি

সুমন থামতে জেনেছে , জায়গা মতো ।
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।

-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।

সুমন সুপান্থ এর ছবি

যাক , বললে তো কিছু একটা ।
ধন্যবাদ । কখনো কখনো থামতেই হয় , না কি ?

---------------------------------------------------------

'...এইসব লিখি আর নাই লিখি অধিক
পাতার তবু তো প্রবাহেরই প্রতিক...'

---------------------------------------------------------
তুমি এসো অন্যদিন,অন্য লোক লিখবে সব
আমি তো সংসারবদ্ধ, আমি তো জীবিকাবদ্ধ শব !

সুমন সুপান্থ এর ছবি

প্রিয় পার্থ

অনেক অনেক ধন্যবাদ আপনাকে ।
গল্পের বিরক্তিকর দৈর্ঘ কিংবা পাঠোনুপযুক্ত লেখনীর কারনেই হোক, কাছে বন্ধুদের পাতেই যখন তুলে দেয়া যাচ্ছে না , তখন আপনি এই গল্পে এমন একটা মন্তব্য ( প্রথম আর এখন পর্যন্ত একমাত্র ) করলেন দেখে আমি আপ্লুত, অভিভুত, বিস্মিতও কিছুটা ।

আপনার পাঠক্ষমতার প্রতি শ্রদ্ধা রেখেই বলছি , আপনার মন্তব্যে আমি কিছু মনে করি নি । কিন্তু গেলো ২০০৮'র বাংলা একাডেমি বইমেলায় প্রকাশিত একটা ছোট কাগজে '' নব্বুই পরবর্ত্তী সময়ের গল্প'' নামের প্রবন্ধে, দয়ালু আলোচক এই অধমের নাম নিয়েছিলেন , গল্প নিয়ে ব্যয়ও করেছিলেন কিছু লাইন । লিখেছিলেন , '' সুমন সুপান্থের ভাষা, ভঙ্গি-প্রকাশে হালের আরেক পরিশ্রমী কথাকার মামুন হুসাইনের প্রভাব দুর্লক্ষণীয় নয়...' - আপনি সেই কথারই প্রতিধ্বনিই করলেন কী-না বুঝলাম না ।

আরো যে দু'জন লেখকের কথা উল্লেখ করলেন , সেই সুমন রহমান আর রাশিদা সুলাতানা- দু'জনেই আমার খুব কাছের মানুষ আর প্রিয় গল্পকারও । ভালো কাজ হয়তো করা হবে না পার্থ ( সেই শক্তি তো চাই ! ) কিন্তু শুধু এই দু'জনেরই নয় , অন্য আরো অনেকের পথ থেকেই আমার পথ আলাদা করবার চেষ্টা অন্তত করে যাবো বাকী সময়টুকু আপনাকে কথা দিলাম ।

ভালো থাকুন ।

---------------------------------------------------------

'...এইসব লিখি আর নাই লিখি অধিক
পাতার তবু তো প্রবাহেরই প্রতিক...'

---------------------------------------------------------
তুমি এসো অন্যদিন,অন্য লোক লিখবে সব
আমি তো সংসারবদ্ধ, আমি তো জীবিকাবদ্ধ শব !

আনোয়ার সাদাত শিমুল এর ছবি

প্রকাশের দিনই পড়েছি এক নিঃশ্বাসে। এরকম লেখায় ঝুম ব্যস্ততায় তড়িৎ কমেন্ট করতে ইচ্ছে করে না। আজ একসাথে পুরোটাই পড়লাম আবার। অদ্ভুত টানটান বিন্যাস...।

কতো আর সিরিয়াস কমেন্ট করা যায়?
একটু মজা করি...
আপনার হাত দুটোর ইনস্যুরেন্স করে রাখবেন। এমন লেখা যিনি লিখেন, তাঁর দুটো হাত অমূল্য সম্পদ...।

সুমন সুপান্থ এর ছবি

তোমার কাছ থেকে এই গল্পের পাঠপ্রতিক্রিয়া সত্যি সত্যি খুব আশা করছিলাম । অথচ দেখো, তোমার মন্তব্যের জবাব-ই দেয়া হয় নি কতোদিন !
ধন্যবাদ শিমুল । আর আমার হাতের ইন্স্যুরেন্সের নমিনি তোমাকে করে দেবো ! কারণ তোমারটার ও যে ইন্স্যরেন্স লাগবে !!

---------------------------------------------------------
তুমি এসো অন্যদিন,অন্য লোক লিখবে সব
আমি তো সংসারবদ্ধ, আমি তো জীবিকাবদ্ধ শব !

---------------------------------------------------------
তুমি এসো অন্যদিন,অন্য লোক লিখবে সব
আমি তো সংসারবদ্ধ, আমি তো জীবিকাবদ্ধ শব !

নিঝুম মজুমদার এর ছবি

পুরো গল্পটা পড়লাম । গল্প লেখা ও গল্প পড়া এই দুটোতেই আমার ব্যাপক আগ্রহ । অন্য যাই কিছু লেখি না কেন , আমাকে কেউ আমার লেখক সত্বা নিয়ে প্রশ্ন করলে আমার গল্প লেখক পরিচয়টাই আমি খোলশ ছেড়ে খোলাশা করে ফেলি । সুতরাং ভালো কিংবা খারাপ এই ধরনের মৌলবাদীয় অথবা ক্যাটাগোরাইজড করবার প্রবণতা না থাকলেও যে কোন গল্প পড়ে ভালো -খারাপের অনুভূতি প্রকাশের ব্যাপারটা চলে আসে । যদিও অনুভূতি লিখনকে আমি আরেক অনুভূতি দিয়ে ট্যাগ করে দিতে চাইনা ।

সচলায়তনে যে কয়েকজন গল্প লেখক আমাকে প্রতি নিয়ত কষ্ট দেয় আর হিংসা নামে ভয়াবহ একটি অনুভূতির জাগান দেয় তাদের মধ্যে অন্যতম হলেন, কনফুসিয়াস, আনোয়ার সাদাত শিমুল,নজমুল আলবাব ভাই । উল্লেখিত তিনজনই, আর কোনদিন গল্প না লিখলেও হবে টাইপ অবস্থানে চলে গেছেন বলে আমার বিশ্বাস । খোলাসা করে বললে , উনারা তিনজনই আজীবন বেঁচে থাকবে, এই টাইপ কইয়েকটি গল্প লিখে ফেলেছেন । আর কেউ মানতে চাক কিংবা না চাক, আমি তা মনে প্রাণে বিশ্বাস করি । উল্লেখ করা যেতে পারে, নজমুল ভাইয়ের বউ ,বাটা,বল সাবান , কনফুসিয়াসের সেই আদি ও অকৃতিম গল্প- সমান্তরাল, আনোয়ার সাদাত শিমুলের- নিলুফার যখন মারা গেলো কিংবা অন্যরকম ক্যারিয়ার প্ল্যানিং ।

এখন যুক্ত হলেন আপনি । আফতাবকে নিয়ে চলে গেলেন কোথায় । ভাসলেন । ভাসালেন । বললেন । বলালেন । এ এক অপার দুঃখ গাঁথা । এই গল্প নিয়ে আমি ভাষাগত, বর্ণনাগত, কাহিনীগত ... এসব কিছুই বলতে চাই না । সত্যি কথা , আমি সেরকম পুঙ্খানুপুঙ্খ আলোচনা করবার মত যোগ্যও নই । আমি কেবল একটি কথাই বলতে পারি,

কনফু'র সমান্তরাল আমাকে যেমন কষ্ট দেয় , মুহম্মদ জাফর ইকবালের একজন দূর্বল মানুষ আমাকে যেমন কষ্ট দেয় , আপনার অন্ধকারের ধারাবিবরণী আমাকে আবার কষ্ট দিলো । গল্প পড়ে তার ভেতরকার বিষন্নতার কষ্ট নয় ।

একজন তুচ্ছ লেখক হিসেবে এইরকম লিখতে না পারার কষ্ট । যখন আর নিজেকে লেখক মনে হয় না ।

আপনার ভালো হোক ভাই । গল্প বেঁচে থাকুক আপনার হাত ধরে ।

সুমন সুপান্থ এর ছবি

নিজের ব্লগে পুরোনো লেখা, মন্তব্য কিছুই আর ফিরে দেখা হয় না আমার ! তোমার মন্তব্যে সত্যি প্রাণিত বোধ করছি নিঝুম ।
একটু অবাকই লেগেছিলো যখন , এই গল্পটি পোস্ট করি, ভালো একটা পর্যালোচনা তো দূর, মন্তব্যই এলো না তেমন ! ( মন্তব্যতৃষ্ণা থেকে বলছি না ) অবাক লেগেছিলো এই ভেবে যে , প্রিন্টেট মিডিয়ার সঙ্গে , ব্লগের একটা প্রার্থক্য মনে হয় আছেই কোথাও । না হয় সচলায়তনে লেখাগুলোর মধ্যে সব চেয়ে ( আমার ) সিরিয়াস কাজটাই কারো পাতে তোলা গেলো না কেন ?
অথচ এই গল্পটি আমার সময়ের অনেক তরুন লেখকবন্ধুদের প্রিয়ই । বলতে কি, এই একটাই গল্প যেটা আমি আমার প্রকাশিতব্য গল্পগ্রন্থ ' নিহত ঘুঙুরের ধ্বনি' থেকে নিয়েছি !

ধন্যবাদ তোমাকে, নিঝুম ।

---------------------------------------------------------
তুমি এসো অন্যদিন,অন্য লোক লিখবে সব
আমি তো সংসারবদ্ধ, আমি তো জীবিকাবদ্ধ শব !

---------------------------------------------------------
তুমি এসো অন্যদিন,অন্য লোক লিখবে সব
আমি তো সংসারবদ্ধ, আমি তো জীবিকাবদ্ধ শব !

নিঝুম এর ছবি

দুঃখিত ,অন্ধকারের ধারাবিবরণী নয়, অন্ধরাতের ধারাবিবরণী হবে ।
-------------------------------------------------------
কারও শেষ হয় নির্বাসনের জীবন । কারও হয় না । আমি কিন্তু পুষে রাখি দুঃসহ দেশহীনতা । মাঝে মাঝে শুধু কষ্টের কথা গুলো জড়ো করে কাউকে শোনাই, ভূমিকা ছাড়াই -- তসলিমা নাসরিন

---------------------------------------------------------------------------
কারও শেষ হয় নির্বাসনের জীবন । কারও হয় না । আমি কিন্তু পুষে রাখি দুঃসহ দেশহীনতা । মাঝে মাঝে শুধু কষ্টের কথা গুলো জড়ো করে কাউকে শোনাই, ভূমিকা ছাড়াই -- তসলিমা নাসরিন

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।